The most-visited বাংলা Wikipedia articles, updated daily. Learn more...
বাংলা ভাষা (বাঙলা, বাঙ্গলা, তথা বাঙ্গালা নামগুলোতেও পরিচিত) একটি ইন্দো-আর্য ভাষা, যা দক্ষিণ এশিয়ার বাঙালি জাতির প্রধান কথ্য ও লেখ্য ভাষা। মাতৃভাষীর সংখ্যায় বাংলা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের চতুর্থ ও বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম ভাষা। মোট ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনুসারে বাংলা বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম ভাষা। বাংলা সার্বভৌম ভাষাভিত্তিক জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা তথা সরকারি ভাষা এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসামের বরাক উপত্যকার সরকারি ভাষা। বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের প্রধান কথ্য ভাষা বাংলা। এছাড়া ভারতের ঝাড়খণ্ড, বিহার, মেঘালয়, মিজোরাম, উড়িষ্যা রাজ্যগুলোতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাংলাভাষী জনগণ রয়েছে। ভারতে হিন্দির পরেই সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা বাংলা। এছাড়াও মধ্য প্রাচ্য, আমেরিকা ও ইউরোপে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাংলাভাষী অভিবাসী রয়েছে। সারা বিশ্বে সব মিলিয়ে ২৬ কোটির অধিক লোক দৈনন্দিন জীবনে বাংলা ব্যবহার করে। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত এবং ভারতের জাতীয় সঙ্গীত ও স্তোত্র বাংলাতে রচিত।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (২৬ সেপ্টেম্বর ১৮২০ – ২৯ জুলাই ১৮৯১) উনবিংশ শতকের একজন বিশিষ্ট বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও গদ্যকার। তার প্রকৃত নাম ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে অগাধ পাণ্ডিত্যের জন্য প্রথম জীবনেই তিনি বিদ্যাসাগর উপাধি লাভ করেন। সংস্কৃত ছাড়াও বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় বিশেষ বুৎপত্তি ছিল তার। তিনিই প্রথম বাংলা লিপি সংস্কার করে তাকে যুক্তিবহ ও অপরবোধ্য করে তোলেন। বাংলা গদ্যের প্রথম সার্থক রূপকার তিনিই। তাকে বাংলা গদ্যের প্রথম শিল্পী বলে অভিহিত করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি রচনা করেছেন জনপ্রিয় শিশুপাঠ্য বর্ণপরিচয় সহ, একাধিক পাঠ্যপুস্তক, সংস্কৃত ব্যাকরণ গ্রন্থ। সংস্কৃত, হিন্দি ও ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ সাহিত্য ও জ্ঞানবিজ্ঞান সংক্রান্ত বহু রচনা
ভারত (শুনুন ) দক্ষিণ এশিয়ার একটি রাষ্ট্র। দেশটির সরকারি নাম ভারতীয় প্রজাতন্ত্র। ভৌগোলিক আয়তনের বিচারে এটি দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম এবং বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম রাষ্ট্র। অন্যদিকে জনসংখ্যার বিচারে এই দেশ বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল এবং পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। ভারতের পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তান উত্তর-পূর্বে চীন, নেপাল, ও ভূটান এবং পূর্বে বাংলাদেশ ও মায়ানমার অবস্থিত। এছাড়া ভারত মহাসাগরে অবস্থিত শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও ইন্দোনেশিয়া ভারতের নিকটবর্তী কয়েকটি দ্বীপরাষ্ট্র। দক্ষিণে ভারত মহাসাগর, পশ্চিমে আরব সাগর ও পূর্বে বঙ্গোপসাগর দ্বারা বেষ্টিত ভারতের উপকূলরেখার সম্মিলিত দৈর্ঘ্য ৭,৫১৭ কিলোমিটার (৪,৬৭১ মাইল)।সুপ্রাচীন কাল থেকেই ভারতীয় উপমহাদেশ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য সুপরিচিত। ঐতিহাসিক সিন্ধু সভ্যতা এই অঞ্চলেই গড়ে উঠেছিল। ইতিহাসের বিভিন্ন পর্বে এখানেই স্থাপিত হয়েছিল বিশালাকার একাধিক সাম্রাজ্য। নানা ইতিহাস-প্রসিদ্ধ বাণিজ্যপথ এই অঞ্চলের সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য সভ্যতার বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রক্ষা করত। হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন ও শিখ—বিশ্বের এই চার ধর্মের উৎসভূমি ভারত। খ্রিষ্টীয় প্রথম সহস্রাব্দে জরথুষ্ট্রীয় ধর্ম (পারসি ধর্ম), ইহুদি ধর্ম, খ্রিষ্টধর্ম ও ইসলাম এদেশে প্রবেশ করে, ও ভারতীয় সংস্কৃতিতে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে। অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ থেকে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ধীরে ধীরে ভারতীয় ভূখণ্ডের অধিকাংশ অঞ্চল নিজেদের শাসনাধীনে আনতে সক্ষম হয়। ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে এই দেশ পুরোদস্তুর একটি ব্রিটিশ উপনিবেশে পরিণত হয়। অতঃপর এক সুদীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৪৭ সালে ভারত একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্ররূপে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৫০ সালে সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে ভারত একটি সার্বভৌম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়।
বাংলাদেশ (শুনুন ) দক্ষিণ এশিয়ার একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র। বাংলাদেশের সাংবিধানিক নাম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ। ভূ-রাজনৈতিক ভাবে বাংলাদেশের পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও মেঘালয়, পূর্ব সীমান্তে আসাম, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তে মায়ানমারের চিন ও রাখাইন রাজ্য এবং দক্ষিণ উপকূলের দিকে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। ভৌগোলিকভাবে পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপের সিংহভাগ অঞ্চল জুড়ে বাংলাদেশ ভূখণ্ড অবস্থিত। নদীপ্রধান বাংলাদেশ ভূখণ্ডের উপর দিয়ে বয়ে গেছে ৫৭টি আন্তর্জাতিক নদী। বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বে ও দক্ষিণ-পূর্বে টারশিয়ারি যুগের পাহাড় ছেয়ে আছে। বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য সুন্দরবন ও দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সৈকত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশে অবস্থিত।
মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী (গুজরাটি: મોહનદાસ કરમચંદ ગાંધી উচ্চারণ (মোহনদাস কর্মচন্দ গান্ধী) বা মহাত্মা গান্ধী (২রা অক্টোবর, ১৮৬৯ - ৩০শে জানুয়ারি, ১৯৪৮) অন্যতম প্রধান ভারতীয় রাজনীতিবিদ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রগামী ব্যক্তিদের একজন এবং প্রভাবশালী আধ্যাত্মিক নেতা। তিনি ছিলেন সত্যাগ্রহ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা। এর মাধ্যমে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে জনসাধারণের অবাধ্যতা ঘোষিত হয়েছিল। এ আন্দোলন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল অহিংস মতবাদ বা দর্শনের উপর এবং এটি ছিল ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম চালিকা শক্তি, সারা বিশ্বে মানুষের স্বাধীনতা এবং অধিকার পাওয়ার আন্দোলনের অন্যতম অনুপ্রেরণা।
বাবরি মসজিদ (ইংরেজি: Babri Mosque, হিন্দি: बाबरी मस्जिद, উর্দু: بابری مسجد, অনুবাদ: বাবর-এর মসজিদ) ভারতের উত্তর প্রদেশের, ফৈজাবাদ জেলার অযোধ্যা শহরের রামকোট হিলের উপর অবস্থিত একটি প্রাচীন মসজিদ ছিল। বিশ্বাস করা হয়, এ বাবরি মসজিদ যে স্থানে অবস্থিত ছিল সেটাই ছিল হিন্দু ধর্মের অবতার রামচন্দ্রের জন্মস্থান। এই বিষয়টি নিয়ে আঠার শতক থেকেই হিন্দু এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিতর্ক চলে আসছে, যা অযোধ্যা বিতর্ক নামে পরিচিত। মসজিদের অভিলিখন থেকে জানা যায়, মুঘল সম্রাট বাবরের আদেশে সেনাপতি মীর বাকি ১৫২৮-২৯ (৯৩৫ হিজরি বর্ষে) এ মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। ১৯৯২ সালে করসেবক দ্বারা এমসজিদ আক্রমণ করা হয় এবং গুড়িয়ে দেওয়া হয়। যা পুরো দেশজুড়ে এক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার বিষ্ফোরণ ঘটায়।
আবহাওয়া হলো কোনো স্থানের স্বল্প সময়ের বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থা। সাধারণত এক দিনের এমন রেকর্ডকেই আবহাওয়া বলে। আবার কখনও কখনও কোনো নির্দিষ্ট এলাকার স্বল্প সময়ের বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থাকেও আবহাওয়া বলা হয়। আবার কোনো স্থানের দীর্ঘ সময়ের আবহাওয়ার উৎপত্তি ভিত্তিতে তৈরি হয় সে স্থানের জলবায়ু। আবহাওয়া নিয়ত পরিবর্তনশীল একটি চলক। আবহাওয়া ও জলবায়ু নিয়ে বিজ্ঞানের যে শাখা আলোচনা করে তাকে আবহাওয়া বিজ্ঞান বলা হয়।
শাকিব খান (জন্ম: ২৮ মার্চ ১৯৭৯) হচ্ছেন একজন বাংলাদেশী জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রযোজক। তার প্রকৃত নাম মাসুদ রানা হলেও তিনি শাকিব খান নামে চলচ্চিত্রাঙ্গনে আবির্ভূত হন। সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত অনন্ত ভালবাসা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। অচিরেই শাকিব খান বাংলাদেশর চলচ্চিত্র ইতিহাসের সবচেয়ে সফল এবং সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক অভিনেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।শাকিব তার কর্মজীবনে একাধিক পুরস্কার অর্জন করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে তিনটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, আটটি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার, তিনটি বাচসাস পুরস্কার ও একটি লাক্স-চ্যানেল আই পারফরম্যান্স পুরস্কার। তিনি ২০১০ সালের ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না, ২০১২ সালের খোদার পরে মা এবং ২০১৫ সালের আরো ভালোবাসবো তোমায় ছবির জন্য তিনবার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।তার অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল নাট্যধর্মী সুভা (২০০৬), প্রণয়ধর্মী আমার প্রাণের স্বামী (২০০৭), প্রিয়া আমার প্রিয়া (২০০৮), ও বলবো কথা বাসর ঘরে (২০০৯), প্রণয়ধর্মী-হাস্যরসাত্মক আদরের জামাই (২০১১), মারপিট-প্রণয়ধর্মী ডন নাম্বার ওয়ান (২০১২), প্রণয়ধর্মী পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী (২০১৩), মারপিট-থ্রিলারধর্মীশিকারি (২০১৬), নবাব (২০১৭), নাট্যধর্মী রাজনীতি (২০১৭) ও সত্তা (২০১৭)। ২০১৪ সালে তিনি হিরো: দ্যা সুপার স্টার চলচ্চিত্র দিয়ে প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন এবং পরবর্তীকালে পাসওয়ার্ড (২০১৯) ও প্রিয়তমা চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেন। ২০১৯ সালে তিনি একসঙ্গে চারটি চলচ্চিত্র প্রযোজনার ঘোষণা দেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (৭ই মে, ১৮৬১ - ৭ই আগস্ট, ১৯৪১) (২৫শে বৈশাখ, ১২৬৮ - ২২শে শ্রাবণ, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ) ছিলেন অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক। তাকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়। রবীন্দ্রনাথকে গুরুদেব, কবিগুরু ও বিশ্বকবি অভিধায় ভূষিত করা হয়। রবীন্দ্রনাথের ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস ও ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসংকলন তার জীবদ্দশায় বা মৃত্যুর অব্যবহিত পরে প্রকাশিত হয়। তার সর্বমোট ৯৫টি ছোটগল্প ও ১৯১৫টি গান যথাক্রমে গল্পগুচ্ছ ও গীতবিতান সংকলনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় প্রকাশিত ও গ্রন্থাকারে অপ্রকাশিত রচনা ৩২ খণ্ডে রবীন্দ্র রচনাবলী নামে প্রকাশিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় পত্রসাহিত্য উনিশ খণ্ডে চিঠিপত্র ও চারটি পৃথক গ্রন্থে প্রকাশিত। এছাড়া তিনি প্রায় দুই হাজার ছবি এঁকেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের রচনা বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান ব্রাহ্ম পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন।ক[›] ১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা-এ তার "অভিলাষ" কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এটিই ছিল তার প্রথম প্রকাশিত রচনা। ১৮৭৮ সালে মাত্র সতেরো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ প্রথমবার ইংল্যান্ডে যান। ১৮৮৩ সালে মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে তার বিবাহ হয়। ১৮৯০ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের শিলাইদহের জমিদারি এস্টেটে বসবাস শুরু করেন। ১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন। ১৯০২ সালে তার পত্নীবিয়োগ হয়। ১৯০৫ সালে তিনি বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে নাইট উপাধিতে ভূষিত করেন। কিন্তু ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন। ১৯২১ সালে গ্রামোন্নয়নের জন্য তিনি শ্রীনিকেতন নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত হয়। দীর্ঘজীবনে তিনি বহুবার বিদেশ ভ্রমণ করেন এবং সমগ্র বিশ্বে বিশ্বভ্রাতৃত্বের বাণী প্রচার করেন। ১৯৪১ সালে দীর্ঘ রোগভোগের পর কলকাতার পৈত্রিক বাসভবনেই তার মৃত্যু হয়।