The most-visited বাংলা Wikipedia articles, updated daily. Learn more...
ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দল (পর্তুগিজ: Seleção Brasileira de Futebol, ইংরেজি: Brazil national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ব্রাজিলের প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম ব্রাজিলের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ব্রাজিলীয় ফুটবল কনফেডারেশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯২৩ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯১৬ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা কনমেবলের সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯১৪ সালের ২০শে সেপ্টেম্বর তারিখে, ব্রাজিল প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; আর্জেন্টিনার বুয়েনোস আইরেসে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে ব্রাজিল আর্জেন্টিনার কাছে ৩–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল। ব্রাজিল হচ্ছে কোপা আমেরিকার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন, যারা ২০১৯ সালে পেরুকে ৩–১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে।সেলেসাও নামে পরিচিত এই দলটি বেশ কয়েকটি স্টেডিয়ামে তাদের হোম ম্যাচগুলো আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় ব্রাজিলের রিউ দি জানেইরুর আটলান্টিক মহাসাগর তীরবর্তী বরা দা তিজুকা এলাকায় অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন তিতে এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যমাঠের খেলোয়াড় কাজিমিরো। ব্রাজিল ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহাসের সবচেয়ে সফল দল, যারা এপর্যন্ত ৫ বার (১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭০, ১৯৯৪ এবং ২০০২) বিশ্বকাপ জয়লাভ করেছে। ব্রাজিল ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহাসে একমাত্র দল হিসেবে সবগুলো আসরে অংশগ্রহণ করেছে। এছাড়া কোপা আমেরিকায়ও ব্রাজিল অন্যতম সফল দল, যেখানে তারা ৯টি (১৯১৯, ১৯২২, ১৯৪৯, ১৯৮৯, ১৯৯৭, ১৯৯৯, ২০০৪, ২০০৭ এবং ২০১৯) শিরোপা জয়লাভ করেছে। এছাড়াও, ব্রাজিল ৪ বার ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ (১৯৯৭, ২০০৫, ২০০৯ এবং ২০১৩) জয়লাভ করেছে; যা উক্ত প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ। পেলে, কাফু, রোনালদো, রোনালদিনহো, কাকা এবং রবার্তো কার্লোসের মতো খেলোয়াড়গণ ব্রাজিলের জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন। ফুটবলের ব্যাপারে একটি সাধারণ উক্তি রয়েছে, যা হচ্ছে: ইংরেজি: The English invented it, the Brazilians perfected it.
ফিফা বিশ্বকাপ (ফুটবল বিশ্বকাপ, সকার বিশ্বকাপ, অথবা শুধু বিশ্বকাপ নামেও পরিচিত) একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা যেখানে ফিফাভুক্ত দেশগুলোর পুরুষ জাতীয় ফুটবল দল অংশ নেয়। ফিফা বিশ্ব ফুটবল নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা। ১৯৩০ সালে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয় এবং এখন পর্যন্ত চার বছর পর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মাঝে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে ১৯৪২ ও ১৯৪৬ সালে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি।
ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিং হচ্ছে এমন একটি পদ্ধতি যেখানে পুরুষদের জাতীয় ফুটবল দলগুলোকে একত্রিত করে মূল্যায়ণের মাধ্যমে বৈশ্বিক অবস্থান নির্ধারণ করা হয়। ফিফা.কম-এ প্রকাশিত ৪ এপ্রিল, ২০১৯ তারিখের সর্বশেষ র্যাঙ্কিংয়ে জার্মানি জাতীয় ফুটবল দল) শীর্ষস্থান দখল করে আছে। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা হিসেবে রয়েছে ফিফা। সদস্যভূক্ত দেশগুলোর অবস্থানকে উল্লেখযোগ্য ফলাফলের মাধ্যমে সর্বাপেক্ষা সফলতম দলকে শীর্ষস্থানে উপবিষ্ট করা হয়। র্যাঙ্কিং পদ্ধতিটি ডিসেম্বর, ১৯৯২ সালে ফিফা কর্তৃক প্রবর্তন করা হয়। র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ৮টি দল -প্রথম স্থানে রয়েছে ((জার্মানি জাতীয় ফুটবল দল))| দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দল|জার্মানি।আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, [, ইতালি, স্পেন এবং নেদারল্যান্ডস দখলে রেখেছে। তন্মধ্যে ব্রাজিল সবচেয়ে বেশি সময় ধরে এ অবস্থানে ছিল।
আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দল (স্পেনীয়: Selección de fútbol de Argentina, ইংরেজি: Argentina national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে আর্জেন্টিনার প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম আর্জেন্টিনার ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আর্জেন্টিনীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯১২ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯১৬ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা কনমেবলের সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯০২ সালের ২০শে জুলাই তারিখে, আর্জেন্টিনা প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; উরুগুয়ের মোন্তেবিদেও-এ অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে আর্জেন্টিনা উরুগুয়েকে ৬–০ গোলে পরাজিত করে।
আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল ফুটবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা
আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল ফুটবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা ফুটবল বিশ্বের একটি বড় ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা যা দেশ দুইটির জাতীয় ফুটবল দল, এবং তাদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘটিত হয়ে থাকে। এই দুইটি দলের মধ্যকার প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে অনেক সময় "দক্ষিণ আমেরিকানদের যুদ্ধ" বলা হয়।
সুইজারল্যান্ড জাতীয় ফুটবল দল (জার্মান: Schweizer Fußballnationalmannschaft, ফরাসি: Équipe de Suisse de football, ইতালীয়: Nazionale di calcio della Svizzera, রোমানশ: Squadra naziunala da ballape da la Svizra, ইংরেজি: Switzerland national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সুইজারল্যান্ডের প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম সুইজারল্যান্ডের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা সুইজারল্যান্ডীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯০৪ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৫৪ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা উয়েফার সদস্য হিসেবে রয়েছে। ০০০০ সালের ০শে সেপ্টেম্বর তারিখে, সুইজারল্যান্ড প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে সুইজারল্যান্ড ফ্রান্সের কাছে ১–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে।
ফিফা বিশ্বকাপ (ফুটবল বিশ্বকাপ নামেও পরিচিত) একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা, যেখানে ফিফা বা আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থার সহযোগী দেশগুলোর পুরুষ জাতীয় ফুটবল দল অংশ নেয়। ফিফা বিশ্ব ফুটবল নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা। ১৯৩০ সালে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয় এবং এখন পর্যন্ত চার বছর পর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মাঝে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে ১৯৪২ ও ১৯৪৬ সালে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি।
সংযুক্ত প্রজাতন্ত্রী ব্রাজিল (পর্তুগিজ: República Federativa do Brasil, পর্তুগিজ উচ্চারণ: [he'publikɐ fedeɾa'tʃivɐ du bɾa'ziw] বা হেপুব্লিকা ফ়েদেরাচিভ়া দু ব্রাজ়িউ শুনুন ), যা প্রচলিতভাবে ব্রাজিল (পর্তুগিজ: Brasil, পর্তুগিজ উচ্চারণ: [bɾaˈziw] বা ব্রাজিউ) নামে পরিচিত, হচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকার সর্ববৃহৎ রাষ্ট্র। এছাড়াও জনসংখ্যা ও ভৌগোলিক আয়তনের দিক থেকে এটি বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম দেশ। ৮,৫১৪,৮৭৭ বর্গকিলোমিটার (৫,২৯০,৮৯৯ বর্গমাইল) আয়তনের এই দেশটিতে বসবাসকৃত মানুষের সংখ্যা প্রায় ১৯ কোটি। এটি আমেরিকার একমাত্র পর্তুগিজভাষী দেশ, এবং বিশ্বের সর্ববৃহৎ পর্তুগিজভাষী রাষ্ট্র।ব্রাজিলে পূর্বভাগ আটলান্টিক মহাসাগর দ্বারা বেষ্টিত। যার উপকূলীয়ভাগের দৈর্ঘ্য প্রায় ৭,৪৯১ কিমি (৪,৬৫৫ মা)। ব্রাজিলের উত্তরে রয়েছে ভেনেজুয়েলা, গায়ানা, সুরিনাম, ও ফ্রান্সের সামুদ্রিক দেপার্ত্যমঁ ফরাসি গায়ানা। এছাড়াও এর উত্তর-পশ্চিমভাগে কলম্বিয়া; পশ্চিমে বলিভিয়া ও পেরু; দক্ষিণ-পশ্চিমে আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়ে, এবং সর্ব-দক্ষিণে দক্ষিণে উরুগুয়ে অবস্থিত। ব্রাজিলীয় সীমানায় আটলান্টিক মহাসাগরের বেশকিছু দ্বীপপুঞ্জ অবস্থিত, যার মধ্যে রয়েছে ফের্নান্দু জি নরোনিঁয়া, রোকাস অ্যাটল, সেন্ট পিটার ও সেন্ট পল রকস, এবং ত্রিনিদাজি এ মার্চিঁ ভাজ। ব্রাজিলের সাথে চিলি ও ইকুয়েডর ব্যতীত দক্ষিণ আমেরিকার সকল দেশেরই সীমান্ত-সংযোগ রয়েছে।
ঘানা বা গানা (ইংরেজি: Ghana গানা, আসান্তে চুই ভাষায়: Ghana বা Gaana গানা) পশ্চিম আফ্রিকার একটি রাষ্ট্র। ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত এটি গোল্ড কোস্ট নামের একটি ব্রিটিশ উপনিবেশ ছিল। ঐ বছর এটি সাহারা-নিম্ন আফ্রিকান দেশগুলির মধ্যে প্রথম দেশ হিসেবে ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। আধুনিক ঘানার কয়েকশত মাইল উত্তর-পশ্চিমে ঊর্ধ্ব নাইজার নদীর তীরে অবস্থিত মধ্যযুগীয় সাম্রাজ্য ঘানার নামে দেশটির নামকরণ করা হয়। স্বাধীনতার পর আফ্রিকান বাকী দেশগুলির স্বাধীনতার জন্য ঘানা নেতৃত্ব দেয়।
গান বাংলা (GB) , হচ্ছে বাংলাদেশ ভিত্তিক একটি ২৪/৭ এইচডি গানের চ্যানেল, চ্যানেলটি প্রথম যাত্রা শুরু করে ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৩-এ। গান বাংলা টিভি বাংলা গান সম্প্রচার এবং বাংঙ্গালি সংস্কৃতি তুলে ধরে এবং বিভিন্ন দেশ ইংল্যান্ড, আমেরিকা, কানাডা, ইউরোপের কিছু অংশ এবং মধ্য প্রাচ্যে ও এটি সম্প্রচারিত হয়। এটি "ওয়ান মোর জিরো গ্রুপ" এর মালিকানাধীন।
ক্যামেরুন (উচ্চারণ শুনুন , ফরাসি: Cameroun), দেশটির সরকারি নাম ক্যামেরুন প্রজাতন্ত্র, পশ্চিম-মধ্য আফ্রিকার একটি দেশ। এটির পশ্চিম এবং উত্তরে নাইজেরিয়া; উত্তর-পূর্বে চাদ; পূর্বে মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র; এবং দক্ষিণে নিরক্ষীয় গিনি, গ্যাবন এবং কঙ্গো প্রজাতন্ত্র। এর উপকূলরেখা বিয়াফ্রার বাইট, গিনি উপসাগর এবং আটলান্টিক মহাসাগরের অংশে অবস্থিত। পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার সংযোগস্থলে দেশটির কৌশলগত অবস্থানের কারণে দেশটিকে কখনও কখনও পশ্চিম আফ্রিকান এবং অন্য সময় মধ্য আফ্রিকান হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। এর প্রায় ২৫ মিলিয়ন মানুষ ২৫০ টি স্থানীয় ভাষায় কথা বলে।
সবচেয়ে বেশি গোলকারী ফুটবলারের তালিকা
রেক.স্পোর্ট.সকার স্ট্যাটিস্টিকস ফাউন্ডেশনের (আরএসএসএসএফ) গবেষণা অনুসারে (অধিকাংশ ক্ষেত্রে) শীর্ষ স্তরের ফুটবলে ২৯ জন খেলোয়াড় তাদের খেলোয়াড়ি জীবনে ৫০০ বা তার অধিক গোল করেছে। শুধুমাত্র যারা তাদের খেলোয়াড়ি জীবনের অধিকাংশ সময় সর্বোচ্চ স্তরের ফুটবলে সক্রিয় ছিল তাদের এই তালিকায় বিবেচনা করা হয়। নিচের ছকে সকল স্তরের জাতীয় দল এবং ক্লাবের আনুষ্ঠানিক খেলায় করা গোল বিবেচনা করা হয়েছে। এই তালিকার শীর্ষ স্থানে রয়েছেন অস্ট্রীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় ইয়োসেফ বিকান, যিনি তার ২৭ বছরের খেলোয়াড়ি জীবনে সর্বমোট ৫৩০-এর অধিক ম্যাচে প্রায় ৮০৫টি গোল করেছিলেন।
সুইস বা সুইজারল্যান্ড (জার্মান: die Schweiz ডি শ্বাইৎস, ফরাসি: la Suisse লা স্যুইস্, ইতালীয়: Svizzera স্বিৎস্স্রা, রোমানশ: Svizra স্বিৎস্রা) ইউরোপ মহাদেশে অবস্থিত একটি রাষ্ট্র। তবে এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য নয়। এর মুদ্রার নাম সুইস ফ্রাংক এবং বাৎসরিক স্থূল দেশজ উৎপাদনের পরিমাণ ৫১২.১ বিলিয়ন সুইস ফ্রাংক (২০০৭ খ্রিষ্টাব্দ)। এটি পৃথিবীর ধনী রাষ্ট্রসমূহের অন্যতম।
লিওনেল আন্দ্রেস “লিও” মেসি (স্পেনীয় উচ্চারণ: [ljoˈnel anˈdɾes ˈmesi] (শুনুন); জন্ম: (২৪ জুন ১৯৮৭) একজন আর্জেন্টাইন পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড় যিনি ফরাসী পেশাদার লিগের শীর্ষস্তর লিগ ১ এর ক্লাব পারি সাঁ-জেরমাঁ এবং আর্জেন্টিনার জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে একজন আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন। তিনি বর্তমানে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ৫ই আগস্ট, ২০২১ তারিখে বার্সেলোনা ঘোষণা করে যে লিওনেল মেসি ক্লাবের সাথে চুক্তি নবায়ন করবেন না। ক্লাবটি মেসির চলে যাওয়ার কারণ হিসাবে স্প্যানিশ লিগার নিয়মকানুন দ্বারা সৃষ্ট আর্থিক এবং কাঠামোগত বাধার কথা উল্লেখ করেছে। মেসি প্রায়শই বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় হিসাবে বিবেচিত এবং সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন হিসাবে বিবেচিত।
সার্বিয়া, বা সার্বীয় প্রজাতন্ত্র (উচ্চারণ , সার্বীয়: Република Србија রেপুব্লিকা স্র্বিয়া) মধ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের একটি স্থলবেষ্টিত দেশ। এটি পানোনীয় সমভূমির দক্ষিণাংশে, বলকান উপদ্বীপের মধ্যভাগে অবস্থিত। দেশটির উত্তরে হাঙ্গেরি, পূর্বে রোমানিয়া ও বুলগেরিয়া, দক্ষিণে আলবেনিয়া ও উত্তর মেসিডোনিয়া, এবং পশ্চিমে মন্টিনিগ্রো, ক্রোয়েশিয়া এবং বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা। দেশটির রাজধানী বেলগ্রেড। স্বাধীনতার পূর্বে এটি উসমানীয় সাম্রাজ্য অন্তর্গত ছিল।
নেইমার দা সিলভা সান্তোস জুনিয়র (পর্তুগিজ উচ্চারণ: [nejˈmaʁ dɐ ˈsiwvɐ ˈsɐ̃tuj ˈʒũɲoʁ]; জন্ম ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯২), সাধারণত নেইমার নামে পরিচিত, একজন ব্রাজিলীয় পেশাদার ফুটবলার, যিনি ফরাসি ক্লাব পারি সাঁ-জেরমাঁ এবং ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে একজন ফরোয়ার্ড বা উইঙ্গার হিসেবে খেলেন। তাকে আধুনিক বিশ্বের উদীয়মান ফুটবলারদের মধ্যে অন্যতম মনে করা হয়। নেইমার ১৯ বছর বয়সে ২০১১ এবং ২০১২ সালে দক্ষিণ আমেরিকার বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হন। ২০১১ সালে নেইমার ফিফা ব্যালন ডি'অরের জন্য মনোনয়ন পান, তবে ১০ম স্থানে আসেন। তিনি ফিফা পুরস্কারও অর্জন করেন। তিনি সর্বাধিক পরিচিত তার ত্বরণ, গতি, বল কাটানো, সম্পূর্ণতা এবং উভয় পায়ের ক্ষমতার জন্য। তার খেলার ধরনের কারণে সমালোচকদের প্রশংসা ও মিডিয়া কাভারেজ পেয়েছেন এবং তাকে সাবেক ব্রাজিলীয় ফুটবলার পেলের সঙ্গে তুলনা করা হয়।
বাংলাদেশ (শুনুন ) দক্ষিণ এশিয়ার একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র। বাংলাদেশের সাংবিধানিক নাম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ। ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশের পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও মেঘালয়, পূর্ব সীমান্তে আসাম, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তে মিয়ানমারের চিন ও রাখাইন রাজ্য এবং দক্ষিণ উপকূলের দিকে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। ভৌগোলিকভাবে পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপের সিংহভাগ অঞ্চল জুড়ে বাংলাদেশ ভূখণ্ড অবস্থিত। জনসংখ্যার বিবেচনায় ১৬ কোটির অধিক মানুষ নিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের ৮ম বৃহত্তম দেশ। নদীমাতৃক বাংলাদেশ ভূখণ্ডের উপর দিয়ে বয়ে গেছে ৫৭টি আন্তর্জাতিক নদী। বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বে ও দক্ষিণ-পূর্বে টারশিয়ারি যুগের পাহাড় ছেয়ে আছে। বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য সুন্দরবন ও দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সৈকত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশে অবস্থিত।
আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলের ইতিহাস
আর্জেন্টিনায় ফুটবল খেলা শুরু হয় ১৮৬৭ সালে, তবে আর্জেন্টিনার প্রথম জাতীয় ফুটবল দল গঠিত হয় ১৯০১ সালে। তারা উরুগুয়ের বিপক্ষে একটি প্রীতি খেলায় প্রথম মুখোমুখি হয় যা অনুষ্ঠিত হয় ১৯০১ সালের ১৬ মে; যেখানে আর্জেন্টিনা ৩–২ ব্যবধানে জয় লাভ করে। এটি ছিল আর্জেন্টিনার প্রথম রেকর্ডকৃত ম্যাচ। অন্যান্য শিরোপার মধ্যে, তারা দুইবার ফিফা বিশ্বকাপ জিতেছে ১৯৭৮ এবং ১৯৮৬ সালে এবং ১৪ বার দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে।
অফসাইড হল ফুটবলের অন্যতম একটি আইন, যেটি খেলার আইনের ১১ নম্বরে বিধিবদ্ধ হয়েছে। আইনে বলা হয়েছে যে কোনও খেলোয়াড় অফসাইড অবস্থায় রয়েছে বলা হয়, যদি হাত ও বাহু বাদ দিয়ে, তার শরীরের কোনও অংশ, প্রতিপক্ষের অর্ধেক পিচের মধ্যে থাকে, এবং বল ও শেষ দুজন-প্রতিপক্ষ,- উভয়ের থেকেই সে প্রতিপক্ষের গোল লাইনের বেশি কাছাকাছি থাকে (শেষ প্রতিপক্ষ সাধারণত গোলরক্ষক হয়, তবে অপরিহার্যভাবে নয়)।অফসাইড অবস্থানে থাকাটা বিশেষ ভাবে কোন অপরাধ নয়, কিন্তু সতীর্থের পায়ে যখন বল থাকে, তখন একজন খেলোয়াড়ের এমন অবস্থানে থাকা কে অফসাইড অপরাধ দিয়ে দোষী করা যেতে পারে, যদি সে "সক্রিয় খেলায় জড়িত" হয়ে যায়, "প্রতিপক্ষকে বাধাদান করে", বা ওই অবস্থানে থেকে "সুবিধা অর্জন করে"।
মরক্কো (আরবি: المغرب; বার্বার: ⵍⵎⴰⵖⵔⵉⴱ; ফরাসি: Maroc) বা মরক্কো রাজ্য (আরবি: المملكة المغربية; আল্মাম্লাকাতুল্ মাগ়্রিবিয়্যা; বার্বার: ⵜⴰⴳⵍⴷⵉⵜ ⵏ ⵍⵎⴰⵖⵔⵉⴱ; ত্যাগেল্দিৎ ন্ ল্মেগ়্রিব্) হল উত্তর আফ্রিকার একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। এর রাজধানীর নাম রাবাত। দেশটি আটলান্টিক মহাসাগরের তীরবর্তী এবং উত্তরে ভূমধ্যসাগরের জিব্রাল্টার প্রণালী পর্যন্ত বিস্তৃত। মরোক্কোর পূর্বে আলজেরিয়া, উত্তরে ভূমধ্যসাগর ও স্পেন এবং পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর অবস্থিত। দেশটির দক্ষিণ দিকের সীমানাটি বিতর্কিত। মরোক্কো পশ্চিম সাহারার মালিকানা দাবী করে এবং ১৯৭৫ সাল থেকে দেশটি পশ্চিম সাহারার অধিকাংশ এলাকা নিজের দখলে রেখেছে।
ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো বা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো দোস সান্তোস আভেইরো জিওআইএইচ কমএম (পর্তুগিজ: Cristiano Ronaldo dos Santos Aveiro, আ-ধ্ব-ব: [kɾɨʃtiˈɐnu ʁuˈnaɫdu]) (জন্ম ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৫) একজন পর্তুগিজ পেশাদার ফুটবলার, যিনি পর্তুগাল জাতীয় দলে ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলে থাকেন। প্রায়ই বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় এবং সর্বকালের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হিসেবে গণ্য রোনালদো পাঁচটি ব্যালন ডি’অর এবং চারটি ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু অর্জন করেছেন, যা কোন ইউরোপীয় খেলোয়াড় হিসেবে রেকর্ড সংখ্যক জয়। কর্মজীবনে তিনি ৩২টি প্রধান সারির শিরোপা জয় করেছেন, তন্মধ্যে রয়েছে সাতটি লিগ শিরোপা, পাঁচটি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ, একটি উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ, এবং একটি উয়েফা নেশনস লিগ শিরোপা। রোনালদোর চ্যাম্পিয়নস লিগে সর্বাধিক ১৩৪টি গোল এবং ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে সর্বাধিক ১২টি গোলের রেকর্ড রয়েছে। তিনি অল্পসংখ্যক খেলোয়াড়দের একজন যিনি ১,১০০টির উপর পেশাদার খেলায় অংশগ্রহণ করেছেন এবং তার ক্লাব ও দেশের হয়ে ৭৯০টির বেশি গোল করেছেন। তিনি ১০০টি আন্তর্জাতিক গোল করা দ্বিতীয় পুরুষ ফুটবলার এবং প্রথম ইউরোপীয়।
ফুটবল একটি দলগত খেলা। এটি বৈশ্বিকভাবে ব্যাপক পরিচিত ও জনপ্রিয় খেলা। এটি আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশন (ফিফা) কর্তৃক পরিচালিত ক্রীড়ার আনুষ্ঠানিক নাম। কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় খেলাটি সকার নামে পরিচিত। এটি দুই দলের মধ্যে খেলা হয়, যার প্রতিটি দলে ১১ জন করে খেলোয়াড় থাকে। একবিংশ শতকে এসে ফুটবল খেলা দুই শতাধিক দেশের ২৫০ মিলিয়নেরও অধিক খেলোয়াড় খেলে থাকেন। এর ফলে ফুটবল বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় ও প্রচলিত খেলা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
কাতার পারস্য উপসাগরের একটি দেশ। এটি আরব উপদ্বীপের পূর্ব উপকূল থেকে উত্তর দিকে প্রসারিত কাতার উপদ্বীপে অবস্থিত। কাতারের দক্ষিণে সৌদি আরব, এবং এর পশ্চিমে দ্বীপরাষ্ট্র বাহরাইন অবস্থিত। আরব উপদ্বীপের মত কাতারও একটি উত্তপ্ত ও শুষ্ক মরু এলাকা। এখানে ভূ-পৃষ্ঠস্থ কোন জলাশয় নেই এবং প্রাণী ও উদ্ভিদের সংখ্যাও যৎসামান্য। বেশির ভাগ লোক শহরে, বিশেষত রাজধানী দোহা শহরে বাস করে। দেশটিতে খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের বড় মজুদ আছে। এই প্রাকৃতিক সম্পদের কারণে দেশটির অর্থনীতি অত্যন্ত সমৃদ্ধ। ১৯শ শতকের শেষভাগ থেকে আল-থানি গোত্রের লোকেরা কাতার অঞ্চলটিকে একটি আমিরাত হিসেবে শাসন করে আসছে। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে দেশটি ব্রিটিশ শাসনের অধীনে আসে। ১৯৭১ সালে এটি পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে। বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্তও এটি একটি তুলনামূলকভাবে দরিদ্র দেশ ছিল। ঐ সময় দেশটিতে পেট্রোলিয়ামের মজুদ আবিষ্কৃত হয় এবং এগুলি উত্তোলন শুরু হয়। বর্তমানে মাথাপিছু আয়ের হিসেবে কাতার বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশগুলির একটি।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (৭ মে ১৮৬১ – ৭ আগস্ট ১৯৪১; ২৫ বৈশাখ ১২৬৮ – ২২ শ্রাবণ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ) ছিলেন অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক। তাকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়। রবীন্দ্রনাথকে “গুরুদেব”, “কবিগুরু” ও “বিশ্বকবি” অভিধায় ভূষিত করা হয়। রবীন্দ্রনাথের ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস ও ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসংকলন তার জীবদ্দশায় বা মৃত্যুর অব্যবহিত পরে প্রকাশিত হয়। তার সর্বমোট ৯৫টি ছোটগল্প ও ১৯১৫টি গান যথাক্রমে গল্পগুচ্ছ ও গীতবিতান সংকলনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় প্রকাশিত ও গ্রন্থাকারে অপ্রকাশিত রচনা ৩২ খণ্ডে রবীন্দ্র রচনাবলী নামে প্রকাশিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় পত্রসাহিত্য উনিশ খণ্ডে চিঠিপত্র ও চারটি পৃথক গ্রন্থে প্রকাশিত। এছাড়া তিনি প্রায় দুই হাজার ছবি এঁকেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের রচনা বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য তিনি এশীয়দের মধ্যে সাহিত্যে প্রথম নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান ব্রাহ্ম পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন।ক[›] ১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা-এ তার "অভিলাষ" কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এটিই ছিল তার প্রথম প্রকাশিত রচনা। ১৮৭৮ সালে মাত্র সতেরো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ প্রথমবার ইংল্যান্ডে যান। ১৮৮৩ সালে মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে তার বিবাহ হয়। ১৮৯০ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের শিলাইদহের জমিদারি এস্টেটে বসবাস শুরু করেন। ১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন। ১৯০২ সালে তার পত্নীবিয়োগ হয়। ১৯০৫ সালে তিনি বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে 'নাইট' উপাধিতে ভূষিত করেন। কিন্তু ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন। ১৯২১ সালে গ্রামোন্নয়নের জন্য তিনি শ্রীনিকেতন নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত হয়। দীর্ঘজীবনে তিনি বহুবার বিদেশ ভ্রমণ করেন এবং সমগ্র বিশ্বে বিশ্বভ্রাতৃত্বের বাণী প্রচার করেন। ১৯৪১ সালে দীর্ঘ রোগভোগের পর কলকাতার পৈত্রিক বাসভবনেই তার মৃত্যু হয়।রবীন্দ্রনাথের কাব্যসাহিত্যের বৈশিষ্ট্য ভাবগভীরতা, গীতিধর্মিতা চিত্ররূপময়তা, অধ্যাত্মচেতনা, ঐতিহ্যপ্রীতি, প্রকৃতিপ্রেম, মানবপ্রেম, স্বদেশপ্রেম, বিশ্বপ্রেম, রোম্যান্টিক সৌন্দর্যচেতনা, ভাব, ভাষা, ছন্দ ও আঙ্গিকের বৈচিত্র্য, বাস্তবচেতনা ও প্রগতিচেতনা। রবীন্দ্রনাথের গদ্যভাষাও কাব্যিক। ভারতের ধ্রুপদি ও লৌকিক সংস্কৃতি এবং পাশ্চাত্য বিজ্ঞানচেতনা ও শিল্পদর্শন তার রচনায় গভীর প্রভাব বিস্তার করেছিল। কথাসাহিত্য ও প্রবন্ধের মাধ্যমে তিনি সমাজ, রাজনীতি ও রাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে নিজ মতামত প্রকাশ করেছিলেন। সমাজকল্যাণের উপায় হিসেবে তিনি গ্রামোন্নয়ন ও গ্রামের দরিদ্র মানুষ কে শিক্ষিত করে তোলার পক্ষে মতপ্রকাশ করেন। এর পাশাপাশি সামাজিক ভেদাভেদ, অস্পৃশ্যতা, ধর্মীয় গোঁড়ামি ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধেও তিনি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথের দর্শনচেতনায় ঈশ্বরের মূল হিসেবে মানব সংসারকেই নির্দিষ্ট করা হয়েছে; রবীন্দ্রনাথ দেববিগ্রহের পরিবর্তে কর্মী অর্থাৎ মানুষ ঈশ্বরের পূজার কথা বলেছিলেন। সংগীত ও নৃত্যকে তিনি শিক্ষার অপরিহার্য অঙ্গ মনে করতেন। রবীন্দ্রনাথের গান তার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি। তার রচিত জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে ও আমার সোনার বাংলা গানদুটি যথাক্রমে ভারত প্রজাতন্ত্র ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত। মনে করা হয় শ্রীলঙ্কার জাতীয় সঙ্গীত শ্রীলঙ্কা মাতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দ্বারা অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত হয়ে লেখা হয়েছে।
২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপ (রুশ: Чемпионат мира по футболу 2018; চিম্পিওনাত মির্য প্য ফুতবোলু দ্ভি তিসিচি ভ্যসিম নাৎস্যত) ছিল চতুর্বার্ষিক আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা ফিফা বিশ্বকাপের ২১তম আসরের চূড়ান্ত পর্ব, যাতে আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা ফিফা-র অন্তর্ভুক্ত ৩২টি জাতীয় ফুটবল দল (পুরুষ) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। প্রতিযোগিতাটি রাশিয়ায় ১৪ই জুন হতে ১৫ই জুলাই ২০১৮ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে ২রা ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে অনুষ্ঠিত এক নিলামের মাধ্যমে রাশিয়াকে স্বাগতিক রাষ্ট্র হিসেবে নির্বাচন করা হয়।
দক্ষিণ কোরিয়া উত্তর-পূর্ব এশিয়ার একটি দেশ যা কোরীয় উপদ্বীপের দক্ষিণ অংশটি নিয়ে গঠিত। এর সরকারি নাম কোরীয় প্রজাতন্ত্র (কোরীয়: 대한민국 দে-হান্-মিন্-গুক্)। দক্ষিণ কোরিয়ার উত্তরে উত্তর কোরিয়া, পূর্বে জাপান সাগর, দক্ষিণে ও দক্ষিণ-পূর্বে কোরিয়া প্রণালী, যা জাপান থেকে দেশটিকে পৃথক করেছে, এবং পশ্চিমে পীত সাগর। সউল হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার বৃহত্তম শহর ও রাজধানী।
সকার মানে যে ফুটবল তা তো সবাই জানে, কিন্তু এই মজার তথ্যটি কি কেউ জানে যে শব্দটি অক্সফোর্ড এর অপবাদ থেকে এসেছে! ১৮৭৫ সাল থেকে ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে এই শব্দটি প্রচলিত ছিল এবং এটি রাগবি স্কুলের অপবাদ থেকে ধার করা হয়েছে বলে মনে করা হয়। এই অপবাদটি রাগবি ফুটবলের জন্য রাগার, পাঁচ-পাউন্ড এবং দশ-পাউন্ড নোটের জন্য ফাইভার এবং টেনারের এবং অ্যাসোসিয়েশন ফুটবলের জন্য ফুটার নামের জন্ম দিয়েছে। সকার শব্দটি প্রথম ১৮৮৯ সালে সোকা গেইমের আগে রেকর্ড করা হয়েছিল। ইংরেজি-ভাষী বিশ্বের মধ্যে ফুটবলকে (গ্রেট ব্রিটেনে এবং আয়ারল্যান্ডের উত্তরে আলস্টারের বেশিরভাগ অংশে এবং প্রায় সারা বিশ্বে) "ফুটবল" বলা হয়, ফুটবলের অন্যান্য সংস্করণ যেখানে প্রচলিত আছে সেখানে এটিকে "সকার" বলে ডাকএ হয়, যেমন যেমন অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একটি উল্লেখযোগ্য ব্যতিক্রম হল নিউজিল্যান্ড, যেখানে ২১ শতকের প্রথম দুই দশকে আন্তর্জাতিক টেলিভিশনের প্রভাবে রাগবি ইউনিয়ন এবং রাগবি লিগ নামে ফুটবলের অন্যান্য কোডের আধিপত্য থাকা সত্ত্বেও "ফুটবল" শব্দটি প্রাধান্য পাচ্ছে। দেশে দেশে ফুটবল চীনে ফুটবলের মতো একাধিক খেলা প্রাচীনকাল থেকেই চালু ছিলো। এর একটা হচ্ছে কুজু / কিকিং বল। কিকিং বলের গেমগুলি একাধিক সংস্কৃতিতে খেলা হয়। চীনা প্রতিযোগিতামূলক খেলা কুজু (蹴鞠, আক্ষরিক অর্থে "কিক বল") আধুনিক অ্যাসোসিয়েশন ফুটবলের মতো। কুজু খেলোয়াড়রা হাত ছাড়া শরীরের যে কোনো অংশ ব্যবহার করতে পারত এবং উদ্দেশ্য ছিল একটি জালে বল লাথি মেরে ঢুকানো। হান রাজবংশের সময় (২০৬ BCE -২২০ CE), কুজু গেমগুলি প্রমিত করা হয়েছিল এবং নিয়ম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ফাইনিন্দা এবং এপিস্কিরোস ছিল গ্রীক বল খেলা। এথেন্সের ন্যাশনাল আর্কিওলজিক্যাল মিউজিয়ামে একটি ফুলদানিতে চিত্রিত এপিস্কাইরোস খেলোয়াড়ের একটি চিত্র উয়েফা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফিতে প্রদর্শিত হয়েছে। Athenaeus, (২২৮ CE) রোমান বল খেলা হারপাস্টামের কথা উল্লেখ করেছেন। হাত দিয়ে ফাইনিন্দা, এপিস্কিরোস এবং হারপাস্টাম বাজানো হত। এগুলো সবগুলোই আধুনিক ফুটবল হিসাবে স্বীকৃত যা রাগবি, কুস্তি এবং ভলিবলের সাথে বেশি সাদৃশ্যপূর্ণ বলে মনে হয়। অন্যান্য খেলার মধ্যে রয়েছে জাপানের কেমারি এবং কোরিয়ার চুক-গুক। উত্তর আমেরিকায় পাসুকুয়াকোহোওগ ছিল অ্যালগনকুইয়ানদের দ্বারা খেলা একটি বল খেলা; এটিকে বর্ণনা করা হয়েছে ‘ইউরোপে একই সময়ে যে ধরনের ফুটবল খেলা হচ্ছে সে রকম।’ ফুটবলের নিজস্ব কোনো ধ্রুপদী ইতিহাস নেই। বিশ্বজুড়ে খেলা অন্যান্য বল খেলার সাথে মিল থাকা সত্ত্বেও ফিফা বলেছে যে ইউরোপের বাইরে প্রাচীনকালে খেলা কোনো খেলার সাথে ঐতিহাসিক সংযোগ নেই বর্তমান ফুটবলের। ফুটবলের আধুনিক নিয়মগুলি ১৯ শতকের মাঝামাঝি সময়ে ইংল্যান্ডের পাবলিক স্কুলে খেলা বিভিন্ন ধরনের খেলার মানসম্মত করার প্রচেষ্টার উপর ভিত্তি করে তৈরী। ইংল্যান্ডে ফুটবলের ইতিহাস অন্তত অষ্টম শতাব্দী থেকে শুরু হয়। ১৮৫৬ সালের "বিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল ক্লাবের আইন" (কেমব্রিজ নিয়ম) ১৮৪৮ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরি করা কেমব্রিজ নিয়মগুলি ফুটবলসহ অন্যান্য খেলাগুলোর বিকাশে কাজ করে। কেমব্রিজের নিয়মগুলি কেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজে ইটন, হ্যারো, রাগবি, উইনচেস্টার এবং শ্রুসবারি স্কুলের প্রতিনিধিদের দ্বারা উপস্থিত একটি সভায় লেখা হয়েছিল। তবে সর্বজনীনভাবে এই আইন গৃহীত হয়নি। ১৮৫০-এর দশকে বিভিন্ন ধরনের ফুটবল খেলার জন্য ইংরেজি-ভাষী বিশ্ব জুড়ে স্কুল বা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংযোগহীন অনেক ক্লাব গঠিত হয়েছিল। কেউ কেউ তাদের নিজস্ব স্বতন্ত্র নিয়মাবলী নিয়ে এসেছিল, বিশেষ করে শেফিল্ড ফুটবল ক্লাব, যা ১৮৫৭ সালে প্রাক্তন পাবলিক স্কুলের ছাত্রদের দ্বারা গঠিত হয়েছিল, যার ফলে ১৮৬৭ সালে শেফিল্ড এফএ গঠন করা হয়েছিল। ১৮৬২ সালে আপিংহাম স্কুলের জন চার্লস থ্রিং নিয়মের একটি প্রভাবশালী সেট তৈরি করেন। এই চলমান প্রচেষ্টাগুলি ১৮৬৩ সালে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (দ্য এফএ) গঠনে অবদান রাখে, যা ২৬ অক্টোবর ১৮৬৩ সালে লন্ডনের গ্রেট কুইন স্ট্রিটের ফ্রিম্যাসনস ট্যাভার্নে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে। এই অনুষ্ঠানে প্রতিনিধিত্ব করা একমাত্র স্কুল ছিল চার্টারহাউস। ফ্রিম্যাসনস ট্যাভার্ন অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে আরও পাঁচটি মিটিং করে, অবশেষে নিয়মের প্রথম বড় সেট তৈরি করে। Ebenezer Cobb Morley এর দায়িত্বে থাকা এগারোটি ক্লাব খেলার মূল তেরোটি আইন অনুমোদন করে। এই নিয়মগুলির মধ্যে "চিহ্ন" দ্বারা বল পরিচালনা করা এবং ক্রসবার অন্তর্ভুক্ত ছিল, যে নিয়মগুলি অস্ট্রেলিয়ায় সেই সময়ে তৈরি হওয়া ভিক্টোরিয়ান নিয়মের ফুটবলের সাদৃশ্যপূর্ণ ছিল। শেফিল্ড এফএ ১৮৭০ সাল পর্যন্ত তার নিজস্ব নিয়মে খেলেছিল এবং এফএ তার কিছু নিয়ম শোষণ করেছিল যতক্ষণ না গেমগুলির মধ্যে সামান্য পার্থক্য ছিল। বিশ্বের প্রাচীনতম ফুটবল প্রতিযোগিতা হল এফএ কাপ, যেটি ফুটবলার এবং ক্রিকেটার চার্লস ডব্লিউ অ্যালকক দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং ১৮৭২ সাল থেকে ইংলিশ দলগুলি দ্বারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসছে। প্রথম আনুষ্ঠানিক আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচটিও ১৮৭২ সালে স্কটল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের মধ্যে হয়েছিল। এছাড়াও ইংল্যান্ড বিশ্বের প্রথম ফুটবল লিগের আবাসস্থল, যা ১৮৮৮ সালে বার্মিংহামে অ্যাস্টন ভিলার পরিচালক উইলিয়াম ম্যাকগ্রেগর দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। মূল বিন্যাসে মিডল্যান্ডস এবং উত্তর ইংল্যান্ডের ১২ টি ক্লাব ছিলো। মহিলা ফুটবল ফুটবলের একটি প্রাচীন সংস্করণ (সু চু) হান রাজবংশের (২৫-২২০ CE) সময়েও মহিলারা খেলেছিলেন বলে ইতিহাসে আছে। হান রাজবংশের ফ্রেস্কোতে দুটি মহিলা চিত্রিত যা তখনকার মহিলাদের খেলা সম্পর্কে নিশ্চয়তা দেয়। তবে তারিখের যথার্থতা সম্পর্কে অনেক মতামত রয়েছে। ব্রিটিশ লেডিসের "নর্থ" দল প্রথম মহিলা ফুটবল দল, ১৮৯৫ সালের মার্চ মাসে চিত্রিত একটি ছবি আছে। ১৭৯০-এর দশকে স্কটল্যান্ডের মধ্য-লোথিয়ানে মহিলাদের একটি বার্ষিক ফুটবল প্রতিযোগিতার কথাও জানা যায়। ১৮৬৩ সালে ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলি পিচে সহিংসতা নিষিদ্ধ করে যা মহিলাদের খেলার জন্য এটিকে আরও সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য করে তোলে। স্কটিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা রেকর্ড করা প্রথম ম্যাচটি ১৮৯২ সালে গ্লাসগোতে হয়েছিল। ইংল্যান্ডে, মহিলাদের মধ্যে ফুটবলের প্রথম রেকর্ড করা খেলা ১৮৯৫ সালে সংঘটিত হয়েছিল। নথিভুক্ত প্রাথমিক ইউরোপীয় দলটি ১৮৯৪ সালে ইংল্যান্ডে সক্রিয় নেটি হানিবল দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি ব্রিটিশ লেডিস ফুটবল ক্লাব নামে পরিচিত ছিল। নেটি হানিবলকে উদ্ধৃত করা হয়েছে, "আমি গত বছরের শেষের দিকে সমিতিটি প্রতিষ্ঠা করেছি, বিশ্বকে প্রমাণ করার দৃঢ় সংকল্পের সাথে যে নারীরা পুরুষদের চিত্রিত 'অলংকারিক এবং অকেজো' প্রাণী নয়। আমাকে অবশ্যই স্বীকার করতে হবে, সবার প্রতি আমার বিশ্বাস যেখানে লিঙ্গ এত ব্যাপকভাবে বিভক্ত এবং আমি সেই সময়ের অপেক্ষায় রয়েছি যখন মহিলারা সংসদে বসতে পারে এবং বিষয়গুলির দিকনির্দেশনায় একটি কণ্ঠস্বর থাকতে পারে, বিশেষ করে যেগুলি তাদের সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন করে।" হানিবল এবং তার মতো ব্যক্তিরা মহিলাদের ফুটবলের পথ তৈরি করেছিল। যাইহোক, মহিলাদের খেলাটি ব্রিটিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনগুলির দ্বারা ভ্রুকুটি করা হয়েছিল এবং তাদের সমর্থন ছাড়াই চলতে থাকে। তাদের কাছে মনে হয়েছে যে এটি গেমের 'পুরুষত্ব'-এর জন্য একটি অনুভূত হুমকি । প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় মহিলাদের ফুটবল ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, যখন ভারী শিল্পে কর্মসংস্থান খেলাটির বৃদ্ধিকে উত্সাহিত করে, যেমনটি ৫০ বছর আগে পুরুষদের ক্ষেত্রে হয়েছিল। সেই যুগের সবচেয়ে সফল দল ছিল ডিক, কের লেডিস এফ.সি. প্রেস্টন, ইংল্যান্ডের। দলটি এপ্রিলে প্যারিস, ফ্রান্সের একটি দলের বিরুদ্ধে ১৯২০ সালে প্রথম মহিলাদের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে এবং ১৯২০ সালে স্কটিশ লেডিস ইলেভেনের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ড দল তৈরি করে এবং ২২-০ গোলে জয়লাভ করে। কিছু পুরুষ ফুটবল ইভেন্টের চেয়ে বেশি জনপ্রিয় হওয়া সত্ত্বেও (একটি ম্যাচ ৫৩ হাজার জন মানুষ দেখেছিল) ইংল্যান্ডে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন মহিলাদের পিচে খেলাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। কেউ কেউ অনুমান করেছিলেন যে এটি মহিলাদের ম্যাচগুলিকে আকৃষ্ট করে এমন বিশাল জনতার প্রতি ঈর্ষার কারণেও হতে পারে। এটি ইংলিশ লেডিস ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন গঠনের দিকে পরিচালিত করে এবং খেলাটি রাগবি গ্রাউন্ডে স্থানান্তরিত হয়। ১৯ শতকের শেষের দিকে প্রথম নথিভুক্ত হওয়ার আগে থেকে মহিলারা খেলে আসছে। ১৯৬০-এর দশকের শেষের দিকে এবং ১৯৭০-এর দশকের গোড়ার দিকে যুক্তরাজ্যে মহিলাদের অ্যাসোসিয়েশন ফুটবল সংগঠিত হয়, যা অবশেষে ব্রিটিশ মহিলাদের জন্য দলগত খেলায় পরিণত হয়। নারী ফুটবলের বৃদ্ধির ফলে দেখা গেছে যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় পর্যায়েই পুরুষ প্রতিযোগিতার প্রতিফলন ঘটিয়ে বড় ধরনের প্রতিযোগিতা শুরু হচ্ছে। নারী ফুটবল অনেক সংগ্রামের সম্মুখীন হয়েছে। ১৯২০-এর দশকের গোড়ার দিকে যুক্তরাজ্যে একটি "স্বর্ণযুগ" ছিল যখন কিছু ম্যাচে দর্শক ৫০ হাজার ছুঁয়েছিলেন, এই গণজোয়ার ৫ ডিসেম্বর ১৯২১ এ বন্ধ হয়ে যায় যখন ইংল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন তার সদস্য ক্লাবগুলির দ্বারা ব্যবহৃত মাঠে মহিলাদের খেলা নিষিদ্ধ করার পক্ষে ভোট দেয়। FA এর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয় ডিসেম্বর ১৯৬৯ সালে, উয়েফা ভোট দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৭১ সালে মহিলাদের ফুটবলকে স্বীকৃতি দেয়। ফিফা মহিলা বিশ্বকাপ ১৯৯১ সালে উদ্বোধন করা হয়েছিল এবং তারপর থেকে প্রতি চার বছর পরপর অনুষ্ঠিত হচ্ছে, ১৯৯৬ সাল থেকে অলিম্পিক ইভেন্ট এ মহিলা ফুটবল সংযুক্ত হয়। নিয়মকানুন ফুটবল কোনো কোনো দেশে সকার নামেও পরিচিত, ২০০রও বেশি দেশে এই খেলা চলে। অন্তত ২৫০ মিলিয়ন মানুষ এই খেলার সাথে সংযুক্ত যা এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলায় পরিণত করেছে। সাধারণত ৯০মিনিট ধরে এই খেলা চলে। ফুটবলের বলটির পরিধি 68-70 সেমি (27-28 ইঞ্চি) হতে হয় আন্তর্জাতিকভাবে। পেনাল্টি এলাকার মধ্যে গোলরক্ষক ব্যতীত খেলোয়াড়দের খেলার সময় হাত বা বাহু দিয়ে বল স্পর্শ করার অনুমতি নেই। খেলোয়াড়রা তাদের শরীরের অন্য কোনো অংশ ব্যবহার করতে পারে। বলটি পাস করতে মাথা, পা ও বুক ব্যবহার করা যায়। খেলা শেষে যে দল বেশি গোল করেছে তারাই বিজয়ী হয়; যদি উভয় দল সমান সংখ্যক গোল করে, তবে ড্র ঘোষণা করা হয় বা খেলা অতিরিক্ত সময়ে বা পেনাল্টি শুটআউটে চলে যায়। প্রতিটি দলের অধিনায়ক শুধুমাত্র একটি অফিসিয়াল দায়িত্ব পায়-কিক-অফ বা পেনাল্টি কিকের আগে কয়েন টসে তাদের দলের প্রতিনিধিত্ব করা। ফুটবল আন্তর্জাতিকভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ অ্যাসোসিয়েশন ফুটবল (ফিফা) দ্বারা। প্রতি চার বছর পর পর পুরুষ ও মহিলাদের বিশ্বকাপের আয়োজন হয়। পুরুষদের ফিফা বিশ্বকাপ ১৯৩০ সাল থেকে, প্রতি চার বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বকাপ হয়। একইভাবে, ১৯৯১ সাল থেকে প্রতি চার বছর পর পর ফিফা নারী বিশ্বকাপ খেলা হয়ে থাকে, যদিও ফুটবলের শুরু থেকেই নারীরা খেলে আসছে কিন্তু তাদের বিশ্বকাপ বলতে কিছু ছিলো না। শুরুতে দর্শক কম থাকলেও ফ্রান্সে ২০১৯ ফিফা মহিলা বিশ্বকাপ রেকর্ড ১.১২ বিলিয়ন দর্শক দেখেছেন। ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতা হল UEFA চ্যাম্পিয়ন্স লীগ এবং UEFA মহিলা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। পুরুষদের টুর্নামেন্টের ফাইনাল সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দেখা বার্ষিক ক্রীড়া ইভেন্ট হয়েছে। শীর্ষ পাঁচটি ইউরোপীয় পুরুষ লিগ হল ১-প্রিমিয়ার লিগ (ইংল্যান্ড), ২-লা লিগা (স্পেন), ৩- বুন্দেসলিগা (জার্মানি), ৪- সেরি এ (ইতালি), এবং ৫-লীগ ওয়ান (ফ্রান্স)। অনেক টাকার লেনদেন হয় বলে এই লীগগুলোর প্রতি সারাবিশ্বের খেলোয়াড়দের নজর থাকে। প্রতিটি লিগের মোট মজুরি £600 মিলিয়ন/€763 মিলিয়ন/US$1.185 বিলিয়নের বেশি। ৬৮-৭০ সেমি (২৭-২৮ ইঞ্চি) পরিধির একটি ফুটবল ব্যবহার করে খেলা হয়, যা ফুটবল (বা সকার বল) নামে পরিচিত। এগারোজন খেলোয়াড়ের দুটি দল একে অপরের গোলে (পোস্টের মধ্যে এবং বারের নিচে) বল নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে, যার ফলে একটি গোল হয়। খেলা শেষে যে দল বেশি গোল করেছে তারাই বিজয়ী হয়; উভয় দল সমান সংখ্যক গোল করলে খেলাটি ড্র হয়। প্রতিটি দলের নেতৃত্বে একজন অধিনায়ক থাকে যার শুধুমাত্র একটি অফিসিয়াল দায়িত্ব থাকে খেলার আইন অনুসারে: কিক-অফ বা পেনাল্টি কিকের আগে কয়েন টসে তাদের দলের প্রতিনিধিত্ব করা। প্রাথমিক আইন হল যে গোলরক্ষক ব্যতীত অন্য খেলোয়াড়রা খেলার সময় ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের হাত বা বাহু দিয়ে বল পরিচালনা করতে পারে না, যদিও থ্রো-ইন রিস্টার্টের সময় তাদের অবশ্যই তাদের উভয় হাত ব্যবহার করতে হবে। খেলোয়াড়রা সাধারণত তাদের পা ব্যবহার করে বলকে চারপাশে সরানোর জন্য তারা তাদের হাত বা বাহু ব্যতীত তাদের শরীরের যে কোন অংশ ব্যবহার করতে পারে । স্বাভাবিক খেলার মধ্যে সমস্ত খেলোয়াড় যে কোন দিকে বল খেলতে এবং পুরো পিচ জুড়ে চলাফেরা করতে পারে, যদিও খেলোয়াড়রা অফসাইড অবস্থানে থাকা সতীর্থদের কাছে যেতে পারে না। গেমপ্লে চলাকালীন, খেলোয়াড়রা বলের স্বতন্ত্র নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে গোল করার সুযোগ তৈরি করার চেষ্টা করে, যেমন ড্রিবলিং করে, সতীর্থের কাছে বল পাস করে এবং গোলে শট নেওয়ার মাধ্যমে, যা প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক দ্বারা বাঁধাগ্রস্ত হতে থাকে। বিরোধী খেলোয়াড়রা একটি পাস বাধা দিয়ে বা বলের দখলে থাকা প্রতিপক্ষকে ট্যাকল করার মাধ্যমে বলের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করতে পারে; যাইহোক, বিরোধীদের মধ্যে শারীরিক যোগাযোগ সীমাবদ্ধ। ফুটবল সাধারণত একটি মুক্ত খেলা, যেখানে বল খেলার মাঠ ছেড়ে চলে গেলে বা নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য রেফারি খেলা বন্ধ করলেই খেলা বন্ধ হয়ে যায়। একটি পেশাদার স্তরে, বেশিরভাগ ম্যাচে শুধুমাত্র কয়েকটি গোল হয়। উদাহরণস্বরূপ, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ২০০৫-০৬ মৌসুমে প্রতি ম্যাচে গড়ে ২.৪৮টি গোল হয়েছে। খেলার আইন গোলরক্ষক ছাড়া অন্য কোনো খেলোয়াড়ের অবস্থান নির্দিষ্ট করে না। এর মধ্যে তিনটি প্রধান বিভাগ রয়েছে: স্ট্রাইকার বা ফরোয়ার্ড, যাদের প্রধান কাজ গোল করা; ডিফেন্ডার, যারা তাদের প্রতিপক্ষকে গোল করা থেকে বিরত রাখতে পারদর্শী; এবং মিডফিল্ডার যারা প্রতিপক্ষকে অপসারণ করে এবং তাদের দলের ফরোয়ার্ডদের কাছে বল পাস করার জন্য নিজের দখলে রাখে। এই পজিশনে থাকা খেলোয়াড়দেরকে আউটফিল্ড প্লেয়ার বলা হয়, যাতে তাদের গোলরক্ষক থেকে আলাদা করা যায়। উদাহরণস্বরূপ কেন্দ্রীয় ডিফেন্ডার এবং বাম এবং ডান মিডফিল্ডার আছে। দশ আউটফিল্ড খেলোয়াড় যে কোনো সমন্বয়ে সাজানো হতে পারে। প্রতিটি পজিশনে খেলোয়াড়ের সংখ্যা দলের খেলার ধরন নির্ধারণ করে; আরও বেশি ফরোয়ার্ড এবং কম ডিফেন্ডার একটি আরও আক্রমণাত্মক এবং আক্রমণাত্মক-মনোভাবের খেলা তৈরি করে, যখন বিপরীতটি একটি ধীর, আরও রক্ষণাত্মক খেলার শৈলী তৈরি করে। যদিও খেলোয়াড়রা সাধারণত একটি নির্দিষ্ট অবস্থানে খেলার বেশিরভাগ সময় ব্যয় করে, খেলোয়াড়ের চলাচলের উপর কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে এবং খেলোয়াড়রা যেকোনো সময় অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে। একটি দলের খেলোয়াড়দের বিন্যাস একটি গঠন হিসাবে পরিচিত। দলের গঠন এবং কৌশল নির্ধারণ করা সাধারণত দলের ম্যানেজার করে থাকে। গেমের অফিসিয়াল আইনে ১৭টি আইন রয়েছে। একই আইনগুলি ফুটবলের সমস্ত স্তরে প্রযোজ্য করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যদিও জুনিয়র, সিনিয়র, মহিলা এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মতো গ্রুপগুলির জন্য কিছু পরিবর্তন অনুমোদিত। আইনগুলি প্রায়শই বিস্তৃত পদে প্রণীত হয়, যা নমনীয়তার অনুমতি দেয়। একটি ফুটবল ম্যাচে রেফারি দায়িত্ব পালন করেন। প্রতিটি দলে সর্বোচ্চ এগারো জন খেলোয়াড় থাকে (বিকল্প খেলোয়াড় ব্যতীত), যাদের একজনকে অবশ্যই গোলরক্ষক হতে হবে, সাধারণত সাতজন হলেই খেলা সম্ভব। গোলরক্ষকই একমাত্র খেলোয়াড় যারা তাদের হাত বা বাহু দিয়ে বল খেলার অনুমতি দেয়, তবে তারা তাদের নিজস্ব গোলের সামনে পেনাল্টি এলাকায় তা করে। যদিও বিভিন্ন পজিশন আছে যেখানে আউটফিল্ড (নন-গোলরক্ষক) খেলোয়াড়দের কৌশলগতভাবে একজন কোচ দ্বারা স্থাপন করা হয়, এই অবস্থানগুলি আইন দ্বারা সংজ্ঞায়িত বা প্রয়োজনীয় নয়। প্রাথমিক সরঞ্জাম বা কিট প্লেয়ারদের পরতে হবে একটি শার্ট, শর্টস, মোজা, পাদুকা এবং পর্যাপ্ত শিন গার্ড। একটি অ্যাথলেটিক সমর্থক এবং প্রতিরক্ষামূলক ক্যাপ। হেডগিয়ার মৌলিক সরঞ্জামের একটি প্রয়োজনীয় অংশ নয়, তবে খেলোয়াড়রা মাথার আঘাত থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য এটি পরতে পছন্দ করতে পারে। খেলোয়াড়দের নিজেদের বা অন্য খেলোয়াড়ের জন্য বিপজ্জনক, যেমন গয়না বা ঘড়ি পরা বা ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। গোলরক্ষককে অবশ্যই এমন পোশাক পরতে হবে যা অন্য খেলোয়াড় এবং ম্যাচ কর্মকর্তাদের পরিধান থেকে সহজেই আলাদা করা যায়। খেলা চলাকালীন অনেক খেলোয়াড়কে বিকল্প দ্বারা প্রতিস্থাপিত করা হতে পারে। বেশিরভাগ প্রতিযোগিতামূলক আন্তর্জাতিক এবং ঘরোয়া লিগ গেমগুলিতে সর্বাধিক সংখ্যক প্রতিস্থাপনের অনুমতি দেওয়া হয়। বদলির সাধারণ কারণগুলির মধ্যে রয়েছে আঘাত, ক্লান্তি, অকার্যকরতা, একটি কৌশলগত পরিবর্তন, বা সূক্ষ্মভাবে সাজানো খেলার শেষে সময় নষ্ট করা। স্ট্যান্ডার্ড প্রাপ্তবয়স্কদের ম্যাচে, একজন খেলোয়াড় যে বদলি হয়েছে সে ম্যাচে আর অংশ নিতে পারবে না। FAB সুপারিশ করে যে "যেকোনও দলে সাতজনের কম খেলোয়াড় থাকলে একটি ম্যাচ চালিয়ে যাওয়া উচিত নয়"। পরিত্যক্ত খেলার জন্য দেওয়া পয়েন্ট সংক্রান্ত যেকোনো সিদ্ধান্ত পৃথক ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের উপর ছেড়ে দেওয়া হয়। রেফারি একটি খেলা একজন রেফারি দ্বারা পরিচালিত হয়, যার "যে ম্যাচের জন্য তাকে নিযুক্ত করা হয়েছে সেই ম্যাচের সাথে খেলার আইন প্রয়োগ করার সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব রয়েছে" (আইন 5), এবং যার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। রেফারিকে সহায়তা করেন দুই সহকারী রেফারি। অনেক উচ্চ-স্তরের খেলায় একজন চতুর্থ কর্মকর্তাও থাকেন যিনি রেফারিকে সহায়তা করেন এবং প্রয়োজন দেখা দিলে অন্য কর্মকর্তাকে প্রতিস্থাপন করতে পারেন। গোটা বল গোল-লাইন অতিক্রম করেছে কিনা তা পরিমাপ করতে গোল লাইন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় যার ফলে একটি গোল হয়েছে কিনা তা নির্ধারণ করা হয়; বিতর্ক এড়াতে এটি আনা হয়েছিল। উচ্চ-স্তরের ম্যাচে ভিডিও সহকারী রেফারি (ভিএআর) ক্রমবর্ধমানভাবে