The most-visited বাংলা Wikipedia articles, updated daily. Learn more...
বাংলাদেশ ( শুনুন ) দক্ষিণ এশিয়ার একটি জনবহুল রাষ্ট্র। বাংলাদেশের সাংবিধানিক নাম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ। ভূ-রাজনৈতিক ভাবে বাংলাদেশের পশ্চিম, উত্তর ও পূর্ব সীমান্তে ভারত, দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তে মায়ানমার ও দক্ষিণ উপকূলের দিকে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। বাংলাদেশের ভূখণ্ড ভৌগোলিকভাবে একটি উর্বর ব-দ্বীপের অংশ বিশেষ। পার্শ্ববর্তী দেশের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা-সহ বাংলাদেশ একটি ভৌগোলিকভাবে জাতিগত ও ভাষাগত "বঙ্গ" অঞ্চলটির মানে পূর্ণ করে। "বঙ্গ" ভূখণ্ডের পূর্বাংশ পূর্ব বাংলা নামে পরিচিত ছিল, যা ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ নামে স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পৃথিবীতে যে ক'টি রাষ্ট্র জাতিরাষ্ট্র হিসেবে মর্যাদা পায় তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
ভারত দক্ষিণ এশিয়ার একটি রাষ্ট্র। দেশটির সরকারি নাম ভারতীয় প্রজাতন্ত্র। ভৌগোলিক আয়তনের বিচারে এটি দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম এবং বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম রাষ্ট্র। অন্যদিকে জনসংখ্যার বিচারে এই দেশ বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল তথা বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। ভারতের পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তান উত্তর-পূর্বে চীন, নেপাল, ও ভূটান এবং পূর্বে বাংলাদেশ, মায়ানমার ও মালয়েশিয়া অবস্থিত। এছাড়া ভারত মহাসাগরে অবস্থিত শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও ইন্দোনেশিয়া ভারতের নিকটবর্তী কয়েকটি দ্বীপরাষ্ট্র। দক্ষিণে ভারত মহাসাগর, পশ্চিমে আরব সাগর ও পূর্বে বঙ্গোপসাগর দ্বারা বেষ্টিত ভারতের উপকূলরেখার সম্মিলিত দৈর্ঘ্য ৭,৫১৭ কিলোমিটার (৪,৬৭১ মাইল)।
যৌনসঙ্গম হচ্ছে একটি জৈবিক প্রক্রিয়া যা দ্বারা প্রধানত একটি পুরুষের উত্থিত শিশ্ন একটি নারীর যোনিপথে প্রবিষ্টকরণপূর্বক অঙ্গসঞ্চালনকে বোঝায়। এ প্রক্রিয়ায় নর-নারীর যৌনউত্তেজনা প্রশমিত হয় এবং পুরুষের বীযর্পাত ঘটে। যৌনসঙ্গমের মাধ্যমে যোনীতে নিক্ষিপ্ত বীর্য নারীর জরায়ুতে প্রবেশ করে এবং তদ্দ্বারা নারীতে গর্ভসঞ্চার হতে পারে। যৌনসুখ লাভ বা প্রজনন বা উভয়বিধ উদ্দেশ্যে নর-নারী যৌনসঙ্গমে প্রবৃত্ত হয়। বাংলায় যৌনসঙ্গম শব্দটির বিভিন্ন প্রতিশব্দ হল: যৌনমিলন, সঙ্গম, মৈথুন, রতিক্রিয়া, রতিমিলন; যৌন সংসর্গ, যৌন সহবাস, সহবাস ইত্যাদি।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (৭ই মে, ১৮৬১ - ৭ই আগস্ট, ১৯৪১) (২৫ বৈশাখ, ১২৬৮ - ২২ শ্রাবণ, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ) ছিলেন অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক। তাঁকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়। রবীন্দ্রনাথকে গুরুদেব, কবিগুরু ও বিশ্বকবি অভিধায় ভূষিত করা হয়। রবীন্দ্রনাথের ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস ও ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসংকলন তাঁর জীবদ্দশায় বা মৃত্যুর অব্যবহিত পরে প্রকাশিত হয়। তাঁর সর্বমোট ৯৫টি ছোটগল্প ও ১৯১৫টি গান যথাক্রমে গল্পগুচ্ছ ও গীতবিতান সংকলনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় প্রকাশিত ও গ্রন্থাকারে অপ্রকাশিত রচনা ৩২ খণ্ডে রবীন্দ্র রচনাবলী নামে প্রকাশিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় পত্রসাহিত্য উনিশ খণ্ডে চিঠিপত্র ও চারটি পৃথক গ্রন্থে প্রকাশিত। এছাড়া তিনি প্রায় দুই হাজার ছবি এঁকেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের রচনা বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
শেখ মুজিবুর রহমান (১৭ মার্চ ১৯২০ - ১৫ আগস্ট ১৯৭৫) বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও ভারতীয় উপমহাদেশের একজন অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যিনি বাঙালীর অধিকার রক্ষায় ব্রিটিশ ভারত থেকে ভারত বিভাজন আন্দোলন এবং পরবর্তীতে পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নেতৃত্ব প্রদান করেন। প্রাচীন বাঙ্গালি সভ্যতার আধুনিক স্থপতি হিসাবে শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের জাতির জনক বা জাতির পিতা বলা হয়ে থাকে। তিনি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সভাপতি, বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং পরবর্তীতে এদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। জনসাধারণের কাছে তিনি শেখ মুজিব এবং শেখ সাহেব হিসাবে বেশি পরিচিত এবং তার উপাধি বঙ্গবন্ধু। তার কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বর্তমান সভানেত্রী এবং বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী।
কাজী নজরুল ইসলাম (২৪ মে ১৮৯৯ – ২৯ আগস্ট ১৯৭৬; ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ – ১২ ভাদ্র ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ) ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম জনপ্রিয় অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, সঙ্গীতজ্ঞ ও দার্শনিক যিনি বাংলা কাব্যে অগ্রগামী ভূমিকা রাখার পাশাপাশি প্রগতিশীল প্রণোদনার জন্য সর্বাধিক পরিচিত। তিনি বাংলা সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হিসেবে উল্লেখযোগ্য। বাঙালী মনীষার এক তুঙ্গীয় নিদর্শন নজরুল। তিনি বাংলা ভাষার অন্যতম সাহিত্যিক এবং বাংলাদেশের জাতীয় কবি। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ – দুই বাংলাতেই তাঁর কবিতা ও গান সমানভাবে সমাদৃত। তাঁর কবিতায় বিদ্রোহী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তাঁকে বিদ্রোহী কবি নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তাঁর কবিতার মূল বিষয়বস্তু ছিল মানুষের ওপর মানুষের অত্যাচার এবং সামাজিক অনাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ।
শাকিব খান (জন্ম: ২৮ মার্চ ১৯৭৯) একজন জনপ্রিয় বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা। তার প্রকৃত নাম মাসুদ রানা হলেও তিনি শাকিব খান নামে চলচ্চিত্রাঙ্গনে আবির্ভূত হয়ে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত অনন্ত ভালোবাসা ছায়াছবির মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। কিন্তু ছবিটি তাকে খ্যাতির চূড়ায় পৌছাতে সাহায্য না করলেও ক্যারিয়ারের ২য় বছরেই সেসময়ের হার্টথ্রুব ও নাম্বার ১ নায়িকা শাবনূর এর বিপরীতে অভিনয় করে আলোচিত হয় এবং খুব তাড়াতাড়ি শাবনূর-শাকিব খান জুটি বাংলা সিনেমার অন্যতম ব্যবসাসফল ও প্রযোজকদের আস্থাভাজন জুটিতে পরিণত হয়। বহু চড়াই উৎরাই পেরিয়ে শাকিব খান বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ইতিহাসে সবচেয়ে সফল এবং সর্বোচ্চ বেতনভোগী অভিনেতা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি ২০১০ সালে ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না ২০১২ সালে খোদার পরে মা এবং ২০১৫ সালে আরো ভালোবাসবো তোমায় ছবির জন্য তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেতার পুরস্কারে ভূষিত হন।
যোনি (ইংরেজি: Vagina - ভ্যাজাইনা; মূলতঃ লাতিন: উয়াগিনা) হলো স্ত্রী যৌনাঙ্গ, যা জরায়ু থেকে স্ত্রীদেহের বাইরের অংশ পর্যন্ত বিস্তৃত একটি ফাইব্রোমাসকুলার নলাকার অংশ। মানুষ ছাড়াও অমরাবিশিষ্ট মেরুদণ্ডী ও মারসুপিয়াল প্রাণীতে, যেমনঃ ক্যাঙ্গারু অথবা স্ত্রী পাখি, মনোট্রিম ও কিছু সরীসৃপের ক্লোকাতে যোনি পরিদৃষ্ট হয়। স্ত্রী কীটপ্রত্যঙ্গ এবং অন্যান্য অমেরুদণ্ডী প্রাণীরও যোনি আছে, যা মূলতঃ ওভিডাক্টের শেষ প্রান্ত। লাতিন বহুবচনে যোনিকে বলা হয় vaginae - উয়াগিনাই (ইংরেজি উচ্চারণে ভ্যাজাইনি)।
পৃথিবী সূর্য থেকে দূরত্ব অনুযায়ী তৃতীয়, সর্বাপেক্ষা অধিক ঘনত্বযুক্ত এবং সৌরজগতের আটটি গ্রহের মধ্যে পঞ্চম বৃহত্তম গ্রহ। এটি সৌরজগতের চারটি কঠিন গ্রহের অন্যতম। পৃথিবীর অপর নাম "বিশ্ব" বা "নীলগ্রহ"। ইংরেজি ভাষায় পরিচিত আর্থ (Earth) নামে, গ্রিক ভাষায় পরিচিত গাইয়া (Γαῖα) নামে, লাতিন ভাষায় এই গ্রহের নাম "টেরা (Terra), আর সবার কাছে এটি বিশ্ব বা ওয়ার্ল্ড (World) নামে পরিচিত।
বিকিনি (ইংরেজি: Bikini) মূলত মেয়েদের ব্যবহৃত একপ্রকার সাঁতারের পোষাক। দুই প্রস্থ কাপড় দ্বারা এটি তৈরি, যা শরীরকে স্বল্পভাবে ঢেকে রাখে। এর একটি অংশ স্তন ও অপর অংশটি উরুসন্ধি এবং নিতম্বকে ঢেকে রাখে। যদিও নিতম্ব ঢেকে রাখার শর্তটি ঐচ্ছিক। এর দুইটি অংশের মধ্যবর্তী অংশ সাধারণত অনাবৃত থাকলেও ট্যানকিনি ধরনের বিকিনির ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নয়। সাধারণত গরম আবহাওয়ায় এবং সাঁতার কাটার সময় বিকিনি পরিধান করা হয়। বিকিনির দুইটি অংশ মেয়েদের পৃথক দুটি অন্তর্বাস হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। নিচের অংশটি সীমা থং বা জি-স্ট্রিং থেকে শুরু করে তুলনামূলক আবৃত চৌকোণা শর্টস পর্যন্ত হতে পারে। মারিয়াম-ওয়েবস্টার অভিধানে (১১তম সংস্করণ) বিকিনিকে ‘মেয়েদের দুই প্রস্থ বিশিষ্ট গোসলের পোষাক’, ‘ছেলেদের ব্রিফ সাঁতারের পোষাক’, এবং ‘ছেলে বা মেয়েদের লো-কাট ব্রিফ’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
ভূমির পরিমাণ পদ্ধতি বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। বাংলাদেশে ভূমি সংক্রান্ত যাবতীয় দলিলা লিখন, সরকারি হিসাব ও অফিসের কাজে ব্যবহার্য দুই প্রকার পরিমাপ হলো শতাংশের হিসাব ও কাঠা'র হিসাব। অবশ্য এই দুইয়ের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। আর তা হলো এই যে এক একরের এক শত ভাগের এক ভাগকে বলা হয় "এক শতাংশ" জমি (অধিকতর প্রচলিত শব্দবন্ধ হলো "এক ডেসিমাল জমি")। অন্যদিকে কাঠার উর্ধ্বতর একক হলো "বিঘা" এবং বিঘা'র উর্ধ্বতর একক হলো "একর।" ২০ কাঠা সমান এক বিঘা জমি এবং তিন বিঘা সমান এক একর জমি। এই পরিমাপ সর্বজনীন, এবং "সরকারি মান" ( Standard Measurement) হিসেবে অনুমোদিত। বাংলাদেশে ঐতিহ্যগত ভাবে গান্টার শিকল জরীপ পদ্ধতিতে জমির পরিমাণ মাপা হয়ে থাকে। আন্তজার্তিক প্রয়োজনে কখনো কখনো সরকারী কাগজে হেক্টর ব্যহার করা হয়ে থাকে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল ১৯৭১ সালে সংঘটিত তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের সশস্ত্র সংগ্রাম, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ হিসাবে পৃথিবীর মানচিত্রে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি নিধনে ঝাঁপিয়ে পড়লে একটি জনযুদ্ধের আদলে মুক্তিযুদ্ধ তথা স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা ঘটে। ২৫ মার্চের কালো রাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ঢাকায় অজস্র সাধারণ নাগরিক, ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, পুলিশ ও ই.পি.আর.-কে হত্যা করে এবং ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতাপ্রাপ্ত দল আওয়ামী লীগ প্রধান বাঙালিদের তৎকালীন জনপ্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেফতারের পূর্বে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
