The most-visited বাংলা Wikipedia articles, updated daily. Learn more...
২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতা ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতার এ আসরটি দ্বাদশ আয়োজন। ১৯৭৫, ১৯৭৯, ১৯৮৩ এবং ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপের পর এ প্রতিযোগিতাটি ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে ৫মবারের মতো হচ্ছে। ৩০ মে থেকে ১৫ জুলাই, ২০১৯ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য এ প্রতিযোগিতায় মার্চ, ২০১৫ সাল পর্যন্ত ১০টি দলের অংশগ্রহণের কথা বলা হয়েছিল।
২০১৯ কোপা আমেরিকা হচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল সংস্থা কনমেবল কর্তৃক আয়োজিত চতুর্বষীয় আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা কোপা আমেরিকার ৪৬তম আসর। এই আসরটি ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দল ২০২১ ফিফা কনফেডারেশন্স কাপে সরাসরি অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করবে। সর্বশেষ দুই আসর, ২০১৫ এবং ২০১৬-এর বিজয়ী চিলি হচ্ছে এই প্রতিযোগিতার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন।
ক্রিকেট বিশ্বকাপের রেকর্ড তালিকা
বিশ্বকাপ ক্রিকেট হচ্ছে পুরুষদের একদিনের ক্রিকেটের একটি প্রতিযোগিতা যা প্রতি চার বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হয়। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসি বা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল কর্তৃক আয়োজিত বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা সর্বপ্রথম ১৯৭৫ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয়। দল এবং খেলার সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি আইসিসি খেলার ধরন পরিবর্তন করে চলছে এবং ২০০৭ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট পর্যন্ত নিম্নবর্ণিত বিভিন্ন রেকর্ডাদি তুলে ধরেছে।বিশ্বকাপে ভারতের জাতীয় দলের তথা বিশ্বের অন্যতম ব্যাটিং প্রতিভা শচীন টেন্ডুলকার অনেকগুলো ব্যক্তিগত রেকর্ড করেছেন। ১৯৯৭ সালে উইজডেনের বর্ষসেরা খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত শচীন বিশ্বক্রিকেটে পূজনীয় হয়ে রয়েছেন। যে-কোন খেলোয়াড়ের তুলনায় টেন্ডুলকার বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশী অর্ধ-শতক, সেঞ্চুরী ও রান করেছেন। অস্ট্রেলীয় পেসার গ্লেন ম্যাকগ্রা বোলিং বিভাগে ব্যক্তিগতভাবে প্রভাব বিস্তার করে আছেন। তিনি দলের পক্ষে চারটি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছেন। ম্যাকগ্রা সবচেয়ে কম ইকোনমী রেটে সর্বোচ্চ উইকেট শিকার করেছেন, সেরা বোলিং পরিসংখ্যান করেছেন।
বাংলাদেশ (শুনুন ) দক্ষিণ এশিয়ার একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র। বাংলাদেশের সাংবিধানিক নাম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ। ভূ-রাজনৈতিক ভাবে বাংলাদেশের পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও মেঘালয়, পূর্ব সীমান্তে আসাম, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তে মায়ানমারের চিন ও রাখাইন রাজ্য এবং দক্ষিণ উপকূলের দিকে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। ভৌগোলিকভাবে পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপের সিংহভাগ অঞ্চল জুড়ে বাংলাদেশ ভূখণ্ড অবস্থিত। নদীপ্রধান বাংলাদেশ ভূখণ্ডের উপর দিয়ে বয়ে গেছে ৫৭টি আন্তর্জাতিক নদী। বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বে ও দক্ষিণ-পূর্বে টারশিয়ারি যুগের পাহাড় ছেয়ে আছে। বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য সুন্দরবন ও দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সৈকত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশে অবস্থিত।
নুসরাত জাহান (জন্ম: ৮ জানুয়ারি, ১৯৯০;বিবাহোত্তর নুসরাত জাহান জৈন নামে পরিচিত) বাংলা চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। বর্তমান তিনি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসর বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বসিরহাট থেকে জয়ী একজন সংসদ সদস্য। তাঁর প্রথম অভিনীত চলচ্চিত্র রাজ চক্রবর্তীর পরিচালনায় শত্রু। এই চলচ্চিত্রে তিনি জিতের বিপরীতে অভিনয় করেন। এই ছবিটি এসকে মুভিজের ব্যানারে মুক্তি পায়। এরপর তিনি খোকা 8২০, খিলাড়ি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। প্রতিটি ছবিই এসকে মুভিজের ব্যানারে মুক্তি পায়। এরমধ্যে রাজিব বিশ্বাস পরিচালিত অভিনেতা দেবের বিপরীতে অভিনীত খোকা ৪২০ চলচ্চিত্রটি অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়। এই ছবিতে আরো ছিলেন শুভশ্রী গাঙ্গুলী।
ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনালের তালিকা
ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনাল তালিকায় ২০১৫ সাল পর্যন্ত মাত্র ৫টি ক্রিকেট দলের অন্তর্ভুক্তি ঘটেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল ১৯৭৫ সাল থেকে অদ্যাবধি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত খেলায় বিজয়ী হয়ে ট্রফি জয়ে সক্ষমতা দেখিয়েছে। সর্বপ্রথম ১৯৭৫ সালে ইংল্যান্ডে ক্রিকেটের এই বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতার সূচনা ঘটে। এ ক্রীড়ার বৈশ্বিক পরিচালনা পরিষদ হিসেবে আইসিসি’র সদস্য দেশের পুরুষ জাতীয় ক্রিকেট দলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। চার বছর অন্তর ক্রিকেট বিশ্বকাপের সর্বশেষ আসরটি ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত হয়। এতে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল নিউজিল্যান্ড দলকে পরাভূত করে চ্যাম্পিয়ন হয়।
সাকিব আল-হাসান (জন্ম: ২৪ মার্চ ১৯৮৭) একজন বাংলাদেশী ক্রিকেটার। তিনি বামহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান এবং বামহাতি অর্থোডক্স স্পিনার। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের টেস্ট ও টি২০ আন্তর্জাতিক সংস্করণে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশের হয়ে খেলা সর্বশ্রেষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে বিবেচিত সাকিবকে বিশ্বের অন্যতম সেরা অল-রাউন্ডার বলে গণ্য করা হয়। ১০ বছর ধরে শীর্ষ অল-রাউন্ডারের রেকর্ডের অধিকারী সাকিব এখনো একদিনের আন্তর্জাতিক ও টেস্ট ফরম্যাটে সর্বোচ্চ র্যাংকিং ধরে রেখেছেন।
২০১১ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ (আনুষ্ঠানিকভাবে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১১) হচ্ছে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের ১০ম প্রতিযোগিতা। ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশে এই বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়েছিল। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ভারত এই বিশ্বকাপে জয়ী হয়। এই বিশ্বকাপেই বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো আয়োজক দেশ হওয়ার সুযোগ পায়। বিশ্বকাপের সব ম্যাচই একদিনের আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের। চৌদ্দটি জাতীয় ক্রিকেট দল এই টুর্নামেন্টে অংশ নেয়। এদের মধ্যে দশটি পূর্ণ সদস্য ও চারটি সহকারী সদস্য দল। বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয় ফেব্রুয়ারি ও ২ এপ্রিল, ২০১১-এর মধ্যে। ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম ম্যাচটি খেলা হয়। টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার দু'দিন আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়েছিল ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। ফাইনাল ম্যাচটি আয়োজিত হয়েছিল ২ এপ্রিল মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (বাংলা: [Rabīndranātha ṭhākura] (শুনুন); (৭ই মে, ১৮৬১ - ৭ই আগস্ট, ১৯৪১) (২৫শে বৈশাখ, ১২৬৮ - ২২শে শ্রাবণ, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ) ছিলেন অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক। তাঁকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়। রবীন্দ্রনাথকে গুরুদেব, কবিগুরু ও বিশ্বকবি অভিধায় ভূষিত করা হয়। রবীন্দ্রনাথের ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস ও ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসংকলন তাঁর জীবদ্দশায় বা মৃত্যুর অব্যবহিত পরে প্রকাশিত হয়। তাঁর সর্বমোট ৯৫টি ছোটগল্প ও ১৯১৫টি গান যথাক্রমে গল্পগুচ্ছ ও গীতবিতান সংকলনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় প্রকাশিত ও গ্রন্থাকারে অপ্রকাশিত রচনা ৩২ খণ্ডে রবীন্দ্র রচনাবলী নামে প্রকাশিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় পত্রসাহিত্য উনিশ খণ্ডে চিঠিপত্র ও চারটি পৃথক গ্রন্থে প্রকাশিত। এছাড়া তিনি প্রায় দুই হাজার ছবি এঁকেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের রচনা বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান ব্রাহ্ম পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তাঁর শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন।ক[›] ১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা-এ তাঁর "অভিলাষ" কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এটিই ছিল তাঁর প্রথম প্রকাশিত রচনা। ১৮৭৮ সালে মাত্র সতেরো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ প্রথমবার ইংল্যান্ডে যান। ১৮৮৩ সালে মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়। ১৮৯০ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের শিলাইদহের জমিদারি এস্টেটে বসবাস শুরু করেন। ১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন। ১৯০২ সালে তাঁর পত্নীবিয়োগ হয়। ১৯০৫ সালে তিনি বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে নাইট উপাধিতে ভূষিত করেন। কিন্তু ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন। ১৯২১ সালে গ্রামোন্নয়নের জন্য তিনি শ্রীনিকেতন নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত হয়। দীর্ঘজীবনে তিনি বহুবার বিদেশ ভ্রমণ করেন এবং সমগ্র বিশ্বে বিশ্বভ্রাতৃত্বের বাণী প্রচার করেন। ১৯৪১ সালে দীর্ঘ রোগভোগের পর কলকাতার পৈত্রিক বাসভবনেই তাঁর মৃত্যু হয়।রবীন্দ্রনাথের কাব্যসাহিত্যের বৈশিষ্ট্য ভাবগভীরতা, গীতিধর্মিতা চিত্ররূপময়তা, অধ্যাত্মচেতনা, ঐতিহ্যপ্রীতি, প্রকৃতিপ্রেম, মানবপ্রেম, স্বদেশপ্রেম, বিশ্বপ্রেম, রোম্যান্টিক সৌন্দর্যচেতনা, ভাব, ভাষা, ছন্দ ও আঙ্গিকের বৈচিত্র্য, বাস্তবচেতনা ও প্রগতিচেতনা। রবীন্দ্রনাথের গদ্যভাষাও কাব্যিক। ভারতের ধ্রুপদি ও লৌকিক সংস্কৃতি এবং পাশ্চাত্য বিজ্ঞানচেতনা ও শিল্পদর্শন তাঁর রচনায় গভীর প্রভাব বিস্তার করেছিল। কথাসাহিত্য ও প্রবন্ধের মাধ্যমে তিনি সমাজ, রাজনীতি ও রাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে নিজ মতামত প্রকাশ করেছিলেন। সমাজকল্যাণের উপায় হিসেবে তিনি গ্রামোন্নয়ন ও গ্রামের দরিদ্র মানুষ কে শিক্ষিত করে তোলার পক্ষে মতপ্রকাশ করেন। এর পাশাপাশি সামাজিক ভেদাভেদ, অস্পৃশ্যতা, ধর্মীয় গোঁড়ামি ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধেও তিনি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথের দর্শনচেতনায় ঈশ্বরের মূল হিসেবে মানব সংসারকেই নির্দিষ্ট করা হয়েছে; রবীন্দ্রনাথ দেববিগ্রহের পরিবর্তে কর্মী অর্থাৎ মানুষ ঈশ্বরের পূজার কথা বলেছিলেন। সংগীত ও নৃত্যকে তিনি শিক্ষার অপরিহার্য অঙ্গ মনে করতেন। রবীন্দ্রনাথের গান তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি। তাঁর রচিত আমার সোনার বাংলা ও জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে গানদুটি যথাক্রমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ ও ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের জাতীয় সংগীত।
ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৫ আইসিসি কর্তৃক পরিচালিত ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতার একাদশ আসর। ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৯ মার্চ, ২০১৫ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই বিশ্বকাপ অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড - যৌথভাবে আয়োজন করে। সর্বমোট ৪৯টি খেলা অনুষ্ঠিত হবার কথা থাকলেও বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার খেলাটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত ঘোষিত হয়। তন্মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড, ব্রিসবেন, ক্যানবেরা, হোবার্ট, মেলবোর্ন, পার্থ ও সিডনির ১৪ মাঠে ২৬টি এবং নিউজিল্যান্ডের ৭ শহর - অকল্যান্ড, ক্রাইস্টচার্চ, ডুনেডিন, হ্যামিল্টন, নেপিয়ার, ওয়েলিংটন ও নেলসনে ২৩টি খেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।১৯৯২ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর দেশ দু’টি দ্বিতীয়বারের মতো এ প্রতিযোগিতা যৌথভাবে আয়োজন করেছে। প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত খেলা মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ আন্তর্জাতিক ক্রীড়া হিসেবে ১৪ দলের অংশগ্রহণে চার শতাধিক স্বীকৃত ক্রিকেটার ও কর্মকর্তা এতে অংশগ্রহণ করেছেন।
২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপ পূর্ব নির্ধারিত ক্রীড়া হিসেবে স্বাগতিক ভারতে অনুষ্ঠিত হবে। এ ক্রিকেট প্রতিযোগিতাটি ক্রিকেট বিশ্বকাপের ইতিহাসে ত্রয়োদশ আসররূপে পরিচিত পাবে। এরফলে ভারত চতুর্থবারের মতো ক্রিকেট বিশ্বকাপের স্বাগতিক হবার সৌভাগ্য লাভ করবে। এছাড়াও, দেশটি প্রথমবারের মতো এককভাবে ক্রিকেট প্রতিযোগিতাটি পরিচালনা করবে। এরপূর্বে ১৯৮৭ সালে পাকিস্তানের সাথে, ১৯৯৬ সালে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা এবং ২০১১ সালে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের সাথে যৌথভাবে বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জাতীয় ক্রিকেট দল হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে। তারা "বেঙ্গল টাইগার" নামেও পরিচিত। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (সংক্ষেপে বিসিবি) এই দল পরিচালনা করে। বাংলাদেশ আইসিসি'র টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিক মর্যাদাপ্রাপ্ত স্থায়ী সদস্য দেশগুলোর অন্তর্ভুক্ত। তারা দশম টেস্টখেলুড়ে দেশ হিসেবে ভারতের বিপক্ষে ২০০০ সালে ঢাকায় তাদের প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলে।
২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ গ্রুপ পর্ব
২০১৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতার গ্রুপ পর্বের খেলাগুলো রাউন্ড-রবিন পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। এ পর্বে অংশগ্রহণকারী দশ দলই একে-অপরের বিপক্ষে একই গ্রুপে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হবে। এরফলে সর্বমোট ৪৫টি খেলা সম্পন্ন হবে। প্রত্যেক দলই সর্বমোট নয়টি খেলায় অংশ নিবে। গ্রুপের শীর্ষ চার দল নক-আউট পর্বে উপনীত হবে। ১৯৯২ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপেও একই প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয়েছিল।
