The most-visited বাংলা Wikipedia articles, updated daily. Learn more...
শেখ মুজিবুর রহমান (১৭ই মার্চ ১৯২০ – ১৫ই আগস্ট ১৯৭৫), সংক্ষিপ্তাকারে শেখ মুজিব বা বঙ্গবন্ধু, ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি ভারত বিভাজন আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন এবং পরবর্তীকালে পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে কেন্দ্রীয়ভাবে নেতৃত্ব প্রদান করেন। শুরুতে তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি, এরপর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং পরবর্তীকালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক স্বায়ত্তশাসন অর্জনের প্রয়াস এবং পরবর্তীকালে ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পেছনের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমানকে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হিসেবে কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে বাংলাদেশের “জাতির জনক” বা “জাতির পিতা” হিসেবে অভিহিত করা হয়। এছাড়াও তাকে প্রাচীন বাঙালি সভ্যতার আধুনিক স্থপতি ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। জনসাধারণের কাছে তিনি “শেখ মুজিব” বা “শেখ সাহেব” নামে এবং তার উপাধি “বঙ্গবন্ধু” হিসেবেই অধিক পরিচিত। তার কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী।
নাগার্জুন (আনুমানিক ১৫০-২৫০ খ্রি:) গৌতম বু্দ্ধের পরবর্তী সর্বাধিক প্রভাবশালী বৌদ্ধ দার্শনিকদের অন্যতম। তার শিষ্য আর্যদেবের সাথে তাকে 'মহাযান' বৌদ্ধধর্মের 'মাধ্যমিক' শাখার প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে কৃতিত্ব দেয়া হয়। তাকে 'প্রজ্ঞা পারমিতা সুত্র' সম্পর্কিত দর্শনের উন্নয়নের কৃতিত্ব দেয়া হয় এবং কোন কোন মতানুসারে এই সম্পর্কিত পুঁথিগুলো নাগ (সাপ/ড্রাগন)দের থেকে উদ্ধার করে, বিশ্বে প্রকাশ করেছেন। ধারণা করা হয় তিনি চিকিৎসা রসায়ন শাস্ত্রের উপর কয়েকটি রচনা করেছেন এবং নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়-এর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সাতই মার্চের ভাষণ ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই মার্চ ঢাকার রমনায় অবস্থিত রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) অনুষ্ঠিত জনসভায় শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রদত্ত এক ঐতিহাসিক ভাষণ। তিনি উক্ত ভাষণ বিকেল ২টা ৪৫ মিনিটে শুরু করে বিকেল ৩টা ৩ মিনিটে শেষ করেন। উক্ত ভাষণ ১৮ মিনিট স্থায়ী হয়।এই ভাষণে তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমানে বাংলাদেশ) বাঙালিদেরকে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান। এই ভাষণের একটি লিখিত ভাষ্য অচিরেই বিতরণ করা হয়েছিল। এটি তাজউদ্দীন আহমদ কর্তৃক কিছু পরিমার্জিত হয়েছিল। পরিমার্জনার মূল উদ্দেশ্য ছিল সামরিক আইন প্রত্যাহার এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবীটির ওপর গুরুত্ব আরোপ করা। ১৩টি ভাষায় ভাষণটি অনুবাদ করা হয়। ১৩ তম হিসাবে মাহাতো নৃতাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠীর কুড়মালি ভাষায় ভাষণটি অনুবাদ করা হয়, যা নৃ তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর ভাষায় ১ম অনুবাদ। নিউজউইক ম্যাগাজিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজনীতির কবি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ২০১৭ সালের ৩০ শে অক্টোবর ইউনেস্কো এই ভাষণকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
শিশু দিবস শিশুদের নিয়ে উদযাপিত একটি দিবস। এটি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময় পালিত হয়ে থাকে। শিশু দিবসটি প্রথমবার তুরস্কে পালিত হয়েছিল সাল ১৯২০ সালের ২৩ এপ্রিল। বিশ্ব শিশু দিবস ২০ নভেম্বর-এ উদ্যাপন করা হয়, এবং আন্তর্জাতিক শিশু দিবস জুন ১ তারিখে উদ্যাপন করা হয়। তবে বিভিন্ন দেশে নিজস্ব নির্দিষ্ট দিন আছে শিশু দিবসটিকে উদ্যাপন করার।
বাংলাদেশ (শুনুন ) দক্ষিণ এশিয়ার একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র। বাংলাদেশের সাংবিধানিক নাম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ। ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশের পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও মেঘালয়, পূর্ব সীমান্তে আসাম, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তে মিয়ানমারের চিন ও রাখাইন রাজ্য এবং দক্ষিণ উপকূলের দিকে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। ভৌগোলিকভাবে পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপের সিংহভাগ অঞ্চল জুড়ে বাংলাদেশ ভূখণ্ড অবস্থিত। নদীমাতৃক বাংলাদেশ ভূখণ্ডের উপর দিয়ে বয়ে গেছে ৫৭টি আন্তর্জাতিক নদী। বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বে ও দক্ষিণ-পূর্বে টারশিয়ারি যুগের পাহাড় ছেয়ে আছে। বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য সুন্দরবন ও দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সৈকত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশে অবস্থিত।
সমুদ্রগুপ্ত (রাজত্বকাল খ্রিস্টীয় ৩৩৫ – ৩৮০ অব্দ) ছিলেন গুপ্তসম্রাট প্রথম চন্দ্রগুপ্তের পুত্র, উত্তরাধিকারী এবং গুপ্ত সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠ রাজা। শুধু গুপ্ত বংশেরই নন, তিনি ছিলেন ভারতীয় ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সামরিক শাসক। সম্ভবত তিনি পিতার প্রথম সন্তান ছিলেন না, কিন্তু শৌর্য ও বীর্যের কারণে প্রথম চন্দ্রগুপ্ত তাকেই উত্তরসূরি নির্বাচিত করেন। সমগ্র উত্তর ভারতকে নিজের প্রত্যক্ষ শাসনাধীনে আনেন ও দক্ষিণ ভারতের মাদ্রাজ অঞ্চল অবধি রাজ্যসমূহকে গুপ্ত সাম্রাজ্যের করদ রাজ্যে পরিণত করেছিলেন সমুদ্রগুপ্ত। সিংহলের রাজাও তার সার্বভৌমত্ব স্বীকার করেছিলেন।
মুজিববর্ষ হলো বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালনের জন্য ঘোষিত বর্ষ। বাংলাদেশ সরকার ২০২০-২১ সালকে (১৭ই মার্চ ২০২০ থেকে ১৬ই ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত) মুজিববর্ষ হিসেবে পালনের ঘোষণা দেয়। বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অবিভক্ত ভারতের পূর্ববঙ্গের ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার (বর্তমানে গোপালগঞ্জ জেলা) টুঙ্গিপাড়া গ্রামে (বর্তমানে উপজেলা) ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০২০ সালের ১৭ই মার্চ তাঁর জন্মের ১০০ বছর পূর্তি হয়। তাই তাঁর এই জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের জন্যই 'মুজিববর্ষ' পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়াও ২০২১ সালের ২৬শে মার্চ বাংলাদেশ স্বাধীনতার অর্ধ-শত বার্ষিকীতে পদার্পণ করে। তাই ২০২০ ও ২০২১ সাল দুটি বাঙালির জাতীয় জীবনের দুটি ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হয়ে থাকছে।
বিটিএস (কোরীয়: 방탄소년단) (যারা বাংতান বয়েজ নামেও পরিচিত,) হলো ৭ সদস্যের দক্ষিণ কোরিয়ান বয় ব্যান্ড। এ ৭ সদস্যের ব্যান্ড বিগহিট মিউজিক এর অধীনে ২০১০ সালে ট্রেইনি হিসেবে এবং ২০১৩ সালে ২ কুল ৪ স্কুল অ্যালবাম নিয়ে পুরো বিশ্বের সামনে নিজেদের আত্মপ্রকাশ করে। তারা মূলত হিপ হপ সঙ্গীতের গ্রুপ হলেও তাদের গানগুলোতে বিভিন্ন সঙ্গীতের ধরন প্রকাশ পায়। গানের মাধ্যমে তারা সাহিত্য, মনোস্তাত্বিক বিষয় এবং নিজেকে ভালোবাসার গুরুত্ব তুলে ধরে।
ইউক্রেন বা উক্রাইনা (ইউক্রেনীয়: Україна উক্রায়িনা আ-ধ্ব-ব: /ukraˈjina/) পূর্ব ইউরোপের একটি রাষ্ট্র। আয়তনের বিচারে রাশিয়ার পরে এটি ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্র; এর আয়তন ৬,০৩,৬২৮ বর্গকিলোমিটার (২৭,০০০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ক্রিমিয়া অঞ্চলসহ)। দেশটিতে প্রায় ৪ কোটি ৩৬ লক্ষ অধিবাসীর বাস, ফলে এটি ইউরোপ মহাদেশের ৮ম সর্বোচ্চ জনবহুল দেশ। ইউক্রেনের পশ্চিমে পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া ও হাঙ্গেরি, দক্ষিণ-পশ্চিমে রোমানিয়া ও মলদোভা), দক্ষিণে কৃষ্ণ সাগর ও আজভ সাগর, পূর্বে ও উত্তর-পূর্বে রাশিয়া এবং উত্তরে বেলারুস। দক্ষিণে ক্রিমিয়া উপদ্বীপে অবস্থিত স্বায়ত্বশাসিত ক্রিমিয়া প্রজাতন্ত্র ইউক্রেনের সীমান্তের মধ্যে পড়েছে। কিয়েভ ইউক্রেনের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (৭ মে ১৮৬১ – ৭ আগস্ট ১৯৪১; ২৫ বৈশাখ ১২৬৮ – ২২ শ্রাবণ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ) ছিলেন অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক। তাকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়। রবীন্দ্রনাথকে “গুরুদেব”, “কবিগুরু” ও “বিশ্বকবি” অভিধায় ভূষিত করা হয়। রবীন্দ্রনাথের ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস ও ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসংকলন তার জীবদ্দশায় বা মৃত্যুর অব্যবহিত পরে প্রকাশিত হয়। তার সর্বমোট ৯৫টি ছোটগল্প ও ১৯১৫টি গান যথাক্রমে গল্পগুচ্ছ ও গীতবিতান সংকলনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় প্রকাশিত ও গ্রন্থাকারে অপ্রকাশিত রচনা ৩২ খণ্ডে রবীন্দ্র রচনাবলী নামে প্রকাশিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় পত্রসাহিত্য উনিশ খণ্ডে চিঠিপত্র ও চারটি পৃথক গ্রন্থে প্রকাশিত। এছাড়া তিনি প্রায় দুই হাজার ছবি এঁকেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের রচনা বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য তিনি এশীয়দের মধ্যে সাহিত্যে প্রথম নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান ব্রাহ্ম পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন।ক[›] ১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা-এ তার "অভিলাষ" কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এটিই ছিল তার প্রথম প্রকাশিত রচনা। ১৮৭৮ সালে মাত্র সতেরো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ প্রথমবার ইংল্যান্ডে যান। ১৮৮৩ সালে মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে তার বিবাহ হয়। ১৮৯০ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের শিলাইদহের জমিদারি এস্টেটে বসবাস শুরু করেন। ১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন। ১৯০২ সালে তার পত্নীবিয়োগ হয়। ১৯০৫ সালে তিনি বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে 'নাইট' উপাধিতে ভূষিত করেন। কিন্তু ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন। ১৯২১ সালে গ্রামোন্নয়নের জন্য তিনি শ্রীনিকেতন নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত হয়। দীর্ঘজীবনে তিনি বহুবার বিদেশ ভ্রমণ করেন এবং সমগ্র বিশ্বে বিশ্বভ্রাতৃত্বের বাণী প্রচার করেন। ১৯৪১ সালে দীর্ঘ রোগভোগের পর কলকাতার পৈত্রিক বাসভবনেই তার মৃত্যু হয়।রবীন্দ্রনাথের কাব্যসাহিত্যের বৈশিষ্ট্য ভাবগভীরতা, গীতিধর্মিতা চিত্ররূপময়তা, অধ্যাত্মচেতনা, ঐতিহ্যপ্রীতি, প্রকৃতিপ্রেম, মানবপ্রেম, স্বদেশপ্রেম, বিশ্বপ্রেম, রোম্যান্টিক সৌন্দর্যচেতনা, ভাব, ভাষা, ছন্দ ও আঙ্গিকের বৈচিত্র্য, বাস্তবচেতনা ও প্রগতিচেতনা। রবীন্দ্রনাথের গদ্যভাষাও কাব্যিক। ভারতের ধ্রুপদি ও লৌকিক সংস্কৃতি এবং পাশ্চাত্য বিজ্ঞানচেতনা ও শিল্পদর্শন তার রচনায় গভীর প্রভাব বিস্তার করেছিল। কথাসাহিত্য ও প্রবন্ধের মাধ্যমে তিনি সমাজ, রাজনীতি ও রাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে নিজ মতামত প্রকাশ করেছিলেন। সমাজকল্যাণের উপায় হিসেবে তিনি গ্রামোন্নয়ন ও গ্রামের দরিদ্র মানুষ কে শিক্ষিত করে তোলার পক্ষে মতপ্রকাশ করেন। এর পাশাপাশি সামাজিক ভেদাভেদ, অস্পৃশ্যতা, ধর্মীয় গোঁড়ামি ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধেও তিনি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথের দর্শনচেতনায় ঈশ্বরের মূল হিসেবে মানব সংসারকেই নির্দিষ্ট করা হয়েছে; রবীন্দ্রনাথ দেববিগ্রহের পরিবর্তে কর্মী অর্থাৎ মানুষ ঈশ্বরের পূজার কথা বলেছিলেন। সংগীত ও নৃত্যকে তিনি শিক্ষার অপরিহার্য অঙ্গ মনে করতেন। রবীন্দ্রনাথের গান তার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি। তার রচিত জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে ও আমার সোনার বাংলা গানদুটি যথাক্রমে ভারত প্রজাতন্ত্র ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত। মনে করা হয় শ্রীলঙ্কার জাতীয় সঙ্গীত শ্রীলঙ্কা মাতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দ্বারা অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত হয়ে লেখা হয়েছে।
রাশিয়া (রুশ: Россия রশিয়া), সরকারিভাবে রুশ ফেডারেশন নামে পরিচিত (রুশ: Российская Федерация রশিস্কায়া ফিদিরাৎসিয়া) যেটা পূর্ব ইউরোপে এবং উত্তর এশিয়ায় অবস্থিত বিশ্বের বৃহত্তম দেশ। এই দেশটি অর্ধ প্রেসিডেনসিয়াল ফেডারেল প্রজাতন্ত্র যার সংবিধান ৮৩ টি ফেডারেল বিষয় দ্বারা গঠিত। রাশিয়ার উত্তর-পশ্চিম থেকে দক্ষিণ-পূর্ব পর্যন্ত নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া ও পোল্যান্ড (উভয় দেশই কালিনিনগ্রাদ অব্লাস্ত সীমান্ত দিয়ে যুক্ত), বেলারুশ, ইউক্রেন, জর্জিয়া, আজারবাইজান, কাজাখস্তান, চীন, মঙ্গোলিয়া ও উত্তর কোরিয়ার সাথে সীমান্ত আছে। দেশটির অখতস্ক সাগরের মাধ্যমে জাপানের সাথে ও বেরিং প্রণালীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কার সাথে সামুদ্রিক সীমানা রয়েছে। রাশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম দেশ যার রয়েছে পৃথিবীর মোট আবাসযোগ্য জমির এক অষ্টমাংশ। দেশটির মোট আয়তন ১৭,০৭৫,৪০০ বর্গকিলোমিটার (৬,৫৯২,৮০০ বর্গমাইল)। রাশিয়া বিশ্বের নবম জনবহুল দেশ যেখানে ২০১২ হিসাব অনুযায়ী ১৪৩ মিলিয়ন লোক বসবাস করে। পূর্ব ইউরোপে জায়গা সম্প্রসারণের ফলে রাশিয়া ১১টি সময় অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত এবং এখানে অনেক রকম ও বিস্তৃত পরিবেশের সমন্বয় ঘটেছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী হলো ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর নয়মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানের কাছ থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ৫০ বছরপূর্তি পালনের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃৃক ঘোষিত একটি বার্ষিক পরিকল্পনা। সরকার ২৬ মার্চ ২০২১ থেকে ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের ঘোষণা দেয়।আভিধানিক ভাষায়, "সুবর্ণজয়ন্তী" শব্দটি মূলত কোনো ঘটনার ৫০ বছরপূর্তিকে নির্দেশ করে।
ভূ-অভ্যন্তরে শিলায় পীড়নের জন্য যে শক্তির সঞ্চয় ঘটে, সেই শক্তির হঠাৎ মুক্তি ঘটলে ভূ-পৃষ্ঠ ক্ষণিকের জন্য কেঁপে ওঠে এবং ভূ-ত্বকের কিছু অংশ আন্দোলিত হয়। এই রূপ আকস্মিক ও ক্ষণস্থায়ী কম্পনকে ভূমিকম্প বলে। কম্পন-তরঙ্গ থেকে যে শক্তির সৃষ্টি হয়, তা ভূমিকম্পের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। এই তরঙ্গ ভূ-গর্ভের কোনও নির্দিষ্ট অঞ্চলে উৎপন্ন হয় এবং উৎসস্থল থেকে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে।
ভারত (শুনুন ) দক্ষিণ এশিয়ার একটি রাষ্ট্র। দেশটির সরকারি নাম ভারতীয় প্রজাতন্ত্র। ভৌগোলিক আয়তনের বিচারে এটি দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম এবং বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম রাষ্ট্র। অন্যদিকে জনসংখ্যার বিচারে এই দেশ বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল এবং পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। ভারতের পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তান উত্তর-পূর্বে চীন, নেপাল, ও ভুটান এবং পূর্বে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার অবস্থিত। এছাড়া ভারত মহাসাগরে অবস্থিত শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও ইন্দোনেশিয়া ভারতের নিকটবর্তী কয়েকটি দ্বীপরাষ্ট্র। দক্ষিণে ভারত মহাসাগর, পশ্চিমে আরব সাগর ও পূর্বে বঙ্গোপসাগর দ্বারা বেষ্টিত ভারতের উপকূলরেখার সম্মিলিত দৈর্ঘ্য ৭,৫১৭ কিলোমিটার (৪,৬৭১ মাইল)।সুপ্রাচীন কাল থেকেই ভারতীয় উপমহাদেশ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য সুপরিচিত। ঐতিহাসিক সিন্ধু সভ্যতা এই অঞ্চলেই গড়ে উঠেছিল। ইতিহাসের বিভিন্ন পর্বে এখানেই স্থাপিত হয়েছিল বিশালাকার একাধিক সাম্রাজ্য। নানা ইতিহাস-প্রসিদ্ধ বাণিজ্যপথ এই অঞ্চলের সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য সভ্যতার বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রক্ষা করত। হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন ও শিখ—বিশ্বের এই চার ধর্মের উৎসভূমি ভারত। খ্রিস্টীয় প্রথম সহস্রাব্দে জরথুষ্ট্রীয় ধর্ম (পারসি ধর্ম), ইহুদি ধর্ম, খ্রিস্টধর্ম ও ইসলাম এদেশে প্রবেশ করে, ও ভারতীয় সংস্কৃতিতে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে। অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ থেকে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ধীরে ধীরে ভারতীয় ভূখণ্ডের অধিকাংশ অঞ্চল নিজেদের শাসনাধীনে আনতে সক্ষম হয়। ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে এই দেশ পুরোদস্তুর একটি ব্রিটিশ উপনিবেশে পরিণত হয়। অতঃপর এক সুদীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৪৭ সালে ভারত একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্ররূপে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৫০ সালে সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে ভারত একটি সার্বভৌম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ (উচ্চারণ: [ʃad̪ʱinot̪a ɟud̪d̪ʱo]; শাধিনতা জুদ্ধো) বা মুক্তিযুদ্ধ (উচ্চারণ: [mukt̪iɟud̪d̪ʱo]; মুক্তিজুদ্ধো) হলো ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানে সংঘটিত একটি বিপ্লব ও সশস্ত্র সংগ্রাম। পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি জাতীয়তাবাদের উত্থান ও স্বাধিকার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় এবং বাঙালি গণহত্যার প্রেক্ষিতে এই জনযুদ্ধ সংঘটিত হয়। যুদ্ধের ফলে স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। পশ্চিম পাকিস্তান-কেন্দ্রিক সামরিক জান্তা সরকার ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৫শে মার্চ রাতে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের বিরুদ্ধে অপারেশন সার্চলাইট পরিচালনা করে এবং নিয়মতান্ত্রিক গণহত্যা শুরু করে। এর মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী সাধারণ বাঙালি নাগরিক, ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং পুলিশ ও ইপিআর কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়। সামরিক জান্তা সরকার ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফলকে অস্বীকার করে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ই ডিসেম্বর পশ্চিম পাকিস্তানের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনের পর অচলাবস্থার প্রেক্ষিতে গণবিদ্রোহ দমনে পূর্ব পাকিস্তানব্যাপী শহর ও গ্রামাঞ্চলে ব্যাপক সামরিক অভিযান ও বিমানযুদ্ধ সংঘটিত হয়। পাকিস্তান সেনাবাহিনী ইসলামি দলগুলোর সমর্থন লাভ করে। সেনাবাহিনীর অভিযানে সহায়তার জন্য তারা ইসলামি মৌলবাদীদের নিয়ে আধা-সামরিক বাহিনী— রাজাকার, আল বদর ও আল শামস বাহিনী গঠন করে। পূর্ব পাকিস্তানের উর্দু-ভাষী বিহারিরাও সেনাবাহিনীকে সমর্থন করে। পাকিস্তানি সৈন্য ও তাদের সহায়তাকারী আধা-সামরিক বাহিনী কর্তৃক গণহত্যা, উচ্ছেদ ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। রাজধানী ঢাকায় অপারেশন সার্চলাইট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহত্যাসহ একাধিক গণহত্যা সংঘটিত হয়। প্রায় এক কোটি বাঙালি শরণার্থী হিসেবে ভারতে আশ্রয় নেয় এবং আরও তিন কোটি মানুষ দেশের অভ্যন্তরে উদ্বাস্তু হয়। বাঙালি ও উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীর মধ্যে দাঙ্গার সূত্রপাত হয়। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংসতাকে বুদ্ধিজীবীরা গণহত্যা হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকেন। বাঙালি সামরিক, আধা-সামরিক ও বেসামরিক নাগরিকদের সমন্বয়ে গঠিত মুক্তিবাহিনী চট্টগ্রাম থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র প্রচার করে। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস প্রাথমিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জেনারেল এম. এ. জি.