নীলনদ (আরবি: النيل আন-নীল, মিশরীয় আরবি উপভাষায় el neil; প্রাচীন মিশরীয় ভাষা ইতেরু), আফ্রিকা মহাদেশের একটি নদী। এটি বিশ্বের দীর্ঘতম নদী। এর দুইটি উপনদী রয়েছে, শ্বেত নীল নদ ও নীলাভ নীল নদ। এর মধ্যে শ্বেত নীল নদ দীর্ঘতর। শ্বেত নীল নদ আফ্রিকার মধ্যভাগের হ্রদ অঞ্চল হতে উৎপন্ন হয়েছে। এর সর্বদক্ষিণের উৎস হল দক্ষিণ রুয়ান্ডাতে ২°১৬′৫৫.৯২″ দক্ষিণ ২৯°১৯′৫২.৩২″ পূর্ব, এবং এটি এখান থেকে উত্তর দিকে তাঞ্জানিয়া, লেক ভিক্টোরিয়া, উগান্ডা, ও দক্ষিণ সুদানের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। নীলাভ নীল নদ ইথিওপিয়ার তানা হ্রদ হতে উৎপন্ন হয়ে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে সুদানে প্রবেশ করেছে। দুইটি উপনদী সুদানের রাজধানী খার্তুমের নিকটে মিলিত হয়েছে।
মুহাম্মাদ (২৯ আগস্ট ৫৭০ - ৮ জুন ৬৩২; আরবি উচ্চারণ শুনতে ক্লিক করুন محمد মোহাম্মদ এবং মুহম্মদ নামেও পরিচিত; তুর্কি : মুহাম্মেদ), পূর্ণ নাম : আবু আল-কাশিম মুহাম্মাদ ইবনে ʿআবদুল্লাহ ইবনে ʿআবদুল মুত্তালিব ইবনে হাশিম (ابو القاسم محمد ابن عبد الله ابن عبد المطلب ابن هاشم) হলেন ইসলামের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব এবং ইসলামী বিশ্বাসমতে আল্লাহ বা ঈশ্বর কর্তৃক প্রেরিত সর্বশেষ নবী। (আরবি: النبي আন-নাবিয়্যু) তথা "বার্তাবাহক" (আরবি : الرسول আর-রাসুল) যার উপর ইসলামী প্রধান ধর্মগ্রন্থ আল-কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে। অমুসলিমদের মতে তিনি ইসলামী জীবন ব্যবস্থার প্রবর্তক। অধিকাংশ ইতিহাসবেত্তা ও বিশেষজ্ঞদের মতে মুহাম্মাদ ছিলেন পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় নেতা তার এই বিশেষত্বের অন্যতম কারণ হচ্ছে আধ্যাত্মিক ও জাগতিক উভয় জগতেই চূড়ান্ত সফলতা অর্জন। তিনি ধর্মীয় জীবনে যেমন সফল তেমনই রাজনৈতিক জীবনেও। সমগ্র আরব বিশ্বের জাগরণের পথিকৃৎ হিসেবে তিনি অগ্রগণ্য; বিবাদমান আরব জনতাকে একীভূতকরণ তার জীবনের অন্যতম সফলতা।
মসজিদুল আকসা (আরবি: المسجد الاقصى) (আল-আকসা মসজিদ বা বাইতুল মুকাদ্দাস নামেও পরিচিত) ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদ।জেরুজালেমের পুরনো শহরে এটি অবস্থিত। এটির সাথে একই প্রাঙ্গণে কুব্বাত আস সাখরা, কুব্বাত আস সিলসিলা ও কুব্বাত আন নবী নামক স্থাপনাগুলো অবস্থিত। স্থাপনাগুলো সহ এই পুরো স্থানটিকে হারাম আল শরিফ বলা হয়। এছাড়াও স্থানটি "টেম্পল মাউন্ট" বলে পরিচত এবং ইহুদি ধর্মে পবিত্র বলে বিবেচিত হয়। ইসলামের বর্ণনা অণুযায়ী মুহাম্মদ (সা) মিরাজের রাতে মসজিদুল হারাম থেকে আল-আকসা মসজিদে এসেছিলেন এবং এখান থেকে তিনি ঊর্ধ্বাকাশের দিকে যাত্রা করেন। ইতিহাসবিদ পণ্ডিত ইবনে তাহমিয়ার মতে ,
স্বামী বিবেকানন্দ (বাংলা: [ʃami bibekanɒnɖo] ( শুনুন), Shāmi Bibekānondo; ১২ জানুয়ারি, ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দ – ৪ জুলাই, ১৯০২ খ্রিস্টাব্দ) নাম নরেন্দ্রনাথ দত্ত (বাংলা: [nɔrend̪ro nat̪ʰ d̪ɔt̪t̪o]), ছিলেন একজন হিন্দু সন্ন্যাসী, দার্শনিক, লেখক, সংগীতজ্ঞ এবং ঊনিংশ শতাব্দীর ভারতীয় অতীন্দ্রি়য়বাদী রামকৃষ্ণ পরমহংসের প্রধান শিষ্য। তার পূর্বাশ্রমের নাম ছিল নরেন্দ্রনাথ দত্ত। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে হিন্দুধর্ম তথা ভারতীয় বেদান্ত ও যোগ দর্শনের প্রচারে প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। অনেকে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে বিভিন্ন ধর্মমতের মধ্যে পারস্পরিক সুসম্পর্ক স্থাপন এবং হিন্দুধর্মকে বিশ্বের অন্যতম প্রধান ধর্ম হিসেবে প্রচার করার কৃতিত্ব বিবেকানন্দকে দিয়ে থাকেন। ভারতে হিন্দু পুনর্জাগরণের তিনি ছিলেন অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব। সেই সঙ্গে ব্রিটিশ ভারতে তিনি ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ধারণাটি প্রবর্তন করেন। বিবেকানন্দ রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন। তার সবচেয়ে বিখ্যাত বক্তৃতাটি হল, "আমেরিকার ভাই ও বোনেরা ...," ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোয় বিশ্ব ধর্ম মহাসভায় প্রদত্ত চিকাগো বক্তৃতা, যার মাধ্যমেই তিনি পাশ্চাত্য সমাজে প্রথম হিন্দুধর্ম প্রচার করেন। স্বামী বিবেকানন্দ কলকাতার এক উচ্চবিত্ত হিন্দু বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ছোটোবেলা থেকেই আধ্যাত্মিকতার প্রতি তিনি আকর্ষিত হতেন। তার গুরু রামকৃষ্ণ দেবের কাছ থেকে তিনি শেখেন, সকল জীবই ঈশ্বরের প্রতিভূ; তাই মানুষের সেবা করলেই ঈশ্বরের সেবা করা হয়। রামকৃষ্ণের মৃত্যুর পর বিবেকানন্দ ভারতীয় উপমহাদেশ ভালোভাবে ঘুরে দেখেন এবং ব্রিটিশ ভারতের আর্থ-সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে প্রত্যক্ষ জ্ঞান অর্জন করেন। পরে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দের বিশ্ব ধর্ম মহাসভায় ভারত ও হিন্দুধর্মের প্রতিনিধিত্ব করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড ও ইউরোপে তিনি হিন্দু দর্শনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অসংখ্য সাধারণ ও ঘরোয়া বক্তৃতা দিয়েছিলেন এবং ক্লাস নিয়েছিলেন। তার রচিত গ্রন্থগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য চিকাগো বক্তৃতা, কর্মযোগ, রাজযোগ, জ্ঞানযোগ, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বেদান্ত, ভারতে বিবেকানন্দ, ভাববার কথা, পরিব্রাজক, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য, বর্তমান ভারত, বীরবাণী (কবিতা-সংকলন), মদীয় আচার্যদেব ইত্যাদি। বিবেকানন্দ ছিলেন সংগীতজ্ঞ ও গায়ক। তাঁর রচিত দুটি বিখ্যাত গান হল "খণ্ডন-ভব-বন্ধন" (শ্রীরামকৃষ্ণ আরাত্রিক ভজন) ও "নাহি সূর্য নাহি জ্যোতি"। এছাড়া "নাচুক তাহাতে শ্যামা", "৪ জুলাইয়ের প্রতি", "সন্ন্যাসীর গীতি" ও "সখার প্রতি" তার রচিত কয়েকটি বিখ্যাত কবিতা। "সখার প্রতি" কবিতার অন্তিম দুইটি চরণ– “বহুরূপে সম্মুখে তোমার ছাড়ি কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর?
করেনজিত কৌর ভোহরা (ইংরেজি: Karenjit Kaur Vohra) (জন্ম ১৩ মে, ১৯৮১) যিনি সানি লিওন নামে অধিক পরিচিত, হলেন একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডীয় এবং মার্কিন নারী- অভিনেত্রী, ব্যবসায়ী, মডেল এবং সাবেক পর্নোতারকা। এছাড়া তিনি কারেন মালহোত্রা নামেও অভিনয় করেছেন। ২০০৩ সালে তাঁকে পেন্টহাউস বর্ষসেরা পেটস হিসিবে অভিষিক্ত করা হয় এবং তিনি ভিভিড এন্টারটেনমেন্টের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। তিনি ম্যাক্সিম বিশ্বেসেরা ১০ পর্ণোতারকার একজন হিসেবে নির্বাচিত হন ২০১০ সালে। তিনি স্বাধীন মূলধারার চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন অনুষ্ঠানে ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি পরবর্তীতে বলিউডে আত্মপ্রকাশ ঘটান পূজা ভাটের জিসম ২ (২০১২) যৌনাবেদনময়ী থ্রিলার চলচ্চিত্রের মাধ্যমে এবং বর্তমানে কাজ করেন হিন্দি চলচ্চিত্রে।
সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ বা লিগ অব নেশন্স (League of Nations) প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী একটি আন্তর্জাতিক আন্তঃসরকারী সংস্থা। ১৯১৯ সালে প্যারিস শান্তি আলোচনার ফলস্বরূপ এ সংস্থাটির জন্ম। পৃথিবীতে বৈশ্বিক শান্তি রক্ষায় সর্বপ্রথম সংস্থাটি হল সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ। সংস্থাটির কভেন্যান্ট অনুযায়ী এর প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল সম্মিলিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও অসামরিকীকরণের মাধ্যমে যুদ্ধ এড়ানো এবং সমঝোতা ও শালিসের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক দ্বন্দ্বের নিরসন করা। অন্যান্য লক্ষ্যের মধ্যে শ্রমিক অধিকার নিশ্চিতকরণ, আদিবাসীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণ, বৈশ্বিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণ, মাদক ও মানব পাচার রোধ, অস্ত্র কেনাবেচা রোধ এবং ইউরোপের সংখ্যালঘু ও যুদ্ধবন্দীদের অধিকার নিশ্চিতকরণ অন্যতম। ২৮ সেপ্টেম্বর ১৯৩৪ ও ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৫-এর মধ্যে সংস্থাটির সর্বোচ্চ সদস্যসংখ্যা ছিল ৫৮টি।
বিরাট কোহলি (পাঞ্জাবি: ਵਿਰਾਟ ਕੋਹਲੀ; উচ্চারণ ; জন্ম: ৫ নভেম্বর, ১৯৮৮) দিল্লিতে জন্মগ্রহণকারী ভারতের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। তিনি মাঝারি সারির ডানহাতি ব্যাটসম্যানরূপে পরিচিত। তবে, মাঝে-মধ্যে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবেও ব্যাটিংয়ে নেমে থাকেন তিনি। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম পেস বোলিং করে থাকেন। মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত ২০০৮ সালের আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের শিরোপা বিজয়ী ভারতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। বর্তমানে ভারতের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সকল স্তরে মহেন্দ্র সিং ধোনি’র পরিবর্তে তিনি অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও আইপিএলের দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর অধিনায়ক তিনি৷
বলকান অঞ্চল (ইংরেজি: The Balkans) বলতে দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের একটি ঐতিহাসিক অঞ্চলকে বোঝায়। এর পূর্বে কৃষ্ণ সাগর, পশ্চিমে অ্যাড্রিয়াটিক সাগর, দক্ষিণে ভূমধ্যসাগর। দানিউব, সাভা ও কুপা নদীগুলি অঞ্চলটির উত্তর সীমানা নির্ধারণ করেছে। বুলগেরিয়া থেকে পূর্ব সার্বিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত বলকান পর্বতমালার নামে অঞ্চলটির নাম এসেছে। বলকান অঞ্চলের আয়তন প্রায় ৫৫০,০০০ বর্গকিলোমিটার। এ অঞ্চলে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি লোকের বাস।
শাহরুখ খান (হিন্দি: शाहरुख़ ख़ान, ইংরেজি: Shah Rukh Khan; আ-ধ্ব-ব: /ʃɑːhrux xɑːn/; জন্ম শাহরুখ খান; নভেম্বর ২, ১৯৬৫), অনানুষ্ঠানিকভাবে এসআরকে হিসাবে ডাকা হয়, একজন বিখ্যাত ভারতীয় অভিনেতা, প্রযোজক, টেলিভিশন উপস্থাপক এবং মানবপ্রেমিক। ১৯৮০ এর শেষের দিকে বেশ কিছু টেলিভিশন সিরিয়ালে অভিনয়ের মাধ্যমে তাঁর অভিনয় জীবন শুরু করেন। ১৯৯২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত দিওয়ানা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন। এরপর তিনি অসংখ্য বাণিজ্যিকভাবে সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন এবং খ্যাতি অর্জন করেন। শাহরুখ খান চৌদ্দবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন। এর মধ্যে আটটিই সেরা অভিনেতার পুরস্কার। তিনি বলিউডের অন্যতম সফল অভিনেতা। হিন্দি চলচ্চিত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য ২০০২ সালে ভারত সরকার শাহরুখ খানকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করে।
সালমান খান (হিন্দি: सलमान ख़ान; উচ্চারণঃ [səlˈmaːn ˈxaːn]; (১৯৬৫-১২-২৭)ডিসেম্বর ২৭, ১৯৬৫) একজন জনপ্রিয় ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা। তিনি ইতোমধ্যেই ৮০টির বেশি হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। সালমান খান বলিউড এর সবচেয়ে বড় সুপারস্টার,তিনি বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন বিবি হো তো এহসি চলচ্চিত্রে একটি গৌণ ভূমিকায় অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে ১৯৮৮-তে। তাঁর অভিনীত প্রথম ব্যবসা সফল চলচ্চিত্র ম্যায়নে পিয়ার কিয়া ১৯৮৯ সালে মুক্তি পায়; এজন্যে তিনি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ নবাগতার পুরস্কার লাভ করেন। এরপর নব্বইয়ের দশকে তিনি বলিউডে বেশ কিছু ব্যবসা সফল হিন্দি চলচ্চিত্র উপহার দেন, যেমন সাজান (১৯৯১), হাম আপকে হ্যায় কউন..! (১৯৯৪), করণ অর্জুন (১৯৯৫), জুড়ুয়া (১৯৯৭), পিয়ার কিয়া তো ডারনা কিয়া (১৯৯৮) বিবি না.