কাজী নজরুল ইসলাম (২৫ মে ১৮৯৯ – ২৯ আগস্ট ১৯৭৬; ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ – ১২ ভাদ্র ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ) ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, সঙ্গীতজ্ঞ ও দার্শনিক যিনি বাংলা কাব্যে অগ্রগামী ভূমিকা রাখার পাশাপাশি প্রগতিশীল প্রণোদনার জন্য সর্বাধিক পরিচিত। তিনি বাংলা সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হিসেবে উল্লেখযোগ্য। বাঙালি মনীষার এক তুঙ্গীয় নিদর্শন নজরুল। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় কবি। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ – দুই বাংলাতেই তাঁর কবিতা ও গান সমানভাবে সমাদৃত। তাঁর কবিতায় বিদ্রোহী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তাঁকে বিদ্রোহী কবি নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তাঁর কবিতার মূল বিষয়বস্তু ছিল মানুষের ওপর মানুষের অত্যাচার এবং সামাজিক অনাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ।বিংশ শতাব্দীর বাংলা মননে কাজী নজরুল ইসলামের মর্যাদা ও গুরুত্ব অপরিসীম। একাধারে কবি, সাহিত্যিক, সংগীতজ্ঞ, সাংবাদিক, সম্পাদক, রাজনীতিবিদ এবং সৈনিক হিসেবে অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে নজরুল সর্বদাই ছিলেন সোচ্চার। তাঁর কবিতা ও গানে এই মনোভাবই প্রতিফলিত হয়েছে। অগ্নিবীণা হাতে তাঁর প্রবেশ, ধূমকেতুর মতো তাঁর প্রকাশ। যেমন লেখাতে বিদ্রোহী, তেমনই জীবনে – কাজেই "বিদ্রোহী কবি", তাঁর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী বিশেষ মর্যাদার সঙ্গে উভয় বাংলাতে প্রতি বৎসর উদযাপিত হয়ে থাকে।
শেখ মুজিবুর রহমান (১৭ মার্চ ১৯২০ - ১৫ আগস্ট ১৯৭৫), সংক্ষিপ্তাকারে শেখ মুজিব বা মুজিব, ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও ভারতীয় উপমহাদেশের একজন অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যিনি বাঙালির অধিকার রক্ষায় ব্রিটিশ ভারত থেকে ভারত বিভাজন আন্দোলন এবং পরবর্তীতে পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নেতৃত্ব প্রদান করেন। প্রাচীন বাঙালি সভ্যতার আধুনিক স্থপতি হিসাবে শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের "জাতির জনক" বা "জাতির পিতা" বলা হয়ে থাকে। তিনি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সভাপতি, বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং পরবর্তীতে এদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। জনসাধারণের কাছে তিনি শেখ মুজিব এবং শেখ সাহেব হিসাবে বেশি পরিচিত ছিলেন এবং তার উপাধি "বঙ্গবন্ধু"। তার কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বর্তমান সভানেত্রী এবং বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী।
ভারত (শুনুন ) দক্ষিণ এশিয়ার একটি রাষ্ট্র। দেশটির সরকারি নাম ভারতীয় প্রজাতন্ত্র। ভৌগোলিক আয়তনের বিচারে এটি দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম এবং বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম রাষ্ট্র। অন্যদিকে জনসংখ্যার বিচারে এই দেশ বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল এবং পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। ভারতের পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তান উত্তর-পূর্বে চীন, নেপাল, ও ভূটান এবং পূর্বে বাংলাদেশ ও মায়ানমার অবস্থিত। এছাড়া ভারত মহাসাগরে অবস্থিত শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও ইন্দোনেশিয়া ভারতের নিকটবর্তী কয়েকটি দ্বীপরাষ্ট্র। দক্ষিণে ভারত মহাসাগর, পশ্চিমে আরব সাগর ও পূর্বে বঙ্গোপসাগর দ্বারা বেষ্টিত ভারতের উপকূলরেখার সম্মিলিত দৈর্ঘ্য ৭,৫১৭ কিলোমিটার (৪,৬৭১ মাইল)।সুপ্রাচীন কাল থেকেই ভারতীয় উপমহাদেশ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য সুপরিচিত। ঐতিহাসিক সিন্ধু সভ্যতা এই অঞ্চলেই গড়ে উঠেছিল। ইতিহাসের বিভিন্ন পর্বে এখানেই স্থাপিত হয়েছিল বিশালাকার একাধিক সাম্রাজ্য। নানা ইতিহাস-প্রসিদ্ধ বাণিজ্যপথ এই অঞ্চলের সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য সভ্যতার বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রক্ষা করত। হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন ও শিখ—বিশ্বের এই চার ধর্মের উৎসভূমি ভারত। খ্রিষ্টীয় প্রথম সহস্রাব্দে জরথুষ্ট্রীয় ধর্ম (পারসি ধর্ম), ইহুদি ধর্ম, খ্রিষ্টধর্ম ও ইসলাম এদেশে প্রবেশ করে, ও ভারতীয় সংস্কৃতিতে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে। অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ থেকে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ধীরে ধীরে ভারতীয় ভূখণ্ডের অধিকাংশ অঞ্চল নিজেদের শাসনাধীনে আনতে সক্ষম হয়। ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে এই দেশ পুরোদস্তুর একটি ব্রিটিশ উপনিবেশে পরিণত হয়। অতঃপর এক সুদীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৪৭ সালে ভারত একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্ররূপে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৫০ সালে সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে ভারত একটি সার্বভৌম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়।
হাফেজ শিরাজি, মহাকবি হাফেজ, আসল নাম শামসুদ্দিন মোহাম্মদ হলেন একজন ইরানী বা ফার্সি কবি যিনি বুলবুল-ই-শিরাজ উপাধিতে ভূষিত হন। শিরাজ ইরানেরমদিনা,পারস্যের তীর্থভূমি। শিরাজেরই মোসল্লা নামক স্থানে বিশ্ববিশ্রুত কবি হাফেজ চতুর্দশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে জন্মগ্রহণ করেন। ইরানের এক নিশাপুর (ওমর খৈয়াম-এর জন্মভূমি) ছাড়া আর কোন নগরই শিরাজের মত বিশ্বজোড়া খ্যাতি লাভ করেনি। ইরানের প্রায় সমস্ত শ্রেষ্ঠ কবির লীলা-নিকেতন এই শিরাজ। ইরানিরা হাফেজকে আদর করে "বুলবুল-ই-শিরাজ" বা শিরাজের বুলবুলি বলে সম্ভাষণ করে। তারা তাকে "লিসান-উল-গায়েব" (অজ্ঞাতের বাণী), "তর্জমান-উল-আসরার" (রহস্যের মর্মসন্ধানী) বলেও সম্বোধন করেন। হাফেজের কবর আজ ইরানের শুধু জ্ঞানী-গুণীজনের শ্রদ্ধার স্থান নয়, সর্বসাধারণের কাছে "দর্গা", পীরের আস্তানা। তাঁর নামের উচ্চারণ হাফেজ বা হাফিজ। হাফেজের মৃত্যুর একশত বছরের মধ্যে তাঁর কোন জীবনী রচিত হয়নি। কাজেই তাঁর জীবনের অধিকাংশ ঘটনা আঁধারের নীল মঞ্জুষায় চির-আবদ্ধ রয়ে গেছে। তাঁর জন্ম-মৃত্যুর দিন নিয়ে ইরানেও তাই নানা মুনির নানা মত। হাফেজের বন্ধু ও তাঁর কবিতাসমূহের (দীওয়ানের) মালাকর গুল-আন্দামের মতে হফেজের মৃত্যু-সাল ৭৯১ হিজরি বা ১৩৮৯ খ্রীষ্টাব্দ। কিন্তু তিনিও কবির সঠিক জন্ম-সাল দিতে পারেননি। হফেজের পিতা বাহাউদ্দীন ইসপাহান নগরী হতে ব্যবসা উপলক্ষে শিরাজে এসে বসবাস করেন। তিনি ব্যবসায়ে বেশ সমৃদ্ধিও লাভ করেন, কিন্তু মৃত্যুকালে সমস্ত ব্যবসায় এমন গোলমালে জড়িয়ে রেখে যান যে শিশু হফেজ ও তাঁর জননী ঐশ্বর্যের কোল থেকে একেবারে দারিদ্র্যের করাল গ্রাসে নিপতিত হন। বাধ্য হয়ে তখন হফেজকে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অর্থোপার্জন করতে হয়। কোন কোন জীবনী-লেখক বলেন, দারিদ্র্যের নিষ্পেষণে হফেজকে তাঁর জননী অন্য একজন সঙ্গতিসম্পন্ন বণিকের হাতে সমর্পণ করেন। সেখানে থেকেই হফেজ পড়াশোনা করার অবকাশ পান। যেভাবেই হোক, হফেজ যে কবি-খ্যাতি লাভ করার আগে বিশেষরূপে জ্ঞান অর্জন করেছিলেন, তা তাঁর কবিতা পড়েই বোঝা যায়। হফেজের আসল নাম শামসুদ্দিন মোহাম্মদ। "হফেজ" তাঁর "তখল্লুস", অর্থাৎ কবিতার ভণিতায় ব্যবহৃত উপ-নাম। যারা সম্পূর্ণ কোরান কণ্ঠস্থ করতে পারেন, তাঁদেরকে আরবি ভাষায় "হাফিজ" এবং ফার্সি ভাষায় "হফেজ" বলা হয়। তাঁর জীবনী-লেখকগণও বলেন, হফেজ তাঁর পাঠ্যাবস্থায় কোরান মুখস্থ করেছিলেন। তাঁর পাঠ্যাবস্থায়ই তিনি স্বভাবী দক্ষতায় কবিতা রচনা করতে আরম্ভ করেন, কিন্তু তা তেমন আদর লাভ করতে পারেনি। কিছুদিন পরে "বাবা-কুহী" নামক শিরাজের উত্তরে পর্বতের উপরকার এক দর্গায় (মন্দিরে) ইমাম আলি নামক এক দরবেশের সাথে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। সেদিন "বাবা-কুহী"তে রাতভর ধর্মোৎসব চলছিল। হফেজও ঐ উৎসবে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। ইমাম আলি হফেজকে রহস্যময় কোন ঐশী খাবার খেতে দেন এবং বলেন, এর পরই হফেজ কাব্যলক্ষীর রহস্যপুরীর সব ঐশ্বর্যের অধিকারী হবে। এই বিবরণে কতটা কল্পনারস মিশে আছে তা নিশ্চিতভাবে বলা না গেলেও এটা সত্য যে হফেজের সমস্ত জীবনী-লেখকই এই ঘটনার উল্লেখ করেছেন। শুধু উল্লেখ নয়, বিশ্বাসও করেছেন। হফেজ তাঁর জীবদ্দশায় তাঁর কবিতাসমূহ (দীওয়ান) সংগ্রহ করে যাননি। তাঁর বন্ধু গুল-আন্দামই সর্বপ্রথম তাঁর মৃত্যুর পর "দীওয়ান" আকারে হফেজের সমস্ত কবিতা সংগ্রহ ও সংগ্রথিত করেন। কাজেই - মনে হয়, হফেজের পঞ্চশতাধিক যে কবিতা আমরা পেয়েছি, তাছাড়াও অনেক কবিতা হারিয়ে গেছে, বা তিনি সংগ্রহ করতে পারেননি। হফেজ ছিলেন উদাসীন সুফী। তাঁর নিজের কবিতার প্রতি তাঁর মমতাও তেমন ছিল না। তাই কবিতা লিখবার পরই তাঁর বন্ধুবান্ধব কেউ সংগ্রহ না করে রাখলে তা হারিয়ে যেত। কিন্তু তাঁর কবিতার অধিকাংশই গজল-গান বলে, লেখা হওয়ামাত্র মুখে মুখে গীত হত। ধর্মমন্দির থেকে শুরু করে পানশালা পর্যন্ত সবখানেই তাঁর গান আদরের সাথে গীত হত। হফেজ সম্বন্ধে বিশ্ববিজয়ী বীর তৈমুরকে নিয়ে একটি গল্প প্রচলিত আছে। হফেজের কবিতার এই দুটি চরণ ততদিনে জগদ্বিখ্যাত হয়ে গেছে - اگر آن ترک شیرازی به دست آرد دل ما رابه خال هندویش بخشم سمرقند و بخارا را প্রাণ যদি মোর দেয় ফিরিয়ে তুর্কী সওয়ার মনচোরাপ্রিয়ার মোহন চাঁদ কপোলের একটি কালো তিলের লাগি বিলিয়ে দেব সমরকান্দ ও রত্নখচা এ বোখারা! সেই সময় তৈমুরের সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল সমরকন্দ। হফেজ তাঁর প্রিয়ার গালের তিলের জন্য তৈমুরের সাম্রাজ্যের রাজধানী বিলিয়ে দিতে চান শুনে তৈমুর ভীষণ ক্রোধান্বিত হয়ে পারস্য জয়ের সময় হফেজকে ডেকে পাঠান। উপায়ন্তর না দেখে হফেজ তৈমুরকে বলেন যে তিনি ভুল শুনেছেন, শেষের চরণের "সমরকন্দ ও বোখারা"র পরিবর্তে "দো মণ কন্দ ও সি খোর্মারা" হবে। "আমি তার গালের তিলের বদলে দু মণ চিনি ও তিন মণ খেজুর দান করব!" কেউ কেউ বলেন, হফেজ এই উত্তর দেননি। তিনি নাকি দীর্ঘ কুর্নিশ করে বলেছিলেন, "সম্রাট!
যৌনসঙ্গম (যৌনমিলন, সঙ্গম, মৈথুন, রতিক্রিয়া, রতিমিলন; যৌন সংসর্গ, যৌন সহবাস, সহবাস ইত্যাদি) হচ্ছে একটি জৈবিক প্রক্রিয়া যা দ্বারা মূলত যৌনআনন্দ বা প্রজনন বা উভয় ক্রিয়ার জন্য একজন পুরুষের উত্থিত শিশ্ন একজন নারীর যোনিপথে অনুপ্রবেশ করানো ও সঞ্চালনা করাকে বোঝায়। অন্যান্য অন্তর্ভেদী যৌনসঙ্গমের মধ্যে রয়েছে পায়ুসঙ্গম (লিঙ্গ দ্বারা মলদ্বার অনুপ্রবেশ), মুখমৈথুন, অঙ্গুলিসঞ্চালন (আঙ্গুল দ্বারা যৌন অনুপ্রবেশ), যৌনখেলনা ব্যবহার দ্বারা অনুপ্রবেশ (বন্ধনীযুক্ত কৃত্রিম শিশ্ন)। এই সকল কার্যক্রম মূলত মানবজাতি কর্তৃক দুই বা ততোধিকের মধ্যেকার শারীরিক ও মানসিক অন্তরঙ্গতা জনিত পরিতোষ লাভের জন্য এবং সাধারণত মানব বন্ধনে ভূমিকা রাখতে সম্পাদিত হয়ে থাকে।যৌনসঙ্গম বা অপরাপর যৌনকর্ম কীভাবে সংজ্ঞায়িত হয় তা নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে, যা যৌনস্বাস্থ্য বিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গিগুলোর উপর প্রভাব রাখতে পারে। যদিও যৌনসঙ্গম, নির্দিষ্টভাবে মৈথুন বলতে সাধারণত শিশ্ন-জরায়ুজ অনুপ্রবেশ ও সন্তান উৎপাদনের সম্ভাব্যতাকে নির্দেশ করা হয়, এর দ্বারা সাধারণভাবে অন্তর্ভেদী মুখমৈথুন ও বিশেষত শিশ্ন-পায়ুজ সঙ্গমকেও নির্দেশ করা হয়। এটি সাধারণত যৌন অনুপ্রবেশকে নির্দেশ করে, যেখানে অননুপ্রবেশকারী যৌনতাকে "বহির্সঙ্গম" নামে নামকরণ করা হয়, কিন্তু অনুপ্রবেশকারী যৌনকর্মকে যৌনসঙ্গম হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। যৌনতা বা ইংরেজি ভাষায় সেক্স, প্রায়শই যৌনসঙ্গমের একটি সংক্ষিপ্ত ব্যবহৃত রূপ, যা দ্বারা যে কোন প্রকারের যৌনক্রিয়াকে বোঝানো হতে পারে। যেহেতু এসকল যৌনকর্মের সময়ে মানুষ যৌনবাহিত সংক্রমণের সংস্পর্শের ঝুঁকিতে থাকতে পারে, নিরাপদ যৌনচর্চার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে,যদিও অনাভেদী যৌনতায় সংক্রমণ ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যহারে হ্রাস পেয়ে থাকে।বিভিন্ন আইনি বিধিমালা যৌনসঙ্গমমের সামাজিক অনুমতিপ্রদানের জন্য বিভিন্ন আইন ও রীতিনীতির মাধ্যমে বৈবাহিক রীতির প্রবর্তন, প্রচলন ও সমর্থন করেছে এবং বেশ কিছু যৌনকর্মের বিপরীতে নিষেধাজ্ঞামূলক আইনকে স্থান দিয়েছে, যেমন বিবাহপূর্ব ব্যভিচার ও বিবাহপরবর্তী পরকীয়া, পায়ুকাম, পশুকাম, ধর্ষণ, পতিতাবৃত্তি, অপ্রাপ্তবয়স্কের সঙ্গে যৌনচর্চা ও অজাচার। ধর্মীয় বিশ্বাসও যৌনসঙ্গমসহ অন্যান্য যৌনাচার বিষয়ক ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে অন্যতম ভূমিকা পালন করে, যেমন কুমারীত্ব বিষয়ক সিদ্ধান্ত, অথবা আইনি বা সরকারী নীতিমালা সম্পর্কিত বিষয়াবলি। বিভিন্ন ধর্মভেদে ও একই ধর্মের বিভিন্ন শ্রেণীভেদে যৌনতা সম্পর্কিত ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য পরিলক্ষিত হলেও কিছু বিষয়ে অভিন্নতা রয়েছে, যেমন ব্যভিচারের নিষেধাজ্ঞা।
স্বামী বিবেকানন্দ (বাংলা: [ʃami bibekanɒnɖo] (শুনুন), Shāmi Bibekānondo; ১২ জানুয়ারি, ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দ – ৪ জুলাই, ১৯০২ খ্রিস্টাব্দ) নাম নরেন্দ্রনাথ দত্ত (বাংলা: [nɔrend̪ro nat̪ʰ d̪ɔt̪t̪o]), ছিলেন একজন হিন্দু সন্ন্যাসী, দার্শনিক, লেখক, সংগীতজ্ঞ এবং ঊনবিংশ শতাব্দীর ভারতীয় অতীন্দ্রি়য়বাদী রামকৃষ্ণ পরমহংসের প্রধান শিষ্য। তার পূর্বাশ্রমের নাম ছিল নরেন্দ্রনাথ দত্ত। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে হিন্দুধর্ম তথা ভারতীয় বেদান্ত ও যোগ দর্শনের প্রচারে প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। অনেকে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে বিভিন্ন ধর্মমতের মধ্যে পারস্পরিক সুসম্পর্ক স্থাপন এবং হিন্দুধর্মকে বিশ্বের অন্যতম প্রধান ধর্ম হিসেবে প্রচার করার কৃতিত্ব বিবেকানন্দকে দিয়ে থাকেন। ভারতে হিন্দু পুনর্জাগরণের তিনি ছিলেন অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব। সেই সঙ্গে ব্রিটিশ ভারতে তিনি ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ধারণাটি প্রবর্তন করেন। বিবেকানন্দ রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন। তার সবচেয়ে বিখ্যাত বক্তৃতাটি হল, "আমেরিকার ভাই ও বোনেরা ...," ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোয় বিশ্ব ধর্ম মহাসভায় প্রদত্ত চিকাগো বক্তৃতা, যার মাধ্যমেই তিনি পাশ্চাত্য সমাজে প্রথম হিন্দুধর্ম প্রচার করেন। স্বামী বিবেকানন্দ কলকাতার এক উচ্চবিত্ত হিন্দু বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ছোটোবেলা থেকেই আধ্যাত্মিকতার প্রতি তিনি আকর্ষিত হতেন। তার গুরু রামকৃষ্ণ দেবের কাছ থেকে তিনি শেখেন, সকল জীবই ঈশ্বরের প্রতিভূ; তাই মানুষের সেবা করলেই ঈশ্বরের সেবা করা হয়। রামকৃষ্ণের মৃত্যুর পর বিবেকানন্দ ভারতীয় উপমহাদেশ ভালোভাবে ঘুরে দেখেন এবং ব্রিটিশ ভারতের আর্থ-সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে প্রত্যক্ষ জ্ঞান অর্জন করেন। পরে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দের বিশ্ব ধর্ম মহাসভায় ভারত ও হিন্দুধর্মের প্রতিনিধিত্ব করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড ও ইউরোপে তিনি হিন্দু দর্শনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অসংখ্য সাধারণ ও ঘরোয়া বক্তৃতা দিয়েছিলেন এবং ক্লাস নিয়েছিলেন। তার রচিত গ্রন্থগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য চিকাগো বক্তৃতা, কর্মযোগ, রাজযোগ, জ্ঞানযোগ, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বেদান্ত, ভারতে বিবেকানন্দ, ভাববার কথা, পরিব্রাজক, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য, বর্তমান ভারত, বীরবাণী (কবিতা-সংকলন), মদীয় আচার্যদেব ইত্যাদি। বিবেকানন্দ ছিলেন সংগীতজ্ঞ ও গায়ক। তাঁর রচিত দুটি বিখ্যাত গান হল "খণ্ডন-ভব-বন্ধন" (শ্রীরামকৃষ্ণ আরাত্রিক ভজন) ও "নাহি সূর্য নাহি জ্যোতি"। এছাড়া "নাচুক তাহাতে শ্যামা", "৪ জুলাইয়ের প্রতি", "সন্ন্যাসীর গীতি" ও "সখার প্রতি" তার রচিত কয়েকটি বিখ্যাত কবিতা। "সখার প্রতি" কবিতার অন্তিম দুইটি চরণ– “বহুরূপে সম্মুখে তোমার ছাড়ি কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর?