দ্য কাশ্মীর ফাইলস হল বিবেক অগ্নিহোত্রী রচিত ও নির্দেশিত ২০২২ সালের একটি ভারতীয় হিন্দি ভাষার নাটকীয় চলচ্চিত্র। জি স্টুডিওস দ্বারা প্রযোজিত, চলচ্চিত্রটি কাশ্মীর বিদ্রোহের সময় কাশ্মীরি পণ্ডিতদের বিতাড়নকে চিত্রিত করে। এতে অনুপম খের, মিঠুন চক্রবর্তী, দর্শন কুমার ও পল্লবী জোশী অভিনয় করেছেন। এটির একটি বিশেষ প্রিমিয়ার ২০২২ সালের ৪ই মার্চ ছিল, কিন্তু ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর স্কোয়াড্রন নেতার বিধবা স্ত্রীর দায়ের করা মামলার পক্ষে রায় দেওয়ার পরে একটি স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে ছবিটির মুক্তি স্থগিত করা হয়েছিল। আদেশে বলা হয়েছিল, যে ছবিটিতে ভুল উপাদান রয়েছে এবং মামলাকারীর স্বামীর সাথে সম্পর্কিত দৃশ্যসমূহ মুছে ফেলা বা সংশোধন করা প্রয়োজন। নির্দিষ্ট কিছু দৃশ্যে উপর সংযম রেখে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি প্রদান করা হয়েছিল।চলচ্চিত্রটি প্রাথমিকভাবে ২০০২ সালের ২৬শে জানুয়ারি ভারতের সাধারণতন্ত্র দিবসে বিশ্বব্যাপী প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছিল, কিন্তু এটি ওমিক্রনের বিস্তারের কারণে স্থগিত করা হয়েছিল, এবং অবশেষে ২০২২ সালের ১১ই মার্চ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। চলচ্চিত্রটি হরিয়ানা ও মধ্যপ্রদেশে করমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল।
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উপর নির্মাণাধীন একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। এর মাধ্যমে মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের সাথে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলা যুক্ত হবে। ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সাথে উত্তর-পূর্ব অংশের সংযোগ ঘটবে। বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশের জন্য পদ্মা সেতু হতে যাচ্ছে এর ইতিহাসের একটি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং নির্মাণ প্রকল্প। দুই স্তর বিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাস ব্রিজটির ওপরের স্তরে থাকবে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরটিতে থাকবে একটি একক রেলপথ। পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্পান ইতিমধ্যে বসানো সম্পন্ন হয়েছে, ৬.১৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৮.১০ মিটার প্রস্থ পরিকল্পনায় নির্মিত হচ্ছে দেশটির সবচেয়ে বড় সেতু। পদ্মা সেতু নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি জানিয়েছে, পদ্মা সেতু যান চলাচলের উপযোগী হতে ২০২২ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত লেগে যাবে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস যা ২৬শে মার্চ তারিখে পালিত বাংলাদেশের জাতীয় দিবস। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে (কাল রাত) তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু করে। ২৭ মার্চ জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের উদ্দেশ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণের ডাক দেন। ১৯৭২ সালের ২২ জানুয়ারি প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে এই দিনটিকে বাংলাদেশে জাতীয় দিবস হিসেবে উদ্যাপন করা হয় এবং সরকারিভাবে এ দিনটিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়।
প্রতি বৎসর বিভিন্ন দিনে বিশ্বব্যাপী নানা "দিবস" পালিত হয়। এই সকল বৈশ্বিক দিবস বা বিশ্ব দিবস বা আন্তর্জাতিক দিবসসমূহের তালিকা এই পাতায় অন্তর্ভুক্ত করা হলো। এই সকল দিবসের উদ্দেশ্য হচ্ছে - কোন একটি নির্দিষ্ট দিনে আন্তর্জাতিকভাবে সাম্প্রতিককালের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিশ্বব্যাপী জনসচেতনতা বৃদ্ধি বা ক্ষেত্র বিশেষে কোন অতীত ঘটনা স্মরণ বা উদ্যাপন করা।
কৌশিক হোসেন তাপস (জন্ম: ৮ নভেম্বর ১৯৮৩) বাংলাদেশের একজন সঙ্গীত সুরকার এবং গায়ক। তিনি পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী (২০১৩) চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ সুরকার বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়াও ২০১৮ সালে তিনি শ্রেষ্ঠ বাংলাদেশী সুরকার এবং গায়ক হিসেবে দাদাসাহেব ফালকে সম্মানসূচক খেতাব অর্জন করেন।তিনি বর্তমানে গান বাংলা টিভির সিইও এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন।
বাংলা ভাষা আন্দোলন ছিল ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৬ পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব বাংলায় (বর্তমান বাংলাদেশে) সংঘটিত একটি সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন। মৌলিক অধিকার রক্ষাকল্পে বাংলা ভাষাকে ঘিরে সৃষ্ট এ আন্দোলনের মাধ্যমে তদানীন্তন পাকিস্তান অধিরাজ্যের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণদাবির বহিঃপ্রকাশ ঘটে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে এ আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ ধারণ করলেও, বস্তুত এর বীজ রোপিত হয়েছিল বহু আগে; অন্যদিকে, এর প্রতিক্রিয়া এবং ফলাফল ছিল সুদূরপ্রসারী। ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ব্রিটিশ ভারত ভাগ হয়ে পাকিস্তান অধিরাজ্য ও ভারত অধিরাজ্য নামক দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের উদ্ভব হয়। পাকিস্তানের ছিল দুইটি অংশ: পূর্ব বাংলা (১৯৫৫ সালে পুনর্নামাঙ্কিত পূর্ব পাকিস্তান) ও পশ্চিম পাকিস্তান। প্রায় দুই হাজার কিলোমিটারের অধিক দূরত্বের ব্যবধানে অবস্থিত পাকিস্তানের দুটি অংশের মধ্যে সাংস্কৃতিক, ভৌগোলিক ও ভাষাগত দিক থেকে অনেকগুলো মৌলিক পার্থক্য বিরাজমান ছিল। ১৯৪৮ সালে পাকিস্তান অধিরাজ্য সরকার পূর্ব পাকিস্তান তথা পূর্ব বাংলাকে ইসলামীকরণ তথা আরবিকরণের অংশ হিসেবে ঘোষণা করে যে, উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা, পাশাপাশি বিকল্প হিসেবে আরবি হরফে বাংলা লিখন অথবা সমগ্র পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা আরবি করারও প্রস্তাব দেওয়া হয়। এ ঘোষণার প্রেক্ষাপটে পূর্ব বাংলায় অবস্থানকারী বাংলাভাষী সাধারণ জনগণের মধ্যে গভীর ক্ষোভের জন্ম হয় ও বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। কার্যত পূর্ব বাংলার বাংলাভাষী মানুষ আকস্মিক ও অন্যায্য এ সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারেনি এবং মানসিকভাবে মোটেও প্রস্তুত ছিল না। ফলস্বরূপ বাংলাভাষার সম-মর্যাদার দাবিতে পূর্ব বাংলায় আন্দোলন দ্রুত দানা বেঁধে ওঠে। আন্দোলন দমনে পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করে ঢাকা শহরে মিছিল, সমাবেশ ইত্যাদি বেআইনি ও নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি (৮ ফাল্গুন ১৩৫৮) এ আদেশ অমান্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু সংখ্যক ছাত্র ও প্রগতিশীল কিছু রাজনৈতিক কর্মী মিলে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের কাছাকাছি এলে পুলিশ ১৪৪ ধারা অবমাননার অজুহাতে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। গুলিতে নিহত হন বাদামতলী কমার্শিয়াল প্রেসের মালিকের ছেলে রফিক, সালাম, এম. এ.