চালু করা হয়েছে যাতে স্পষ্ট এবং স্পষ্ট ভুলগুলি সংশোধন করতে ভিডিও রিপ্লের মাধ্যমে কর্মকর্তাদের সহায়তা করা হয়। চার ধরনের কল রয়েছে যা পর্যালোচনা করা যেতে পারে: লাল বা হলুদ কার্ড প্রদানের ক্ষেত্রে ভুল পরিচয়, গোল এবং বিল্ডআপের সময় লঙ্ঘন হয়েছে কিনা, সরাসরি লাল কার্ডের সিদ্ধান্ত এবং শাস্তির সিদ্ধান্ত হয়। বল বলটি ৬৮ থেকে ৭০ সেমি (২৭ এবং ২৮ ইঞ্চি) পরিধি সহ গোলাকার হতে হয়, ওজন ৪১০ থেকে ৪৫০ গ্রাম হতে হবে। অতীতে বলটি চামড়ার প্যানেল দিয়ে তৈরি করা হত, কিন্তু গেমের সব স্তরে এখন আধুনিক বল দিয়ে খেলা হয়। সময়কাল এবং টাই-ব্রেকিং পদ্ধতি 90 মিনিটের সাধারণ সময় একটি সাধারণ প্রাপ্তবয়স্ক ফুটবল ম্যাচের প্রতিটিতে ৪৫ মিনিটের দুই-অর্ধাংশ থাকে। প্রতিটি অর্ধেক একটানা চলে, যার মানে বল খেলার বাইরে থাকলে ঘড়ির কাঁটা বন্ধ হয় না। অর্ধেকগুলির মধ্যে সাধারণত ১৫ মিনিটের অর্ধ-সময় বিরতি থাকে। ম্যাচের সমাপ্তি পূর্ণকালীন হিসেবে পরিচিত। রেফারি হল ম্যাচের অফিসিয়াল টাইমকিপার, এবং বদলি, আহত খেলোয়াড়দের মনোযোগের প্রয়োজন বা অন্যান্য স্টপেজের মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া সময়ের জন্য আলাদা সময় দিতে পারে। এই যোগ করা সময়টিকে ফিফা নথিতে অতিরিক্ত সময় বলা হয়। তবে সাধারণত এটিকে স্টপেজ টাইম বা ইনজুরি টাইম হিসাবে উল্লেখ করা হয়, বিরতির সময়কাল রেফারির নিজস্ব বিবেচনার ভিত্তিতে। স্টপেজ টাইম সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিপূরণ দেয় না যে সময়ে বল খেলার বাইরে থাকে এবং একটি ৯০-মিনিটের খেলায় সাধারণত প্রায় এক ঘন্টা "কার্যকর খেলার সময়" থাকে। রেফারি ম্যাচ শেষে বাঁশি দিয়ে ম্যাচ শেষের ইঙ্গিত দেন। ম্যাচগুলিতে যেখানে চতুর্থ কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়, অর্ধের শেষের দিকে, রেফারি সংকেত দেয় যে তারা কত মিনিট স্টপেজ টাইম যোগ করতে চায়। চতুর্থ কর্মকর্তা তারপরে এই নম্বরটি দেখানো একটি বোর্ড ধরে খেলোয়াড় এবং দর্শকদের জানান। সংকেত স্টপেজ সময় রেফারি দ্বারা আরও বাড়ানো যেতে পারে। ১৮৯১ সালে স্টোক এবং অ্যাস্টন ভিলার মধ্যে একটি ম্যাচ চলাকালীন একটি ঘটনার কারণে অতিরিক্ত সময় চালু করা হয়েছিল। ১-০ পিছিয়ে এবং মাত্র দুই মিনিট বাকি থাকতে স্টোককে পেনাল্টি দেওয়া হয়। ভিলার গোলরক্ষক বলটিকে মাটি থেকে বের করে দেন এবং বলটি পুনরুদ্ধার করার সময় 90 মিনিট অতিবাহিত হয় এবং খেলা শেষ হয়, এই সময় খেলার আইনে পরিবর্তন আসে। টাই-ব্রেকিং বেশিরভাগ ফুটবল প্রতিযোগিতায় একটি ম্যাচ ড্র হলে বিজয়ী নির্ধারণ করতে পেনাল্টি শুটআউট ব্যবহার করা হয়। লীগ প্রতিযোগিতায় খেলাগুলি ড্রতে শেষ হতে পারে। নকআউট প্রতিযোগিতায় যেখানে একজন বিজয়ীর প্রয়োজন হয় এই ধরনের অচলাবস্থা ভাঙার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে; কিছু প্রতিযোগিতা রিপ্লে আহ্বান করতে পারে। রেগুলেশন টাইম শেষে বাঁধা খেলা অতিরিক্ত সময়ে যেতে পারে, যার মধ্যে আরও দুটি ১৫-মিনিট সময় থাকে। অতিরিক্ত সময়ের পরেও যদি স্কোর সমান থাকে, তবে কোন দল টুর্নামেন্টের পরবর্তী পর্যায়ে অগ্রসর হবে তা নির্ধারণ করতে কিছু প্রতিযোগিতায় পেনাল্টি শুটআউট ব্যবহারের অনুমতি দেয়। অতিরিক্ত সময়ের মধ্যে করা গোলগুলি খেলার চূড়ান্ত স্কোরের জন্য গণনা করা হয়, তবে পেনাল্টি মার্ক থেকে কিকগুলি শুধুমাত্র টুর্নামেন্টের পরবর্তী অংশে অগ্রসর হওয়া দলকে নির্ধারণ করতে ব্যবহৃত হয় (যেমন পেনাল্টি শ্যুটআউটে করা গোলগুলি খেলার চূড়ান্ত স্কোর এর অংশ নয়)। প্রতিটি দল একবার ঘরের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে, আরেকবার প্রতিপক্ষের মাঠে খেলে। দুই ম্যাচের সমষ্টিগত স্কোর দিয়ে সিদ্ধান্ত নেয় কোন দল এগিয়েছে। যেখানে সমষ্টি সমান, সেখানে বিজয়ী নির্ধারণের জন্য অ্যাওয়ে গোলের নিয়ম ব্যবহার করা হতে পারে, এই ক্ষেত্রে বিজয়ী সেই দলটি যেটি তারা ঘরের বাইরে খেলে সবচেয়ে বেশি গোল করেছে। ফলাফল এখনও সমান হলে, অতিরিক্ত সময় এবং সম্ভাব্য একটি পেনাল্টি শুটআউট প্রয়োজন হয়। বল খেলার মাঠে ও খেলার বাইরে কিক-অফের সাথে প্রতিটি খেলার সময়কালের শুরু থেকে খেলার সময়কাল শেষ হওয়া পর্যন্ত বলটি খেলার মাঠ ছেড়ে চলে যাওয়া বা রেফারি দ্বারা খেলা বন্ধ করা ব্যতীত সর্বদা বল খেলার মধ্যে থাকে। থ্রো-ইন: যখন বল টাচলাইন অতিক্রম করে; প্রতিপক্ষ দলকে পুরস্কৃত করা হয় বল থ্রো করতে দিয়ে। গোল কিক: যখন বলটি গোল না করে সম্পূর্ণভাবে গোল লাইন অতিক্রম করে এবং আক্রমণকারী দলের একজন খেলোয়াড় দ্বারা শেষবার স্পর্শ করা হয়; তখন গোলকিক ঘোষণা হয়। কর্নার কিক: যখন বলটি গোল না করে সম্পূর্ণভাবে গোল লাইন অতিক্রম করে এবং শেষবার ডিফেন্ডিং দলের একজন খেলোয়াড় দ্বারা স্পর্শ করা হয়; পরোক্ষ ফ্রি কিক: "অ-দণ্ডনীয়" ফাউল, নির্দিষ্ট কারিগরি লঙ্ঘন, বা নির্দিষ্ট ফাউল না ঘটিয়ে প্রতিপক্ষকে সতর্ক করার জন্য বা আউট করার জন্য খেলা বন্ধ করা হলে । ডাইরেক্ট ফ্রি কিক: নির্দিষ্ট তালিকাভুক্ত "পেনাল" ফাউলের পর ফাউল করা দলকে দেওয়া হয়। সরাসরি ফ্রি কিক থেকে একটি গোল করা যেতে পারে। পেনাল্টি কিক: ফাউলের পর ফাউল করা দলকে দেওয়া হয় যা সাধারণত সরাসরি ফ্রি কিক দ্বারা শাস্তিযোগ্য কিন্তু তা তাদের প্রতিপক্ষের পেনাল্টি এলাকায় ঘটেছে। ড্রপড-বল: যখন রেফারি অন্য কোনো কারণে খেলা বন্ধ করে দেন, যেমন একজন খেলোয়াড়ের গুরুতর আঘাত, বাইরের পক্ষের হস্তক্ষেপ। ফাউল খেলোয়াড়দের হলুদ কার্ড দিয়ে সতর্ক করা হয় এবং লাল কার্ড দিয়ে খেলা থেকে বরখাস্ত করা হয়। এই রঙগুলি প্রথম ১৯৭০ সালের ফিফা বিশ্বকাপে প্রবর্তিত হয়েছিল এবং তারপর থেকে ধারাবাহিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে। একটি ফাউল ঘটে যখন একজন খেলোয়াড় বল খেলার সময় খেলার আইনে তালিকাভুক্ত একটি অপরাধ করে। যে অপরাধগুলি একটি ফাউল গঠন করে সেগুলি আইন ১২-এ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবে বল পরিচালনা করা, প্রতিপক্ষকে ট্রিপ করা বা প্রতিপক্ষকে ধাক্কা দেওয়া, "পেনাল ফাউল" এর উদাহরণ, যেখানে অপরাধটি ঘটেছে তার উপর নির্ভর করে সরাসরি ফ্রি কিক বা পেনাল্টি কিক দ্বারা শাস্তিযোগ্য। অন্যান্য ফাউল একটি পরোক্ষ ফ্রি কিক দ্বারা শাস্তিযোগ্য। রেফারি একজন খেলোয়াড় বা বিকল্পের অসদাচরণের জন্য সতর্কতা (হলুদ কার্ড) বা বরখাস্ত (লাল কার্ড) দ্বারা শাস্তি দিতে পারেন। একই খেলায় একটি দ্বিতীয় হলুদ কার্ড একটি লাল কার্ডের দিকে পরিচালিত করে, যার ফলে বরখাস্ত হয় খেলোয়াড়। একটি হলুদ কার্ড দেওয়া একজন খেলোয়াড়কে "বুক করা হয়েছে" বলা হয়, রেফারি তাদের অফিসিয়াল নোটবুকে প্লেয়ারের নাম লেখেন। যদি কোনো খেলোয়াড় আউট হয়ে যায়, তাহলে তাদের জায়গায় কোনো বিকল্প আনা যাবে না এবং খেলোয়াড় পরবর্তী খেলায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। অসদাচরণ যে কোনো সময়ে ঘটতে পারে, এবং যখন অসদাচরণ গঠন করে এমন অপরাধগুলি তালিকাভুক্ত করা হয়, বিশেষ করে খেলার চেতনা লঙ্ঘন করে এমন বেশিরভাগ ইভেন্টের সাথে মোকাবিলা করার জন্য "অ-ক্রীড়াহীন আচরণ" অপরাধ হিসেবে গন্য, এমনকি যদি সেগুলি নির্দিষ্ট অপরাধ হিসাবে তালিকাভুক্ত নাও হয়। একজন রেফারি একজন খেলোয়াড়কে হলুদ বা লাল কার্ড দেখাতে পারেন। অ-খেলোয়াড় যেমন ম্যানেজার এবং সাপোর্ট স্টাফদের হলুদ বা লাল কার্ড দেখানো যাবে না কিন্তু কারিগরি এলাকা থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে যদি তারা নিজেদের দায়িত্বশীলভাবে আচরণ করতে ব্যর্থ হয়। খেলা বন্ধ করার পরিবর্তে, রেফারি খেলা চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিতে পারেন যদি তা করা দলের জন্য উপকারী হয় যার বিরুদ্ধে একটি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। রেফারি "কল ব্যাক" খেলতে পারেন এবং মূল অপরাধটিকে শাস্তি দিতে পারেন যদি "কয়েক সেকেন্ডের" মধ্যে প্রত্যাশিত সুবিধা না পাওয়া যায়। সমস্ত অন-পিচ বিষয়ে রেফারির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হয়। খেলার পরে ম্যাচের স্কোর পরিবর্তন করা যায় না, এমনকি যদি পরবর্তী প্রমাণগুলি দেখায় যে সিদ্ধান্তগুলি (অ্যাওয়ার্ড/গোলগুলির অ-পুরস্কার সহ) ভুল ছিল। মাঠের বাইরে খেলাধুলার সাধারণ প্রশাসনের পাশাপাশি, ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এবং প্রতিযোগিতার সংগঠকরাও খেলার বিস্তৃত দিকগুলিতে ভাল আচরণ প্রয়োগ করে, প্রেসে মন্তব্য, ক্লাবের আর্থিক ব্যবস্থাপনা, ডোপিং, বয়স জালিয়াতি এবং ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতো সমস্যাগুলি মোকাবেলা করে। বেশিরভাগ প্রতিযোগিতাই খেলোয়াড়দের জন্য বাধ্যতামূলক সাসপেনশন বলবৎ করে যারা একটি খেলায় বিদায় নেয়। মাঠের কিছু ঘটনা, যদি খুব গুরুতর বলে বিবেচিত হয় (যেমন জাতিগত নিপীড়নের অভিযোগ), সাধারণত লাল কার্ডের সাথে জড়িতদের তুলনায় ভারী নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত হতে পারে। এই ধরনের লঙ্ঘনের জন্য নিষেধাজ্ঞাগুলি ব্যক্তিদের উপর বা সামগ্রিকভাবে ক্লাবগুলির উপর আরোপ করা যেতে পারে। শাস্তির মধ্যে জরিমানা, পয়েন্ট কাটা (লিগ প্রতিযোগিতায়) বা এমনকি প্রতিযোগিতা থেকে বহিষ্কার অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ইংলিশ ফুটবল লিগ আর্থিক প্রশাসনে প্রবেশকারী যেকোনো দল থেকে ১২ পয়েন্ট কেটে নেয়। ফুটবল সংস্থাসমূহ ফুটবলের স্বীকৃত আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা (যেমন ফুটবল, ফুটসাল এবং বিচ সকার) হল ফিফা। ফিফার সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জুরিখে অবস্থিত। ছয়টি আঞ্চলিক কনফেডারেশন ফিফার সাথে যুক্ত; এগুলো হল এশিয়া: এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) আফ্রিকা: আফ্রিকান ফুটবল কনফেডারেশন (CAF) ইউরোপ: ইউনিয়ন অফ ইউরোপিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (UEFA) উত্তর/মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান: কনফেডারেশন অফ নর্থ, সেন্ট্রাল আমেরিকান অ্যান্ড ক্যারিবিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফুটবল (কনকাকাফ) ওশেনিয়া: ওশেনিয়া ফুটবল কনফেডারেশন (OFC) দক্ষিণ আমেরিকা: Confederación Sudamericana de Fútbol (দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেশন; CONMEBOL) আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার সাথে সম্পর্কিত নিয়ম, খেলার প্রকৃত আইন আন্তর্জাতিক ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ড দ্বারা সেট করা হয়, যেখানে ইউকে অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিটির একটি করে ভোট রয়েছে, যেখানে ফিফার সম্মিলিতভাবে চারটি ভোট রয়েছে। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবলের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা এবং বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দেখা ক্রীড়া ইভেন্ট। ফুটবলের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাগুলি মূলত দুটি ধরণের নিয়ে গঠিত: প্রতিনিধি জাতীয় দল বা একাধিক দেশ এবং জাতীয় লীগে থাকা ক্লাবগুলির সাথে জড়িত প্রতিযোগিতাগুলি। আন্তর্জাতিক ফুটবল, যোগ্যতা ছাড়াই, প্রায়শই প্রাক্তনদের বোঝায়। আন্তর্জাতিক ক্লাব প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে, এটি জড়িত ক্লাবগুলির উৎপত্তির দেশ, তাদের খেলোয়াড়দের জাতীয়তা নয়, যা প্রতিযোগিতাটিকে আন্তর্জাতিক প্রকৃতিতে উপস্থাপন করে। ফুটবলের প্রধান আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা হল ফিফা কর্তৃক আয়োজিত বিশ্বকাপ। এই প্রতিযোগিতাটি ১৯৩০ সাল থেকে প্রতি চার বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ২০০টি জাতীয় দল ফাইনালে স্থানের জন্য মহাদেশীয় কনফেডারেশনের সুযোগের মধ্যে যোগ্যতা অর্জনকারী টুর্নামেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। ফাইনাল টুর্নামেন্ট, যা প্রতি চার বছরে অনুষ্ঠিত হয়, এতে ৩২টি জাতীয় দল চার সপ্তাহের সময় ধরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। বিশ্বে এমনকি অলিম্পিক গেমসকেও ছাড়িয়ে গেছে এর জনপ্রিয়তা; ২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপের সমস্ত ম্যাচের ক্রমবর্ধমান দর্শকের সংখ্যা ছিল ২৬ বিলিয়ন এবং আনুমানিক ৭১৫ মিলিয়ন লোক ফাইনাল ম্যাচটি দেখছে, যা গ্রহের সমগ্র জনসংখ্যার নবমাংশ। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স, যারা রাশিয়ায় ২০১৮ সালের টুর্নামেন্টে তাদের দ্বিতীয় শিরোপা জিতেছে। ফিফা মহিলা বিশ্বকাপ ১৯৯১ সাল থেকে প্রতি চার বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। টুর্নামেন্টের বর্তমান বিন্যাসের অধীনে, জাতীয় দলগুলি তিন বছরের যোগ্যতা পর্বে ২৩টি স্লটের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। (আয়োজক দেশের দল স্বয়ংক্রিয়ভাবে ২৪ তম স্লটে প্রবেশ করে।) ১৯০০ সাল থেকে প্রতি গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গেমসে একটি ফুটবল টুর্নামেন্ট হয়েছে, বিশ্বকাপ শুরুর আগে অলিম্পিক (বিশেষ করে ১৯২০-এর দশকে) ছিল সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক ইভেন্ট। মূলত, টুর্নামেন্টটি শুধুমাত্র অপেশাদারদের জন্য ছিল। পেশাদারিত্ব বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে বিশ্বকাপ এবং অলিম্পিকের মধ্যে মানের ব্যবধান আরও প্রসারিত হয়েছে। যে দেশগুলি সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছিল সেগুলি হল পূর্ব ইউরোপের সোভিয়েত ব্লকের দেশগুলি, যেখানে শীর্ষ ক্রীড়াবিদরা অপেশাদার হিসাবে তাদের মর্যাদা বজায় রেখেছে। বিশ্বকাপের পরে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা হল মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়নশিপ, যা প্রতিটি মহাদেশীয় কনফেডারেশন দ্বারা সংগঠিত হয় এবং জাতীয় দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা হয়। এগুলো হল ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ (UEFA), কোপা আমেরিকা (CONMEBOL), আফ্রিকান কাপ অফ নেশনস (CAF), এশিয়ান কাপ (AFC), কনকাকাফ গোল্ড কাপ (CONCACAF) এবং OFC নেশনস কাপ (OFC)। ফিফা কনফেডারেশন কাপ ছয়টি মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়নশিপের বিজয়ী, বর্তমান ফিফা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন এবং পরবর্তী বিশ্বকাপ আয়োজনকারী দেশ দ্বারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। এটিকে সাধারণত আসন্ন ফিফা বিশ্বকাপের জন্য একটি প্রস্তুতিমূলক টুর্নামেন্ট হিসেবে বিবেচনা করা হতো এবং এটি বিশ্বকাপের মতোই মর্যাদা বহন করে। ২০১৭ সালের পর টুর্নামেন্টটি বন্ধ হয়ে যায়। ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতাগুলি হল সংশ্লিষ্ট মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়নশিপ, যেগুলি সাধারণত জাতীয় চ্যাম্পিয়নদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা হয়, উদাহরণস্বরূপ ইউরোপের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং দক্ষিণ আমেরিকার কোপা লিবার্তোডোরেস। প্রতিটি মহাদেশীয় প্রতিযোগিতার বিজয়ীরা ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নেয়। ঘরোয়া প্রতিযোগিতা একটি ঘরোয়া মৌসুম লিগ সিস্টেমে পরিচালিত হয়, এগুলো সাধারণত কয়েকটি বিভাগ নিয়ে গঠিত হয় যেখানে দলগুলির ফলাফলের উপর নির্ভর করে পুরো মৌসুমে পয়েন্ট অর্জন করে। দলগুলিকে টেবিলের মধ্যে স্থাপন করা হয়, তাদের অর্জিত পয়েন্ট অনুসারে ক্রমানুসারে স্থাপন করা হয়। সাধারণত, প্রতিটি দল রাউন্ড-রবিন টুর্নামেন্টে প্রতিটি মওসুমে হোম এবং অ্যাওয়েতে তার লিগে অন্য দলের সাথে খেলে। এক মৌসুম শেষে শীর্ষ দলকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়। শীর্ষ কয়েকটি দল একটি উচ্চ বিভাগে উন্নীত হতে পারে, এবং এক বা একাধিক দল নীচে সমাপ্ত একটি নিম্ন বিভাগে relegated হয়.