অনুষ্কা শর্মা (হিন্দি: अनुष्का शर्मा; জন্ম: ১লা মে, ১৯৮৮) একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, প্রযোজক ও সাবেক মডেল। ২০০৮ সালে তিনি আদিত্য চোপড়ার যশ রাজ ফিল্মস ব্যানারে তিনটি চলচ্চিত্রের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। যার ফলে তার প্রথম চলচ্চিত্র রব নে বানা দি জোড়ি ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র শিল্পে আত্মপ্রকাশ ঘটে। পরবর্তীতে তিনি ২০১০ সালের রোমান্টিক ব্যান্ড বাজা বারাত কমেডি চলচ্চিত্রে একজন উচ্চাভিলাষী বিবাহের পরিকল্পক হিসাবে অভিনয়ের জন্য সমালোচকদের প্রশংসা কুড়ান। উভয় চলচ্চিত্রে তিনি অর্জন করেন ফিল্মফেয়ার পুরস্কার সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন।
ঢাকা (ইংরেজি: Dhaka, অতীতে Dacca বানানটি ব্যবহৃত হতো) বাংলাদেশের রাজধানী এবং ঢাকা বিভাগের প্রধান শহর। ঢাকা একটি মেগাসিটি এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রধান শহর। এটি বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত এবং এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম শহর। ঢাকার মহানগর এলাকার জনসংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ। এটি বিশ্বের নবম বৃহত্তম এবং সর্বাপেক্ষা জনবহুল শহরগুলির মধ্যে অন্যতম। ঢাকা শহরটি ’মসজিদের শহর ’ নামেও পরিচিত। এখানে বিশ্বের সেরা মসলিন কাপড় উৎপাদিত হতো। এছাড়া ঢাকা ’বিশ্বের রিকশা রাজধানী ’ নামেও পরিচিত। এই শহরে রোজ প্রায় ৪০০,০০০ থেকে ৪৫০,০০০টি রিকশা চলাচল করে। বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রধান সংস্কৃতি, শিক্ষা ও বাণিজ্যকেন্দ্র।
ইসরায়েল (হিব্রু ভাষায়: מְדִינַת יִשְׂרָאֵל মেদিনাত্ য়িস্রা'এল্ ; আরবি: دَوْلَةْ إِسْرَائِيل দাউলাত্ ইস্রা'ঈল্) মধ্যপ্রাচ্যের একটি সংসদীয় গণতন্ত্র। ভূমধ্য সাগরের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত এই রাষ্ট্রের রাজধানী জেরুসালেম। ইসরায়েলের অর্থনীতি খুবই শক্তিশালী এবং তেল আবিব হচ্ছে দেশটির অর্থনৈতিক কেন্দ্র।[১]
শেখ হাসিনা ওয়াজেদ (জন্ম: ২৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৭) বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বাংলাদেশের ১০ম জাতীয় সংসদের সরকারদলীয় প্রধান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রধান নেতা ও বাংলাদেশ সরকারের প্রথম রাষ্ট্রপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা।
পর্নোগ্রাফি (সংক্ষেপে "পর্ন" বা "পর্নো") (ইংরেজি: Pornography) যৌন আবেগ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে যৌনসংক্রান্ত বিষয়বস্তুর প্রতিকৃতি অঙ্কন বা পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা। পর্নোগ্রাফি শব্দটি গ্রিক শব্দ "পরনোগ্রাফিয়া" থেকে নেওয়া হয়েছে। পর্নোগ্রাফি বিভিন্ন মাধ্যমের সাহায্যে উপস্থাপন করা হতে পারে, এর মধ্যে অর্ন্তভূক্ত রয়েছে, বই, সাময়িকী, পোষ্টকার্ড, আলোকচিত্র, ভাস্কর্য, অঙ্কন, পেইন্টিং, অ্যানিমেশন, সাউন্ড রেকর্ডিং, চলচ্চিত্র, ভিডিও এবং ভিডিও গেম।
তারিখ রেখা বা আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা একটি কাল্পনিক রেখা, বস্তুত ১৮০° দ্রাঘিমা বা মধ্যরেখা, যেখানে দিনের আনুষ্ঠানিক সূচনা বা সমাপ্তি ধরা হয়। এর সন্নিহিত সীমানা +১২ এবং -১২ দুটি সময়ক্ষেত্রে বিভক্ত। মধ্যরেখা থেকে পূর্বদিকে যাওয়ার সময়ে কোনো ব্যক্তি প্রতি ১৫° দ্রাঘিমান্তরের জন্য ১ ঘণ্টা সময় লাভ করে। আবার পশ্চিমদিকে যাওয়ার সময়ে কোনো ব্যক্তি প্রতি ১৫° দ্রাঘিমান্তরের জন্য ১ ঘণ্টা সময় হারায়। যেকোনো মধ্যরেখা থেকে পরস্পরের বিপরীত দিকে একই গতিতে পরিভ্রমণরত দুই ব্যক্তি একই সময়ে পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হবেন, কিন্তু তাদের মধ্যে দিনের পার্থক্য হবে পুরো একদিন। যদি পূর্বদিকে রবিবার হয় তবে তারিখ রেখা পার হওয়ার সাথে সাথে তা হবে সোমবার। ১৮০° মধ্যরেখা গ্রিনীচ মান বা শূন্য ডিগ্রি দ্রাঘিমা থেকে ঠিক মাঝখানের দূরুত্বে অবস্থিত। এছাড়া এই লাইনটি বৃহত্তম মহাসাগরের মাঝ বরাবর পড়ায় দিনান্তরের সমস্যাটি অধিক সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে প্রভাবিত করে না।
বাংলা ভাষা আন্দোলন ছিল তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশ) সংঘটিত একটি সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন। মৌলিক অধিকার রক্ষাকল্পে বাংলা ভাষাকে ঘিরে সৃষ্ট এ আন্দোলনের মাধ্যমে তৎকালীন পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণদাবীর বহিঃপ্রকাশ ঘটে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে এ আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ ধারণ করলেও বস্তুত এর বীজ বপিত হয়েছিল বহু আগে, অন্যদিকে এর প্রতিক্রিয়া এবং ফলাফল ছিল সুদূরপ্রসারী।
১৯৭২-এর ৪ নভেম্বর, বাংলাদেশ গণপরিষদে গৃহীত হয় সংবিধান। নিঃসন্দেহে এ দিনটি জাতীয় ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ দিন। কিন্তু রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে কখনোই এ দিনটি যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়নি। সংবিধান বলবৎ হওয়ার পর ৩৮ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে কিন্তু দুর্ভাগ্য এই, এবংবিধ বিষয়ে আমাদের মননের দীনতা ও নীচতা এতটাই প্রকট যে, এতদ্বিষয়ে নিবিড় গবেষণা ও সাহিত্য সোপান গড়ে তোলার কোনরকম উদ্যোগ রাষ্ট্রীয়, সামাজিক বা দলীয়ভাবে অদ্যাবধি লক্ষণীয় নয়। নভেম্বরের ৪ তারিখ “সংবিধান দিবস।” কীভাবে, কোন প্রক্রিয়া অবলম্বনে তৈরি হয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান সে বিষয়ে আলোকপাত করতেই উপর্যুক্ত বিষয়ের অবতারণা। গণপরিষদ কী ও কেন? গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা হচ্ছে প্রতিনিধিত্বমূলক। যেহেতু জনসাধারণের অভিপ্রায়ের অভিব্যক্তির সর্বোচ্চ প্রকাশ প্রতিফলিত ও ধারিত থাকে সংবিধানে, সেহেতু সংবিধান প্রণয়নের লক্ষ্যে প্রাপ্তবয়স্ক তথা ভোটাধিকারপ্রাপ্ত অংশের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভোটে নির্বাচিত গণপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত হয় গণপরিষদ। গণপরিষদের মূল কাজ হচ্ছে সংবিধান প্রণয়ন করা। গণপরিষদের অধিবেশনে নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ একত্রিত হয়ে সুনির্দিষ্ট কার্য-প্রণালী বিধি অনুযায়ী আলোচনা-পর্যালোচনার ভিত্তিতে স্ব-স্ব রাষ্ট্রের উপযোগী সংবিধান প্রণয়ন করে থাকে। এ-কাজটি সমাধা হওয়ার পর প্রণীত, গৃহীত ও বলবৎকৃত সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালিত হয়ে থাকে এবং গণপরিষদ বিলুপ্ত হয়ে যায়। বাংলাদেশ গণপরিষদ গঠনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষিত ১৯৭০-এর ৩০ মার্চ এহিয়া খান স্বাক্ষরিত অধ্যাদেশ “লিগ্যাল ফ্রেম ওয়ার্ক অর্ডার” বা সংৰেপে এলএফও জারি করা হয় এবং এই আইনের অধীনেই অনুষ্ঠিত হয় ‘৭০-এর সাধারণ নির্বাচন। জনসংখ্যার অনুপাতে জাতীয় পরিষদের ৩০০টি আসনের মধ্যে বাংলাদেশ পায় ১৬২টি আসন। নির্বাচনী ফলাফলে আওয়ামী লীগের বিস্ময়কর উত্থান ঘটে। অর্থাৎ জাতীয় পরিষদে প্রত্যৰ ভোটে ১৬০টি ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের ৭টিতে এবং প্রাদেশিক পরিষদে ২৮৮টি আসনে জয়লাভ করলে জেনারেল এহিয়ার নেতৃত্বাধীন পাকিসত্মানী শাসকগোষ্ঠী ষাড়যন্ত্রিক কর্মকাণ্ড শুরু করে যাতে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগ অধিবেশনে মিলিত হয়ে সংবিধান প্রণয়ন করতে না পারে। ১৯৪৭-এর পর দু’দু’বার গণপরিষদ গঠন এবং পুনর্গঠন করেও পাকিসত্মান গণপরিষদ সংবিধান প্রণয়নে ব্যর্থ হয়। এবংবিধ ব্যর্থ অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি রোধকল্পে বাঙালীর প্রজ্ঞাচক্ষু নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১-এর জানুয়ারির ৩ তারিখে ঐতিহাসিক রেসকোর্স (বর্তমানে সোহরাওয়াদর্ী উদ্যান) ময়দানে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচিত গণপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে এক অভিনব ও নবতর গণ-শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। নির্বাচনের পর পর যে শপথ অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা ছিল সংসদ ভবনের অভ্যন্তরে, রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে, আড়ম্বরপূর্ণ আনুষ্ঠানিকতায়, সমাজ থেকে উত্থিত এবং সমাজের ঊর্ধ্বে স্থাপিত জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে থাকা জনবিচ্ছিন্ন এক ব্যর্থ স্বৈরতান্ত্রিক রাষ্ট্রের লৌহকঠিন শৃঙ্খলায়। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বাংলার গণনায়কের জন্য সে পথ রুদ্ধ হয়ে যাওয়ার বেদনাহত বাস্তবতায় খোলা ময়দানে দশ লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতিতে নির্বাচিত গণপ্রতিনিধিদের ব্যতিক্রমধর্মী এ শপথ অনুষ্ঠানটি ছিল প্রথম সাংবিধানিক উদ্যোগ। সাংবিধানিক উদ্যোগ এজন্য যে, উভয় পরিষদে নির্বাচিত গণপ্রতিনিধিবৃন্দ যখন সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে একত্রিত হচ্ছেন, নির্বাচনে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি রক্ষার্থে শপথ গ্রহণ করছেন, তখনই তা পরিণত হচ্ছে আইন-প্রণয়নের ক্ষমতা-বিশিষ্ট লেজিসলেটিভ এসেম্বলীতে বা আইনসভায়। সত্তরের নির্বাচন : গণপরিষদের আইনসঙ্গত ভিত্তি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রতিনিধিত্বমূলক শাসন প্রক্রিয়ায় ভোটাধিকারপ্রাপ্ত প্রতিটি ব্যক্তিই মূলত ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধির মধ্যে ধারিত হয় বিমূর্তরূপে এবং শাসনকার্যে ব্যক্তির অংশগ্রহণ মূর্তমান হয় নির্বাচিত প্রতিনিধির সক্রিয়তায়। জাতির জনক ‘৭০-এর ঐতিহাসিক নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুদূরপ্রসারী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাঁর কাছে এটা স্বতঃস্পষ্ট ছিল যে, পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী অতীতের মতই ষড়যন্ত্র করবে এবং বাঙালীর আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারের সংগ্রামকে বিচ্ছিন্নতাবাদের চোরাবালিতে নিক্ষেপ করে সকল অর্জন ভণ্ডুল করার জন্য হীন প্রয়াস চালাবে। আর সে কারণেই নির্বাচনের প্রাক্কালে ১৯৭০-এর অক্টোবরের ২৮ তারিখে বেতার ও টেলিভিশনে প্রদত্ত নির্বাচনী ভাষণে বাংলার জনগণের কাছে উদাত্ত আহ্বান রেখে তিনি বলেছিলেন, “…ক্ষমতার প্রত্যাশী আমি নই, তবে শক্তির প্রত্যাশী আমি বটে- কায়েমী স্বার্থসম্পন্ন অনিচ্ছুক মহলের হাত থেকে দেশবাসীর স্বার্থ ছিনিয়ে আনতে শক্তি আমার চাই-ই চাই। সে শক্তি জোগাতে পারেন কেবল জনগণই। এ কারণে জনগণের খেদমতে একটিই মাত্র আমার প্রার্থনা : জাতীয় পরিষদে দাঁড়িয়ে বাংলার মানুষের হয়ে এক কণ্ঠে আওয়াজ তুলে বাংলা ও বাঙালীর স্বার্থ ও অধিকার যাতে আমরা আদায় করে আনতে পারি, তার জন্য জাতীয় পরিষদে বাংলাদেশের ১৬২টি আসনের প্রত্যেকটি আসনে জনগণ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকেই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন।” নির্বাচনের ফলাফলে বঙ্গবন্ধু যা চেয়েছিলেন তার প্রায় শতভাগ প্রতিফলন ঘটেছিল। অর্থাৎ ১৬২টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ১৬০টি আসনে জয়লাভ করেছিল। নির্বাচনের ইতিহাসে একটি সাচ্চা জাতীয়তাবাদী-গণতান্ত্রিক দলের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারের রেফারেন্ডামে পরিণত এমন নির্বাচনে এরূপ নিরঙ্কুশ বিজয়ের দৃষ্টান্ত মেলা ভার। ঐতিহাসিক শপথনামা : গণপরিষদের উপক্রমণিকা ১৯৭১-এর ৩ জানুয়ারি পৌষের হাড়-কাঁপানো শীত উপেক্ষা করে বাঙালী জাতীয়তাবাদের অগ্নিসাধক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ডাকে বাংলার দশ-দিগন্ত হতে বানের স্রোতের মতো লক্ষ লক্ষ মানুষ সমবেত হয় ঢাকার রেসকোর্স (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ময়দানে। নির্বাচনোত্তর পরিস্থিতি, স্বাধিকারের প্রশ্ন এবং সংবিধান প্রণয়নে বাংলার মানুষের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ গণপ্রতিনিধিবৃন্দের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান গণমহাসমুদ্রের রূপ ধারণ করে। শপথবাক্য পাঠ করানোর প্রাক্কালে বেলা ২-১০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মঞ্চে আরোহন করেন। বঙ্গবন্ধুর ডানে ও বাঁয়ে যথাক্রমে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচিত সদস্যগণ আর সম্মুখপানে যতদূর দৃষ্টি যায় জনতার মহাসমুদ্র। ডান হাত উপরে তুলে নির্বাচিত গণপ্রতিনিধিগণ যখন অন্যায়-অবিচার বিদূরিত করে সত্য-ন্যায় প্রতিষ্ঠার নিরলস সংগ্রামের মন্ত্র উচ্চারণ করছিলেন তখন জনসমুদ্র ছিল স্তব্ধ-নীরব, পিনপতন-নিস্তব্ধ। শপথনামার প্রতিটি শব্দ-বাক্য তাদের মননে ও চৈতন্যে প্রোথিত করেছিল প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার। কি অঙ্গীকার, কি প্রতিশ্রুতি আর কিইবা প্রত্যয় ব্যক্ত হয়েছিল সেদিনের সেই শপথনামাতে? “আমরা জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে আওয়ামী লীগ দলীয় নব-নির্বাচিত সদস্যবৃন্দ, শপথ গ্রহণ করছি পরম করুণাময় ও সর্বশক্তিমান আল্লাহর নামে; আমরা শপথ গ্রহণ করছি সেইসব বীর শহীদের ও সংগ্রামী মানুষের নামে যাঁরা আত্মাহুতি দিয়ে ও চরম নির্যাতন-নিপীড়ন ভোগ করে, আজ আমাদের প্রাথমিক বিজয়ের সূচনা করেছেন; আমরা শপথ গ্রহণ করছি এই দেশের কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, মেহনতী মানুষ তথা সর্বশ্রেণীর জনসাধারণের নামে; জাতীয় সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে এই দেশের আপামর জনসাধারণ আওয়ামী লীগের কর্মসূচী ও নেতৃত্বের প্রতি যে বিপুল সমর্থন ও অকুণ্ঠ আস্থা জ্ঞাপন করেছেন উহার মর্যাদা রক্ষাকল্পে আমরা সর্বশক্তি নিয়োগ করবো। ছয় দফা ও এগারো দফা কর্মসূচীর উপর প্রদত্ত সুস্পষ্ট গণরায়ের প্রতি আমরা একনিষ্ঠরূপে বিশ্বস্ত থাকবো এবং শাসনতন্ত্রে ও বাস্তব প্রয়োগে ছয় দফা কর্মসূচী ভিত্তিক স্বায়ত্তশাসন ও এগারো দফা কর্মসূচীর প্রতিফলন ঘটাতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করবো। আওয়ামী লীগের নীতি, আদর্শ, উদ্দেশ্য ও কর্মসূচীর প্রতি অবিচল আনুগত্য জ্ঞাপনপূর্বক আমরা অঙ্গীকার করছি যে, অঞ্চলে অঞ্চলে ও মানুষে মানুষে বিরাজমান চরম রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্যের চির অবসান ঘটিয়ে শোষণমুক্ত এক সুখী সমাজের বুনিয়াদ গড়ার এবং অন্যায় অবিচার বিদূরিত করে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো। জনগণ অনুমোদিত আমাদের কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির প্রয়াসী যে কোন মহল ও অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে আমরা প্রবল প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলবো এবং সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠাকল্পে যে কোনরূপে ত্যাগ স্বীকার করতঃ আপোষহীন সংগ্রামের জন্যে আমরা সর্বদা প্রস্তুত থাকবো। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। জয় বাংলা!” শপথনামার সুদূরপ্রসারী তাৎপর্য জনক যেমন সন্তানের অনাগত ভবিষ্যত কণ্টকমুক্ত করে তার এগিয়ে চলার পথকে সুগম করেন। তদ্রুপ এই শপথ অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাতির জনক ভবিষ্যৎ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সৃষ্টির পথকে আলোকিত করেন। নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ পরম করুণাময়সহ নির্বাচনে প্রাথমিক বিজয়ের সূত্রপাত করার ক্ষেত্রে দেশের যেসকল বীর সন্তানগণ শত-সংগ্রামের পথ ধরে আত্মাহুতি দিয়ে, চরম নির্যাতন-নিপীড়ন ভোগ করেছেন তাদের নামে এবং এদেশের কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, মেহনতী মানুষ তথা সর্বশ্রেণীর জনসাধারণের নামে শপথবাক্য পাঠ করে নিজদেরকে সংগ্রামী মানুষের কাছে দায়বদ্ধ তথা অঙ্গীকারবদ্ধ করেন। আপামর জনসাধারণ জাতীয় সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের কর্মসূচী ও নেতৃত্বের প্রতি যে বিপুল সমর্থন ও অকুণ্ঠ আস্থা জ্ঞাপন করেছেন তার মর্যাদা রক্ষাকল্পে গণপ্রতিনিধিবৃন্দ যখন, সর্বশক্তি নিয়োগের কথা উচ্চারণ করেন- তখন, উপস্থিত শ্রোতৃমণ্ডলীর মধ্যে এর গভীর ও সুদূরপ্রসারী প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়। জনসাধারণ তাদের মর্যাদা রক্ষাকল্পে নেতৃত্বের সর্বশক্তি নিয়োগের প্রতিশ্রুতিতে নবতর পর্যায়ে আরও আত্মত্যাগের অমোঘ শক্তি আর অনুপ্রেরণায় নববলে বলীয়ান হয়ে ওঠে। শপথ নামায় উল্লিখিত গণরায়ের প্রতি একনিষ্ঠরূপে বিশ্বস্ত থাকার এবং সংবিধানে ও বাস্তব প্রয়োগে ৬ দফা ও ১১ দফার প্রতিফলন ঘটাতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করার অঙ্গীকার করার মধ্য দিয়ে জনপ্রতিনিধিগণ নিজদের গণসার্বভৌমত্বে অভিষিক্ত করেন। আওয়ামী লীগের নীতি, আদর্শ, উদ্দেশ্য ও কর্মসূচীর প্রতি অবিচল আনুগত্য জ্ঞাপন, অঞ্চলে অঞ্চলে ও মানুষে মানুষে বিরাজমান চরম রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্যের চির অবসান ঘটিয়ে শোষণমুক্ত এক সুখী সমাজের বুনিয়াদ গড়ার এবং অন্যায় অবিচার বিদূরিত করে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার ইস্পাত-কঠিন প্রতিজ্ঞা নির্বাচিত প্রতিনিধিবৃন্দকে গণআয়তনে গণমানুষের সাথে অবিচ্ছেদ্য বন্ধনে আবদ্ধ করে সত্যপ্রতিজ্ঞ সত্যাগ্রহী হিসেবে সত্যপীরের দেবলোকে সমাসীন করে। শেষতঃ জনগণ অনুমোদিত কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির প্রয়াসী যে কোন মহল ও অশুভ শক্তির বিরম্নদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলা এবং সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠাকল্পে যে কোনরূপ ত্যাগ স্বীকার করত আপোষহীন সংগ্রামের জন্যে সর্বদা প্রস্তুত থাকার দৃঢ়-সঙ্কল্পবোধ অধিকারহারা বাঙালীর চৈতন্যে জাতি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অমিততেজ যুযুৎসার যুযুধান মনোভঙ্গী উন্মেষের ক্ষেত্র প্রস্তুত করে। এক কথায় মহান শপথ দিবসে যুগন্ধর গণপ্রতিনিধিদের কণ্ঠে পঠিত-ঘোষিত ও সমস্বরে উচ্চারিত, নির্বাচনে প্রতিশ্রুত অঙ্গীকার বাস্তবায়নের অগ্নিমন্ত্রে সমৃদ্ধ শপথনামাটি যেনো, যুগ-যুগান্তের বঞ্চিত-শোষিত-লাঞ্ছিত-নিপীড়িত উদ্বাহু বাঙালীর সংগ্রামী-আবেগমথিত, জাতীয় সংহতি ধারিত, যুগোপযোগী এক রাজনৈতিক সংহিতা। সংসদীয় দলের নেতৃবৃন্দ নির্বাচন : গণপরিষদের কাঠামোগত ভিত্তি শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের ৪৩ দিন পর সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও নাজুক দিকে গড়ালে ১৯৭১-এর ১৬ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় আওয়ামী লীগ সংসদীয় দলের সভা ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দলীয় প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচিত সদস্যদের আড়াই ঘণ্টাব্যাপী এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বৈঠকে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নেতৃবৃন্দ নির্বাচিত করা হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নেতা নির্বাচিত হন যথাক্রমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী। জাতীয় পরিষদে অপরাপর যাঁরা নির্বাচিত হন তাঁরা হচ্ছেন, চীফ হুইপ পদে অধ্যাপক ইউসুফ আলী এবং হুইপ পদে জনাব আব্দুল মান্নান ও আমীর-উল ইসলাম। জাতীয় পরিষদের উপনেতা নির্বাচিত হন সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং সংসদীয় দলের সেক্রেটারী নির্বাচিত হন এএইচএম কামারুজ্জামান। লক্ষণীয় যে, পরবর্তীতে ‘৭১-এর এপ্রিলের ১০ তারিখে যখন স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র আদেশ বলে গণপরিষদের এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয় তখন সংসদীয় দলের নেতা এবং উপনেতা যথাক্রমে প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপ্রধান এবং উপ-রাষ্ট্রপ্রধান পদে আসীন হন; রাষ্ট্রপ্রধানের অনুপস্থিতিতে উপ-রাষ্ট্রপ্রধান হন অস্থায়ী রাষ্ট্রপ্রধান এবং প্রজাতন্ত্রের সর্বাধিনায়ক। আর সংসদীয় দলের চীফ হুইপ হন বাংলাদেশ গণপরিষদের চীফ হুইপ। সংসদীয় দলের নেতৃবৃন্দ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণপরিষদের গঠন, কাঠামোগত-ভিত্তি অর্জন করে। বাংলাদেশ গণপরিষদের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা সংখ্যাগরিষ্ঠের প্রতিনিধিত্বকারী দল আওয়ামী লীগ প্রধান ও বাংলাদেশের মানুষের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এর ১৫ দিন পর ১৯৭১ খ্রীস্টাব্দের ১০ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশের অস্থায়ী রাজধানী ঐতিহাসিক মুজিবনগরে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচিত সদস্যদের সমন্বয়ে মুক্তিযুদ্ধকালীন সংবিধান “স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র” আদেশের দ্বারা ঘোষিত ও গঠিত হয় বাংলাদেশ গণপরিষদ। বাংলাদেশ গণপরিষদ ও স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র একই তারিখে, একই স্থানে, একই বাস্তবতায় যুগপৎ জারিকৃত এবং বলবৎকৃত। গণপরিষদ সদস্যগণ যেমন ঘোষণাপত্র প্রণয়ন করেছেন এবং একই সাথে ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে ব্যক্ত হয়েছে, ঘোষিত হয়েছে গণপরিষদের গঠন, এর ভিত্তিতে প্রজাতন্ত্র, সরকার গঠন ও আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়া। ঘোষণাপত্রের ১০ নং প্যারায় স্পষ্ট ও মূর্তনির্দিষ্টতায় ঘোষিত হয়েছে, “…সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের প্রতি যে ম্যান্ডেট দিয়াছেন সেই ম্যান্ডেট মোতাবেকই আমরা নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আমাদের সমন্বয়ে গণপরিষদ গঠন করিয়া…”; ম্যান্ডেট মোতাবেক গণপরিষদ গঠনের যে অধিকার বাংলাদেশের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের উপর অর্পিত হয়েছিল, যথাকালে যথাযথভাবে তার পূর্ণ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই উদ্ভব ঘটে স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের। আর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ এ ঘোষণাটিও বিধিবদ্ধ হয় ঘোষণাপত্রের ১১ নং প্যারায়, “…আমরা বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী ঘোষণা করিতেছি”; রাষ্ট্র উদ্ভবের ঘোষণা প্রদানের এই যে ক্ষমতা এর উৎস কোথায় নিহিত?
ভগিনী নিবেদিতা (ইংরেজি: Sister Nivedita) (বাংলা উচ্চারণ: [sister niːbediːt̪aː] শুনুন ) (জন্ম মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেল' (ইংরেজি: Margaret Elizabeth Noble); ২৮ অক্টোবর, ১৮৬৭ – ১৩ অক্টোবর, ১৯১১) ছিলেন একজন অ্যাংলো-আইরিশ বংশোদ্ভুত সমাজকর্মী, লেখিকা, শিক্ষিকা এবং স্বামী বিবেকানন্দের শিষ্যা। ১৮৯৫ সালে লন্ডন শহরে তিনি স্বামী বিবেকানন্দের সাক্ষাৎ পান এবং ১৮৯৮ সালে ভারতে চলে আসেন। একই বছর ২৫ মার্চ তিনি ব্রহ্মচর্য গ্রহণ করলে স্বামী বিবেকানন্দ তাঁর নামকরণ করেন "নিবেদিতা"।
অবন্তি বিশ্বাস অপু (যিনি অপু বিশ্বাস নামেই পরিচিত) একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। তিনি ২০০৫ সালে আমজাদ হোসেনের কাল সকালে ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পদার্পণ করেন। ২০০৬ সালে এফআই মানিক পরিচালিত কোটি টাকার কাবিন ছবিতে প্রধান নায়িকা হয়ে অভিনয় করেন শাকিব খানের বিপরীতে। অপু বিশ্বাস ৭২টি ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন।
বহু প্রজাতির জীব সম্প্রদায় রয়েছে যেগুলো প্রধানত নারী ও পুরুষ হিসেবে দুটি আলাদা শ্রেণীতে বিভক্ত, এই শ্রেণী দুটির প্রতিটিই পৃথকভাবে এক একটি যৌনতা বা জৈবিক লিঙ্গ বা সেক্স (ইংরেজি: Sex) হিসেবে পরিচিত, এবং প্রক্রিয়ার ব্যর্থতার ফলশ্রুতিতে কিছু সদস্য আন্তঃলিঙ্গে পরিনত হয়। যৌন প্রজনন হল জীবজগতের মাঝে একটি সাধারণ প্রজনন বা সন্তান জন্মদান প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ার জন্য একই প্রজাতির দুটি বিপরীত যৌনতার জীবের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সংযোগের প্রয়োজন হয়। উদ্ভিদ এবং প্রাণী উভয়ের দ্বারাই যৌন প্রজনন প্রক্রিয়া ঘটে থাকে। এছাড়া কিছু ছত্রাক এবং বিভিন্ন এককোষী জীবেও এই প্রক্রিয়া দেখা যায়। যৌন প্রজনন প্রক্রিয়ায় একাধিক উৎস থেকে আগত জেনেটিক বৈশিষ্ট্য মিলিত ও মিশ্রিত হয়: গ্যামেট নামক বিশেষায়িত কোষদ্বয় মিলিত হয়ে সন্তান গঠন করে, যা পিতা ও মাতা উভয়ের কাছ থেকে বৈশিষ্ট্য ধারণ করে। গ্যামেটদ্বয় গঠন ও কার্যপ্রণালীর দিক থেকে একই রকম হতে পারে (যা আইসোগ্যামি নামে পরিচিত), কিন্তু বহু ক্ষেত্রে এটি বিবর্তিত হয়ে গ্যামেটের ভিন্নতা দেখা যেতে পারে, এমন ক্ষেত্রে দুটি নির্দিষ্ট-যৌনতা বিশিষ্ট পৃথক গ্যামেট পাওয়া যায় (এই প্রক্রিয়াকে এনাইসোগ্যামি বলে।)।
পশ্চিমবঙ্গ হল ভারতের একটি রাজ্য। এই রাজ্যটি পূর্ব ভারতে বঙ্গোপসাগরের উত্তর দিকে অবস্থিত। ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, এই রাজ্যের জনসংখ্যা ৯ কোটি ১ লক্ষেরও বেশি। জনসংখ্যার নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ ভারতের চতুর্থ সর্বাধিক জনবহুল রাজ্য। এই রাজ্যের আয়তন ৮৮,৭৫২ কিমি২ (৩৪,২৬৭ মা২)। পশ্চিমবঙ্গ বাংলা-ভাষী বাঙালি জাতি অধ্যুষিত বাংলা অঞ্চলের একটি অংশ। এই রাজ্যের পূর্ব দিকে বাংলাদেশ রাষ্ট্র এবং উত্তর দিকে নেপাল ও ভুটান রাষ্ট্র অবস্থিত। ভারতের ওডিশা, ঝাড়খণ্ড, বিহার, সিক্কিম ও অসম রাজ্যও পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী। রাজ্যের রাজধানী কলকাতা শহরটি হল ভারতের সপ্তম বৃহত্তম মহানগরী। ভৌগোলিক দিক থেকে দার্জিলিং হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল, গাঙ্গেয় বদ্বীপ, রাঢ় অঞ্চল ও উপকূলীয় সুন্দরবনের অংশবিশেষ এই রাজ্যের অন্তর্গত। বাঙালিরাই এই রাজ্যের প্রধান জাতিগোষ্ঠী এবং রাজ্যের জনসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই বাঙালি হিন্দু।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জাতীয় ক্রিকেট দল হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে। তারা "দ্য টাইগার" নামেও পরিচিত। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (সংক্ষেপে বিসিবি) এই দল পরিচালনা করে। বাংলাদেশ আইসিসি'র টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিক মর্যাদাপ্রাপ্ত স্থায়ী সদস্য দেশগুলোর অন্তর্ভুক্ত। তারা দশম টেস্টখেলুড়ে দেশ হিসেবে ভারতের বিপক্ষে ২০০০ সালে ঢাকায় তাদের প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলে।
জিৎ (ইংরেজি: Jeet) বা জিতেন্দ্র মদনানী ভারতের বিশেষত পশ্চিম বাংলার একজন বিখ্যাত অভিনেতা। তিনি ২০০২ সালে তার অভিনীত সাথী ছবির জন্য বি.এফ.জে.এ সবচেয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ অভিনেতা-এর পুরস্কার পান। এই ছবিটি বাণিজ্যিক সাফল্যও লাভ করে। তিনি স্টার জলসা পরিবার অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন, টিভি শো কোটি টাকার বাজি রিয়েলিটি শো-এ সঞ্চালক হওয়ার জন্য। তিনি টলিউডের সর্বোচ্চ হিট ছবিতে অভিনয়ের গৌরব অর্জন করেন। ঐ ছবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছবি হলঃ সাথী, জোশ, শত্রু, দুই পৃথিবী, ফাইটার, "পাওয়ার,"বচ্চন","১০০% লাভ, এবং ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত রেকর্ড করা ছবি আওয়ারা। তিনি ২০১২ সালের আনন্দলোক অ্যাওয়ার্ড পান এই আওয়ারা ছবিতে অভিনয়ের জন্য। বর্তমানে তিনি বাংলা ছবির অন্যতম সুপারস্টার।
স্তন হল স্তন্যপায়ী প্রাণীদের শরীরে দুগ্ধ (স্তন্য) উৎপাদনকারী গ্রন্থি। স্ত্রী এবং পুরুষ উভয়লিঙ্গেই স্তন থাকলেও একমাত্র স্ত্রী প্রাণীই দুগ্ধ উৎপাদনে সক্ষম। বয়ঃসন্ধিকালে অর্থাৎ যৌবনাগমনে স্ত্রী শরীরে স্তন বিকশিত হতে আরম্ভ করে এবং আকারে বৃদ্ধি পায় ও স্থুলতা লাভ করে। সাধারণত ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সের মধ্যেই স্তনপরিণতি সম্পূর্ণ হয়।। পুংশরীরে স্তন থাকলেও তা অপরিণত অবস্থাতেই থাকে এবং কয়েকটি বিরল ক্ষেত্র ব্যতীত তা থেকে দুগ্ধ নিঃসরণ হয় না। যৌবনপ্রাপ্ত স্ত্রীশরীরে পুষ্ট স্তনের আভাস প্রকটভাবে ফুটে ওঠে। প্রকৃতপক্ষে স্তন স্বেদগ্রন্থিরই বিবর্তিত রূপ। স্তন্যপায়ী প্রাণীর শরীরে স্বেদগ্রন্থি বিবর্তন লাভ করে স্তনে রূপান্তরিত হয়। মানবশরীরে দু'টি স্তন থাকে কিন্তু অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বহুক্ষেত্রেই দুইয়ের অধিক স্তন পরিলক্ষিত হয়। যৌন মিলনের সময় উত্তেজিত অবস্থায় নারী ও পুরুষ উভয়েরই স্তনের বোঁটা ফুলে ওঠে ।
ইসলাম (আরবি: الإسلام) একটি একেশ্বরবাদী এবং আব্রাহামিক ধর্ম; যা আল্লাহর বানী (কোরআন) এবং নবী মুহাম্মাদ-এর প্রদত্ত শিক্ষা পদ্ধতি, জীবনাদর্শ (সুন্নাহ এবং হাদিস নামে লিপিবদ্ধ) দ্বারা পরিচালিত। ইসলামের অনুসারীরা মুহাম্মদ-কে শেষ নবী বলে মনে করেন। ইসলাম (আরবি: الإسلام) শব্দটি এসেছে আরবি س-ل-م শব্দটি হতে; যার দু'টি অর্থঃ ১. শান্তি ২.
