The most-visited বাংলা Wikipedia articles, updated daily. Learn more...
স্বামী বিবেকানন্দ (বাংলা: [ʃami bibekanɒnɖo] ( শুনুন), Shāmi Bibekānondo; ১২ জানুয়ারি, ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দ – ৪ জুলাই, ১৯০২ খ্রিস্টাব্দ) নাম নরেন্দ্রনাথ দত্ত (বাংলা: [nɔrend̪ro nat̪ʰ d̪ɔt̪t̪o]), ছিলেন একজন হিন্দু সন্ন্যাসী, দার্শনিক, লেখক, সংগীতজ্ঞ এবং ঊনবিংশ শতাব্দীর ভারতীয় অতীন্দ্রি়য়বাদী রামকৃষ্ণ পরমহংসের প্রধান শিষ্য। তার পূর্বাশ্রমের নাম ছিল নরেন্দ্রনাথ দত্ত। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে হিন্দুধর্ম তথা ভারতীয় বেদান্ত ও যোগ দর্শনের প্রচারে প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। অনেকে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে বিভিন্ন ধর্মমতের মধ্যে পারস্পরিক সুসম্পর্ক স্থাপন এবং হিন্দুধর্মকে বিশ্বের অন্যতম প্রধান ধর্ম হিসেবে প্রচার করার কৃতিত্ব বিবেকানন্দকে দিয়ে থাকেন। ভারতে হিন্দু পুনর্জাগরণের তিনি ছিলেন অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব। সেই সঙ্গে ব্রিটিশ ভারতে তিনি ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ধারণাটি প্রবর্তন করেন। বিবেকানন্দ রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন। তার সবচেয়ে বিখ্যাত বক্তৃতাটি হল, "আমেরিকার ভাই ও বোনেরা ...," ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোয় বিশ্ব ধর্ম মহাসভায় প্রদত্ত চিকাগো বক্তৃতা, যার মাধ্যমেই তিনি পাশ্চাত্য সমাজে প্রথম হিন্দুধর্ম প্রচার করেন। স্বামী বিবেকানন্দ কলকাতার এক উচ্চবিত্ত হিন্দু বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ছোটোবেলা থেকেই আধ্যাত্মিকতার প্রতি তিনি আকর্ষিত হতেন। তার গুরু রামকৃষ্ণ দেবের কাছ থেকে তিনি শেখেন, সকল জীবই ঈশ্বরের প্রতিভূ; তাই মানুষের সেবা করলেই ঈশ্বরের সেবা করা হয়। রামকৃষ্ণের মৃত্যুর পর বিবেকানন্দ ভারতীয় উপমহাদেশ ভালোভাবে ঘুরে দেখেন এবং ব্রিটিশ ভারতের আর্থ-সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে প্রত্যক্ষ জ্ঞান অর্জন করেন। পরে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দের বিশ্ব ধর্ম মহাসভায় ভারত ও হিন্দুধর্মের প্রতিনিধিত্ব করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড ও ইউরোপে তিনি হিন্দু দর্শনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অসংখ্য সাধারণ ও ঘরোয়া বক্তৃতা দিয়েছিলেন এবং ক্লাস নিয়েছিলেন। তার রচিত গ্রন্থগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য চিকাগো বক্তৃতা, কর্মযোগ, রাজযোগ, জ্ঞানযোগ, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বেদান্ত, ভারতে বিবেকানন্দ, ভাববার কথা, পরিব্রাজক, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য, বর্তমান ভারত, বীরবাণী (কবিতা-সংকলন), মদীয় আচার্যদেব ইত্যাদি। বিবেকানন্দ ছিলেন সংগীতজ্ঞ ও গায়ক। তাঁর রচিত দুটি বিখ্যাত গান হল "খণ্ডন-ভব-বন্ধন" (শ্রীরামকৃষ্ণ আরাত্রিক ভজন) ও "নাহি সূর্য নাহি জ্যোতি"। এছাড়া "নাচুক তাহাতে শ্যামা", "৪ জুলাইয়ের প্রতি", "সন্ন্যাসীর গীতি" ও "সখার প্রতি" তার রচিত কয়েকটি বিখ্যাত কবিতা। "সখার প্রতি" কবিতার অন্তিম দুইটি চরণ– “বহুরূপে সম্মুখে তোমার ছাড়ি কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর?
বাংলাদেশ ( শুনুন ) দক্ষিণ এশিয়ার একটি জনবহুল রাষ্ট্র। বাংলাদেশের সাংবিধানিক নাম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ। ভূ-রাজনৈতিক ভাবে বাংলাদেশের পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও মেঘালয়, পূর্ব সীমান্তে আসাম, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তে মায়ানমারের চিন ও রাখাইন রাজ্য এবং দক্ষিণ উপকূলের দিকে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। বাংলাদেশের ভূখণ্ড ভৌগোলিকভাবে একটি উর্বর ব-দ্বীপের অংশ বিশেষ। পার্শ্ববর্তী দেশের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা-সহ বাংলাদেশ একটি ভৌগোলিকভাবে জাতিগত ও ভাষাগত "বঙ্গ" অঞ্চলটির মানে পূর্ণ করে। "বঙ্গ" ভূখণ্ডের পূর্বাংশ পূর্ব বাংলা নামে পরিচিত ছিল, যা ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ নামে স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পৃথিবীতে যে ক'টি রাষ্ট্র জাতিরাষ্ট্র হিসেবে মর্যাদা পায় তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
২১শে আগস্টের গ্রেনেড হামলা বাংলাদেশে ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট ঢাকায় আওয়ামী লীগের এক জনসভায় গ্রেনেড হামলা, যে হামলায় ২৪ জন নিহত হয় এবং তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা সহ প্রায় ৩০০ লোক আহত হয়। এই হামলায় নিহতদের মধ্যে আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নারী নেত্রী মিসেস আইভী রহমান অন্যতম, যিনি বাংলাদেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (৭ই মে, ১৮৬১ - ৭ই আগস্ট, ১৯৪১) (২৫ বৈশাখ, ১২৬৮ - ২২ শ্রাবণ, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ) ছিলেন অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক। তাঁকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়। রবীন্দ্রনাথকে গুরুদেব, কবিগুরু ও বিশ্বকবি অভিধায় ভূষিত করা হয়। রবীন্দ্রনাথের ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস ও ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসংকলন তাঁর জীবদ্দশায় বা মৃত্যুর অব্যবহিত পরে প্রকাশিত হয়। তাঁর সর্বমোট ৯৫টি ছোটগল্প ও ১৯১৫টি গান যথাক্রমে গল্পগুচ্ছ ও গীতবিতান সংকলনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় প্রকাশিত ও গ্রন্থাকারে অপ্রকাশিত রচনা ৩২ খণ্ডে রবীন্দ্র রচনাবলী নামে প্রকাশিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় পত্রসাহিত্য উনিশ খণ্ডে চিঠিপত্র ও চারটি পৃথক গ্রন্থে প্রকাশিত। এছাড়া তিনি প্রায় দুই হাজার ছবি এঁকেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের রচনা বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান ব্রাহ্ম পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তাঁর শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন।ক[›] ১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা-এ তাঁর "অভিলাষ" কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এটিই ছিল তাঁর প্রথম প্রকাশিত রচনা। ১৮৭৮ সালে মাত্র সতেরো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ প্রথমবার ইংল্যান্ডে যান। ১৮৮৩ সালে মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়। ১৮৯০ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের শিলাইদহের জমিদারি এস্টেটে বসবাস শুরু করেন। ১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন। ১৯০২ সালে তাঁর পত্নীবিয়োগ হয়। ১৯০৫ সালে তিনি বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে নাইট উপাধিতে ভূষিত করেন। কিন্তু ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন। ১৯২১ সালে গ্রামোন্নয়নের জন্য তিনি শ্রীনিকেতন নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত হয়। দীর্ঘজীবনে তিনি বহুবার বিদেশ ভ্রমণ করেন এবং সমগ্র বিশ্বে বিশ্বভ্রাতৃত্বের বাণী প্রচার করেন। ১৯৪১ সালে দীর্ঘ রোগভোগের পর কলকাতার পৈত্রিক বাসভবনেই তাঁর মৃত্যু হয়।রবীন্দ্রনাথের কাব্যসাহিত্যের বৈশিষ্ট্য ভাবগভীরতা, গীতিধর্মিতা চিত্ররূপময়তা, অধ্যাত্মচেতনা, ঐতিহ্যপ্রীতি, প্রকৃতিপ্রেম, মানবপ্রেম, স্বদেশপ্রেম, বিশ্বপ্রেম, রোম্যান্টিক সৌন্দর্যচেতনা, ভাব, ভাষা, ছন্দ ও আঙ্গিকের বৈচিত্র্য, বাস্তবচেতনা ও প্রগতিচেতনা। রবীন্দ্রনাথের গদ্যভাষাও কাব্যিক। ভারতের ধ্রুপদি ও লৌকিক সংস্কৃতি এবং পাশ্চাত্য বিজ্ঞানচেতনা ও শিল্পদর্শন তাঁর রচনায় গভীর প্রভাব বিস্তার করেছিল। কথাসাহিত্য ও প্রবন্ধের মাধ্যমে তিনি সমাজ, রাজনীতি ও রাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে নিজ মতামত প্রকাশ করেছিলেন। সমাজকল্যাণের উপায় হিসেবে তিনি গ্রামোন্নয়ন ও গ্রামের দরিদ্র মানুষ কে শিক্ষিত করে তোলার পক্ষে মতপ্রকাশ করেন। এর পাশাপাশি সামাজিক ভেদাভেদ, অস্পৃশ্যতা, ধর্মীয় গোঁড়ামি ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধেও তিনি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথের দর্শনচেতনায় ঈশ্বরের মূল হিসেবে মানব সংসারকেই নির্দিষ্ট করা হয়েছে; রবীন্দ্রনাথ দেববিগ্রহের পরিবর্তে কর্মী অর্থাৎ মানুষ ঈশ্বরের পূজার কথা বলেছিলেন। সংগীত ও নৃত্যকে তিনি শিক্ষার অপরিহার্য অঙ্গ মনে করতেন। রবীন্দ্রনাথের গান তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি। তাঁর রচিত আমার সোনার বাংলা ও জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে গানদুটি যথাক্রমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ ও ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের জাতীয় সংগীত।
ভারত ( শুনুন ) দক্ষিণ এশিয়ার একটি রাষ্ট্র। দেশটির সরকারি নাম ভারতীয় প্রজাতন্ত্র। ভৌগোলিক আয়তনের বিচারে এটি দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম এবং বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম রাষ্ট্র। অন্যদিকে জনসংখ্যার বিচারে এই দেশ বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল তথা বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। ভারতের পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তান উত্তর-পূর্বে চীন, নেপাল, ও ভূটান এবং পূর্বে বাংলাদেশ, মায়ানমার ও মালয়েশিয়া অবস্থিত। এছাড়া ভারত মহাসাগরে অবস্থিত শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও ইন্দোনেশিয়া ভারতের নিকটবর্তী কয়েকটি দ্বীপরাষ্ট্র। দক্ষিণে ভারত মহাসাগর, পশ্চিমে আরব সাগর ও পূর্বে বঙ্গোপসাগর দ্বারা বেষ্টিত ভারতের উপকূলরেখার সম্মিলিত দৈর্ঘ্য ৭,৫১৭ কিলোমিটার (৪,৬৭১ মাইল)।সুপ্রাচীন কাল থেকেই ভারতীয় উপমহাদেশ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য সুপরিচিত। ঐতিহাসিক সিন্ধু সভ্যতা এই অঞ্চলেই গড়ে উঠেছিল। ইতিহাসের বিভিন্ন পর্বে এখানেই স্থাপিত হয়েছিল বিশালাকার একাধিক সাম্রাজ্য। নানা ইতিহাস-প্রসিদ্ধ বাণিজ্যপথ এই অঞ্চলের সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য সভ্যতার বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রক্ষা করত। হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন ও শিখ—বিশ্বের এই চার ধর্মের উৎসভূমি ভারত। খ্রিষ্টীয় প্রথম সহস্রাব্দে জরথুষ্ট্রীয় ধর্ম (পারসি ধর্ম), ইহুদি ধর্ম, খ্রিষ্টধর্ম ও ইসলাম এদেশে প্রবেশ করে, ও ভারতীয় সংস্কৃতিতে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে। অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ থেকে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ধীরে ধীরে ভারতীয় ভূখণ্ডের অধিকাংশ অঞ্চল নিজেদের শাসনাধীনে আনতে সক্ষম হয়। ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে এই দেশ পুরোদস্তুর একটি ব্রিটিশ উপনিবেশে পরিণত হয়। অতঃপর এক সুদীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৪৭ সালে ভারত একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্ররূপে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৫০ সালে সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে ভারত একটি সার্বভৌম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়।