পর্তুগাল জাতীয় ফুটবল দল (পর্তুগিজ: Seleção Portuguesa de Futebol, ইংরেজি: Portugal national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে পর্তুগালের প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম পর্তুগালের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা পর্তুগিজ ফুটবল ফেডারেশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯২৩ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৫৪ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা উয়েফার সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯২১ সালের ১৮ই ডিসেম্বর তারিখে, পর্তুগাল প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; স্পেনের মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে পর্তুগাল স্পেনের কাছে ৩–১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল। পর্তুগাল হচ্ছে উয়েফা নেশনস লীগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন, যারা ২০১৯ সালে নেদারল্যান্ডসকে ১–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করেছে।
শেখ মুজিবুর রহমান (১৭ই মার্চ ১৯২০ – ১৫ই আগস্ট ১৯৭৫), সংক্ষিপ্তাকারে শেখ মুজিব বা বঙ্গবন্ধু, ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি ভারত বিভাজন আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন এবং পরবর্তীকালে পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে কেন্দ্রীয়ভাবে নেতৃত্ব প্রদান করেন। শুরুতে তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি, এরপর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং পরবর্তীকালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক স্বায়ত্তশাসন অর্জনের প্রয়াস এবং পরবর্তীকালে ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পেছনের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমানকে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হিসেবে কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে বাংলাদেশের “জাতির জনক” বা “জাতির পিতা” হিসেবে অভিহিত করা হয়। এছাড়াও তাকে প্রাচীন বাঙালি সভ্যতার আধুনিক স্থপতি ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। জনসাধারণের কাছে তিনি “শেখ মুজিব” বা “শেখ সাহেব” নামে এবং তার উপাধি “বঙ্গবন্ধু” হিসেবেই অধিক পরিচিত। তার কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী।
২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ (ইংরেজি: 2026 FIFA World Cup) চতুর্বার্ষিক আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা ফিফা বিশ্বকাপের ২৩তম আসর হবে।কানাডা,মেক্সিকো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই তিনটি দেশ একসাথে ফিফা বিশ্বকাপ এর ২৩ তম আসর আয়োজন করবে। কাতারে ১০ মে ২০১৭ তারিখে ফিফা সম্রম জন্য পূর্বে নির্ধারিত হোস্ট নিয়োগের সাথে ২০১৫ সালে শুরু করার দরুন দরপত্র প্রক্রিয়া শুরু হয়। ২০১৮ (রাশিয়ার) অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে ১০ জুন ২০১৫ তারিখে, ঘোষণা করা হয়েছিল যে দরপত্র প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে, এবং ২০১৬ সালে দরপতনের প্রক্রিয়াটি পুনরায় শুরু করা হয়েছে, আগের প্রতিযোগিতায় দুর্নীতির অভিযোগগুলির মধ্যে, পাশাপাশি ২০২২ সালে (কাতার) ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ফিফার ৩২ টি দলের কাছ থেকে অনুমোদনের পর টুর্নামেন্টটিতে ৪৮ টি দল অংশগ্রহণ করবে।
১৯৩০ ফিফা বিশ্বকাপ ছিল প্রথম অনুষ্ঠিত কোন ফুটবল বিশ্বকাপ। জুলাই ১৩ থেকে জুলাই ৩০ পর্যন্ত এটি উরুগুয়েতে অনুষ্ঠিত হয়। ফিফা ১৯২৯ সালের বার্সেলোনা সেমিনারে উরুগুয়েকে বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব দেয় কেননা সেবছর উরুগুয়ের স্বাধীনতার শতবর্ষে পা দিয়েছিল এবং উরুগুয়ে ফুটবল দল সফল ভাবে ১৯২৮ গ্রীষ্ম অলিম্পিকে ফুটবল শিরোপা জিতেছিল।
মুসলমান জনসংখ্যা বলতে বিশ্বে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা বোঝায়। ২০০৯-এ পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে বিশ্বে মোট জনসংখ্যার প্রায় চার ভাগের এক ভাগ মুসলমান। এ গবেষণা অনুযায়ী বর্তমানে পৃথিবীর জনসংখ্যা প্রায় ৭৫৫ কোটি যার মধ্যে মুসলমানদের সংখ্যা প্রায় ১৯০ কোটি,বিশ্বের প্রায় ৫৬ টি দেশ মুসলিম প্রধান ।অর্থাৎ বর্তমান বিশ্বে মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৩ শতাংশ মুসলমান । আর মুসলমানদের মধ্যে প্রায় ২০ শতাংশ এশিয়া মহাদেশে বসবাস করে। ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ২০ কোটি ৩০ লাখ মুসলমান বাস করে যা বিশ্বে মোট মুসলমান জনসংখ্যার প্রায় ১৩%। পাকিস্তানে ১৭ কোটি ৪০ লাখ, ভারতে ১৭ কোটি ৭২ লাখ, বাংলাদেশে ১৪ কোটি ৫০ লাখ, এবং ইরান ও তুরস্কে ৭ কোটি ৪০ লাখ মুসলিম বসবাস করে । এই ছয় দেশে বিশ্বের মোট মুসলমান জনসংখ্যার প্রায় ৫৩% বাস। আর এর মধ্যে এশিয়াতে বাস প্রায় ৮৫%। এশিয়ার মুসলমানদের মধ্যে আবার প্রায় অর্ধেক বাস করে দক্ষিণ এশিয়ায় । মধ্যপ্রাচ্যে ও উত্তর আফ্রিকায় ৩১ কোটি ৫০ লাখ মুসলমান বসবাস করে। নিম্ন-সাহারা এলাকায় প্রায় ২৪ কোটি মুসলিমের বসবাস, যা মোট মুসলমান জনসসংখ্যার প্রায় ১৫%। তাছাড়া প্রায় ৩০ কোটি মুসলমান বাস করে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে। ভারতে মুসলিমদের সংখ্যা বিশ্বে তৃতীয়, যা ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তানের পরে। চীনে জনসংখ্যার প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মুসলমান যা সিরিয়ার থেকে বেশি অন্যদিকে রাশিয়ার মুসলমান জনসংখ্যা ১ কোটি ৬০ লাখ যা জর্ডান ও লিবিয়া দুই দেশের মুসলমান জনগোষ্ঠীর চেয়েও বেশি। ইউরোপে প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ মুসলমান বসবাস করে ।
জার্মানি জাতীয় ফুটবল দল (জার্মান: Deutsche Fußballnationalmannschaft, ইংরেজি: Germany national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে জার্মানির প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম জার্মানির ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯০৪ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৫৪ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা উয়েফার সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯০৮ সালের ৫ই এপ্রিল তারিখে, জার্মানি প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; সুইজারল্যান্ডের বাজেলের অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে জার্মানি সুইজারল্যান্ডের কাছে ৫–৩ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে। জার্মানি হচ্ছে ফিফা কনফেডারেশন্স কাপের শেষ চ্যাম্পিয়ন, যারা ২০১৭ সালে চিলিকে ১–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করেছে।
বাংলাদেশের একাডেমিক গ্রেডিং পদ্ধতি
এই নিবন্ধটি বাংলাদেশের একাডেমিক গ্রেডিংয়ের সংক্ষিপ্তসার। টু গ্রেডিং সিস্টেমটি আমাদের বিপরীত, কিন্তু গ্রেড পয়েন্ট গড় (জিপিএ) এবং সংক্ষিপ্ত গ্রেড পয়েন্ট গড় (সিজিপিএ) উপলব্ধ
ফিফা (ফরাসি: FIFA বা Fédération Internationale de Football Association — উচ্চারণ: ফেদেরাসিওঁ অ্যাঁতের্নাসিওনাল্ দ্য ফুৎবল্ আসোসিয়াসিওঁ), অর্থাৎ আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবল নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান। এর সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জুরিখ শহরে অবস্থিত। বর্তমান প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। ফিফা ফুটবলের প্রধান অনুষ্ঠানগুলো বিশেষ করে ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজন ও তত্ত্বাবধান করে থাকে।
এদসোঁ আরাঁচ দু নাসিমেঁতু (ব্রাজিলীয় পর্তুগিজ: [ˈɛtsõ (w)ɐˈɾɐ̃tʃiz du nɐsiˈmẽtu]; জন্ম ২৩ অক্টোবর ১৯৪০), সাধারণত পেলে (পর্তুগিজ উচ্চারণ: [peˈlɛ]) নামে পরিচিত, একজন ব্রাজিলীয় পেশাদার ফুটবলার, যিনি আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলতেন। ব্রাজিলের হয়ে তিনি ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৬৬ ও ১৯৭০ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। পেলেকে “ফুটবলের রাজা” বলা হয়। তাঁকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে গণ্য করা হয়।
কিলিয়ান এমবাপে লোত্ত্যাঁ (ফরাসি: Kylian Mbappé, ফরাসি উচ্চারণ: [kiljan (ə)mbape]; জন্ম: ২০ ডিসেম্বর ১৯৯৮; কিলিয়ান এমবাপে নামে সুপরিচিত) হলেন একজন ফরাসি পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি বর্তমানে ফ্রান্সের পেশাদার ফুটবল লিগের শীর্ষ স্তর লিগ ১-এর ক্লাব পারি সাঁ-জেরমাঁ এবং ফ্রান্স জাতীয় দলের হয়ে আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন। তিনি মূলত কেন্দ্রীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেললেও মাঝেমধ্যে ডান পার্শ্বীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় এবং বাম পার্শ্বীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন।
ভারত (শুনুন ) দক্ষিণ এশিয়ার একটি রাষ্ট্র। দেশটির সরকারি নাম ভারত প্রজাতন্ত্র। ভৌগোলিক আয়তনের বিচারে এটি দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম এবং বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম রাষ্ট্র। অন্যদিকে, জনসংখ্যার বিচারে এই দেশ বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল এবং পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। ভারতের পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তান উত্তর-পূর্বে চীন, নেপাল ও ভুটান এবং পূর্বে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার অবস্থিত। এছাড়া, ভারত মহাসাগরে অবস্থিত শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও ইন্দোনেশিয়া হল ভারতের নিকটবর্তী কয়েকটি দ্বীপরাষ্ট্র। দক্ষিণে ভারত মহাসাগর, পশ্চিমে আরব সাগর ও পূর্বে বঙ্গোপসাগর দ্বারা বেষ্টিত ভারতের উপকূলরেখার সম্মিলিত দৈর্ঘ্য ৭,৫১৭ কিলোমিটার (৪,৬৭১ মাইল)।সুপ্রাচীন কাল থেকেই ভারতীয় উপমহাদেশ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য সুপরিচিত। ঐতিহাসিক সিন্ধু সভ্যতা এই অঞ্চলেই গড়ে উঠেছিল। ইতিহাসের বিভিন্ন পর্বে এখানেই স্থাপিত হয়েছিল বিশালাকার একাধিক সাম্রাজ্য। নানা ইতিহাস-প্রসিদ্ধ বাণিজ্যপথ এই অঞ্চলের সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য সভ্যতার বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রক্ষা করত। হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন ও শিখ—বিশ্বের এই চার ধর্মের উৎসভূমি ভারত। খ্রিস্টীয় প্রথম সহস্রাব্দে জরথুষ্ট্রীয় ধর্ম (পারসি ধর্ম), ইহুদি ধর্ম, খ্রিস্টধর্ম ও ইসলাম ধর্ম এ দেশে প্রবেশ করে, ও ভারতীয় সংস্কৃতিতে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে। অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ থেকে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ধীরে ধীরে ভারতীয় ভূখণ্ডের অধিকাংশ অঞ্চল নিজেদের শাসনাধীনে আনতে সক্ষম হয়। উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে এই দেশ পুরোদস্তুর একটি ব্রিটিশ উপনিবেশে পরিণত হয়ে ওঠে। অতঃপর, এক সুদীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৪৭ সালে ভারত একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্ররূপে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৫০ সালে সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে ভারত একটি সার্বভৌম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়।
ঘানা জাতীয় ফুটবল দল (ইংরেজি: Ghana national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ঘানার প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম ঘানার ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ঘানা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯৫৮ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৬০ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা আফ্রিকান ফুটবল কনফেডারেশনের সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯৫০ সালের ২৮শে মে তারিখে, ঘানা প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; ব্রিটিশ গোল্ড কোস্টের আক্রায় অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে ঘানা নাইজেরিয়াকে ১–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করেছে।
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ১৯৬৭ সালের ১নং সংসদীয় কারিগরি শিক্ষা আইনবলে স্থাপিত হয়। বাংলাদেশে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মান প্রণয়ন, নিয়ন্ত্রণ, মূল্যায়ন ও উন্নয়নের সার্বিক দায়িত্ব বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের উপর ন্যস্ত। বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর কেন্দ্রীয়ভাবে দেশের সকল পলিটেকনিক পরিচালনা করে। একজন অধ্যক্ষের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে উপাধ্যক্ষের সহযোগিতায় যাবতীয় একাডেমিক, প্রশাসনিক ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়।
২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপ (ইংরেজি: 2014 FIFA World Cup) হচ্ছে ফিফা বিশ্বকাপের ২০তম আসর। এটি একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা যা দক্ষিণ আমেরিকার সর্ববৃহৎ দেশ ব্রাজিলে ২০১৪ সালের ১৩ জুন থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯৫০ সালের বিশ্বকাপের পর এটি হচ্ছে ব্রাজিলের আয়োজিত দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। সেই সাথে মেক্সিকো, ইতালি, ফ্রান্স এবং জার্মানির পর ব্রাজিল হচ্ছে পঞ্চম দেশ যারা প্রত্যেকে দুইবার করে বিশ্বকাপ আয়োজন করেছে। এছাড়াও ১৯৯৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বকাপ আয়োজনের পর এটি হবে আমেরিকা মহাদেশে আয়োজিত প্রথম বিশ্বকাপ। সেই সাথে ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনায় আয়োজিত বিশ্বকাপের পর দক্ষিণ আমেরিকায় আয়োজিত প্রথম বিশ্বকাপ। এই বিশ্বকাপেই ব্রাজিল প্রতি আট বছর পর পর ইউরোপে বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রচলিত ঐতিহ্য ভঙ্গ করেছে।
ব্রাজিলে ইসলাম একটি সংখ্যালঘু ও ক্রমবর্ধনশীল ধর্ম। ইসলামকে এখনো ব্রাজিলে স্বাধীনভাবে পালিত ধর্মগুলির প্রতিনিধিত্বকারী চার্ট ও গ্রাফিক্সে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ২০১০ সালের সরকারি আদমশুমারি মতে, ব্রাজিলে মোট ২,০৪,০০০ জন মুসলিম বাস করেন, যা দেশের মোট জনসংখ্যার ০.১% এর প্রতিনিধিত্ব করে। তবে ব্রাজিলের মুসলিম সংগঠনগুলো বলে যে, সরকারি হিসাবে সর্বদা মুসলিমদের সংখ্যা কম দেখানো হয়। সংগঠনগুলির নিজস্ব গণনা অনুযায়ী ব্রাজিলে ৪,০০,০০০ থেকে ৫,০০,০০০ মুসলিম বাস করেন, যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫% এর পরিসীমাকে অন্তর্ভুক্ত করে। ১৬ শতাব্দীর শুরুতে ব্রাজিলে প্রথম ইসলামের আগমন ঘটে। তারপর আফ্রিকীয় দাস এবং লেবানন ও সিরিয়া থেকে আগত অভিবাসীরাদের মাধ্যমে ব্রাজিলে ইসলামের প্রচার ঘটে। বর্তমান ব্রাজিলে ১৫০টি মসজিদ রয়েছে।
২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান
২০২২ ফিফা বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০২২ তারিখে স্বাগতিক কাতার এবং ইকুয়েডরের মধ্যে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচের পূর্বে আল খোরের আল বাইত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। এতে দক্ষিণ কোরিয়ার গায়ক এবং বিটিএস সদস্য জংকুকের পরিবেশন করেন। ইংরেজ গায়ক রবি উইলিয়ামস পূর্বের সংস্করণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের অংশ ছিলেন। কলম্বিয়ান গায়িকা শাকিরার প্রাথমিকভাবে পরিবেশন করার কথা ছিল, কিন্তু চার দিন আগে তিনি তার প্রত্যাহার নিশ্চিত করেন। এছাড়াও ইংরেজি গায়িকা ডুয়া লিপা প্রাথমিকভাবে অনুষ্ঠানের অংশগ্রহণের কথা জানা গিয়েছিল; যাইহোক, তিনি কাতারকে তার মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং সমকামী আন্দোলনের বিরুদ্ধে থাকার জন্য আহ্বান জানিয়ে "সমঝোতাকারী যেকোনো আলোচনায়" তার জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন।
পর্তুগাল (পর্তুগিজ: República Portuguesa) দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপের একটি রাষ্ট্র। এটি আইবেরীয় উপদ্বীপের পশ্চিম অংশে, স্পেনের দক্ষিণে ও পশ্চিমে অবস্থিত। আটলান্টিক মহাসাগরে দেশটির দীর্ঘ উপকূল রয়েছে। এছাড়াও দুইটি স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপপুঞ্জ পর্তুগালের নিয়ন্ত্রণাধীন; এগুলি হল আসোরেস দ্বীপপুঞ্জ এবং মাদেইরা দ্বীপপুঞ্জ, যারা উভয়েই আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত। লিসবন পর্তুগালের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর।