সাতই মার্চের ভাষণ ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ৭ই মার্চ ঢাকার রমনায় অবস্থিত রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) অনুষ্ঠিত জনসভায় শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রদত্ত এক ঐতিহাসিক ভাষণ। ১৮ মিনিট স্থায়ী এই ভাষণে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদেরকে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান। এই ভাষণের একটি লিখিত ভাষ্য অচিরেই বিতরণ করা হয়েছিল। এটি তাজউদ্দীন আহমদ কর্তৃক কিছু পরিমার্জিত হয়েছিল। পরিমার্জনার মূল উদ্দেশ্য ছিল সামরিক আইন প্রত্যাহার এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবীটির ওপর গুরুত্ব আরোপ করা। ১২টি ভাষায় ভাষণটি অনুবাদ করা হয়৷ নিউজউইক ম্যাগাজিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজনীতির কবি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ২০১৭ সালের ৩০ শে অক্টোবর ইউনেস্কো এই ভাষণকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
বড়দিন (ইংরেজি: Christmas বা Christmas Day) একটি বাৎসরিক খ্রিস্টীয় উৎসব। ২৫ ডিসেম্বর তারিখে যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে এই উৎসব পালিত হয়। এই দিনটিই যিশুর প্রকৃত জন্মদিন কিনা তা জানা যায় না। আদিযুগীয় খ্রিস্টানদের বিশ্বাস অনুসারে, এই তারিখের ঠিক নয় মাস পূর্বে মেরির গর্ভে প্রবেশ করেন যিশু। সম্ভবত, এই হিসাব অনুসারেই ২৫ ডিসেম্বর তারিখটিকে যিশুর জন্মতারিখ ধরা হয়। অন্যমতে একটি ঐতিহাসিক রোমান উৎসব অথবা উত্তর গোলার্ধের দক্ষিণ অয়নান্ত দিবসের অনুষঙ্গেই ২৫ ডিসেম্বর তারিখে যিশুর জন্মজয়ন্তী পালনের প্রথাটির সূত্রপাত হয়। বড়দিন বড়দিনের ছুটির কেন্দ্রীয় দিন এবং খ্রিষ্টধর্মে বারো দিনব্যাপী খ্রিষ্টমাসটাইড অনুষ্ঠানের সূচনাদিবস।
বাংলা ভাষা (/bɑːŋlɑː/; উচ্চারণ ) দক্ষিণ এশিয়ার বঙ্গ অঞ্চলের স্থানীয় ভাষা, এই অঞ্চলটি বর্তমানে রাজনৈতিকভাবে স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ ও ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে গঠিত। এছাড়াও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, অসম রাজ্যের বরাক উপত্যকা এবং আন্দামান দ্বীপপুঞ্জেও বাংলা ভাষাতে কথা বলা হয়। এই ভাষার লিপি হল বাংলা লিপি। এই অঞ্চলের প্রায় বাইশ কোটি স্থানীয় মানুষের ও পৃথিবীর মোট ৩০ কোটি মানুষের ভাষা হওয়ায়, এই ভাষা বিশ্বের সর্বাধিক প্রচলিত ভাষাগুলির মধ্যে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে। বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার জাতীয় সঙ্গীত, এবং ভারতের জাতীয় স্তোত্র এই ভাষাতেই রচিত এবং তা থেকেই দক্ষিণ এশিয়ায় এই ভাষার গুরুত্ব বোঝা যায়।
হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ (ফেব্রুয়ারি ১, ১৯৩০) বাংলাদেশের সাবেক সেনা প্রধান, এককালীন প্রধান সামরিক প্রশাসক ও রাষ্ট্রপতি। তিনি জাতীয় পার্টি নামক রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বর্তমানে জাতীয় পার্টি (এরশাদ) উপদলের নেতা। ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসন হতে তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন।
কুরআন মাজীদ অথবা কুরআ-ন মাজী-দ (আরবি: القرآن আল্-কুর্'আন্[টী১]) ইসলাম ধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। ইসলামী ইতিহাস অনুসারে দীর্ঘ তেইশ বছর ধরে খণ্ড খণ্ড অংশে এটি ইসলামের নবী মুহাম্মাদের নিকট অবতীর্ণ হয়। ইসলামের অনুসারীরা কুরআনকে একটি পুর্ণাঙ্গ জীবন বিধান বলে বিশ্বাস করে। কুরআনে সর্বমোট ১১৪টি সূরা আছে। আয়াত বা পঙক্তি সংখ্যা ৬,২৩৬ টি। এটি মূল আরবি ভাষায় অবর্তীর্ণ হয়। মুসলিম চিন্তাধারা অনুসারে কুরআন ধারাবাহিকভাবে অবর্তীর্ণ ধর্মীয় গ্রন্থগুলোর মধ্যে সর্বশেষ এবং গ্রন্থ অবতরণের এই ধারা ইসলামের প্রথম বাণীবাহক আদম থেকে শুরু হয়। কুরআনে অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার উল্লেখ রয়েছে যার সাথে বাইবেলসহ অন্যান্য ধর্মীয়গ্রন্থের বেশ মিল রয়েছে, অবশ্য অমিলও কম নয়। তবে কুরআনে কোনও ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা নেই। ইসলামী ভাষ্যমতে কুরআন অপরিবর্তনীয় এবং এ সম্পর্কে মুসলিমরা কুরআনের সূরা আল-হিজরের (১৫ নং সূরা), ৯ নং আয়াতের কথা উল্লেখ করে থাকে, এবং তা হল: আমি স্বয়ং এ উপদেশগ্রন্থ অবতরণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক। অবশ্য এ নিয়ে সংশয় রয়েছে যে, এই শব্দটি আসলেই আরবি ভাষার মূল থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে নাকি সিরিয়াক থেকে এসেছে। এই সংশয়টি প্রথম উত্থাপন করেন জার্মান সেমিটিক বিশেষজ্ঞ থিওডর নোলদেকে। তিনি ১৮৬০ খ্রিষ্টাব্দে Geschichte des Qorâns (কুরআনের ইতিহাস) নামীয় গ্রন্থে উল্লেখ করেন যে আরবি কুরআন শব্দটি সিরিয়াক ভাষায় ব্যবহৃত বিশেষ্য পদ ܩܪܝܢܐ qeryānâ (কেরিয়ানা) থেকে এসে থাকতে পারে। সিরিয়াক ভাষার এই শব্দটি আবার সিরিয়াক ক্রিয়াপদ ܩܪܐ থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে যার অর্থ পাঠ করা বা আবৃত্তি করা। নোলদেকের উদ্ধৃতি উল্লেখ করা যেতে পারে, "পাঠ কর" -এর মতো একটি ক্রিয়াপদ প্রাক-সেমিটীয় হতে পারে না, আমরা ধারণা করতে পারি শব্দটি আরবিতে প্রবেশ করেছে, খুব সম্ভবত উত্তরাঞ্চলের কোনো ভাষা থেকে ...