যৌনসঙ্গম (যৌনমিলন, সঙ্গম, মৈথুন, রতিক্রিয়া, রতিমিলন; যৌন সংসর্গ, যৌন সহবাস, সহবাস ইত্যাদি) হচ্ছে একটি জৈবিক প্রক্রিয়া যা দ্বারা মূলত যৌনআনন্দ বা প্রজনন বা উভয় ক্রিয়ার জন্য একজন পুরুষের উত্থিত শিশ্ন একজন নারীর যোনিপথে প্রবেশ করানোকে বোঝায়। অন্যান্য অন্তর্ভেদী যৌনসঙ্গমের মধ্যে রয়েছে পায়ুসঙ্গম (লিঙ্গ দ্বারা মলদ্বার অনুপ্রবেশ), মুখমৈথুন, অঙ্গুলিসঞ্চালন (আঙ্গুল দ্বারা যৌন অনুপ্রবেশ), যৌনখেলনা ব্যবহার দ্বারা অনুপ্রবেশ ( স্ট্র্যাপ-অন-কৃত্রিম শিশ্ন)। এই সকল কার্যক্রম মূলত মানবজাতি কর্তৃক দুই বা ততোধিকের মধ্যেকার শারীরিক ও মানসিক অন্তরঙ্গতা জনিত পরিতোষ লাভের জন্য এবং সাধারণত মানব বন্ধনে ভূমিকা রাখতে সম্পাদিত হয়ে থাকে।মানুষের ক্ষেত্রে মৈথুন সম্ভাব্য সবচেয়ে অন্তরঙ্গ মিলন বা মিথস্ক্রিয়া; কেননা এর মাধ্যমে দু'জন মানুষ একে অপরের সবচেয়ে কাছাকাছি আসে। অনেকের জন্য এটাই আনন্দ ও দৈহিক সুখের সর্বোৎকৃষ্ট মাধ্যম এবং প্রেম ও ভালোবাসার সর্বোচ্চ বহিঃপ্রকাশ। মৈথুনের এক পর্যায়ে সর্বোচ্চ আনন্দ লাভ হয়ে থাকে যাকে চরমানন্দ বা রাগমোচন বলা হয়। চরমানন্দের সময় পুরুষের বীর্যস্খলন ঘটে। পুরুষের চেয়ে নারীর রাগমোচন অনেক দীর্ঘস্থায়ী হয়। নারীর ক্ষেত্রে রাগমোচন কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এতে আনন্দের সাথে মিশে থাকে দেহ ও মনের এক ধরণের নিরুদ্বেগ শৈথিল্য।
ঈদ মোবারক (আরবি: عيد مبارك) হল মুসলিমদের একটি ঐতিহ্যবাহী শুভেচ্ছাবাক্য যেটি তারা ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহায় পরস্পরকে বলে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করে থাকেন। ঈদ শব্দের অর্থ আনন্দ বা উদযাপন। আর মোবারক শব্দের অর্থ কল্যাণময়। সুতরাং ঈদ মোবারকের অর্থ হল ঈদ বা আনন্দ উদযাপন কল্যাণময় হোক। কিছু রাষ্ট্রে এই শুভেচ্ছা বিনিময় একটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং কোন ধর্মীয় বাধ্যবাধকতার অংশ নয়। তবে, এই শুভেচ্ছাবাক্যটি শুধুমাত্র এই দুই মুসলিম উৎসবের সময় ব্যবহৃত হয়।
সত্যজিৎ রায় (উচ্চারণ) ; (২ মে, ১৯২১ – ২৩ এপ্রিল, ১৯৯২) একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা ও বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক। কলকাতা শহরে সাহিত্য ও শিল্পের জগতে খ্যাতনামা এক বাঙালি পরিবারে তাঁর জন্ম হয়। তাঁর পূর্বপুরুষের ভিটা ছিল বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার মসূয়া গ্রামে। তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ ও শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। সত্যজিতের কর্মজীবন একজন বাণিজ্যিক চিত্রকর হিসেবে শুরু হলেও প্রথমে কলকাতায় ফরাসি চলচ্চিত্র নির্মাতা জঁ রনোয়ারের সাথে সাক্ষাৎ ও পরে লন্ডন শহরে সফররত অবস্থায় ইতালীয় নব্য বাস্তবতাবাদী ছবি লাদ্রি দি বিচিক্লেত্তে (ইতালীয় ভাষায় Ladri di biciclette, "বাইসাইকেল চোর") দেখার পর তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণে উদ্বুদ্ধ হন।
যোনি (ইংরেজি: Vagina - ভ্যাজাইনা; মূলতঃ লাতিন: উয়াগিনা) হলো স্ত্রী যৌনাঙ্গ, যা জরায়ু থেকে স্ত্রীদেহের বাইরের অংশ পর্যন্ত বিস্তৃত একটি ফাইব্রোমাসকুলার নলাকার অংশ। মানুষ ছাড়াও অমরাবিশিষ্ট মেরুদণ্ডী ও মারসুপিয়াল প্রাণীতে, যেমনঃ ক্যাঙ্গারু অথবা স্ত্রী পাখি, মনোট্রিম ও কিছু সরীসৃপের ক্লোকাতে যোনি পরিদৃষ্ট হয়। স্ত্রী কীটপ্রত্যঙ্গ এবং অন্যান্য অমেরুদণ্ডী প্রাণীরও যোনি আছে, যা মূলতঃ ওভিডাক্টের শেষ প্রান্ত। লাতিন বহুবচনে যোনিকে বলা হয় vaginae - উয়াগিনাই (ইংরেজি উচ্চারণে ভ্যাজাইনি)।
শেখ মুজিবুর রহমান (১৭ মার্চ ১৯২০ - ১৫ আগস্ট ১৯৭৫) বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও ভারতীয় উপমহাদেশের একজন অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যিনি বাঙালীর অধিকার রক্ষায় ব্রিটিশ ভারত থেকে ভারত বিভাজন আন্দোলন এবং পরবর্তীতে পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নেতৃত্ব প্রদান করেন। প্রাচীন বাঙ্গালি সভ্যতার আধুনিক স্থপতি হিসাবে শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের জাতির জনক বা জাতির পিতা বলা হয়ে থাকে। তিনি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সভাপতি, বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং পরবর্তীতে এদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। জনসাধারণের কাছে তিনি শেখ মুজিব এবং শেখ সাহেব হিসাবে বেশি পরিচিত এবং তার উপাধি বঙ্গবন্ধু। তার কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বর্তমান সভানেত্রী এবং বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী।
শাকিব খান (জন্ম: ২৮ মার্চ ১৯৭৯) হলেন একজন জনপ্রিয় বাংলাদেশী অভিনেতা ও চলচ্চিত্র প্রযোজক। তার প্রকৃত নাম মাসুদ রানা হলেও তিনি শাকিব খান নামে চলচ্চিত্রাঙ্গনে আবির্ভূত হয়ে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত অনন্ত ভালোবাসা ছায়াছবির মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। কিন্তু ছবিটি তাকে সফলতা এনে না দিলেও অভিনয় জীবনের দ্বিতীয় বছরেই তিনি সেসময়ের হার্টথ্রব ও শীর্ষ নায়িকা শাবনূর এর বিপরীতে অভিনয় করে আলোচিত হন এবং খুব তাড়াতাড়ি শাবনূর-শাকিব খান জুটি বাংলা সিনেমার অন্যতম ব্যবসাসফল ও প্রযোজকদের আস্থাভাজন জুটিতে পরিণত হয়। বহু চড়াই উৎরাই পেরিয়ে শাকিব খান বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ইতিহাসে সবচেয়ে সফল এবং সর্বোচ্চ বেতনভোগী অভিনেতা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।শাকিব তার কর্মজীবনে একাধিক পুরস্কার অর্জন করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে তিনটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, আটটি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার, ও একটি লাক্স-চ্যানেল আই পারফরম্যান্স পুরস্কার। তিনি ২০১০ সালের ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না ২০১২ সালের খোদার পরে মা এবং ২০১৫ সালের আরো ভালোবাসবো তোমায় ছবির জন্য তিনবার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
সুকুমার রায় (১৮৮৭ - ১৯২৩) একজন বাঙালি শিশুসাহিত্যিক ও ভারতীয় সাহিত্যে "ননসেন্স রাইমের" প্রবর্তক। তিনি একাধারে লেখক, ছড়াকার, শিশুসাহিত্যিক, রম্যরচনাকার, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার ও সম্পাদক। তিনি ছিলেন জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর সন্তান এবং তাঁর পুত্র খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়। তাঁর লেখা কবিতার বই আবোল তাবোল, গল্প হ-য-ব-র-ল, গল্প সংকলন পাগলা দাশু, এবং নাটক চলচ্চিত্তচঞ্চরী বিশ্বসাহিত্যে সর্বযুগের সেরা "ননসেন্স" ধরণের ব্যঙ্গাত্মক শিশুসাহিত্যের অন্যতম বলে মনে করা হয়, কেবল অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড ইত্যাদি কয়েকটি মুষ্টিমেয় ক্লাসিক-ই যাদের সমকক্ষ। মৃত্যুর বহু বছর পরেও তিনি বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয়তম শিশুসাহিত্যিকদের একজন।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (২৬ সেপ্টেম্বর ১৮২০ – ২৯ জুলাই ১৮৯১) উনবিংশ শতকের একজন বিশিষ্ট বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও গদ্যকার। তাঁর প্রকৃত নাম ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে অগাধ পাণ্ডিত্যের জন্য প্রথম জীবনেই তিনি বিদ্যাসাগর উপাধি লাভ করেন। সংস্কৃত ছাড়াও বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় বিশেষ বুৎপত্তি ছিল তাঁর। তিনিই প্রথম বাংলা লিপি সংস্কার করে তাকে যুক্তিবহ করে তোলেন ও অপরবোধ্য করে তোলেন। বাংলা গদ্যের প্রথম সার্থক রূপকার তিনিই। তাঁকে বাংলা গদ্যের প্রথম শিল্পি বলে অভিহিত করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি রচনা করেছেন জনপ্রিয় শিশুপাঠ্য বর্ণপরিচয় সহ, একাধিক পাঠ্যপুস্তক, সংস্কৃত ব্যাকরণ গ্রন্থ। সংস্কৃত, হিন্দি ও ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করেছেন সাহিত্য ও জ্ঞানবিজ্ঞান সংক্রান্ত বহু রচনা।
করেনজিত কৌর ভোহরা (ইংরেজি: Karenjit Kaur Vohra) (জন্ম ১৩ মে, ১৯৮১) যিনি সানি লিওন নামে অধিক পরিচিত, হলেন একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডীয় এবং মার্কিন নারী- অভিনেত্রী, ব্যবসায়ী, মডেল এবং সাবেক পর্নোতারকা। এছাড়া তিনি কারেন মালহোত্রা নামেও অভিনয় করেছেন। ২০০৩ সালে তাঁকে পেন্টহাউস বর্ষসেরা পেটস হিসিবে অভিষিক্ত করা হয় এবং তিনি ভিভিড এন্টারটেনমেন্টের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। তিনি ম্যাক্সিম বিশ্বেসেরা ১০ পর্ণোতারকার একজন হিসেবে নির্বাচিত হন ২০১০ সালে। তিনি স্বাধীন মূলধারার চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন অনুষ্ঠানে ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি পরবর্তীতে বলিউডে আত্মপ্রকাশ ঘটান পূজা ভাটের জিসম ২ (২০১২) যৌনাবেদনময়ী থ্রিলার চলচ্চিত্রের মাধ্যমে এবং বর্তমানে কাজ করেন হিন্দি চলচ্চিত্রে।
ঈদের নামাজ আরবীতে সালাতুল ঈদ (আরবি: صلاة العيد) এবং সালাতুল ঈদিন (আরবি: صلاة العيدين)নামে পরিচিত। ঈদ মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। ঈদের দিন স্রষ্টার উদ্দেশে মুসলমানগণ মাঠে জমায়েত হয়ে যে নামাজ পড়েন তাকে ঈদের নামাজ বলা হয়। ঈদের নামাজ সাধারনত ঈদগাহে পড়া হয়। ঈদগাহ হচ্ছে ঈদের নামাজ পড়ার জন্য নির্ধারিত খোলা স্থান। এই স্থানে সাধারনত দুই ঈদঃ ঈদুল ফিত্র এবং ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করা হয়।
ঈদুল ফিতর (আরবি: عيد الفطر অর্থাৎ "রোযা ভাঙার দিবস") ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের দুটো সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের একটি। দ্বিতীয়টি হলো ঈদুল আযহা। ধর্মীয় পরিভাষায় একে ইয়াউমুল জাএজ (অর্থঃ পুরস্কারের দিবস) হিসেবেও বর্ণনা করা হয়েছে। দীর্ঘ এক মাস রোযা রাখা বা সিয়াম সাধনার পর মুসলমানেরা এই দিনটি ধর্মীয় কর্তব্যপালনসহ খুব আনন্দর সাথে পালন করে থাকে।
হজ্জ বা হজ্জ্ব (আরবি: حج হ্বজ্জ্) ইসলাম ধর্মাবলম্বী অর্থাৎ মুসলমানদের জন্য একটি আবশ্যকীয় ইবাদত বা ধর্মীয় উপাসনা। এটি ইসলাম ধর্মের পঞ্চম স্তম্ভ। শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য জীবনে একবার হজ্ব সম্পাদন করা ফরজ বা আবশ্যিক। আরবি জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১২ তারিখ হজ্বের জন্য নির্ধরিত সময়। হজ্জ পালনের জন্য বর্তমান সৌদী আরবের মক্কা নগরী এবং সন্নিহিত মিনা, আরাফাত, মুযদালিফা প্রভৃতি স্থানে গমন এবং অবস্থান আবশ্যক। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বাৎসরিক তীর্থযাত্রা। যিনি হজ্জ সম্পাদনের জন্য গমন করেন তাঁকে বলা হয় হাজী।
নিকোলাস জেরি জোরাস (জন্ম সেপ্টেম্বর ১৬, ১৯৯২) হলেন একজন মার্কিন গায়ক, গীতিকার, অভিনেতা এবং রেকর্ড প্রযোজক। জোনাস মাত্র সাত বছর বয়স থেকেই নাট্যমঞ্চে অভিনয় করা শুরু করেন, এবং ২০০২ সালে তিনি তার আত্বপ্রকাশকারী একক প্রকাশ করেন। ২০০৪ সালে তিনি তার নিজেস্ব নামের শিরোনামিক তার প্রথম আত্বপ্রকাশকারী অ্যালবাম প্রকাশ করেন, যেটি সামান্ন পরিমানে সাফল্য পেয়ে যায়, যদিও এটি জনপ্রিয় রেকর্ড লেবেল কলাম্বিয়া রেকর্ডস-এর মনোযোগ আকর্ষন করে। জোনাস তার বড় ভাইদেরকে নিয়ে একটি ব্যান্ড গঠন করেন, ব্যান্ডটির সদস্য ছিলেন জো এবং কেভিন, এবং যেটি জোনাস ব্রাদার্স নামে পরিচিত ছিল। ২০০৫ সালে, মাত্র ১৩ বছর বয়সে নিকের টাইপ ১ ডায়বেটিস ধরা পরে। ২০০৬ সালে ব্যান্ডদলটি তাদের আত্বপ্রকাশকারী স্টুডিও অ্যালবাম ইট'স এবাউট টাইম রেকর্ড লেবেল কলাম্বিয়া রেকর্ডের মাধ্যমে প্রকাশ করে, যেটি বাণিজ্যিকভাবে সাফল্য অর্জন করতে ব্যর্থ হয়। জনপ্রিয় রেকর্ড রেকর্ড লেবেল হলিউড রেকর্ডস-এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর, ২০০৭ সালে ব্যান্ডদলটি নিজেস্ব- শিরোনামিক দ্বিতীয় স্টুডিও অ্যালবাম প্রকাশ করে, যেটি তাদের সাফল্যমন্ডিত রেকর্ড বয়ে আনে। ঐ সময়কালে ব্যান্ডদলটি জনপ্রিয় মার্কিন শিশুতোষ টেলিভিশন চ্যানেল ডিজনি চ্যানেল-এর বিশিষ্ঠ ব্যক্তিত্বের অধিকারী হয়ে উঠে, এছাড়াও এর মাধ্যমে বিশাল পরিমানে ভক্ত এবং সমর্থক আর্জন করতে সক্ষম হয়, এর পরবর্তীতে ২০০৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত তাদের বিশ্বব্যাপী সাফল্যমন্ডিত গীতিকাব্যমূলক চলচ্চিত্র ক্যাম্প রক-এ হাজির হয়।