রবীন্দ্রনাথের কাব্যসাহিত্যের বৈশিষ্ট্য ভাবগভীরতা, গীতিধর্মিতা চিত্ররূপময়তা, অধ্যাত্মচেতনা, ঐতিহ্যপ্রীতি, প্রকৃতিপ্রেম, মানবপ্রেম, স্বদেশপ্রেম, বিশ্বপ্রেম, রোম্যান্টিক সৌন্দর্যচেতনা, ভাব, ভাষা, ছন্দ ও আঙ্গিকের বৈচিত্র্য, বাস্তবচেতনা ও প্রগতিচেতনা। রবীন্দ্রনাথের গদ্যভাষাও কাব্যিক। ভারতের ধ্রুপদি ও লৌকিক সংস্কৃতি এবং পাশ্চাত্য বিজ্ঞানচেতনা ও শিল্পদর্শন তার রচনায় গভীর প্রভাব বিস্তার করেছিল। কথাসাহিত্য ও প্রবন্ধের মাধ্যমে তিনি সমাজ, রাজনীতি ও রাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে নিজ মতামত প্রকাশ করেছিলেন। সমাজকল্যাণের উপায় হিসেবে তিনি গ্রামোন্নয়ন ও গ্রামের দরিদ্র মানুষ কে শিক্ষিত করে তোলার পক্ষে মতপ্রকাশ করেন। এর পাশাপাশি সামাজিক ভেদাভেদ, অস্পৃশ্যতা, ধর্মীয় গোঁড়ামি ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধেও তিনি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথের দর্শনচেতনায় ঈশ্বরের মূল হিসেবে মানব সংসারকেই নির্দিষ্ট করা হয়েছে; রবীন্দ্রনাথ দেববিগ্রহের পরিবর্তে কর্মী অর্থাৎ মানুষ ঈশ্বরের পূজার কথা বলেছিলেন। সংগীত ও নৃত্যকে তিনি শিক্ষার অপরিহার্য অঙ্গ মনে করতেন। রবীন্দ্রনাথের গান তার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি। তার রচিত আমার সোনার বাংলা ও জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে গানদুটি যথাক্রমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ ও ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের জাতীয় সংগীত।
মুহাম্মাদ (২৯ আগস্ট ৫৭০ - ৮ জুন ৬৩২; আরবি উচ্চারণ শুনতে ক্লিক করুন محمد মোহাম্মদ এবং মুহম্মদ নামেও পরিচিত; তুর্কি : মুহাম্মেদ), পূর্ণ নাম : আবু আল-কাশিম মুহাম্মাদ ইবনে ʿআবদুল্লাহ ইবনে ʿআবদুল মুত্তালিব ইবনে হাশিম (ابو القاسم محمد ابن عبد الله ابن عبد المطلب ابن هاشم) হলেন ইসলামের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব এবং ইসলামী বিশ্বাস মতে আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত সর্বশেষ নবী, (আরবি: النبي আন-নাবিয়্যু), তথা "বার্তাবাহক" (আরবি : الرسول আর-রাসুল), যার উপর ইসলামী প্রধান ধর্মগ্রন্থ আল-কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে। অমুসলিমদের মতে তিনি ইসলামী জীবন ব্যবস্থার প্রবর্তক। অধিকাংশ ইতিহাসবেত্তা ও বিশেষজ্ঞদের মতে, মুহাম্মাদ ছিলেন পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় নেতা। তার এই বিশেষত্বের অন্যতম কারণ হচ্ছে আধ্যাত্মিক ও জাগতিক উভয় জগতেই চূড়ান্ত সফলতা অর্জন। তিনি ধর্মীয় জীবনে যেমন সফল তেমনই রাজনৈতিক জীবনেও। সমগ্র আরব বিশ্বের জাগরণের পথিকৃৎ হিসেবে তিনি অগ্রগণ্য; বিবাদমান আরব জনতাকে একীভূতকরণ তার জীবনের অন্যতম সফলতা।আনুমানিক ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে (হস্তিবর্ষ) মক্কা নগরীতে জন্ম নেওয়া মুহাম্মাদ মাতৃগর্বে থাকাকালীন পিতা হারা হন শিশু বয়সে মাতাকে হারিয়ে এতিম হন এবং প্রথমে তার পিতামহ আবদুল মোত্তালিব ও পরে পিতৃব্য আবু তালিবের নিকট লালিত পালিত হন। হেরা পর্বতের গুহায় ৪০ বছর বয়সে তিনি নবুওয়াত লাভ করেন। জিবরাইল এই পর্বতের গুহায় আল্লাহর তরফ থেকে তার নিকট ওহী নিয়ে আসেন। তিন বছর পর ৬১০ খ্রিষ্টাব্দে মুহাম্মাদ প্রকাশ্যে ওহী প্রচার করেন, এবং ঘোষণা দেন "আল্লাহ্ এক" ও তার নিকট নিজেকে সঁপে দেওয়ার মধ্যেই জাগতিক কল্যাণ নিহিত, এবং ইসলামের অন্যান্য নবীদের মত তিনিও আল্লাহর প্রেরিত দূত।মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত মুহাম্মাদের নিকট আসা ওহীসমূহ কুরআনের আয়াত হিসেবে রয়ে যায় এবং মুসলমানরা এই আয়াতসমূহকে "আল্লাহর বাণী" বলে বিবেচনা করেন। এই কুরআনের উপর ইসলাম ধর্মের মূল নিহিত। কুরআনের পাশাপাশি হাদিস ও সিরাত (জীবনী) থেকে প্রাপ্ত মুহাম্মাদের শিক্ষা ও অনুশীলন (সুন্নাহ) ইসলামী আইন (শরিয়াহ) হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
কসমিক সেক্স ২০১২ সালের একটি বাংলা চলচ্চিত্র। পুতুল মাহমুদের প্রযোজনায় চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন অমিতাভ চক্রবর্তী। রচনা করেছেন অমিতাভ চক্রবর্তী, লিয়াকত আলী এবং সুরজিৎ সেন। চিত্রগ্রহণ করেছেন রাফি মাহমুদ এবং সম্পাদনায় ছিলেন অমিতাভ চক্রবর্তী ও অমিত দেবনাথ। অভিনয়ে ছিলেন ঋ সেন, আয়ুষ্মান মিত্র, মুরারি মুখার্জি, ঋ্বক এবং পাপিয়া ঘোষাল।
ইংরেজি বা ইংরাজি (English) ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাপরিবারের জার্মানীয় শাখার পশ্চিম দলের একটি ভাষা। উৎসবিচারে ইংরেজি ভাষাটির সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ভাষাটি হল ফ্রিজীয় ভাষা। এছাড়া এটির সাথে ওলন্দাজ ভাষা, ফ্লেমিশ ভাষা (বেলজিয়ামে প্রচলিত ওলন্দাজ ভাষার উপভাষা) ও নিম্ন জার্মান উপভাষাগুলির সম্পর্ক আছে। উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের গ্রেট ব্রিটেন দ্বীপের দক্ষিণাংশে অবস্থিত ইংল্যান্ড নামক দেশটিতে খ্রিস্টীয় আনুমানিক ৬ষ্ঠ শতকে ইংরেজি ভাষার জন্ম হয়। বর্তমানে এটি যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং ক্যারিবীয় সাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরে ছড়িয়ে থাকা অনেক দ্বীপরাষ্ট্রের প্রধান ভাষা। ইংরেজি প্রায় ৩৮ কোটি মানুষের মুখের মাতৃভাষা। মাতৃভাষাভাষীর সংখ্যার বিচারে এর অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়।
পশ্চিমবঙ্গ ভারতের একটি রাজ্য। এই রাজ্যটি পূর্ব ভারতে বঙ্গোপসাগরের উত্তর দিকে অবস্থিত। ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, এই রাজ্যের জনসংখ্যা ৯ কোটি ১৩ লক্ষেরও বেশি। জনসংখ্যার নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ ভারতের চতুর্থ সর্বাধিক জনবহুল রাজ্য(প্রথম-উত্তর প্রদেশ,দ্বিতীয়- মহারাষ্ট্র, তৃতীয়-বিহার ) । এই রাজ্যের আয়তন । পশ্চিমবঙ্গ বাংলা-ভাষী বাঙালি জাতি অধ্যুষিত বাংলা অঞ্চলের একটি অংশ। এই রাজ্যের পূর্ব দিকে বাংলাদেশ রাষ্ট্র এবং উত্তর দিকে নেপাল ও ভুটান রাষ্ট্র অবস্থিত। ভারতের ওডিশা, ঝাড়খণ্ড, বিহার, সিক্কিম ও অসম রাজ্যও পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী। রাজ্যের রাজধানী কলকাতা শহরটি হল ভারতের সপ্তম বৃহত্তম মহানগরী৷ ভৌগোলিক দিক থেকে দার্জিলিং হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল, গাঙ্গেয় বদ্বীপ, রাঢ় অঞ্চল ও উপকূলীয় সুন্দরবনের অংশবিশেষ এই রাজ্যের অন্তর্গত। বাঙালিরাই এই রাজ্যের প্রধান জাতিগোষ্ঠী এবং রাজ্যের জনসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই বাঙালি হিন্দু।
যৌনসঙ্গম (যৌনমিলন, সঙ্গম, মৈথুন, রতিক্রিয়া, রতিমিলন; যৌন সংসর্গ, যৌন সহবাস, সহবাস ইত্যাদি) হচ্ছে একটি জৈবিক প্রক্রিয়া যা দ্বারা মূলত যৌনআনন্দ বা প্রজনন বা উভয় ক্রিয়ার জন্য একজন পুরুষের উত্থিত শিশ্ন একজন নারীর যোনিপথে অনুপ্রবেশ করানো ও সঞ্চালনা করাকে বোঝায়। অন্যান্য অন্তর্ভেদী যৌনসঙ্গমের মধ্যে রয়েছে পায়ুসঙ্গম (লিঙ্গ দ্বারা মলদ্বার অনুপ্রবেশ), মুখমৈথুন, অঙ্গুলিসঞ্চালন (আঙ্গুল দ্বারা যৌন অনুপ্রবেশ), যৌনখেলনা ব্যবহার দ্বারা অনুপ্রবেশ (বন্ধনীযুক্ত কৃত্রিম শিশ্ন)। এই সকল কার্যক্রম মূলত মানবজাতি কর্তৃক দুই বা ততোধিকের মধ্যেকার শারীরিক ও মানসিক অন্তরঙ্গতা জনিত পরিতোষ লাভের জন্য এবং সাধারণত মানব বন্ধনে ভূমিকা রাখতে সম্পাদিত হয়ে থাকে।যৌনসঙ্গম বা অপরাপর যৌনকর্ম কীভাবে সংজ্ঞায়িত হয় তা নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে, যা যৌনস্বাস্থ্য বিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গিগুলোর উপর প্রভাব রাখতে পারে। যদিও যৌনসঙ্গম, নির্দিষ্টভাবে মৈথুন বলতে সাধারণত শিশ্ন-জরায়ুজ অনুপ্রবেশ ও সন্তান উৎপাদনের সম্ভাব্যতাকে নির্দেশ করা হয়, এর দ্বারা সাধারণভাবে অন্তর্ভেদী মুখমৈথুন ও বিশেষত শিশ্ন-পায়ুজ সঙ্গমকেও নির্দেশ করা হয়। এটি সাধারণত যৌন অনুপ্রবেশকে নির্দেশ করে, যেখানে অননুপ্রবেশকারী যৌনতাকে "বহির্সঙ্গম" নামে নামকরণ করা হয়, কিন্তু অনুপ্রবেশকারী যৌনকর্মকে যৌনসঙ্গম হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। যৌনতা বা ইংরেজি ভাষায় সেক্স, প্রায়শই যৌনসঙ্গমের একটি সংক্ষিপ্ত ব্যবহৃত রূপ, যা দ্বারা যে কোন প্রকারের যৌনক্রিয়াকে বোঝানো হতে পারে। যেহেতু এসকল যৌনকর্মের সময়ে মানুষ যৌনবাহিত সংক্রমণের সংস্পর্শের ঝুঁকিতে থাকতে পারে, নিরাপদ যৌনচর্চার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে, যদিও অনাভেদী যৌনতায় সংক্রমণ ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যহারে হ্রাস পেয়ে থাকে।বিভিন্ন আইনি বিধিমালা যৌনসঙ্গমমের সামাজিক অনুমতিপ্রদানের জন্য বিভিন্ন আইন ও রীতিনীতির মাধ্যমে বৈবাহিক রীতির প্রবর্তন, প্রচলন ও সমর্থন করেছে এবং বেশ কিছু যৌনকর্মের বিপরীতে নিষেধাজ্ঞামূলক আইনকে স্থান দিয়েছে, যেমন বিবাহপূর্ব ব্যভিচার ও বিবাহপরবর্তী পরকীয়া, পায়ুকাম, পশুকাম, ধর্ষণ, পতিতাবৃত্তি, অপ্রাপ্তবয়স্কের সঙ্গে যৌনচর্চা ও অজাচার। ধর্মীয় বিশ্বাসও যৌনসঙ্গমসহ অন্যান্য যৌনাচার বিষয়ক ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে অন্যতম ভূমিকা পালন করে, যেমন কুমারীত্ব বিষয়ক সিদ্ধান্ত, অথবা আইনি বা সরকারী নীতিমালা সম্পর্কিত বিষয়াবলি। বিভিন্ন ধর্মভেদে ও একই ধর্মের বিভিন্ন শ্রেণীভেদে যৌনতা সম্পর্কিত ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য পরিলক্ষিত হলেও কিছু বিষয়ে অভিন্নতা রয়েছে, যেমন ব্যভিচারের নিষেধাজ্ঞা।
প্লাস্টিক দূষণ হল পরিবেশ কর্তৃক প্লাস্টিক পদার্থের আহরণ যা পরবর্তীতে যে বন্যপ্রাণ, বন্যপ্রাণ আবাসস্থল, এমনকি মানবজাতীর ওপর বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি করে৷ আকারের উপর ভিত্তি করে, মাইক্রো-, মেসো-, অথবা ম্যাক্রোবর্জ্য এই তিনভাগে প্লাস্টিক দূষণকে শ্রেণীকরণ করা হয়। নিয়মিত প্লাস্টিক পদার্থের ব্যবহার প্লাস্টিক দূষণের মাত্রাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে৷ পলিথিন ব্যাগ, কসমেটিক প্লাস্টিক, গৃহস্থালির প্লাস্টিক, বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত প্লাস্টিক পণ্যের বেশিরভাগই পুনঃচক্রায়ন হয় না৷ এগুলো পরিবেশে থেকে বর্জ্যের আকার নেয়৷ মানুষের অসচেতনতাই প্লাস্টিক দূষণের প্রধান কারণ ৷ প্লাস্টিক এমন এক রাসায়নিক পদার্থ যা পরিবেশে পচতে অথবা কারখানায় পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ করতে প্রচুর সময় লাগে ৷ তাই একে "অপচ্য পদার্থ" হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। তাই প্লাস্টিক বর্জ্য পরিবেশে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করে ৷ সাধারনত উদ্ভিদকূল, জলজ প্রাণী, দ্বীপ অঞ্চলের প্রাণীরা প্লাস্টিক বর্জ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে৷ প্লাস্টিক বর্জ্য ঐসকল প্রাণীর বাসস্থান, খাদ্য সংগ্রহের স্থান ও উদ্ভিদের খাদ্য গ্রহণের পথে বাধার সৃষ্টি করে। শুধুমাত্র উদ্ভিদ বা জলজ প্রাণী নয়, মানুষ প্লাস্টিক দূষণের কারণে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ৷ থাইরয়েড হরমোনের অতিরিক্ত ক্ষরণের জন্য প্লাস্টিক দূষণ পরোক্ষভাবে দায়ী৷ শুধুমাত্র আমেরিকাতে প্রতিবছর ৫ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহৃত হয় ৷ এগুলোর মধ্যে মাত্র ২৪ শতাংশ পুনঃচক্রায়ন হয়ে থাকে ৷ অন্য ৩.৮ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক বর্জ্য আকারে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়৷ বর্তমানে বিভিন্ন দেশে প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার কমাতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে ৷ বাংলাদেশেও পলিথিন ব্যাগ ব্যবহারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
কিশোর কুমার (আগস্ট ৪, ১৯২৯ – অক্টোবর ১৩, ১৯৮৭) ছিলেন ভারতীয় গায়ক, গীতিকার, সুরকার, অভিনেতা, চলচ্চিত্র পরিচালক,চিত্রনাট্যকার এবং রেকর্ড প্রযোজক। সাধারণত তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পের সর্বাধিক সফল এবং সর্বশ্রেষ্ঠ প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে বিবেচিত হন। কিশোর কুমারের চার অদ্ভুত কাহানী:-কিশোর কুমার ৪ই আগস্ট ৪টার সময় জন্ম গ্রহণ করেন এবং ৪র্থ সন্তান। তিনি জীবনে ৪ টি বিয়ে করেন, চলচ্চিত্র জীবনে ৪টি বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