ফিলিস্তিন বা প্যালেস্টাইন (আরবি: فلسطين, ফিলাস্ত্বীন্),) সরকারিভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র (আরবি: دولة فلسطين, দাউলাৎ ফিলাস্ত্বীন্) ১৫ নভেম্বর ১৯৮৮ সালে আলজিয়ার্স শহরে নির্বাসনে ঘোষিত একটি রাষ্ট্র, যেখানে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অরগানাইজেশন (পিএলও) ও প্যালেস্টাইন জাতীয় পরিষদ (পিএনসি) একপাক্ষিক ভাবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল । ১৯৮৮ ঘোষণার সময়ে কোনো অঞ্চলেই পিএলওর নিয়ন্ত্রণ ছিল না, যদিও তারা যে অঞ্চলগুলি দাবি করেছিল আন্তর্জাতিকভাবে সেইগুলি ইজরায়েলের দখলে ছিল। আরবরা দাবি করেছি, ১৯৪৭ সালে জাতি সংঘ দ্বারা প্রস্তাবিত ফিলিস্তিন বিভাগ যেভাবে প্রস্তাবিত হয়েছিল, যেখানে ফিলিস্তিন ভূখন্ড (গাজা ভূখন্ড ও ওয়েস্ট ব্যাংক) ছাড়াও ইসরায়েল শাসনাধিন অঞ্চলও ছিল এবং জেরুজালেমকে ঘোষিত রাষ্টের রাজধানী আখ্যা দেওয়া হয়েছিল।
মুখকাম বা মুখমৈথুন যেটাকে কখনো কখনো মুখসঙ্গম ও বলা হয় হচ্ছে একটি যৌনকর্ম যাতে একজন নারী বা পুরুষ তার সঙ্গীর যৌনাঙ্গ চুষে থাকেন। যদি নারীর যোনি চোষা হয় তবে সেটাকে যোনিলেহন এবং পুরুষের শিশ্ন চুষলে সেটাকে শিশ্নচোষণ বলা হবে (সমকামী বিষমকামী উভয়ের ক্ষেত্রেই)। এছাড়া মানবদেহের অন্যান্য জায়গায় চুষলেও সেটি মুখমৈথুন হিসেবে পরিগণিত হবে যেমন পাছা চুষলে পায়ুলেহন, স্তন চুষলে স্তনচোষণ, নাভির ক্ষেত্রে নাভিলেহন বা চোষণ,উরুর ক্ষেত্রে উরুচোষণ, বগলের ক্ষেত্রে বগলচোষণ ইত্যাদি। মুখমৈথুন প্রেম-ভালোবাসার প্রকাশ কিংবা যৌনমিলন শুরু করার পূর্বে শৃঙ্গার কর্ম হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে, আজকাল এই ধরণের কর্ম একটি স্বতন্ত্র 'যৌনসঙ্গম' হিসেবেও পরিগণিত হয়।
জাতিসংঘ (অপর নাম: রাষ্ট্রসঙ্ঘ) বিশ্বের জাতিসমূহের একটি সংগঠন, যার লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আইন, নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক অগ্রগতি এবং মানবাধিকার বিষয়ে পারষ্পরিক সহযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করা। ১৯৪৫ সালে ৫১টি রাষ্ট্র জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রসঙ্ঘ সনদ স্বাক্ষর করার মাধ্যমে জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রসঙ্ঘ প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ১৯১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং পরবর্তীতে লুপ্ত লীগ অব নেশন্সের স্থলাভিষিক্ত হয়।
সৌদি আরব (আরবি: العربية السعودية আল'আরবিয়া আস্সা'উদিয়া) সরকারিভাবে সৌদি আরব সাম্রাজ্য নামে পরিচিত। আয়তনের দিক দিয়ে পশ্চিম এশিয়ার সবচেয়ে বড় আরব দেশ যার আয়তন ২১,৫০,০০০ বর্গ কিমি। আলজেরিয়ার পরে আরব বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। এর উত্তরে জর্ডান ও ইরাক, উত্তরপূর্বে কুয়েত ,পূর্বে কাতার, বাহরাইন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত অবস্থিত, দক্ষিনপুর্বে ওমান ও দক্ষিনে ইয়েমেন অবস্থিত।
হিন্দুধর্ম (সনাতনধর্ম) ভারতীয় উপমহাদেশের আধ্যাত্মিক মতবাদ । হিন্দু ধর্মাবলম্বীগণ স্বীয় ধর্মমতকে সনাতন ধর্ম (सनातन धर्म) নামেও অভিহিত করেন। হিন্দুধর্মের সাধারণ "ধরনগুলির" মধ্যে লৌকিক ও বৈদিক হিন্দুধর্ম থেকে বৈষ্ণবধর্মের অনুরূপ ভক্তিবাদী ধারার মতো একাধিক জটিল মতবাদগুলির সমন্বয়ের এক প্রচেষ্টা লক্ষিত হয়। যোগ, কর্মযোগ ধারণা, ও হিন্দু বিবাহের মতো বিষয়গুলিও হিন্দুধর্মের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।
মাইক্রোনেশিয়া (প্রাচীন গ্রিক μικρος মিক্রোস "ছোট" ও νησος ন্যাসোস "দ্বীপ" থেকে) প্রশান্ত মহাসাগরের একটি অঞ্চল। এর পশ্চিমে ফিলিপাইন, দক্ষিণ-পশ্চিমে ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণে পাপুয়া নিউগিনি ও মেলানেশিয়া, এবং দক্ষিণ-পূর্বে পলিনেশিয়া অবস্থিত। মাইক্রোনেশিয়া রাজনৈতিকভাবে অনেকগুলি সর্বভৌম দেশে বিভক্ত ।এই অঞ্চলে প্রায় ২১০০ দ্বীপ রয়েছে যার সর্বমোট আয়তন প্রায় ২৭০০ বর্গকিলোমিটার ।এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গূয়াম যার আয়তন প্রায় ৫৮২ বর্গকিলোমিটার ।
ফেইসবুক (ইংরেজি: Facebook) অথবা ফেসবুক (ফেবু হিসাবে সংক্ষিপ্ত) বিশ্ব-সামাজিক আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থার একটি ওয়েবসাইট, যা ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারি ৪ তারিখে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটিতে নিখরচায় সদস্য হওয়া যায়। এর মালিক হলো ফেসবুক ইনক। ব্যবহারকারীগণ বন্ধু সংযোজন, বার্তা প্রেরণ এবং তাদের ব্যক্তিগত তথ্যাবলী হালনাগাদ ও আদান প্রদান করতে পারেন, সেই সাথে একজন ব্যবহারকারী শহর, কর্মস্থল, বিদ্যালয় এবং অঞ্চল-ভিক্তিক নেটওয়ার্কেও যুক্ত হতে পারেন। শিক্ষাবর্ষের শুরুতে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যকার উত্তম জানাশোনাকে উপলক্ষ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক প্রদত্ত বইয়ের নাম থেকে এই ওয়েবসাইটটির নামকরণ করা হয়েছে।
ছয় দফা আন্দোলন বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা। ১৯৬৬ সালের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর এক সম্মেলনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে “৬ দফা দাবি” পেশ করেন। আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দফা উত্থাপন করা হয় লাহোর প্রস্তাবের সাথে মিল রেখে ২৩ মার্চ।
বাংলা উইকিপিডিয়া হল উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন পরিচালিত উইকিপিডিয়া নামক উন্মুক্ত অনলাইন বিশ্বকোষের বাংলা সংস্করণ। এই সংস্করণটি ২৭ জানুয়ারি ২০০৪ সালে প্রথম যাত্রা শুরু করে। ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত বাংলা উইকিপিডিয়াতে ৫৪,৬৮০ টি নিবন্ধ রচনা শুরু করা হয়েছে। ১,৬৪,৬৬৪ জন ব্যবহারকারী সর্বমোট ২৯,২২,৯৬৪ বার সম্পাদনা করে বিশ্বকোষটি নির্মাণে অবদান রেখে চলেছেন। ১৯ জন প্রশাসক বিশ্বকোষটির দেখাশোনা করেন। বিশ্বকোষটিতে মোট ৪,৫০৫ টি ফাইল বা নথি আছে।
সাকিব আল-হাসান (জন্ম: ২৪ মার্চ ১৯৮৭) একজন বাংলাদেশি ক্রিকেটার। ২০০৬ সালের আগস্ট মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষেক। তিনি বামহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান এবং বামহাতি অর্থোডক্স স্পিনার। সাকিব ছিলেন বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)-এর একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী। তাঁর খেলার মান আর ধারাবাহিকতা তাঁকে নিয়ে গেছে এক নতুন উচ্চতায়, হয়েছেন দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য একজন খেলোয়াড়-"দ্য ওয়ান ম্যান আর্মি"। এছাড়াও তাঁর রয়েছে বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার হওয়ার কৃতিত্ব। সাকিব ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে টেস্ট, ওডিআই ও টি২০ প্রত্যেক ক্রিকেট সংস্করণে এক নম্বর অল-রাউন্ডার হওয়ার গৌরব অর্জন করেন| সাকিব প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে একদিনের ক্রিকেটে ৪,০০০ করার গৌরব অর্জন করেন। তিনি টি২০তে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ১০০০ রান পূর্ণ করেন ৷ এছাড়া দ্বিতীয় অলরাউন্ডার হিসেবে টি২০তে ১০০০ রান ও ৫০ উইকেট লাভ করেন ৷
শ্রীনিবাস রামানুজন (ডিসেম্বর ২২, ১৮৮৭ – এপ্রিল ২৬, ১৯২০) অসামান্য প্রতিভাবান একজন ভারতীয় গণিতবিদ। খুব অল্প সময় বাঁচলেও তিনি গণিতে সুদূরপ্রসারী অবদান রেখে গেছেন। প্রথাগত শিক্ষা না থাকলেও সম্পূর্ণ নিজের প্রচেষ্টায় তিনি গণিতের বিভিন্ন শাখায়, বিশেষ করে গাণিতিক বিশ্লেষন, সংখ্যাতত্ত্ব, অসীম ধারা ও আবৃত্ত ভগ্নাংশ শাখায়, গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাঁর রেখে যাওয়া নোটবুক বা ডায়েরি হতে পরবর্তীতে আরও অনেক নতুন সমাধান পাওয়া গেছে। ইংরেজ গণিতবিদ জি এইচ হার্ডি রামানুজনকে অয়েলার ও গাউসের সমপর্যায়ের গণিতবিদ মনে করেন। অবিভক্ত ভারতের মাদ্রাজের এক গরিব ব্রাহ্মণ পরিবারের সন্তান রামানুজন ১০ বছর বয়সে গণিতের সঙ্গে পরিচিত হোন। তাকে এস এল লোনি লিখিত ‘’’ত্রিকোণমিতি’’’ পুস্তকটি দেওয়া হয় এবং তখন থেকে তিনি গণিতে সহজাত প্রতিভা প্রদর্শন করেন। ১২ বছরের মধ্যে তিনি ঐ পুস্তকের বিষয়গুলোতে দক্ষতা অর্জন করেন। এমন কি তিনি নিজে কিছু উপপাদ্য আবিস্কার করেন এবং স্বতন্ত্রভাবে অয়েলারের এককত্ব পুনরাবিষ্কার করেন। বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি গণিতে বিশেষ দক্ষতা দেখিয়ে পুরস্কার ও প্রশংসা লাভ করেন। ১৭ বছর বয়সে রামানুজন বার্নোলির সংখ্যা ও অয়েলার-মাসেরনি ধ্রুবকের ওপর নিজের গবেষণা সম্পন্ন করেন। কুম্বাকোটম সরকারি কলেজে পড়ার জন্য বৃত্তি পেলেও অ-গণিতীয় বিষয়ে ফেল করার কারণে তার বৃত্তি বাতিল হয়ে যায়। এরপর তিনি অন্য একটি কলেজে নিজের গাণিতিক গবেষণা শুরু করেন। এই সময় জীবন ধারণের জন্য তিনি মাদ্রাজ বন্দর ট্রাস্টের মহাহিসাবরক্ষকের কার্যালয়ে কেরানি পদে যোগ দেন।
জিয়াউর রহমান (জানুয়ারি ১৯, ১৯৩৬ – মে ৩০, ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের সপ্তম রাষ্ট্রপতি, সাবেক সেনাপ্রধান এবং একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র পাঠ করেন এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করে। মুক্তিযুদ্ধের পর জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালের ২১শে এপ্রিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হন এবং ১৯৭৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি চার বছর বাংলাদেশ শাসন করার পর ১৯৮১ সালের ৩০শে মে এক ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে নিহত হন।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বাংলাদেশের একটি প্রধান রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন। এটি ভারত বিভক্তিক্রমে পূর্ব পাকিস্তানের উদ্ভবের কিছু পর গঠিত হয়। এটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতিম সংগঠন হিসেবে স্বীকৃত। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ইতিহাস গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যে মন্ডিত। ১৯৪৮ সাল থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত দেশ ও জনগনের স্বার্থরক্ষার্থে প্রত্যেকটি আন্দোলনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রধান ভূমিকা রেখেছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ (ইংরেজি: World War II, Second World War, WWII, WW2) মানবসভ্যতার ইতিহাসে এযাবৎকাল পর্যন্ত সংঘটিত সর্ববৃহৎ এবং সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধ। ১৯৩৯ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল, এই ছয় বছর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়সীমা ধরা হলেও ১৯৩৯ সালের আগে এশিয়ায় সংগঠিত কয়েকটি সংঘর্ষকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অংশ হিসেবে গণ্য করা হয়। তৎকালীন বিশ্বে সকল পরাশক্তি এবং বেশিরভাগ রাষ্ট্রই এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে এবং দুইটি বিপরীত সামরিক জোটের সৃষ্টি হয়; মিত্রশক্তি আর অক্ষশক্তি। এই মহাসমরকে ইতিহাসের সবচেয়ে বিস্তৃত যুদ্ধ বলে ধরা হয়, যাতে ৩০টি দেশের সব মিলিয়ে ১০ কোটিরও বেশি সামরিক সদস্য অংশগ্রহণ করে। অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্রসমূহ খুব দ্রুতএকটি সামগ্রিক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে এবং সামরিক ও বেসামরিক সম্পদের মধ্যে কোনরকম পার্থক্য না করে তাদের পূর্ণ অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা প্রয়োগ করা শুরু করে। এছাড়া বেসামরিক জনগণের উপর চালানো নির্বিচার গণহত্যা, হলোকস্ট (হিটলার কর্তৃক ইহুদীদের উপর চালানো গণহত্যা), পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র পারমাণবিক অস্ত্রের প্রয়োগ প্রভৃতি ঘটনায় কুখ্যাত এই যুদ্ধে প্রায় ৫ কোটি থেকে সাড়ে ৮ কোটি মানুষ মৃত্যুবরণ করে। এসব পরিসংখ্যান এটাই প্রমাণ করে যে এটাই পৃথিবীর ইতিহাসে নৃশংসতম যুদ্ধ।
কলকাতা (ইংরেজি: Kolkata; আদি নাম: কলিকাতা; পুরনো ইংরেজি নাম: Calcutta) হল ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর এবং ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী। কলকাতা শহরটি হুগলি নদীর পূর্ব পাড়ে অবস্থিত। এই শহর পূর্ব ভারতের শিক্ষা, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির প্রধান কেন্দ্র। কলকাতা বন্দর ভারতের প্রাচীনতম সচল বন্দর তথা দেশের প্রধান নদী বন্দর। ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, কলকাতার জনসংখ্যা ৪,৪৯৬,৬৯৪। জনসংখ্যার হিসেবে এটি ভারতের ৭য় সর্বাধিক জনবহুল পৌর-এলাকা। অন্যদিকে বৃহত্তর কলকাতার জনসংখ্যা ১৪,১১২,৫৩৬। জনসংখ্যার হিসেবে বৃহত্তর কলকাতা ভারতের ৩য় সর্বাধিক জনবহুল মহানগরীয় অঞ্চল। বৃহত্তর কলকাতার সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সূচক (আনুমানিক) ৬০ থেকে ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যবর্তী (ক্রয়ক্ষমতা সমতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জিডিপি অনুযায়ী)। এই সূচক অনুযায়ী ভারতে কলকাতার স্থান মুম্বই ও দিল্লির ঠিক পরেই।