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ (বাংলা: বাংলাদেশ গণসংঘ) বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী এবং বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল। এই রাজনৈতিক দলটির গোড়াপত্তন হয় ২৩ জুন ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। পরবর্তী কালে এর নাম ছিল নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ। ১৯৭০ সাল থেকে এর নির্বাচনী প্রতীক নৌকা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ১৯৭১ সালে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর এই সংগঠনটির নামাকরণ করা হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
যোনি বা যোনিপথ বা যৌননালী বা জনননালী (ইংরেজি: Vagina, birth canal — ভ্যাজাইনা; মূলতঃ লাতিন: উয়াগিনা, বার্থ ক্যানাল) হলো স্ত্রী যৌনাঙ্গ, যা জরায়ু থেকে স্ত্রীদেহের বাইরের অংশ পর্যন্ত বিস্তৃত একটি ফাইব্রোমাসকুলার নলাকার অংশ। মানুষ ছাড়াও অমরাবিশিষ্ট মেরুদণ্ডী ও মারসুপিয়াল প্রাণীতে, যেমনঃ ক্যাঙ্গারু অথবা স্ত্রী পাখি, মনোট্রিম ও কিছু সরীসৃপের ক্লোকাতে যোনি পরিদৃষ্ট হয়। স্ত্রী কীটপতঙ্গ এবং অন্যান্য অমেরুদণ্ডী প্রাণীরও যোনি আছে, যা মূলতঃ ওভিডাক্টের শেষ প্রান্ত। লাতিন বহুবচনে যোনিকে বলা হয় vaginae - উয়াগিনাই (ইংরেজি উচ্চারণে ভ্যাজাইনি)।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs) হলো ভবিষ্যত আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংক্রান্ত একগুচ্ছ লক্ষ্যমাত্রা। জাতিসংঘ লক্ষ্যগুলো প্রণয়ন করেছে এবং “টেকসই উন্নয়নের জন্য বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা” হিসেবে লক্ষ্যগুলোকে প্রচার করেছে। এসব লক্ষ্য সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা -কে প্রতিস্থাপন করেছে, যা ২০১৫ সালের শেষ নাগাদ মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। SDGs-এর মেয়াদ ২০১৬ থেকে ২০৩০ সাল। এতে মোট ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা ও ১৬৯টি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে । ২৫-২৭সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক UN Sustainable Development Summit এ বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানদের আলোচনার মধ্যমে এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সম্মেলনের বিষয়বস্তু Transforming our world: the 2030 Agenda for Sustainable Development ।
ক্রিকেট (ইংরেজি: Cricket) হচ্ছে ব্যাট ও বলের একটি দলীয় খেলা যাতে এগারোজন খেলোয়াড়বিশিষ্ট দুইটি দল অংশ নেয়। এই খেলাটির উদ্ভব হয় ইংল্যান্ডে। পরবর্তীতে ব্রিটিশ উপনিবেশগুলোসহ অন্যান্য দেশগুলোতে এই খেলা ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার লাভ করে চলছে। বর্তমানে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ড আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ৫ দিনের টেস্ট ক্রিকেট ম্যাচ খেলে থাকে। ২০০৫ সাল থেকে জিম্বাবুয়ে স্বেচ্ছায় টেস্ট ক্রিকেট থেকে নিজেদেরকে বিচ্ছিন্ন করে রেখে ২০১১ সালে আবার খেলায় ফিরে আসে। এছাড়া, আরো বেশ কিছু দেশ ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক সংস্থা আইসিসি'র সদস্য। টেস্টখেলুড়ে দেশগুলি ছাড়াও আইসিসি অনুমোদিত আরো দু’টি দেশ অর্থাৎ মোট ১২টি দেশ একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণ করে থাকে। খেলোয়াড় হিসেবে যিনি ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণ করেন বা খেলে থাকেন, তিনি ক্রিকেটার নামে পরিচিত।ক্রিকেট খেলা ঘাসযুক্ত মাঠে (সাধারণত ওভাল বা ডিম্বাকৃতির) খেলা হয়, যার মাঝে ২২ গজের ঘাসবিহীন অংশ থাকে, তাকে পিচ বলে। পিচের দুই প্রান্তে কাঠের তিনটি করে লম্বা লাঠি বা স্ট্যাম্প থাকে। ঐ তিনটি স্ট্যাম্পের উপরে বা মাথায় দুইটি ছোট কাঠের টুকরা বা বেইল থাকে। স্ট্যাম্প ও বেইল সহযোগে এই কাঠের কাঠামোকে উইকেট বলে।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (২৬ সেপ্টেম্বর ১৮২০ – ২৯ জুলাই ১৮৯১) উনবিংশ শতকের একজন বিশিষ্ট বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও গদ্যকার। তাঁর প্রকৃত নাম ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে অগাধ পাণ্ডিত্যের জন্য প্রথম জীবনেই তিনি বিদ্যাসাগর উপাধি লাভ করেন। সংস্কৃত ছাড়াও বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় বিশেষ বুৎপত্তি ছিল তাঁর। তিনিই প্রথম বাংলা লিপি সংস্কার করে তাকে যুক্তিবহ ও অপরবোধ্য করে তোলেন। বাংলা গদ্যের প্রথম সার্থক রূপকার তিনিই। তাঁকে বাংলা গদ্যের প্রথম শিল্পি বলে অভিহিত করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি রচনা করেছেন জনপ্রিয় শিশুপাঠ্য বর্ণপরিচয় সহ, একাধিক পাঠ্যপুস্তক, সংস্কৃত ব্যাকরণ গ্রন্থ। সংস্কৃত, হিন্দি ও ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করেছেন সাহিত্য ও জ্ঞানবিজ্ঞান সংক্রান্ত বহু রচনা।
ডেঙ্গু জ্বর (ইউকে বা ইউএস ), যা ব্রেকবোন ফিভার নামেও পরিচিত, একটি সংক্রামক ট্রপিক্যাল ডিজিজ যা ডেঙ্গু ভাইরাস-এর কারণে হয়। যে উপসর্গগুলি দেখা যায় তার মধ্যে আছে জ্বর, মাথাব্যথা,পেশি এবং গাঁটে ব্যথা, এবং একটি বৈশিষ্ট্য ত্বকে র্যাশ যা হামজ্বরের সমতুল্য। স্বল্প ক্ষেত্রে অসুখটি প্রাণঘাতী ডেঙ্গু হেমোর্যাজিক ফিভার-এ পর্যবসিত হয় ,যার ফলে রক্তপাত, রক্ত অনুচক্রিকার কম মাত্রা এবং রক্ত প্লাজমার নিঃসরণ অথবা ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোম-এ পর্যবসিত হয়, যেখানে রক্তচাপ বিপজ্জনকভাবে কম থাকে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল ১৯৭১ সালে সংঘটিত তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের সশস্ত্র সংগ্রাম, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ হিসাবে পৃথিবীর মানচিত্রে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি নিধনে ঝাঁপিয়ে পড়লে একটি জনযুদ্ধের আদলে গেরিলাযুদ্ধ তথা স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা ঘটে। ২৫ মার্চের কালো রাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ঢাকায় অজস্র সাধারণ নাগরিক, ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, পুলিশ ও ই.পি.আর.-কে হত্যা করে এবং ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতাপ্রাপ্ত দল আওয়ামী লীগ প্রধান বাঙালিদের তৎকালীন জনপ্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। পার্বত্য চট্টগ্ৰামের কালুরঘাট বেতাৱ কেন্দ্র থেকে ৮ম পূৰ্ব বেঙ্গল রেজিমেন্টের উপ-প্ৰধান মেজর জিয়াউর রহমান ও চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের নেতা এম. এ.
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর স্থল শাখা। এটি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সর্ববৃহৎ শাখা। সেনাবাহিনীর প্রাথমিক দায়িত্ব হচ্ছে বাংলাদেশের ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষা সহ সব ধরনের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহায়তায় প্রয়োজনীয় শক্তি ও জনবল সরবরাহ করা। সেনাবাহিনীর সব ধরনের কর্মকান্ড সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সেনা শাখা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। প্রাথমিক দায়িত্বের পাশাপাশি যেকোন জাতীয় জরুরি অবস্থায় বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় এগিয়ে আসতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সাংবিধানিক ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বাংলা ভাষা (বাঙলা, বাঙ্গলা, তথা বাঙ্গালা নামগুলোতেও পরিচিত) একটি ইন্দো-আর্য ভাষা, যা দক্ষিণ এশিয়ার বাঙালি জাতির প্রধান কথ্য ও লেখ্য ভাষা। মাতৃভাষীর সংখ্যায় বাংলা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের চতুর্থ ও বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম ভাষা। মোট ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনুসারে বাংলা বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম ভাষা। বাংলা সার্বভৌম ভাষাভিত্তিক জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা তথা সরকারি ভাষা এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসামের বরাক উপত্যকার সরকারি ভাষা। বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের প্রধান কথ্য ভাষা বাংলা। এছাড়া ভারতের ঝাড়খণ্ড, বিহার, মেঘালয়, মিজোরাম, উড়িষ্যা রাজ্যগুলোতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাংলাভাষী জনগণ রয়েছে। ভারতে হিন্দির পরেই সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা বাংলা। এছাড়াও মধ্য প্রাচ্য, আমেরিকা ও ইউরোপে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাংলাভাষী অভিবাসী রয়েছে। সারা বিশ্বে সব মিলিয়ে ২৬ কোটির অধিক লোক দৈনন্দিন জীবনে বাংলা ব্যবহার করে। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত এবং ভারতের জাতীয় সঙ্গীত ও স্তোত্র বাংলাতে রচিত।
বাংলা উইকিপিডিয়া হল উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন পরিচালিত উইকিপিডিয়া নামক উন্মুক্ত অনলাইন বিশ্বকোষের বাংলা সংস্করণ। এই সংস্করণটি ২৭ জানুয়ারি ২০০৪ সালে প্রথম যাত্রা শুরু করে। ২৬ জুন ২০১৯ পর্যন্ত বাংলা উইকিপিডিয়াতে ৬৯,০৭৫ টি নিবন্ধ সৃষ্টি করা হয়েছে। ২৬ জুন ২০১৯ অনুযায়ী বাংলা উইকিপিডিয়ায় সর্বমোট ৩৫,০৪,৯৬০ বার সম্পাদনা হয়েছে। ৭৮২ জন সক্রিয় স্বেচ্ছাসেবক বাংলা উইকিপিডিয়ায় কাজ করছেন। ১১ জন প্রশাসক বিশ্বকোষটির প্রশাসনিক ব্যাপারগুলো দেখেন। এই বিশ্বকোষটিতে মোট ৫,৯৯৩টি ফাইল বা চিত্র আছে। বাংলা উইকিপিডিয়াতে বাংলা লিপিতে লিখনের একটি সরঞ্জাম রয়েছে, যার মাধ্যমে কোন লাতিন বর্ণমালাভিত্তিক কি-বোর্ড ব্যবহার করে উচ্চারণভিত্তিক (ফোনেটিক) উপায়ে বাংলা টাইপ করা যায়। বহিঃস্থ কোন সফটওয়্যার ডাউনলোড করার প্রয়োজন পড়ে না।২০১০ সালে মোবাইল ফোনের জন্য বাংলা উইকিপিডিয়ার মোবাইল সংস্করণ চালু হয়। ২০১৮ সালে সারা বিশ্ব থেকে প্রায় ১৯ কোটিবার এবং প্রতিদিন গড়ে ৫ লাখ ১৩ হাজার ৬৭৮ বার বাংলা উইকিপিডিয়া দেখা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ ভারতের একটি রাজ্য। এই রাজ্যটি পূর্ব ভারতে বঙ্গোপসাগরের উত্তর দিকে অবস্থিত। ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, এই রাজ্যের জনসংখ্যা ৯ কোটি ১৩ লক্ষেরও বেশি। জনসংখ্যার নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ ভারতের চতুর্থ সর্বাধিক জনবহুল রাজ্য। এই রাজ্যের আয়তন ৮৮,৭৫২ কিমি২ (৩৪,২৬৭ মা২)। পশ্চিমবঙ্গ বাংলা-ভাষী বাঙালি জাতি অধ্যুষিত বাংলা অঞ্চলের একটি অংশ। এই রাজ্যের পূর্ব দিকে বাংলাদেশ রাষ্ট্র এবং উত্তর দিকে নেপাল ও ভুটান রাষ্ট্র অবস্থিত। ভারতের ওডিশা, ঝাড়খণ্ড, বিহার, সিক্কিম ও অসম রাজ্যও পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী। রাজ্যের রাজধানী কলকাতা শহরটি হল ভারতের সপ্তম বৃহত্তম মহানগরী। পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বর্ধমান ৷ বর্ধমান আসানসোল শিলিগুড়ি দুর্গাপুর এই পাঁচটি পশ্চিমবঙ্গের মহানগর ৷ ভৌগোলিক দিক থেকে দার্জিলিং হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল, গাঙ্গেয় বদ্বীপ, রাঢ় অঞ্চল ও উপকূলীয় সুন্দরবনের অংশবিশেষ এই রাজ্যের অন্তর্গত। বাঙালিরাই এই রাজ্যের প্রধান জাতিগোষ্ঠী এবং রাজ্যের জনসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই বাঙালি হিন্দু।
মুহাম্মাদ (সাঃ) (২৯ আগস্ট ৫৭০ - ৮ জুন ৬৩২; আরবি উচ্চারণ শুনতে ক্লিক করুন محمد মোহাম্মদ এবং মুহম্মদ নামেও পরিচিত; তুর্কি : মুহাম্মেদ), পূর্ণ নাম : আবু আল-কাশিম মুহাম্মাদ ইবনে ʿআবদুল্লাহ ইবনে ʿআবদুল মুত্তালিব ইবনে হাশিম (ابو القاسم محمد ابن عبد الله ابن عبد المطلب ابن هاشم) হলেন ইসলামের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব এবং ইসলামী বিশ্বাস মতে আল্লাহ বা ঈশ্বর কর্তৃক প্রেরিত সর্বশেষ নবী, (আরবি: النبي আন-নাবিয়্যু), তথা "বার্তাবাহক" (আরবি : الرسول আর-রাসুল), যার উপর ইসলামী প্রধান ধর্মগ্রন্থ আল-কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে। অমুসলিমদের মতে তিনি ইসলামী জীবন ব্যবস্থার প্রবর্তক। অধিকাংশ ইতিহাসবেত্তা ও বিশেষজ্ঞদের মতে, মুহাম্মাদ ছিলেন পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় নেতা। তাঁর এই বিশেষত্বের অন্যতম কারণ হচ্ছে আধ্যাত্মিক ও জাগতিক উভয় জগতেই চূড়ান্ত সফলতা অর্জন। তিনি ধর্মীয় জীবনে যেমন সফল তেমনই রাজনৈতিক জীবনেও। সমগ্র আরব বিশ্বের জাগরণের পথিকৃৎ হিসেবে তিনি অগ্রগণ্য; বিবাদমান আরব জনতাকে একীভূতকরণ তাঁর জীবনের অন্যতম সফলতা।আনুমানিক ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে (হস্তিবর্ষ) মক্কা নগরীতে জন্ম নেওয়া মুহাম্মাদ (সাঃ) মাতৃগর্বে থাকাকালীন পিতা হারা হন শিশু বয়সে মাতাকে হারিয়ে এতিম হন এবং প্রথমে তাঁর পিতামহ আবদুল মোত্তালিব ও পরে পিতৃব্য আবু তালিবের নিকট লালিত পালিত হন। হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকার পর ৪০ বছর বয়সে তিনি নবুওয়াত লাভ করেন। জিবরাইল এই পর্বতের গুহায় আল্লাহর তরফ থেকে তাঁর নিকট ওহী নিয়ে আসেন। তিন বছর পর ৬১০ খ্রিস্টাব্দে মুহাম্মাদ (সাঃ) প্রকাশ্যে ওহী প্রচার করেন, এবং ঘোষণা দেন "আল্লাহ এক" ও তাঁর নিকট নিজেকে সঁপে দেওয়ার মধ্যেই জাগতিক কল্যাণ নিহিত, এবং ইসলামের অন্যান্য নবীদের মত তিনিও আল্লাহর প্রেরিত দূত।মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর নিকট আসা ওহীসমূহ কুরআনের আয়াত হিসেবে রয়ে যায় এবং মুসলমানরা এই আয়াতসমূহকে "আল্লাহর বাণী" বলে বিবেচনা করেন। এই কুরআনের উপর ইসলাম ধর্মের মূল নিহিত। কুরআনের পাশাপাশি হাদিস ও সিরাত (জীবনী) থেকে প্রাপ্ত মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর শিক্ষা ও অনুশীলন (সুন্নাহ) ইসলামী আইন (শরিয়াহ) হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