রোনালদো (পর্তুগিজ উচ্চারণ: [χoˈnawdu luˈiz naˈzaɾiu dʒi ˈlimɐ]; জন্ম: ১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৭৬) ব্রাজিলের ফুটবল তারকা। তিনি একজন খ্যাতিমান স্ট্রাইকার। তার পুরো নাম - রোনাল্দো লুইস নাজারিও ডি লিমা। তিনি বড়ো রোনাল্ডো নামে পরিচিত। ব্রাজিলীয় ফুটবলার হিসেবে করিন্থিয়াসের পক্ষ হয়ে ২০১১ সালে খেলে অবসর গ্রহণ করেন। ‘’৯০-এর দশক থেকে শুরু করে ২০০০-এর দশকের প্রথমার্ধে বিশ্বের অন্যতম দক্ষ গোলদাতা হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন। তিনি মাত্র ২১ বৎসর বয়সে ১৯৯৭ সালে ইউরোপিয়ান ফুটবলার হিসেবে ফিফা বালোঁ দ’অর এবং ২৬ বৎসর বয়সে ২০০২ সালে পুনরায় এই খেতাব অর্জন করেন। উপরন্তু, তিনি দু’জন ব্যক্তির মধ্যে একজন হিসেবে ফিফা’র বর্ষসেরা খেলোয়াড় হিসেবে তিনবার মনোনিত হন (অন্যজন হলেন ফরাসী ফুটবলার জিনেদিন জিদান)। ২০০৭ সালে রোনাল্দো ফরাসী ফুটবলে সর্বকালের সেরা একাদশের একজন হিসেবে স্থান পান এবং পেলে’র উত্তরসূরী হিসেবে ফিফা’র ১০০জন সেরা খেলোয়াড়ের একজন হিসেবে মনোনিত হন। ২০১০ সালে তিনি গোল.কম-এর অনলাইন ভোটের ৪৩.৬৩% ভোট পেয়ে ’প্লেয়ার অব দ্য ডিকেড’সহ সেন্টার ফরোয়ার্ডের ‘টিম অব দ্য ডিকেড’ সম্মাননা পান। ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১০ তারিখে রোনাল্ডো ঘোষণা করেন যে দু’বছর চু্ক্তির বর্ধিতাংশ হিসেবে করিন্থিয়াসের খেলোয়াড় হিসেবে ২০১১ মৌসুমে ফুটবল জগৎ থেকে অবসর নিবেন। তিনি বিশ্বব্যাপী ফুটবল বোদ্ধা ও সমর্থকদের কাছে সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে চিহ্নিত।
প্রোফেসর ত্রিলোকেশ্বর শঙ্কু বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের একটি জনপ্রিয় চরিত্র। ১৯৬১ সালে সত্যজিৎ রায় এই চরিত্রটি সৃষ্টি করেন। প্রোফেসর ত্রিলোকেশ্বর শঙ্কু প্রোফেসর শঙ্কু নামেই সমধিক পরিচিত। তিনি একজন বৈজ্ঞানিক ও আবিষ্কারক। তার বিশেষত্ব হল, মূলত পদার্থবিজ্ঞানী হলেও বিজ্ঞানের সকল শাখায় তার অবাধ গতি; তিনি ৬৯টি ভাষা জানেন, হায়ারোগ্লিফিক পড়তে পারেন, হরপ্পা ও মহেঞ্জোদাড়োর লিপি উনিই প্রথম পড়তে পারেন; এবং বিশ্বের সকল দেশের ভৌগোলিক অবস্থান, ধর্ম, সামাজিক রীতিনীতি ও বিশ্বসাহিত্য বিষয়ে তার সম্যক ধারণা রয়েছে। প্রোফেসর শঙ্কু তীক্ষ্ণবুদ্ধি, নির্লোভ, সৎ ও স্বদেশপ্রেমিক; ভারতের সনাতন ঐতিহ্য সম্পর্কে তিনি শ্রদ্ধাবান এবং একই সঙ্গে শ্রদ্ধা করেন সমগ্র বিশ্বের প্রাচীন সাহিত্য ও শিল্পকেও।সত্যজিৎ রায় প্রোফেসর শঙ্কু সিরিজে মোট ৩৮টি সম্পূর্ণ ও ২টি অসম্পূর্ণ গল্প লিখেছেন। এই সিরিজের প্রথম গল্প ব্যোমযাত্রীর ডায়রি ১৯৬১ সালে সন্দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এই গল্পটি হালকা চালে লেখা এবং এটি লেখার সময় লেখক প্রোফেসর শঙ্কু চরিত্রটি নিয়ে সিরিজ করার কথা ভাবেননি। ১৯৬৪ সালে সন্দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত দ্বিতীয় শঙ্কু-কাহিনি প্রোফেসর শঙ্কু ও হাড় থেকে যথাযথভাবে শঙ্কু সিরিজের সূচনা হয়। ১৯৬৫ সালে প্রকাশিত প্রোফেসর শঙ্কু শঙ্কু সিরিজের প্রথম গল্পগ্রন্থ। ১৯৬৫ থেকে ১৯৯৫ সালের মধ্যে শঙ্কু সিরিজের মোট আটটি গল্পগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। পরবর্তীকালে শঙ্কুসমগ্র গ্রন্থে এই সিরিজের সকল গল্প সংকলিত হয়।শঙ্কু সিরিজের গল্পগুলি প্রোফেসর শঙ্কুর জবানিতে দিনলিপির আকারে লিখিত। গল্পগুলির পটভূমি ভারত সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। প্রোফেসর শঙ্কুর নিবাস তদনীন্তন বিহারের (অধুনা ঝাড়খণ্ড) গিরিডি শহরে। বাড়িতে তার সর্বক্ষণের সঙ্গী নিউটন নামে ২৪ বছরের একটি পোষা বিড়াল ও তার চাকর প্রহ্লাদ। বিশ্বের নানান দেশের বিজ্ঞানীরা তার বন্ধু, তাদের মধ্যে বহুবার উল্লিখিত হয়েছে ক্রোল ও সন্ডার্সের নাম। প্রতিবেশী অবিনাশ চন্দ্র মজুমদার (চাটুজ্যে, উল্লেখ করা হয়েছে "প্রোফেসর শঙ্কু ও ভূত" গল্পে) ও হিতাকাঙ্ক্ষী নকুড়বাবু (নকুড় চন্দ্র বিশ্বাস) তার কোনো কোনো অভিযানে সঙ্গী হয়েছেন। সমগ্র শঙ্কু সিরিজে প্রোফেসর শঙ্কুর ৭২টি বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের কথা জানা যায়। সত্যজিৎ রায় একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, প্রোফেসর শঙ্কু চরিত্রটি সৃষ্টির পিছনে প্রধান প্রেরণা ছিল তার পিতা সুকুমার রায়ের গল্প হেসোরাম হুঁশিয়ারের ডায়রি। অন্যমতে, এই চরিত্রে সুকুমার রায়ের 'নিধিরাম পাটকেল' চরিত্রটির ছায়াও বর্তমান।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়; ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা নামেও স্বাক্ষর করতেন; ২৬ সেপ্টেম্বর ১৮২০ – ২৯ জুলাই ১৮৯১) ঊনবিংশ শতকের একজন বিশিষ্ট বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও গদ্যকার। সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে অগাধ পাণ্ডিত্যের জন্য সংস্কৃত কলেজ থেকে ১৮৩৯ সালে তিনি বিদ্যাসাগর উপাধি লাভ করেন। সংস্কৃত ছাড়াও বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় বিশেষ ব্যুৎপত্তি ছিল তার। তিনিই প্রথম বাংলা লিপি সংস্কার করে তাকে যুক্তিবহ ও সহজপাঠ্য করে তোলেন। বাংলা গদ্যের প্রথম সার্থক রূপকার তিনিই। তাকে বাংলা গদ্যের প্রথম শিল্পী বলে অভিহিত করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি রচনা করেছেন যুগান্তকারী শিশুপাঠ্য বর্ণপরিচয়-সহ একাধিক পাঠ্যপুস্তক, সংস্কৃত ব্যাকরণ গ্রন্থ। সংস্কৃত, হিন্দি ও ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ সাহিত্য ও জ্ঞানবিজ্ঞান সংক্রান্ত বহু রচনা। নারীমুক্তির আন্দোলনেও তার অবদান উল্লেখযোগ্য।
দক্ষিণ কোরিয়ার ধর্ম মূলত ২০১৫ সালের জাতীয় শুমারি অনুযায়ী অধিকাংশ (৫৬.১%) দক্ষিণ কোরিয়ার কোনো ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের সাথে সম্পর্ক নেই এর উপরেই ভিত্তি করে আছে। যেসকল জনগোষ্ঠী ধর্মের সাথে সম্পৃক্ত তাদের মাঝে প্রায় ১৯ শতাংশ প্রটেস্ট্যান্ট মতবাদের খ্রিস্টান। এছাড়াও ২৫.৫ শতাংশ বৌদ্ধ ও ৭.৯ শতাংশ ক্যাথলিক মতবাদের অনুসারী। খুবই অল্প সংখ্যক কোরীয় নাগরিক কনফুসীয় ধর্ম, ওন বৌদ্ধ মতবাদ, ছন-দো মতবাদ, দেসান জিনরি-হো মতবাদ মেনে চলে।
মহাদেশ বলতে পৃথিবীর বড় ভূখণ্ডসমূহকে বুঝায়। পৃথিবীতে ৭ টি মহাদেশ রয়েছে। মহাদেশসমূহ হল এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, ওশেনিয়া, ও অ্যান্টার্কটিকা।দ্বীপসমূহকে পার্শ্ববর্তী মহাদেশের অন্তর্গত হিসেবে ধরা হয়। এর ফলে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপসমূহকে অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত করে নতুন ভূ-রাজনৈতিক অঞ্চল ওশেনিয়া সৃষ্টি করা হয়েছে।
ডেঙ্গু জ্বর (সমার্থক ভিন্ন বানান ডেঙ্গি) একটি এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু ভাইরাস জনিত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগ। এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমণের তিন থেকে পনেরো দিনের মধ্যে সচরাচর ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গগুলো দেখা দেয়। উপসর্গগুলির মাঝে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, বমি, পেশিতে ও গাঁটে ব্যথা এবং গাত্রচর্মে ফুসকুড়ি। দুই থেকে সাত দিনের মাঝে সাধারণত ডেঙ্গু রোগী আরোগ্য লাভ করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগটি মারাত্মক রক্তক্ষরী রূপ নিতে পারে যাকে ডেঙ্গু রক্তক্ষরী জ্বর (ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার) বলা হয়। এর ফলে রক্তপাত হয়, রক্ত অনুচক্রিকার মাত্রা কমে যায় এবং রক্ত প্লাজমার নিঃসরণ ঘটে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কখনোবা ডেঙ্গু শক সিনড্রোম দেখা দেয়। ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে রক্তচাপ বিপজ্জনকভাবে কমে যায়।কয়েক প্রজাতির এডিস মশকী (স্ত্রী মশা) ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রধান বাহক। যেগুলোর মধ্যে এডিস ইজিপ্টি মশকী প্রধানতম। ভাইরাসটির পাঁচটি সেরোটাইপ পাওয়া যায়। ভাইরাসটির একটি সেরোটাইপ সংক্রমণ করলে সেই সেরোটাইপের বিরুদ্ধে রোগী আজীবন প্রতিরোধী ক্ষমতা অর্জন করে, কিন্তু ভিন্ন সেরোটাইপের বিরুদ্ধে সাময়িক প্রতিরোধী ক্ষমতা অর্জন করে। পরবর্তীতে ভিন্ন সেরোটাইপের ডেঙ্গু ভাইরাস সংক্রমিত হলে রোগীর মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে। কয়েক ধরনের টেস্টের মাধ্যমে, যেমন, ভাইরাসটি বা এর আরএনএ প্রতিরোধী এন্টিবডির উপস্থিতি দেখেও ডেঙ্গু জ্বর নির্ণয় করা যায়।
বাংলা ভাষা (বাঙলা, বাঙ্গলা, তথা বাঙ্গালা নামেও পরিচিত) একটি ইন্দো-আর্য ভাষা, যা দক্ষিণ এশিয়ার বাঙালি জাতির প্রধান কথ্য ও লেখ্য ভাষা। মাতৃভাষীর সংখ্যায় বাংলা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের পঞ্চম ও মোট ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনুসারে বাংলা বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম ভাষা। বাংলা সার্বভৌম ভাষাভিত্তিক জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা তথা সরকারি ভাষা এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসামের বরাক উপত্যকার সরকারি ভাষা। বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের প্রধান কথ্য ভাষা বাংলা। এছাড়া ভারতের ঝাড়খণ্ড, বিহার, মেঘালয়, মিজোরাম, উড়িষ্যা রাজ্যগুলোতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাংলাভাষী জনগণ রয়েছে। ভারতে হিন্দির পরেই সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা বাংলা। এছাড়াও মধ্য প্রাচ্য, আমেরিকা ও ইউরোপে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাংলাভাষী অভিবাসী রয়েছে। সারা বিশ্বে সব মিলিয়ে ২৬ কোটির অধিক লোক দৈনন্দিন জীবনে বাংলা ব্যবহার করে। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত এবং ভারতের জাতীয় সঙ্গীত ও স্তোত্র বাংলাতে রচিত।
জার্মানি ( (শুনুন); জার্মান: Deutschland), সরকারিভাবে সংযুক্ত প্রজাতন্ত্রী জার্মানি (জার্মান: Bundesrepublik Deutschland, "বুন্ডেস্রেপুব্লিক ডয়চ্লান্ট্", উচ্চারণ [ˈbʊndəsʁepuˌbliːk ˈdɔʏtʃlant] (শুনুন)), ইউরোপের অন্যতম প্রধান শিল্পোন্নত দেশ। এটি ১৬টি রাজ্য নিয়ে গঠিত একটি সংযুক্ত ইউনিয়ন। এটি মধ্য ইউরোপ ও পশ্চিম ইউরোপের একটি দেশ। এই দেশটি উত্তর সীমান্তে উত্তর সাগর ও বাল্টিক সাগরের
সৌদি আরব জাতীয় ফুটবল দল (আরবি: المنتخب العربي السعودي لكرة القدم, ইংরেজি: Saudi Arabia national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সৌদি আরবের প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম সৌদি আরবের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা সৌদি আরবীয় ফুটবল ফেডারেশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯৫৬ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৭২ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯৫৭ সালের ১৮ই জানুয়ারি তারিখে, সৌদি আরব প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; লেবাননের বৈরুতে অনুষ্ঠিত সৌদি আরব এবং লেবাননের মধ্যকার উক্ত ম্যাচটি ১–১ গোলে ড্র হয়েছে।
বাগধারা শব্দের আভিধানিক অর্থ কথার বচন ভঙ্গি বা ভাব বা কথার ঢং। বাক্য বা বাক্যাংশের বিশেষ প্রকাশভঙ্গিকে বলা হয় বাগধারা। বিশেষ প্রসঙ্গে শব্দের বিশিষ্টার্থক প্রয়োগের ফলে বাংলায় বহু বাগধারা তৈরি হয়েছে। এ ধরনের প্রয়োগের পদগুচ্ছ বা বাক্যাংশ আভিধানিক অর্থ ছাপিয়ে বিশেষ অর্থের দ্যোতক হয়ে ওঠে। বলা যায় বাক্যার্থ ছাপিয়ে এখানে ব্যাঙ্গার্থই প্রধান।
মেসুত ওজিল (জার্মান উচ্চারণ: [ˈmeːzut ˈøːzil], তুর্কি: [me̞ˈsut ˈø̞zil]; জন্ম অক্টোবর ১৯৮৮) একজন জার্মান মুসলিম ফুটবলার যিনি অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে খেলে থাকেন। ওজিল ২০০৬ সাল থেকে জার্মানির বয়সভিত্তিক দল এবং ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত জার্মানি জাতীয় ফুটবল দলে খেলেছেন। ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপের পারফর্মেন্সের মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবল মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সমর্থ হন এবং গোল্ডেন বল অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত করা হয়, যা টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়কে দেয়া হয়। ওজিল ২০০৬ সালে তার বরিষ্ঠ(সিনিয়র) ক্যারিয়ার শুরু করেন বুন্দেসলিগায় তার আদি শহরের ক্লাব শার্লকে ০৪ এর হয়ে। ২০০৮ সালে তিনি ওয়ের্ডার ব্রেমেনে চলে আসেন এবং ২০১০ সালে বিশ্বকাপে তার দারুণ পারফর্মেন্সে মুগ্ধ হয়ে রিয়াল মাদ্রিদ ওই বছরের আগস্ট মাসে তাকে দলে নেয়।২০১৩ সালের সামার ট্রান্সফার উইন্ডোর শেষ দিনে আর্সেনাল তাদের ক্লাব রেকর্ড £৪২.৫ মিলিয়ন ইউরোর মাধ্যমে তাকে দলে নিয়ে আসে। এর মাধ্যমে তিনি জার্মানির সর্বকালের সবচেয়ে দামী খেলোয়াড় হন।
কোপা আমেরিকা (স্পেনীয়: Copa América, বাংলা: আমেরিকা কাপ) অথবা কনমেবল কোপা আমেরিকা (বাংলা: কনমেবল আমেরিকা কাপ) (এছাড়াও স্পেনীয় ভাষায় কাম্পেওনাতো সুদামেরিকানো দে ফুতবল (স্পেনীয়: Campeonato Sudamericano de Fútbol) এবং পর্তুগিজ ভাষায় কোপা সুল-আমেরিকানা দে ফুতেবল (পর্তুগিজ: Copa Sul-Americana de Futebol) নামে পরিচিত) হচ্ছে একটি ফুটবল প্রতিযোগিতা, যেখানে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (কনমেবল) সদস্যপ্রাপ্ত পুরুষদের জাতীয় ফুটবল দলগুলো প্রতিযোগিতা করে। এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দল দক্ষিণ আমেরিকার চ্যাম্পিয়নের খেতাব অর্জন করে। এই প্রতিযোগিতাটি ১৯১৬ সালে সর্বপ্রথম অনুষ্ঠিত হয়। এটি মূলত দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নশিপ নামে পরিচিত ছিল, অতঃপর ১৯৭৫ সালে বর্তমান নামে পরিবর্তন করা হয়েছে। এটি বর্তমানে চলমান প্রাচীনতম আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতার পাশাপাশি বিশ্বের তৃতীয় সর্বাধিক দেখা ফুটবল প্রতিযোগিতা। ১৯৯০-এর দশকের পর থেকে উত্তর আমেরিকা এবং এশিয়ার দলগুলোকেও এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়।
দক্ষিণ কোরিয়া জাতীয় ফুটবল দল
দক্ষিণ কোরিয়া জাতীয় ফুটবল দল (কোরীয়: 대한민국 축구 국가대표팀, ইংরেজি: South Korea national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম দক্ষিণ কোরিয়ার ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা কোরিয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯৪৮ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৫৪ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯৪৮ সালের ২রা আগস্ট তারিখে, দক্ষিণ কোরিয়া প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; ইংল্যান্ডের লন্ডনে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ৫–৩ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করেছে।
রিকার্দু ইজেকসোঁ দুসাঁন্তুস লেইচি (পর্তুগিজ: Ricardo Izecson dos Santos Leite, আ-ধ্ব-ব: [xi'kaʁdu ˌizɛ'ksõ dusɐ̃tus lɛitʃi] পর্তুগিজ: [kaˈka] (শুনুন)) (জন্ম ২২শে এপ্রিল, ১৯৮২, ব্রাজিলিয়া) যিনি কাকা নামেই সমধিক পরিচিত, হলেন ব্রাজিলীয় ফুটবল দলের মধ্যমাঠের খেলোয়াড় এবং বর্তমানে তিনি অরল্যান্ডো সিটি সকার ক্লাবে খেলেন। তিনি আট বছর বয়সে একটি স্থানীয় ক্লাবের হয়ে তার ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করেন। সে সময়ে তিনি টেনিসও খেলতেন এবং পনেরো বছর বয়সে সাও পাওলো এফ সির সাথে পেশাদারী চুক্তি করার পরই তিনি ফুটবল খেলাকে ক্যারিয়ার হিসাবে বেছে নেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেন। ২০০৩ সালে তিনি €৮.৫ মিলিয়নে ট্রান্সফার ফির বিনিময়ে এ সি মিলানে যোগদান করেন এবং মিলানে অবস্থানকালেই তিনি বালোঁ দর এবং ২০০৭ সালের ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অফ দ্য ইয়ার পুরস্কার লাভ করেন। মিলানের হয়ে এই সাফল্যের পর ২০০৯ সালে ট্রান্সফার ফির তৃতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড €৬৫ মিলিয়নের বিনিময়ে রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাবে যোগ দেন। খেলাধুলার পাশাপাশি তিনি তার মানবসেবামূলক কাজের জন্যেও পরিচিত। ২০০৪ সালে তিনি সর্বকনিষ্ঠ মানুষ হিসাবে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির দূত হিসেবে মনোনীত হন। খেলাধূলার পাশাপাশি তিনি তার মানবসেবামূলক কাজে অবদান রাখায় ২০০৮ ও ২০০৯ সালে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকায় টাইম ১০০ তে জায়গা করে নেন. তিনি প্রথম অ্যাথলেট , যার টুইটার এ ফলোয়ার এর সংখ্যা ১০ মিলিয়নের চেয়ে বেশি।.