ইউটিউব (ইংরেজি: YouTube) একটি ভিডিও আদান-প্রদান করার ওয়েবসাইট। ওয়েব ২.০ এর অন্যতম কর্ণধার ইউটিউব বর্তমান ইন্টারনেট জগতের একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং সাইট যা এর সদস্যদের ভিডিও আপলোড, দর্শন আর আদান-প্রদানের সুবিধা দান করে আসছে। এই সাইটটিতে আরো আছে ভিডিও পর্যালোচনা, অভিমত প্রদান সহ নানা প্রয়োজনীয় সুবিধা।
হুমায়ূন আহমেদ (১৩ নভেম্বর ১৯৪৮–১৯ জুলাই ২০১২) ছিলেন একজন বাংলাদেশী ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার, চিত্রনাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি বিংশ শতাব্দীর জনপ্রিয় বাঙালি কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। তাকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক বলে গণ্য করা হয়। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। অন্য দিকে তিনি আধুনিক বাংলা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবেও তিনি সমাদৃত। তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা তিন শতাধিক। তার বেশ কিছু গ্রন্থ পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে, বেশ কিছু গ্রন্থ স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত।
গুরু নানক দেব (উচ্চারণ ) (পাঞ্জাবী: ਗੁਰੂ ਨਾਨਕ; হিন্দি: गुरु नानक, Urdu: گرونانک, [ˈɡʊɾu ˈnɑnək] (এপ্রিল ১৫, ১৪৬৯ - সেপ্টেম্বর ২২, ১৫৩৯) শিখ ধর্মের প্রবক্তা এবং এই ধর্মের প্রথম গুরু। প্রতি বছর কার্তিক পূর্ণিমা তিথিতে তার জন্মোৎসব পালিত হয়। তিনি বহু স্থানে ভ্রমণ করে মানুষের মধ্যে এক ঈশ্বরের মতবাদ প্রচলন করেন। তিনি সমতা, ভ্রাতৃত্ব ও সদাচরণের ওপর নির্ভর করে একটি অনন্য ধর্মীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রচলন করতে সক্ষম হন। শিখ ধর্মে বিশ্বাস করা হয়ে থাকে যে, পরবর্তী শিখ গুরুদের গুরুপদ লাভের সময় তাদের মধ্যে গুরু নানকের ঐশ্বরিক ক্ষমতা, ধর্মীয় কর্তৃত্ব ও পবিত্রতা প্রবাহিত হয়ে থাকে।
ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের ইতিহাস সূচিত হয় ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট ভারত ব্রিটিশ কমনওয়েলথের অন্তর্গত একটি স্বাধীন অধিরাজ্য রূপে আত্মপ্রকাশ করেছিল। ১৯৫০ সালে প্রজাতন্ত্র ঘোষিত হওয়ার পূর্বাবধি ষষ্ঠ জর্জ (অ্যালবার্ট ফ্রেডেরিক আর্থার জর্জ) ছিলেন এই দেশের রাজা। একই সঙ্গে ভারত বিভাগের ফলে ব্রিটিশ ভারতের উত্তর-পশ্চিম ও পূর্বাংশ নিয়ে পৃথক পাকিস্তান অধিরাজ্য স্থাপিত হয়। দেশভাগের ফলে ভারত ও পাকিস্তানের প্রায় ১ কোটি মানুষকে দেশান্তরী হতে হয় এবং প্রায় ১০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু ঘটে। প্রথমে লর্ড লুই মাউন্টব্যাটেন ও পরে চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারী ভারতের গভর্নর জেনারেল নিযুক্ত হন। জওহরলাল নেহেরু হন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী এবং সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল হন ভারতের প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
কাজী নজরুল ইসলাম (২৫ মে ১৮৯৯ – ২৯ আগস্ট ১৯৭৬; ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ – ১২ ভাদ্র ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ) বাংলাদেশের জাতীয় কবি। তিনি ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, সঙ্গীতজ্ঞ ও দার্শনিক যিনি বাংলা কাব্যে অগ্রগামী ভূমিকা রাখার পাশাপাশি প্রগতিশীল প্রণোদনার জন্য সর্বাধিক পরিচিত। তিনি বাংলা সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হিসেবে উল্লেখযোগ্য। বাঙালি মনীষার এক তুঙ্গীয় নিদর্শন নজরুল। তিনি । পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ – দুই বাংলাতেই তার কবিতা ও গান সমানভাবে সমাদৃত। তার কবিতায় বিদ্রোহী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তাকে বিদ্রোহী কবি নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তার কবিতার মূল বিষয়বস্তু ছিল মানুষের ওপর মানুষের অত্যাচার এবং সামাজিক অনাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ।বিংশ শতাব্দীর বাংলা মননে কাজী নজরুল ইসলামের মর্যাদা ও গুরুত্ব অপরিসীম। একাধারে কবি, সাহিত্যিক, সংগীতজ্ঞ, সাংবাদিক, সম্পাদক, রাজনীতিবিদ এবং সৈনিক হিসেবে অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে নজরুল সর্বদাই ছিলেন সোচ্চার। তার কবিতা ও গানে এই মনোভাবই প্রতিফলিত হয়েছে। অগ্নিবীণা হাতে তার প্রবেশ, ধূমকেতুর মতো তার প্রকাশ। যেমন লেখাতে বিদ্রোহী, তেমনই জীবনে – কাজেই "বিদ্রোহী কবি", তার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী বিশেষ মর্যাদার সঙ্গে উভয় বাংলাতে প্রতি বৎসর উদযাপিত হয়ে থাকে।
জি বাংলা ভারতের একটি বাংলা টিভি চ্যানেল। এসেল গ্রুপের অধীন জি নেটওয়ার্কের অন্তর্গত এই চ্যানেল।১৯৯৬ সালে প্রথম এই চ্যানেলটি যাত্রা শুরু করে, কিন্তু দুই মাসের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। আবারও আলফা বাংলা নামে এই চ্যানেলটি ১৯৯৯ সালে যাত্রা শুরু করে। ২০০৫ সালে এটি আরো আধুনিক হয়ে ওঠে। ২৭শে মার্চ, ২০০৫ সালে এটি নতুন লোগো উন্মোচন করে জি সিনে অ্যাওয়ার্ডে এবং তার নাম পরিবর্তন করে জি বাংলা করা হয়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম বাংলাদেশের একটি বেসরকারি অনলাইন সংবাদ প্রকাশনা। ’বিডিনিউজ’ নামে প্রতিষ্ঠানটির জন্ম ২০০৫ সালে, বার্তা সংস্থারূপে। ২০০৬ সালে এর মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা বদলের পর তা খোল-নলচে বদলে যায়। বিবিসির সাবেক সাংবাদিক তৌফিক ইমরোজ খালিদীর নেতৃত্বে নতুন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানটিকে দেশের প্রথম ডটকম কোম্পানির রূপ দেয়। নতুন আঙ্গিকে এর পরিচয় হয় ‘বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম’ নামে। ২০০৬ সালের ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রথম ইন্টারনেট সংবাদপত্র হিসেবে যাত্রা শুরু করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
পৃথিবী সূর্য থেকে দূরত্ব অনুযায়ী তৃতীয়, সর্বাপেক্ষা অধিক ঘনত্বযুক্ত এবং সৌরজগতের আটটি গ্রহের মধ্যে পঞ্চম বৃহত্তম গ্রহ। এটি সৌরজগতের চারটি কঠিন গ্রহের অন্যতম। পৃথিবীর অপর নাম "বিশ্ব" বা "নীলগ্রহ"। ইংরেজি ভাষায় পরিচিত আর্থ (Earth) নামে, গ্রিক ভাষায় পরিচিত গাইয়া (Γαῖα) নামে, লাতিন ভাষায় এই গ্রহের নাম "টেরা (Terra)।
কৃষ্ণ (সংস্কৃত: कृष्ण) হলেন হিন্দু ধর্মানুসারীদের আরাধ্য বিশিষ্ট একজন দেবতা। তিনি ভগবান বিষ্ণুর অষ্টম অবতার রূপে খ্যাত। কখনো কখনো তাকে সর্বোচ্চ ঈশ্বর ('পরম সত্ত্বা') অভিধায় ভূষিত করা হয় এবং হিন্দুদের অন্যতম প্রধান ধর্মগ্রন্থ ভগবদ্গীতার প্রবর্তক হিসাবে মান্য করা হয়। হিন্দু বর্ষপঞ্জী অনুসারে প্রতিবছর ভাদ্রমাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী (জন্মাষ্টমী) তিথিতে তার জন্মোৎসব পালন করা হয়।
ঢাকা(ইংরেজি:Dhaka, পূর্বে Dacca ছিল) দক্ষিণ এশিয়ার রাষ্ট্র বাংলাদেশের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। প্রশাসনিকভাবে এটি দেশটির ঢাকা বিভাগের প্রধান শহর। ভৌগোলিকভাবে এটি বাংলাদেশের মধ্যভাগে বুড়িগঙ্গা নদীর উত্তর তীরে একটি সমতল এলাকাতে অবস্থিত। ঢাকা একটি অতিমহানগরী (মেগাশহর); ঢাকা মহানগরী এলাকার জনসংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ। জনসংখ্যার বিচারে এটি দক্ষিণ এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম শহর (দিল্লি, করাচি ও মুম্বইয়ের পরেই) এবং সমগ্র বিশ্বের নবম বৃহত্তম শহর। জনঘনত্বের বিচারে ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ মহানগরী; ১৩৪ বর্গমাইল আয়তনের এই শহরে প্রতি বর্গমাইল এলাকায় ১ লক্ষ ১৫ হাজার লোকের বাস।ঢাকা শহরটি "মসজিদের শহর" নামেও পরিচিত। এখানে ৭০০-রও বেশি মসজিদ আছে। এছাড়া ঢাকা "বিশ্বের রিকশা রাজধানী" নামেও পরিচিত। এই শহরে রোজ প্রায় ৪০০,০০০ থেকে ৪৫০,০০০টি রিকশা চলাচল করে। বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রধান সংস্কৃতি, শিক্ষা ও বাণিজ্যকেন্দ্র।ঢাকা শহরের জলবায়ু ক্রান্তীয় আর্দ্র ও শুষ্ক প্রকৃতির। গড় তাপমাত্রা এপ্রিল মাসে সর্বোচ্চ প্রায় ৩৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং জানুয়ারি মাসে সর্বনিম্ন প্রায় ১৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। মে মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ঢাকা শহরে বর্ষাকাল, সেসময় প্রতি মাসে গড়ে ৩০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়।সপ্তদশ শতাব্দীতে পুরানো ঢাকা মুঘল সাম্রাজ্যের সুবহে বাংলা (বাংলা প্রদেশ) এর প্রাদেশিক রাজধানী ছিলো। মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের শাসনামলে এই শহর জাহাঙ্গীর নগর নামে পরিচিত ছিলো। বিশ্বব্যাপী মসলিন বাণিজ্যের একটি কেন্দ্র ছিলো ঢাকা এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীগণ এখানে বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে আসতেন। ঢাকাতে বিশ্বের সেরা মসলিন কাপড় উৎপাদিত হতো। যদিও আধুনিক ঢাকা শহরের বিকাশ ঘটে ঊনবিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ শাসন আমলে, এই সময় নবাবগণ ঢাকা শাসন করতেন। এই সময় কলকাতার পরেই ঢাকা বাংলা প্রেসিডেন্সির দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী হয়ে ওঠে। ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের পরে ঢাকা নবগঠিত পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশের রাজধানী হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পরে ঢাকা পূর্ব পাকিস্তানের প্রশাসনিক রাজধানীতে পরিণত হয়। ১৯৫০-৬০ সালের মধ্যে এই শহর বিভিন্ন সামাজিক, জাতীয়তাবাদী ও গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে। ১৯৭১ সালে ঢাকা স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের রাজধানী ঘোষিত হয়। ইতিপূর্বে সামরিক আইন বলবৎ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা, সামরিক দমন, যুদ্ধ ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের তাণ্ডবলীলার মতো একাধিক অস্থির ঘটনার সাক্ষী হয় এই শহর।
শেখ মুজিবুর রহমান (১৭ মার্চ ১৯২০ - ১৫ আগস্ট ১৯৭৫), সংক্ষিপ্তাকারে শেখ মুজিব বা মুজিব, ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও ভারতীয় উপমহাদেশের একজন অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, যিনি বাঙালির অধিকার রক্ষায় ব্রিটিশ ভারত থেকে ভারত বিভাজন আন্দোলন এবং পরবর্তীতে পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে কেন্দ্রীয়ভাবে নেতৃত্ব প্রদান করেন। প্রাচীন বাঙালি সভ্যতার আধুনিক স্থপতি হিসাবে শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের "জাতির জনক" বা "জাতির পিতা" বলা হয়ে থাকে। তিনি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সভাপতি, বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং পরবর্তীতে এদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। জনসাধারণের কাছে তিনি শেখ মুজিব এবং শেখ সাহেব হিসাবে বেশি পরিচিত ছিলেন এবং তার উপাধি "বঙ্গবন্ধু"। তার কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বর্তমান সভানেত্রী এবং বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল ১৯৭১ সালে সংঘটিত তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের সশস্ত্র সংগ্রাম, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ হিসাবে পৃথিবীর মানচিত্রে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি নিধনে ঝাঁপিয়ে পড়লে একটি জনযুদ্ধের আদলে গেরিলাযুদ্ধ তথা স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা ঘটে। ২৫ মার্চের কালো রাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ঢাকায় অজস্র সাধারণ নাগরিক, ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, পুলিশ ও ই.পি.আর.-কে হত্যা করে এবং ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতাপ্রাপ্ত দল আওয়ামী লীগ প্রধান বাঙালিদের তৎকালীন জনপ্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। পার্বত্য চট্টগ্ৰামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে ৮ম পূৰ্ব বেঙ্গল রেজিমেন্টের উপ-প্ৰধান মেজর জিয়াউর রহমান ও চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের নেতা এম. এ.