শাকিব খান (জন্ম: ২৮ মার্চ ১৯৭৯) হচ্ছেন একজন বাংলাদেশী জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রযোজক ও গায়ক। তার প্রকৃত নাম মাসুদ রানা হলেও তিনি শাকিব খান নামে চলচ্চিত্রাঙ্গনে আবির্ভূত হন। সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত অনন্ত ভালবাসা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। অচিরেই শাকিব খান বাংলাদেশর চলচ্চিত্র ইতিহাসের সবচেয়ে সফল এবং সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক অভিনেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।শাকিব তার কর্মজীবনে একাধিক পুরস্কার অর্জন করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে তিনটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, আটটি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার, ও একটি লাক্স-চ্যানেল আই পারফরম্যান্স পুরস্কার। তিনি ২০১০ সালের ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না ২০১২ সালের খোদার পরে মা এবং ২০১৫ সালের আরো ভালোবাসবো তোমায় ছবির জন্য তিনবার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ বাংলাদেশের প্রথম ভূস্থির যোগাযোগ ও সম্প্রচার উপগ্রহ। এটি ১১ মে ২০১৮ কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। এর মধ্য দিয়ে ৫৭ তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী দেশের তালিকায় যোগ হয় বাংলাদেশ। এই প্রকল্পটি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন কর্তৃক বাস্তবায়িত হয় এবং এটি ফ্যালকন ৯ ব্লক ৫ রকেটের প্রথম পেলোড উৎক্ষেপণ ছিল।
পায়ুসঙ্গম অথবা পায়ুকাম হচ্ছে সাধারণত একটি পুরুষের উত্থিত শিশ্ন অপর একজন পুরুষ বা নারীর পায়ুপথে প্রবেশ করানো। পায়ুসম্পর্কিত অন্যান্য যৌনক্রিয়াগুলোর মধ্যে রয়েছে পায়ুপথে অঙ্গুলিসঞ্চালন, পায়ুপথে কৃত্রিম শিশ্ন ঢোকানোসহ পায়ুলেহন এবং পেগিং। যদিও পায়ুসঙ্গম বলতে প্রধানত পায়ুপথে শিশ্নের অনুপ্রবেশকেই বোঝানো হয়, এবং পায়ুকাম শব্দটিও অনুরূপ ক্রিয়া বোঝাতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে তবে আবার পায়ুকাম শব্দটি পায়ুদ্বারসম্পর্কিত অন্যান্য যৌনক্রিয়া বোঝাতেও ব্যবহৃত হয় শুধু 'স্বপায়ুমেহন' বা 'পায়ুপথে স্বঅঙ্গুলি প্রবেশ' ক্রিয়া ব্যতিত।পায়ুসঙ্গম সাধারণত পুরুষ-পুরুষ যৌনসংসর্গের জন্য সুপরিচিত যদিও বিষমকামিতায়ও পায়ুসঙ্গম প্রচলিত। নারী-নারী যৌনসংসর্গেও পায়ুসঙ্গম কৃত্রিম শিশ্ন দ্বারা করা হয়। যার পায়ুপথে শিশ্ন প্রবেশ করা হবে তিনি তার পায়ুর স্নায়ুতন্ত্রের কারণে ব্যথা কিংবা কষ্ট বা দুটোই পেতে পারেন, পুরুষের পায়ুপথে যৌনানন্দ আসতে পারে তাদের প্রোস্টেটের পরোক্ষ উদ্দীপনার মাধ্যমে আর একজন নারীর পায়ুতে যৌনানন্দ আসতে পারে তার ভগাঙ্কুর বা যোনিপথের কোনো একটা জায়গা (জি-স্পট) এর পরোক্ষ উদ্দীপনার মাধ্যমে, এছাড়াও নারীদের আরো সংবেদনশীল স্নায়ুতন্ত্রের কারণেও আনন্দ আসতে পারে। যদিও, পায়ুসঙ্গম অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পায়ুতে ব্যথাদায়ক, কখনো কখনো এই ব্যথা তীব্রও হতে পারে, এটা প্রাথমিকভাবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে মনস্তাত্ত্বিক কারণে হয়ে থাকে।অন্য সব যৌনক্রিয়ার চেয়ে পায়ুসঙ্গমে যৌনবাহিত রোগ হবার সম্ভাবনা বেশি হয়ে থাকে। পায়ুসঙ্গমকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ যৌনক্রিয়া বলা হয় পায়ুপথের সহজনশ্বরতার জন্য। পায়ুপথে যোনিপথের মত পিচ্ছিলতা না থাকায় পায়ুপথের টিস্যু সহজে ছিঁড়ে যায়, বিশেষ করে তখন যখন পায়ুপথে লুব্রিক্যান্ট না ব্যবহার করা হয়। কনডম ছাড়া পায়ুসঙ্গম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়, এবং সেইজন্যে স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থাসমূহ যেমন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পায়ুসঙ্গম করার ক্ষেত্রে নিরাপদ যৌনতা অবলম্বন করতে বলে।পায়ুসঙ্গম সম্পর্কে প্রায়শঃই শক্ত মতবাদ প্রকাশ করা হয়। বিভিন্ন সংস্কৃতিতে এটি বিতর্কিত বিশেষ করে ধর্মীয় আইনসমূহে। এটা সাধারণত এই কারণে যে পায়ুসঙ্গম বলতে সাধারণত দুইজন পুরুষের যৌনসঙ্গম বোঝায় এবং যৌনতার মূল অর্থ যেখানে শুধুই 'বাচ্চা জন্মদান' এর জন্য - এরকমটা শেখানো হয়। এটাকে ট্যাবু বা অপ্রাকৃতিক বলা হতে পারে, এবং কিছু কিছু রাষ্ট্রে আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ, যেখানে নিতম্বে বেত্রাঘাত কিংবা মৃত্যুদণ্ডের মত বড় ধরণের শাস্তিও দেওয়া হতে পারে। অনেক মানুষ পায়ুসঙ্গমকে প্রাকৃতিক এবং যৌনমিলনের অন্যতম একটি আনন্দদায়ক মাধ্যম হিসেবে মনে করেন। তারা এটাকে তাদের যৌনজীবনের একটি বর্ধিত অংশ হিসেবেও মনে করেন।
ইসলামী যৌন আইনশাস্ত্র বা যৌনতা বিষয়ক ফিকহ হল ইসলামী পারিবারিক আইনশাস্ত্রের একটি অংশ, এর মাধ্যমে সেসব ইসলামী অনুশাসন বোঝায় যার দ্বারা মুসলিমদের যৌনাচার নিয়ন্ত্রিত হবে। এইসব অনুশাসন বহির্ভূত সকল প্রকার যৌনকর্ম ইসলামী মতে নিষিদ্ধ বা হারাম। মানব জীবনের যৌন চাহিদা ইসলাম কর্তৃক স্বীকৃত কিন্তু যৌনাচারের পন্থা সম্পর্কে রয়েছে অনুশাসন।মানুষের বিবিধ যৌনাচার অনুমোদনযোগ্য কিনা তা দুটি প্রপঞ্চের ওপর নির্ভর করে। প্রথমত: যৌনাচারের মূল উদ্দেশ্য বংশবৃদ্ধি এবং দ্বিতীয়ত: নারী ও পুরুষ কেবল রীতিসিদ্ধ উপায়ে বিয়ের মাধ্যমে যৌনাচারের প্রাধিকার অর্জন করে। ইসলামে যৌনতা বিষয়ক নিয়মাবলি ইসলামী প্রধান ধর্মগ্রন্থ কুরআন, ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সঃ)-এর বাণী ও কর্ম যা হাদীস নামে পরিচিত, ইসলামিক নেতৃবৃন্দ কর্তৃক প্রদত্ত ফতোয়া প্রভৃতিতে ব্যাপক ও বিস্তারিত ভাবে বলা হয়েছে, যা নারী ও পুরুষের মাঝে নিয়মতান্ত্রিক যৌন সম্পর্কের মধ্যে সীমিত।। যদিও অধিকাংশ ঐতিহ্য সন্ন্যাসদশা ও কৌমার্যকে নিরুৎসাহিত করে থাকে, তবু সকল ঐতিহ্যেই লিঙ্গসমূহের মধ্যে যে কোন সম্পর্কের ক্ষেত্রে কঠোর সতীত্ব ও শালীনতাকে উৎসাহিত করে, যা এই বিষয়টিকে তুলে ধরে যে, তাদের ইসলাম স্বীকৃত জৈবিক সম্পর্ক জীবনের জন্য একটি পরিবেষ্টনীস্বরূপ এবং যৌন কর্মকাণ্ড থেকেও অনেক বিস্তৃত, যা বিবাহের জন্য ব্যাপকভাবে সংরক্ষিত। বিবাহের বাইরে লিঙ্গ পার্থক্যকরণ ও শালীনতার এই চেতনা ইসলামের বর্তমান পরিচিত বৈশিষ্ট্যের মাঝে দেখতে পাওয়া যায়, যেমন ইসলামী পোশাকের ব্যাখ্যা এবং লিঙ্গ বিভাজনের মূল্যবোধসমুহ।
চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ১৭৯৩ সালে কর্নওয়ালিস প্রশাসন কর্তৃক ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সরকার ও বাংলার ভূমি মালিকদের (সকল শ্রেণির জমিদার ও স্বতন্ত্র তালুকদারদের) মধ্যে সম্পাদিত একটি স্থায়ী চুক্তি। এর প্রবক্তা লর্ড কওঊওয়ালিস। এ চুক্তির আওতায় জমিদার ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় ভূ-সম্পত্তির নিরঙ্কুশ স্বত্বাধিকারী হন। জমির স্বত্বাধিকারী হওয়া ছাড়াও জমিদারগণ স্বত্বাধিকারের সুবিধার সাথে চিরস্থায়ীভাবে অপরিবর্তনীয় এক নির্ধারিত হারের রাজস্বে জমিদারিস্বত্ব লাভ করেন। চুক্তির আওতায় জমিদারদের কাছে সরকারের রাজস্ব-দাবি বৃদ্ধির পথ রুদ্ধ হয়ে গেলেও জমিদারদের তরফ থেকে প্রজাদের ওপর রাজস্বের দাবি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ আরোপিত হয় নি। জমিদারদের জমি বিক্রয়, বন্ধক, দান ইত্যাদি উপায়ে অবাধে হস্তান্তরের অধিকার থাকলেও তাদের প্রজা বা রায়তদের সে অধিকার দেওয়া হয় নি। নিয়মিত খাজনা পরিশোধ সাপেক্ষে উত্তরাধিকারক্রমে জমির মালিক থাকার প্রথাগত অধিকার রায়তদের থাকলেও জমি হস্তান্তরের অধিকার তাদের ছিল না। সরকারের বেলায় জমিদারদের অবশ্য একটি দায়দায়িত্ব কঠোরভাবে পালনীয় ছিল। সেটি হচ্ছে নিয়মিত সরকারের রাজস্ব দাবি পরিশোধ করা। জমিদারগণকে এ মর্মে হুঁশিয়ার করে দেওয়া হয় যে, তাদের কেউ নির্ধারিত তারিখে কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হলে খেলাপি ব্যক্তির সকল জমি বা বকেয়া দাবি পূরণের উপযোগী জমি নিলামে বিক্রয় করা হবে।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (২৬ জুন ১৮৩৮ - ৮ এপ্রিল ১৮৯৪) ছিলেন উনিশ শতকের বাঙালি সাহিত্যিক ও সাংবাদিক। বাংলা গদ্য ও উপন্যাসের বিকাশে তাঁর অসীম অবদানের জন্যে তিনি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অমরত্ব লাভ করেছেন। তাঁকে সাধারণত প্রথম আধুনিক বাংলা ঔপন্যাসিক হিসেবে গণ্য করা হয়। তবে গীতার ব্যাখ্যাদাতা হিসাবে, সাহিত্য সমালোচক হিসাবেও তিনি বিশেষ খ্যাতিমান। তিনি জীবিকাসূত্রে ব্রিটিশ রাজের কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি বাংলা ভাষার আদি সাহিত্যপত্র বঙ্গদর্শনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন। তিনি ছদ্মনাম হিসেবে কমলাকান্ত নামটি বেছে নিয়েছিলেন।
জাতীয় বাজেট বাংলাদেশ সরকার প্রণীত একটি বার্ষিক দলিল যাতে রাষ্ট্রের সাংবাৎসরিক আয়-ব্যয়ের পরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়। বাজেট ইংরেজী শব্দ যার ব্যুৎপত্তিগত অর্থ "থলে" বা ইংরেজীতে Bag। অতীতে থলেতে ভ'রে এটি আইন সভা বা সংসদে আনা হতো বলে এই দলিলটি 'বাজেট' নামে অভিহিত হয়ে আসছে। জাতীয় বাজেটের মূল অংশ দুটি । প্রথম অংশ রাজস্ব আদায় সংক্রান্ত। এই অংশে সরকারের রাজস্ব ব্যবস্থা ও আদায় সংক্রান্ত প্রস্তবসমূহ বিবৃত থাকে দ্বিতীয় অংশে থাকে সরকারী ব্যয়ের প্রস্তাব সমূহ। প্রতি বৎসর একটি আইনপ্রস্তাব বা "বিল" আকারে জাতীয় বাজেট জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়। একে বলা হয় অর্থ বিল। সংসদ সদস্যরা অনুমোদনের পর এটি আইনে পরিণত হয়। বাংলাদেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড রাজস্ব প্রস্তাবসমূহ প্রণয়ন করে এবং অর্থ বিভাগ ব্যয় প্রস্তাবসমূহ প্রণয়ন করে। বাংলাদেশে প্রতি বৎসর জুন মাসে জাতীয় বাজেট প্রণয়ন করা হয় এবং অনুমোদনের পর তা পরবর্তী অর্থবৎসরের জন্য কার্যকর হয়। । দেশের অর্থ মন্ত্রী জাতীয় সংসদের অর্থ বিল পেশ করেন।
একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের রেকর্ড তালিকা
একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলগুলো একে-অপরের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিপ্ত হয়। দলগুলো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের পূর্ণাঙ্গ সদস্য, শীর্ষ ছয় সহযোগী সদস্য ও অনুমোদিত সদস্য। একদিনের ক্রিকেটে প্রতিটি দল নির্দিষ্টসংখ্যক ওভার নিয়ে গড়া এক ইনিংস খেলে। সীমিত ওভারের খেলায় অতীতে ৫৫ কিংবা ৬০ ওভার নির্ধারণ করা ছিল যা বর্তমানে ৫০ ওভারের মানদণ্ডে উপনীত হয়েছে। ওডিআই ক্রিকেট হচ্ছে লিস্ট-এ ক্রিকেট। তাই, ওডিআই পরিসংখ্যান ও রেকর্ড লিস্ট-এ রেকর্ডের পাশাপাশি গণনা করা হয়ে থাকে। প্রারম্ভিক খেলা হিসেবে ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার জানুয়ারি, ১৯৭১ সালে অনুষ্ঠিত একদিনের খেলাটি স্বীকৃত হয়ে আসছে। এরপর থেকে ২৫ দলের মধ্যে তিন সহস্রাধিক ওডিআই অনুষ্ঠিত হয়েছে। দল সংখ্যা বৃদ্ধি পাবার ফলে খেলার সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর ক্রিকেট বোর্ডগুলো সর্বাধিক রাজস্ব আহরণ করছে।
সুন্দরবন হলো বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রশস্ত বনভূমি যা বিশ্বের প্রাকৃতিক বিস্ময়াবলীর অন্যতম। গঙ্গা, মেঘনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীত্রয়ের অববাহিকার বদ্বীপ এলাকায় অবস্থিত এই অপরূপ বনভূমি বাংলাদেশের খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলা এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দুই জেলা উত্তর চব্বিশ পরগনা ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জুড়ে বিস্তৃত। সমুদ্র উপকূলবর্তী নোনা পরিবেশের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন হিসেবে সুন্দরবন বিশ্বের সর্ববৃহৎ অখণ্ড বনভূমি।। ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে গড়ে ওঠা সুন্দরবনের ৬,০১৭ বর্গ কিলোমিটার রয়েছে বাংলাদেশে এবং বাকি অংশ রয়েছে ভারতের মধ্যে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টিকর্ম
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টিকর্ম তাঁর রচিত কাব্য, উপন্যাস, ছোটোগল্প, নাট্যসাহিত্য, প্রবন্ধ, চিত্রকলা ও সঙ্গীতের মধ্যে ছড়িয়ে আছে।