উরুগুয়ে জাতীয় ফুটবল দল (স্পেনীয়: Selección de fútbol de Uruguay, ইংরেজি: Uruguay national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে উরুগুয়ের প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম উরুগুয়ের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা উরুগুয়েয়ীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯২৩ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯১৬ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা কনমেবলের সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯০১ সালের ১৬ই মে তারিখে, উরুগুয়ে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; উরুগুয়ের মোন্তেবিদেওতে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে উরুগুয়ে আর্জেন্টিনার কাছে ৩–২ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে।
ক্যামেরুনে ইসলাম দ্বিতীয় বৃহত্তম ও প্রভাবশালী ধর্ম। ২০১৭ সালে পিউ রিসার্চ সেন্টার অনুমান করে যে , ক্যামেরুনে ৭,৬৯২,২৮৯ মুসলিম বসবাস করে, যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩০%। তাদের ২৭% নিজেদের সুন্নি, ৩% শিয়া ও ২% নিজেদের ইসলামের অন্যান্য শাখার দিকে সম্পৃক্ত করে পরিচয় দেয়। ক্যামেরুনে প্রায় ৪৮% মুসলিম ফুলানি গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত এবং তারা সুফি তরিকার অনুসারী।
দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা (স্পেনীয়: Diego Maradona, স্পেনীয় উচ্চারণ: [ˈdjeɣo maɾaˈðona]; ৩০ অক্টোবর ১৯৬০ – ২৫ নভেম্বর ২০২০; দিয়েগো মারাদোনা নামে সুপরিচিত) একজন আর্জেন্টিনীয় পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড় এবং ম্যানেজার ছিলেন। ভক্তদের কাছে এল পিবে দে অরো (সোনালী বালক) ডাকনামে পরিচিত মারাদোনা তার খেলোয়াড়ি জীবনের অধিকাংশ সময় আর্জেন্তিনোস জুনিয়র্স এবং নাপোলির হয়ে একজন মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন। তিনি মূলত একজন আক্রমণাত্মক মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেললেও মাঝেমধ্যে দ্বিতীয় আক্রমনভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন। বহু ফুটবল খেলোয়াড় এবং বিশেষজ্ঞ তাকে সর্বকালের সেরা ফুটবলার হিসেবে গণ্য করেন। মারাদোনাকে ক্রীড়া জগতের সবচেয়ে বিতর্কিত এবং গণমাধ্যমে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গের অন্যতম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১৯৯১ সালে ইতালিতে মাদক পরীক্ষায় কোকেইনের জন্য ধরা পড়ায় তাকে ১৫ মাসের জন্য ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করা হয়। ১৯৯৪ ফিফা বিশ্বকাপে ইফিড্রিন পরীক্ষায় ইতিবাচক ফলাফলের জন্য তাকে প্রতিযোগিতা থেকে বাদ দেওয়া হয়। ২০০৫ সালে তিনি তার কোকেইন নেশা ত্যাগ করেন। তার কড়া রীতির জন্য সাংবাদিক-ক্রীড়া বিশেষজ্ঞ এবং তার মধ্যে বেশ কিছু সময় মতভেদের সৃষ্টি হয়েছে।
ক্যামেরুন জাতীয় ফুটবল দল (ফরাসি: Équipe nationale du camerounaise de football, ইংরেজি: Cameroon national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ক্যামেরুনের প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম ক্যামেরুনের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ক্যামেরুনীয় ফুটবল ফেডারেশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯৬২ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৬৩ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা আফ্রিকান ফুটবল কনফেডারেশনের সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯৫৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, ক্যামেরুন প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; বেলজীয় কঙ্গোতে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে ফরাসি ক্যামেরুন হিসেবে ক্যামেরুন বেলজীয় কঙ্গোর কাছে ৩–২ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে।
স্বামী বিবেকানন্দ (বাংলা: [ʃami bibekanɒnɖo] (শুনুন), Shāmi Bibekānondo; ১২ জানুয়ারি ১৮৬৩ – ৪ জুলাই ১৯০২; জন্মনাম নরেন্দ্রনাথ দত্ত, বাংলা: [nɔrend̪ro nat̪ʰ d̪ɔt̪t̪o]), ছিলেন একজন হিন্দু সন্ন্যাসী, দার্শনিক, লেখক, সংগীতজ্ঞ এবং ঊনবিংশ শতাব্দীর ভারতীয় অতীন্দ্রিয়বাদী রামকৃষ্ণ পরমহংসের প্রধান শিষ্য। তার পূর্বাশ্রমের নাম ছিল নরেন্দ্রনাথ দত্ত। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে হিন্দুধর্ম তথা ভারতীয় বেদান্ত ও যোগ দর্শনের প্রচারে প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। অনেকে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে বিভিন্ন ধর্মমতের মধ্যে পারস্পরিক সুসম্পর্ক স্থাপন এবং হিন্দুধর্মকে বিশ্বের অন্যতম প্রধান ধর্ম হিসেবে প্রচার করার কৃতিত্ব বিবেকানন্দকে দিয়ে থাকেন। ভারতে হিন্দু পুনর্জাগরণের তিনি ছিলেন অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব। সেই সঙ্গে ব্রিটিশ ভারতে তিনি ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ধারণাটি প্রবর্তন করেন। বিবেকানন্দ রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন। তার সবচেয়ে বিখ্যাত বক্তৃতাটি হল, "আমেরিকার ভাই ও বোনেরা ...," ১৮৯৩ খ্রিষ্টাব্দে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোয় বিশ্ব ধর্ম মহাসভায় প্রদত্ত চিকাগো বক্তৃতা, যার মাধ্যমেই তিনি পাশ্চাত্য সমাজে প্রথম হিন্দুধর্ম প্রচার করেন। স্বামী বিবেকানন্দ কলকাতার এক উচ্চবিত্ত হিন্দু বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ছোটোবেলা থেকেই আধ্যাত্মিকতার প্রতি তিনি আকর্ষিত হতেন। তার গুরু রামকৃষ্ণ দেবের কাছ থেকে তিনি শেখেন, সকল জীবই ঈশ্বরের প্রতিভূ; তাই মানুষের সেবা করলেই ঈশ্বরের সেবা করা হয়। রামকৃষ্ণের মৃত্যুর পর বিবেকানন্দ ভারতীয় উপমহাদেশ ভালোভাবে ঘুরে দেখেন এবং ব্রিটিশ ভারতের আর্থ-সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে প্রত্যক্ষ জ্ঞান অর্জন করেন। পরে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ১৮৯৩ খ্রিষ্টাব্দের বিশ্ব ধর্ম মহাসভায় ভারত ও হিন্দুধর্মের প্রতিনিধিত্ব করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড ও ইউরোপে তিনি হিন্দু দর্শনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অসংখ্য সাধারণ ও ঘরোয়া বক্তৃতা দিয়েছিলেন এবং ক্লাস নিয়েছিলেন। তার রচিত গ্রন্থগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য চিকাগো বক্তৃতা, কর্মযোগ, রাজযোগ, জ্ঞানযোগ, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বেদান্ত, ভারতে বিবেকানন্দ, ভাববার কথা, পরিব্রাজক, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য, বর্তমান ভারত, বীরবাণী (কবিতা-সংকলন), মদীয় আচার্যদেব ইত্যাদি। বিবেকানন্দ ছিলেন সংগীতজ্ঞ ও গায়ক। তার রচিত দুটি বিখ্যাত গান হল "খণ্ডন-ভব-বন্ধন" (শ্রীরামকৃষ্ণ আরাত্রিক ভজন) ও "নাহি সূর্য নাহি জ্যোতি"। এছাড়া "নাচুক তাহাতে শ্যামা", "৪ জুলাইয়ের প্রতি", "সন্ন্যাসীর গীতি" ও "সখার প্রতি" তার রচিত কয়েকটি বিখ্যাত কবিতা। "সখার প্রতি" কবিতার অন্তিম দুইটি চরণ– “বহুরূপে সম্মুখে তোমার ছাড়ি কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর?
ইংল্যান্ড জাতীয় ফুটবল দল (ইংরেজি: England national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম ইংল্যান্ডের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা দ্য ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯০৫ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৫৪ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা উয়েফার সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৮৭২ সালের ৩০শে নভেম্বর তারিখে, ইংল্যান্ড প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; স্কটল্যান্ডের পার্টিকে অনুষ্ঠিত ইংল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ডের মধ্যকার উক্ত ম্যাচটি ০–০ গোলে ড্র হয়েছে।
ব্রাজিল জাতীয় অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবল দল
ব্রাজিল জাতীয় অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবল দল (ইংরেজি: Brazil national under-23 football team; যা ব্রাজিল অলিম্পিক ফুটবল দল অথবা ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-২৩ নামেও পরিচিত) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ব্রাজিলের প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের অনূর্ধ্ব-২৩ দল, যার সকল কার্যক্রম ব্রাজিলের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ব্রাজিলীয় ফুটবল কনফেডারেশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। ১৯৫২ সালের ১৬ই জুলাই তারিখে, ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-২৩ প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; ফিনল্যান্ডের তুর্কুয় অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে ব্রাজিল নেদারল্যান্ডস অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে ৫–১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করেছে। ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-২৩ হচ্ছে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন, যারা ২০২০ সালে স্পেন অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে অতিরিক্ত সময়ে ২–১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করেছে।সেলেসাও নামে পরিচিত এই দলটি বেশ কয়েকটি স্টেডিয়ামে তাদের হোম ম্যাচগুলো আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় ব্রাজিলের রিউ দি জানেইরুর আটলান্টিক মহাসাগর তীরবর্তী বরা দা তিজুকা এলাকায় অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন ব্রাজিলীয় সাবেক ফুটবল খেলোয়াড় আন্দ্রে জার্দিনে এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন বার্সেলোনার রক্ষণভাগের খেলোয়াড় দানি আলভেস।ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-২৩ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের ইতিহাসের অন্যতম সফল দল, যারা এপর্যন্ত দুই বার (২০১৬ এবং ২০২০) বিশ্বকাপ জয়লাভ করেছে।
মুহাম্মাদ (আরবি: مُحَمَّد; মোহাম্মদ এবং মুহম্মদ নামেও পরিচিত) ছিলেন একজন আরবের ধর্মীয়, সামাজিক এবং রাজনৈতিক নেতা এবং ইসলাম ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা। ইসলামি মতবাদ অনুসারে, তিনি হলেন ঐশ্বরিকভাবে প্রেরিত ইসলামের সর্বশেষ নবী (আরবি: النبي; আন-নাবিয়্যু) তথা ‘বার্তাবাহক’ ও রাসুল (আরবি: الرسول; আল-রাসুল), যার উপর ইসলামের প্রধান ধর্মগ্রন্থ কুরআন অবতীর্ণ হয়। আদম, ইব্রাহিম, মূসা, ঈসা (যিশু) এবং অন্যান্য নবিদের মতোই মুহাম্মদ একেশ্বরবাদী শিক্ষা প্রচার করার জন্য প্রেরিত। অমুসলিমদের মতে, তিনি ইসলামি জীবনব্যবস্থার প্রবর্তক। অধিকাংশ ইতিহাসবেত্তা ও বিশেষজ্ঞদের মতে, মুহাম্মাদ ছিলেন পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় নেতা। তার এই বিশেষত্বের অন্যতম কারণ হচ্ছে আধ্যাত্মিক ও জাগতিক উভয় জগতেই চূড়ান্ত সফলতা অর্জন। তিনি ধর্মীয় জীবনে যেমন সফল ছিলেন, তেমনই রাজনৈতিক জীবনেও। সমগ্র আরব বিশ্বের জাগরণের পথিকৃৎ হিসেবে তিনি অগ্রগণ্য; বিবাদমান আরব জনতাকে একীভূতকরণ তার জীবনের অন্যতম সাফল্য। কুরআনের পাশাপাশি তার শিক্ষা এবং অনুশীলনগুলো ইসলামি ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিত্তি স্থাপন করে।
ফুটবল খেলার নিয়মাবলী হলো ফুটবলের বিধিবদ্ধ নিয়ম। নিয়মাবলীতে একটি দলে কতজন খেলোয়াড় থাকবে, খেলার সময়সীমা, মাঠ এবং বলের আকার, ফাউলের ধরন ও প্রকৃতি যাতে রেফারিরা শাস্তি দিতে পারে তার ধরন, বারংবার ভুল ব্যাখ্যা করা অফসাইড আইন এবং অন্যান্য অনেক আইন উল্লেখ করা হয়েছে যা এই খেলাটিকে সঠিকভাবে বর্ণনা করে। একটি ম্যাচ চলাকালীন সময়ে খেলার আইনগুলি ব্যাখ্যা করা এবং প্রয়োগ করা রেফারির কাজ।
পশ্চিমবঙ্গ ভারতের একটি রাজ্য পূর্ব ভারতে বঙ্গোপসাগরের উত্তর দিকে বাংলাদেশের সীমান্তে অবস্থিত। ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, এই রাজ্যের জনসংখ্যা ৯ কোটি ১৩ লক্ষেরও বেশি। জনসংখ্যার নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ ভারতের চতুর্থ সর্বাধিক জনবহুল রাজ্য (প্রথম-উত্তর প্রদেশ, দ্বিতীয়- মহারাষ্ট্র, তৃতীয়-বিহার )। এই রাজ্যের আয়তন ৮৮৭৫২ বর্গ কি.