কাজী নজরুল ইসলাম (২৪ মে ১৮৯৯ – ২৯ আগস্ট ১৯৭৬; ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ – ১২ ভাদ্র ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ) ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম জনপ্রিয় অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, সঙ্গীতজ্ঞ ও দার্শনিক যিনি বাংলা কাব্যে অগ্রগামী ভূমিকা রাখার পাশাপাশি প্রগতিশীল প্রণোদনার জন্য সর্বাধিক পরিচিত। তিনি বাংলা সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হিসেবে উল্লেখযোগ্য। বাঙালি মনীষার এক তুঙ্গীয় নিদর্শন নজরুল। তিনি বাংলা ভাষার অন্যতম সাহিত্যিক এবং বাংলাদেশের জাতীয় কবি। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ – দুই বাংলাতেই তাঁর কবিতা ও গান সমানভাবে সমাদৃত। তাঁর কবিতায় বিদ্রোহী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তাঁকে বিদ্রোহী কবি নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তাঁর কবিতার মূল বিষয়বস্তু ছিল মানুষের ওপর মানুষের অত্যাচার এবং সামাজিক অনাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ।বিংশ শতাব্দীর বাংলা মননে কাজী নজরুল ইসলামের মর্যাদা ও গুরুত্ব অপরিসীম। একাধারে কবি, সাহিত্যিক, সংগীতজ্ঞ, সাংবাদিক, সম্পাদক, রাজনীতিবিদ এবং সৈনিক হিসেবে অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে নজরুল সর্বদাই ছিলেন সোচ্চার। তাঁর কবিতা ও গানে এই মনোভাবই প্রতিফলিত হয়েছে। অগ্নিবীণা হাতে তাঁর প্রবেশ, ধূমকেতুর মতো তাঁর প্রকাশ। যেমন লেখাতে বিদ্রোহী, তেমনই জীবনে – কাজেই "বিদ্রোহী কবি", তাঁর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী বিশেষ মর্যাদার সঙ্গে উভয় বাংলাতে প্রতি বৎসর উদযাপিত হয়ে থাকে।
রাখীবন্ধন উৎসব (হিন্দি: रक्षाबंधन, পাঞ্জাবি: ਰਕਸ਼ਾਬੰਧਨ, উর্দু: رکشا بندھن the bond of protection), বা রাখী (হিন্দি: राखी, পাঞ্জাবি: ਰਾਖੀ, উর্দু: راکھی) বা রাখীপূর্ণিমা ভারতের একটি উৎসব। এই উৎসব ভাই ও বোনের মধ্যে প্রীতিবন্ধনের উৎসব। হিন্দু, জৈন ও শিখরা এই উৎসব পালন করে। এই দিন দিদি বা বোনেরা তাদের ভাই বা দাদার হাতে রাখী নামে একটি পবিত্র সুতো বেঁধে দেয়। এই রাখীটি ভাই বা দাদার প্রতি দিদি বা বোনের ভালবাসা ও ভাইয়ের মঙ্গলকামনা এবং দিদি বা বোনকে আজীবন রক্ষা করার ভাই বা দাদার শপথের প্রতীক। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এই উৎসব উদযাপিত হয়। চিতোরের বিধবা রানি কর্ণবতী মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের সাহায্য প্রার্থনা করে একটি রাখী পাঠিয়েছিলেন। এর পর থেকে এই উৎসবের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়।
বাংলা ভাষা (/bɑːŋlɑː/; উচ্চারণ ) দক্ষিণ এশিয়ার বঙ্গ অঞ্চলের স্থানীয় ভাষা, এই অঞ্চলটি বর্তমানে রাজনৈতিকভাবে স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ ও ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে গঠিত। এছাড়াও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, অসম রাজ্যের বরাক উপত্যকা এবং আন্দামান দ্বীপপুঞ্জেও বাংলা ভাষাতে কথা বলা হয়। এই ভাষার লিপি হল বাংলা লিপি। এই অঞ্চলের প্রায় বাইশ কোটি স্থানীয় মানুষের ও পৃথিবীর মোট ৩০ কোটি মানুষের ভাষা হওয়ায়, এই ভাষা বিশ্বের সর্বাধিক প্রচলিত ভাষাগুলির মধ্যে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে। বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার জাতীয় সঙ্গীত, এবং ভারতের জাতীয় স্তোত্র এই ভাষাতেই রচিত এবং তা থেকেই দক্ষিণ এশিয়ায় এই ভাষার গুরুত্ব বোঝা যায়।
কলকাতা (ইংরেজি: Kolkata; আদি নাম: কলিকাতা; পুরনো ইংরেজি নাম: Calcutta) হল ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর এবং ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী। কলকাতা শহরটি হুগলি নদীর পূর্ব পাড়ে অবস্থিত। এই শহর পূর্ব ভারতের শিক্ষা, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির প্রধান কেন্দ্র। কলকাতা বন্দর ভারতের প্রাচীনতম সচল বন্দর তথা দেশের প্রধান নদী বন্দর। ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, কলকাতার জনসংখ্যা ৪,৪৯৬,৬৯৪। জনসংখ্যার হিসেবে এটি ভারতের ৭ম সর্বাধিক জনবহুল পৌর-এলাকা। অন্যদিকে বৃহত্তর কলকাতার জনসংখ্যা ১৪,১১২,৫৩৬। জনসংখ্যার হিসেবে বৃহত্তর কলকাতা ভারতের ৩য় সর্বাধিক জনবহুল মহানগরীয় অঞ্চল। বৃহত্তর কলকাতার সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সূচক (আনুমানিক) ৬০ থেকে ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যবর্তী (ক্রয়ক্ষমতা সমতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জিডিপি অনুযায়ী)। এই সূচক অনুযায়ী ভারতে কলকাতার স্থান মুম্বই ও নতুন দিল্লির ঠিক পরেই।সুতানুটি, ডিহি কলকাতা ও গোবিন্দপুর নামে তিনটি গ্রাম নিয়ে মূল কলকাতা শহরটি গড়ে ওঠে। ১৭শ শতাব্দীর শেষভাগ পর্যন্ত এই গ্রামগুলির শাসনকর্তা ছিলেন মুঘল সম্রাটের অধীনস্থ বাংলার নবাবেরা। ১৬৯০ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি নবাবের কাছ থেকে বাংলায় বাণিজ্য সনদ লাভ করে। এরপর কোম্পানি কলকাতায় একটি দুর্গবেষ্টিত বাণিজ্যকুঠি গড়ে তোলে। ১৭৫৬ সালে নবাব সিরাজদ্দৌলা কলকাতা জয় করেছিলেন। কিন্তু পরের বছরই কোম্পানি আবার শহরটি দখল করে নেয়। এর কয়েক দশকের মধ্যেই কোম্পানি বাংলায় যথেষ্ট প্রতিপত্তি অর্জন করে এবং ১৭৯৩ সালে ‘নিজামৎ’ বা স্থানীয় শাসনের অবলুপ্তি ঘটিয়ে এই অঞ্চলে পূর্ণ সার্বভৌমত্ব কায়েম করে। কোম্পানির শাসনকালে এবং ব্রিটিশ রাজশক্তির প্রত্যক্ষ শাসনকালের প্রথমার্ধ্বে কলকাতা ছিল ভারতের ব্রিটিশ-অধিকৃত অঞ্চলগুলির রাজধানী। ১৯শ শতাব্দীর শেষ ভাগ থেকেই কলকাতা ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্র। ১৯১১ সালে ভারতের মতো একটি বৃহৎ রাষ্ট্র শাসনে ভৌগোলিক অসুবিধার কথা চিন্তা করে এবং বেঙ্গল প্রেসিডেন্সিতে ক্রমবর্ধমান জাতীয়তাবাদী কার্যকলাপের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের রাজধানী স্থানান্তরিত হয় নতুন দিল্লিতে। স্বাধীনতার পর কলকাতা পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য রাজনীতির প্রাণকেন্দ্র হয়ে দাঁড়ায়। ব্রিটিশ আমলে কলকাতা ছিল আধুনিক ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থা, বিজ্ঞানচর্চা এবং সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনের প্রধান কেন্দ্র। কিন্তু স্বাধীনতার পরবর্তী দশকগুলিতে কলকাতা এক অর্থনৈতিক স্থবিরতার সম্মুখীন হয়।
পশ্চিমবঙ্গ ভারতের একটি রাজ্য। এই রাজ্যটি পূর্ব ভারতে বঙ্গোপসাগরের উত্তর দিকে অবস্থিত। ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, এই রাজ্যের জনসংখ্যা ৯ কোটি ১৩ লক্ষেরও বেশি। জনসংখ্যার নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ ভারতের চতুর্থ সর্বাধিক জনবহুল রাজ্য। এই রাজ্যের আয়তন ৮৮,৭৫২ কিমি২ (৩৪,২৬৭ মা২)। পশ্চিমবঙ্গ বাংলা-ভাষী বাঙালি জাতি অধ্যুষিত বাংলা অঞ্চলের একটি অংশ। এই রাজ্যের পূর্ব দিকে বাংলাদেশ রাষ্ট্র এবং উত্তর দিকে নেপাল ও ভুটান রাষ্ট্র অবস্থিত। ভারতের ওডিশা, ঝাড়খণ্ড, বিহার, সিক্কিম ও অসম রাজ্যও পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী। রাজ্যের রাজধানী কলকাতা শহরটি হল ভারতের সপ্তম বৃহত্তম মহানগরী। পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বর্ধমান ৷ বর্ধমান আসানসোল siliguri দুর্গাপুর এই পাঁচটি পশ্চিমবঙ্গের মহানগর ৷ ভৌগোলিক দিক থেকে দার্জিলিং হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল, গাঙ্গেয় বদ্বীপ, রাঢ় অঞ্চল ও উপকূলীয় সুন্দরবনের অংশবিশেষ এই রাজ্যের অন্তর্গত। বাঙালিরাই এই রাজ্যের প্রধান জাতিগোষ্ঠী এবং রাজ্যের জনসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই বাঙালি হিন্দু।
অটল বিহারী বাজপেয়ী (হিন্দি: अटल बिहारी वाजपायी আটাল্ বিহারী ভ়াজ্পাঈ, আ-ধ্ব-ব: [əʈəl bɪhaːɾiː ʋaːdʒpaiː]) ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী (১০ম) , ১৯৯৬ সালে তিনি প্রথমবারের মত প্রধানমন্ত্রী হন মাত্র ১৩ দিনের জন্য এরপর ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বাজপেয়ী। ভারতীয় জনতা পার্টি এর নেতা হিসেবে এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস এর বাইরে থেকে তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি একদম পূর্ণ মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। ১৬আগস্ট, ২০১৮ দিল্লীর এইমসে বিকেল ৫:০৫ মিনিটে তিনি বার্ধক্যজনিত কারনে মারা যান।
পর্নোগ্রাফি (সংক্ষেপে "পর্ন" বা "পর্নো") (ইংরেজি: Pornography) যৌন আবেগ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে যৌনসংক্রান্ত বিষয়বস্তুর প্রতিকৃতি অঙ্কন বা পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা। পর্নোগ্রাফি শব্দটি গ্রিক শব্দ "পরনোগ্রাফিয়া" থেকে নেওয়া হয়েছে। পর্নোগ্রাফি বিভিন্ন মাধ্যমের সাহায্যে উপস্থাপন করা হতে পারে, এর মধ্যে অর্ন্তভূক্ত রয়েছে, বই, সাময়িকী, পোষ্টকার্ড, আলোকচিত্র, ভাস্কর্য, অঙ্কন, পেইন্টিং, অ্যানিমেশন, সাউন্ড রেকর্ডিং, চলচ্চিত্র, ভিডিও এবং ভিডিও গেম।বিগত কয়েক দশকে পর্নোগ্রাফি উৎপাদন তথা ভোগ্যপণ্য হিসেবে ভোগকে কেন্দ্র করে একটি বিরাট শিল্প গড়ে উঠেছে। মূলত ভিসিআর, ডিভিডি ও ইন্টারনেটের ব্যাপক ব্যবহার এবং যৌন বিষয়বস্তুর প্রদর্শনে সমাজের অধিকতর উদার মনোভাব এই শিল্প গড়ে ওঠার অন্যতম কারণ। পর্নোগ্রাফির অভিনেতাদের পর্নোগ্রাফিক অভিনেতা (বা অভিনেত্রী) বলা হয়ে থাকে। তারা সাধারণত পর্ন স্টার নামে পরিচিত হয়। মূলধারার অভিনেতা-অভিনেত্রীদের তুলনায় এদের অভিনয়ের গুণমানও সাধারণত পৃথক হয়। শখের পর্নোগ্রাফি এই শিল্পের জনপ্রিয় একটি ধারা এবং তা ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিনামূল্যে বিতরিত হয়ে থাকে।
চাকমা তথা চাংমা বাংলাদেশের একটি প্রধান আাদিবাসী জাতি ।কিন্তু বাংলাদেশ সংবিধানের ২৩(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বলা হয় যে,বাংলাদেশে কোনো আদিবাসী নেই; বরং মূল বাঙালি জনগোষ্ঠীর বিপরীতে এই অ-বাঙালি জনসমষ্টিকে - উপজাতি; ক্ষুদ্র জাতিসত্তা; নৃগোষ্ঠী নামে অভিহিত করা হয়েছে। তবে, এই অবাঙালি জনগোষ্ঠী জাতিসংঘ আদিবাসী অধিকার ঘোষনা ২০০৭ এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার ১০৭ ও ১৬৯ নং কনভেনশনের ঘোষনা অনুযায়ী নিজেদের আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি আদায়ের কর্মসূচী পালন করে আসছে। চাকমারা মঙ্গোলীয় জাতির একটি শাখা। বর্তমান মিয়ানমারের আরাকানে বসবাসকারী ডাইংনেট জাতিগোষ্ঠীকে চাকমাদের একটি শাখা হিসেবে গণ্য করা হয়। এবং এরা প্রধানত থেরাবাদ বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী। বুদ্ধপুর্ণিমা ছাড়া তাদের অন্যতম প্রধান আনন্দ উৎসব হচ্ছে বিজু। বাংলাদেশের রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে এদের সংখ্যা বেশী। তবে বান্দরবানেও সংখ্যায় চাকমাদের উপস্থিতি রয়েছে। চাকমা জনগোষ্ঠীর কিছু অংশ বর্তমান ভারতের উত্তর-পূর্বাংশে তথা ত্রিপুরা ও অরুণাচল রাজ্যে বসবাস করছে। এছাড়া চাকমাদের বড় একটি অংশ অভিবাসন নিয়ে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছে। এদের প্রধান জীবিকা কৃষি কাজ। পার্বত্য চট্টগ্রামের সমতল অংশে স্বাভাবিক সেচ পদ্ধতিতে মৌসুমী কৃষি কাজ, এবং পাহাড়ি অঞ্চলে জুম চাষের মাধ্যমে চাকমা জনগোষ্ঠী বিভিন্ন খাদ্যশস্য ও রবিশস্য উৎপাদন করে থাকে। চাকমাদের ভাষার নামও চাকমা (চাংমা)। চাকমাদের নিজস্ব বর্ণমালা রয়েছে। চাকমারা ৪৬টি গোজা ও বিভিন্ন গুত্তি বা গোষ্ঠীতে বিভক্ত। ১৯৯১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রামে চাকমাদের সংখ্যা ২ লাখ ৩৯ হাজার ৪১৭ জন। তবে বর্তমানে তা তিন লাখ ছাড়িয়ে গেছে বলে ধারণা করা হয়। চাকমারা পূর্বে হরি ধর্মের অনুসারী হলেও পরবর্তীতে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করে। তবে বর্তমানে অনেকে খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষা নিচ্ছে। চাকমারা জন্মান্তরবাদে বিশ্বাস করে। তারা বিশ্বাস করে ক্রমাগত সৎকর্ম সাধনের মাধ্যমে নির্বাণ লাভ করা যায়। চাকমা শব্দটি সংস্কৃত শব্দ শক্তিমান থেকে আগত.