বাংলা ভাষা আন্দোলন ছিল ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৬ পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব বাংলায় (বর্তমান বাংলাদেশে) সংঘটিত একটি সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন। মৌলিক অধিকার রক্ষাকল্পে বাংলা ভাষাকে ঘিরে সৃষ্ট এ আন্দোলনের মাধ্যমে তদানীন্তন পাকিস্তান অধিরাজ্যের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণদাবীর বহিঃপ্রকাশ ঘটে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে এ আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ ধারণ করলেও বস্তুত এর বীজ রোপিত হয়েছিল বহু আগে, অন্যদিকে এর প্রতিক্রিয়া এবং ফলাফল ছিল সুদূরপ্রসারী। ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ব্রিটিশ ভারত ভাগ হয়ে পাকিস্তান অধিরাজ্য ও ভারত অধিরাজ্য নামক দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের উদ্ভব হয়। পাকিস্তানের ছিল দু’টি অংশ: পূর্ব বাংলা (১৯৫৫ সালে পুনর্নামাঙ্কিত পূর্ব পাকিস্তান) ও পশ্চিম পাকিস্তান। প্রায় দুই হাজার কিলোমিটারের অধিক দূরত্বের ব্যবধানে অবস্থিত পাকিস্তানের দুটি অংশের মধ্যে সাংস্কৃতিক, ভৌগোলিক ও ভাষাগত দিক থেকে অনেকগুলো মৌলিক পার্থক্য বিরাজমান ছিল। ১৯৪৮ সালে পাকিস্তান অধিরাজ্য সরকার ঘোষণা করে যে, উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। এ ঘোষণার প্রেক্ষাপটে পূর্ব বাংলায় অবস্থানকারী বাংলাভাষী সাধারণ জনগণের মধ্যে গভীর ক্ষোভের জন্ম হয় ও বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। কার্যতঃ পূর্ব বাংলার বাংলাভাষী মানুষ আকস্মিক ও অন্যায্য এ সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারেনি এবং মানসিকভাবে মোটেও প্রস্তুত ছিল না। ফলস্বরূপ বাংলাভাষার সম-মর্যাদার দাবিতে পূর্ব বাংলায় আন্দোলন দ্রুত দানা বেঁধে ওঠে। আন্দোলন দমনে পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করে ঢাকা শহরে মিছিল, সমাবেশ ইত্যাদি বেআইনি ও নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি (৮ ফাল্গুন ১৩৫৮) এ আদেশ অমান্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু সংখ্যক ছাত্র ও প্রগতিশীল কিছু রাজনৈতিক কর্মী মিলে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের কাছাকাছি এলে পুলিশ ১৪৪ ধারা অবমাননার অজুহাতে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। গুলিতে নিহত হন বাদামতলী কমার্শিয়াল প্রেসের মালিকের ছেলে রফিক, সালাম, এম. এ.
হস্তমৈথুন বা স্বমেহন (Masturbation) একরূপ যৌনক্রিয়া যাতে একজন ব্যক্তি কোনো সঙ্গী বা সঙ্গিনীর অংশগ্রহণ ব্যতিরেকেই যৌনসুখ অর্জনের চেষ্টা করে। আত্মমৈথুন ও স্বকাম এর সমার্থক শব্দ। এ যৌনক্রিয়াই প্রধানত হাতের সাহায্যে পুরুষ তার লিঙ্গ এবং নারী তার যোনী ঘর্ষণ করে বলে একে সচরাচর হস্তমৈথুন হিসেবেও উল্লেখ করা হয়ে থাকে।
লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড (ইংরেজি: Lord's Cricket Ground) সচরাচর লর্ডস নামেই ক্রিকেট বিশ্বে সমধিক পরিচিত। লন্ডনের সেন্ট জন’স উড এলাকায় অবস্থিত একটি আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট মাঠ। মাঠটি যুক্তরাজ্যের সর্ববৃহৎ ক্রিকেট মাঠ; এর পরের অবস্থানেই রয়েছে এজবাস্টন। মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব বা এমসিসি’র স্বত্ত্বাধিকারী ও মাঠের প্রতিষ্ঠাতা টমাস লর্ডের নামানুসারে এ মাঠের নামকরণ করা হয়েছে। মিডলসেক্স কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব, ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি), ইউরোপীয় ক্রিকেট কাউন্সিলের (ইসিসি) সদর দফতর এখানেই অবস্থিত। আগস্ট, ২০০৫ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সদর দফতর এখানে ছিল। বৈশ্বিকভাবে লর্ডসকে ক্রিকেটের আবাসভূমি নামে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। এছাড়াও, বিশ্বের প্রাচীনতম ক্রীড়া যাদুঘরের কেন্দ্রস্থল এটি। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ১০টি ফাইনাল খেলা পৃথবীর বিভিন্ন দেশের সাতটি মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তন্মধ্যে, লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড একমাত্র স্টেডিয়াম হিসেবে ১৯৭৫, ১৯৭৯, ১৯৮৩ ও ১৯৯৯ - চারবার ফাইনাল খেলা আয়োজন করেছে।
ছয় দফা আন্দোলন বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা। ১৯৬৬ সালের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর এক সম্মেলনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে “৬ দফা দাবি” পেশ করেন। আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দফা উত্থাপন করা হয় লাহোর প্রস্তাবের সাথে মিল রেখে ২৩ মার্চ।
যুক্তরাজ্য (ইংরেজি: United Kingdom ইউনাইটেড্ কিংডম্) ইউরোপীয় মূল ভূখণ্ডের উত্তর-পশ্চিম উপকূলের সন্নিকটে অবস্থিত একটি স্বাধীন দ্বীপরাষ্ট্র। রাষ্ট্রটির সরকারি নাম হল গ্রেইট ব্রিটেন এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের যুক্তরাজ্য (ইংরেজি: The United Kingdom of Great Britain and Northern Ireland)। রাষ্ট্রটি চারটি সাংবিধানিক রাষ্ট্র: ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েল্স্ এবং উত্তর আয়ারল্যান্ড-এর সমন্বয়ে গঠিত।
কলকাতা ([kolkata] (শুনুন) ইংরেজি: Kolkata; আদি নাম: কলিকাতা; পুরনো ইংরেজি নাম: Calcutta) হল ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর এবং ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী। কলকাতা শহরটি হুগলি নদীর পূর্ব পাড়ে অবস্থিত। এই শহর পূর্ব ভারতের শিক্ষা, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির প্রধান কেন্দ্র। কলকাতা বন্দর ভারতের প্রাচীনতম সচল বন্দর তথা দেশের প্রধান নদী বন্দর। ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, কলকাতার জনসংখ্যা ৪,৪৯৬,৬৯৪। জনসংখ্যার হিসেবে এটি ভারতের ৭ম সর্বাধিক জনবহুল পৌর-এলাকা। অন্যদিকে বৃহত্তর কলকাতার জনসংখ্যা ১৪,১১২,৫৩৬। জনসংখ্যার হিসেবে বৃহত্তর কলকাতা ভারতের ৩য় সর্বাধিক জনবহুল মহানগরীয় অঞ্চল। বৃহত্তর কলকাতার সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সূচক (আনুমানিক) ৬০ থেকে ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যবর্তী (ক্রয়ক্ষমতা সমতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জিডিপি অনুযায়ী)। এই সূচক অনুযায়ী ভারতে কলকাতার স্থান মুম্বই ও নতুন দিল্লির ঠিক পরেই।সুতানুটি, ডিহি কলকাতা ও গোবিন্দপুর নামে তিনটি গ্রাম নিয়ে মূল কলকাতা শহরটি গড়ে ওঠে। ১৭শ শতাব্দীর শেষভাগ পর্যন্ত এই গ্রামগুলির শাসনকর্তা ছিলেন মুঘল সম্রাটের অধীনস্থ বাংলার নবাবেরা। ১৬৯০ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি নবাবের কাছ থেকে বাংলায় বাণিজ্য সনদ লাভ করে। এরপর কোম্পানি কলকাতায় একটি দুর্গবেষ্টিত বাণিজ্যকুঠি গড়ে তোলে। ১৭৫৬ সালে নবাব সিরাজদ্দৌলা কলকাতা জয় করেছিলেন। কিন্তু পরের বছরই কোম্পানি আবার শহরটি দখল করে নেয়। এর কয়েক দশকের মধ্যেই কোম্পানি বাংলায় যথেষ্ট প্রতিপত্তি অর্জন করে এবং ১৭৯৩ সালে ‘নিজামৎ’ বা স্থানীয় শাসনের অবলুপ্তি ঘটিয়ে এই অঞ্চলে পূর্ণ সার্বভৌমত্ব কায়েম করে। কোম্পানির শাসনকালে এবং ব্রিটিশ রাজশক্তির প্রত্যক্ষ শাসনকালের প্রথমার্ধ্বে কলকাতা ছিল ভারতের ব্রিটিশ-অধিকৃত অঞ্চলগুলির রাজধানী। ১৯শ শতাব্দীর শেষ ভাগ থেকেই কলকাতা ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্র। ১৯১১ সালে ভারতের মতো একটি বৃহৎ রাষ্ট্র শাসনে ভৌগোলিক অসুবিধার কথা চিন্তা করে এবং বেঙ্গল প্রেসিডেন্সিতে ক্রমবর্ধমান জাতীয়তাবাদী কার্যকলাপের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের রাজধানী স্থানান্তরিত হয় নতুন দিল্লিতে। স্বাধীনতার পর কলকাতা পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য রাজনীতির প্রাণকেন্দ্র হয়ে দাঁড়ায়। ব্রিটিশ আমলে কলকাতা ছিল আধুনিক ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থা, বিজ্ঞানচর্চা এবং সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনের প্রধান কেন্দ্র। কিন্তু স্বাধীনতার পরবর্তী দশকগুলিতে কলকাতা এক অর্থনৈতিক স্থবিরতার সম্মুখীন হয়।
বাংলাদেশের মন্ত্রিসভা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নির্বাহী বিভাগের প্রধান প্রতিষ্ঠান। আইনসভায় প্রণীত আইনের আলোকে মন্ত্রিসভা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকারের নীতি ও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে এবং সম্পাদিত কার্যাবলীর জন্য সম্মিলিতভাবে জাতীয় সংসদের নিকট দায়বদ্ধ থাকে। বাংলাদেশের সংবিধানের ৭০নং অনুচ্ছেদ প্রধানমন্ত্রীর হাতে অনিয়ন্ত্রণীয় অপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতা ন্যস্ত করেছে বলে সমালোচনা রয়েছে।বাংলাদেশের বিশতম মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যতীত মন্ত্রিসভার পূর্ণ মন্ত্রী ২৪ জন, প্রতিমন্ত্রী ১৯ জন ও উপমন্ত্রী হলেন ৩ জন। ৩০শে ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ৬ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত মন্ত্রিসভার মন্ত্রীদের নাম ঘোষণা করে। ৭ জানুয়ারি নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যগণ শপথ নেন।
আয়াতুল কুরসী (আরবি: آية الكرسي) হচ্ছে মুসলমানদের ধর্মীয়গ্রন্থ কোরআন শরীফের দ্বিতীয় সুরা আল বাকারার ২৫৫তম আয়াত। এটি কোরআন শরীফের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ আয়াত এবং ইসলামিক বিশ্বে ব্যাপকভাবে পঠিত ও মুখস্থ করা হয়। এতে সমগ্র মহাবিশ্বের উপর আল্লাহর জোরালো ক্ষমতা ঘোষণা করা হয়েছে। মুসলমানগণ বিশ্বাস করে যে এটি পাঠ করলে অসংখ্য পূণ্য লাভ হয়।
সত্যজিৎ রায় (উচ্চারণ) ; (২ মে, ১৯২১ – ২৩ এপ্রিল, ১৯৯২) একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা, চিত্রনাট্যকার, শিল্প নির্দেশক, সঙ্গীত পরিচালক এবং লেখক যিনি বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের একজন হিসেবে বিবেচিত। সত্যজিতের জন্ম কলকাতা শহরে সাহিত্য ও শিল্প সমাজে খ্যাতনামা রায় পরিবারে। তাঁর পূর্বপুরুষের ভিটা ছিল তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের কিশোরগঞ্জে (বর্তমানে বাংলাদেশ) কটিয়াদী উপজেলার মসূয়া গ্রামে। তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ ও শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। সত্যজিতের কর্মজীবন একজন বাণিজ্যিক চিত্রকর হিসেবে শুরু হলেও প্রথমে কলকাতায় ফরাসি চলচ্চিত্র নির্মাতা জঁ রনোয়ারের সাথে সাক্ষাৎ ও পরে লন্ডন শহরে সফররত অবস্থায় ইতালীয় নব্য বাস্তবতাবাদী চলচ্চিত্র লাদ্রি দি বিচিক্লেত্তে (ইতালীয়: Ladri di biciclette, বাইসাইকেল চোর) দেখার পর তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণে উদ্বুদ্ধ হন।
পূর্ণিমা (জন্ম: ১১ জুলাই, ১৯৮১) হলেন একজন বাংলাদেশী অভিনেত্রী। পূর্ণিমার চলচ্চিত্র জগতে পথচলা শুরু হয়েছিল জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত এ জীবন তোমার আমার ছবির মাধ্যমে। কাজী হায়াৎ পরিচালিত ওরা আমাকে ভাল হতে দিল না (২০১০) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে তিনি তার প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।পূর্ণিমা অভিনীত জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে এফ আই মানিক পরিচালিত অপরাধ-নাট্যধর্মী লাল দরিয়া (২০০২), মতিউর রহমান পানু পরিচালিত প্রণয়ধর্মী মনের মাঝে তুমি (২০০৩), চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত যুদ্ধভিত্তিক মেঘের পরে মেঘ (২০০৪) ও নাট্যধর্মী সুভা, এবং এস এ হক অলিক পরিচালিত প্রণয়ধর্মী হৃদয়ের কথা (২০০৬) ও আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা (২০০৮)। চলচ্চিত্রে পূর্ণিমার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় রিয়াজের বিপরীতে। রিয়াজের বিপরীতেই ২৫টির বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
মহাদেশ বলতে পৃথিবীর বড় ভূখণ্ডসমূহকে বুঝায়। পৃথিবীতে ৭ টি মহাদেশ রয়েছে। মহাদেশসমূহ হল এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, এন্টার্কটিকা, ও অস্ট্রেলিয়া।দ্বীপসমূহকে পার্শ্ববর্তী মহাদেশের অন্তর্গত হিসেবে ধরা হয়। এর ফলে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপসমূহকে অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত করে নতুন ভূ-রাজনৈতিক অঞ্চল ওশেনিয়া সৃষ্টি করা হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ এশিয়ার রাষ্ট্র বাংলাদেশের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। প্রশাসনিকভাবে এটি দেশটির ঢাকা বিভাগের প্রধান শহর। ভৌগোলিকভাবে এটি বাংলাদেশের মধ্যভাগে বুড়িগঙ্গা নদীর উত্তর তীরে একটি সমতল এলাকাতে অবস্থিত। ঢাকা একটি অতিমহানগরী (মেগাশহর); ঢাকা মহানগরী এলাকার জনসংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ। জনসংখ্যার বিচারে এটি দক্ষিণ এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম শহর (দিল্লি, করাচি ও মুম্বইয়ের পরেই) এবং সমগ্র বিশ্বের নবম বৃহত্তম শহর। জনঘনত্বের বিচারে ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ মহানগরী; ১৩৪ বর্গমাইল আয়তনের এই শহরে প্রতি বর্গমাইল এলাকায় ১ লক্ষ ১৫ হাজার লোকের বাস।ঢাকা শহরটি "মসজিদের শহর" নামেও পরিচিত। এখানে ৭০০-রও বেশি মসজিদ আছে। এছাড়া ঢাকা "বিশ্বের রিকশা রাজধানী" নামেও পরিচিত। এই শহরে রোজ প্রায় ৪০০,০০০ থেকে ৪৫০,০০০টি রিকশা চলাচল করে। বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রধান সংস্কৃতি, শিক্ষা ও বাণিজ্যকেন্দ্র।ঢাকা শহরের জলবায়ু ক্রান্তীয় আর্দ্র ও শুষ্ক প্রকৃতির। গড় তাপমাত্রা এপ্রিল মাসে সর্বোচ্চ প্রায় ৩৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং জানুয়ারি মাসে সর্বনিম্ন প্রায় ১৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। মে মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ঢাকা শহরে বর্ষাকাল, সেসময় প্রতি মাসে গড়ে ৩০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়।সপ্তদশ শতাব্দীতে পুরানো ঢাকা মুঘল সাম্রাজ্যের সুবহে বাংলা (বাংলা প্রদেশ) এর প্রাদেশিক রাজধানী ছিলো। মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের শাসনামলে এই শহর জাহাঙ্গীর নগর নামে পরিচিত ছিলো। বিশ্বব্যাপী মসলিন বাণিজ্যের একটি কেন্দ্র ছিলো ঢাকা এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীগণ এখানে বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে আসতেন। ঢাকাতে বিশ্বের সেরা মসলিন কাপড় উৎপাদিত হতো। যদিও আধুনিক ঢাকা শহরের বিকাশ ঘটে ঊনবিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ শাসন আমলে, এই সময় নবাবগণ ঢাকা শাসন করতেন। এই সময় কলকাতার পরেই ঢাকা বাংলা প্রেসিডেন্সির দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী হয়ে ওঠে। ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের পরে ঢাকা নবগঠিত পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশের রাজধানী হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পরে ঢাকা পূর্ব পাকিস্তানের প্রশাসনিক রাজধানীতে পরিণত হয়। ১৯৫০-৬০ সালের মধ্যে এই শহর বিভিন্ন সামাজিক, জাতীয়তাবাদী ও গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে। ১৯৭১ সালে ঢাকা স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের রাজধানী ঘোষিত হয়। ইতিপূর্বে সামরিক আইন বলবৎ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা, সামরিক দমন, যুদ্ধ ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের তাণ্ডবলীলার মতো একাধিক অস্থির ঘটনার সাক্ষী হয় এই শহর।