পাল সাম্রাজ্য ছিল ভারতীয় উপমহাদেশের ধ্রুপদি পরবর্তী যুগের একটি সাম্রাজ্য। এই সাম্রাজ্যের উৎসস্থল ছিল বাংলা অঞ্চল। পাল সাম্রাজ্যের নামকরণ করা হয় এই সাম্রাজ্যের শাসক রাজবংশের নামানুসারে। পাল সম্রাটদের নামের শেষে ‘পাল’ অনুসর্গটি যুক্ত ছিল। প্রাচীন প্রাকৃত ভাষায় এই শব্দটির অর্থ ছিল ‘রক্ষাকর্তা’। পাল সম্রাটেরা বৌদ্ধধর্মের মহাযান ও তান্ত্রিক সম্প্রদায়ের অনুগামী ছিলেন। ৭৫০ খ্রিষ্টাব্দে গৌড়ের সম্রাট পদে গোপালের নির্বাচনের সঙ্গে সঙ্গে এই সাম্রাজ্যের পত্তন ঘটে। অধুনা বাংলা ও বিহার ভূখণ্ড ছিল পাল সাম্রাজ্যের প্রধান কেন্দ্র। এই সাম্রাজ্যের প্রধান শহরগুলি ছিল পাটলীপুত্র, বিক্রমপুর, রামাবতী (বরেন্দ্র), মুঙ্গের, তাম্রলিপ্ত ও জগদ্দল।
প্রযুক্তি হল কৌশল, দক্ষতা, পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া সমষ্টি যা পণ্য ও সেবা উৎপাদনে অথবা উদ্দেশ্য সাধনে ব্যবহৃত হয় যেমন বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান।প্রযুক্তির হতে পারে কৌশল ও প্রক্রিয়ার জ্ঞান অথবা এটি অন্তর্ভুক্ত হতে পারে শুধুমাত্র যন্ত্রের ধারণা যে এটি কিভাবে পরিচালিত হয় এগুলো সম্পর্কে বিশদ জ্ঞান ব্যতিরেকে। কৌশল (অর্থাৎ মেশিন বা যন্ত্র) যা প্রযুক্তির ব্যবহার ইনপুট নিয়ে একটি আউটপুট ফলাফলে পরিণত করে তাকে প্রযুক্তি কৌশল বা প্রযুক্তিগত কৌশল বলে।
মুহাম্মাদ (আরবি: مُحَمَّد; ২৯ আগস্ট ৫৭০ – ৮ জুন ৬৩২; মোহাম্মদ এবং মুহম্মদ নামেও পরিচিত), ছিলেন একজন আরবের ধর্মীয়, সামাজিক এবং রাজনৈতিক নেতা এবং ইসলাম ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা। ইসলামী মতবাদ অনুসারে, তিনি হলেন ঐশ্বরিকভাবে প্রেরিত ইসলামের সর্বশেষ নবী (আরবি: النبي; আন-নাবিয়্যু), তথা ‘বার্তাবাহক’ (আরবি: الرسول; আল-রাসুল), যার উপর ইসলামের প্রধান ধর্মগ্রন্থ কুরআন অবতীর্ণ হয়। আদম, ইব্রাহিম, মূসা, যীশু এবং অন্যান্য নবীদের মতোই মুহাম্মদ একেশ্বরবাদী শিক্ষা প্রচার করার জন্য প্রেরিত। অমুসলিমদের মতে, তিনি ইসলামি জীবনব্যবস্থার প্রবর্তক। অধিকাংশ ইতিহাসবেত্তা ও বিশেষজ্ঞদের মতে, মুহাম্মাদ ছিলেন পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় নেতা। তার এই বিশেষত্বের অন্যতম কারণ হচ্ছে আধ্যাত্মিক ও জাগতিক উভয় জগতেই চূড়ান্ত সফলতা অর্জন। তিনি ধর্মীয় জীবনে যেমন সফল ছিলেন, তেমনই রাজনৈতিক জীবনেও। সমগ্র আরব বিশ্বের জাগরণের পথিকৃৎ হিসেবে তিনি অগ্রগণ্য; বিবাদমান আরব জনতাকে একীভূতকরণ তার জীবনের অন্যতম সাফল্য। কুরআনের পাশাপাশি তার শিক্ষা এবং অনুশীলনগুলি ইসলামী ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিত্তি স্থাপন করে।
বাঁধ বলতে এমন একটি প্রতিবন্ধক দেয়ালকে বোঝানো হয়, যেটি জলের প্রবাহকে বাধা দান করে। এটি মূলত কোন স্থানে কৃত্রিম উপায়ে জল ধরে রেখে এর নিকট বা দূরবর্তী এলাকায় সেচ বা পানীয় জলের কৃত্রিম উৎস হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া বন্যা নিয়ন্ত্রক বাঁধ কোন একটি এলাকাকে বন্যা বা প্লাবিত হওয়া থেকে রক্ষা করে। এছাড়া জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের একটি প্রধান অংশ হিসেবে বাঁধ তৈরি করা হয়।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ (বাংলা: বাংলাদেশ গণসংঘ) বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী এবং বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল। এই রাজনৈতিক দলটির গোড়াপত্তন হয় ২৩ জুন ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। পরবর্তী কালে এর নাম ছিল নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ। ১৯৭০ সাল থেকে এর নির্বাচনী প্রতীক নৌকা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ১৯৫৫ সালে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক আদর্শের অধিকতর প্রতিফলন ঘটানোর জন্য এর নাম "আওয়ামী লীগ" করা হয়।
শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড
শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড ছিল বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ঘটনা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একদল সদস্য সামরিক অভ্যুত্থান সংঘটিত করে এবং শেখ মুজিবুর রহমানকে তার ধানমন্ডি ৩২-এর বাসভবনে সপরিবারে হত্যা করে। পরে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ থেকে ৬ নভেম্বর ১৯৭৫ পর্যন্ত খন্দকার মোশতাক আহমেদ অঘোষিতভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির পদে আসীন হন। শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশের বেসামরিক প্রশাসনকেন্দ্রিক রাজনীতিতে প্রথমবারের মতো সামরিক ক্ষমতার প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ ঘটে। হত্যাকাণ্ডটি বাংলাদেশের আদর্শিক পটপরিবর্তন বলে বিবেচিত। বর্তমানে ১৫ ই আগস্ট বাংলাদেশের ‘জাতীয় শোক দিবস’ হিসেবে পালিত হয়।
সুবর্ণভূমি বিমানবন্দর (থাই: ท่าอากาศยานสุวรรณภูมิ) থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অবস্থিত অন্যতম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এছাড়াও বিমানবন্দরটি ব্যাংকক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নামে পরিচিত। ব্যাংককের আরেকটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হচ্ছে ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০০৬ তারিখে সীমিত পরিসরে অভ্যন্তরীণ রুটে আনুষ্ঠানিকভাবে উড্ডয়ন করে। এরপর একই বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর তারিখে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাণিজ্যিকভিত্তিতে চলাচল করছে।
জীবাশ্ম জ্বালানি হল এক প্রকার জ্বালানি যা বায়ুর অনুপস্থিতিতে অবাত পচন প্রক্রিয়ায় তৈরি হয়। মৃত গাছের পাতা, মৃতদেহ ইত্যাদি জীবনের উপাদান হাজার হাজার বছর ধরে মাটির নিচে চাপা পড়ে এ জ্বালানি তৈরি হয়। এ প্রক্রিয়ায় জ্বালানি তৈরি হতে মিলিয়ন বছর লাগে, সাধারণত ৬৫০ মিলিয়ন বছর বা ৬৫০০০০০০০ বছর সময় লাগে। জীবাশ্ম জ্বালানিতে উচ্চ পরিমাণে কার্বন থাকে। কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, খনিজ তেল ইত্যাদি জীবাশ্ম জ্বালানি। জীবাশ্ম জ্বালানি পৃথিবীর সকল জায়গায় পাওয়া যায় না। যে দেশে পাওয়া যায় তার ওপর অন্যান্য দেশ নির্ভর করে,।
পাঞ্জাব (পাঞ্জাবিতে: ਪੰਜਾਬ পাঞ্জাব্) ( (শুনুন)) বা পঞ্জাব ভারতের একটি রাজ্য, যেটি পাঞ্জাব অঞ্চলের বৃহত্তর অংশ গঠন করেছে। উত্তরে জম্মু ও কাশ্মীর, পূর্বে হিমাচল প্রদেশ, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে হরিয়ানা, দক্ষিণ-পশ্চিমে রাজস্থান, এবং পশ্চিমে পাকিস্তানের পাঞ্জাব ভারতের, পাঞ্জাবের সীমা নির্ধারণ করেছে। রাজ্যের রাজধানী চণ্ডীগড়ে অবস্থিত। এটি একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং প্রতিবেশী রাজ্য হরিয়ানারও রাজধানী।
সাতবাহন সাম্রাজ্য একটি প্রাচীন ভারতীয় সাম্রাজ্য যা খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতক থেকে পরবর্তী সাড়ে চারশত বছর ধরে দক্ষিণ ভারতে বিস্তৃত ছিল। মৌর্য সাম্রাজ্যের সামন্ত রাজ্য হিসেবে সাতবাহনরা গণ্য হলেও মৌর্য সাম্রাজ্যের পতনের পর শুঙ্গ ও কাণ্ব রাজবংশের সঙ্গে যুদ্ধ করে স্বাধীন রাজ্য হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে। পরবর্তীকালে তারা পশ্চিমী ক্ষত্রপ রাজ্যের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (ইংরেজি: United States of America; উচ্চারণ: ইউনাইটেড স্টেটস অফ আমেরিকা) উত্তর আমেরিকা মহাদেশে অবস্থিত পঞ্চাশটি অঙ্গরাজ্য, একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় জেলা ও পাঁচটি স্বশাসিত অঞ্চল নিয়ে গঠিত যুক্তরাষ্ট্রীয় সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র। এই দেশটি "আমেরিকা" নামেও পরিচিত। উত্তর আমেরিকা মহাদেশের মধ্যভাগে অবস্থিত আটচল্লিশটি রাজ্য ও রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি অঞ্চলসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডটি পশ্চিমে প্রশান্ত ও পূর্বে আটলান্টিক মহাসাগরদ্বয়ের মধ্যস্থলে অবস্থিত; এই অঞ্চলের উত্তরে কানাডা ও দক্ষিণে মেক্সিকো। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যটি উত্তর আমেরিকা মহাদেশের উত্তর-পশ্চিম কোণে অবস্থিত; আলাস্কার পূর্ব সীমান্তে কানাডা ও পশ্চিমে বেরিং প্রণালী পেরিয়ে রাশিয়া অবস্থিত। হাওয়াই অঙ্গরাজ্যটি মধ্য-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থিত একটি দ্বীপপুঞ্জ। এছাড়াও ক্যারিবীয় সাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরে পাাঁচটি অঞ্চল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অধীন।