একটি মেয়ের মাসিক শুরু হবার পর থেকে প্রতি মাসে একটি করে ডিম্বাণু পরিপক্হয়। এই ডিম্বাণু সাধারণত দুই মাসিকের মাঝামাঝি সময়ে ডিমের থলি থেকে ডিম্ববাহী নালীতে আসে। এই সময়ে যদি যৌন মিলন হয়, তাহলে পুরুষের শুক্রাণু যোনিপথ দিয়ে ডিম্ববাহী নালীতে গিয়ে পৌঁছে। সেখানে ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হবার ফলে ভ্রুণ তৈরি হয়। একে গর্ভধারণ বলে। এই ভ্রুণ কয়েক দিন পর জরায়ুতে এসে পৌঁছে এবং সেখানে বড় হয়ে শিশুতে পরিণত হয়। গর্ভাবস্থা যা গর্ভধারণ বা জেস্টেশন নামেও পরিচিত, হলো এমন একটি সময় যখন কোনো নারীর শরীরের মধ্যে এক বা একাধিক সন্তান বৃদ্ধিলাভ করে থাকে। একাধিক গর্ভধারণের ক্ষেত্রে একের বেশি সন্তান থাকে যেমন যমজ সন্তান। গর্ভাবস্থা যৌনসঙ্গম অথবা সহায়ক প্রজনন প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘটতে পারে। শিশুর জন্ম সর্বশেষ রজঃস্রাবের সময় থেকে প্রায় ৪০ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয় এবং শিশু জন্মের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়। মাত্র দশ মাস দশ দিনে মাসে এই প্রক্রিয়ার সমাপ্তি ঘটে থাকে যেখানে প্রতি মাসে প্রায় ৩১ দিন হয়। এটি গর্ভ সঞ্চারের প্রায় ৩৮ সপ্তাহ পরে হয়ে থাকে। গর্ভধারণের পর প্রথম আট সপ্তাহের মধ্যে একটি ভ্রূণ সন্তান হিসেব রূপলাভ করতে থাকে, পরবর্তীতে যা, জন্মের সময় গর্ভাবস্থার শব্দটি ব্যবহার করা হয়। গর্ভাবস্থার প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে রজঃস্রাব না হওয়া, কোমল স্তন, বমির ভাব ও বমি হওয়া, ক্ষুধা, এবং ঘনঘন মুত্রত্যাগ। গর্ভধারণ পরীক্ষার মাধ্যমে গর্ভাবস্থা নিশ্চিত করা যেতে পারে।গর্ভাবস্থাকে সাধারণত তিনটি ত্রৈমাসিক পর্যায়ে ভাগ করা যেতে পারে। প্রথম ত্রৈমাস হলো এক থেকে বারো সপ্তাহ পর্যন্ত এবং এর মধ্যে গর্ভসঞ্চার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। নিষিক্ত ডিম্ব ফ্যালোপিয়ান টিউবের মধ্য দিয়ে নিচে চলে এসে গর্ভাশয়ের মধ্যে আটকে যাওয়ার মাধ্যমে গর্ভসঞ্চার হয় যেখানে এটি ভ্রূণ ও গর্ভফুল গঠন করতে শুরু করে। প্রথম তিনমাসে গর্ভস্রাবের (ভ্রূণ বা ফিটাসের স্বাভাবিক মৃত্যু) অধিকতর সম্ভাবনা থাকে। দ্বিতীয় তিনমাস হল ১৩ থেকে ২৮ সপ্তাহ পর্যন্ত। দ্বিতীয় তিনমাসের মাঝামাঝি সময় থেকে ফিটাসের নড়াচড়া অনুভূত হতে পারে। ২৮ সপ্তাহের দিকে ৯০% এরও বেশি শিশু গর্ভাশয়ের বাইরে বেঁচে থাকতে পারে, যদি উচ্চমানের চিকিৎসাগত সেবা প্রদান করা যায়। তৃতীয় তিনমাস হলো ২৯ সপ্তাহ থেকে ৪০ সপ্তাহ পর্যন্ত।প্রসবপূর্ব পরিচর্যা গর্ভাবস্থার ফলাফলকে উন্নত করে। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে বাড়তি ফলিক এসিড গ্রহণ, মাদক ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা, নিয়মিত ব্যায়াম, রক্ত পরীক্ষা ও নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা। অন্যান্যগুলোর সাথে গর্ভাবস্থার জটিলতাসমূহের মধ্যে থাকতে পারে গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপ, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস, আয়রনের ঘাটতিজনিত রক্তশূন্যতা, এবং প্রবল বমির ভাব ও বমি। মেয়াদী গর্ভকাল হলো ৩৭ সপ্তাহ থেকে ৪১ সপ্তাহ পর্যন্ত, যার মধ্যে ৩৭ ও ৩৮ সপ্তাহ হলো মেয়াদপূর্ব কাল, ৩৯ ও ৪০ সপ্তাহ হলো পূর্ণ মেয়াদকাল এবং ৪১ সপ্তাহ হলো মেয়াদোত্তীর্ণ কাল। ৪১ সপ্তাহের পরের সময় মেয়াদ পরবর্তীকাল হিসেবে পরিচিত। ৩৭ সপ্তাহের আগে জন্ম গ্রহণ করা শিশুরা হলো অকালজাত এবং তারা সেরিব্রাল পালসির মতো শারীরিক সমস্যার উচ্চ ঝুঁকিতে থাকে। অন্য কোনো চিকিৎসাগত কারণ না থাকলে ৩৯ সপ্তাহের আগে প্রসব কৃত্রিমভাবে শুরু না করার সুপারিশ করা হয়, তা সেটি প্রসব বেদনা শুরু করানো মাধ্যমে অথবা সিজারিয়ান সেকশনের মাধ্যমে যেভাবেই করা হোক না কেন। ২০১২ সালে প্রায় ২১৩ মিলিয়ন গর্ভধারণ ঘটে যার মধ্যে ১৯০ মিলিয়ন ছিল উন্নয়নশীল বিশ্বে এবং ২৩ মিলিয়ন ছিল উন্নত বিশ্বে। এটি ১৫ থেকে ৪৪ বছর বয়সী প্রতি ১,০০০ জন নারীতে প্রায় ১৩৩টি গর্ভধারণ। প্রায় ১০% থেকে ১৫% স্বীকৃত গর্ভাবস্থা গর্ভপাতের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়। ২০১৩ সালে গর্ভাবস্থার জটিলতাসমূহ ২৯৩,০০০ মৃত্যুর কারণ ঘটিয়েছিল যা ১৯৯০ সালের ৩৭৭,০০০ মৃত্যুর চেয়ে কম ছিল। সাধারণ কারণের মধ্যে রয়েছে মাতৃত্বজনিত রক্তক্ষরণ, গর্ভপাতের জটিলতাসমূহ, গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপ, মাতৃত্বজনিত সেপসিস, ও রোধক প্রসব। বিশ্বজুড়ে গর্ভাবস্থার ৪০% হল অপরিকল্পিত। অপরিকল্পিত গর্ভাবস্থার অর্ধেকের ক্ষেত্রে গর্ভপাত ঘটানো হয়। যুক্তরাষ্ট্রে সংঘটিত অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভবস্থার ক্ষেত্রে মহিলাদের ৬০% গর্ভসঞ্চার ঘটার মাসে কিছু মাত্রায় জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করতেন।
কুরআন মাজীদ অথবা কুরআ-ন মাজী-দ (আরবি: القرآن আল্-কুর্'আন্[টী১]) ইসলাম ধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ, যা আল্লাহর বাণী বলে মুসলমানরা বিশ্বাস করে থাকেন। এটি আরবী সাহিত্যের সর্বোৎকৃষ্ট কর্ম হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। কুরআনকে প্রথমে অধ্যায়ে (আরবীতে সূরা) ভাগ করা হয় এবং অধ্যায়গুলো (সূরা) আয়াতে বিভক্ত করা হয়েছে।
মোটু পাতলু হল ভারতের টেলিভিশন অ্যানিমেটেড কার্টুন সিরিজ। যেটি কমিকস সিরিজ লট পটের অনুরূপ । এটি ১৬ অক্টোবর ২০১২ থেকে শুরু হয়, যার প্রথম পর্ব ছিল "জন বানেগা ডন"।এটি বাচ্চাদের খুবই প্রিয় প্রোগ্রাম। এই কার্টুনের প্রধান দুটি চরিত্র হল মোটু ও পাতলু। কার্টুনের প্রতিটি দৃশ্যপট ও কাহিনী এই দুজনকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হয়। ডনের অসামাজিক কার্যক্রমে দুই বন্ধু মোটু এবং পাতলু বাধাদান করে। এই কার্টুনের কল্পিত শহরের নাম ফুরফুরি নগর।ফুরফুরি নগরে একজন চা বিক্রেতা থাকেন যিনি মোটুর জন্য সিঙ্গারা তৈরি করেন।
নিম্ন মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট
জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সংক্ষেপে জেএসসি, বাংলাদেশের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য প্রযোজ্য একটি গণপরীক্ষা। মাদ্রাসার ছাত্রদের জন্য প্রদানকৃত সমমানের সনদকে বলা হয় জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট বা জেডিসি। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট প্রদান করা হয় এবং তাদের নবম শ্রেণীতে ভর্তির সুযোগ দেয়া হয়। এছাড়া এ পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে জুনিয়র বৃত্তি প্রদান করা হবে। ২০১০ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সাধারণ স্কুল ওমাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
পাকিস্তান (উর্দু: پاکِستان), সরকারীভাবে ইসলামি প্রজাতন্ত্রী পাকিস্তান (উর্দু: اِسلامی جمہوریہ پاکِستان), দক্ষিণ এশিয়ার একটি রাষ্ট্র। ২১,২৭,৪২,৬৩১ এর অধিক জনসংখ্যা নিয়ে এটি জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের ৫ম বৃহত্তম রাষ্ট্র এবং আয়তনের দিক থেকে ৩৩তম বৃহত্তম রাষ্ট্র। পাকিস্তানের দক্ষিণে আরব সাগর এবং ওমান উপসাগরীয় উপকূলে ১০৪৬ কিলোমিটার (৬৫০ মাইল) উপকূল রয়েছে এবং এটি পূর্ব দিকে ভারতের দিকে, আফগানিস্তান থেকে পশ্চিমে, ইরান দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং উত্তর-পূর্ব দিকে চীন সীমান্তে অবস্থিত। এটি উত্তর-পশ্চিমে আফগানিস্তানের ওয়াখান করিডোরের দ্বারা তাজিকিস্তান থেকে সংকীর্ণভাবে বিভক্ত এবং ওমানের সাথে সমুদ্রের সীমান্ত ভাগ করে।
হস্তমৈথুন বা স্বমেহন (Masturbation) একরূপ যৌনক্রিয়া যাতে একজন ব্যক্তি কোনো সঙ্গী বা সঙ্গিনীর অংশগ্রহণ ব্যতিরেকেই যৌনসুখ অর্জনের চেষ্টা করে। আত্মমৈথুন ও স্বকাম এর সমার্থক শব্দ। এ যৌনক্রিয়ায় প্রধানত হাতের সাহায্যে পুরুষ তার লিঙ্গ এবং নারী তার যোনী ঘর্ষণ করে বলে একে সচরাচর হস্তমৈথুন হিসেবেও উল্লেখ করা হয়ে থাকে।
ঘূর্ণিঝড় বা ঘূর্ণিবাত্যা হল ক্রান্তীয় অঞ্চলের সমুদ্রে সৃষ্ট বৃষ্টি, বজ্র ও প্রচন্ড ঘূর্ণি বাতাস সম্বলিত আবহাওয়ার একটি নিম্ন-চাপ প্রক্রিয়া যা নিরক্ষীয় অঞ্চলে উৎপন্ন তাপকে মেরু অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত করে। এই ধরনের ঝড়ে বাতাস প্রবল বেগে ঘুরতে ঘুরতে ছুটে চলে বলে এর নামকরণ হয়েছে ঘূর্ণিঝড়। ঘূর্ণিঝড়ের ঘূর্ণন উত্তর গোলার্ধে ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে ঘড়ির কাঁটার দিকে।
ডেঙ্গু জ্বর একটি এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু ভাইরাস জনিত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগ। এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমণের তিন থেকে পনেরো দিনের মধ্যে সচরাচর ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গগুলো দেখা দেয়। উপসর্গগুলির মাঝে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, বমি, পেশিতে ও গাঁটে ব্যথা এবং গাত্রচর্মে ফুসকুড়ি। দুই থেকে সাত দিনের মাঝে সাধারণত ডেঙ্গু রোগী আরোগ্য লাভ করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগটি মারাত্মক রক্তক্ষরী রূপ নিতে পারে যাকে ডেঙ্গু রক্তক্ষরী জ্বর (ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার) বলা হয়। এর ফলে রক্তপাত হয়, রক্ত অনুচক্রিকার মাত্রা কমে যায় এবং রক্ত প্লাজমার নিঃসরণ ঘটে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কখনোবা ডেঙ্গু শক সিনড্রোম দেখা দেয়। ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে রক্তচাপ বিপজ্জনকভাবে কমে যায়।কয়েক প্রজাতির এডিস মশকী (স্ত্রী মশা) ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রধান বাহক। যেগুলোর মধ্যে এডিস ইজিপ্টি মশকী প্রধানতম। ভাইরাসটির পাঁচটি সেরোটাইপ পাওয়া যায়। ভাইরাসটির একটি সেরোটাইপ সংক্রমণ করলে সেই সেরোটাইপের বিরুদ্ধে রোগী আজীবন প্রতিরোধী ক্ষমতা অর্জন করে, কিন্তু ভিন্ন সেরোটাইপের বিরুদ্ধে সাময়িক প্রতিরোধী ক্ষমতা অর্জন করে। পরবর্তীতে ভিন্ন সেরোটাইপের ডেঙ্গু ভাইরাস সংক্রমিত হলে রোগীর মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে। কয়েক ধরনের টেস্টের মাধ্যমে, যেমন, ভাইরাসটি বা এর আরএনএ প্রতিরোধী এন্টিবডির উপস্থিতি দেখেও ডেঙ্গু জ্বর নির্ণয় করা যায়।
বঙ্গাব্দ, বাংলা সন বা বাংলা বর্ষপঞ্জি হল বঙ্গদেশের একটি ঐতিহ্য মণ্ডিত সৌর পঞ্জিকা ভিত্তিক বর্ষপঞ্জি। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সৌরদিন গণনা শুরু হয়। পৃথিবী সূর্যের চারদিকে একবার ঘুরে আসতে মোট ৩৬৫ দিন কয়েক ঘণ্টা সময়ের প্রয়োজন হয়। এই সময়টাই এক সৌর বছর। গ্রেগরীয় সনের মতন বঙ্গাব্দেও মোট ১২ মাস। এগুলো হল বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র, আশ্বিন, কার্তিক, অগ্রহায়ণ, পৌষ, মাঘ, ফাল্গুন ও চৈত্র। আকাশে রাশিমণ্ডলীতে সূর্যের অবস্থানের ভিত্তিতে বঙ্গাব্দের মাসের হিসাব হয়ে থাকে। যেমন যে সময় সূর্য মেষ রাশিতে থাকে সে মাসের নাম বৈশাখ।
স্বামী বিবেকানন্দ (বাংলা: [ʃami bibekanɒnɖo] (শুনুন), Shāmi Bibekānondo; ১২ জানুয়ারি ১৮৬৩ – ৪ জুলাই ১৯০২) নাম নরেন্দ্রনাথ দত্ত (বাংলা: [nɔrend̪ro nat̪ʰ d̪ɔt̪t̪o]), ছিলেন একজন হিন্দু সন্ন্যাসী, দার্শনিক, লেখক, সংগীতজ্ঞ এবং ঊনবিংশ শতাব্দীর ভারতীয় অতীন্দ্রি়য়বাদী রামকৃষ্ণ পরমহংসের প্রধান শিষ্য। তার পূর্বাশ্রমের নাম ছিল নরেন্দ্রনাথ দত্ত। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে হিন্দুধর্ম তথা ভারতীয় বেদান্ত ও যোগ দর্শনের প্রচারে প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। অনেকে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে বিভিন্ন ধর্মমতের মধ্যে পারস্পরিক সুসম্পর্ক স্থাপন এবং হিন্দুধর্মকে বিশ্বের অন্যতম প্রধান ধর্ম হিসেবে প্রচার করার কৃতিত্ব বিবেকানন্দকে দিয়ে থাকেন। ভারতে হিন্দু পুনর্জাগরণের তিনি ছিলেন অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব। সেই সঙ্গে ব্রিটিশ ভারতে তিনি ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ধারণাটি প্রবর্তন করেন। বিবেকানন্দ রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন। তার সবচেয়ে বিখ্যাত বক্তৃতাটি হল, "আমেরিকার ভাই ও বোনেরা ...," ১৮৯৩ খ্রিষ্টাব্দে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোয় বিশ্ব ধর্ম মহাসভায় প্রদত্ত চিকাগো বক্তৃতা, যার মাধ্যমেই তিনি পাশ্চাত্য সমাজে প্রথম হিন্দুধর্ম প্রচার করেন। স্বামী বিবেকানন্দ কলকাতার এক উচ্চবিত্ত হিন্দু বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ছোটোবেলা থেকেই আধ্যাত্মিকতার প্রতি তিনি আকর্ষিত হতেন। তার গুরু রামকৃষ্ণ দেবের কাছ থেকে তিনি শেখেন, সকল জীবই ঈশ্বরের প্রতিভূ; তাই মানুষের সেবা করলেই ঈশ্বরের সেবা করা হয়। রামকৃষ্ণের মৃত্যুর পর বিবেকানন্দ ভারতীয় উপমহাদেশ ভালোভাবে ঘুরে দেখেন এবং ব্রিটিশ ভারতের আর্থ-সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে প্রত্যক্ষ জ্ঞান অর্জন করেন। পরে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ১৮৯৩ খ্রিষ্টাব্দের বিশ্ব ধর্ম মহাসভায় ভারত ও হিন্দুধর্মের প্রতিনিধিত্ব করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড ও ইউরোপে তিনি হিন্দু দর্শনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অসংখ্য সাধারণ ও ঘরোয়া বক্তৃতা দিয়েছিলেন এবং ক্লাস নিয়েছিলেন। তার রচিত গ্রন্থগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য চিকাগো বক্তৃতা, কর্মযোগ, রাজযোগ, জ্ঞানযোগ, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বেদান্ত, ভারতে বিবেকানন্দ, ভাববার কথা, পরিব্রাজক, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য, বর্তমান ভারত, বীরবাণী (কবিতা-সংকলন), মদীয় আচার্যদেব ইত্যাদি। বিবেকানন্দ ছিলেন সংগীতজ্ঞ ও গায়ক। তার রচিত দুটি বিখ্যাত গান হল "খণ্ডন-ভব-বন্ধন" (শ্রীরামকৃষ্ণ আরাত্রিক ভজন) ও "নাহি সূর্য নাহি জ্যোতি"। এছাড়া "নাচুক তাহাতে শ্যামা", "৪ জুলাইয়ের প্রতি", "সন্ন্যাসীর গীতি" ও "সখার প্রতি" তার রচিত কয়েকটি বিখ্যাত কবিতা। "সখার প্রতি" কবিতার অন্তিম দুইটি চরণ– “বহুরূপে সম্মুখে তোমার ছাড়ি কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর?