জীবনানন্দ দাশ () (১৭ ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৯ - ২২ অক্টোবর, ১৯৫৪; ৬ ফাল্গুন, ১৩০৫ - ৫ কার্তিক, ১৩৬১ বঙ্গাব্দ) ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান আধুনিক বাঙালি কবি, লেখক ও প্রাবন্ধিক। তিনি বাংলা কাব্যে আধুনিকতার পথিকৃতদের মধ্যে অন্যতম। জীবনানন্দের প্রথম কাব্যে নজরুল ইসলামের প্রভাব থাকলেও দ্বিতীয় কাব্য থেকেই তিনি হয়ে ওঠেন মৌলিক ও ভিন্ন পথের অনুসন্ধানী। মৃত্যুর পর থেকে শুরু করে বিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে তিনি জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেন এবং ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে যখন তার জন্মশতবার্ষিকী পালিত হচ্ছিল ততদিনে তিনি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় কবিতে পরিণত হয়েছেন।গ্রামবাংলার ঐতিহ্যময় নিসর্গ ও রূপকথা-পুরাণের জগৎ জীবনানন্দের কাব্যে হয়ে উঠেছে চিত্ররূপময়, তাতে তিনি ‘রূপসী বাংলার কবি’ অভিধায় খ্যাত হয়েছেন। বুদ্ধদেব বসু তাঁকে নির্জনতম কবি বলে আখ্যায়িত করেছেন। আবদুল মান্নান সৈয়দ তাঁকে শুদ্ধতম কবি বলেছেন। সমালোচকদের অনেকে তাঁকে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল-পরবর্তী বাংলা সাহিত্যের প্রধান কবি বলে মনে করেন। জীবনানন্দের বনলতা সেন কাব্যগ্রন্থ নিখিলবঙ্গ রবীন্দ্রসাহিত্য সম্মেলনে পুরস্কৃত (১৯৫৩) হয়। ১৯৫৫ সালে শ্রেষ্ঠ কবিতা গ্রন্থটি ভারত সরকারের সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার লাভ করে। জীবনানন্দ দাশের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থগুলোর মাঝে রয়েছে রূপসী বাংলা, বনলতা সেন, মহাপৃথিবী, বেলা অবেলা কালবেলা, শ্রেষ্ঠ কবিতা ইত্যাদি।
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উপর নির্মাণাধীন একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। এর মাধ্যমে লৌহজং, মুন্সিগঞ্জের সাথে শরিয়তপুর ও মাদারীপুর যুক্ত হবে, ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সাথে উত্তর-পূর্ব অংশের সংযোগ ঘটবে। বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশের জন্য পদ্মা সেতু হতে যাচ্ছে এর ইতিহাসের একটি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং নির্মাণ প্রকল্প। দুই স্তর বিশিষ্ট ষ্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাস ব্রিজটির (truss bridge) ওপরের স্তরে থাকবে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরটিতে থাকবে একটি একক রেলপথ। পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর আববাহিকায় ১৫০মিটার দৈর্ঘ্যর ৪১টি স্পান বসবে , ৬,১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৮.১০ মিটার প্রস্থ পরিকল্পনায় নির্মিত হচ্ছে দেশটির সবচে বড় সেতু। সরকারের পরিকল্পনামাফিক ২০১৮ সালের শেষের দিকে এটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার কথা থাকলেও তা হয় নি।প্রকল্পটি তিনটি জেলাকে অন্তর্ভুক্ত করবে- মুন্সীগঞ্জ (মাওয়া পয়েন্ট / উত্তর পাড়), শরীয়তপুর এবং মাদারীপুর (জঞ্জিরা / দক্ষিণ পাড়)। এটির জন্য প্রয়োজনীয় এবং অধিগ্রহণকৃত মোট জমির পরিমাণ ৯১৮ হেক্টর। নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় জমি ভাড়ার ভিত্তিতে আগামী ছয় বছরে অধিযাচন করা হবে।
অর্থনীতি বা অর্থশাস্ত্র সামাজিক বিজ্ঞান-এর একটি শাখা যা পণ্য এবং কৃত্যের উৎপাদন, সরবরাহ, বিনিময়, বিতরণ এবং ভোগ ও ভোক্তার আচরণ নিয়ে আলোচনা করে থাকে৷ সম্পদ সীমিত কিন্তু চাহিদা অফুরন্ত– এই মৌলিক পরিপ্রেক্ষিতে সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা অর্থনীতির প্রধান উদ্দেশ্য৷ অর্থনীতি শব্দটি ইংরেজি 'Economics' শব্দের প্রতিশব্দ। Economics শব্দটি গ্রিক শব্দ 'Oikonomia' থেকে উদ্ভূত যার অর্থ গৃহস্থালী পরিচালনা।
বাংলা ভাষায় রচিত সাহিত্যকর্ম বাংলা সাহিত্য নামে পরিচিত। আনুমানিক খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীর মাঝামাঝি বাংলা ভাষায় সাহিত্য রচনার সূত্রপাত হয়। খ্রিষ্টীয় দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে রচিত বৌদ্ধ দোহা-সংকলন চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন। আবিষ্কারক হরপ্রসাদ শাস্ত্রী আরও তিনটি গ্রন্থের সঙ্গে চর্যাগানগুলি নিয়ে সম্পাদিত গ্রন্থের নাম দেন " হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় রচিত বৌদ্ধ গান ও দোহা "। মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্য ছিল কাব্যপ্রধান। হিন্দুধর্ম, ইসলাম ও বাংলার লৌকিক ধর্মবিশ্বাসগুলিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল এই সময়কার বাংলা সাহিত্য। মঙ্গলকাব্য, বৈষ্ণব পদাবলি, শাক্তপদাবলি, বৈষ্ণব সন্তজীবনী, রামায়ণ, মহাভারত ও ভাগবতের বঙ্গানুবাদ, পীরসাহিত্য, নাথসাহিত্য, বাউল পদাবলি এবং ইসলামি ধর্মসাহিত্য ছিল এই সাহিত্যের মূল বিষয়। বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতার সূত্রপাত হয় খ্রিষ্টীয় অষ্টাদশ শতাব্দীতে। ঊনবিংশ শতাব্দীতে বাংলার নবজাগরণের যুগে কলকাতা শহরকে কেন্দ্র করে বাংলা সাহিত্যে এক নতুন যুগের সূচনা হয়। এই সময় থেকে ধর্মীয় বিষয়বস্তুর বদলে মানুষ, মানবতাবাদ ও মানব-মনস্তত্ত্ব বাংলা সাহিত্যের প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে ওঠে। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর বাংলা সাহিত্যও দুটি ধারায় বিভক্ত হয়: কলকাতা-কেন্দ্রিক পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্য ও ঢাকা-কেন্দ্রিক বাংলাদেশের সাহিত্য। বর্তমানে বাংলা সাহিত্য বিশ্বের একটি অন্যতম, সমৃদ্ধ সাহিত্যধারা হিসেবে পরিগণিত হয়ে থাকে।
উইকিপিডিয়ার অ-বিশ্বকোষীয় পরিদর্শক পরিচিতির জন্য, দেখুন উইকিপিডিয়া:বৃত্তান্ত।উইকিপিডিয়া একটি সম্মিলিতভাবে সম্পাদিত, বহুভাষিক, মুক্ত প্রবেশাধিকার, মুক্ত কন্টেন্ট সংযুক্ত একটি ইন্টারনেট বিশ্বকোষ, যা অলাভজনক উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন কর্তৃক সমর্থিত, আয়োজিত এবং পরিচালিত। স্বেচ্ছাসেবীরা বিশ্বব্যাপী সম্মিলিতভাবে ৩০১টি ভাষার উইকিপিডিয়ায় প্রায় ৪০ মিলিয়ন নিবন্ধ রচনা করেছেন, যার মধ্যে শুধু ইংরেজি উইকিপিডিয়ায় রয়েছে ৫৭ লক্ষের অধিক নিবন্ধ। যে কেউ ওয়েবসাইটে প্রবেশের মাধ্যমে যে কোনো নিবন্ধের সম্পাদনা করতে পারেন, যা সম্মিলিতভাবে ইন্টারনেটের সর্ববৃহৎ এবং সর্বাধিক জনপ্রিয় সাধারণ তথ্যসূত্রের ঘাটতি পূরণ করে থাকে। ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সালে, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায় উইকিপিডিয়া সব ওয়েবসাইটের মধ্যে বিশ্বব্যাপী পঞ্চম স্থানে অবস্থান করছে, "মাসিক প্রায় ১৮ বিলিয়ন পৃষ্ঠা প্রদর্শন এবং প্রায় ৫০০ মিলিয়ন স্বতন্ত্র পরিদর্শক নিয়ে..., উইকিপিডিয়ায় ইয়াহু, ফেসবুক, মাইক্রোসফট এবং গুগলের পথানুসরণ করে, সর্বাধিক ১.২ বিলিয়ন স্বতন্ত্র পরিদর্শক রয়েছে।"জানুয়ারি ১৫, ২০০১ সালে জিমি ওয়েলস এবং ল্যারি স্যাঙ্গার উইকিপিডিয়া চালু করেন, পরবর্তীতে এর নাম তৈরি করেন, একটি পিন্ডারিশব্দে উইকি (এটি সম্মিলিত ওয়েবসাইটের এক প্রকার নাম, হাওয়াইয়ান ভাষায় "হাঁটা") এবং বিশ্বকোষ। 'উইকি উইকি' মানে দাঁড়িয়ে ছোট-ছোট পায়ে হাঁটা। উইকি ওয়েব সংস্কৃতিতে সবার ছোট-ছোট অবদান যুক্ত হয়েই এই সাইটটির মত ক্রমবর্ধমান সংগ্রহ গড়ে ওঠে। বর্তমানে এটি সব থেকে বড় এবং সর্বাধিক জনপ্রিয় ইন্টারনেট ভিত্তিক তথ্যসূত্র হিসাবে ব্যবহার হয়।২০০৬ সালে, টাইম ম্যাগাজিন স্বীকৃত দেয় যে, উইকিপিডিয়ায় (ইউটিউব, রেডিট, মাইস্পেস, এবং ফেসবুক-এর পাশাপাশি) বিশ্বব্যাপী লাখ-লাখ মানুষের অংশগ্রহণে অনলাইন সহযোগিতা ও মিথষ্ক্রিয়া দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও উইকিপিডিয়া নিবন্ধের তাৎক্ষনিক খবর সংক্রান্ত দ্রুত হালনাগাদের কারণে এটি একটি সংবাদ সূত্র হিসেবেও খ্যাতি অর্জন করেছে।উইকিপিডিয়া ওয়েবসাইট উন্মুক্ত প্রকৃতির হওয়ায় এখানে লেখার মান, ধ্বংসপ্রবণতা এবং তথ্যের নির্ভুলতা রক্ষা করতে বিভিন্ন উদ্যোগ পরিচালিত হয়ে থাকে। তবে, কিছু নিবন্ধে অপরিক্ষীত বা অযাচাইকৃত বা অসঙ্গত তথ্য থাকতে পারে।
জাতিসংঘ (অপর নাম: রাষ্ট্রসঙ্ঘ) বিশ্বের জাতিসমূহের একটি সংগঠন, যার লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আইন, নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক অগ্রগতি এবং মানবাধিকার বিষয়ে পারষ্পরিক সহযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করা। ১৯৪৫ সালে ৫১টি রাষ্ট্র জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রসঙ্ঘ সনদ স্বাক্ষর করার মাধ্যমে জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রসঙ্ঘ প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং পরবর্তীতে লুপ্ত লীগ অব নেশন্সের স্থলাভিষিক্ত হয়।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। এটি একটি লিখিত দলিল। ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের ৪ঠা নভেম্বর তারিখে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে এই সংবিধান গৃহীত হয় এবং একই বছরের ১৬ই ডিসেম্বর অর্থাৎ বাংলাদেশের বিজয় দিবসের প্রথম বার্ষিকী হতে এটি কার্যকর হয়। মূল সংবিধান ইংরেজি ভাষায় রচিত হয় এবং একে বাংলায় অনুবাদ করা হয়। তাই এটি বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় বিদ্যমান। তবে ইংরেজী ও বাংলার মধ্যে অর্থগত বিরোধ দৃশ্যমান হলে বাংলা রূপ অনুসরণীয় হবে।১০ই এপ্রিল ২০১৮ সালের সপ্তদশ সংশোধনী সহ বাংলাদেশের সংবিধান সর্বমোট ১৭ বার সংশোধীত হয়েছে। এই সংবিধান সংশোধনের জন্য জাতীয় সংসদের সদস্যদের মোট সংখ্যার দুই তৃতীয়াংশ ভোটের প্রয়োজন হয়। তবে পঞ্চম সংশোধনী , সপ্তম সংশোধনী , ত্রয়োদশ সংশোধনী ও পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের আদেশে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট রায় দিয়েছে যে, সংবিধানের মূল কাঠামো পরিবর্তন হয়ে যায় এরূপ কোনো সংশোধনী এতে আনা যাবে না; আনা হলে তা হবে এখতিয়ার বহির্ভূত।বাংলাদেশের সংবিধান কেবল বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইনই নয়;- সংবিধানে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের মূল চরিত্র বর্ণিত রয়েছে। এতে বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমারেখা বিধৃত আছে। দেশটি হবে প্রজাতান্ত্রিক, গণতন্ত্র হবে এদেশের প্রশাসনিক ভিত্তি, জনগণ হবে সকল ক্ষমতার উৎস এবং বিচার বিভাগ হবে স্বাধীন। জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস হলেও দেশ আইন দ্বারা পরিচালিত হবে। সংবিধানে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা -কে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।
এই নিবন্ধটি ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পূর্ববর্তী ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাস-সম্পর্কিত। ১৯৪৭-পরবর্তী ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের ইতিহাস জানতে হলে দেখুন ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের ইতিহাস নিবন্ধটি। এছাড়া পাকিস্তান বা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ইতিহাস জানতে হলে দেখুন যথাক্রমে পাকিস্তানের ইতিহাস ও বাংলাদেশের ইতিহাস। দক্ষিণ ভারত, অবিভক্ত বাংলা ও পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাস জানতে হলে দেখুন যথাক্রমে দক্ষিণ ভারতের ইতিহাস, বাংলার ইতিহাস ও পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাস।ভারতের ইতিহাস বলতে মূলত খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় সহস্রাব্দ থেকে খ্রিষ্টীয় বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত, ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন -মধ্যযুগীয় ও প্রাক-আধুনিক কালের ইতিহাসকেই বোঝানো হয়। খ্রিষ্টের জন্মের প্রায় দশ লক্ষ(?) বছর আগে উক্ত ভূখণ্ডে প্রথম মানববসতি গড়ে উঠতে দেখা যায়। তবে ভারতের জ্ঞাত ইতিহাসের সূচনা হয় ৩৩০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ থেকে ১৩০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সিন্ধু সভ্যতার উন্মেষ ও প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে। পরবর্তী হরপ্পা যুগের সময়কাল ২৬০০ – ১৯০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দের সূচনায় এই ব্রোঞ্জযুগীয় সভ্যতার পতন ঘটে। সূচনা হয় লৌহ-নির্ভর বৈদিক যুগের। এই যুগেই সমগ্র গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলে মহাজনপদ নামে পরিচিত ১৬টি প্রধান প্রধান রাজ্য-তথা-জনবসতির উত্থান ঘটে। এই জনপদগুলির অধিকাংশই রাজতান্ত্রিক হলেও এদের মধ্যে "লিচ্ছিবি" ছিল গণতান্ত্রিক। এই জনপদের মধ্যে অন্যতম ছিল মগধ।খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে মগধে জন্মগ্রহণ করেন মহাবীর ও গৌতম বুদ্ধ; পরবর্তীকালে যাঁরা ভারতের জনসাধারণের মধ্যে শ্রমণ ধর্মদর্শন প্রচার করেন।