মুহাম্মাদ (২৯ আগস্ট ৫৭০ - ৮ জুন ৬৩২; আরবি উচ্চারণ শুনতে ক্লিক করুন محمد মোহাম্মদ এবং মুহম্মদ নামেও পরিচিত; তুর্কি : মুহাম্মেদ), পূর্ণ নাম : আবু আল-কাশিম মুহাম্মাদ ইবনে ʿআবদুল্লাহ ইবনে ʿআবদুল মুত্তালিব ইবনে হাশিম (ابو القاسم محمد ابن عبد الله ابن عبد المطلب ابن هاشم) হলেন ইসলামের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব এবং ইসলামী বিশ্বাস মতে আল্লাহ বা ঈশ্বর কর্তৃক প্রেরিত সর্বশেষ নবী, (আরবি: النبي আন-নাবিয়্যু), তথা "বার্তাবাহক" (আরবি : الرسول আর-রাসুল), যার উপর ইসলামী প্রধান ধর্মগ্রন্থ আল-কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে। অমুসলিমদের মতে তিনি ইসলামী জীবন ব্যবস্থার প্রবর্তক। অধিকাংশ ইতিহাসবেত্তা ও বিশেষজ্ঞদের মতে, মুহাম্মাদ ছিলেন পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় নেতা। তাঁর এই বিশেষত্বের অন্যতম কারণ হচ্ছে আধ্যাত্মিক ও জাগতিক উভয় জগতেই চূড়ান্ত সফলতা অর্জন। তিনি ধর্মীয় জীবনে যেমন সফল তেমনই রাজনৈতিক জীবনেও। সমগ্র আরব বিশ্বের জাগরণের পথিকৃৎ হিসেবে তিনি অগ্রগণ্য; বিবাদমান আরব জনতাকে একীভূতকরণ তাঁর জীবনের অন্যতম সফলতা।আনুমানিক ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে (হস্তিবর্ষ) মক্কা নগরীতে জন্ম নেওয়া মুহাম্মাদ শিশু বয়সে এতিম হন এবং প্রথমে তাঁর পিতামহ আবদুল মোত্তালিব ও পরে পিতৃব্য আবু তালিবের নিকট লালিত পালিত হন। হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকার পর ৪০ বছর বয়সে তিনি নবুওয়াত লাভ করেন। জিবরাইল এই পর্বতের গুহায় আল্লাহর তরফ থেকে তাঁর নিকট ওহী নিয়ে আসেন। তিন বছর পর ৬১০ খ্রিস্টাব্দে মুহাম্মাদ প্রকাশ্যে ওহী প্রচার করেন, এবং ঘোষণা দেন "আল্লাহ এক" ও তাঁর নিকট নিজেকে সঁপে দেওয়ার মধ্যেই জাগতিক কল্যাণ নিহিত, এবং ইসলামের অন্যান্য পয়গম্বরদের মত তিনিও আল্লাহর প্রেরিত দূত।মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত মুহাম্মাদ-এর নিকট আসা ওহীসমূহ কুরআনের আয়াত হিসেবে রয়ে যায় এবং মুসলমানরা এই আয়াতসমূহকে "আল্লাহর বাণী" বলে বিবেচনা করেন। এই কুরআনের উপর ইসলাম ধর্মের মূল নিহিত। কুরআনের পাশাপাশি হাদিস ও সিরাত (জীবনী) থেকে প্রাপ্ত মুহাম্মাদ-এর শিক্ষা ও অনুশীলন (সুন্নাহ) ইসলামী আইন (শরিয়াহ) হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া (হিন্দি: प्रियंका चोपड़ा; জন্ম: ১৮ জুলাই, ১৯৮২) ভারতীয় হিন্দি চলচ্চিত্রের একজন অভিনেত্রী এবং কণ্ঠশিল্পী। ২০০০ সালে তিনি মিস ওয়ার্ল্ড উপাধি লাভ করেন। ২০০২ সালে তামিল ঠামিজান চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার অভিষেক হয়। হিন্দি চলচ্চিত্রে তিনি সানি দেওলের বিপরীতে দ্য হিরো ছবির মাধ্যমে প্রবেশ করেন। ২০০৪ সালে আন্দাজ ছবির জন্য তিনি সেরা নবাগতা অভিনেত্রী হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৮ সালে তিনি ফ্যাশন ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৬ সালে তিনি ভারত সরকার প্রদত্ত চতুর্থ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রী অর্জন করেন এবং টাইম ম্যাগাজিন প্রকাশিত তালিকায় শীর্ষ ১০০ প্রভাবশালী নারী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০১৮ সালের আগস্টে ভারতের কেরল রাজ্যে অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের কারণে রাজ্যটিতে বন্যার সৃষ্টি হয় এবং বন্যার প্রভাবে রাজ্যটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রায় গত এক শতাব্দীতে কেরালার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বন্যা ছিল এটি। এর ফলে ৩৩০ জন মানুষের মৃত্যু ঘটে। কমপক্ষে ৬,৬১,০০০ জন মানুষ বাকি বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল এবং রাজ্যের ১৪ টি জেলায় বন্যা ঘটে। ইতিহাসে প্রথমবারের জন্য রাজ্যের ৪২ টি বাঁধের মধ্যে ৩৫ টি এবং ইদুক্কি বাঁধের পাঁচটি জলকপাট ২৬ বছর পর একই সময়ে খোলা হয়েছিল। ওয়ানাদে ভারী বৃষ্টিপাত পাহাড়ের জেলাগুলি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
কৃষ্ণ (সংস্কৃত: कृष्ण) হলেন হিন্দু ধর্মানুসারীদের আরাধ্য বিশিষ্ট একজন দেবতা। তিনি ভগবান বিষ্ণুর অষ্টম অবতার রূপে খ্যাত। কখনো কখনো তাঁকে সর্বোচ্চ ঈশ্বর ('পরম সত্ত্বা') অভিধায় ভূষিত করা হয় এবং হিন্দুদের অন্যতম প্রধান ধর্মগ্রন্থ ভগবদ্গীতার প্রবর্তক হিসাবে মান্য করা হয়। হিন্দু বর্ষপঞ্জী অনুসারে প্রতিবছর ভাদ্রমাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী (জন্মাষ্টমী) তিথিতে তাঁর জন্মোৎসব পালন করা হয়।
বি-২ স্পিরিট (ইংরেজি: B-2 Spirit) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি ভারী বোমারু বিমান, যা স্টেল্থ বোম্বার (Stealth Bomber) নামেও পরিচিত। এটি তৈরি করেছে নর্থরোপ গ্রুমম্যান। এটি রাডার দ্বারা সহজে শনাক্ত করা যায় না, এবং বড় ধরনের আকাশযুদ্ধের উপযোগী করে এটিকে নির্মাণ করা হয়েছে। এটি প্রচলিত ও নিউক্লীয় উভয় প্রকার বোমা বহন ও বর্ষণ করতে পারে। এই বিমানটির উচ্চ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচের জন্য এটি মার্কিন কংগ্রেস ও পেন্টাগনে বেশ কিছু বিতর্ক তৈরি করেছে। উচ্চ নির্মাণ ব্যয়ের কারণে ১৯৮০-এর দশকের শেষ ভাগ থেকে ১৯৯০-এর দশকে, মার্কিন কংগ্রেস প্রাক্কালিত ১৩২টি বিমান নির্মাণের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে মাত্র ২১টি বিমান নির্মাণ করে।
দুর্গাপূজা বা দুর্গোৎসব হল হিন্দু দেবী দুর্গার পূজাকে কেন্দ্র করে প্রচলিত একটি উৎসব। দুর্গাপূজা সমগ্র হিন্দুসমাজেই প্রচলিত। তবে বাঙালি হিন্দু সমাজে এটি অন্যতম বিশেষ ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব। আশ্বিন বা চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষে দুর্গাপূজা করা হয়। আশ্বিন মাসের দুর্গাপূজা শারদীয়া দুর্গাপূজা এবং চৈত্র মাসের দুর্গাপূজা বাসন্তী দুর্গাপূজা নামে পরিচিত। শারদীয়া দুর্গাপূজার জনপ্রিয়তা বেশি। বাসন্তী দুর্গাপূজা মূলত কয়েকটি পরিবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ।
কফি আততা আনান (/ˈkoʊfi ˈænæn/; জন্ম এপ্রিল ৮, ১৯৩৮ - মৃত্যু আগস্ট ১৮, ২০১৮) ঘানার একজন কূটনীতিবিদ এবং জাতিসংঘের সপ্তম মহাসচিব। খ্রিস্টান ধর্মালম্বী হিসেবে প্রোটেস্ট্যান্ট সম্প্রদায় জনগোষ্ঠীর মুখপাত্র হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। আনান এবং জাতিসংঘ যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার (২০০১) লাভ করেন। তিনি কফি আনান ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন। এছাড়া নেলসন ম্যান্ডেলা প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সংগঠন দা এল্ডারস-এর চেয়ারম্যান হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।ঘানার কোমাসি শহরে জন্মগ্রহণ-করা আনান ম্যাকালেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে 'অর্থনীতি', গ্র্যাজুয়েট ইউনিভার্সিটি জেনেভায় 'আন্তর্জাতিক সম্পর্ক' এবং এমআইটিতে 'ব্যবস্থাপনা' নিয়ে অধ্যয়ন করেন। ১৯৬২ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জেনেভা কার্যালয়ে কাজ করার মাধ্যমে তিনি জাতিসংঘে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি জাতিসংঘ সচিবালয়ের আরো কিছু পদে কাজ করেছেন, যার মধ্যে আছে মার্চ ১৯৯২ থেকে ডিসেম্বর ১৯৯৬ পর্যন্ত শান্তিরক্ষা বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে দায়িত্বপালন। ১৯৯৬ সালের ১৩রা ডিসেম্বর নিরাপত্তা পরিষদ তাকে মহাসচিব নিযুক্ত করে, পরে সাধারণ পরিষদেও তা সমর্থিত হয় এবং তিনিই প্রথম জাতিসংঘের নিজস্ব কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে মহাসচিব হন। ২০০১ সালে তিনি মহাসচিব পদে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হন, এবং ২০০৭ সালের ১লা জানুয়ারি বান-কি-মুনের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।
২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপ ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপের শিরোপা বিজয়ী দল ফ্রান্স (রুশ: Чемпионат мира по футболу 2018 চিম্পিওনাত মির্য প্য ফুতবোলু দ্ভি তিসিচি ভ্যসিম নাৎস্যত) ছিল চতুর্বাষিক আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা ফিফা বিশ্বকাপের ২১তম আসরের চূড়ান্ত পর্ব, যাতে আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা ফিফা-র অন্তর্ভুক্ত ৩২টি জাতীয় ফুটবল দল (পুরুষ) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। প্রতিযোগিতাটি রাশিয়ায় ১৪ই জুন হতে ১৫ই জুলাই ২০১৮ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে ২রা ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে অনুষ্ঠিত এক নিলামের মাধ্যমে রাশিয়াকে স্বাগতিক রাষ্ট্র হিসেবে নির্বাচন করা হয়।
মুম্বই (মুম্বাই, আ-ধ্ব-ব: [ˈmʊm.bəi] ) (মারাঠি: मुंबई) (পূর্বনাম বোম্বাই বা বম্বে) ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের রাজধানী। মুম্বই ভারতের সর্বাধিক জনবহুল শহর এবং বিশ্বের সর্বাধিক জনবহুল শহরগুলিরও অন্যতম। এই শহরের জনসংখ্যা প্রায় এক কোটি চল্লিশ লক্ষ। নবি মুম্বই ও থানে সহ মুম্বই মহানগরীয় অঞ্চল বিশ্বের সর্বাধিক জনবহুল মহানগরীয় অঞ্চলগুলির অন্যতমও বটে। ভারতের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত মুম্বই একটি স্বাভাবিক সমুদ্রবন্দর। ২০০৯ সালের তথ্য অনুযায়ী, এই শহর আলফা বিশ্ব নগরী হিসেবে ঘোষিত।যে সাতটি দ্বীপকে কেন্দ্র করে আধুনিক মুম্বই মহানগরী গড়ে উঠেছে, সুদূর অতীতে সেই সাতটি দ্বীপ ছিল মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের বসতি। ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে এই দ্বীপগুলি নানান দেশীয় রাজ্য ও সাম্রাজ্যের অধীনস্থ ছিল। অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে মুম্বই একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য নগরী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ঊনবিংশ শতাব্দীতে এই শহরের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও শিক্ষাসংক্রান্ত প্রভূত উন্নতি সাধিত হয়। বিংশ শতাব্দীর প্রথম পাদে বোম্বাই ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের এক উল্লেখযোগ্য ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছিল। ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের পর বোম্বাই শহর তদনীন্তন বোম্বাই রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৬০ সালে সংযুক্ত মহারাষ্ট্র আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন রাজ্য মহারাষ্ট্র গঠিত হলে বোম্বাই উক্ত রাজ্যের রাজধানীতে পরিণত হয়। ১৯৯৫ সালে শহরের নাম পরিবর্তিত করে মুম্বই রাখা হয়।মুম্বই ভারতের বাণিজ্য ও বিনোদনের অন্যতম কেন্দ্র। দেশের ৫ শতাংশ জিডিপি এই শহর থেকেই উৎপাদিত হয়। এছাড়া ভারতীয় অর্থনীতির ২৫ শতাংশ শিল্প উৎপাদন, ৪০ শতাংশ সমুদ্রবাণিজ্য ও ৭০ শতাংশ পুঁজি লেনদেন মুম্বইতেই সাধিত হয়। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক, বোম্বাই স্টক এক্সচেঞ্জ, ভারতের জাতীয় স্টক এক্সচেঞ্জ ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সংস্থা এবং বিভিন্ন ভারতীয় কোম্পানি ও বহুজাতিক সংস্থার প্রধান কার্যালয় এই শহরেই অবস্থিত। বলিউড নামে পরিচিত ভারতের হিন্দি চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন শিল্পকেন্দ্রটিও এই শহরে অবস্থিত। মুম্বইয়ের ব্যবসাগত সুযোগসুবিধা এবং এখানকার জীবনযাত্রার উচ্চ মান সমগ্র দেশের মানুষকে আকৃষ্ট করে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এসে এই শহরে বসবাস শুরু করেন। ফলে মুম্বই বর্তমানে ভারতের নানা সম্প্রদায় ও ভারতীয় সংস্কৃতির মহামিলনভূমিতে পরিণত হয়েছে।
বাংলা উইকিপিডিয়া হল উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন পরিচালিত উইকিপিডিয়া নামক উন্মুক্ত অনলাইন বিশ্বকোষের বাংলা সংস্করণ। এই সংস্করণটি ২৭ জানুয়ারি ২০০৪ সালে প্রথম যাত্রা শুরু করে। ১৪ আগস্ট ২০১৮ পর্যন্ত বাংলা উইকিপিডিয়াতে ৬০,১২৬ টি নিবন্ধ রচনা শুরু করা হয়েছে। ১,৯২,৯৯৯ জন ব্যবহারকারী সর্বমোট ৩০,৭৪,৫৫৪ বার সম্পাদনা করে বিশ্বকোষটি নির্মাণে অবদান রেখে চলেছেন। ১৬ জন প্রশাসক বিশ্বকোষটির প্রশাসনিক ব্যাপারগুলো দেখেন। বিশ্বকোষটিতে মোট ৪,৭৯৩ টি ফাইল বা নথি আছে। বাংলা উইকিপিডিয়াতে বাংলা লিপিতে লিখনের একটি সরঞ্জাম রয়েছে, যার মাধ্যমে কোন লাতিন বর্ণমালাভিত্তিক কি-বোর্ড ব্যবহার করে উচ্চারণভিত্তিক (ফোনেটিক) উপায়ে বাংলা টাইপ করা যায়। বহিঃস্থ কোন সফটওয়্যার ডাউনলোড করার প্রয়োজন পড়ে না।