বাংলা ভাষা আন্দোলন ছিল ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৬ পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব বাংলায় (বর্তমান বাংলাদেশে) সংঘটিত একটি সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন। মৌলিক অধিকার রক্ষাকল্পে বাংলা ভাষাকে ঘিরে সৃষ্ট এ আন্দোলনের মাধ্যমে তদানীন্তন পাকিস্তান অধিরাজ্যের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণদাবীর বহিঃপ্রকাশ ঘটে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে এ আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ ধারণ করলেও বস্তুত এর বীজ রোপিত হয়েছিল বহু আগে, অন্যদিকে এর প্রতিক্রিয়া এবং ফলাফল ছিল সুদূরপ্রসারী। ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ব্রিটিশ ভারত ভাগ হয়ে পাকিস্তান অধিরাজ্য ও ভারত অধিরাজ্য নামক দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের উদ্ভব হয়। পাকিস্তানের ছিল দু’টি অংশ: পূর্ব বাংলা (১৯৫৫ সালে পুনর্নামাঙ্কিত পূর্ব পাকিস্তান) ও পশ্চিম পাকিস্তান। প্রায় দুই হাজার কিলোমিটারের অধিক দূরত্বের ব্যবধানে অবস্থিত পাকিস্তানের দুটি অংশের মধ্যে সাংস্কৃতিক, ভৌগোলিক ও ভাষাগত দিক থেকে অনেকগুলো মৌলিক পার্থক্য বিরাজমান ছিল। ১৯৪৮ সালে পাকিস্তান অধিরাজ্য সরকার ঘোষণা করে যে, উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। এ ঘোষণার প্রেক্ষাপটে পূর্ব বাংলায় অবস্থানকারী বাংলাভাষী সাধারণ জনগণের মধ্যে গভীর ক্ষোভের জন্ম হয় ও বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। কার্যতঃ পূর্ব বাংলার বাংলাভাষী মানুষ আকস্মিক ও অন্যায্য এ সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারেনি এবং মানসিকভাবে মোটেও প্রস্তুত ছিল না। ফলস্বরূপ বাংলাভাষার সম-মর্যাদার দাবিতে পূর্ব বাংলায় আন্দোলন দ্রুত দানা বেঁধে ওঠে। আন্দোলন দমনে পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করে ঢাকা শহরে মিছিল, সমাবেশ ইত্যাদি বেআইনি ও নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি (৮ ফাল্গুন ১৩৫৮) এ আদেশ অমান্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু সংখ্যক ছাত্র ও প্রগতিশীল কিছু রাজনৈতিক কর্মী মিলে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের কাছাকাছি এলে পুলিশ ১৪৪ ধারা অবমাননার অজুহাতে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। গুলিতে নিহত হন বাদামতলী কমার্শিয়াল প্রেসের মালিকের ছেলে রফিক, সালাম, এম. এ.
যোনি বা যোনিপথ বা যৌননালী বা জনননালী (লাতিন: ভ্যাজাইনা)) হলো স্ত্রী যৌনাঙ্গ, যা জরায়ু থেকে স্ত্রীদেহের বাইরের অংশ পর্যন্ত বিস্তৃত একটি ফাইব্রোমাসকুলার নলাকার অংশ। মানুষ ছাড়াও অমরাবিশিষ্ট মেরুদণ্ডী ও মারসুপিয়াল প্রাণীতে, যেমনঃ ক্যাঙ্গারু অথবা স্ত্রী পাখি, মনোট্রিম ও কিছু সরীসৃপের ক্লোকাতে যোনি পরিদৃষ্ট হয়। স্ত্রী কীটপতঙ্গ এবং অন্যান্য অমেরুদণ্ডী প্রাণীরও যোনি আছে, যা মূলতঃ ওভিডাক্টের শেষ প্রান্ত।
দুর্গাপূজা বা দুর্গোৎসব হল হিন্দু দেবী দুর্গার পূজাকে কেন্দ্র করে প্রচলিত একটি উৎসব। দুর্গাপূজা সমগ্র হিন্দুসমাজেই প্রচলিত। তবে বাঙালি হিন্দু সমাজে এটি অন্যতম বিশেষ ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব। আশ্বিন বা চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষে দুর্গাপূজা করা হয়। আশ্বিন মাসের দুর্গাপূজা শারদীয়া দুর্গাপূজা এবং চৈত্র মাসের দুর্গাপূজা বাসন্তী দুর্গাপূজা নামে পরিচিত। শারদীয়া দুর্গাপূজার জনপ্রিয়তা বেশি। বাসন্তী দুর্গাপূজা মূলত কয়েকটি পরিবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ।
রাস যাত্রা সনাতন ধর্মালম্বীদের একটি বাৎসরিক উৎসব। রাস মূলতঃ শ্রীকৃষ্ণের ব্রজলীলার অনুকরণে বৈষ্ণবীয় ভাবধারায় অনুষ্ঠিত ধর্মীয় উৎসব। ভগবান কৃষ্ণের রসপূর্ণ অর্থাৎ তাত্ত্বিক রসের সমৃদ্ধ কথাবস্তুকে রাসযাত্রার মাধ্যমে জীবাত্মার থেকে পরমাত্মায়, দৈনন্দিন জীবনের সুখানুভূতিকে আধ্যাত্মিকতায় এবং কামপ্রবৃত্তিসমূহকে প্রেমাত্মক প্রকৃতিতে রূপ প্রদান করে অঙ্কন করা হয়েছে।হর্ষচরিতের টীকাকার শঙ্করের মতে, রাস হলো এক ধরনের বৃত্তাকার নাচ যা আট, ষোলো বা বত্রিশ জনে সম্মিলিতভাবে উপস্থাপনা করা যায়।
হনুমান চালিশা হল রামায়ণের অন্যতম মুখ্য ব্যক্তিত্ব হনুমানের প্রতি নিবেদিত অবধী ভাষায় লিখিত একটি জনপ্রিয় ভক্তিমূলক চালিশা অর্থাৎ চল্লিশটি চৌপাই দ্বারা রচিত কবিতা। ,,,। জনপ্রিয় মত হল এটি রচনা করেন রামচরিতমানস রচয়িতা কবি তুলসীদাস, সাম্ভাব্য রচনাকাল ১৫৭৫ খ্রীষ্টাব্দ। । চল্লিশটির মধ্যে শেষ চৌপাইটিতে তুলসিদাসের উল্লেখ সেই মতকেই সমর্থন করে। তবে ভিন্ন মতে এটি অনেক পরের রচনা । যদিও অবধী হিন্দির একটি উপভাষা মাত্র, কিন্তু শুধুমাত্র হিন্দিভাষীদের মধ্যেই নয় ভারতের অনেক অঞ্চলেরই লোক যারা হিন্দী বোঝেনা তাদের মধ্যেও প্রেরণাত্মক মন্ত্র বা স্তোত্র বা গান হিসাবে এটি লোকপ্রিয় ,,,। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার অনেক দেশেই রামায়ণের বহু চরিত্র এখোনো জনপ্রিয় এবং তাদের মধ্যেও হনুমান চালিশার ব্যবহারের উদাহরণ আছে।.
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টিকর্ম
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টিকর্ম তার রচিত কাব্য, উপন্যাস, ছোটগল্প, নাট্যসাহিত্য, প্রবন্ধ, চিত্রকলা ও সঙ্গীতের মধ্যে ছড়িয়ে আছে।
বাউল একটি বিশেষ লোকাচার ও ধর্মমত। এই মতের সৃষ্টি হয়েছে বাংলার মাটিতে। বাউলকূল শিরোমণি লালন সাঁইয়ের গানের মধ্য দিয়ে বাউল মত পরিচতি লাভ করে। বাউল গান যেমন জীবন দর্শনে সম্পর্কিত তেমনই সুরসমৃদ্ধ। বাউলদের সাদামাটা কৃচ্ছ্রসাধনার জীবন আর একতারা বাজিয়ে গান গেয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়ানোই তাদের অভ্যাস।
অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড় বুলবুল একটি সক্রিয় ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়, যা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে উপকূলে শ্রেণি-২ হারিকেনের সমতুল্য তীব্রতায় আঘাত করে এবং এটি বাংলাদেশের জন্য বন্যা এবং ঝড়ের তীব্র ঝুঁকির সৃষ্টি করেছিল। নভেম্বরের গোড়ার দিকে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর জুড়ে তীব্র ঘূর্ণিঝড় ক্রান্তীয় ঝড় মাতমের অবশিষ্টাংশ থেকে উদ্ভূত বুলবুল আস্তে আস্তে অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসাবে তীব্র হয়ে ওঠে। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভূমিভাগ অতিক্রম করে আন্দামান সাগরে পুনজূন্ম নেওয়া এখন পর্যন্ত চতুর্থ গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়। তদতিরিক্ত, এটি হারিকেন ঝড়ের সমতুল্য শক্তি তৈরি করা দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড়। এর পূর্বে এমন ঝড় দেখা গিয়েছিল সর্বশেষ ১৯৬০ সালে।
মিঠুন চক্রবর্তী ভারতের একজন খ্যাতিমান চলচ্চিত্র অভিনেতা, সমাজ সংগঠক এবং উদ্যোক্তা। শৈশবে 'গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী' নামে বাংলাদেশের বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। মৃগয়া (১৯৭৬) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার অভিষেক ঘটে। এ ছবির মাধ্যমেই তিনি 'সেরা অভিনেতা' হিসেবে ভারতের 'জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার' লাভ করেন। বর্তমানে তিনি পরশ টিভি'র প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন।
নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী (গুজরাটি: નરેન્દ્ર દામોદરદાસ મોદી; উচ্চারণ শুনুন , জন্ম ১৭ই সেপ্টেম্বর, ১৯৫০) ভারতের পঞ্চদশ প্রধানমন্ত্রী। এই রাজনীতিবিদ ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত ষোড়শ সাধারণ নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টিকে নেতৃত্ব প্রদানের মাধ্যমে বহুমতের দ্বারা জয়লাভ লাভ করেন এবং ২৬শে মে ভারতের পঞ্চদশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। এর আগে তিনি গুজরাটের চতুর্দশ মুখ্যমন্ত্রী পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
ইসলাম (আরবি:আল-ইসলাম,[ ] [الإسلام] (শুনুন)রোমান হরফে:al-Islām [____]) একটি একেশ্বরবাদী এবং ইব্রাহিমীয় ধর্মবিশ্বাস যার মূল শিক্ষা হল, এক আল্লাহ ছাড়া আর কোন ঈশ্বর নেই এবং মুহাম্মদ হলেন আল্লাহর প্রেরিত নবী ও রাসূল। এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল প্রধান ধর্ম, যার অনুসারী সংখ্যা ১.৯ বিলিয়ন এবং পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ২৪.৪ %,যারা মুসলমান নামে পরিচিত। মুসলমানরা ৫০ এর অধিক দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসমষ্টি। ইসলাম শিক্ষা দেয় যে আল্লাহ দয়ালু, করুনাময়,এক,অদ্বিতীয়, এবং একমাত্র আরাধনাযোগ্য অভিভাবক। মানবজাতীকে পথ প্রদর্শনের জন্য তিনি যুগে যুগে অনেক নবী-রাসূল,আসমানী কিতাব এবং নিদর্শন পাঠিয়েছেন । ইসলামে প্রধান ধর্মগ্রন্থ হল কুরআন যা স্বয়ং আল্লাহর বানী বলে বিশ্বাস করা হয়; আর নবী (সাঃ)(২৯ আগষ্ট ৫৭০- ৮ জুন ৬৩২) এর প্রদত্ত শিক্ষা,পদ্ধতি, জীবনাদর্শকে সুন্নাহ বলা হয় যা হাদীস নামে লিপিবদ্ধ রয়েছে।
লিঙ্গ পরিচয় শব্দ দ্বারা একজন মানুষের লিঙ্গ সম্পর্কে নিজস্ব অভিজ্ঞতাকে বোঝানো হয়। এই শব্দজোড়া দিয়ে সবসময়ই যে জন্মসূত্রে প্রাপ্ত লিঙ্গ পরিচয়কে বোঝায়, তা কিন্তু নয়। অনেক সময়ই, লিঙ্গ পরিচয় ব্যক্তির নিজস্ব সিদ্ধান্ত হয়ে থাকে যে তিনি কোন লিঙ্গ পরিচয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। সব সমাজেই লিঙ্গ ভিত্তিক শ্রেনীতালিকা রয়েছে, যা দিয়ে সমাজের অন্যান্য সদস্যদের সাথে একজন ব্যক্তির সামাজিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। তবে বেশিরভাগ সমাজে শুধুমাত্র নারী ও পুরুষের ভিত্তিতে লৈঙ্গিক বৈশিষ্ট্যাবলীর পার্থক্য রয়েছে। বায়োলজিকাল লিঙ্গ পরিচয়ের উর্ধ্বে উঠে যেকোন লিংগের মানুষের সমভাবে পুরুষত্ব এবং নারীত্ব প্রকাশকেই জেন্ডার বাইনারি অনুপ্রাণিত করে। প্রতিটি সমাজেই, কিছু ব্যক্তি থাকে যারা তাদের শারিরীক লিঙ্গ পরিচয়ের সাথে সম্পর্কিত সামাজিক বৈশিষ্ট্যাবলির সবগুলো বা কিছু প্রকাশ করে না। এদের মাঝে কেউ কেউ রূপান্তরিত লিঙ্গ অথবা জেন্ডারক্যুইয়ার। আবার কেউ কেউ তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে পরিচিত। লিঙ্গ পরিচয়ের প্রাথমিক কাঠামো ৩ বছর বয়সে গড়ে উঠে। এরপর এর পরিবর্তন হওয়া সহজসাধ্য ব্যাপার নয়। এমনকি পরবর্তীতে জোড় করে পরিবর্তন আনার চেষ্টা জেন্ডার ডিস্ফোরিয়া তৈরি করতে পারে। জৈবিক এবং সামাজিক উভয়ের প্রভাবেই এই লিঙ্গ পরিচয় গড়ে তুলে। বাচ্চাদের ভাষা বুঝতে পারার অসুবিধার কারণে শুধুমাত্র ধারণার ভিত্তিতে লিঙ্গ পরিচয় আসলে ঠিক কোন সময়ে গড়ে উঠে তা নিয়ে একাধিক তত্ত্ব রয়েছে। বলা বাহুল্য, এসব তত্ত্বই সরাসরি কোন প্রমানের ভিত্তিতে গড়ে উঠেনি। জন মানি বলেন বাচ্চারা ১৮ মাস থেকে দুই বছর বয়েসেই নির্দিষ্ট লিঙ্গের প্রতি সংবেদনশীল ও আকর্ষণবোধ করা শুরু করে। অন্যদিকে লরেন্স কোলবার্গ দাবী করেন তিন বছর বয়সের আগে লিঙ্গ পরিচয় গড়ে উঠে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানা হয় তিন বছর বয়স হতে হতে লিঙ্গ পরিচয়ের প্রধান ভিত্তি দাঁড় হয়।. এই বয়সে এসে বাচ্চারা নিজেদের লিঙ্গ সম্পর্কে বক্তব্য প্রদানে সক্ষম হয় এবং সামাজিকভাবে স্বীকৃত তাদের লিঙ্গের জন্য প্রযোজ্য খেলনার প্রতি আগ্রহী হয়। যেমন মেয়েশিশুরা পুতুল এবং আঁকাআঁকির দিকে ঝুঁকে এবং ছেলেশিশুদের আগ্রহ থাকে ঘরবাড়ি বানানো খেলনা বা যন্ত্রপাতির উপর। যদিও এই বয়সে এসে শিশুরা লিঙ্গের গুরুত্ব সম্পূর্নভাবে অনুধাবন করতে পারে না। তিন বছর বয়সের পর এই লিঙ্গ পরিচয়ের পরিবর্তন আনা সহজসাধ্য নয় বরং ক্ষেত্রবিশেষে জোর প্রয়োগে তা জটিলতা তৈরি করতে সক্ষম। চার থেকে ছয় বছর বয়সে বাচ্চাদের লিঙ্গ পরিচয়ের অন্যান্য দিকও সুগঠিত হয়। যা প্রাপ্তঃবয়স্ক হওয়ার আগ অব্দি বয়ঃসন্ধিকাল পর্যন্ত চলে।. মার্টিন ও রুবল সম্পূর্ন প্রক্রিয়াকে তিনটি ধাপে সাজিয়েছেন। (১) কোলের বাচ্চারা এবং স্কুলে ভর্তির আগেই বাচ্চারা সাধারণত সামাজিকভাবে প্রতিটা লিঙ্গের বৈশিষ্টাবলি ও বিভিন্ন চরিত্রায়নের ব্যাপারে শিক্ষা পায়; (২) বয়স ৫-৭ এর মাঝে নিজেদের মাঝে স্বীয় লিঙ্গ পরিচয় নিয়ে একটি শক্ত ধারনা গড়ে উঠে; (৩) একটা সময়ে পূর্বে গড়ে ওঠা "শক্ত ধারণা" সামাজিকভাবে লিঙ্গ অনুযায়ী প্রচলিত ধারণার দ্বারা প্রভাবিত হয় এবং একটি আপাত সুস্থির হয়। বারবারা নিউম্যান চারটি ধাপ উল্লেখ করেন, (১) লিঙ্গের ধারণা বুঝতে পারা; (২) আদর্শ ও গতানুগতিকভাবে প্রচলিত লিঙ্গভিত্তিক আচরণ শেখা; (৩) পিতামাতার সাথে নিজের লিঙ্গ পরিচয় নিশ্চিত করা, এবং (৪) লিঙ্গ পছন্দ গড়ে ওঠা।.