ইংরেজি বা ইংরাজি (English) ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাপরিবারের জার্মানীয় শাখার পশ্চিম দলের একটি ভাষা। উৎসবিচারে ইংরেজি ভাষাটির সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ভাষাটি হল ফ্রিজীয় ভাষা। এছাড়া এটির সাথে ওলন্দাজ ভাষা, ফ্লেমিশ ভাষা (বেলজিয়ামে প্রচলিত ওলন্দাজ ভাষার উপভাষা) ও নিম্ন জার্মান উপভাষাগুলির সম্পর্ক আছে। উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের গ্রেট ব্রিটেন দ্বীপের দক্ষিণাংশে অবস্থিত ইংল্যান্ড নামক দেশটিতে খ্রিস্টীয় আনুমানিক ৬ষ্ঠ শতকে ইংরেজি ভাষার জন্ম হয়। বর্তমানে এটি যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং ক্যারিবীয় সাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরে ছড়িয়ে থাকা অনেক দ্বীপরাষ্ট্রের প্রধান ভাষা। ইংরেজি প্রায় ৩৮ কোটি মানুষের মুখের মাতৃভাষা। মাতৃভাষাভাষীর সংখ্যার বিচারে এর অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়।
মোহাম্মদ মুশফিকুর রহিম (জন্ম: ৯ জুন, ১৯৮৭) একজন বাংলাদেশী ক্রিকেটার এবং বাংলাদেশ জাতীয় দলের টেস্ট খেলায় অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। সেপ্টেম্বর ২০১১ থেকে রহিম জাতীয় দলের অধিনায়ক নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক।মূলত তিনি একজন উইকেট-রক্ষক এবং মাঝারি সারির ব্যাটসম্যান। ছোটখাটো গড়নের এই সদা হাস্যোজ্জ্বল খেলোয়াড়টি স্ট্যাম্পের পেছনে বকবক করার জন্য পরিচিত হয়ে আসছেন। বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে তিনিই প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি তথা সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হিসেবে কৃতিত্ব অর্জন করেন।বাংলাদেশের সাবেক কোচ জেমি সিডন্সের ভাষ্যমতে, "রহিমের ব্যাটিং এতটা বহুমাত্রিক যে তিনি এক থেকে ছয় পর্যন্ত যে কোন অর্ডারে খেলতে পারেন।" মুশফিক বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছিলেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মুশফিক ইতিহাস বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী মুশফিক ইতিহাস বিভাগে প্রথম-শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হন।
বীর্য (ইংরেজি: Semen) একপ্রকার জৈবিক তরল যা যৌনসঙ্গমের শেষ পর্যায়ে চরম সুখানুভূতি সৃষ্টির সঙ্গে পুরুষাঙ্গ হতে নি:সৃত হয়। শুক্রাণূ সমৃদ্ধ পুরুষের বীর্যে নারীর ডিম্ব নিষিক্ত হলে জরায়ুতে মানব ভ্রূণের সৃষ্টি হয়। কেবল যৌনসঙ্গম নয়, যৌনানন্দ লাভের জন্য হস্তমৈথুনের মাধ্যমেও বীর্যস্খলন করা হয়ে থাকে। এছাড়া স্বপ্নদোষ মাধ্যমে বীর্যপাত হয়ে থাকে।
আফগানিস্তান, যার সরকারি নাম আফগানিস্তান ইসলামী প্রজাতন্ত্র (পশতু: د افغانستان اسلامي جمهوریت: দে আফ্গ়ানিস্তান্ ইস্লামি জোম্হোরিয়াৎ; ফার্সি: جمهوری اسلامی افغانستان জোম্হুরীয়ে এস্লমীয়ে অ্যাফ্গ়নেস্তন্ আ-ধ্ব-ব: [dʒomhuːɾije eslɒːmije æfɣɒːnestɒːn]) দক্ষিণ এশিয়ার একটি রাষ্ট্র। রাষ্ট্রটি ইরান, পাকিস্তান, চীন, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, ও তুর্কমেনিস্তানের মধ্যস্থলে একটি ভূ-বেষ্টিত মালভূমির উপর অবস্থিত। আফগানিস্তানকে অনেক সময় দক্ষিণ এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের অংশ হিসেবেও গণ্য করা হয়। আফগানিস্তানের পূর্বে ও দক্ষিণে পাকিস্তান , পশ্চিমে ইরান, উত্তরে তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান ও তাজিকিস্তান এবং উত্তর-পূর্বে গণচীন। আফগানিস্তান শব্দটির অর্থ "আফগান (তথা পশতুন) জাতির দেশ"। আফগানিস্তান একটি রুক্ষ এলাকা - দেশটির অধিকাংশ এলাকা পর্বত ও মরুভূমি আবৃত। পর্বত উপত্যকাগুলি আর উত্তরের সমভূমিতেই কেবল গাছপালার দেখা মেলে। এখানকার গ্রীষ্মকালীন আবহাওয়া গরম ও শুষ্ক এবং শীতকালে এখানে প্রচণ্ড শীত পড়ে। কাবুল দেশটির বৃহত্তম শহর ও রাজধানী।
করেনজিত কৌর ভোহরা(ইংরেজি: Karenjit Kaur Vohra; জন্ম ১৩ মে ১৯৮১) যিনি সানি লিওন নামে অধিক পরিচিত, হলেন একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডীয় এবং মার্কিন নারী- অভিনেত্রী, ব্যবসায়ী, মডেল এবং সাবেক পর্নোতারকা। এছাড়া তিনি কারেন মালহোত্রা নামেও অভিনয় করেছেন। ২০০৩ সালে তাঁকে পেন্টহাউস বর্ষসেরা পেটস হিসিবে অভিষিক্ত করা হয় এবং তিনি ভিভিড এন্টারটেনমেন্টের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। তিনি ম্যাক্সিম বিশ্বেসেরা ১০ পর্ণোতারকার একজন হিসেবে নির্বাচিত হন ২০১০ সালে। তিনি স্বাধীন মূলধারার চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন অনুষ্ঠানে ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি পরবর্তীতে বলিউডে আত্মপ্রকাশ ঘটান পূজা ভাটের জিসম ২ (২০১২) যৌনাবেদনময়ী থ্রিলার চলচ্চিত্রের মাধ্যমে এবং বর্তমানে কাজ করেন হিন্দি চলচ্চিত্রে।
লিওনেল আন্দ্রেস “লিও” মেসি কুচ্চিত্তিনি (স্পেনীয় উচ্চারণ: [ljoˈnel anˈdɾes ˈmesi] (শুনুন); জন্ম: ২৪ জুন ১৯৮৭) একজন আর্জেন্টাইন পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড় যিনি স্পেনের সর্বোচ্চ স্তরের পেশাদার ফুটবল লীগ প্রতিযোগিতা লা লিগা তে ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা এবং আর্জেন্টিনার জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে একজন আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন। তিনি বর্তমানে আর্জেন্টিনা জাতীয় দল এবং বার্সেলোনার অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অনেক ধারাভাষ্যকার, ফুটবল বিশেষজ্ঞ, কোচ এবং খেলোয়াড় মেসিকে বর্তমান সময়ের সেরা এবং সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার হিসেবে গন্য করে থাকেন।
চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রাচীনতম পদ সংকলন তথা সাহিত্য নিদর্শন। নব্য ভারতীয় আর্যভাষারও প্রাচীনতর রচনা এটি। খ্রিষ্টীয় অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে রচিত এই গীতিপদাবলির রচয়িতারা ছিলেন সহজিয়া বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যগণ। বৌদ্ধ ধর্মের গূঢ় অর্থ সাংকেতিক রূপের আশ্রয়ে ব্যাখ্যার উদ্দেশ্যেই তাঁরা পদগুলো রচনা করেছিলেন। বাংলা সাধন সংগীত শাখাটির সূত্রপাতও হয়েছিলো এই চর্যাপদ থেকেই। সে বিবেচনায় এটি একটি ধর্মগ্রন্থজাতীয় রচনা। একই সঙ্গে সমকালীন বাংলার সামাজিক ও প্রাকৃতিক চিত্রাবলি এই পদগুলোতে উজ্জ্বল। এর সাহিত্যগুণ এখনও চিত্তাকর্ষক। ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থশালা থেকে চর্যার একটি খণ্ডিত পুঁথি উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে আচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ভাষাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে চর্যাপদের সঙ্গে বাংলা ভাষার অনস্বীকার্য যোগসূত্র বৈজ্ঞানিক যুক্তিসহ প্রতিষ্ঠিত করেন। চর্যাপদের প্রধান কবিগণ হলেন লুইপাদ, কাহ্নপাদ, ভুসুকুপাদ, শবরপাদ প্রমুখ।
প্রতি বৎসর বিভিন্ন দিনে বিশ্বব্যাপী নানা "দিবস" পালিত হয়। এই সকল বৈশ্বিক দিবস বা বিশ্ব দিবস বা আন্তর্জাতিক দিবসসমূহের তালিকা এই পাতায় অন্তর্ভুক্ত করা হলো। এই সকল দিবসের উদ্দেশ্য হচ্ছে - কোন একটি নির্দিষ্ট দিনে আন্তর্জাতিকভাবে সাম্প্রতিককালের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিশ্বব্যাপী জনসচেতনতা বৃদ্ধি বা ক্ষেত্র বিশেষে কোন অতীত ঘটনা স্মরণ বা উদযাপন করা।
মাশরাফি বিন মুর্তজা (জন্ম: ৫ই অক্টোবর ১৯৮৩) একজন বাংলাদেশী ক্রিকেট খেলোয়াড় ও সংসদ সদস্য। তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অন্যতম বোলিং স্তম্ভ ও একদিনের আন্তর্জাতিকে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি একজন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তার বোলিংয়ের ধরন ডানহাতি পেস বোলার। বাংলাদেশ জাতীয় দল ছাড়াও তিনি এশিয়া একাদশের একদিনের আন্তর্জাতিক দলে খেলেছেন। তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বকালের সেরা পেস বলার ও সেরা অধিনায়ক।
অপু বিশ্বাস একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। তিনি ২০০৪ সালে আমজাদ হোসেনের কাল সকালে ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পদার্পণ করেন। ২০০৫ সালে এফআই মানিক পরিচালিত কোটি টাকার কাবিন ছবিতে প্রধান নায়িকা হয়ে অভিনয় করেন শাকিব খানের বিপরীতে। অপু বিশ্বাস ৭২টির এরও বেশি ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন। কর্মজীবনে তিনি একটি বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেছেন এবং ছয়টি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেছেন।
টেইলর অ্যালিসন সুইফট (ইংরেজি: Taylor Alison Swift) (জন্ম: ১৩ ডিসেম্বর, ১৯৮৯) একজন গ্র্যামি এ্যাওয়ার্ড বিজয়ী মার্কিন কান্ট্রি সঙ্গীত শিল্পী, গায়ক-গীতিকার, রেকর্ড প্রযোজক, এবং অভিনেত্রী। ২০০৬ সালে টেইলর সুইফট তার প্রথম গান “টিম ম্যাকগ্র” প্রকাশ করে, এরপর প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম একক অ্যালবাম টেইলর সুইফট যা রেকর্ডিং ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন অফ আমেরিকা কর্তৃক প্লাটিনাম প্রত্যায়ন পায়। ২০০৮ এর নভেম্বরে টেইলর সুইফট তার দ্বিতীয় অ্যালবাম ফিয়ারলেস প্রকাশ করে। ২০০৮ এর শেষে ফিয়ারলেস ও টেইলর সুইফট এর বিক্রয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় যথাক্রমে ২.১ এবং ১.৫ মিলিয়ন। ফিয়ারলেস অ্যালবামটি বিলবোর্ড ২০০ চার্টে ১১ সপ্তাহ ধরে (ধারাবাহিকভাবে নয়) শীর্ষস্থান দখল করেছিল, যা কোন অ্যালবাম ২০০০ সালের পর পারেনি। আমেরিকার ফোর্বস ম্যাগাজিনের র্যাঙ্কিং-এ সুইফটের অবস্থান ছিল ৬৯তম শক্তিমান তারকা যার আয়ের পরিমাণ ১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০০৯ সালে বিলবোর্ড সুইফটকে বর্ষসেরা শিল্পীর খেতাব প্রদান করে। ফিয়ারলেস ২০১০ সালের বর্ষসেরা অ্যালবাম হিসেবে গ্র্যামি পুরস্কার অর্জন করে।
মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী (গুজরাটি: મોહનદાસ કરમચંદ ગાંધી উচ্চারণ (মোহনদাস কর্মচন্দ গান্ধী) বা মহাত্মা গান্ধী (২রা অক্টোবর, ১৮৬৯ - ৩০শে জানুয়ারি, ১৯৪৮) অন্যতম প্রধান ভারতীয় রাজনীতিবিদ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রগামী ব্যক্তিদের একজন এবং প্রভাবশালী আধ্যাত্মিক নেতা। তিনি ছিলেন সত্যাগ্রহ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা। এর মাধ্যমে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে জনসাধারণের অবাধ্যতা ঘোষিত হয়েছিল। এ আন্দোলন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল অহিংস মতবাদ বা দর্শনের উপর এবং এটি ছিল ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম চালিকা শক্তি, সারা বিশ্বে মানুষের স্বাধীনতা এবং অধিকার পাওয়ার আন্দোলনের অন্যতম অনুপ্রেরণা।
ভারতের সংবিধান ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ আইন। এই সংবিধানে সরকারের গঠন, কার্যপদ্ধতি, ক্ষমতা ও কর্তব্য নির্ধারণ; মৌলিক অধিকার, রাষ্ট্রপরিচালনার নির্দেশমূলক নীতি, এবং নাগরিকদের কর্তব্য নির্ধারণের মাধ্যমে দেশের মৌলিক রাজনৈতিক আদর্শের রূপরেখাটি নির্দিষ্ট করা হয়েছে। ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর গৃহীত হওয়ার পর ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে এই সংবিধান কার্যকরী হয়। উল্লেখ্য, ১৯৩০ সালের ২৬ জানুয়ারি জাতীয় কংগ্রেসের ঐতিহাসিক স্বাধীনতা ঘোষণার স্মৃতিতে ২৬ জানুয়ারি তারিখটি সংবিধান প্রবর্তনের জন্য গৃহীত হয়েছিল। সংবিধানে ভারতীয় রাজ্যসংঘকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র রূপে ঘোষণা করা হয়েছে; এই দেশের নাগরিকবৃন্দের জন্য ন্যায়বিচার, সাম্য ও স্বাধীনতা সুনিশ্চিত করা হয়েছে এবং জাতীয় সংহতি রক্ষার জন্য নাগরিকদের পরস্পরের মধ্যে ভ্রাতৃভাব জাগরিত করে তোলার জন্য অনুপ্রাণিত করা হয়েছে। "সমাজতান্ত্রিক", "ধর্মনিরপেক্ষ" ও "সংহতি" এবং সকল নাগরিকের মধ্যে "ভ্রাতৃভাব" – এই শব্দগুলি ১৯৭৬ সালে একটি সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। সংবিধান প্রবর্তনের স্মৃতিতে ভারতীয়রা প্রতি বছর ২৬ জানুয়ারি তারিখটি প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে উদযাপন করেন। ভারতের সংবিধান বিশ্বের সার্বভৌম রাষ্ট্রগুলির মধ্যে বৃহত্তম লিখিত সংবিধান। এই সংবিধানে মোট ২৪টি অংশে ৪৪৮টি ধারা, ১২টি তফসিল এবং ১১৩টি সংশোধনী বিদ্যমান। ভারতের সংবিধানের ইংরেজি সংস্করণে মোট শব্দসংখ্যা ১১৭,৩৬৯। এই সংবিধানের প্রবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পূর্বপ্রচলিত ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের অবসান ঘটে। দেশের সর্বোচ্চ আইন হওয়ার দরুন, ভারত সরকার প্রবর্তিত প্রতিটি আইনকে সংবিধান-অনুসারী হতে হয়। সংবিধানের খসড়া কমিটির চেয়ারম্যান ড.