উইকিপিডিয়ার অ-বিশ্বকোষীয় পরিদর্শক পরিচিতির জন্য, দেখুন উইকিপিডিয়া:বৃত্তান্ত।উইকিপিডিয়া (/ˌwɪkᵻˈpiːdiə/ বা /ˌwɪkiˈpiːdiə/ WIK-i-PEE-dee-ə) একটি সম্মিলিতভাবে সম্পাদিত, বহুভাষিক, মুক্ত প্রবেশাধিকার, মুক্ত কন্টেন্ট সংযুক্ত একটি ইন্টারনেট বিশ্বকোষ, যা অলাভজনক উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন কর্তৃক সমর্থিত, আয়োজিত এবং পরিচালিত। স্বেচ্ছাসেবীরা বিশ্বব্যাপী সম্মিলিতভাবে ২৯৯টি ভাষার উইকিপিডিয়ায় প্রায় ৩৫ মিলিয়ন নিবন্ধ রচনা করেছেন, যার মধ্যে শুধু ইংরেজি উইকিপিডিয়ায় রয়েছে ৫৩ লক্ষের অধিক নিবন্ধ। যে কেউ ওয়েবসাইটে প্রবেশের মাধ্যমে যে কোনো নিবন্ধের সম্পাদনা করতে পারেন, যা সম্মিলিতভাবে ইন্টারনেটের সর্ববৃহৎ এবং সর্বাধিক জনপ্রিয় সাধারণ তথ্যসূত্রের ঘাটতি পূরণ করে থাকে। ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সালে, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায় উইকিপিডিয়া সব ওয়েবসাইটের মধ্যে বিশ্বব্যাপী পঞ্চম স্থানে অবস্থান করছে, "মাসিক প্রায় ১৮ বিলিয়ন পৃষ্ঠা প্রদর্শন এবং প্রায় ৫০০ মিলিয়ন স্বতন্ত্র পরিদর্শক নিয়ে..., উইকিপিডিয়ায় ইয়াহু, ফেসবুক, মাইক্রোসফট এবং গুগলের পথানুসরণ করে, সর্বাধিক ১.২ বিলিয়ন স্বতন্ত্র পরিদর্শক রয়েছে।"জানুয়ারি ১৫, ২০০১ সালে জিমি ওয়েলস এবং ল্যারি স্যাঙ্গার উইকিপিডিয়া চালু করেন, পরবর্তীতে এর নাম তৈরি করেন, একটি পিন্ডারিশব্দে উইকি (এটি সম্মিলিত ওয়েবসাইটের এক প্রকার নাম, হাওয়াইয়ান ভাষায় "হাঁটা") এবং বিশ্বকোষ। 'উইকি উইকি' মানে দাঁড়িয়ে ছোট-ছোট পায়ে হাঁটা। উইকি ওয়েব সংস্কৃতিতে সবার ছোট-ছোট অবদান যুক্ত হয়েই এই সাইটটির মত ক্রমবর্ধমান সংগ্রহ গড়ে ওঠে। বর্তমানে এটি সব থেকে বড় এবং সর্বাধিক জনপ্রিয় ইন্টারনেট ভিত্তিক তথ্যসূত্র হিসাবে ব্যবহার হয়।২০০৬ সালে, টাইম ম্যাগাজিন স্বীকৃত দেয় যে, উইকিপিডিয়ায় (ইউটিউব, রেডিট, মাইস্পেস, এবং ফেসবুক-এর পাশাপাশি) বিশ্বব্যাপী লাখ-লাখ মানুষের অংশগ্রহণে অনলাইন সহযোগিতা ও মিথষ্ক্রিয়া দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও উইকিপিডিয়া নিবন্ধের তাৎক্ষনিক খবর সংক্রান্ত দ্রুত হালনাগাদের কারণে এটি একটি সংবাদ সূত্র হিসেবেও খ্যাতি অর্জন করেছে।উইকিপিডিয়া ওয়েবসাইট উন্মুক্ত প্রকৃতির হওয়ায় এখানে লেখার মান, ধ্বংসপ্রবণতা এবং তথ্যের নির্ভুলতা রক্ষা করতে বিভিন্ন উদ্যোগ পরিচালিত হয়ে থাকে। তবে, কিছু নিবন্ধে অপরিক্ষীত বা অযাচাইকৃত বা অসঙ্গত তথ্য থাকতে পারে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর স্থল শাখা। এটি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সর্ববৃহৎ শাখা। সেনাবাহিনীর প্রাথমিক দায়িত্ব হচ্ছে বাংলাদেশের ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষা সহ সব ধরনের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহায়তায় প্রয়োজনীয় শক্তি ও জনবল সরবরাহ করা। সেনাবাহিনীর সব ধরনের কর্মকান্ড সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সেনা শাখা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। প্রাথমিক দায়িত্বের পাশাপাশি যেকোন জাতীয় জরুরি অবস্থায় বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় এগিয়ে আসতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সাংবিধানিক ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
লিওনেল আন্দ্রেস “লিও” মেসি কুচ্চিত্তিনি (স্পেনীয়: Lionel Andrés Messi Cuccittini; স্পেনীয় উচ্চারণ: [ljoˈnel anˈdɾes ˈmesi] ( শুনুন); জন্ম: ২৪ জুন ১৯৮৭) একজন আর্জেন্টাইন পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড় যিনি স্পেনের সর্বোচ্চ স্তরের পেশাদার ফুটবল লীগ প্রতিযোগিতা লা লিগাতে ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা এবং আর্জেন্টিনার জাতীয় ফুটবল দলের পক্ষে একজন ফরোয়ার্ড (আক্রমণভাগের খেলোয়াড়) হিসেবে খেলেন। তিনি বর্তমানে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের অধিনায়ক। মাত্র ২১ বছর বয়সেই মেসি বালোঁ দর এবং ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড় পুরস্কার দু’টির জন্য মনোনীত হন। পরের বছর তিনি প্রথমবারের মত বালোঁ দর এবং ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেন। ২০১০ খ্রিস্টাব্দ থেকে বালোঁ দর এবং ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড় পুরস্কার দুটিকে এক করে নাম দেওয়া হয় ফিফা বালোঁ দর। উদ্বোধনী বছরেই এই পুরস্কার জিতেন তিনি। এরপর ২০১১ এবং ২০১২ সালের পুরস্কারও জিতেন তিনি। ২০১১–১২ মৌসুমে তিনি ইউরোপের সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হন। ২৪ বছর বয়সেই তিনি সব ধরণের অফিসিয়াল প্রতিযোগিতায় বার্সেলোনার সর্বোচ্চ গোলদাতায় পরিণত হন। ২৫ বছর বয়সে তিনি লা লিগায় সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে ২০০ গোল করার কৃতিত্ব অর্জন করেন। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ক্লাব ও জাতীয় দল - উভয় মিলিয়ে তিনি তার ক্যারিয়ারের ৪০০তম অফিসিয়াল গোল করেন। একই বছরের নভেম্বরে তিনি লা লিগা ও চ্যাম্পিয়নস লীগের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতায় পরিণত হন। ২০১৭ সালের মে মাসে তিনি বার্সেলোনার হয়ে নিজের ৫০০ তম গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন।
ঝুলন পূর্ণিমা হল শ্রীকৃষ্ণের অনুগামীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। অমাবস্যায় পরের একাদশী থেকে আরম্ভ করে শ্রাবনী পূর্ণিমা পর্যন্ত চলে উৎসবের সমারোহ। এটি দোল পূর্ণিমার পরবর্তী বৈষ্ণবদের বড়ো উৎসব। দোলনা সাজানো, ভক্তিমূলক গান, নাচ, সব মিলিয়ে রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলার এটি একটি বিশেষ উৎসব। ভারতের এই উৎসবে দেশ-বিদেশ থেকে বহু দর্শনার্থীদের আগমন ঘটে। নবদ্বীপে ঝুলন উৎসব একটি বিশেষ আকর্ষণ। এই উৎসব সাধারণত শ্রাবণ মাসেই হয়ে থাকে।
চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রাচীনতম পদ সংকলন তথা সাহিত্য নিদর্শন। নব্য ভারতীয় আর্যভাষারও প্রাচীনতর রচনা এটি। খ্রিস্টীয় অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে রচিত এই গীতিপদাবলির রচয়িতারা ছিলেন সহজিয়া বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যগণ। বৌদ্ধ ধর্মের গূঢ় অর্থ সাংকেতিক রূপের আশ্রয়ে ব্যাখ্যার উদ্দেশ্যেই তাঁরা পদগুলো রচনা করেছিলেন। বাংলা সাধন সংগীত শাখাটির সূত্রপাতও হয়েছিলো এই চর্যাপদ থেকেই। সে বিবেচনায় এটি একটি ধর্মগ্রন্থজাতীয় রচনা। একই সঙ্গে সমকালীন বাংলার সামাজিক ও প্রাকৃতিক চিত্রাবলি এই পদগুলোতে উজ্জ্বল। এর সাহিত্যগুণ এখনও চিত্তাকর্ষক। ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থশালা থেকে চর্যার একটি খণ্ডিত পুঁথি উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে আচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ভাষাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে চর্যাপদের সঙ্গে বাংলা ভাষার অনস্বীকার্য যোগসূত্র বৈজ্ঞানিক যুক্তিসহ প্রতিষ্ঠিত করেন। চর্যাপদের প্রধান কবিগণ হলেন লুইপাদ, কাহ্নপাদ, ভুসুকুপাদ, শবরপাদ প্রমুখ।
মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী (গুজরাটি: મોહનદાસ કરમચંદ ગાંધી উচ্চারণ মোহান্দাস্ কারাম্চান্দ্ গান্ধী) বা মহাত্মা গান্ধী (২রা অক্টোবর, ১৮৬৯ - ৩০শে জানুয়ারি, ১৯৪৮) অন্যতম প্রধান ভারতীয় রাজনীতিবিদ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রগামী ব্যক্তিদের একজন এবং প্রভাবশালী আধ্যাত্মিক নেতা। তিনি ছিলেন সত্যাগ্রহ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা। এর মাধ্যমে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে জনসাধারণের অবাধ্যতা ঘোষিত হয়েছিল। এ আন্দোলন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল অহিংস মতবাদ বা দর্শনের উপর এবং এটি ছিল ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম চালিকা শক্তি, সারা বিশ্বে মানুষের স্বাধীনতা এবং অধিকার পাওয়ার আন্দোলনের অন্যতম অনুপ্রেরণা।
পাকিস্তান তথা ইসলামী প্রজাতন্ত্রী পাকিস্তান (উর্দু: اسلامی جمہوریۂ پاکستان; ইস্লামী জাম্হূরিয়া-এ-পাকিস্তান্) দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত একটি দেশ। দেশটি দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া এবং মধ্য এশিয়ার সংযোগস্থলে অবস্থিত। পাকিস্তান ভারতীয় উপমহাদেশের অংশ। দেশটির প্রায় হাজার কিলোমিটার লম্বা সৈকতরেখা আছে। এর দক্ষিণদিকে (আরব সাগর)। পশ্চিমে রয়েছে আফগানিস্তান ও ইরান, পূর্বে ভারত, এবং উত্তর-পূর্বে চীনের তিব্বত ও শিঞ্চিয়াং এলাকাগুলো। ইসলামাবাদ পাকিস্তানের রাজধানী। করাচি দেশটির বৃহত্তম শহর।
ভারতের রাজ্যসমূহ ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলসমূহ
ভারত হল ২৯টি রাজ্য ও ৭টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল নিয়ে গঠিত একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় রাজ্যসংঘ। ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি আবার জেলা এবং জেলাগুলি ক্ষুদ্রায়তন প্রশাসনিক বিভাগে বিভক্ত।
শাহরুখ খান (হিন্দি: शाहरुख़ ख़ान, ইংরেজি: Shah Rukh Khan; আ-ধ্ব-ব: /ʃɑːhrux xɑːn/; জন্ম শাহরুখ খান; নভেম্বর ২, ১৯৬৫), অনানুষ্ঠানিকভাবে এসআরকে হিসাবে ডাকা হয়, একজন বিখ্যাত ভারতীয় অভিনেতা, প্রযোজক, টেলিভিশন উপস্থাপক এবং মানবপ্রেমিক। ১৯৮০ এর শেষের দিকে বেশ কিছু টেলিভিশন সিরিয়ালে অভিনয়ের মাধ্যমে তাঁর অভিনয় জীবন শুরু করেন। ১৯৯২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত দিওয়ানা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন। এরপর তিনি অসংখ্য বাণিজ্যিকভাবে সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন এবং খ্যাতি অর্জন করেন। শাহরুখ খান চৌদ্দবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন। এর মধ্যে আটটিই সেরা অভিনেতার পুরস্কার। তিনি বলিউডের অন্যতম সফল অভিনেতা। হিন্দি চলচ্চিত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য ২০০২ সালে ভারত সরকার শাহরুখ খানকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করে।
ইব্রাহিম বা ইব্রাহীম, সম্মানার্থে হযরত ইব্রাহিম (আ.) (আরবি: ابراهيم, হিব্রু ভাষায়: אַבְרָהָם) তোরাহ অনুসারে আব্রাহাম (ইংরেজি: Abraham) (আনুমানিক জন্ম: ১৯০০ খৃষ্ট পূর্বাব্দ থেকে ১৮৬১ খৃষ্ট পূর্বাব্দে জন্ম – মৃত্যু: ১৮১৪ খৃষ্ট পূর্বাব্দ থেকে ১৭১৬ খৃষ্ট পূর্বাব্দ), ইসলাম ধর্মের একজন গুরুত্বপূর্ণ নবী ও রাসূল।পবিত্র কুরআনে তাঁর নামে একটি সূরাও রয়েছে। পুরো কুরআনে অনেকবার তাঁর নাম উল্লেখিত হয়েছে। ইসলাম ধর্মমতে, তিনি মুসলিম জাতির পিতা। ইসলাম ছাড়াও, ইহুদি ও খ্রিস্টধর্মেও ইব্রাহিম শ্রদ্ধাস্পদ ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছেন। এজন্য ইবরাহিমকে সেমেটিক ধর্মগুলোর জনকও বলা হয়ে থাকে। কা'বুল আহবার-এর মতে তিনি ১৯৫ বছর জীবিত ছিলেন। সৃষ্টিকর্তার প্রতি তার দৃঢ় বিশ্বাসের এর ফলে সৃষ্টিকর্তা তাকে সর্বকালের সকল জাতির নেতা বানানোর প্রতিজ্ঞা করেন। ইসলামে তার কার্যক্রম কে স্মরণ করে ঈদুল আযহা পালিত হয়। ইব্রাহিম ও তার শিশুপুত্র ইসমাইল ইসলামে কুরবানি ও হজ্জের বিধান চালু করেন যা বর্তমানের মুসলিমদের দ্বারাও পালিত হয়।
ভূমির পরিমাণ পদ্ধতি বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। বাংলাদেশে ভূমি সংক্রান্ত যাবতীয় দলিলা লিখন, সরকারি হিসাব ও অফিসের কাজে ব্যবহার্য দুই প্রকার পরিমাপ হলো শতাংশের হিসাব ও কাঠা'র হিসাব। অবশ্য এই দুইয়ের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। আর তা হলো এই যে এক একরের এক শত ভাগের এক ভাগকে বলা হয় "এক শতাংশ" জমি (অধিকতর প্রচলিত শব্দবন্ধ হলো "এক ডেসিমাল জমি")। অন্যদিকে কাঠার উর্ধ্বতর একক হলো "বিঘা" এবং বিঘা'র উর্ধ্বতর একক হলো "একর।" ২০ কাঠা সমান এক বিঘা জমি এবং তিন বিঘা সমান এক একর জমি। এই পরিমাপ সর্বজনীন, এবং "সরকারি মান" ( Standard Measurement) হিসেবে অনুমোদিত। বাংলাদেশে ঐতিহ্যগত ভাবে গান্টার শিকল জরীপ পদ্ধতিতে জমির পরিমাণ মাপা হয়ে থাকে। আন্তজার্তিক প্রয়োজনে কখনো কখনো সরকারী কাগজে হেক্টর ব্যহার করা হয়ে থাকে।
আব্দুর রাজ্জাক (২৩শে জানুয়ারি ১৯৪২ - ২১শে আগস্ট ২০১৭) ছিলেন একজন জনপ্রিয় বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা যিনি নায়করাজ রাজ্জাক নামে সুপরিচিত। বাংলা চলচ্চিত্র পত্রিকা চিত্রালীর সম্পাদক আহমদ জামান চৌধুরী তাকে নায়করাজ উপাধি দিয়েছিলেন। নিজের জন্মস্থান কলকাতায় সপ্তম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত অবস্থায় মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে তাঁর অভিনয় জীবন শুরু করেন এবং ১৯৬৬ সালে ১৩ নম্বর ফেকু ওস্তাগার লেন চলচ্চিত্রে একটি ছোট চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে তাঁর অভিষেক ঘটে। তিনি জহির রায়হানের বেহুলা চলচ্চিত্রে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করেন। ষাটের দশকের শেষের দিকে এবং সত্তরের দশকেও তাঁকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের প্রধান অভিনেতা হিসেবে বিবেচনা করা হত। অভিনয় জীবনে তিনি বেহুলা, আগুন নিয়ে খেলা, এতটুকু আশা, নীল আকাশের নীচে, জীবন থেকে নেয়া, ওরা ১১ জন, অবুঝ মন, রংবাজ, আলোর মিছিল, অশিক্ষিত, ছুটির ঘণ্টা এবং বড় ভালো লোক ছিলসহ মোট ৩০০টি বাংলা ও উর্দু ভাষার চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি সব মিলিয়ে ১৬টি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন। তার মালিকানার রাজলক্ষী প্রোডাকশন থেকে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়।২০১৫ সালে বাংলাদেশ সরকার সংস্কৃতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য তাঁকে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে। ১৯৭৬, ১৯৭৮, ১৯৮২, ১৯৮৪ ও ১৯৮৮ সালে তিনি মোট পাঁচবার শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৩ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তাকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করা হয়। এছাড়াও তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য বাচসাস পুরস্কার, মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। ২০১৭ সালের ২১শে আগস্ট ৭৫ বছর বয়সে তিনি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
মুখকাম বা মুখমৈথুন যেটাকে কখনো কখনো মুখসঙ্গম ও বলা হয় হচ্ছে একটি যৌনকর্ম যাতে একজন নারী বা পুরুষ তার সঙ্গীর যৌনাঙ্গ চুষে থাকেন। যদি নারীর যোনি চোষা হয় তবে সেটাকে যোনিলেহন এবং পুরুষের শিশ্ন চুষলে সেটাকে শিশ্নচোষণ বলা হবে (সমকামী বিষমকামী উভয়ের ক্ষেত্রেই)। এছাড়া মানবদেহের অন্যান্য জায়গায় চুষলেও সেটি মুখমৈথুন হিসেবে পরিগণিত হবে যেমন পাছা চুষলে পায়ুলেহন, স্তন চুষলে স্তনচোষণ, নাভির ক্ষেত্রে নাভিলেহন বা চোষণ,উরুর ক্ষেত্রে উরুচোষণ, বগলের ক্ষেত্রে বগলচোষণ ইত্যাদি। মুখমৈথুন প্রেম-ভালোবাসার প্রকাশ কিংবা যৌনমিলন শুরু করার পূর্বে শৃঙ্গার কর্ম হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে, আজকাল এই ধরণের কর্ম একটি স্বতন্ত্র 'যৌনসঙ্গম' হিসেবেও পরিগণিত হয়। এই ধরণের যৌনক্রিয়ার মাধ্যমে অনেক রোগ হতে পারে যেমন মুখে ঘা।