যদিও লিঙ্গ পরিচয় উঠার ব্যাপারটা সঠিকভাবে বোঝা যায়নি তবে এর গঠনে একাধিক প্রভাবক কাজ করে বলে একাধিক জায়গায় উল্লেখ করা হয়েছে। বিশেষ করে, সামাজিকীকরণ বনাম জীববিজ্ঞানীয় কারণ এই দুইয়ের মাঝে কোনটা তীব্রভাবে কাজ করে এ নিয়ে মনোবিজ্ঞানে বিতর্ক রয়েছে। আর এই বিতর্ককে প্রকৃতি বনাম প্রতিপালন বলে অবহিত করা হয়। যদিও দুইটি কারণই প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। জৈবিক কারণের মধ্যে, ভ্রূণীয় দশা ও এর পরবর্তী সময়েরর হরমোন লেভেল কাজ করে। অন্যদিকে জিনের গঠন লিঙ্গ পরিচয় প্রভাবিত করলেও এটাই লিঙ্গ পরিচয় গঠনের প্রধান কারণ না।পরিবার, মিডিয়া ও সামাজিকভাবে লিঙ্গ ভিত্তিক আচরণ ও চরিত্রায়ন শিশুর লিঙ্গ পরিচয় গড়ে উঠতে বড় প্রভাব ফেলে। শিশুরা যে সমাজে বড় হয়, সেই সমাজে যদি নির্দিষ্ট লিঙ্গের মানুষের নির্দিষ্ট কিছু আচরনগত গতাগতিক স্বাভাব থাকে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিশুরা সেই আচরন নিজেদের মাঝে ধারণ করে বড় হয়। অবচেতনমনে ভাষা শেখার সময়ই শিশুরা পুরুষবাচক ও নারীবাচক শব্দাবলি আলাদকরে বুঝতে পারে যা আচরণে প্রভাব ফেলে। লিঙ্গ ভিত্তিক আচরণ দেখে তা নকল করার মাধ্যমে এবং আচরণের উপর নির্ভর করে তাঁরা পুরষ্কৃত বা তিরষ্কৃত হয় কিনা এগুলোর ভিত্তিতেও শিশুদের মাঝে নিজস্ব লিঙ্গ পরিচয় গড়ে উঠে বলে "সামাজিক শিক্ষা তত্ত্ব" দাবী করে। লিঙ্গ পরিচয় নিজস্ব আকার পায় শিশুদের চারিদিকে থাকা মানুষের আচরণের মাধ্যমে কেননা শিশুরা বড় হয় অনুকরণ করেই। ডেভিড রেইমার "প্রকৃতি বনাম প্রতিপালন" এর একটি পরিচিত উদাহরন- যা "জন/জোয়ান" নামে পরিচিত। ছোটকালে রেইমার ভিন্ন ধরনের অবস্থার মধ্য দিয়ে গিয়েছেন। তিনি তার পুরুষ জননাঙ্গ হারান। মনোবিজ্ঞানী জন মানি তার মা-বাবাকে বোঝান তাঁরা যেন রেইমারকে মেয়ে হিসেবে বড় করে তোলে। রেইমার সবসময় মেয়েদের জামাকাপড় পড়েছেন, মেয়েদের খেলনা তার চারিদিকে সবসময় থাকলেও তিনি কখনই নিজেকে একজন মেয়ে হিসেবে মনে করেন নাই। তের বছর বয়সে তিনি আত্মহত্যা করতে প্ররোচিত হলে তাকে জানানো হয় যে তিনি পুরুষ জননাঙ্গ সমেত একজন ছেলে হিসেবে জন্ম নিয়েছিলেন।তিনি একটি সার্জারির মাধ্যমে পুরুষ জননাঙ্গ ফিরে পান। এই ঘটনা জন মানির তত্ত্ব "লিঙ্গ পরিচয় কিংবা যৌন অভিমুখিতা জীববিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কযুক্ত নয় তত্ত্বকে মিথ্যা প্রমান করে।একাধিক বায়োলজিকাল ফ্যাক্টর অনুসারে, জন্মের আগেই, জিন ও হরমোন লিঙ্গ পরিচয়ের উপর প্রভাব ফেলে।.
অবন্তি বিশ্বাস (মঞ্চ নাম অপু বিশ্বাস হিসাবেই অধিক পরিচিত; জন্ম: ১১ অক্টোবর ১৯৮৯) হচ্ছেন একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। তিনি ২০০৪ সালে আমজাদ হোসেন পরিচালিত কাল সকালে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র শিল্পে পদার্পণ করেন। তিনি ২০০৫ সালে এফআই মানিক পরিচালিত কোটি টাকার কাবিন চলচ্চিত্রে প্রধান নায়িকা হিসাবে অভিনয় করেন শাকিব খানের বিপরীতে। অপু বিশ্বাস ৭২টিরও অধিক চলচ্চিত্রে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন। কর্মজীবনে তিনি একটি বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেছেন এবং ছয়বার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারে মনোনয়ন লাভ করেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর স্থল শাখা। এটি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সর্ববৃহৎ শাখা। সেনাবাহিনীর প্রাথমিক দায়িত্ব হচ্ছে বাংলাদেশের ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষা সহ সব ধরনের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহায়তায় প্রয়োজনীয় শক্তি ও জনবল সরবরাহ করা। সেনাবাহিনীর সব ধরনের কর্মকান্ড সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সেনা শাখা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। প্রাথমিক দায়িত্বের পাশাপাশি যেকোন জাতীয় জরুরি অবস্থায় বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় এগিয়ে আসতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সাংবিধানিক ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বাংলা লিপি হল একটি লিখন পদ্ধতি যেটা ব্যবহৃত করা হয় বাংলা, মণিপুরি, ককবরক, অসমীয়া ভাষায়। বাংলা লিপির গঠন তুলনামূলকভাবে কম আয়তাকার ও বেশি সর্পিল। বাংলা লিপিটি সিদ্ধম্ লিপি থেকে উদ্ভূত হয়েছে বলে মনে করা হয়। অনুরূপ হিসাবে অসমিয়াকে মনে করা হলেও অসমীয়া লিপির উৎপত্তি বাংলা লিপি উৎপত্তির অন্তত আড়াইশ বছর পর। যে ভিন্নতা (বাংলা র; অসমীয়া ৰ ) আধুনিক বাংলা ও অসমীয়া ভাষায় দেখা যায়, সেটি ১৮ শতকের আগে ছিল না। পরবর্তিতে নিচে ফোঁটা দেওয়া র বাংলায় ব্যবহৃত হয়। বাংলা লিপি বিশ্বের ৫ম সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত লিখন পদ্ধতি।
স্টার জলসা হল স্টার টিভি এবং ফক্স ইন্টারন্যাশনাল চ্যানেলের নেটওয়ার্ক কর্তৃক পরিচালিত একটি বাংলা ভাষায় সম্প্রচারিত সাধারণ বিনোদনমূলক চ্যানেল। চ্যানেলটি ২০০৮ সালের ৮ সেপ্টেম্বর চালু হয় এবং তার ব্র্যান্ড স্লোগান "চলো পাল্টাই" নাম নিয়ে বিভিন্ন পারিবারিক ঘরানার নাটকীয়তামূলক অনুষ্ঠানমালা প্রচার করে থাকে। চ্যানেলটি জনপ্রিয় আরেকটি সহোদর চ্যানেল হল জলসা মুভিজ ও স্টার প্লাস
সুন্দরবন হলো বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রশস্ত বনভূমি যা বিশ্বের প্রাকৃতিক বিস্ময়াবলীর অন্যতম। গঙ্গা, মেঘনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীত্রয়ের অববাহিকার বদ্বীপ এলাকায় অবস্থিত এই অপরূপ বনভূমি বাংলাদেশের খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলা এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দুই জেলা উত্তর চব্বিশ পরগনা ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জুড়ে বিস্তৃত। সমুদ্র উপকূলবর্তী নোনা পরিবেশের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন হিসেবে সুন্দরবন বিশ্বের সর্ববৃহৎ অখণ্ড বনভূমি।। ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে গড়ে ওঠা সুন্দরবনের ৬,০১৭ বর্গ কিলোমিটার রয়েছে বাংলাদেশে এবং বাকি অংশ রয়েছে ভারতের মধ্যে।
কলকাতা বা কোলকাতা ([kolkata] (শুনুন) ইংরেজি: Kolkata; আদি নাম: কলিকাতা; পুরনো ইংরেজি নাম: Calcutta) হল ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর এবং ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী। কলকাতা শহরটি হুগলি নদীর পূর্ব পাড়ে অবস্থিত। এই শহর পূর্ব ভারতের শিক্ষা, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির প্রধান কেন্দ্র। কলকাতা বন্দর ভারতের প্রাচীনতম সচল বন্দর তথা দেশের প্রধান নদী বন্দর। ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, কলকাতার জনসংখ্যা ৪,৪৯৬,৬৯৪। জনসংখ্যার হিসেবে এটি ভারতের ৭ম সর্বাধিক জনবহুল পৌর-এলাকা। অন্যদিকে বৃহত্তর কলকাতার জনসংখ্যা ১৪,১১২,৫৩৬। জনসংখ্যার হিসেবে বৃহত্তর কলকাতা ভারতের ৩য় সর্বাধিক জনবহুল মহানগরীয় অঞ্চল। বৃহত্তর কলকাতার সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সূচক (আনুমানিক) ৬০ থেকে ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যবর্তী (ক্রয়ক্ষমতা সমতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জিডিপি অনুযায়ী)। এই সূচক অনুযায়ী ভারতে কলকাতার স্থান মুম্বই ও নতুন দিল্লির ঠিক পরেই।সুতানুটি, ডিহি কলকাতা ও গোবিন্দপুর নামে তিনটি গ্রাম নিয়ে মূল কলকাতা শহরটি গড়ে ওঠে। ১৭শ শতাব্দীর শেষভাগ পর্যন্ত এই গ্রামগুলির শাসনকর্তা ছিলেন মুঘল সম্রাটের অধীনস্থ বাংলার নবাবেরা। ১৬৯০ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি নবাবের কাছ থেকে বাংলায় বাণিজ্য সনদ লাভ করে। এরপর কোম্পানি কলকাতায় একটি দুর্গবেষ্টিত বাণিজ্যকুঠি গড়ে তোলে। ১৭৫৬ সালে নবাব সিরাজদ্দৌলা কলকাতা জয় করেছিলেন। কিন্তু পরের বছরই কোম্পানি আবার শহরটি দখল করে নেয়। এর কয়েক দশকের মধ্যেই কোম্পানি বাংলায় যথেষ্ট প্রতিপত্তি অর্জন করে এবং ১৭৯৩ সালে ‘নিজামৎ’ বা স্থানীয় শাসনের অবলুপ্তি ঘটিয়ে এই অঞ্চলে পূর্ণ সার্বভৌমত্ব কায়েম করে। কোম্পানির শাসনকালে এবং ব্রিটিশ রাজশক্তির প্রত্যক্ষ শাসনকালের প্রথমার্ধ্বে কলকাতা ছিল ভারতের ব্রিটিশ-অধিকৃত অঞ্চলগুলির রাজধানী। ১৯শ শতাব্দীর শেষ ভাগ থেকেই কলকাতা ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্র। ১৯১১ সালে ভারতের মতো একটি বৃহৎ রাষ্ট্র শাসনে ভৌগোলিক অসুবিধার কথা চিন্তা করে এবং বেঙ্গল প্রেসিডেন্সিতে ক্রমবর্ধমান জাতীয়তাবাদী কার্যকলাপের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের রাজধানী স্থানান্তরিত হয় নতুন দিল্লিতে। স্বাধীনতার পর কলকাতা পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য রাজনীতির প্রাণকেন্দ্র হয়ে দাঁড়ায়। ব্রিটিশ আমলে কলকাতা ছিল আধুনিক ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থা, বিজ্ঞানচর্চা এবং সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনের প্রধান কেন্দ্র। কিন্তু স্বাধীনতার পরবর্তী দশকগুলিতে কলকাতা এক অর্থনৈতিক স্থবিরতার সম্মুখীন হয়।
মহিষাসুরমর্দিনী (বেতার অনুষ্ঠান)
মহিষাসুরমর্দ্দিনী (অর্থাৎ মহিষাসুরকে দমনকারী) হল ১৯৩১ সাল থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে আকাশবাণী বা অল ইন্ডিয়া রেডিওতে সম্প্রচারিত একটি বাংলা প্রভাতী বেতার অনুষ্ঠান। দেড় ঘণ্টার এই অনুষ্ঠানে রয়েছে শ্রীশ্রীচণ্ডী বা দুর্গা সপ্তশতী থেকে গৃহীত দেবী চণ্ডীর স্তোত্র বা চণ্ডীপাঠ, বাংলা ভক্তিগীতি, ধ্রুপদী সংগীত এবং পৌরাণিক কাহিনির নাট্যরূপ। অনুষ্ঠানটির একটি হিন্দি সংস্করণও তৈরি করা হয়, এবং বাংলা অনুষ্ঠান সম্প্রচার হওয়ার একই সময়ে সারা ভারতের শ্রোতাদের জন্য সম্প্রচার করা হয়।এটি প্রথম প্রচারিত হয় মহাসষ্ঠীতে,কিন্তু মহালয়ার ভোরে তর্পণ করা হয় বলে,ওইদিন সকলকে ভোরবেলা জাগানোর উদ্দেশ্যে প্রতি বছর মহালয়ার ভোরে এই অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হয়। প্রথমদিকে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারিত হত, কিন্তু ১৯৬৬ সাল থেকে রেকর্ড করা পূর্বের অনুষ্ঠানই শোনানো হয়। এই অনুষ্ঠানটি এতটাই জনপ্রিয়তা পেয়েছিল যে, প্রায় ৮০ বছর পর আজও এর জনপ্রিয়তা তথা মহিমায় বিন্দুমাত্র ভাটা পড়েনি।