এশিয়া ( (শুনুন) বা ) পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ও সবচেয়ে জনবহুল মহাদেশ, প্রাথমিকভাবে পূর্ব ও উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত। এটি ভূপৃষ্ঠের ৮.৭% ও স্থলভাগের ৩০% অংশ জুড়ে অবস্থিত। আনুমানিক ৪৩০ কোটি মানুষ নিয়ে এশিয়াতে বিশ্বের ৬০%-এরও বেশি মানুষ বসবাস করেন। অধিকাংশ বিশ্বের মত, আধুনিক যুগে এশিয়ার বৃদ্ধির হার উচ্চ। উদাহরণস্বরূপ, বিংশ শতাব্দীর সময়, এশিয়ার জনসংখ্যা প্রায় চারগুণ বেড়ে গেছে, বিশ্ব জনসংখ্যার মত।এশিয়ার সীমানা সাংস্কৃতিকভাবে নির্ধারিত হয়, যেহেতু ইউরোপের সাথে এর কোনো স্পষ্ট ভৌগোলিক বিচ্ছিন্নতা নেই, যা এক অবিচ্ছিন্ন ভূখণ্ডের গঠন যাকে একসঙ্গে ইউরেশিয়া বলা হয়। এশিয়ার সবচেয়ে সাধারণভাবে স্বীকৃত সীমানা হলো সুয়েজ খাল, ইউরাল নদী, এবং ইউরাল পর্বতমালার পূর্বে, এবং ককেশাস পর্বতমালা এবং কাস্পিয়ান ও কৃষ্ণ সাগরের দক্ষিণে। এটা পূর্ব দিকে প্রশান্ত মহাসাগর, দক্ষিণে ভারত মহাসাগর এবং উত্তরে উত্তর মহাসাগর দ্বারা বেষ্টিত। ইউরাল পর্বতমালা, ইউরাল নদী, কাস্পিয়ান সাগর, কৃষ্ণসাগর এবং ভূমধ্যসাগর দ্বারা এশিয়া ও ইউরোপ মহাদেশ দুটি পরস্পর হতে বিচ্ছিন্ন। এছাড়া লোহিত সাগর ও সুয়েজ খাল এশিয়া মহাদেশকে আফ্রিকা থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে এবং উত্তর-পূর্বে অবস্থিত সংকীর্ণ বেরিং প্রণালী একে উত্তর আমেরিকা মহাদেশ থেকে পৃথক করেছে। উল্লেখ্য, বেরিং প্রণালীর একদিকে অবস্থান করছে এশিয়া মহাদেশের অন্তর্গত রাশিয়ার উলেনা এবং অপর পাশে উত্তর আমেরিকা মহাদেশের অন্তর্গত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা। এই প্রণালীটির সংকীর্ণতম অংশটি মাত্র ৮২ কি•মি• চওড়া, অর্থাৎ বেরিং প্রণালীর এই অংশ হতে উত্তর আমেরিকা মহাদেশের দূরত্ব মাত্র ৮২ কি•মি•।
আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ট্রফি (ইংরেজি: ICC Cricket World Cup Trophy) বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত খেলায় বিজয়ীকে প্রদান করা হয়। বর্তমান ট্রফি ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতাকে ঘিরে তৈরী করা হয়েছিল। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটিই ছিল প্রথম স্থায়ী পুরস্কার। এরপূর্বে ১৯৭৫ সালের প্রতিযোগিতার পর থেকে প্রত্যেকটি প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন ধরণের ট্রফি তৈরী করে বিজয়ী দলকে প্রদান করা হতো। বর্তমান ট্রফির নকশাকার ও প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পেয়েছিল লন্ডনের গারার্ড এন্ড কোং প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাত্র দুইমাস পূর্বে।
বাংলাদেশের অর্থনীতি একটি মধ্য আয়ের উন্নয়নশীল এবং স্থিতিশীল অর্থনীতি। এই অর্থনীতির বৈশিষ্ট্যসমূহের মধ্যে রয়েছে মধ্যমহারের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি, পরিব্যাপ্ত দারিদ্র্য, আয় বণ্টনে অসমতা, শ্রমশক্তির উল্লেখযোগ্য বেকারত্ব, জ্বালানী, খাদ্যশস্য এবং মূলধনী যন্ত্রপাতির জন্য আমদানী নির্ভরতা, জাতীয় সঞ্চয়ের নিম্নহার, বৈদেশিক সাহায্যের ওপর ক্রমহ্রাসমান নির্ভরতা এবং কৃষি খাতের সংকোচনের সঙ্গে সঙ্গে সেবা খাতের দ্রুত প্রবৃদ্ধি। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতি যথেষ্ট অগ্রগতি অর্জন করেছে। বাংলাদেশের তৈরি পোষাক শিল্প বিশ্বের বৃহত্তম শিল্পের মধ্যে অন্যতম। ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দের আগে পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত পাট ও পাটজাত পণ্যের ওপর নির্ভরশীল ছিল। এসময় পাট রপ্তানি করে দেশটি অধিকাংশ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করত। কিন্তু পলিপ্রোপিলিন পণ্যের আগমনের ফলে ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দ থেকেই পাটজাত দ্রব্যের জনপ্রিয়তা ও বাণিজ্য কমতে থাকে।বাংলাদেশের মাথাপিছু স্থূল দেশজ উত্পাদন স্বাধীনতার পরপরই ১৯৭০-এর দশকে সর্বোচ্চ ৫৭% প্রবৃদ্ধি অর্জন করে। তবে এ প্রবৃদ্ধি বেশীদিন টেকেনি। ১৯৮০-এর দশকে এ হার ছিলো ২৯% এবং ১৯৯০-এর দশকে ছিলো ২৪%।বাংলাদেশ বর্ধিত জনসংখ্যার অভিশাপ সত্ত্বেও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। এর মূল কারণ হচ্ছে আভ্যন্তরীণ উৎপাদন অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে ধান উৎপাদনের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়। বাংলাদেশের চাষাবাদের জমি সাধারণত ধান ও পাট চাষের জন্য ব্যবহৃত হলেও সাম্প্রতিক সময়ে গমের চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশে ধান উৎপাদনের দিক দিয়ে মোটামুটি স্বয়ংসম্পূর্ণ। তা সত্ত্বেও মোট জনসংখ্যার ১০% থেকে ১৫% অপুষ্টির ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশের কৃষি মূলত অনিশ্চিত মৌসুমী চক্র এবং নিয়মিত বন্যা ও খরার উপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল। দেশের যোগাযোগ, পরিবহন ও বিদ্যুৎ খাত সঠিকভাবে গড়ে না ওঠায় দেশটির উন্নতি ব্যহত হচ্ছে। বাংলাদেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের বিশাল খনি রয়েছে এবং কয়লা, খনিজ তেল প্রভৃতির ছোটোখাটো খনি রয়েছে। বাংলাদেশের শিল্প-অবকাঠামো দুর্বল হলেও এখানে দক্ষ শ্রমিকের সংখ্যা অঢেল এবং মজুরিও সস্তা।
কুরআন মাজীদ অথবা কুরআ-ন মাজী-দ (আরবি: القرآن আল্-কুর্'আন্[টী১]) ইসলাম ধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ, যা আল্লাহর বাণী বলে মুসলমানরা বিশ্বাস করে থাকেন। এটি আরবী সাহিত্যের সর্বোৎকৃষ্ট কর্ম হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। কুরআনকে প্রথমে অধ্যায়ে (আরবীতে সূরা) ভাগ করা হয় এবং অধ্যায়গুলো (সূরা) আয়াতে বিভক্ত করা হয়েছে।
রোহিঙ্গা (, অথবা ; ঐতিহাসিকভাবে আরাকানী ভারতীয়ও বলা হয়ে থাকে।) রোহিঙ্গা হলো পশ্চিম মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের একটি রাষ্ট্রবিহীন ইন্দো-আর্য জনগোষ্ঠী। ২০১৬-১৭ মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতনের পূর্বে অনুমানিক ১ মিলিয়ন রোহিঙ্গা মায়ানমারে বসবাস করত। অধিকাংশ রোহিঙ্গা ইসলাম ধর্মের অনুসারি যদিও কিছু সংখ্যক হিন্দু ধর্মের অনুসারিও রয়েছে। ২০১৩ সালে জাতিসংঘ রোহিঙ্গাদের বিশ্বের অন্যতম নিগৃহীত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী হিসেবে উল্লেখ করেছে। ১৯৮২ সালের বার্মিজ নাগরিকত্ব আইন অনুসারে তাদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করা হয়েছে।হিউম্যান রাইটস ওয়াচের তথ্যমতে, ১৯৮২ সালের আইনে “রোহিঙ্গাদের জাতীয়তা অর্জনের সম্ভাবনা কার্যকরভাবে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। ৮ম শতাব্দী পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের ইতিহাসের সন্ধান পাওয়া সত্ত্বেও, বার্মার আইন এই সংখ্যালঘু নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীকে তাদের জাতীয় নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করছে।” এছাড়াও তাদের আন্দোলনের স্বাধীনতা, রাষ্ট্রীয় শিক্ষা এবং সরকারি চাকুরীর ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রোহিঙ্গারা ১৯৭৮, ১৯৯১-১৯৯২, ২০১২, ২০১৫ ও ২০১৬-২০১৭ সালে সামরিক নির্যাতন এবং দমনের সম্মুখীন হয়েছে। জাতিসংঘ ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের উপর চালানো দমন ও নির্যাতনকে জাতিগত নির্মূলতা হিসেবে অাখ্যা দিয়েছে যেখানে গণহত্যার মত অপরাধের তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যেতে পারে। জাতিসংঘে নিযুক্ত মায়ানমারের বিশেষ তদন্তকারী ইয়ংহি লি, বিশ্বাস করেন, মায়ানমার পুরোপুরি তাদের দেশ থেকে রোহিঙ্গাদের বিতড়িত করতে চায়। ২০০৮ সালের সংবিধান অনুসারে, মায়ানমারের সেনাবাহিনী এখনো সরকারের অধিকাংশ বিষয় নিয়ন্ত্রন করে থাকে যার মধ্যে অন্তুর্ভূক্ত রয়েছে স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও সীমান্ত বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সেনাবাহিনীর জন্য সংসদে ২৫% আসন বরাদ্দ রয়েছে এবং তাদের মধ্য থেকে একজন উপ-রাষ্ট্রপতি থাকবেন।রোহিঙ্গারা বলে আসছেন তারা পশ্চিম মায়ানমারে অনেক আগে থেকে বসবাস করে আসছেন। তাদের বংশধররা প্রাক-উপনিবেশিক ও উপনিবেশিক আমল থেকে আরাকানের বাসিন্দা ছিল। বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে নির্যাতন শুরু হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত রোহিঙ্গারা আইনপ্রণেতা ও সংসদ সদস্য হিসেবে মায়ানমারের সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। পূর্বে যদিও মায়ানমার রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করত কিন্তু হঠাৎই মায়ানমারের সরকারি মনোভাব বদলে যায় এবং রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে মায়ানমার সরকারের অফিসিয়াল মন্তব্য হলো তারা জাতীয় জনগোষ্ঠী নয় বরং তারা বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী। মায়ানমারের সরকার তখন থেকে “রোহিঙ্গা” শব্দটি ব্যবহার বন্ধ করে তাদের বাঙ্গালী বলে সম্বোধন করে। রোহিঙ্গাদের অধিকার আন্দোলনের বিভিন্ন সংগঠন বিশেষ করে আরাকান রোহিঙ্গা জাতীয় সংস্থা তাদেরকে মায়ানমারের মধ্যে জাতিসত্ত্বার পরিচয় দেওয়ার দাবী করে আসছে।জাতিসংঘের তদন্তের প্রতিবেদন অনুসারে রোহিঙ্গারা মায়ানমারের ভিতরে অতি-জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধদের দ্বারা ঘৃণা এবং ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার শিকার হচ্ছে। একই সাথে মায়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক বিচারবহির্ভূত হত্যা, অবৈধ গ্রেফতার, নির্যাতন, ধর্ষণ এবং অপব্যবহারের শিকার হওয়ার পাশাপাশি তাদের জোরপূর্বক শ্রমে বাধ্য করছেন। জাতিসংঘের মতানুসারে, রোহিঙ্গাদের উপর চলা এ নির্যাতনকে মানবতা বিরোধী অপরাধ হিসেবে বলা যেতে পারে।২০১৫ সালের রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট এবং ২০১৬ ও ২০১৭ সালের সেনাবাহিনীর অভিযানের পূর্বে মায়ানমারে ১.১ থেকে ১.৩ মিলিয়ন রোহিঙ্গা বাস করতেন। যাদের অধিকাংশের বাসস্থান ছিল মুলত ৮০-৯৮% রোহিঙ্গা অধ্যূষিত রাখাইন রাজ্যে।. ৯০০,০০০ লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী হিসেবে দক্ষিণ-পূর্বের পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। এছাড়া অন্যান্য প্রতিবেশী দেশসহ বেশ কিছু মুসলিম দেশে পালিয়ে গিয়েছে।.
ফিলিস্তিন বা প্যালেস্টাইন (আরবি: فلسطين, ফিলাস্ত্বীন্),) সরকারিভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র (আরবি: دولة فلسطين, দাউলাৎ ফিলাস্ত্বীন্) ১৫ নভেম্বর ১৯৮৮ সালে আলজিয়ার্স শহরে নির্বাসনে ঘোষিত একটি রাষ্ট্র, যেখানে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অরগানাইজেশন (পিএলও) ও প্যালেস্টাইন জাতীয় পরিষদ (পিএনসি) একপাক্ষিক ভাবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল । ১৯৮৮ ঘোষণার সময়ে কোনো অঞ্চলেই পিএলওর নিয়ন্ত্রণ ছিল না, যদিও তারা যে অঞ্চলগুলি দাবি করেছিল আন্তর্জাতিকভাবে সেইগুলি ইজরায়েলের দখলে ছিল। আরবরা দাবি করেছি, ১৯৪৭ সালে জাতি সংঘ দ্বারা প্রস্তাবিত ফিলিস্তিন বিভাগ যেভাবে প্রস্তাবিত হয়েছিল, যেখানে ফিলিস্তিন ভূখন্ড (গাজা ভূখন্ড ও ওয়েস্ট ব্যাংক) ছাড়াও ইসরায়েল শাসনাধিন অঞ্চলও ছিল এবং জেরুজালেমকে ঘোষিত রাষ্টের রাজধানী আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। ১৯৭৪ আরব লীগ শীর্ষ বৈঠকে স্থির হয়েছিল, পিএলও ফিলিস্তিনের জনগণের একমাত্র বৈধ প্রতিনিধি এবং ও তাদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে একটি স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠিত আহবান জানিয়েছিল । " ২২ নভেম্বর ১৯৭৪, থেকে একটি হিসেবে জাতি >পিএলও কে " রাষ্ট্রহীন-সত্তা " রুপে পর্যবেক্ষক অবস্থা রাখা হয়েছিল। যারা কেবলমাত্র জাতি সংঘে তাদের বক্তব্য রাখতে পারতেন, কিন্তু ভোট দেবারর কোনো ক্ষমতা ছিল না।