অবন্তি বিশ্বাস অপু (যিনি অপু বিশ্বাস নামেই পরিচিত) একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। তিনি ২০০৫ সালে আমজাদ হোসেনের কাল সকালে ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পদার্পণ করেন। ২০০৬ সালে এফআই মানিক পরিচালিত কোটি টাকার কাবিন ছবিতে প্রধান নায়িকা হয়ে অভিনয় করেন শাকিব খানের বিপরীতে। অপু বিশ্বাস ৭২টি ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন।
২০১৮ এশিয়ান গেমস এশিয়ার আঞ্চলিক বহু-ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এশিয়ান গেমসের ১৮তম আসর যা ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার দুটি প্রধান শহর, রাজধানী জাকার্তা ও দক্ষিণ সুমাত্রা প্রদেশের রাজধানী পালেম্বংয়ে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও জাকার্তাকে ঘিরে রাখা দুটি প্রদেশ, ব্যান্টেন ও পশ্চিম জাভার ক্রীড়া মাঠসমুহ অতিরিক্ত মাঠ হিসাবে প্রস্তুত রাখা হবে। প্রতিযোগিতার মূল আয়োজক ছিল হ্যানয় ভিয়েতনাম, কিন্ত তাদের আর্থিক সংকটের কারণে তারা নাম প্রত্যাহার করে নেয়। ২০১৪ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর এশিয়া অলিম্পিক কাউন্সিল এর নির্বাহী বোর্ডের সভায় ইন্দোনেশিয়াকে স্বাগতিক হিসাবে মনোনীত করা হয়। প্রতিযোগিতাটি মুলত ২০১৯ সালে আয়োজনের সিদ্ধান্ত ছিল কিন্ত ২০১৯ সালে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য ২০১৮ সালে আয়োজনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।
ভারতীয় ইউনিয়নের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তে নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ (অতীতের পূর্ববাংলা) এবং ভারতের বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, অসম ও সিক্কিম রাজ্য অবস্থিত। রাজ্যের উত্তরে হিমালয় পর্বতমালা ও দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। এর মধ্যবর্তী অঞ্চলে গঙ্গা পূর্বমুখে এবং তার শাখানদী হুগলি দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে। রাজ্যের উত্তরবঙ্গ অঞ্চলে অবস্থিত শিলিগুড়ি করিডোর উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে দেশের মূল ভূখণ্ডের সংযোগ রক্ষা করছে। পশ্চিমবঙ্গ একাধিক ভৌগোলিক অঞ্চলে বিভক্ত। যেমন, দার্জিলিং হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল, তরাই ও ডুয়ার্স অঞ্চল, রাঢ় অঞ্চল, পশ্চিমের উচ্চভূমি ও মালভূমি অঞ্চল, উপকূলীয় সমভূমি অঞ্চল, সুন্দরবন এবং গাঙ্গেয় বদ্বীপ অঞ্চল।১৯৪৭ সালে, যখন ভারত স্বাধীনতা করে, তখন ব্রিটিশ ভারতের বাংলা প্রদেশ বিভাজনের পরিকল্পনা অনুযায়ী উক্ত প্রদেশের ১৪টি জেলা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য গঠিত হয়। ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে পূর্বতন দেশীয় রাজ্য কোচবিহার একটি জেলা রূপে পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে পূর্বতন ফরাসি উপনিবেশ চন্দননগর রাজ্যের হুগলি জেলার একটি অংশরূপে যুক্ত হয়। ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে রাজ্য পুনর্গঠন আইন অনুযায়ী, পুরুলিয়া জেলার বঙ্গভুক্তি ঘটে এবং বিহারের অপর একটি অংশ পশ্চিম দিনাজপুরের সঙ্গে যুক্ত হয়। পরবর্তীকালে পশ্চিম দিনাজপুর, মেদিনীপুর, চব্বিশ পরগনা, ও জলপাইগুড়ি জেলার মতো বৃহদাকার জেলাগুলিকে দ্বিধাবিভক্ত করা হয়।
ইংরেজি বা ইংরাজি (English) ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাপরিবারের জার্মানীয় শাখার পশ্চিম দলের একটি ভাষা। উৎসবিচারে ইংরেজি ভাষাটির সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ভাষাটি হল ফ্রিজীয় ভাষা। এছাড়া এটির সাথে ওলন্দাজ ভাষা, ফ্লেমিশ ভাষা (বেলজিয়ামে প্রচলিত ওলন্দাজ ভাষার উপভাষা) ও নিম্ন জার্মান উপভাষাগুলির সম্পর্ক আছে। উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের গ্রেট ব্রিটেন দ্বীপের দক্ষিণাংশে অবস্থিত ইংল্যান্ড নামক দেশটিতে খ্রিস্টীয় ৫ম-৬ষ্ঠ শতকে ইংরেজি ভাষার জন্ম হয়। বর্তমানে এটি যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং ক্যারিবীয় সাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরে ছড়িয়ে থাকা অনেক দ্বীপরাষ্ট্রের প্রধান ভাষা। ইংরেজি প্রায় ৩৮ কোটি মানুষের মুখের মাতৃভাষা। মাতৃভাষী বক্তাসংখ্যার বিচারে এর অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়।
বিরাট কোহলি (পাঞ্জাবি: ਵਿਰਾਟ ਕੋਹਲੀ; উচ্চারণ ; জন্ম: ৫ নভেম্বর, ১৯৮৮) দিল্লিতে জন্মগ্রহণকারী ভারতের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। তিনি মাঝারি সারির ডানহাতি ব্যাটসম্যানরূপে পরিচিত। তবে, মাঝে-মধ্যে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবেও ব্যাটিংয়ে নেমে থাকেন তিনি। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম পেস বোলিং করে থাকেন। মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত ২০০৮ সালের আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের শিরোপা বিজয়ী ভারতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। বর্তমানে ভারতের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সকল স্তরে মহেন্দ্র সিং ধোনি’র পরিবর্তে তিনি অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও আইপিএলের দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর অধিনায়ক তিনি৷
দেশ অনুসারে মুসলমান জনসংখ্যার তালিকা
মুসলমান জনসংখ্যা বলতে বিশ্বে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা বোঝায়। ২০০৯-এ পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে বিশ্বে মোট জনসংখ্যার প্রায় চার ভাগের এক ভাগ মুসলমান। এ গবেষণা অনুযায়ী বর্তমানে পৃথিবীর জনসংখ্যা প্রায় ৬৮০ কোটি যার মধ্যে মুসলমানদের সংখ্যা প্রায় ১৫৭ কোটি, অর্থাৎ বর্তমান বিশ্বে মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৩ শতাংশ মুসলমান । আর মুসলমানদের মধ্যে প্রায় ২০ শতাংশ এশিয়া মহাদেশে বসবাস করে। ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ২০ কোটি ৩০ লাখ মুসলমান বাস করে যা বিশ্বে মোট মুসলমান জনসংখ্যার প্রায় ১৩%। পাকিস্তানে ১৭ কোটি ৪০ লাখ, ভারতে ১৭ কোটি ৭২ লাখ, বাংলাদেশে ১৪ কোটি ৫০ লাখ, এবং ইরান ও তুরস্কে ৭ কোটি ৪০ লাখ মুসলিম বসবাস করে । এই ছয় দেশে বিশ্বের মোট মুসলমান জনসংখ্যার প্রায় ৫৩% বাস। আর এর মধ্যে এশিয়াতে বাস প্রায় ৮৫%। এশিয়ার মুসলমানদের মধ্যে আবার প্রায় অর্ধেক বাস করে দক্ষিণ এশিয়ায় । মধ্যপ্রাচ্যে ও উত্তর আফ্রিকায় ৩১ কোটি ৫০ লাখ মুসলমান বসবাস করে। নিম্ন-সাহারা এলাকায় প্রায় ২৪ কোটি মুসলিমের বসবাস, যা মোট মুসলমান জনসসংখ্যার প্রায় ১৫%। তাছাড়া প্রায় ৩০ কোটি মুসলমান বাস করে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে। ভারতে মুসলিমদের সংখ্যা বিশ্বে তৃতীয়, যা ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তানের পরে। চীনে জনসংখ্যার প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মুসলমান যা সিরিয়ার থেকে বেশী অন্যদিকে রাশিয়ার মুসলমান জনসংখ্যা ১ কোটি ৬০ লাখ যা জর্ডান ও লিবিয়া দুই দেশের মুসলমান জনগোষ্ঠীর চেয়েও বেশী। ইউরোপে প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ মুসলমান বসবাস করে ।
শিব (/ˈʃivə/; Sanskrit: शिवः, Śiva, অর্থাৎ ‘মঙ্গলময় পুরুষ লিঙ্গ’) হলেন হিন্দুধর্মের মূল স্তম্ভ ত্রিশক্তির (ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব) প্রধান । তিনি সমসাময়িক হিন্দুধর্মের তিনটি সর্বাধিক প্রভাবশালী সম্প্রদায়ের অন্যতম শৈব সম্প্রদায়ের প্রধান দেবতা। এছাড়া শিব স্মার্ত সম্প্রদায়ে পূজিত ঈশ্বরের পাঁচটি প্রধান রূপের (গণেশ, শিব, সূর্য, বিষ্ণু ও দুর্গা) একটি রূপ। তিনি ধ্বংস, সংহার ও প্রলয়ের দেবতা।সর্বোচ্চ স্তরে শিবকে অসীম, সর্বোৎকর্ষ, অপরিবর্তনশীল ও নিরাকার মনে করা হয়। শিবের অনেকগুলি সদাশয় ও ভয়ঙ্কর মূর্তিও আছে। সদাশয় রূপে তিনি একজন সর্বজ্ঞ যোগী। তিনি কৈলাস পর্বতে সন্ন্যাসীর জীবন যাপন করেন। আবার গৃহস্থ রূপে তিনি পার্বতীর স্বামী। তাঁর দুই পুত্র বর্তমান। এঁরা হলেন গণেশ ও কার্তিক। ভয়ঙ্কর রূপে তাঁকে প্রায়শই দৈত্যবিনাশী বলে বর্ণনা করা হয়। শিবকে যোগ, ধ্যান ও শিল্পকলার দেবতাও মনে করা হয়।শিবমূর্তির প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল তাঁর তৃতীয় নয়ন, গলায় বাসুকী নাগ, জটায় অর্ধচন্দ্র, জটার উপর থেকে প্রবাহিত গঙ্গা, অস্ত্র ত্রিশূল ও বাদ্য ডমরু। শিবকে সাধারণত ‘শিবলিঙ্গ’ নামক বিমূর্ত প্রতীকে পূজা করা হয়।
প্রদোষচন্দ্র মিত্র ওরফে ফেলুদা সত্যজিৎ রায় সৃষ্ট বাংলা সাহিত্যের একটি জনপ্রিয় কাল্পনিক গোয়েন্দা চরিত্র। ১৯৬৫ সালের ডিসেম্বর মাসের সন্দেশ পত্রিকায় ফেলুদা সিরিজের প্রথম গল্প "ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি" প্রকাশিত হয়। ১৯৬৫ থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত এই সিরিজের মোট ৩৫টি সম্পূর্ণ ও চারটি অসম্পূর্ণ গল্প ও উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। ফেলুদার প্রধান সহকারী তাঁর খুড়তুতো ভাই তপেশরঞ্জন মিত্র ওরফে তোপসে ও লেখক লালমোহন গাঙ্গুলি (ছদ্মনাম জটায়ু)। ফেলুদার চরিত্র নির্মাণে সত্যজিৎ রায় তার ছোটবেলায় পড়া শার্লক হোমস এর গোয়েন্দা গল্পের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন। তাই ফেলুদার চরিত্রের সাথে অনেক জায়গায় আমরা হোমসের আর ফেলুদার ভাই ও সহকারি তোপসের সাথে হোমসের সহকারি ওয়াটসনের মিল পাই। নিজের লেখা অধিকাংশ গল্পের বইয়ের মতই ফেলুদার বইতেও সত্যজিৎ রায় নিজেই প্রচ্ছদ ও অলংকরণ করতেন। সত্যজিৎ রায় ফেলুদার সোনার কেল্লা ও জয় বাবা ফেলুনাথ উপন্যাসদুটিকে চলচ্চিত্রায়িত করেন। এই দুই ছবিতে কিংবদন্তি চলচ্চিত্র অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ফেলুদার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। আর তাই তার অধিকাংশ বইয়ের ফেলুদার ছবির অলংকরণে সৌমিত্র চট্টপাধায়ের আদলের ছাপ স্পষ্ট। একই ভাবে জটায়ু চরিত্রের অলঙ্করণে স্পষ্ট সিনেমায় এই চরিত্রের জন্য তাঁর নির্বাচিত অভিনেতা সন্তোষ দত্তের আদল। বর্তমানে সত্যজিতের পুত্র সন্দীপ রায় ফেলুদার গল্প ও উপন্যাস নিয়ে টেলিভিশন ধারাবাহিক ও চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। ফেলুদার রহস্য খুব জটিল।
স্তন হল স্তন্যপায়ী প্রাণীদের শরীরে দুগ্ধ (স্তন্য) উৎপাদনকারী গ্রন্থি। স্ত্রী এবং পুরুষ উভয়লিঙ্গেই স্তন থাকলেও একমাত্র স্ত্রী প্রাণীই দুগ্ধ উৎপাদনে সক্ষম। বয়ঃসন্ধিকালে অর্থাৎ যৌবনাগমনে স্ত্রী শরীরে স্তন বিকশিত হতে আরম্ভ করে এবং আকারে বৃদ্ধি পায় ও স্থুলতা লাভ করে। সাধারণত ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সের মধ্যেই স্তনপরিণতি সম্পূর্ণ হয়।। পুংশরীরে স্তন থাকলেও তা অপরিণত অবস্থাতেই থাকে এবং কয়েকটি বিরল ক্ষেত্র ব্যতীত তা থেকে দুগ্ধ নিঃসরণ হয় না। যৌবনপ্রাপ্ত স্ত্রীশরীরে পুষ্ট স্তনের আভাস প্রকটভাবে ফুটে ওঠে। প্রকৃতপক্ষে স্তন স্বেদগ্রন্থিরই বিবর্তিত রূপ। স্তন্যপায়ী প্রাণীর শরীরে স্বেদগ্রন্থি বিবর্তন লাভ করে স্তনে রূপান্তরিত হয়। মানবশরীরে দু'টি স্তন থাকে কিন্তু অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বহুক্ষেত্রেই দুইয়ের অধিক স্তন পরিলক্ষিত হয়। যৌন মিলনের সময় উত্তেজিত অবস্থায় নারী ও পুরুষ উভয়েরই স্তনের বোঁটা ফুলে ওঠে ।
আবুল পাকির জয়িনুল-আবেদিন আব্দুল কালাম (তামিল: அவுல் பக்கிர் ஜைனுலாபுதீன் அப்துல் கலாம்); (/ˈæbdʊl kəˈlɑːm/); (১৫ অক্টোবর ১৯৩১ - ২৭ জুলাই ২০১৫) ছিলেন ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের একাদশ রাষ্ট্রপতি (২০০২ - ২০০৭)। কালাম তাঁর কর্মজীবন শুরু করেছিলেন একজন বিজ্ঞানী হিসেবে। পরে তিনি ঘটনাচক্রে গণপ্রজাতন্ত্রী ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। কালামের জন্ম বর্তমান ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের রামেশ্বরমে। তিনি পদার্থবিদ্যা বিষয়ে সেন্ট জোসেফ'স কলেজ থেকে এবং বিমান প্রযুক্তিবিদ্যা (এরোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং) বিষয় নিয়ে মাদ্রাজ ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (এম আই টি) থেকে পড়াশোনা করেছিলেন। এরপর চল্লিশ বছর তিনি প্রধানত রক্ষা অনুসন্ধান ও বিকাশ সংগঠন (ডিআরডিও) ও ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থায় (ইসরো) বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞান প্রশাসক হিসেবে কাজ করেন। ভারতের অসামরিক মহাকাশ কর্মসূচি ও সামরিক সুসংহত নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচির সঙ্গে তিনি অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত ছিলেন। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও মহাকাশযানবাহী রকেট উন্নয়নের কাজে তাঁর অবদানের জন্য তাঁকে ‘ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র মানব’ বা ‘মিসাইল ম্যান অফ ইন্ডিয়া’ বলা হয়। ১৯৯৮ সালে পোখরান-২ পরমাণু বোমা পরীক্ষায় তিনি প্রধান সাংগঠনিক, প্রযুক্তিগত ও রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করেন। এটি ছিল ১৯৭৪ সালে স্মাইলিং বুদ্ধ নামে পরিচিত প্রথম পরমাণু বোমা পরীক্ষার পর দ্বিতীয় পরমাণু বোমা পরীক্ষা।২০০২ সালে কালাম তৎকালীন শাসকদল ভারতীয় জনতা পার্টি ও বিরোধী দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সমর্থনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। পাঁচ বছর এই পদে আসীন থাকার পর তিনি শিক্ষাবিদ, লেখক ও জনসেবকের সাধারণ জীবন বেছে নেন। ভারতের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ভারতরত্নসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সম্মান ও পুরস্কার পেয়েছিলেন কালাম।