চোল রাজবংশ (তামিল: சோழர் குலம்; আ-ধ্ব-ব: [ˈt͡ʃoːɻə]) ছিল একটি তামিল রাজবংশ। দক্ষিণ ভারতের কোনো কোনো অঞ্চলে এই সাম্রাজ্যই ছিল সর্বাপেক্ষা দীর্ঘকালীন সাম্রাজ্য। চোল রাজবংশের প্রথম নথিভুক্ত উল্লেখ পাওয়া যায় খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে লিখিত সম্রাট অশোকের শিলালিপিতে। বিভিন্ন অঞ্চলে এই রাজবংশের শাসন খ্রিষ্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দী পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল।
সংস্কৃতি শব্দটির আভিধানিক অর্থ চিৎপ্রকর্ষ বা মানবীয় বৈশিষ্ট্যের উৎকর্ষ সাধন। ইংরেজি Culture-এর প্রতিশব্দ হিসেবে সংস্কৃতি শব্দটি ১৯২২ সালে বাংলায় প্রথম ব্যবহার শুরু হয়।সংস্কৃতি (বা কৃষ্টি) হলো সেই জটিল সামগ্রিকতা যাতে অন্তর্গত আছে জ্ঞান, বিশ্বাস, নৈতিকতা, শিল্প, আইন, রাজনীতি, আচার এবং সমাজের একজন সদস্য হিসেবে মানুষের দ্বারা অর্জিত অন্য যেকোনো সম্ভাব্য সামর্থ্য বা অভ্যাস।ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত ভাষাতত্ত্বের অধ্যাপিকা হেলেন স্পেনসার-ওটেইয়ের মতে, সংস্কৃতি হলো কিছু বুনিয়াদি অনুমান, মূল্যবোধ ও জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির, বিশ্বাস, নীতিমালা, প্রক্রিয়া এবং আচরণিক প্রথার অস্পষ্ট সমষ্টি–যা এক দল মানুষ ভাগ করে নেয় এবং সেই সমষ্টি দলের প্রত্যেক সদস্যের আচরণকে এবং তার নিকট অন্য সদস্যের আচরণের 'অর্থ' বা সংজ্ঞায়নকে প্রভাবিত করে (কিন্তু নির্ধারিত করে না)।
শঙ্খ ঘোষ (৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৩২ - ২১ এপ্রিল ২০২১) ছিলেন একজন বিশিষ্ট ভারতের একজন শক্তিমান বাঙালি কবি ও সাহিত্য-সমালোচক। তিনি একজন বিশিষ্ট রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ হিসাবে প্রসিদ্ধ ছিলেন। তিনি ছিলেন কাব্য সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ও জীবনানন্দ দাশের উত্তরসূরী।তার প্রকৃত নাম চিত্তপ্রিয় ঘোষ। শঙ্খ ঘোষ সারা জীবন শিক্ষকতা করেছেন। তিনি বঙ্গবাসী কলেজ, জঙ্গীপুর কলেজ, যাদবপুর, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অ্যাডভান্সড স্টাডিজ (শিমলা), দিল্লি ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্যে অধ্যাপনা করেছেন।বাবরের প্রার্থনা কাব্যগ্রন্থটির জন্য তিনি ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন। তার গদ্যগ্রন্থ "বটপাকুড়ের ফেনা" ২০১৬ সালে ভারতের সর্বোচ্চ সাহিত্য সম্মান জ্ঞানপীঠ পুরস্কার লাভ করে। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলির মধ্যে অন্যতম হল মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে, উর্বশীর হাসি, ওকাম্পোর রবীন্দ্রনাথ ইত্যাদি। তিনি শঙ্খ ঘোষ নামে অধিক পরিচিত হলেও তাঁকে অন্য নামও গ্রহণ করতে দেখা যায়। দশম-একাদশ শতকের সংস্কৃত আলংকারিক কুন্তক-এর নাম তিনি গ্রহণ করেছেন নিজের আরেকটি ছদ্মনাম হিসেবে। আবার শুভময় নামটিও তাকে ব্যবহার করতে দেখা যায়।ঘোষ ১০ই এপ্রিল ২০২১ তারিখে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হন বলে পরিক্ষায় ধরা পরে। এরপরে তিনি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হন এবং ২১শে এপ্রিল ২০২১ তারিখে কলকাতায় তাঁর নিজ বাড়িতে সকাল ১১:৩০ -এ মারা যান।
জাতীয় স্মৃতিসৌধ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত মুক্তিযোদ্ধা ও নিহত বেসামরিক বাঙালি ও অবাঙ্গালিদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নিবেদিত একটি স্মারক স্থাপনা। এটি সাভারে অবস্থিত। এর নকশা প্রণয়ন করেছেন স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেন। এখানে মুক্তিযুদ্ধে নিহতদের দশটি গণকবর রয়েছে। বিদেশি রাষ্ট্রনায়কগণ সরকারিভাবে বাংলাদেশ সফরে আগমন করলে এই স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন রাষ্ট্রাচারের অন্তর্ভুক্ত।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ (WWI বা WW1), এছাড়াও বিশ্বযুদ্ধ-১, বা মহাযুুুুদ্ধ হিসাবে পরিচিত, একটি বৈশ্বিক যুদ্ধ যা ১৯১৪ সালের ২৮ জুলাই ইউরোপে শুরু হয় এবং ১১ নভেম্বর ১৯১৮ পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। ৬ কোটি ইউরোপীয়সহ আরো ৭ কোটি সামরিক বাহিনীর সদস্য ইতিহাসের অন্যতম বৃহত্তম এই যুদ্ধে একত্রিত হয়। এটি ছিল ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাতের একটি এবং এর ফলে পরবর্তী সময়ে এর সাথে যুক্ত দেশগুলোর রাজনীতিতে বিরাট পরিবর্তন হয়। অনেক দেশে এটি বিপ্লবেরও সূচনা করে।
ফেসবুক (ইংরেজি: Facebook) অথবা ফেইসবুক (সংক্ষেপে ফেবু নামেও পরিচিত), হল মেটা প্ল্যাটফর্মসের মালিকানাধীন বিশ্ব-সামাজিক আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থার একটি ওয়েবসাইট, যা ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়। এটিতে বিনামূল্যে সদস্য হওয়া যায়। ব্যবহারকারীগণ বন্ধু সংযোজন, বার্তা প্রেরণ এবং তাদের ব্যক্তিগত তথ্যাবলী হালনাগাদ ও আদান প্রদান করতে পারেন, সেই সাথে একজন ব্যবহারকারী শহর, কর্মস্থল, বিদ্যালয় এবং অঞ্চল-ভিক্তিক নেটওয়ার্কেও যুক্ত হতে পারেন। শিক্ষাবর্ষের শুরুতে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যকার উত্তম জানাশোনাকে উপলক্ষ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক প্রদত্ত বইয়ের নাম থেকে এই ওয়েবসাইটটির নামকরণ করা হয়েছে।
বন্যা ভূমিকাঃ পানি দ্বারা স্থলভাগ প্লাবিত হওয়াকে বন্যা বলা হয়। যখনপানির উচ্চপ্রবাহ শুষ্ক জমিকে নিমজ্জিত করে,তখনই মূলত বন্যার সৃষ্টি হয়। প্রাকৃতিক দূর্যোগকবলিত আমাদের এই নদীমাতৃক বাংলাদেশের কোনো না কোনো অঞ্চলে প্রায় প্রতিবছরই বন্যা সংঘটিত হয়ে থাকে বিভিন্ন সামাজিক এবং মানবসৃষ্ট কারনে বন্যা সংঘটিত হয়।মানবসৃষ্ট কারনগুলোর মধ্যে যেমন: বন উজাড়,জলাভূমি অপসারণ, জলপথের গতিপথের পরিবর্তন বা বন্যা নিয়ন্ত্রণ এর জন্য বাঁধ নির্মাণ। এছাড়াও রয়েছে কিছু পরিবেশগত কারণ: যেমন জলবায়ু পরিবর্তন এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি । বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বন্যার তীব্রতা বাড়ছে। আমাদের দেশে অসংখ্য জলাশয়, নদী, হ্রদ রয়েছে যেখান থেকে জলপ্রবাহ উপচে পড়ার কারণে বন্যা হয়, জল সীমানার উপরে উঠে যায় বা বাঁধ ভেঙে যায়, ফলে সেই জলের কিছু অংশ তার স্বাভাবিক সীমানা ছাড়িয়ে যায়। বাংলাদেশের বন্যা বাংলাদেশ বহু নদীর দেশ। ব্রহ্মপুত্র নদের ব-দ্বীপ (গঙ্গা বদ্বীপ নামেও পরিচিত) এবং বঙ্গোপসাগরে প্রবাহিত অনেক শাখা নদীর কারণে বাংলাদেশে বন্যার প্রবণতা রয়েছে। এই ধরনের অববাহিকার অংশ হওয়ার কারণে এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫ মিটারের কম গড় উচ্চতায় অবস্থিত হওয়ার কারণে, কাছাকাছি পাহাড় থেকে জলের ঝলকানি, উজান থেকে আসা জলপ্রবাহ এবং ড্রেনজট জনিত স্থানীয় ভারী বৃষ্টিপাতের দরূন বাংলাদেশ বন্যার ক্রমবর্ধমান প্রভাবের সম্মুখীন হয়। বাংলাদেশে প্রায় প্রতি বছরই এই সমস্যা দেখা দেয়। নদীর তীর ফেটে যাওয়ার সাথে যুক্ত হয়ে উপকূলীয় বন্যা বাংলাদেশে একটি সাধারণ ঘটনাপ্রবাহ হয়ে দাঁড়িয়েছে যা বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতি এবং সমাজকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করে। বাংলাদেশে বন্যা হওয়ার পেছনে মূল কারণগুলো নিম্নরূপ: ১) বৃষ্টিপাত বন্যা হওয়ার জন্য মূলত দায়ী। বৃষ্টির পানির সঙ্গে হিমালয়ের বরফগলা পানি যুক্ত হয়ে অববাহিকার উপরিভাগ থকে নেমে আসে বিপুল জলরাশি। প্রবাহের পরিমাণ নদীর ধারনক্ষমতার চেয়ে বেশি হওয়ার কারণে নদীর পার উপচে প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকাতে। ২) নদনদীর তলদেশ ভরাট হওয়া: নদনদীর তলদেশ ভরাট হযে