ক্যাটরিনা কাইফ (ইংরেজি: Katrina Kaif; উচ্চারিত [kəˈʈriːnaː ˈkɛːf]; জন্মঃ ১৬ই জুলাই, ১৯৮৪) ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও সাবেক মডেল তারকা যিনি হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্র শিল্প হিসেবে খ্যাত বলিউডে অভিনয় করছেন। এছাড়াও তিনি তেলেগু, মালয়ালম ভাষার ছায়াছবিতেও অংশগ্রহণ করছেন। ইস্টার্ণ আই সাময়িকীর পাঠকদের ভোটে বিশ্বে সবচেয়ে যৌনাবেদনময়ী এশীয় নারী হিসেবে ২০০৮ থেকে ২০১০ পর্যন্ত পরপর তিন বছর চিহ্নিত হয়েছেন। ব্রিটিশ নাগরিক ক্যাটরিনা কর্ম ভিসা নিয়ে ভারতে কাজ করছেন। তার প্রকৃত নাম ক্যাটরিনা টার্কুট। তিনি বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজের সাথে যুক্ত আছেন তার মধ্যে মেয়ে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধমূলক কাজ অন্যতম।
কোয়েল মল্লিক (জন্ম: ২৮শে এপ্রিল, ১৯৮২) একজন ভারতীয় বাংলার চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। তিনি বিখ্যাত অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিকের মেয়ে। বিয়ে হয়েছে। নিসপাল সিং রানে সুরিন্দার ফিল্মস-এর কর্ণধার। তাঁর সাথে কোয়েলের দীর্ঘ পাঁচ বছরের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের অনুষ্ঠানও হয়েছে পাঁচ দিন। ছিল আশীর্বাদ, সংগীত, গায়ে হলুদ, বিয়ে, বৌভাত। বিয়ে হিন্দু ও পাঞ্জাবি দুই নিয়মেই পালিত হয়। অনুষ্ঠানে পশ্চিম বাংলার অনেক প্রখ্যাত অভিনয়শিল্পীরা উপস্থিত ছিলেন। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাঁদের বিয়ের এক বছর পূর্তি হয়।
শাবনূর (জন্ম: ১৭ ডিসেম্বর, ১৯৭৯) বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসের তুমুল জনপ্রিয় অভিনেত্রী। ৯০ দশক থেকে এ পর্যন্ত আসা চিত্র তারকাদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় চিত্র তারকা হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাকে। প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার এহতেশাম পরিচালিত চাঁদনী রাতে সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আগমন শাবনূরের। প্রথম ছবি ব্যর্থ হলেও পরে সালমান শাহের সাথে জুটি গড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। একে একে এ জুটি সুপারহিট ছবি দিতে থাকেন। সালমানের অকাল মৃত্যুতে সাময়িক ভাবে শাবনূরের ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়লেও তার চিরায়ত বাঙালি প্রেমিকার ইমেজ এবং অসাধারন অভিনয় ক্ষমতা তাকে দর্শকদের হৃদয়ে শক্ত আসন গড়তে সাহায্য করে। পরে রিয়াজ, শাকিল খান, ফেরদৌস ও শাকিব খান এর সাথে জনপ্রিয় জুটি গড়ে অসংখ্য ব্যবসাসফল ও জনপ্রিয় ছবি উপহার দেন। ক্যারিয়ারের শেষের দিকে ছিপছিপে গড়ন ও সুশ্রী চেহারার এই অসম্ভব সুন্দরী নায়িকা মুটিয়ে গেলে সমালোচিত হন। বর্তমানে তিনি অস্ট্রেলিয়াতে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। শোনা যাচ্ছে তিনি চলচ্চিত্রে কামব্যাক করার পরিকল্পনা করেই নিজেকে প্রস্তুত করছেন এখন।
হুমায়ূন আহমেদ (১৩ নভেম্বর, ১৯৪৮ – ১৯ জুলাই, ২০১২) বিংশ শতাব্দীর বাঙালি জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। তাঁকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী শ্রেষ্ঠ লেখক গণ্য করা হয়। তিনি একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার,চিত্রনাট্যকার ও চলচিত্রনির্মাতা। বলা হয় আধুনিক বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের তিনি পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবেও তিনি সমাদৃত। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা তিন শতাধিক। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। তাঁর বেশ কিছু গ্রন্থ পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে, বেশ কিছু গ্রন্থ স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত। সত্তর দশকের শেষভাগে থেকে শুরু করে মৃত্যু অবধি তিনি ছিলেন বাংলা গল্প-উপন্যাসের অপ্রতিদ্বন্দ্বী কারিগর। এই কালপর্বে তাঁর গল্প-উপন্যাসের জনপ্রিয়তা ছিল তুলনারহিত। তাঁর সৃষ্ট হিমু এবং মিসির আলি ও শুভ্র চরিত্রগুলি বাংলাদেশের যুবকশ্রেণীকে গভীরভাবে উদ্বেলিত করেছে। বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীও তাঁর সৃষ্টিকর্মের অন্তর্গত। ধরা হয় বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর জনপ্রিয়তা তিনি শুরু করেন। তাঁর রচিত প্রথম সায়েন্স ফিকশন "তোমাদের জন্য ভালোবাসা" তাঁর নির্মিত চলচ্চিত্রসমূহ পেয়েছে অসামান্য দর্শকপ্রিয়তা। তবে তাঁর টেলিভিশন নাটকগুলি ছিল সর্বাধিক জনপ্রিয়। সংখ্যায় বেশী না হলেও তাঁর রচিত গানগুলোও সবিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করে। তাঁর অন্যতম উপন্যাস হলো নন্দিত নরকে, মধ্যাহ্ন, জোছনা ও জননীর গল্প, মাতাল হাওয়া',লীলাবতী, কবি ইত্যাদি। তাঁর নির্মিত কয়েকটি চলচ্চিত্র হলো দুই দুয়ারী, শ্রাবণ মেঘের দিন, ঘেঁটুপুত্র কমলা ইত্যাদি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক হিসাবে দীর্ঘকাল কর্মরত ছিলেন। লেখালিখি এবং চলচ্চিত্র নির্মাণের স্বার্থে তিনি অধ্যাপনা ছেড়ে দেন। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী তাঁকে আটক করে এবং নির্যাতনের পর হত্যার জন্য গুলি চালায়। তিনি অলৌকিকভাবে বেঁচে যান।
পায়ুকাম বা পায়ুসঙ্গম হল যৌনসুখ লাভের উদ্দেশ্যে অন্যের পায়ুপথে লিঙ্গ চালনা। এর অন্য নাম পায়ুমৈথুন। এতে কার্যতঃ উত্থিত শিশ্নের দ্বারা দ্বারা অপর স্ত্রী বা পুরুষের পায়ুপথে প্রবেশ করিয়ে বীর্যস্খলন করা হয়। পায়ুসঙ্গমের অন্যান্য প্রকারের মধ্যে রয়েছে অঙ্গুলিচালনা, পায়ুপথে যৌনখেলনার ব্যবহার, পায়ুপথে মুখমেহন (পায়ুলেহন)। যদিও পায়ুসঙ্গম শব্দটি সাধারণত পায়ুপথে শিশ্নের অনুপ্রবেশ বুঝিয়ে থাকে, কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে কেবলমাত্র পায়ুসম্পর্কিত যে কোনো যৌন ক্রিয়াকলাপ বোঝাতে এটি ব্যবহার করা হয়।
বীর্য (ইংরেজি: Semen) একপ্রকার জৈবিক তরল যা যৌনসঙ্গমের শেষ পর্যায়ে চরম সুখানুভূতি সৃষ্টির সঙ্গে পুরুষাঙ্গ হতে নি:সৃত হয়। শুক্রাণূ সমৃদ্ধ পুরুষের বীর্যে নারীর ডিম্ব নিষিক্ত হলে জরায়ুতে মানব ভ্রূণের সৃষ্টি হয়। কেবল যৌনসঙ্গম নয়, যৌনানন্দ লাভের জন্য হস্তমৈথুনের মাধ্যমেও বীর্যস্খলন করা হয়ে থাকে। এছাড়া স্বপ্নদোষ মাধ্যমে বীর্যপাত হয়ে থাকে।
প্রতি বৎসর বিভিন্ন দিনে বিশ্বব্যাপী নানা "দিবস" পালিত হয়। এই সকল বৈশ্বিক দিবস বা বিশ্ব দিবস বা আন্তর্জাতিক দিবসসমূহের তালিকা এই পাতায় অন্তর্ভুক্ত করা হলো। এই সকল দিবসের উদ্দেশ্য হচ্ছে - কোন একটি নির্দিষ্ট দিনে আন্তর্জাতিকভাবে সাম্প্রতিককালের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিশ্বব্যাপী জনসচেতনতা বৃদ্ধি বা ক্ষেত্র বিশেষে কোন অতীত ঘটনা স্মরণ বা উদযাপন করা।
দেশ অনুসারে মুসলমান জনসংখ্যার তালিকা
মুসলমান জনসংখ্যা বলতে বিশ্বে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা বোঝায়। ২০০৯-এ পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে বিশ্বে মোট জনসংখ্যার প্রায় চার ভাগের এক ভাগ মুসলমান। এ গবেষণা অনুযায়ী বর্তমানে পৃথিবীর জনসংখ্যা প্রায় ৬৮০ কোটি যার মধ্যে মুসলমানদের সংখ্যা প্রায় ১৫৭ কোটি, অর্থাৎ বর্তমান বিশ্বে মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৩ শতাংশ মুসলমান । আর মুসলমানদের মধ্যে প্রায় ২০ শতাংশ এশিয়া মহাদেশে বসবাস করে। ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ২০ কোটি ৩০ লাখ মুসলমান বাস করে যা বিশ্বে মোট মুসলমান জনসংখ্যার প্রায় ১৩%। পাকিস্তানে ১৭ কোটি ৪০ লাখ, ভারতে ১৭ কোটি ৭২ লাখ, বাংলাদেশে ১৪ কোটি ৫০ লাখ, এবং ইরান ও তুরস্কে ৭ কোটি ৪০ লাখ মুসলিম বসবাস করে । এই ছয় দেশে বিশ্বের মোট মুসলমান জনসংখ্যার প্রায় ৫৩% বাস। আর এর মধ্যে এশিয়াতে বাস প্রায় ৮৫%। এশিয়ার মুসলমানদের মধ্যে আবার প্রায় অর্ধেক বাস করে দক্ষিণ এশিয়ায় । মধ্যপ্রাচ্যে ও উত্তর আফ্রিকায় ৩১ কোটি ৫০ লাখ মুসলমান বসবাস করে। নিম্ন-সাহারা এলাকায় প্রায় ২৪ কোটি মুসলিমের বসবাস, যা মোট মুসলমান জনসসংখ্যার প্রায় ১৫%। তাছাড়া প্রায় ৩০ কোটি মুসলমান বাস করে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে। ভারতে মুসলিমদের সংখ্যা বিশ্বে তৃতীয়, যা ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তানের পরে। চীনে জনসংখ্যার প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মুসলমান যা সিরিয়ার থেকে বেশী অন্যদিকে রাশিয়ার মুসলমান জনসংখ্যা ১ কোটি ৬০ লাখ যা জর্ডান ও লিবিয়া দুই দেশের মুসলমান জনগোষ্ঠীর চেয়েও বেশী। ইউরোপে প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ মুসলমান বসবাস করে ।
শিশ্নচোষণ (ইংরেজি: Fellatio) (শিশ্নমুখমেহন (fellation) নামেও পরিচিত, এবং কথ্যে শিশ্নচোষণকাম (blow job), বিজে (BJ), মাথা প্রদান (giving head) এবং চোষন (sucking off)) হল যৌন সঙ্গীর মাধ্যমে বা নিজে (স্বমুখমৈথুন) লিঙ্গ (পুরুষ) মুখের মধ্যে নিয়ে যৌন উত্তেজনা উপভোগ করা। এতে লিঙ্গের উদ্দীপনা সৃষ্টির জন্যে ব্যবহৃত হয় মুখ, ঠোঁট, জিহ্বা এবং/বা কণ্ঠনালী। একজন ব্যক্তি যে কারো উপর শিশ্নমুখমেহন সঞ্চালিত করে তাকে প্রদায়ী সঙ্গী হিসাবে বলা হয়, এবং অপর ব্যক্তি হল গ্রাহক সঙ্গী। শিশ্নমুখমেহন তার নিজস্ব অধিকারে বহু মানুষ দ্বারা কৃত একটি যৌনাবেদনময়ী ক্রিয়া এবং একটি অন্তরঙ্গ শারীরিক আচরণ হিসাবে অভিহিত করা হয়। অনেক পুরুষদের ক্ষেত্রে, এটি হল একটি যৌন-জাগরণ যেটা যৌনসঙ্গমের আগে শুরু হতে পারে প্রদায়ী সঙ্গী দ্বারা পূর্বরাগ এবং যৌন সক্রিয়করনের মাধ্যমে। এছাড়াও এই ক্রিয়াটি অনুষ্ঠিত হতে পারে, পুরুষ গ্রাহক সঙ্গীর যৌন পরিতৃপ্তি প্রাপ্তির জন্যে, এবং স্থায়ী হতে পারে রাগমোচন ও বীর্যপাত পর্যন্ত।
সোফিয়া হচ্ছে মানুষের মত দেখতে রোবট যেটি তৈরি করে হংকং ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হ্যানসন রোবটিকস। তাকে নকশা করা হয় যাতে সে মানুষের ব্যবহারের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে ও শিখতে পারে এবং মানুষের সাথে কাজ করতে পারে, এবং প্রায় সারা বিশ্ব জুড়ে তার সাক্ষাৎকার নেয়া হয়। ২০১৭ সালের অক্টোবরে সে সৌদি আরবের নাগরিক হয়, প্রথম রোবট যে কোন দেশের নাগরিকত্ব লাভ করে।
মোশাররফ করিম একজন বাংলাদেশী অভিনেতা। তার অভিনীত প্রথম নাটক অতিথি। তিনি বাংলা চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। তার প্রথম অভিনীত চলচ্চিত্র জয়যাত্রা। পরবর্তীতে তিনি রূপকথার গল্প (২০০৬), দারুচিনি দ্বীপ (২০০৭), থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার (২০০৯), প্রজাপতি (২০১১), টেলিভিশন (২০১৩), জালালের গল্প (২০১৫), এবং অজ্ঞাতনামা (২০১৬) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
যৌনখেলনা প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের ব্যবহার্য এক শ্রেণীর সামগ্রী যা যৌনক্রিয়ায় সহায়ক হিসাবে কেউ-কেউ ব্যবহার করে থাকে। রাবারের তৈরি কৃত্রিম লিঙ্গ বা বাতাস দিয়ে ফুলানো যায় এরকম প্লাস্টিকের নারী-পুতুল যৌনখেলনা হিসাবে উল্লেখযোগ্য। এসবের উদ্দেশ্য নর-নারীর যৌনসুখ বৃদ্ধি করা। তবে বস্তুতঃ যৌনউপাচার হিসাবে এগুলোর কার্যকারীতা সীমিত বিধায় এসকল সামগ্রীকে খেলনা হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়।
বাংলা ভাষায় রচিত সাহিত্যকর্ম বাংলা সাহিত্য নামে পরিচিত। আনুমানিক খ্রিষ্টীয় নবম শতাব্দীতে বাংলা ভাষায় সাহিত্য রচনার সূত্রপাত হয়। খ্রিষ্টীয় দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে রচিত বৌদ্ধ দোহা-সংকলন চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন। আবিষ্কারক হরপ্রসাদ শাস্ত্রী আরও তিনটি গ্রন্থের সঙ্গে চর্যাগানগুলি নিয়ে সম্পাদিত গ্রন্থের নাম দেন " হাজার বছরের পুরান বঙ্গালা ভাষায় রচিত বৌদ্ধ গান ও দোহা "। মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্য ছিল কাব্যপ্রধান। হিন্দুধর্ম, ইসলাম ও বাংলার লৌকিক ধর্মবিশ্বাসগুলিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল এই সময়কার বাংলা সাহিত্য। মঙ্গলকাব্য, বৈষ্ণব পদাবলি, শাক্তপদাবলি, বৈষ্ণব সন্তজীবনী, রামায়ণ, মহাভারত ও ভাগবতের বঙ্গানুবাদ, পীরসাহিত্য, নাথসাহিত্য, বাউল পদাবলি এবং ইসলামি ধর্মসাহিত্য ছিল এই সাহিত্যের মূল বিষয়। বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতার সূত্রপাত হয় খ্রিষ্টীয় অষ্টাদশ শতাব্দীতে। ঊনবিংশ শতাব্দীতে বাংলার নবজাগরণের যুগে কলকাতা শহরকে কেন্দ্র করে বাংলা সাহিত্যে এক নতুন যুগের সূচনা হয়। এই সময় থেকে ধর্মীয় বিষয়বস্তুর বদলে মানুষ, মানবতাবাদ ও মানব-মনস্তত্ত্ব বাংলা সাহিত্যের প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে ওঠে। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর বাংলা সাহিত্যও দুটি ধারায় বিভক্ত হয়: কলকাতা-কেন্দ্রিক পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্য ও ঢাকা-কেন্দ্রিক পূর্ব পাকিস্তান-বাংলাদেশের সাহিত্য। বর্তমানে বাংলা সাহিত্য বিশ্বের একটি অন্যতম সমৃদ্ধ সাহিত্যধারা হিসেবে পরিগণিত হয়ে থাকে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। এটি একটি লিখিত দলিল। ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের ৪ঠা নভেম্বর তারিখে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে এই সংবিধান গৃহীত হয় এবং একই বছরের ১৬ই ডিসেম্বর অর্থাৎ বাংলাদেশের বিজয় দিবসের প্রথম বার্ষিকী হতে এটি কার্যকর হয়। মূল সংবিধান ইংরেজি ভাষায় রচিত হয় এবং একে বাংলায় অনুবাদ করা হয়। তাই এটি বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় বিদ্যমান। তবে ইংরেজী ও বাংলার মধ্যে অর্থগত বিরোধ দৃশ্যমান হলে বাংলা রূপ অনুসরণীয় হবে।