মানব যৌনাচার বা মানব যৌন-কর্মকাণ্ড দৈহিক সম্পর্কের একটি প্রাকৃতিক রুপমাত্র। জৈবিক পুনরুৎপাদন (মানব প্রজনন), আত্মিক সীমাতিক্রমী, আকর্ষণের বহিঃপ্রকাশ অথবা আনন্দ এবং সুখ লাভ প্রভৃতি যে কোন কারণেই এটি হয়ে থাকে। কামবাসনা মানবীয় আচারের একটি মৌলিক চালিকাশক্তি যা জন্মসূত্রেই প্রতিটি মানবের মাঝে বিদ্ধ থাকে। যৌনকার্যে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি প্রাণীরই যৌনতার একটি নির্দিষ্ট সীমা রয়েছে যা সম্পর্কের ভিত রচনা করে এবং এই সীমা নির্ধারণ করে তার সমাজব্যবস্থা এবং আইন।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ (BANGABONDHU-1) বাংলাদেশের প্রথম ভূস্থির যোগাযোগ উপগ্রহ। এটি ১১ মে ২০১৮ ইডিটি, বাংলাদেশ মান সময় ১২ মে ভোর ০২:১৪ তে কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। এর মধ্য দিয়ে ৫৭ তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী দেশের তালিকায় যোগ হয় বাংলাদেশ। এই প্রকল্পটি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন কর্তৃক বাস্তবায়িত হয় এবং এটি ফ্যালকন ৯ ব্লক ৫ রকেটের প্রথম পেলোড উৎক্ষেপণ ছিল।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ (ইংরেজি: World War II, Second World War, WWII, WW2) মানবসভ্যতার ইতিহাসে এযাবৎকাল পর্যন্ত সংঘটিত সর্ববৃহৎ এবং সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধ। ১৯৩৯ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল, এই ছয় বছর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়সীমা ধরা হলেও ১৯৩৯ সালের আগে এশিয়ায় সংগঠিত কয়েকটি সংঘর্ষকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অংশ হিসেবে গণ্য করা হয়। তৎকালীন বিশ্বে সকল পরাশক্তি এবং বেশিরভাগ রাষ্ট্রই এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে এবং দুইটি বিপরীত সামরিক জোটের সৃষ্টি হয়; মিত্রশক্তি আর অক্ষশক্তি। এই মহাসমরকে ইতিহাসের সবচেয়ে বিস্তৃত যুদ্ধ বলে ধরা হয়, যাতে ৩০টি দেশের সব মিলিয়ে ১০ কোটিরও বেশি সামরিক সদস্য অংশগ্রহণ করে। অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্রসমূহ খুব দ্রুতএকটি সামগ্রিক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে এবং সামরিক ও বেসামরিক সম্পদের মধ্যে কোনরকম পার্থক্য না করে তাদের পূর্ণ অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা প্রয়োগ করা শুরু করে। এছাড়া বেসামরিক জনগণের উপর চালানো নির্বিচার গণহত্যা, হলোকস্ট (হিটলার কর্তৃক ইহুদীদের উপর চালানো গণহত্যা), পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র পারমাণবিক অস্ত্রের প্রয়োগ প্রভৃতি ঘটনায় কুখ্যাত এই যুদ্ধে প্রায় ৫ কোটি থেকে সাড়ে ৮ কোটি মানুষ মৃত্যুবরণ করে। এসব পরিসংখ্যান এটাই প্রমাণ করে যে এটাই পৃথিবীর ইতিহাসে নৃশংসতম যুদ্ধ।পূর্ব এশিয়ায় একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের লক্ষে জাপান ইতোমধ্যেই ১৯৩৭ সালে প্রজাতন্ত্রী চীনে আক্রমণ করে। পরবর্তীতে ১৯৩৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর জার্মানি পোল্যান্ড আক্রমণ করে এবং তার ফলশ্রুতিতে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। দ্বিতীয় ঘটনাটিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা বলে গণ্য করা হয়। ১৯৩৯ থেকে ১৯৪১ পর্যন্ত একনাগাড়ে বেশ কয়েকটি যুদ্ধ অভিযান পরিচালনা আর চুক্তি সম্পাদনার মাধ্যমে জার্মানি ইতালির সাথে একটি মিত্রজোট গঠন করে এবং ইউরোপ মহাদেশের অধিকাংশ অঞ্চল নিজের দখলে বা নিয়ন্ত্রণে আনতে সমর্থ হয়। মলোটভ- রিবেনট্রপ চুক্তি অনুসারে জার্মানি আর সোভিয়েত ইউনিয়ন তাদের দখলিকৃত পোল্যান্ড, ফিনল্যান্ড ও বাল্টিক রাষ্ট্রসমূহ নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়। এই সময় শুধু যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য ব্রিটিশ কমনওয়েলথভুক্ত দেশসমূহ অক্ষশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছিল (যেমন 'উত্তর আফ্ৰিকার যুদ্ধসমূহ’ আর বহুদিন ধরে চলা ‘আটলান্টিকের যুদ্ধ’)। ১৯৪১ সালের জুন মাসে ইউরোপীয় অক্ষশক্তি সোভিয়েত ইউনিয়ন আক্রমণ করে যার ফলশ্রুতিতে সমর ইতিহাসের সর্বাপেক্ষা বৃহৎ রণাঙ্গনের অবতারণা ঘটে। এই আক্রমণ অক্ষশক্তির সামরিক বাহিনীর একটা বড় অংশকে মূল যুদ্ধ থেকে আলাদা করে রাখে। ১৯৪১ সালের ডিসেম্বরে জাপান অক্ষশক্তিতে যোগদান করে এবং প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় উপনিবেশগুলো আক্রমণ করে অত্যন্ত দ্রুততার সাথে পশ্চিম প্ৰশান্ত মহাসাগরের অধিকাংশ অঞ্চল জয় করতে সক্ষম হয়।
ইসলামী যৌন আইনশাস্ত্র বা যৌনতা বিষয়ক ফিকহ বলতে সেইসব ইসলামী অনুশাসন বোঝায় যেগুলো দ্বারা মুসলিমদের যৌনাচার নিয়ন্ত্রিত হবে। এইসব অণুশাসন বহির্ভুত সকল প্রকার যৌনাচার ইসলামী মতে নিষিদ্ধ বা হারাম। মানব জীবনের যৌন চাহিদা ইসলাম কর্তৃক স্বীকৃত কিন্তু যৌনাচারের পন্থা সম্পর্কে রয়েছে অনুশাসন। মানুষের বিবিধ যৌনাচার অনুমোদনযোগ্য কিনা তা দুটি বিষয় থেকে অনুমানযোগ্য। প্রথমত: যৌনাচারের মূল উদ্দেশ্য বংশবৃদ্ধি এবং দ্বিতীয়ত: নারী ও পুরুষ কেবল রীতিসিদ্ধ উপায়ে বিয়ের মাধ্যমে যৌনাচারের প্রাধিকার অর্জন করে। ইসলামে যৌনতা বিষয়ক নিয়মাবলি ইসলামী প্রধান ধর্মগ্রন্থ কুরআন, ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সঃ)-এর বাণী ও কর্ম যা হাদীস নামে পরিচিত, ইসলামিক নেতৃবৃন্দ কর্তৃক প্রদত্ত ফতোয়া প্রভৃতিতে ব্যাপক ও বিস্তারিত ভাবে বলা হয়েছে, যা নারী ও পুরুষের মাঝে নিয়মতান্ত্রিক যৌন সম্পর্কের মধ্যে সীমিত। যদিও অধিকাংশ ঐতিহ্য সন্ন্যাসদশা ও কৌমার্যকে নিরুৎসাহিত করে থাকে, তবুও সকল ঐতিহ্যেই লিঙ্গসমূহের মধ্যে যে কোন সম্পর্কের ক্ষেত্রে কঠোর সতীত্ব ও শালীনতাকে উৎসাহিত করে, যা এই বিষয়টিকে তুলে ধরে যে, তাদের ইসলাম স্বীকৃত আন্তরিক সম্পর্ক জীবনের জন্য একটি পরিবেষ্টনীস্বরূপ এবং যৌন কর্মকাণ্ড থেকেও অনেক বিস্তৃত, যা বিবাহের জন্য ব্যাপকভাবে সংরক্ষিত। বিবাহের বাইরে লিঙ্গ পার্থক্যকরণ ও শালীনতার এই চেতনা ইসলামের বর্তমান পরিচিত বৈশিষ্ট্যের মাঝে দেখতে পাওয়া যায়, যেমন ইসলামী পোশাকের ব্যাখ্যা এবং লিঙ্গ বিভাজনের মূল্যবোধসমুহ।
যৌনখেলনা প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের ব্যবহার্য এক শ্রেণীর সামগ্রী যা যৌনক্রিয়ায় সহায়ক হিসাবে কেউ-কেউ ব্যবহার করে থাকে। রাবারের তৈরি কৃত্রিম লিঙ্গ বা বাতাস দিয়ে ফুলানো যায় এরকম প্লাস্টিকের নারী-পুতুল যৌনখেলনা হিসাবে উল্লেখযোগ্য। এসবের উদ্দেশ্য নর-নারীর যৌনসুখ বৃদ্ধি করা। তবে বস্তুতঃ যৌনউপাচার হিসাবে এগুলোর কার্যকারীতা সীমিত বিধায় এসকল সামগ্রীকে খেলনা হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়।
জিৎ নামে পরিচিত জিতেন্দ্র মদনানী ভারতের বিশেষত পশ্চিমবঙ্গের একজন বিখ্যাত অভিনেতা। তিনি ২০০৫ সালে তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র সাথী-তে তার ভূমিকার জন্য বি.এফ.জে.এ সবচেয়ে সম্ভাবনাময় অভিনেতার পুরস্কার পান। এই ছবিটি বাণিজ্যিক সাফল্যও লাভ করে। তিনি স্টার জলসা পরিবার অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন, টিভি শো কোটি টাকার বাজি রিয়েলিটি শো-এ সঞ্চালক হওয়ার জন্য। তিনি টলিউডের সর্বোচ্চ হিট ছবিতে অভিনয়ের গৌরব অর্জন করেন। ঐ ছবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছবি হলঃ সাথী, জোশ, শত্রু, দুই পৃথিবী, ফাইটার, "পাওয়ার,"বচ্চন","১০০% লাভ, এবং ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত রেকর্ড করা ছবি আওয়ারা। তিনি ২০১২ সালের আনন্দলোক অ্যাওয়ার্ড পান এই আওয়ারা ছবিতে অভিনয়ের জন্য। বর্তমানে তিনি বাংলা ছবির অন্যতম সুপারস্টার।
এই নিবন্ধটি ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পূর্ববর্তী ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাস-সম্পর্কিত। ১৯৪৭-পরবর্তী ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের ইতিহাস জানতে হলে দেখুন ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের ইতিহাস নিবন্ধটি। এছাড়া পাকিস্তান বা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ইতিহাস জানতে হলে দেখুন যথাক্রমে পাকিস্তানের ইতিহাস ও বাংলাদেশের ইতিহাস। দক্ষিণ ভারত, অবিভক্ত বাংলা ও পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাস জানতে হলে দেখুন যথাক্রমে দক্ষিণ ভারতের ইতিহাস, বাংলার ইতিহাস ও পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাস।ভারতের ইতিহাস বলতে মূলত খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় সহস্রাব্দ থেকে খ্রিষ্টীয় বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত, ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন -মধ্যযুগীয় ও প্রাক-আধুনিক কালের ইতিহাসকেই বোঝানো হয়। খ্রিষ্টের জন্মের প্রায় দশ লক্ষ(?) বছর আগে উক্ত ভূখণ্ডে প্রথম মানববসতি গড়ে উঠতে দেখা যায়। তবে ভারতের জ্ঞাত ইতিহাসের সূচনা হয় ৩৩০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ থেকে ১৩০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সিন্ধু সভ্যতার উন্মেষ ও প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে। পরবর্তী হরপ্পা যুগের সময়কাল ২৬০০ – ১৯০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দের সূচনায় এই ব্রোঞ্জযুগীয় সভ্যতার পতন ঘটে। সূচনা হয় লৌহ-নির্ভর বৈদিক যুগের। এই যুগেই সমগ্র গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলে মহাজনপদ নামে পরিচিত ১৬টি প্রধান প্রধান রাজ্য-তথা-জনবসতির উত্থান ঘটে। এই জনপদগুলির অধিকাংশই রাজতান্ত্রিক হলেও এদের মধ্যে "লিচ্ছিবি" ছিল গণতান্ত্রিক। এই জনপদের মধ্যে অন্যতম ছিল মগধ।খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে মগধে জন্মগ্রহণ করেন মহাবীর ও গৌতম বুদ্ধ; পরবর্তীকালে যাঁরা ভারতের জনসাধারণের মধ্যে শ্রমণ ধর্মদর্শন প্রচার করেন।
বীর্য (ইংরেজি: Semen) একপ্রকার জৈবিক তরল যা যৌনসঙ্গমের শেষ পর্যায়ে চরম সুখানুভূতি সৃষ্টির সঙ্গে পুরুষাঙ্গ হতে নি:সৃত হয়। শুক্রাণূ সমৃদ্ধ পুরুষের বীর্যে নারীর ডিম্ব নিষিক্ত হলে জরায়ুতে মানব ভ্রূণের সৃষ্টি হয়। কেবল যৌনসঙ্গম নয়, যৌনানন্দ লাভের জন্য হস্তমৈথুনের মাধ্যমেও বীর্যস্খলন করা হয়ে থাকে। এছাড়া স্বপ্নদোষ মাধ্যমে বীর্যপাত হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জাতীয় ক্রিকেট দল হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে। তারা "দ্য টাইগার" নামেও পরিচিত। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (সংক্ষেপে বিসিবি) এই দল পরিচালনা করে। বাংলাদেশ আইসিসি'র টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিক মর্যাদাপ্রাপ্ত স্থায়ী সদস্য দেশগুলোর অন্তর্ভুক্ত। তারা দশম টেস্টখেলুড়ে দেশ হিসেবে ভারতের বিপক্ষে ২০০০ সালে ঢাকায় তাদের প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলে।
কুরআন মাজীদ অথবা কুরআ-ন মাজী-দ (আরবি: القرآن আল্-কুর্'আন্[টী১]) ইসলাম ধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। ইসলামী ইতিহাস অনুসারে দীর্ঘ তেইশ বছর ধরে খণ্ড খণ্ড অংশে এটি ইসলামের নবী মুহাম্মাদের নিকট অবতীর্ণ হয়। ইসলামের অনুসারীরা কুরআনকে একটি পুর্ণাঙ্গ জীবন বিধান বলে বিশ্বাস করে। কুরআনে সর্বমোট ১১৪টি সূরা আছে। আয়াত বা পঙক্তি সংখ্যা ৬,৬৬৬ টি। এটি মূল আরবি ভাষায় অবর্তীর্ণ হয়। মুসলিম চিন্তাধারা অনুসারে কুরআন ধারাবাহিকভাবে অবর্তীর্ণ ধর্মীয় গ্রন্থগুলোর মধ্যে সর্বশেষ এবং গ্রন্থ অবতরণের এই ধারা ইসলামের প্রথম বাণীবাহক আদম থেকে শুরু হয়। কুরআনে অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার উল্লেখ রয়েছে যার সাথে বাইবেলসহ অন্যান্য ধর্মীয়গ্রন্থের বেশ মিল রয়েছে, অবশ্য অমিলও কম নয়। তবে কুরআনে কোনও ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা নেই। ইসলামী ভাষ্যমতে কুরআন অপরিবর্তনীয় এবং এ সম্পর্কে মুসলিমরা কুরআনের সূরা আল-হিজরের (১৫ নং সূরা), ৯ নং আয়াতের কথা উল্লেখ করে থাকে, এবং তা হল:
শিশ্নচোষণ (ইংরেজি: Fellatio) (শিশ্নমুখমেহন (fellation) নামেও পরিচিত, এবং কথ্যে শিশ্নচোষণকাম (blow job), বিজে (BJ), মাথা প্রদান (giving head) এবং চোষন (sucking off)) হল যৌন সঙ্গীর মাধ্যমে বা নিজে (স্বমুখমৈথুন) লিঙ্গ (পুরুষ) মুখের মধ্যে নিয়ে যৌন উত্তেজনা উপভোগ করা। এতে লিঙ্গের উদ্দীপনা সৃষ্টির জন্যে ব্যবহৃত হয় মুখ, ঠোঁট, জিহ্বা এবং/বা কণ্ঠনালী। একজন ব্যক্তি যে কারো উপর শিশ্নমুখমেহন সঞ্চালিত করে তাকে প্রদায়ী সঙ্গী হিসাবে বলা হয়, এবং অপর ব্যক্তি হল গ্রাহক সঙ্গী। শিশ্নমুখমেহন তার নিজস্ব অধিকারে বহু মানুষ দ্বারা কৃত একটি যৌনাবেদনময়ী ক্রিয়া এবং একটি অন্তরঙ্গ শারীরিক আচরণ হিসাবে অভিহিত করা হয়। অনেক পুরুষদের ক্ষেত্রে, এটি হল একটি যৌন-জাগরণ যেটা যৌনসঙ্গমের আগে শুরু হতে পারে প্রদায়ী সঙ্গী দ্বারা পূর্বরাগ এবং যৌন সক্রিয়করনের মাধ্যমে। এছাড়াও এই ক্রিয়াটি অনুষ্ঠিত হতে পারে, পুরুষ গ্রাহক সঙ্গীর যৌন পরিতৃপ্তি প্রাপ্তির জন্যে, এবং স্থায়ী হতে পারে রাগমোচন ও বীর্যপাত পর্যন্ত।
সালমান খান (হিন্দি: सलमान ख़ान; উচ্চারণ: [səlˈmaːn ˈxaːn]; (১৯৬৫-১২-২৭)২৭ ডিসেম্বর ১৯৬৫) একজন জনপ্রিয় ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা। তিনি ইতোমধ্যেই ৮০টির বেশি হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। সালমান খান বলিউড এর সবচেয়ে বড় সুপারস্টার,তিনি বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন বিবি হো তো এহসি চলচ্চিত্রে একটি গৌণ ভূমিকায় অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে ১৯৮৮-তে। তাঁর অভিনীত প্রথম ব্যবসা সফল চলচ্চিত্র ম্যায়নে পিয়ার কিয়া ১৯৮৯ সালে মুক্তি পায়; এজন্যে তিনি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ নবাগতার পুরস্কার লাভ করেন। এরপর নব্বইয়ের দশকে তিনি বলিউডে বেশ কিছু ব্যবসা সফল হিন্দি চলচ্চিত্র উপহার দেন, যেমন সাজন (১৯৯১), হাম আপকে হ্যায় কৌন..! (১৯৯৪), করন অর্জুন (১৯৯৫), জুড়ওয়া (১৯৯৭), পেয়ার কিয়া তো ডারনা কেয়া (১৯৯৮) বিবি নং.