বাংলা উইকিপিডিয়া হল উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন পরিচালিত উইকিপিডিয়া নামক উন্মুক্ত অনলাইন বিশ্বকোষের বাংলা সংস্করণ। এই সংস্করণটি ২৭ জানুয়ারি ২০০৪ সালে প্রথম যাত্রা শুরু করে। ১৩ নভেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত বাংলা উইকিপিডিয়াতে ৭৬,৭৮২ টি নিবন্ধ সৃষ্টি করা হয়েছে। ১৩ নভেম্বর ২০১৯ অনুযায়ী বাংলা উইকিপিডিয়ায় সর্বমোট ৩৭,৮৮,৫৭৫ বার সম্পাদনা হয়েছে। ১,২৮০ জন সক্রিয় স্বেচ্ছাসেবক বাংলা উইকিপিডিয়ায় কাজ করছেন। ১২ জন প্রশাসক বিশ্বকোষটির প্রশাসনিক ব্যাপারগুলো দেখেন। এই বিশ্বকোষটিতে মোট ৬,৯১২টি ফাইল বা চিত্র আছে। বাংলা উইকিপিডিয়াতে বাংলা লিপিতে লিখনের একটি সরঞ্জাম রয়েছে, যার মাধ্যমে কোন লাতিন বর্ণমালাভিত্তিক কি-বোর্ড ব্যবহার করে উচ্চারণভিত্তিক (ফোনেটিক) উপায়ে বাংলা টাইপ করা যায়। বহিঃস্থ কোন সফটওয়্যার ডাউনলোড করার প্রয়োজন পড়ে না।২০১০ সালে মোবাইল ফোনের জন্য বাংলা উইকিপিডিয়ার মোবাইল সংস্করণ চালু হয়। ২০১৮ সালে সারা বিশ্ব থেকে প্রায় ১৯ কোটিবার এবং প্রতিদিন গড়ে ৫ লাখ ১৩ হাজার ৬৭৮ বার বাংলা উইকিপিডিয়া দেখা হয়েছে।
শাকিব খান অভিনীত চলচ্চিত্রের তালিকা
শাকিব খান (জন্ম: ২৮ মার্চ, ১৯৭৯) একজন বাংলাদেশী জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেতা। প্রকৃত নাম মাসুদ রানা হলেও তিনি "শাকিব খান' নামে সোহানুর রহমান সোহানের অনন্ত ভালবাসা চলচ্চিত্র দিয়ে চলচ্চিত্রাঙ্গনে আবির্ভূত হন। অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি তিনটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, আটটি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারসহ একাধিক পুরস্কার অর্জন করেন। নিচে তার অভিনীত চলচ্চিত্রসমূহের তালিকা দেওয়া হল।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ (বাংলা: বাংলাদেশ গণসংঘ) বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী এবং বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল। এই রাজনৈতিক দলটির গোড়াপত্তন হয় ২৩ জুন ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। পরবর্তী কালে এর নাম ছিল নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ। ১৯৭০ সাল থেকে এর নির্বাচনী প্রতীক নৌকা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ১৯৭১ সালে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর এই সংগঠনটির নামাকরণ করা হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
বাউল গান মূলতঃ বাউল সম্প্রদায়ের গান। যা বাংলা লোকসাহিত্যের একটি বিশেষ অংশ। বাউলরা তাদের দর্শন ও মতামত বাউল গানের মধ্য দিয়ে প্রকাশ করে থাকে। বাউল মতে সতেরো শতকে জন্ম নিলেও লালন সাঁইয়ের গানের মাধ্যমে উনিশ শতক থেকে বাউল গান ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন শুরু করে। তিনিই শ্রেষ্ঠ বাউল গান রচয়িতা। ধারণা করা হয় তিনি প্রায় দু'হাজারের মত গান বেধেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ বাউল গান দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন যা তার রচনাতে লক্ষ করা যায়। সাধারণত বাউলেরা যে সংগীত পরিবেশন করে তাকে বাউল গান বলে। বাউল গান বাউল সম্প্রদায়ের সাধনসঙ্গীত। এটি লোকসঙ্গীতের অন্তর্গত। এ গানের উদ্ভব সম্পর্কে সঠিক কোনো তথ্য জানা যায় না। অনুমান করা হয় যে, খ্রিস্টীয় পঞ্চদশ শতক কিংবা তার আগে থেকেই বাংলায় এ গানের প্রচলন ছিল। বাউল গানের প্রবক্তাদের মধ্যে লালন শাহ্, পাঞ্জু শাহ্, সিরাজ শাহ্ এবং দুদ্দু শাহ্ প্রধান। এঁদের ও অন্যান্য বাউল সাধকের রচিত গান গ্রামাঞ্চলে ‘ভাবগান’ বা ‘ভাবসঙ্গীত’ নামে পরিচিত। কেউ কেউ এসব গানকে ‘শব্দগান’ ও ‘ধুয়া’ গান নামেও অভিহিত করেন। বাউল গান সাধারণত দুপ্রকার দৈন্য ও প্রবর্ত। এ থেকে সৃষ্টি হয়েছে রাগ দৈন্য ও রাগ প্রবর্ত। এই ‘রাগ’ অবশ্য শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের রাগ নয়, ভজন-সাধনের রাগ।
বাংলা ভাষায় রচিত সাহিত্যকর্ম বাংলা সাহিত্য নামে পরিচিত। আনুমানিক খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীর মাঝামাঝি বাংলা ভাষায় সাহিত্য রচনার সূত্রপাত হয়। খ্রিষ্টীয় দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে রচিত বৌদ্ধ দোহা-সংকলন চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন। আবিষ্কারক হরপ্রসাদ শাস্ত্রী আরও তিনটি গ্রন্থের সঙ্গে চর্যাগানগুলি নিয়ে সম্পাদিত গ্রন্থের নাম দেন " হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় রচিত বৌদ্ধ গান ও দোহা "। মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্য ছিল কাব্যপ্রধান। হিন্দুধর্ম, ইসলাম ও বাংলার লৌকিক ধর্মবিশ্বাসগুলিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল এই সময়কার বাংলা সাহিত্য। মঙ্গলকাব্য, বৈষ্ণব পদাবলি, শাক্তপদাবলি, বৈষ্ণব সন্তজীবনী, রামায়ণ, মহাভারত ও ভাগবতের বঙ্গানুবাদ, পীরসাহিত্য, নাথসাহিত্য, বাউল পদাবলি এবং ইসলামি ধর্মসাহিত্য ছিল এই সাহিত্যের মূল বিষয়। বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতার সূত্রপাত হয় খ্রিষ্টীয় অষ্টাদশ শতাব্দীতে। ঊনবিংশ শতাব্দীতে বাংলার নবজাগরণের যুগে কলকাতা শহরকে কেন্দ্র করে বাংলা সাহিত্যে এক নতুন যুগের সূচনা হয়। এই সময় থেকে ধর্মীয় বিষয়বস্তুর বদলে মানুষ, মানবতাবাদ ও মানব-মনস্তত্ত্ব বাংলা সাহিত্যের প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে ওঠে। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর বাংলা সাহিত্যও দুটি ধারায় বিভক্ত হয়: কলকাতা-কেন্দ্রিক পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্য ও ঢাকা-কেন্দ্রিক বাংলাদেশের সাহিত্য। বর্তমানে বাংলা সাহিত্য বিশ্বের একটি অন্যতম, সমৃদ্ধ সাহিত্যধারা হিসেবে পরিগণিত হয়ে থাকে।
স্কাই ব্লু (জন্ম মরিসটাউন, নিউ জার্সি জুলাই ৩০, ১৯৬১) হলেন একজন আমেরিকান পর্নোগ্রাফিক অভিনেত্রী এবং সিনেমা পরিচালক। তিনি একটি অ্যাডাল্ট ফিল্ম কোম্পানি প্ল্যাটিনাম ব্লু কোম্পানির সি.ই.ও ও প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০০৮ সালে তিনি পেয়েছিলেন এ.ভি.এন হল অফ ফেম।স্কাই ব্লুয়ের দীর্ঘ সময়ের ব্যবসায়ী বন্ধু ও প্রাক্তন পর্নোগ্রাফিক অভিনেতা ছিলেন সামার কামিংস। ব্লু এবং কামিংস একসাথে অনেক বছর ধরে পারফর্ম করেছেন বড়ো স্তনের একটি নগ্ন অংশে যার নাম হল "স্কাইব্লু" এবং অনেক বছর ধরে তারা রোমান্টিক ভাবেও একে অপরের সাথে জড়িত ছিলেন। তাদের প্রথম দেখা হয়েছিল পালোমিনো ক্লাব লাস ভেগাসে ১৯৯৪ সালে। তারা দুজন মিলে একটা ওয়েবসাইটও খোলেন যার নাম হল, SummerSkyes.com। ২০০৫ সাল নাগাদ এই দুজন তাদের রোমান্টিক সম্পর্কের অবসান ঘটান এবনফ তারা তাদের ব্যবসাও বন্ধ করে দেয়। তখন কামিংস তার নিজের ওয়েবসাইট খোলেন যার নাম হল, SummerC.com, এবং ব্লু তখনও ওই ওয়েবসাইটেরই প্রধান ছিলেন SummerSkyes.com।
টিকটক, ডুইয়িন নামেও চীনে পরিচিত (চীনা: 抖音短视频; ফিনিন: Dǒuyīn duǎnshìpín; আক্ষরিক অর্থে "গলা কম্পন ছোট ভিডিও"), হলো একটি সঙ্গীত ভিডিও প্ল্যাটফর্ম এবং সামাজিক নেটওয়ার্ক যা সেপ্টেম্বর ২০১৬ সালে চালু করা হয়েছিল টিক টকের প্রতিষ্ঠাতা ঝাং ইয়েমিং। বর্তমানে এটি এশিয়ার নেতৃস্থানীয় ছোট ভিডিও প্ল্যাটফর্ম এবং বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বড় সঙ্গীত ভিডিও সম্প্রদায় হিসেবে এটি বিশ্বের দ্রুততম ক্রমবর্ধমান অ্যাপ্লিকেশন হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। অ্যাপটি ২০১৮ সালের জুন মাসে ১৫০ মিলিয়ন সক্রিয় ব্যবহারকারীর মাইলফকে (৫০০ মিলিয়ন মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী) পৌঁছেছে, এবং ২০১৮ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে বিশ্বের সবচেয়ে বেশী ডাউনলোড করা অ্যাপ্লিকেশন ছিল, আনুমানিক ৪৫.৮ মিলিয়ন ডাউনলোডের হয়।
বঙ্গোপসাগর হল বিশ্বের বৃহত্তম উপসাগর। এটি ভারত মহাসাগরের উত্তর অংশে অবস্থিত একটি প্রায় ত্রিভূজাকৃতি উপসাগর। এই উপসাগরের পশ্চিম দিকে রয়েছে ভারত ও শ্রীলঙ্কা, উত্তর দিকে রয়েছে ভারত ও বাংলাদেশ এবং পূর্ব দিকে রয়েছে মায়ানমার ও থাইল্যান্ড। বঙ্গোপসাগরের ঠিক মাঝখানে বিরাজ করছে ভারতবর্ষের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ।
কোন দেব-দেবীর নাম, গুণাবলী বা কীর্তিকাহিনী সম্বন্ধিত গান । প্রখ্যাত সংস্কৃত পন্ডিত জয়দেব রচিত গীতগবিন্দম, কীর্তন গানের প্রকৃত উৎস। এছাড়াও বাড়ু চন্ডিদাস, শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন, বিদ্যাপতি প্রভৃতি কবিগন প্রচুর কীর্তন গান রচনা করেন। ১৫০০ শতকে শ্রীচৈতন্য ভক্তি সংগিতের এই ধারার প্রভূত উন্নতি সাধন করেন। তার গান নারী, পুরুষ, শিক্ষিত, অশিক্ষিত নির্বিশেষে সকলের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করে। তিনি বিশ্বাস করতেন ভগবানের উপসনার জন্য গান ধর্মগ্রন্থ পাঠের চেয়ে সহজতর মাধ্যম।
দুর্গা (সংস্কৃত: दुर्गा; অর্থাৎ "যিনি দুর্গতি বা সংকট থেকে রক্ষা করেন"; অন্যমতে, "যে দেবী দুর্গম নামক অসুরকে বধ করেছিলেন") হলেন একজন হিন্দু দেবী। তিনি একজন জনপ্রিয় দেবী। হিন্দুরা তাকে মহাশক্তির একটি উগ্র রূপ মনে করেন। তার অন্যান্য নামসমূহ হল চণ্ডিকা, যোগমায়া, অম্বিকা, বৈষ্ণবী, মহিষাসুরসংহারিণী নারায়নী, মহামায়া, কাত্যায়নী ইত্যাদি। দেবী দুর্গার অনেকগুলি হাত। তার অষ্টাদশভূজা, ষোড়শভূজা, দশভূজা, অষ্টভূজা ও চতুর্ভূজা মূর্তি দেখা যায়। তবে দশভূজা রূপটিই বেশি জনপ্রিয়। তার বাহন সিংহ (কোনো কোনো মতে বাঘ)। মহিষাসুরমর্দিনী-মূর্তিতে তাকে মহিষাসুর নামে এক অসুরকে বধরতা অবস্থায় দেখা যায়।
বীর্য (ইংরেজি: Semen) একপ্রকার জৈবিক তরল যা যৌনসঙ্গমের শেষ পর্যায়ে চরম সুখানুভূতি সৃষ্টির সঙ্গে পুরুষাঙ্গ হতে নি:সৃত হয়। শুক্রাণূ সমৃদ্ধ পুরুষের বীর্যে নারীর ডিম্ব নিষিক্ত হলে জরায়ুতে মানব ভ্রূণের সৃষ্টি হয়। কেবল যৌনসঙ্গম নয়, যৌনানন্দ লাভের জন্য হস্তমৈথুনের মাধ্যমেও বীর্যস্খলন করা হয়ে থাকে। এছাড়া স্বপ্নদোষ মাধ্যমে বীর্যপাত হয়ে থাকে।
জাতিসংঘ (অপর নাম: রাষ্ট্রসঙ্ঘ) বিশ্বের জাতিসমূহের একটি সংগঠন, যার লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আইন, নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক অগ্রগতি এবং মানবাধিকার বিষয়ে পারষ্পরিক সহযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করা। ১৯৪৫ সালে ৫১টি রাষ্ট্র জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রসঙ্ঘ সনদ স্বাক্ষর করার মাধ্যমে জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রসঙ্ঘ প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং পরবর্তীতে লুপ্ত লীগ অব নেশন্সের স্থলাভিষিক্ত হয়।
পূর্ব পাকিস্তান (ইংরেজি: East Pakistan, উর্দু: مشرقی پاکستان Mas̱ẖriqī Pākistān আ-ধ্ব-ব: [məʃrɪqiː pɑːkɪst̪ɑːn]) ছিল ১৯৫৫ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত পাকিস্তানের পূর্ব অঙ্গ যা ১৯৭১-এ স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৫ পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানের নাম ছিল পূর্ব বাংলা। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারত বিভক্ত করে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হয় যথা ভারত ও পাকিস্তান। মুসলিম আধিক্যের ভিত্তিতে পাকিস্তানের সীমানা চিহ্নিত করা হয় যার ফলে পাকিস্তানের মানচিত্রে দুটি পৃথক অঞ্চল অনিবার্য হয়ে ওঠে। তৎকালীন পূর্ব বঙ্গ তথা বর্তমান বাংলাদেশ নিয়ে গঠিত যার একটি পূর্ব পাকিস্তান এবং অপরটি পশ্চিম পাকিস্তান। পূর্ব পাকিস্তান গঠিত হয়েছিল প্রধানত পূর্ব বঙ্গ নিয়ে যা বর্তমানের বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মানুষ ১৯৪৭-১৯৭১ এই সময়কে পাকিস্তান আমল হিসাবে উল্লেখ করে থাকে।