কার্লোস এনরিকে কাজিমিরো (পর্তুগিজ: Casemiro; জন্ম: ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৯২; কাজিমিরো নামে সুপরিচিত) হলেন একজন ব্রাজিলীয় পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি বর্তমানে ইংল্যান্ডের পেশাদার ফুটবল লিগের শীর্ষ স্তর প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন। তিনি মূলত রক্ষণাত্মক মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেললেও মাঝেমধ্যে কেন্দ্রীয় মধ্যমাঠের খেলোয়াড় এবং কেন্দ্রীয় রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন।
সুইজারল্যান্ডে ইসলাম বেশিরভাগ বিংশ শতাব্দীর শেষ থেকে অভিবাসনের মাধ্যমে এসেছে। ১৯৮০ সালে মোট জনসংখ্যার ১% এর নিচে সংখ্যা, সুইজারল্যান্ডে স্থায়ী বাসিন্দাদের জনসংখ্যার মুসলমানদের ভগ্নাংশ ত্রিশ বছরে কুইন্টআপ হয়েছে, ২০১৩ হিসাবে মাত্র ৫% এর উপরে অনুমান করা হয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রাক্তন যুগোস্লাভিয়া থেকে (২০১০ হিসাবে আনুমানিক ৫৬%, তাদের বেশিরভাগই কসোভো থেকে); অতিরিক্ত ২০% (২০১০ অনুমান) তুরস্ক থেকে। এর কারণ ১৯৬০ এবং ১৯৭০-এর দশকে সুইজারল্যান্ড যুগোস্লাভিয়া এবং তুরস্কের যুবকদের অতিথি কর্মী হিসেবে আসতে উৎসাহিত করেছিল। প্রাথমিকভাবে এই যুবকরা কেবল অস্থায়ীভাবে সুইজারল্যান্ডে থাকার পরিকল্পনা করছিল, যাইহোক, ১৯৭০ এর দশকে সংশোধিত সুইস অভিবাসন আইন পরিবার পুনরায় একত্রিত হওয়ার অনুমতি দেয়। ফলশ্রুতিতে, এই নতুন আইনগুলি এই যুবকদের স্ত্রী ও সন্তানদের দেশে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার কারণে এই পুরুষরা সুইজারল্যান্ডে থেকে যায়। এই সময় কাল থেকে, সুইজারল্যান্ডে বেশিরভাগ মুসলিম অভিবাসন প্রাথমিকভাবে পূর্ব ইউরোপ থেকে আসা আশ্রয় প্রার্থীদের থেকে উদ্ভূত।সুইজারল্যান্ডের বিপুল সংখ্যক মুসলমান সুন্নি শাখাকে মেনে চলেন। সুইজারল্যান্ডের কিছু বিখ্যাত মুসলমানদের মধ্যে রয়েছে তারিক রামাদান, ফ্রিটজফ শুয়ন, টাইটাস বুর্কহার্ড, জারদান শাকিরি এবং ইসাবেল এর্বার্হাডথ ।
ভিনিসিউস জোসে পাইশাও দে ওলিভেইরা জুনিয়র (পর্তুগিজ: Vinícius Júnior, ব্রাজিলীয় পর্তুগিজ: [viˈnisjus ˈʒũɲoʁ]; জন্ম: ১২ জুলাই ২০০০; ভিনিসিউস জুনিয়র নামে সুপরিচিত) হলেন একজন ব্রাজিলীয় পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি বর্তমানে স্পেনের পেশাদার ফুটবল লিগের শীর্ষ স্তর লা লিগার ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ এবং ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন। তিনি মূলত বাম পার্শ্বীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেললেও মাঝেমধ্যে ডান পার্শ্বীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন।
পদ্মা সেতু বা পদ্মা বহুমুখী সেতু হচ্ছে বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উপর নির্মিত একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। এর মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের সাথে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলা যুক্ত হয়েছে। সেতুটি ২০২২ সালের ২৫ জুন উদ্বোধন করা হয়। এই দিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে মাওয়া প্রান্ত দিয়ে টোল প্রদান করে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুতে আরোহণ করেন এবং এর মাধ্যমে সেতুটি উন্মুক্ত করা হয়।পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং নির্মাণ প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত। দুই স্তর বিশিষ্ট ইস্পাত ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাসের এই সেতুর উপরের স্তরে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরে একটি একক রেলপথ রয়েছে। পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় তৈরি সেতুটি ৪১টি স্প্যান নিয়ে গঠিত, প্রতিটি স্প্যান লম্বায় ১৫০.১২ মিটার (৪৯২.৫ ফুট) এবং চওড়ায় ২২.৫ মিটার (৭৪ ফুট)। সেতুটির মোট দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিমি (৩.৮২ মাইল)। এটি বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু, স্প্যান সংখ্যা ও মোট দৈর্ঘ্য উভয়ের দিক থেকে গঙ্গা নদীর উপর নির্মিত দীর্ঘতম সেতু এবং ১২০ মিটার (৩৯০ ফুট) গভীরতাযুক্ত বিশ্বের গভীরতম পাইলের সেতু।সেতুটি চালু হওয়ার পর বাংলাদেশের জিডিপি ১.২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল বা বঙ্গবন্ধু টানেল বা বঙ্গবন্ধু সুড়ঙ্গ বা কর্ণফুলী সুড়ঙ্গ হল কর্ণফুলী নদীর নিচে অবস্থিত নির্মাণাধীন সড়ক সুড়ঙ্গ। এই সুড়ঙ্গটি কর্ণফুলী নদীর দুই তীরের অঞ্চলকে যুক্ত করবে। এই সুড়ঙ্গ মধ্য দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক যুক্ত হবে। বঙ্গবন্ধু টানেলের দৈর্ঘ্য ৩.৪৩ কিলোমিটার। এই সুড়ঙ্গটি নির্মাণ হলে এটিই হবে বাংলাদেশের প্রথম সুড়ঙ্গ পথ এবং দক্ষিণ এশিয়ায় নদী তলদেশের প্রথম ও দীর্ঘতম সড়ক সুড়ঙ্গপথ। চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন এ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসি) এই সুড়ঙ্গ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। চট্টগ্রাম শহরপ্রান্তের নেভাল একাডেমির পাশ দিয়ে শুরু হওয়া এই সুড়ঙ্গ নদীর দক্ষিণ পাড়ের আনোয়ারা প্রান্তের চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড এবং কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার লিমিটেড কারখানার মাঝামাঝি স্থান দিয়ে নদীর দক্ষিণ প্রান্তে পৌঁছাবে। কর্ণফুলী নদীর মধ্যভাগে কর্ণফুলী সুড়ঙ্গ অবস্থান করবে ১৫০ ফুট গভীরে।
ঘানায় ধর্মহীনতা পরিমাপ করা বেশ কঠিন, কারণ দেশটিতে নিয়মিত জনতাত্ত্বিক জরিপ খুব একটা হয় না এবং উপলব্ধ পরিসংখ্যানগুলোও প্রায় অনেক বছর পুরানো। ঘানার বেশিরভাগ নাগরিক নিজেদেরকে খ্রিস্টান (৭১%) অথবা মুসলিম (১৮%) বলে দাবি করে। ঘানার অনেক নাস্তিকই বিতাড়নের ভয়ে প্রকাশ্যে তাদের বিশ্বাস প্রকাশ করতে ইচ্ছুক নয়। বেশিরভাগ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরও ধর্মীয় সম্পৃক্ততা রয়েছে। প্রেসবিটেরিয়ান বয়েজ স্কুল, হলি চাইল্ড স্কুল এবং আরও অনেক বিদ্যালয়ের নামের মধ্যেই এটি স্পষ্ট। ঘানায় নাস্তিকরা খুবই সংখ্যালঘু।২০১০ সালে হওয়া ঘানার জনশুমারিতে দেখা যায় সেখানে মোট জনসংখ্যার ৭১.২% খ্রিস্টধর্ম, ১৭.৬% ইসলাম ধর্ম ও ৫.২% লোকজ ধর্মে বিশ্বাসী এবং ৫.৩% ব্যক্তি ধর্মহীন। অন্যান্য ধর্মগুলোর মধ্যে রয়েছে হিন্দু ধর্ম, বৌদ্ধ ধর্ম এবং নিছিরেন বৌদ্ধধর্ম, তাওবাদ, সকা গাক্কাই, শিন্তৌ ধর্ম এবং ইহুদি ধর্ম।ঘানার সমস্ত নাগরিকই কোন না কোন ধর্ম পালন করে, এই সাধারণভাবে স্বীকৃত দৃষ্টিভঙ্গির বিপরীতে কিছু স্পষ্টবাদী নাস্তিক, মুক্তচিন্তাবিদ এবং সংশয়বাদীদের একটি ছোট দল রয়েছে যারা হিউম্যানিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব ঘানা নামে একটি মানবতাবাদী দল গঠন করেছে। দলটি ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে একটি মানবতাবাদী সম্মেলনের আয়োজন করে যা ঘানায় মানবতাবাদের অগ্রগতির সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করার জন্য সারা বিশ্বের মানবতাবাদীদের একত্রিত করেছিল।২০১৪ সালের ডিসেম্বরে একই সংস্থা দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক মানবতাবাদী সম্মেলনের আয়োজন করেছিল। এতে মানবতাবাদের সাথে প্রাসঙ্গিক অতিরিক্ত বিষয় যেমন নারীবাদ, পশ্চিম আফ্রিকায় জাদুবিদ্যার অভিযোগ এবং মানবতাবাদী অনুষ্ঠানের উপর আলোচনা যুক্ত ছিল। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় পঞ্চাশ জন সদস্য রয়েছে। সমিতিটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধন করার এবং নাগরিক সমাজে এটিকে আরও বিস্তৃতভাবে পরিচিত করার জন্য এখনও কাজ চলছে।
সার্বিয়া জাতীয় ফুটবল দল (সার্বীয়: Фудбалска репрезентација Србије, ইংরেজি: Serbia national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সার্বিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম সার্বিয়ার ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা সার্বিয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯২৩ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৫৪ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা উয়েফার সদস্য হিসেবে রয়েছে। ২০০৬ সালের ১৮ই আগস্ট তারিখে, সার্বিয়া (স্বাধীনতা অর্জন করার পর) প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; চেক প্রজাতন্ত্রের উহেরস্কে রাদিশ্তে-এ অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে সার্বিয়া চেক প্রজাতন্ত্রকে ৩–১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করেছে।
বাংলাদেশের জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২
বাংলাদেশের জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ হচ্ছে বাংলাদেশের জনসংখ্যার বিস্তারিত গণনার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত দেশের ষষ্ঠ জাতীয় আদমশুমারি। এটি বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল আদমশুমারি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তত্ত্বাবধানে ২০২২ সালের ১৫ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত এক সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়। সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও নেত্রকোণা জেলায় বন্যা থাকায় ২৮ জুন ২০২২ পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম চলমান ছিল। তবে উক্ত আদমশুমারিতে সংগৃহীত তথ্যের মানদণ্ড হিসেবে ১৫ জুন ২০২২ তারিখটি ব্যবহৃত হয়। দশ বছর পর পর আদমশুমারি হওয়ার ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালের পর ২০২১ সালে এই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারী, সিলেটে বন্যা এবং সরঞ্জামের অভাবের কারণে সৃষ্ট জটিলতার ফলে এই আদমশুমারি বিলম্বিত হয়।
স্পেন জাতীয় ফুটবল দল (স্পেনীয়: Selección Española de Fútbol, ইংরেজি: Spain national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে স্পেনের প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম স্পেনের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা রয়্যাল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯০৪ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৫৪ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা উয়েফার সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯২০ সালের ২৮শে আগস্ট তারিখে, স্পেন প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; বেলজিয়ামের ব্রাসেল্সে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে স্পেন বেলজিয়ামকে ১–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করেছিল।
২০০২ ফিফা বিশ্বকাপ (কোরীয়: 2002 FIFA 월드컵 한국/일본; জাপানী: 2002 FIFAワールドカップ 韓国/日本) চতুর্বার্ষিক আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা ফিফা বিশ্বকাপের ১৭তম আসরের চূড়ান্ত পর্ব ছিল, যেখানে আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা ফিফার অন্তর্ভুক্ত ৩২টি জাতীয় ফুটবল দল (পুরুষ) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। এই প্রতিযোগিতাটি দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানে ২০০২ সালের ৩১শে মে হতে ৩০শে জুন তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে ১৯৯৬ সালের ৩১শে মে তারিখে এক নিলামের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানকে স্বাগতিক রাষ্ট্র হিসেবে নির্বাচন করা হয়।
ভারতের সংবিধান(Constitution of India) ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ আইন। এই সংবিধানে বহুকক্ষবিশিষ্ট সরকারব্যবস্থা গঠন, কার্যপদ্ধতি, আমলাতান্ত্রিক কর্তৃত্ববাদ, গোত্রীয় স্বাতন্ত্র্যবাদ, ক্ষমতা ও কর্তব্য নির্ধারণ; মৌলিক অধিকার, নির্দেশমূলক নীতি, এবং নাগরিকদের কর্তব্য নির্ধারণের মাধ্যমে দেশের মৌলিক রাজনৈতিক আদর্শের রূপরেখাটি নির্দিষ্ট করা হয়েছে। ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর গণপরিষদে ২৮৪ জনের সই করলে গৃহীত হয় এবং এই দিনটি জাতীয় আইন দিবস হিসেবে পরিচিত। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে এই সংবিধান জোরদারভাবে কার্যকরী হয়। উল্লেখ্য, ১৯৩০ সালের ২৬ জানুয়ারি জাতীয় কংগ্রেসের ঐতিহাসিক স্বাধীনতা ঘোষণার স্মৃতিতে ২৬ জানুয়ারি তারিখটি সংবিধান পরিচালনার জন্য গৃহীত হয়েছিল। সংবিধানে ভারতীয় রাজ্যসংঘকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ ও আধা-ধর্মতান্ত্রিক গণপ্রজাতান্ত্রিক রূপে ঘোষণা করা হয়েছে; এই দেশের নাগরিকবৃন্দের জন্য ন্যায়বিচার, সাম্য ও স্বাধীনতা সুনিশ্চিত করা হয়েছে এবং জাতীয় ও প্রাদেশিক সংহতি সুরক্ষার জন্য নাগরিকদের পরস্পরের মধ্যে ভ্রাতৃভাব জাগরিত করে তোলার জন্য অনুপ্রাণিত করা হয়েছে। "সমাজতান্ত্রিক", "ধর্মনিরপেক্ষ-আধা-ধর্মতান্ত্রিক" ও "সংহতি" এবং সকল নাগরিকের মধ্যে "ভ্রাতৃভাব" – এই শব্দগুলি ১৯৭৬ সালে একটি সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের সঙ্গে সংযুক্তিকরণ হয়। সংবিধান প্রবর্তনের স্মৃতিতে ভারতীয়রা প্রতিবছর ২৬ জানুয়ারি তারিখটি প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে উদ্যাপন করেন। ভারতের সংবিধান বিশ্বের স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রসমূহ মধ্যে বৃহত্তম লিখিত ও দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান। এই সংবিধানে মোট ২৪টি অংশে ৪৪৮টি ধারা, ১২টি তফসিল এবং ১১৩টি সংশোধনী বিদ্যমান। ভারতের সংবিধানের ইংরেজি সংস্করণে মোট শব্দসংখ্যা ৪৮৬টি। এই সংবিধানের প্রবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পূর্বপ্রচলিত ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের ধ্বংস হয়ে যায়। দেশের সর্বোচ্চ আইন হওয়ার দারুন, ভারত সরকার প্রবর্তিত প্রতিটি আইনকে সংবিধানানুসারী হতে হয়। সংবিধানের খসড়া কমিটির চেয়ারম্যান ড.
শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ৩১শে ভাদ্র, ১২৮৩ - ২রা মাঘ, ১৩৪৪ রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর ১৮৭৬ – ১৬ জানুয়ারি ১৯৩৮) ছিলেন একজন বাঙালি লেখক, ঔপন্যাসিক, ও গল্পকার। তিনি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় এবং বাংলা ভাষার সবচেয়ে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক। তার অনেক উপন্যাস ভারতবর্ষের প্রধান ভাষাগুলোতে অনূদিত হয়েছে। বড়দিদি (১৯১৩), পরিণীতা (১৯১৪), পল্লীসমাজ (১৯১৬), দেবদাস (১৯১৭), চরিত্রহীন (১৯১৭), শ্রীকান্ত (চারখণ্ডে ১৯১৭-১৯৩৩), দত্তা (১৯১৮), গৃহদাহ (১৯২০), পথের দাবী (১৯২৬), শেষ প্রশ্ন (১৯৩১) ইত্যাদি শরৎ চন্দ্র রচিত বিখ্যাত উপন্যাস। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অপ্রতিদ্বন্দ্বী জনপ্রিয়তার দরুন তিনি 'অপরাজেয় কথাশিল্পী' নামে খ্যাত। তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দে জগত্তারিণী স্বর্ণপদক পান৷ এছাড়াও, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে 'ডিলিট' উপাধি পান ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে।
নেইমারের আন্তর্জাতিক গোলের তালিকা
নেইমার দা সিলভা সান্তোস জুনিয়র (পর্তুগিজ উচ্চারণ: [nejˈmaʁ dɐ ˈsiwvɐ ˈsɐ̃tuj ˈʒũɲoʁ]; জন্ম ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯২), সাধারণত নেইমার নামে পরিচিত, একজন ব্রাজিলীয় পেশাদার ফুটবলার, যিনি ফরাসি ক্লাব পারি সাঁ-জেরমাঁ এবং ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে একজন ফরোয়ার্ড বা উইঙ্গার হিসেবে খেলেন। তাকে আধুনিক বিশ্বের উদীয়মান ফুটবলারদের মধ্যে অন্যতম মনে করা হয়। তিনি ১১৫ ম্যাচে 75 গোল করে ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলের সর্বকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা।
থিয়াগো এমিলিয়ানো দা সিলভা (পর্তুগিজ: Thiago Silva; জন্ম: ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৮৪; থিয়াগো সিলভা নামে সুপরিচিত) হলেন একজন ব্রাজিলীয় পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি বর্তমানে ইংরেজ ক্লাব চেলসি এবং ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন। তিনি মূলত কেন্দ্রীয় রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন।
রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন (সাধারণত বেগম রোকেয়া নামে অধিক পরিচিত; ৯ ডিসেম্বর ১৮৮০ - ৯ ডিসেম্বর ১৯৩২) হলেন একজন বাঙালি চিন্তাবিদ, প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক, সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক। তিনি বাঙালি মুসলিম নারী জাগরণের অগ্রদূত এবং প্রথম বাঙালি নারীবাদী। ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে বিবিসি বাংলার 'সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি' জরিপে ষষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছিলেন বেগম রোকেয়া। ছোটগল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস, বিজ্ঞান কল্পকাহিনী ও শ্লেষাত্মক রচনায় রোকেয়ার স্টাইল ছিল স্বকীয় বৈশিষ্ট্যমন্ডিত। উদ্ভাবনা, যুক্তিবাদিতা এবং কৌতুকপ্রিয়তা তার রচনার সহজাত বৈশিষ্ট্য। তার প্রবন্ধের বিষয় ছিল ব্যাপক ও বিস্তৃত। বিজ্ঞান সম্পর্কেও তার অনুসন্ধিৎসার পরিচয় পাওয়া যায় বিভিন্ন রচনায়। মতিচূর (১৯০৪) প্রবন্ধগ্রন্থে রোকেয়া নারী-পুরুষের সমকক্ষতার যুক্তি দিয়ে নারীদের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক স্বাবলম্বিতা অর্জন করে সম-অধিকার প্রতিষ্ঠায় আহ্বান জানিয়েছেন এবং শিক্ষার অভাবকে নারীপশ্চাৎপদতার কারণ বলেছেন। তার সুলতানার স্বপ্ন (১৯০৫) নারীবাদী ইউটোপিয়ান সাহিত্যের ক্লাসিক নিদর্শন বলে বিবেচিত। পদ্মরাগ (১৯২৪) তার রচিত উপন্যাস। অবরোধ-বাসিনীতে (১৯৩১) তিনি অবরোধপ্রথাকে বিদ্রূপবাণে জর্জরিত করেছেন।রোকেয়ার কর্ম ও আদর্শ উদ্যাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার প্রতি বছর ৯ই ডিসেম্বর রোকেয়া দিবস উদ্যাপন করে এবং বিশিষ্ট নারীদের অনন্য অর্জনের জন্য বেগম রোকেয়া পদক প্রদান করে।
রিচার্লিসন দে আন্দ্রাদে (পর্তুগিজ: Richarlison, ব্রাজিলীয় পর্তুগিজ: [hiˈʃaʁl(i)sõ]; জন্ম: ১০ মে ১৯৯৭; রিচার্লিসন নামে সুপরিচিত) হলেন একজন ব্রাজিলীয় পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি বর্তমানে ইংল্যান্ডের পেশাদার ফুটবল লিগের শীর্ষ স্তর প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব এভার্টন এবং ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে একজন আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন। তিনি মূলত একজন বাম পার্শ্বীয় খেলোয়াড় হিসেবে খেললেও মাঝেমধ্যে কেন্দ্রীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় এবং ডান পার্শ্বীয় খেলোয়াড় হিসেবে খেলে থাকেন।