তাজমহল (হিন্দি: ताज महल, উর্দু: تاج محل) ভারতের আগ্রায় অবস্থিত একটি রাজকীয় সমাধি। মুঘল সম্রাট শাহজাহান তাঁর স্ত্রী আরজুমান্দ বানু বেগম যিনি মুমতাজ মহল নামে পরিচিত, তার স্মৃতির উদ্দেশ্যে এই অপূর্ব সৌধটি নির্মাণ করেন। সৌধটি নির্মাণ শুরু হয়েছিল ১৬৩২ খ্রিস্টাব্দে যা সম্পূর্ণ হয়েছিল প্রায় ১৬৫৩ খ্রিস্টাব্দে। সৌধটির নকশা কে করেছিলেন এ প্রশ্নে অনেক বিতর্ক থাকলেও, এ পরিষ্কার যে শিল্প-নৈপুণ্যসম্পন্ন একদল নকশাকারক ও কারিগর সৌধটি নির্মাণ করেছিলেন যারা উস্তাদ আহমেদ লাহুরীর সাথে ছিলেন, যিনি তাজমহলের মূল নকশাকারক হওয়ার প্রার্থীতায় এগিয়ে আছেন।তাজমহলকে (কখনও শুধু তাজ নামে ডাকা হয়) মুঘল স্থাপত্যশৈলীর একটি আকর্ষণীয় নিদর্শন হিসেবে মনে করা হয়, যার নির্মাণশৈলীতে পারস্য, তুরস্ক, ভারতীয় এবং ইসলামী স্থাপত্যশিল্পের সম্মিলন ঘটানো হয়েছে। যদিও সাদা মার্বেলের গোম্বুজাকৃতি রাজকীয় সমাধীটিই বেশি সমাদৃত, তাজমহল আসলে সামগ্রিকভাবে একটি জটিল অখণ্ড স্থাপত্য। এটি ১৯৮৩ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম তাজমহল। তখন একে বলা হয়েছিল "universally admired masterpiece of the world's heritage।"
ডেঙ্গু জ্বর (ইউকে /ˈdɛŋɡeɪ/ বা ইউএস /ˈdɛŋɡiː/), যা ব্রেকবোন ফিভার নামেও পরিচিত, একটি সংক্রামক ট্রপিক্যাল ডিজিজ যা ডেঙ্গু ভাইরাস-এর কারণে হয়। যে উপসর্গগুলি দেখা যায় তার মধ্যে আছে জ্বর, মাথাব্যথা,পেশি এবং গাঁটে ব্যথা, এবং একটি বৈশিষ্ট্য ত্বকে র্যাশ যা হামজ্বরের সমতুল্য। স্বল্প ক্ষেত্রে অসুখটি প্রাণঘাতী ডেঙ্গু হেমোর্যাজিক ফিভার-এ পর্যবসিত হয় ,যার ফলে রক্তপাত, রক্ত অনুচক্রিকার কম মাত্রা এবং রক্ত প্লাজমার নিঃসরণ অথবা ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোম-এ পর্যবসিত হয়, যেখানেরক্তচাপ বিপজ্জনকভাবে কম থাকে।
বহু প্রজাতির জীব সম্প্রদায় রয়েছে যেগুলো প্রধানত নারী ও পুরুষ হিসেবে দুটি আলাদা শ্রেণীতে বিভক্ত, এই শ্রেণী দুটির প্রতিটিই পৃথকভাবে এক একটি যৌনতা বা জৈবিক লিঙ্গ বা সেক্স (ইংরেজি: Sex) হিসেবে পরিচিত, এবং প্রক্রিয়ার ব্যর্থতার ফলশ্রুতিতে কিছু সদস্য আন্তঃলিঙ্গে পরিনত হয়। যৌন প্রজনন হল জীবজগতের মাঝে একটি সাধারণ প্রজনন বা সন্তান জন্মদান প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ার জন্য একই প্রজাতির দুটি বিপরীত যৌনতার জীবের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সংযোগের প্রয়োজন হয়। উদ্ভিদ এবং প্রাণী উভয়ের দ্বারাই যৌন প্রজনন প্রক্রিয়া ঘটে থাকে। এছাড়া কিছু ছত্রাক এবং বিভিন্ন এককোষী জীবেও এই প্রক্রিয়া দেখা যায়। যৌন প্রজনন প্রক্রিয়ায় একাধিক উৎস থেকে আগত জেনেটিক বৈশিষ্ট্য মিলিত ও মিশ্রিত হয়: গ্যামেট নামক বিশেষায়িত কোষদ্বয় মিলিত হয়ে সন্তান গঠন করে, যা পিতা ও মাতা উভয়ের কাছ থেকে বৈশিষ্ট্য ধারণ করে। গ্যামেটদ্বয় গঠন ও কার্যপ্রণালীর দিক থেকে একই রকম হতে পারে (যা আইসোগ্যামি নামে পরিচিত), কিন্তু বহু ক্ষেত্রে এটি বিবর্তিত হয়ে গ্যামেটের ভিন্নতা দেখা যেতে পারে, এমন ক্ষেত্রে দুটি নির্দিষ্ট-যৌনতা বিশিষ্ট পৃথক গ্যামেট পাওয়া যায় (এই প্রক্রিয়াকে এনাইসোগ্যামি বলে।)।
ইমরান খান নিয়াজি (উর্দু: عمران احمد خان نیازی ) (জন্মনামঃ ইমরান খান নিয়াজী) পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক খেলোয়াড় এবং অধিনায়ক। খেলোয়াড় জীবন শেষে তিনি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারদের একজন। তাঁর অধিনায়কত্বে পাকিস্তান ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপ জয় করে।
ওস্তাদ বিসমিল্লাহ খান সাহেব (জন্ম: মার্চ ২১, ১৯১৬ - মৃত্যু: আগস্ট ২১, ২০০৬) একজন ভারতীয় সানাই বাদক। ভারতের উচ্চাঙ্গ শাস্ত্রীয় সঙ্গীত জগতে এক অবিস্মরণীয় নাম। সানাইকে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত বাদনের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করে এই অমর শিল্পী ভারতের উচ্চাঙ্গ শাস্ত্রীয় সঙ্গীত জগতে ওস্তাদ উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন। উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিল্পীদের মধ্যে তিনি তৃতীয় যাঁরা ভারতরত্ন পদক পেয়েছেন। তিনি ছিলেন অল্পসংখ্যক গুণীদের মধ্যে একজন যিনি ভারতের চারটি সর্বোচ্চ বেসামরিক পদকে সম্মানিত হয়েছেন।
পৃথিবী সূর্য থেকে দূরত্ব অনুযায়ী তৃতীয়, সর্বাপেক্ষা অধিক ঘনত্বযুক্ত এবং সৌরজগতের আটটি গ্রহের মধ্যে পঞ্চম বৃহত্তম গ্রহ। এটি সৌরজগতের চারটি কঠিন গ্রহের অন্যতম। পৃথিবীর অপর নাম "বিশ্ব" বা "নীলগ্রহ"। ইংরেজি ভাষায় পরিচিত আর্থ (Earth) নামে, গ্রিক ভাষায় পরিচিত গাইয়া (Γαῖα) নামে, লাতিন ভাষায় এই গ্রহের নাম "টেরা (Terra)।
ইন্দোনেশিয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। ল্যাটিন ইন্ডাস থেকে ইন্দোনেশিয়া শব্দটি এসেছে। ল্যাটিন শব্দটির অর্থ দাঁড়ায় দ্বীপ। ডাচ উপনিবেশের কারণে তাদের দেয়া নামটি ওই অঞ্চলের জন্য প্রচলিত হয়। ১৯০০ সাল থেকে জায়গাটি ইন্দোনেশিয়া নামে পরিচিতি পায়। প্রায় ৫,০০০ দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত এই দেশটি পৃথিবীর বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র। এর রাজধানীর নাম জাকার্তা। সরকারী ভাবে ইন্দোনেশিয়ার নাম ইন্দোনেশীয় প্রজাতন্ত্রী (ইন্দোনেশীয় ভাষায় Republik Indonesia).
পূর্ণিমা (জন্ম: ১১ জুলাই, ১৯৮১) হলেন একজন বাংলাদেশী অভিনেত্রী। পূর্ণিমার চলচ্চিত্র জগতে পথচলা শুরু হয়েছিল জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত এ জীবন তোমার আমার ছবির মাধ্যমে। কাজী হায়াৎ পরিচালিত ওরা আমাকে ভাল হতে দিল না (২০১০) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে তিনি তার প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।পূর্ণিমা অভিনীত জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে এফ আই মানিক পরিচালিত অপরাধ-নাট্যধর্মী লাল দরিয়া (২০০২), মতিউর রহমান পানু পরিচালিত প্রণয়ধর্মী মনের মাঝে তুমি (২০০৩), চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত যুদ্ধভিত্তিক মেঘের পরে মেঘ (২০০৪) ও নাট্যধর্মী সুভা, এবং এস এ হক অলিক পরিচালিত প্রণয়ধর্মী হৃদয়ের কথা (২০০৬) ও আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা (২০০৮)। চলচ্চিত্রে পূর্ণিমার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় রিয়াজের বিপরীতে। রিয়াজের বিপরীতেই ২৫টির বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (সংক্ষেপেঢাবি, বা ডিইউ) ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত বাংলাদেশের একটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়; যা বহু-অনুষদভিত্তিক গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত। ১৯২১ সালে তদানীন্তন ব্রিটিশ ভারতে অক্সব্রিজ শিক্ষা ব্যবস্থা অনুসরণে এটি স্থাপিত হয়। সূচনালগ্নে বিভিন্ন প্রথিতযশা বৃত্তিধারী ও বিজ্ঞানীদের দ্বারা কঠোরভাবে মান নিয়ন্ত্রিত হবার প্রেক্ষাপটে এটি প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে স্বীকৃতি পায়।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ সবচেয়ে বেশিসংখ্যক বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি পদক লাভ করেছেন। এছাড়াও, এটি বাংলাদেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এশিয়াউইকের পক্ষ থেকে শীর্ষ ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ে জায়গা করে নেয়।। এটি এশিয়ার সেরা ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৬৪তম।।এখানে প্রায় ৩৭,০০০ ছাত্র-ছাত্রী এবং ১,৮০৫ জন শিক্ষক রয়েছে৷
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন (১৮৬১–১৯০১)
বিশিষ্ট বাঙালি কবি ও ব্রাহ্ম দার্শনিক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনের প্রথম চারটি দশক (১৮৬১–১৯০১) ছিল তাঁর শৈল্পিক ও রাজনৈতিক মতাদর্শের বিকাশপর্ব।
শাবনূর (জন্ম: ১৭ ডিসেম্বর, ১৯৭৯) বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসের তুমুল জনপ্রিয় অভিনেত্রী। ৯০ দশক থেকে এ পর্যন্ত আসা চিত্র তারকাদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় চিত্র তারকা হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাকে। প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার এহতেশাম পরিচালিত চাঁদনী রাতে সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আগমন শাবনূরের। প্রথম ছবি ব্যর্থ হলেও পরে সালমান শাহের সাথে জুটি গড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। একে একে এ জুটি সুপারহিট ছবি দিতে থাকেন। সালমানের অকাল মৃত্যুতে সাময়িক ভাবে শাবনূরের ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়লেও তার চিরায়ত বাঙালি প্রেমিকার ইমেজ এবং অসাধারন অভিনয় ক্ষমতা তাকে দর্শকদের হৃদয়ে শক্ত আসন গড়তে সাহায্য করে। পরে রিয়াজ, শাকিল খান, ফেরদৌস ও শাকিব খান এর সাথে জনপ্রিয় জুটি গড়ে অসংখ্য ব্যবসাসফল ও জনপ্রিয় ছবি উপহার দেন। ক্যারিয়ারের শেষের দিকে ছিপছিপে গড়ন ও সুশ্রী চেহারার এই অসম্ভব সুন্দরী নায়িকা মুটিয়ে গেলে সমালোচিত হন। বর্তমানে তিনি অস্ট্রেলিয়াতে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। শোনা যাচ্ছে তিনি চলচ্চিত্রে কামব্যাক করার পরিকল্পনা করেই নিজেকে প্রস্তুত করছেন এখন।
ঢাকা (উচ্চারণ: [ɖʱaka]) বাংলাদেশের রাজধানী এবং ঢাকা বিভাগের প্রধান শহর। ঢাকা একটি মেগাসিটি এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রধান শহর। এটি বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত এবং এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম শহর। ঢাকার মহানগর এলাকার জনসংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ। এটি বিশ্বের নবম বৃহত্তম এবং সর্বাপেক্ষা জনবহুল শহরগুলির মধ্যে অন্যতম। ঢাকা শহরটি ’মসজিদের শহর ’ নামেও পরিচিত। এখানে বিশ্বের সেরা মসলিন কাপড় উৎপাদিত হতো। এছাড়া ঢাকা ’বিশ্বের রিকশা রাজধানী ’ নামেও পরিচিত। এই শহরে রোজ প্রায় ৪০০,০০০ থেকে ৪৫০,০০০টি রিকশা চলাচল করে। বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রধান সংস্কৃতি, শিক্ষা ও বাণিজ্যকেন্দ্র।সপ্তদশ শতাব্দীতে পুরানো ঢাকা মুঘল সাম্রাজ্যের সুবহে বাংলা (বাংলা প্রদেশ) এর প্রাদেশিক রাজধানী ছিলো। মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের শাসনামলে এই শহর জাহাঙ্গীর নগর নামে পরিচিত ছিলো। বিশ্বব্যাপী মসলিন বাণিজ্যের একটি কেন্দ্র ছিলো ঢাকা এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীগণ এখানে বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে আসতেন। যদিও আধুনিক ঢাকা শহরের বিকাশ ঘটে ঊনবিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ শাসন আমলে, এই সময় নবাবগণ ঢাকা শাসন করতেন। এই সময় কলকাতার পরেই ঢাকা বাংলা প্রেসিডেন্সির দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী হয়ে ওঠে। ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের পরে ঢাকা নবগঠিত পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশের রাজধানী হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পরে ঢাকা পূর্ব পাকিস্তানের প্রশাসনিক রাজধানীতে পরিণত হয়। ১৯৫০-৬০ সালের মধ্যে এই শহর বিভিন্ন সামাজিক, জাতীয়তাবাদী ও গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে। ১৯৭১ সালে ঢাকা স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের রাজধানী ঘোষিত হয়। ইতিপূর্বে সামরিক আইন বলবৎ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা, সামরিক দমন, যুদ্ধ ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের তাণ্ডবলীলার মতো একাধিক অস্থির ঘটনার সাক্ষী হয় এই শহর।