রাশিয়া (রুশ: Россия রশিয়া), সরকারিভাবে রুশ ফেডারেশন নামে পরিচিত (রুশ: Российская Федерация রশিস্কায়া ফিদিরাৎসিয়া) যেটা উত্তর ইউরেশিয়াতে অবস্থিত বিশ্বের বৃহত্তম দেশ। এই দেশটি অর্ধ প্রেসিডেনসিয়াল ফেডারেল প্রজাতন্ত্র যার সংবিধান ৮৩ টি ফেডারেল বিষয় দ্বারা গঠিত। রাশিয়ার উত্তর-পশ্চিম থেকে দক্ষিণ-পূর্ব পর্যন্ত নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া ও পোল্যান্ড (উভয় দেশই কালিনিনগ্রাদ অব্লাস্ত সীমান্ত দিয়ে যুক্ত), বেলারুশ, ইউক্রেন, জর্জিয়া, আজারবাইজান, কাজাখস্তান, চীন, মঙ্গোলিয়া ও উত্তর কোরিয়ার সাথে সীমান্ত আছে। দেশটির অখতস্ক সাগরের মাধ্যমে জাপানের সাথে ও বেরিং প্রণালীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কার সাথে সামুদ্রিক সীমানা রয়েছে। রাশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম দেশ যার রয়েছে পৃথিবীর মোট আবাসযোগ্য জমির এক অষ্টমাংশ। দেশটির মোট আয়তন ১৭,০৭৫,৪০০ বর্গকিলোমিটার (৬,৫৯২,৮০০ বর্গমাইল)। রাশিয়া বিশ্বের নবম জনবহুল দেশ যেখানে ২০১২ হিসাব অনুযায়ী ১৪৩ মিলিয়ন লোক বসবাস করে। উত্তর এশিয়া ও পূর্ব ইউরোপে জায়গা সম্প্রসারণের ফলে রাশিয়া ৯টি সময় অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত এবং এখানে অনেক রকম ও বিস্তৃত পরিবেশের সমন্বয় ঘটেছে।
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উপর নির্মাণাধীন একটি বহুমুখী সেতু। এই সেতু দিয়ে যুগপৎভাবে যানবাহন ও ট্রেন চলাচল করবে। এর মাধ্যমে লৌহজং, মুন্সিগঞ্জ এর সাথে শরিয়তপুর ও মাদারীপুর যুক্ত হবে, ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সাথে উত্তর-পূর্ব অংশের সংযোগ ঘটবে। পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। দ্বিতলবিশিষ্ট এই সেতু নির্মিত হবে কংক্রিট আর স্টিল দিয়ে। যার ওপর দিয়ে যানবাহন আর নিচে দিয়ে ট্রেন চলবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (সংক্ষিপ্ত রূপঃ ঢাবি, বা ডিইউ) ঢাকা শহরের শাহবাগে অবস্থিত বাংলাদেশের একটি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়; যা বহু-অনুষদভিত্তিক গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত। ১৯২১ সালে তদানীন্তন ব্রিটিশ ভারতে অক্সব্রিজ শিক্ষা ব্যবস্থা অনুসরণে এটি স্থাপিত হয়। সূচনালগ্নে বিভিন্ন প্রথিতযশা বৃত্তিধারী ও বিজ্ঞানীদের দ্বারা কঠোরভাবে মান নিয়ন্ত্রিত হবার প্রেক্ষাপটে এটি প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে স্বীকৃতি পায়।
মাশরাফি বিন মর্তুজা (জন্ম: অক্টোবর ৫, ১৯৮৩; নড়াইল জেলা) বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অন্যতম বোলিং স্তম্ভ ও একদিনের আন্তর্জাতিকে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। তার ডাক নাম ‘কৌশিক’। তিনি একজন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তার বোলিংয়ের ধরন ডানহাতি মিডিয়াম পেস বোলার। বাংলাদেশ জাতীয় দল ছাড়াও তিনি এশিয়া একাদশের একদিনের আন্তর্জাতিক দলে খেলেছেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের রূপরেখা সম্মেলন
জলবায়ু পরিবর্তনের রূপরেখা সম্মেলন (ইংরেজি: United Nations Framework Convention on Climate Change), সংক্ষেপে ইউএনএফসিসিসি বা এফসিসিসি (UNFCCC বা FCCC), জাতিসংঘের পরিবেশ সংক্রান্ত একটি বৈশ্বিক চুক্তি, যা ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দের ৩ জুন থেকে ১৪ জুন তারিখে রিও ডি জেনেরিওতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের পরিবেশ ও উন্নয়ন (UNCED) শীর্ষক সম্মেলনে (যে সম্মেলন "আর্থ সামিট" নামে সাধারণ্যের কাছে পরিচিত) সাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির মূল লক্ষ্য ছিল বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনের হার এমন অবস্থায় স্থিতিশীল রাখা, যাতে জলবায়ুগত মানবিক পরিবেশের জন্য তা বিপত্তিকর না হয়।
তুরস্ক (/ˈtɜːrki/; তুর্কী: Türkiye), সরকারী নাম প্রজাতন্ত্রী তুরস্ক (Turkish: Türkiye Cumhuriyeti বা ত্যুর্কিয়ে জুম্হুরিয়েতি ), পূর্ব ইউরোপের একটি রাষ্ট্র। তুরস্কের প্রায় পুরোটাই এশীয় অংশে, পর্বতময় আনাতোলিয়া (তুর্কি: Antalya আন্তালিয়া) বা এশিয়া মাইনর উপদ্বীপে পড়েছে। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারা আনাতোলিয়াতেই অবস্থিত। তুরস্কের বাকী অংশের নাম পূর্ব বা তুর্কীয় থ্রাস এবং এটি ইউরোপের দক্ষিণ-পূর্ব কোনায় অবস্থিত। এই অঞ্চলটি উর্বর উঁচু নিচু টিলাপাহাড় নিয়ে গঠিত। এখানে তুরস্কের বৃহত্তম শহর ইস্তানবুল অবস্থিত। সামরিক কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তিনটি জলপথ এশীয় ও ইউরোপীয় তুরস্ককে পৃথক করেছে --- মার্মারা সাগর, এবং বসফরাস প্রণালী ও দার্দানেল প্রণালী। এই তিনটি জলপথ একত্রে কৃষ্ণ সাগর থেকে এজীয় সাগরে যাবার একমাত্র পথ তৈরি করেছে।
বাংলাদেশের উপজেলা সমূহের তালিকা
বর্তমানে বাংলাদেশের ৮টি বিভাগের অন্তর্গত ৬৪টি জেলায় মোট ৪৯৪টি উপজেলা রয়েছে। বাংলাদেশের উপজেলা সমূহের তালিকা নিম্নরূপ।
রোহিঙ্গা (/ˈroʊɪŋjə/, অথবা /ˈroʊhɪŋjə/; ঐতিহাসিকভাবে আরাকানী ভারতীয়ও বলা হয়ে থাকে) হলো পশ্চিম মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের একটি রাষ্ট্রবিহীন ইন্দো-আরিয়ান জনগোষ্ঠী। ২০১৬-১৭ মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতনের পূর্বে অনুমানিক ১ মিলিয়ন রোহিঙ্গা মায়ানমারে বসবাস করত। অধিকাংশ রোহিঙ্গা ইসলাম ধর্মের অনুসারি যদিও কিছু সংখ্যক হিন্দু ধর্মের অনুসারিও রয়েছে। ২০১৩ সালে জাতিসংঘ রোহিঙ্গাদের বিশ্বের অন্যতম নিগৃহীত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী হিসেবে উল্লেখ করেছে। ১৯৮২ সালের বার্মিজ নাগরিকত্ব আইন অনুসারে তাদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করা হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের তথ্যমতে, ১৯৮২ সালের আইনে “রোহিঙ্গাদের জাতীয়তা অর্জনের সম্ভাবনা কার্যকরভাবে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। ৮ম শতাব্দী পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের ইতিহাসের সন্ধান পাওয়া সত্ত্বেও, বার্মার আইন এই সংখ্যালঘু নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীকে তাদের জাতীয় নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করছে।” এছাড়াও তাদের আন্দোলনের স্বাধীনতা, রাষ্ট্রীয় শিক্ষা এবং সরকারি চাকুরীর ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রোহিঙ্গারা ১৯৭৮, ১৯৯১-১৯৯২, ২০১২, ২০১৫ ও ২০১৬-২০১৭ সালে সামরিক নির্যাতন এবং দমনের সম্মুখীন হয়েছে। জাতিসংঘ ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের উপর চালানো দমন ও নির্যাতনকে জাতিগত নির্মূলতা হিসেবে অাখ্যা দিয়েছে যেখানে গণহত্যার মত অপরাধের তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যেতে পারে। জাতিসংঘে নিযুক্ত মায়ানমারের বিশেষ তদন্তকারী ইয়ংহি লি, বিশ্বাস করেন, মায়ানমার পুরোপুরি তাদের দেশ থেকে রোহিঙ্গাদের বিতড়িত করতে চায়। ২০০৮ সালের সংবিধান অনুসারে, মায়ানমারের সেনাবাহিনী এখনো সরকারের অধিকাংশ বিষয় নিয়ন্ত্রন করে থাকে যার মধ্যে অন্তুর্ভূক্ত রয়েছে স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও সীমান্ত বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সেনাবাহিনীর জন্য সংসদে ২৫% আসন বরাদ্দ রয়েছে এবং তাদের মধ্য থেকে একজন উপ-রাষ্ট্রপতি থাকবেন। রোহিঙ্গারা বলে আসছেন তারা পশ্চিম মায়ানমারে অনেক আগে থেকে বসবাস করে আসছেন। তাদের বংশধররা প্রাক-উপনিবেশিক ও উপনিবেশিক আমল থেকে আরাকানের বাসিন্দা ছিল। বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে নির্যাতন শুরু হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত রোহিঙ্গারা আইনপ্রণেতা ও সংসদ সদস্য হিসেবে মায়ানমারের সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। পূর্বে যদিও মায়ানমার রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করত কিন্তু হঠাৎই মায়ানমারের সরকারি মনোভাব বদলে যায় এবং রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে মায়ানমার সরকারের অফিসিয়াল মন্তব্য হলো তারা জাতীয় জনগোষ্ঠী নয় বরং তারা বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী। মায়ানমারের সরকার তখন থেকে “রোহিঙ্গা” শব্দটি ব্যবহার বন্ধ করে তাদের বাঙ্গালী বলে সম্বোধন করে। রোহিঙ্গাদের অধিকার আন্দোলনের বিভিন্ন সংগঠন বিশেষ করে আরাকান রোহিঙ্গা জাতীয় সংস্থা তাদেরকে মায়ানমারের মধ্যে জাতিসত্ত্বার পরিচয় দেওয়ার দাবী করে আসছে। জাতিসংঘের তদন্তের প্রতিবেদন অনুসারে রোহিঙ্গারা মায়ানমারের ভিতরে অতি-জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধদের দ্বারা ঘৃণা এবং ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার শিকার হচ্ছে। একই সাথে মায়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক বিচারবহির্ভূত হত্যা, অবৈধ গ্রেফতার, নির্যাতন, ধর্ষণ এবং অপব্যবহারের শিকার হওয়ার পাশাপাশি তাদের জোরপূর্বক শ্রমে বাধ্য করছেন। জাতিসংঘের মতানুসারে, রোহিঙ্গাদের উপর চলা এ নির্যাতনকে মানবতা বিরোধী অপরাধ হিসেবে বলা যেতে পারে। ২০১৫ সালের রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট এবং ২০১৬ ও ২০১৭ সালের সেনাবাহিনীর অভিযানের পূর্বে মায়ানমারে ১.১ থেকে ১.৩ মিলিয়ন রোহিঙ্গা বাস করতেন। যাদের অধিকাংশের বাসস্থান ছিল মুলত ৮০-৯৮% রোহিঙ্গা অধ্যূষিত রাখাইন রাজ্যে।. ৯০০,০০০ লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী হিসেবে দক্ষিণ-পূর্বের পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। এছাড়া অন্যান্য প্রতিবেশী দেশসহ বেশ কিছু মুসলিম দেশে পালিয়ে গিয়েছে।.
ইসলামী যৌন আইনশাস্ত্র বা যৌনতা বিষয়ক ফিকহ বলতে সেইসব ইসলামী অনুশাসন বোঝায় যেগুলো দ্বারা মুসলিমদের যৌনাচার নিয়ন্ত্রিত হবে। এইসব অণুশাসন বহির্ভুত সকল প্রকার যৌনাচার ইসলামী মতে নিষিদ্ধ বা হারাম। মানব জীবনের যৌন চাহিদা ইসলাম কর্তৃক স্বীকৃত কিন্তু যৌনাচারের পন্থা সম্পর্কে রয়েছে অনুশাসন। মানুষের বিবিধ যৌনাচার অনুমোদনযোগ্য কি-না তা দুটি বিষয় থেকে অনুমানযোগ্য। প্রথমত: যৌনাচারের মূল উদ্দেশ্য বংশবৃদ্ধি এবং দ্বিতীয়ত: নারী ও পুরুষ কেবল রীতিসিদ্ধ উপায়ে বিয়ের মাধ্যমে যৌনাচারের প্রাধিকার অর্জন করে। ইসলামে যৌনতা বিষয়ক নিয়মাবলি ইসলামী প্রধান ধর্মগ্রন্থ কুরআন, ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সঃ)-এর বাণী ও কর্ম যা হাদীস নামে পরিচিত, ইসলামিক নেতৃবৃন্দ কর্তৃক প্রদত্ত ফতোয়া প্রভৃতিতে ব্যাপক ও বিস্তারিত ভাবে বলা হয়েছে, যা নারী ও পুরুষের মাঝে নিয়মতান্ত্রিক যৌন সম্পর্কের মধ্যে সীমিত। যদিও অধিকাংশ ঐতিহ্য সন্ন্যাসদশা ও কৌমার্যকে নিরুৎসাহিত করে থাকে, তবুও সকল ঐতিহ্যেই লিঙ্গসমূহের মধ্যে যে কোন সম্পর্কের ক্ষেত্রে কঠোর সতীত্ব ও শালীনতাকে উৎসাহিত করে, যা এই বিষয়টিকে তুলে ধরে যে, তাদের ইসলাম স্বীকৃত অান্তরিক সম্পর্ক জীবনের জন্য একটি পরিবেষ্টনীস্বরূপ এবং যৌন কর্মকাণ্ড থেকেও অনেক বিস্তৃত, যা বিবাহের জন্য ব্যাপকভাবে সংরক্ষিত। বিবাহের বাইরে লিঙ্গ পার্থক্যকরণ ও শালীনতার এই চেতনা ইসলামের বর্তমান পরিচিত বৈশিষ্ট্যের মাঝে দেখতে পাওয়া যায়, যেমন ইসলামী পোশাকের ব্যাখ্যা এবং লিঙ্গ বিভাজনের মূল্যবোধসমুহ।
যোনিদ্বার বা ভালভা (ইংরেজি vulva, যা ল্যাটিন vulva, বহুবচনে vulvae বা vulvas; বুৎপত্তি দেখুন একটি বহিঃস্থ স্ত্রী যৌনাঙ্গ। যদিও কথ্য ভাষায় স্ত্রী যৌনাঙ্গ বোঝাতে সচারচর যোনি ব্যবহৃত হয়, কিন্তু সুনির্দিষ্ট করে বলতে গেলে যোনি একটি অভ্যন্তরীণ যৌনাঙ্গ, যেখানে ভালভা বলতে বোঝায় সমগ্র বহিঃস্থ যৌনাঙ্গ। এই নিবন্ধে মানুষের ভালভা আলোচনা করা হয়েছে, তবে গঠন সকল স্তন্যপায়ী প্রাণীর জন্য একই।