জম্মু ও কাশ্মীর হল ভারতের কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল যা এতদিন সতন্ত্র রাজ্য ছিলো। কিন্তু এই অঞ্চলটি প্রধানত হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে অবস্থিত। ভারতের এই কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলটির দক্ষিণে ভারতের হিমাচল প্রদেশ ও পাঞ্জাব রাজ্য দুটি অবস্থিত। জম্মু ও কাশ্মীরের উত্তরে পাক-অধিকৃত গিলগিট-বালতিস্তান অঞ্চল ও পূর্বে ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখ অবস্থিত। এই অঞ্চলের পশ্চিমে ও উত্তরপশ্চিমে লাইন অব একচুয়াল কন্ট্রোলের ওপারে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর গিলগিত-বালতিস্তান অবস্থিত।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চালিত ভারতের সরকার সংসদের উভয় কক্ষে ব্যাপক সমর্থন নিয়ে ভারতীয় সংবিধানের জম্মু ও কাশ্মীর এর বিশেষ মর্যাদা ধারা ৩৭০ ও ধারা ৩৫ক,৫ই আগষ্ট ২০১৯ এ রদ করে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরী করে,যথা জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ।
পানি সংরক্ষণ বা জল সংরক্ষণ বারিমণ্ডল রক্ষা, বর্তমান এবং ভবিষ্যতে মানুষের চাহিদা মেটাতে পরিবেশবান্ধব প্রাকৃতিক সম্পদ বিশুদ্ধ পানির পরিমান বজায় রাখতে সব নীতি, কৌশল এবং কার্যক্রমকে বোঝায়। জনসংখ্যা, পরিবারের আকার, বৃদ্ধি এবং সমৃদ্ধি সব প্রভাবিত হয় কতটা পানি ব্যবহার করা হয় তার উপর। প্রাকৃতিক সম্পদ পানির উপর জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলি বিশেষ করে উৎপাদন ও কৃষি সেচের চাপ বেড়েছে। অনেক মার্কিন শহর ইতিমধ্যে সাফল্যের সাথে পানি সংরক্ষণের লক্ষ্যে নীতিমালা প্রয়োগ করেছে। পানি সংরক্ষণ প্রচেষ্টার উদ্দেশ্যগুলি নিন্মরূপ:
পায়ুসঙ্গম অথবা পায়ুকাম হচ্ছে সাধারণত যৌন-আনন্দ লাভের জন্য উত্থিত শিশ্ন কোন ব্যক্তির পায়ুপথে প্রবেশকরণ ও সঞ্চালনাকরণ। পায়ুসম্পর্কিত অন্যান্য যৌনক্রিয়াগুলোর মধ্যে রয়েছে পায়ুপথে অঙ্গুলিসঞ্চালন, পায়ুপথে কৃত্রিম শিশ্ন ঢোকানোসহ পায়ুলেহন এবং পেগিং। যদিও পায়ুসঙ্গম বলতে প্রধানত পায়ুপথে শিশ্নের অনুপ্রবেশকেই বোঝানো হয়, এবং পায়ুকাম শব্দটিও অনুরূপ ক্রিয়া বোঝাতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে তবে আবার পায়ুকাম শব্দটি পায়ুদ্বারসম্পর্কিত অন্যান্য যৌনক্রিয়া বোঝাতেও ব্যবহৃত হয় শুধু 'স্বপায়ুমেহন' বা 'পায়ুপথে স্বঅঙ্গুলি প্রবেশ' ক্রিয়া ব্যতিত।পায়ুসঙ্গম সাধারণত পুরুষ-পুরুষ যৌনসংসর্গের জন্য সুপরিচিত যদিও বিষমকামিতায়ও পায়ুসঙ্গম প্রচলিত। নারী-নারী যৌনসংসর্গেও পায়ুসঙ্গম কৃত্রিম শিশ্ন দ্বারা করা হয়। যার পায়ুপথে শিশ্ন প্রবেশ করা হবে তিনি তার পায়ুর স্নায়ুতন্ত্রের কারণে ব্যথা কিংবা কষ্ট বা দুটোই পেতে পারেন, পুরুষের পায়ুপথে যৌনানন্দ আসতে পারে তাদের প্রোস্টেটের পরোক্ষ উদ্দীপনার মাধ্যমে আর একজন নারীর পায়ুতে যৌনানন্দ আসতে পারে তার ভগাঙ্কুর বা যোনিপথের কোনো একটা জায়গা (জি-স্পট) এর পরোক্ষ উদ্দীপনার মাধ্যমে, এছাড়াও নারীদের আরো সংবেদনশীল স্নায়ুতন্ত্রের কারণেও আনন্দ আসতে পারে। যদিও, পায়ুসঙ্গম অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পায়ুতে ব্যথাদায়ক, কখনো কখনো এই ব্যথা তীব্রও হতে পারে, এটা প্রাথমিকভাবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে মনস্তাত্ত্বিক কারণে হয়ে থাকে।অন্য সব যৌনক্রিয়ার চেয়ে পায়ুসঙ্গমে যৌনবাহিত রোগ হবার সম্ভাবনা বেশি হয়ে থাকে। পায়ুসঙ্গমকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ যৌনক্রিয়া বলা হয় পায়ুপথের সহজনশ্বরতার জন্য। পায়ুপথে যোনিপথের মত পিচ্ছিলতা না থাকায় পায়ুপথের টিস্যু সহজে ছিঁড়ে যায়, বিশেষ করে তখন যখন পায়ুপথে লুব্রিক্যান্ট না ব্যবহার করা হয়। কনডম ছাড়া পায়ুসঙ্গম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়, এবং সেইজন্যে স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থাসমূহ যেমন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পায়ুসঙ্গম করার ক্ষেত্রে নিরাপদ যৌনতা অবলম্বন করতে বলে।পায়ুসঙ্গম সম্পর্কে প্রায়শঃই শক্ত মতবাদ প্রকাশ করা হয়। বিভিন্ন সংস্কৃতিতে এটি বিতর্কিত বিশেষ করে ধর্মীয় আইনসমূহে। এটা সাধারণত এই কারণে যে পায়ুসঙ্গম বলতে সাধারণত দুইজন পুরুষের যৌনসঙ্গম বোঝায় এবং যৌনতার মূল অর্থ যেখানে শুধুই 'বাচ্চা জন্মদান' এর জন্য - এরকমটা শেখানো হয়। এটাকে ট্যাবু বা অপ্রাকৃতিক বলা হতে পারে, এবং কিছু কিছু রাষ্ট্রে আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ, যেখানে নিতম্বে বেত্রাঘাত কিংবা মৃত্যুদণ্ডের মত বড় ধরনের শাস্তিও দেওয়া হতে পারে। অনেক মানুষ পায়ুসঙ্গমকে প্রাকৃতিক এবং যৌনমিলনের অন্যতম একটি আনন্দদায়ক মাধ্যম হিসেবে মনে করেন। তারা এটাকে তাদের যৌনজীবনের একটি বর্ধিত অংশ হিসেবেও মনে করেন।
আব্দুর রশিদ সেলিম সালমান খান (হিন্দি: सलमान ख़ान; (১৯৬৫-১২-২৭)২৭ ডিসেম্বর ১৯৬৫) হলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রযোজক এবং টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব। তিনি মাঝে মাঝে গানও গেয়ে থাকেন। ত্রিশ বছরের অধিক সময়ের কর্মজীবনে তিনি অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করেছেন, তন্মধ্যে রয়েছে চলচ্চিত্র প্রযোজক হিসেবে দুটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও অভিনয়ের জন্য দুটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার। বলিউডের সবচেয়ে বড় তারকা সালমান খানকে বিশ্ব ও ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম ব্যবসাসফল অভিনয়শিল্পী বলে আখ্যায়িত করা হয়। ফোর্বস সাময়িকীর ২০১৮ সালের বিশ্বের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক গ্রহীতা ১০০ তারকা বিনোদনদাতা তালিকা অনুসারে সালমান খান $৩৭.৭ মিলিয়ন আয় করে ভারতীয়দের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় এবং সারা বিশ্বে ৮২তম স্থান অধিকার করেন।চিত্রনাট্যকার সেলিম খানের জ্যেষ্ঠ পুত্র সালমান খান ১৯৮৮ সালে বিবি হো তো অ্যায়সি চলচ্চিত্রে একটি গৌণ ভূমিকায় অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন। কেন্দ্রীয় চরিত্রে তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ম্যায়নে পিয়ার কিয়া (১৯৮৯) ব্যবসাসফল হয়। এই ছবিতে কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ নবাগত অভিনেতা বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন। এরপর নব্বইয়ের দশকে তিনি বলিউডে বেশ কিছু ব্যবসাসফল হিন্দি চলচ্চিত্র উপহার দেন, তন্মধ্যে রয়েছে প্রণয়মূলক নাট্যধর্মী হাম আপকে হ্যাঁয় কৌন..!
ক্রিকেট (ইংরেজি: Cricket) হচ্ছে ব্যাট ও বলের একটি দলীয় খেলা যাতে এগারোজন খেলোয়াড়বিশিষ্ট দুইটি দল অংশ নেয়। এই খেলাটির উদ্ভব হয় ইংল্যান্ডে। পরবর্তীতে ব্রিটিশ উপনিবেশগুলোসহ অন্যান্য দেশগুলোতে এই খেলা ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার লাভ করে চলছে। বর্তমানে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ড আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ৫ দিনের টেস্ট ক্রিকেট ম্যাচ খেলে থাকে। ২০০৫ সাল থেকে জিম্বাবুয়ে স্বেচ্ছায় টেস্ট ক্রিকেট থেকে নিজেদেরকে বিচ্ছিন্ন করে রেখে ২০১১ সালে আবার খেলায় ফিরে আসে। এছাড়া, আরো বেশ কিছু দেশ ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক সংস্থা আইসিসি'র সদস্য। টেস্টখেলুড়ে দেশগুলি ছাড়াও আইসিসি অনুমোদিত আরো দু’টি দেশ অর্থাৎ মোট ১২টি দেশ একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণ করে থাকে। খেলোয়াড় হিসেবে যিনি ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণ করেন বা খেলে থাকেন, তিনি ক্রিকেটার নামে পরিচিত।ক্রিকেট খেলা ঘাসযুক্ত মাঠে (সাধারণত ওভাল বা ডিম্বাকৃতির) খেলা হয়, যার মাঝে ২২ গজের ঘাসবিহীন অংশ থাকে, তাকে পিচ বলে। পিচের দুই প্রান্তে কাঠের তিনটি করে লম্বা লাঠি বা স্ট্যাম্প থাকে। ঐ তিনটি স্ট্যাম্পের উপরে বা মাথায় দুইটি ছোট কাঠের টুকরা বা বেইল থাকে। স্ট্যাম্প ও বেইল সহযোগে এই কাঠের কাঠামোকে উইকেট বলে।
শাহরুখ খান (হিন্দি: शाहरुख़ ख़ान; ২ নভেম্বর ১৯৬৫), অনানুষ্ঠানিকভাবে তার নামের আদ্যক্ষর দিয়ে গঠিত এসআরকে নামে ডাকা হয়, একজন ভারতীয় অভিনেতা, প্রযোজক, টেলিভিশন উপস্থাপক এবং মানবসেবী। গণমাধ্যমে "বলিউডের বাদশাহ", "বলিউডের কিং" ও "কিং খান" হিসেবে পরিচিত শাহরুখ খান ৮০টির অধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করেছেন, তন্মধ্যে রয়েছে চৌদ্দটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার, যার আটটিই শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার। হিন্দি চলচ্চিত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য ২০০২ সালে ভারত সরকার শাহরুখ খানকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করে এবং ফ্রান্স সরকার তাকে অর্দ্র দে আর্ত এ দে লেত্র ও লেজিওঁ দনর সম্মাননায় ভূষিত করে। অভিনেতা হিসেবে বৈশ্বিক অবদানের জন্য শাহরুখ খানকে সম্মানসূচক ডক্টরেট উপাধিতে ভূষিত করেছে স্কটল্যান্ডের প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়। এশিয়ায় ও বিশ্বব্যাপী ভারতীয় বংশোদ্ভূত তার প্রায় ৩.২ বিলিয়ন ভক্ত রয়েছে এবং তার মোট অর্থসম্পদের পরিমাণ ২৫০০ কোটি রুপি-এরও বেশি। ওয়েলথ-এক্স সংস্থার বিচারে বিশ্বের সবথেকে ধনী হলিউড, বলিউড তারকার তালিকায় শাহরুখ খান দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন। দর্শক ও আয়ের দিক থেকে তাকে বিশ্বের অন্যতম সফল চলচ্চিত্র তারকা বলে অভিহিত করা হয়।শাহরুখ খান ১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে বেশ কিছু টেলিভিশন ধারাবাহিকে অভিনয়ের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। ১৯৯২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত দিওয়ানা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন। তিনি কর্মজীবনের শুরুর দিকে খল চরিত্রে ডর (১৯৯৩), বাজীগর (১৯৯৩), ও আঞ্জাম চলচ্চিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি লাভ করেন। এরপর তিনি অসংখ্য বাণিজ্যিকভাবে সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন এবং খ্যাতি অর্জন করেন, তন্মধ্যে রয়েছে দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে (১৯৯৫), দিল তো পাগল হ্যায় (১৯৯৭), কুছ কুছ হোতা হ্যায় (১৯৯৮), মোহাব্বতে (২০০০), ও কভি খুশি কভি গম... (২০০১)। তিনি দেবদাস (২০০২)-এ মদ্যপ জমিদার পুত্র দেবদাস মুখার্জি, স্বদেশ (২০০৪)-এ নাসার বিজ্ঞানী, চাক দে!
পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু (হিন্দি: जवाहरलाल नेहरू জাভ়াহার্লাল্ নেহ্রু; আ-ধ্ব-ব: [dʒəvaːhərlaːl nehruː]) (১৪ই নভেম্বর, ১৮৮৯—২৭শে মে, ১৯৬৪) ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের রাজনীতিবিদ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম প্রধান নেতা এবং স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। দূরদৃষ্টিসম্পন্ন, আদর্শবাদী, পন্ডিত এবং কূটনীতিবিদ নেহরু ছিলেন একজন আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব। লেখক হিসেবেও নেহরু ছিলেন বিশিষ্ট। ইংরেজীতে লেখা তার তিনটি বিখ্যাত বই- 'একটি আত্মজীবনী' (An Autobiography), 'বিশ্ব ইতিহাসের কিছু চিত্র' (Glimpses of World History), এবং 'ভারত আবিষ্কার' (The Discovery of India) চিরায়ত সাহিত্যের মর্যাদা লাভ করেছে।