যাওয়ায় গভীরতা হ্রাস পেয়ে নদী খাতের পলি ধারণ ক্ষমতা কমে গিয়েছে সহজেই নদীতে প্লাবনের সৃষ্টি হয়। প্রধান প্রধান নদীসমূহে একসঙ্গে পানি বৃদ্ধি এবং এক নদীর উপরে অন্য নদীর প্রভাব বিস্তার। ৩)জোয়ারভাটাএবং বায়ু প্রবাহের বিপরীতমূখী ক্রিয়ার ফলে নদ-নদীর সমূদ্রমমুখী প্রবাহ ধীরগতি প্রাপ্ত হওয়া। ৪) ভূগাঠনিক বিশৃঙ্খলা(ভুমিকম্প, নদীর প্রবাহ এবং ভূমিরূপ তত্ত্বে পরিবর্তন) বন্যার প্রকারভেদ বাংলাদেশ বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, দেশে চার ধরনের বন্যা হয়। এগুলো হচ্ছে-(১) মৌসুমী জলবায়ুর প্রভাবে নদ-নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি জনিত বর্ষাকালীন বন্যা, (২) আকস্মিক (পাহাড়ী ঢল) বন্যা, (৩) অপ্রতুল নিস্কাষণ ব্যবস্থা জনিত বন্যা এবং (৪) সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে ঝড় সৃষ্ট জলোচ্ছাস বা জোয়ারের উচ্চতা জনিত বন্যা। মৌসুমী জলবায়ুর প্রভাবে নদ-নদীর পানি সমতল (উচ্চতা) বৃদ্ধি জনিত বর্ষাকালীন বন্যায় নদ-নদীর পানি সমতল ধীরে ধীরে বৃদ্ধি বা হ্রাস পায়। আকস্মিক বন্যা বাংলাদেশের উত্তরের কিছু এলাকা, উত্তর-পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্বাংশে সংলগ্ন পাহাড়ী অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারনে হয়ে থাকে এবং পানি সমতল দ্রুত বৃদ্ধি বা হ্রাস পায়। একই সাথে পানি প্রবাহের গতিবেগ বেশি হয়, বন্যা হয় স্বল্প মেয়াদী। অপ্রতুল নিস্কাষণ ব্যবস্থা বা নিস্কাষণ ব্যবস্থা বাধাগ্রস্থ হওয়ার কারনে মাঝারী বা ভারী বৃষ্টিপাতের দরুন কোন কোন এলাকা বন্যা কবলিত হয়, এই প্রকার বন্যা কবলিত এলাকার পানি সমতল খুব ধীর গতিতে হ্রাস পায় এবং বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়। ঝড়-ঘুর্ণীঝড়-সাইক্লোন ইত্যাদির কারনে সৃষ্ট জলোচ্ছাস এবং জোয়ারের উচ্চতার কারনে উপকূলীয় অঞ্চলে বন্যা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের কোন কোন এলাকায় এক বা একাধিক প্রকার বন্যা দেখা দিতে পারে। বন্যার কালক্রম বাংলাদেশে ১৯৭৪, ১৯৮৭, ১৯৮৮, ১৯৯০, ১৯৯৫, ১৯৯৮, ২০০৪ ও ২০০৭ সালের বন্যায় অনেক ক্ষতি হয়েছে, বিশেষ করে ১৯৭৪ সালের বন্যায় এত বেশি ক্ষতি হয়েছিল যে সেটি বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ১৯৭৪: ময়মনসিংহে প্রায় ১০,৩৬০ বর্গকিলোমিটার বন্যা প্লাবিত হয়। ১৯৮৭: জুলাই-আগস্ট মাসে বন্যায় বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটে। প্রায় ৫৭,৩০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ১৯৮৮: ১৯৮৮ এর আগস্টের শেষে ও সেপ্টেম্বরের বন্যায় বাংলাদেশের মানুষের জীবনে অবর্ণনীয় দু:খ-কষ্ট নেমে আসে। দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ৫৩টি জেলা ৩৯১ টি উপজেলা বন্যা কবলিত হয় এবং ক্ষতির অওতায় আসে। এতে প্রায় ৯০,০০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা প্লাবিত হয় এবং প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ ক্ষয়গ্রস্ত হয়। ১৯৮৯: সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার এলাকায় বন্যায় ছয় লক্ষ লোক পানিবন্দী হয়। ১৯৯৩: মোট ২৮টি জেলা বন্যা কবলিত হয়। ১৯৯৮: সমগ্র দেশের দুই তৃতীয়াংশের বেশি এলাকা দুই মাসের অধিক সময় বন্যা কবলিত হয়। ২০০০: ভারতের সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের পাঁচটি দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা বন্যা বিধ্বস্ত হয়। ২০০৪ :১৯৮৮ এবং ১৯৯৮ সালের বন্যার সাথে ২০০৪ সালের বন্যাটির খুব মিল ছিল এবং এই বন্যায় দেশের দুই তৃতীয়াংশ পানির নিচে ছিল। ২০০৫: ২০০৫ সালের অক্টোবরের গোড়ার দিকে বৃষ্টির কারণে অনেক গ্রাম প্লাবিত হয় এবং বন্যার সৃষ্টি হয়। ২০০৭: ২০০৭ সালে বাংলাদেশে আঘাত হানা বন্যায় ৪০টি জেলার ২৫২টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল যার ফলে লক্ষাধিক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে। ২০১৫ এবং২০১৭ সালেও বন্যা হয়েছিল । ২০১৭ সালে অপ্রত্যাশিত প্রারম্ভিক ভারী বর্ষণ বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে বন্যার সৃষ্টি করে এবং এপ্রিলে প্রাক-ফসলের ক্ষতি করে। এপ্রিলের বন্যা আগস্টের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল এবং আবাসন, সম্পত্তি এবং অবকাঠামোর যথেষ্ট ক্ষতি করেছে। বাংলাদেশের ব্যাপক বন্যা প্লাবিত মানচিত্র অনুসারে, ২০১৭ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশের ৫.০৩ % এলাকা জুড়ে বন্যা হয়েছিল - প্লাবিত এলাকা ছিল ২.০১ %, সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয় ফসলি জমিতে (১.৫১%), তারপরে গ্রামীণ বসতি এবং বসতবাড়ির বাগান এলাকা (০.২১%) এবং অন্যান্য এলাকায় (০.২৯%)। একইভাবে, ২০১৭ সালের জুন এবং আগস্ট মাসে আরও বেশি এলাকা প্লাবিত হয়েছিল, যেখানে প্লাবনের পরিমাণ যথাক্রমে ৪.৫৩ % এবং ৭.০১% ছিল। ২০২১ সালের ২৭ জুলাই এ কক্সবাজারে ভারী বর্ষা বৃষ্টির কারণে ঢাল এর পতন হয় এবং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে মারাত্মক বন্যা দেখা দেয়। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস মোতাবেক (২৭ - ৩০) জুলাইয়ের মধ্যে ৫৭০ মি.মি. বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং ভারী বৃষ্টিপাত এবং ভূমিধসের ঝুঁকির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উচ্চ সামুদ্রিক জোয়ার নদীগুলির মাধ্যমে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনকে ব্যাহত করছে। স্বেচ্ছাসেবকরা ক্ষতিগ্রস্থদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে সহায়তা করছেন। ৭ জুলাই থেকে অবিরাম বর্ষণের ফলে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির এবং স্বাগতিক সম্প্রদায় জুড়ে ক্রমাগত বন্যা হয়েছে, যার ফলে ১৮ জন প্রাণ হারিয়েছে। ISCG-এর মতে, ২৭টি শিবিরে ১২,৯৯৪ শরণার্থী প্রভাবিত হয়েছে এবং ৫,৫৯৩ জন অস্থায়ীভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। স্থানীয় মিডিয়ার সূত্রমতে ৪১৩টি, বন্যাকবলিত গ্রামে ৫১,১৫০টি হোস্ট কমিউনিটি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কমপক্ষে ৪৮০টি টি বাস্তুচ্যুত হোস্ট কমিউনিটি পরিবারকে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। (ECHO, ২৯ জুলাই ২০২১)। আগস্টের শেষ সপ্তাহ থেকে ভারী বর্ষণে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যা দেখা দেয়। ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কোঅর্ডিনেশন সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ী, শরিয়াতপুর ও বগুড়া। এসব জেলার ৪০,০০০ এরও বেশি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ৭৭৫৯ হেক্টর কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এবং ২০০ টিরও বেশি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে, সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলিতে চাল এবং নগদ সহায়তা বরাদ্দ করেছে এবং স্থানীয় ও জাতীয় সংস্থাগুলি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে খাদ্য ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহ করেছে। লোকেরা উচ্চ ভূমিতে চলে গেছে । বন্যার সময় অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র অতীব জরুরি প্রয়োজন । গ্রামীণ রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে, যোগাযোগ বিঘ্নিত হয়েছে এবং জীবন-জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০২১ এ আগস্টের শেষ সপ্তাহ থেকে ভারী বর্ষণে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে। ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কোঅর্ডিনেশন সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ী, শরিয়াতপুর ও বগুড়া। এসব জেলার ৪০,০০০ এরও বেশি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ৭৭৫৯ হেক্টর কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এবং ২০০ টিরও বেশি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে, সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলিতে চাল এবং নগদ সহায়তা বরাদ্দ করেছে এবং স্থানীয় ও জাতীয় সংস্থাগুলি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে খাদ্য ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহ করেছে। লোকেরা উচ্চ ভূমিতে চলে গেছে । বন্যার সময় অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র অতীব জরুরি প্রয়োজন । গ্রামীণ রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে, যোগাযোগ বিঘ্নিত হয়েছে এবং জীবন-জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার সুফল: কৃষি শিল্পকে টিকিয়ে রাখার জন্য বালাদেশে স্বল্প পরিমাণের বন্যার প্রয়োজন, কারণ বন্যার পানিতে জমা পলি জমি উর্বর করে। ধান জন্মানোর জন্য পানির প্রয়োজন হয়। প্রাকৃতিক বন্যা এ ক্ষেত্রে কৃত্রিম সেচের স্থলে গূরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । কারণ কৃত্রিম সেঁচ নির্মাণ করা সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল। উচ্চ হারে বাষ্পীভবন এর মাধ্যমে জমিতে জমাকৃত লবণ বন্যার সময় অপসারণ করা হয়, যা জমিকে অনুর্বর হতে বাধা দেয়। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যার কারণে যখন বর্ষা বাধাগ্রস্ত হয় তখন বন্যার সুবিধাগুলি স্পষ্ট হয়৷ এসব ছাড়াও বন্যার আরও ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে । তা হল ভুট্টা জলের উপরে জন্মায়, বন্যার সাথে ভুট্টা জন্মাতে পারে যা এলাকার কৃষি ও অর্থনীতিতে উপকার করতে পারে। বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপঃ ১৯৬৪ সালে দেশ জুড়ে ৫৮টি বন্যা প্রতিরোধ এবং নিষ্কাশন প্রকল্প সংবলিত একটি মাস্টার প্লান গৃহীত হয়েছিল্ ১৯৯৯ সালে বন্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে এমন এলাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ৪.৬২ মলিয়ন হেক্টর। বাংলাদেম পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যার ক্ষয়ক্ষতি ও নেতিবাচক প্রভাব হ্রাসকরণ এবং উদ্বৃত্ত পানি সেঁচকার্যে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে বহু সংখ্যক বাঁধ, খাল নির্মাণও খনন কাজ করেছে। এদের মধ্যে প্রধান বন্যা নিয়ন্ত্রন নিষ্কাশন ও সেঁচ প্রকল্পগুলো হলোঃ ১। গঙ্গা কপোতাক্ষ সেঁচ প্রকল্প ২। ঢাকা -নারায়ন গঞ্জ-ডেমরা (ডিএন ডি ) প্রকল্প ৩। কর্ণপুলী বহুমূখী প্রকল্প ৪। উপকূলীয় ভেড়িবাঁধ প্রকল্প ৫।উত্তরাঞ্চলে নলকূপ প্রকল্প ৬। বক্ষ্রপুত্র ডান তীরবর্তী বেড়িবাঁধ প্রকল্প ৭। চাঁদপুর সেচ প্রকল্প ৮। মেঘনা ধনাগোদা প্রকল্প ৯। মনু নদী প্রকল্প ১০। খোয়াই নদী প্রকল্প ১১।পাবনা সেঁচ প্রকল্প ১২।মুহূরী সেঁচ প্রকল্প ১৩। গোমতী প্রকল্প ১৪। তিস্তা বাঁধ প্রকল্প ১৫। ঢাকা সমন্বিত বন্যা প্রতিরক্ষা প্রকল্প ১৬। দ্রুত বাস্তবায়ন প্রকল্প ২০১৯-২০২১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়িত/বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন কার্য্ক্রমসমূহ ও সাফল্যের তথ্যঃ বিগত ৩ বছরে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ৬৮টি (নদীতীর সংরক্ষণধর্মী ৩২টি, সেচধর্মী ৭টি, বন্যা নিয়ন্ত্রণ/নিষ্কাশনধর্মী ১৪টি, সমীক্ষাধর্মী ১৪ টি ও ভবন নির্মাণধর্মী ১টি) প্রকল্পের বাস্তবায়ন সম্পন্ন করেছে। বর্তমানে [৮১+ ৫(এডিপি ড্রপআউট)]= ৮৬টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। তন্মধ্যে, জুন, ২০২২ নাগাদ ২৪টি প্রকল্পের বাস্তবায়ন সমাপ্ত করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। বিগত ৩ বছরে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের আওতায় ৪২টি প্রকল্পের বাস্তবায়ন সম্পন্ন করা হয়েছে এবং ১৩টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। বিগত ৩ বছরে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ৫২৩১ কিঃমিঃ নদীতীর সংরক্ষণ, বিভিন্ন নদীর প্রায় ২০৫২ কিঃমিঃ দৈর্ঘ্যে খনন/ড্রেজিং, ৪৫৫৮ কিঃমিঃ খাল পুনঃখনন, ৩০৯ কিঃমিঃ বাঁধ (বন্যা নিয়ন্ত্রণ, উপকূলীয় ও ডুবন্ত) নির্মাণ এবং ৩৪৫২ কিঃমিঃ বাঁধ পুনঃনির্মাণ/মেরামত করা হয়েছে। ৫৩৪টি পানি কাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও, ৮.৬০ বর্গকিঃমিঃ ভূমি পুনরূদ্ধার করা হয়েছে। অবকাঠামোগত এসকল উন্নয়ন কার্যক্রমের ফলে ৪০ হাজার হেক্টর এলাকায় সেচ সুবিধার সম্প্রসারণ ঘটেছে। ৫১ হাজার হেক্টর এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন সুবিধার সম্প্রসারণ ঘটেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাস্তবায়নযোগ্য মোট ৫০টি প্রতিশ্রুতির মধ্যে ৩৭টি প্রতিশ্রুতি (বিগত ৩ বছরে ১২টি প্রতিশ্রুতি) সর্বতোভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। ৮টি প্রতিশ্রুতির কার্যক্রম চলমান আছে। ৪টি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য ডিপিপি প্রণয়ন করা হয়েছে। ১টি প্রতিশ্রুতির সমীক্ষা কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাথে স্বাক্ষরিত বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) বাস্তবায়নে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় টানা ৩ (তিন) অর্থ-বছর ধরে শীর্ষ ৫ (পাঁচ) মন্ত্রণালয়/ বিভাগসমূহের মধ্যে (২০২০-২১: ৪র্থ, ২০১৯-২০: ৫ম, ২০১৮-১৯: ৪র্থ) অবস্থান করেছে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এপিএভুক্ত সিংহভাগ কার্যক্রম বাংলাদেশ পানি উন্নযন বোর্ডের মাধ্যমেই অর্জিত হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থ-বছরের এপিএ বাস্তবায়নে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থাসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড শীর্ষস্থান অর্জন করে।উল্লেখযোগ্য চলমান কার্যক্রমসমূহঃ বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ মহাপরিকল্পনায় বিনিয়োগ অগ্রাধিকার হিসাবে ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানে ৮০টি কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ২৩টি কার্যক্রম পূর্ণ/আংশিকভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ এর আওতায় “৬৪টি জেলায় অভ্যন্তরস্থ ছোট নদী, খাল এবং জলাশয় পুনঃখনন (১ম পর্যায়)” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় দেশের ৬৪টি জেলায় প্রায় ৪৪৩৯ কিঃমিঃ নদী, খাল এবং জলাশয় পুনঃখনন করা হচ্ছে। ফলে ১০০টি ছোট নদী, ৩৯৬টি খাল ও ১৫টি জলাশয় পুনরুজ্জীবিত হবে। ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ এর আওতায় বাঙ্গালী-করতোয়া-ফুলজোড়-হুরাসাগর নদী সিস্টেম ড্রেজিং/পুনঃখনন করা হচ্ছে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব প্রতিরোধ, লবণাক্ত পানির অনুপ্রবেশ রোধ ও ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপকূলীয় খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলার ১০টি পোল্ডারের বাঁধের উচ্চতা ও প্রশস্থতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাঁধ শক্তিশালীকরণ এবং অভ্যন্তরীণ নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তায় Costal Embankment Improvement Project (CEIP) বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম জেলার মিরশ্বরাই উপজেলায় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (বেজা) কর্তৃক নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর-কে বন্যামুক্ত করার লক্ষ্যে দেশের প্রথম সুপার ডাইক নির্মাণাধীন আছে, যা উপর দিয়ে নির্মিতব্য মোটরেবল পেভমেন্ট যোগাযোগ ব্যবস্থা ও পর্যটনের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। জুন, ২০২৩ নাগাদ প্রকল্পটির বাস্তবায়ন সমাপ্ত হবে। জাইকার ঋণ সহায়তায় হাওর এলাকায় পুরাতন ১৫টি উপ-প্রকল্পের পুনর্বাসন এবং নতুন এলাকাকে বন্যা ব্যবস্থাপনার আওতায় এনে ১৪টি নতুন উপ-প্রকল্প বাস্তবায়ন করে হাওর এলাকার বন্যা ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করা হচ্ছে। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) এলাকা, চট্টগ্রাম মহানগরী ও নোয়াখালী জেলা শহর এলাকায় জলাবদ্ধতা/জলামগ্নতা স্থায়ীভাবে নিরসনকল্পে ৩টি প্রকল্প বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ২০১৭-১৮ অর্থ-বছর থেকে হাওর এলাকায় কাবিটা প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহীত বাঁধের রুটিন মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজসমূহ জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে যথাসময়ে বাস্তবায়নের জন্য বিদ্যমান নীতিমালার সংশোধন করে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) দ্বারা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ২০১৯ সালে অনুন্নয়ন রাজস্ব বাজেটের আওতায় কাবিটা প্রকল্পের মাধ্যমে ৮০৩টি পিআইসি দ্বারা হাওর এলাকায় প্রায় ৬৫৩ কিঃমিঃ ডুবন্ত বাঁধ যথাসময়ে মেরামত করা হয়। ২০২০ সালে ১০২৩টি পিআইসি দ্বারা হাওর এলাকায় প্রায় ৮৩৮ কিঃমিঃ ডুবন্ত বাঁধ মেরামত করা হয়েছে। ২০২১ সালে ১০৯০টি স্কীমে ৮১৯ কিঃমিঃ ডুবন্ত বাঁধ পিআইসি’র দ্বারা মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করে হাওর এলাকাকে আগাম বন্যামুক্ত রেখে বোরো ফসল রক্ষা করা হয়। ২০২২ সালে ১০৫০টি স্কীমে পিআইসি দ্বারা হাওর এলাকায় ৮৫৮ কিঃমিঃ ডুবন্ত বাঁধ মেরামত করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন নদীর ভাঙ্গন হতে জেলা, উপজেলা, পৌর, শহর, বাজার, হাট এবং ঐতিহাসিক ও জাতীয় জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহ রক্ষার্থে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে। দেশের সীমান্তবর্তী ১২টি জেলায় প্রবাহিত সীমান্ত নদীসমূহের ৩৪.০৯৭৫ কিঃমিঃ দৈর্ঘ্য প্রতিরক্ষার জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের কমান্ড এরিয়া সম্প্রসারণ ও বুড়িতিস্তা সেচ প্রকল্পের পুনর্বাসনের জন্য সম্প্রতি অনুমোদিত প্রকল্পের বাস্তবায়ন আরম্ভ হয়েছে। সাতক্ষীরা, খুলনা, ভোলা ও বরগুনা জেলার উপকূলীয় জোয়ার-ভাটা সহিষ্ণু পোল্ডার বাঁধসমূহকে পুনর্বাসন করে উপকূলীয় ঘূর্ণিঝড় সহিষ্ণুতে রূপান্তরের জন্য ৬টি প্রকল্প সম্প্রতি অনুমোদন লাভ করেছে।বন্যা প্রতিকারের উপায়ঃ প্রতিবছর বাংলাদেশে প্রায় ২৬ হাজার বর্গকিলোমিটার অঞ্চল অর্থাৎ ১৮ শতাংশ ভূখণ্ড বন্যাকবলিত হয়। ব্যাপকভাবে বন্যা হলে সমগ্র দেশের ৫৫ শতাংশের বেশি ভূখণ্ড বন্যার প্রকোপে পড়ে।বন্যার প্রকোপে বেশি ক্ষতির শিকার হয় নদীর উপকূলের বসবাসকারী মানুষেরা।বন্যার সময় সুপেয় পানি এবং শুকনো খাবারের সংকট দেখা দেয়।তাই বন্যায় প্লাবিত এলাকার মানুষেরা অপরিশোধিত পানি পান করে এবং নানা ধরনের পানি বাহিত রোগের শিকার হন। এরমধ্যে ডায়রিয়া, আমাশয় উল্লেখযোগ্য। সাধারণত নদীর উপকূলের কাছাকাছি নিম্ন এলাকা গুলো প্রতি বছর বর্ষার সময় নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্লাবিত হয়।যেহেতু বাংলাদেশের একটি নদীমাতৃক দেশ,তাই দেশের সব জায়গায় ছোট বড় নানা ধরনের নদী প্রবাহমান । যার ফলে প্রতিবছর এই নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেয়ে, নদীর পাড়ের কাছাকাছি এলাকা এবং চর গুলোতে বন্যা দেখা যায়।বন্যা একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং এটি প্রাকৃতিক নিয়মেই সংগঠিত হবে।তাই বন্যা প্রতিরোধ এর চেয়ে আমাদের বন্যার প্রতিকারের দিকে নজর দিতে হবে।বন্যার প্রতিকার স্বরূপ যেসব পদক্ষেপ গুলো গ্রহণ করা যেতে পারে: ১. নদী খনন ও সংস্কার কর্মসূচী গ্রহণ করে নদীগুলোর পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। ২.
করেনজিত কৌর ভোহরা (ইংরেজি: Karenjit Kaur Vohra; সানি লিওন () নামে সুপরিচিত; জন্ম: ১৩ মে ১৯৮১) হলেন একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডীয় এবং মার্কিন অভিনেত্রী, ব্যবসায়ী, মডেল এবং প্রাক্তন পর্নোতারকা। এছাড়াও তিনি কারেন মালহোত্রা নামেও অভিনয় করেছেন। ২০০৩ সালে তাকে পেন্টহাউস বর্ষসেরা পেটস নির্বাচিত হন, অতঃপর তিনি ভিভিড এন্টারটেনমেন্টের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। ২০১০ সালে, তিনি ম্যাক্সিম বিশ্বসেরা ১০ পর্ণোতারকার একজন নির্বাচিত হন। তিনি বেশ কয়েকটি স্বাধীন মূলধারার চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন অনুষ্ঠানে অভিনয় করেছেন। ২০১২ সালে, তিনি পূজা ভাটের জিসম ২ নামক যৌনাবেদনময়ী থ্রিলার চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক করেছেন। বর্তমানে তিনি হিন্দি চলচ্চিত্রে কাজ করেন।
পানি দূষণ (জল দূষণ) হল মানুষের কার্যকলাপের ফলে জলাশয়ে দূষণ ঘটা । জলাশয় বলতে হ্রদ, নদী, সমুদ্র, ভূগর্ভস্থ সিক্ত শিলাস্তর এবং ভৌমজলকেই বোঝায়। স্বাভাবিক পরিবেশে পানিতে দূষণকারী পদার্থ উপস্থিত থাকলে তাকে পানি দূষণ বলা হয়। অপর্যাপ্তভাবে পরিশোধিত বর্জ্যজল যদি স্বাভাবিক জলাশয়ে জমা হয়, তবে তা জলজ বাস্তুতন্ত্রের পরিবেশগত অবনতি ঘটাতে পারে। এর ফলে, ভাটির দিকে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে জনস্বাস্থ্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তারা এই দূষিত জল পান এবং স্নানের কাজে অথবা সেচের কাজে ব্যবহার করতে পারে। জলবাহিত রোগের প্রকোপে সারা বিশ্বে যত মানুষ আক্রান্ত হয় বা মারা যায়, তাদের সিংহভাগই ঘটে জল দূষণের কারণে। পানি দূষণকে ভূ-পৃষ্ঠতলীয় দূষণ বা ভৌমজল দূষণ – এই দুইভাগে বিভক্ত করা যায়। সামুদ্র দূষণ এবং পুষ্টি দূষণ – পানি দূষণের এই দুটি উপসেট । জল দূষণের উৎস দুটি হতে পারে - হয় বিন্দু উৎস নতুবা অ-বিন্দু উৎস। বিন্দু উৎসে দূষণের একটিমাত্র চিহ্নিতযোগ্য কারণ থাকে, যেমন বেনো জল বা বর্জ্যজল পরিশোধক কারখানা। অ-বিন্দু উৎস হল আরো বেশি বিস্তৃত, যেমন কৃষিজ জল। বহু সময় ধরে ক্রমবর্দ্ধিত কাজের ফলেই দূষণ সৃষ্টি হয়। দূষিত জলাশয়ে থাকা অথবা এর সংস্পর্শে আসা সমস্ত গাছ এবং জীবই এর দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। দূষণের ফলে একক প্রজাতিগুলো ধ্বংস হতে পারে এবং এরা যে স্বাভাবিক জৈব সংগঠনের অন্তর্গত তারও ক্ষতি হতে পারে।
বাংলা ভাষা (বাঙলা, বাঙ্গলা, তথা বাঙ্গালা নামেও পরিচিত) একটি ইন্দো-আর্য ভাষা, যা দক্ষিণ এশিয়ার বাঙালি জাতির প্রধান কথ্য ও লেখ্য ভাষা। মাতৃভাষীর সংখ্যায় বাংলা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের পঞ্চম ও মোট ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনুসারে বাংলা বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম ভাষা। বাংলা সার্বভৌম ভাষাভিত্তিক জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা তথা সরকারি ভাষা এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসামের বরাক উপত্যকার সরকারি ভাষা। বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের প্রধান কথ্য ভাষা বাংলা। এছাড়া ভারতের ঝাড়খণ্ড, বিহার, মেঘালয়, মিজোরাম, উড়িষ্যা রাজ্যগুলোতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাংলাভাষী জনগণ রয়েছে। ভারতে হিন্দির পরেই সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা বাংলা। এছাড়াও মধ্য প্রাচ্য, আমেরিকা ও ইউরোপে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাংলাভাষী অভিবাসী রয়েছে। সারা বিশ্বে সব মিলিয়ে ২৬ কোটির অধিক লোক দৈনন্দিন জীবনে বাংলা ব্যবহার করে। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত এবং ভারতের জাতীয় সঙ্গীত ও স্তোত্র বাংলাতে রচিত।
বাস্তুশাস্ত্র (ইংরেজিঃ Vastu shastra) হল ভারতে সৃষ্ট স্থাপত্যের একটি ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় পদ্ধতি। বাস্তুশাস্ত্র হিন্দু পরম্পরা এবং কিছু ক্ষেত্রে বৌদ্ধ বিশ্বাসের অন্তর্ভুক্ত। এতে নকশার লক্ষ্য হচ্ছে স্থাপত্যকে প্রকৃতির সাথে কাঠামোর বিভিন্ন অংশের আপেক্ষিক কার্যাবলী এবং প্রাচীন বিশ্বাসের জ্যামিতিক নিদর্শন (যন্ত্র), প্রতিসাম্য এবং নির্দেশমূলক সারিবদ্ধতা ব্যবহার করে একীভূত করা। বাস্তু শব্দটি এসেছে বস্তু থেকে- বস্তু মানে যেকোনো বস্তু, মূলত বাস্তু বলতে সব কিছুকেই বুঝায়- তা একটি স্থান হতে পারে- কিংবা একটা বাড়িও হতে পারে। ভারতীয় উপমহাদেশে প্রায় সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকে স্থাপত্য নির্মাণকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
কুরআন মজিদ অথবা কুরআ-ন মাজী-দ বা কোরআন (আরবি: القرآن আল্-কুর্'আন্[টী১]) ইসলাম ধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ, যা আল্লাহর বাণী বলে মুসলমানরা বিশ্বাস করে থাকেন। এটিকে আরবি শাস্ত্রীয় সাহিত্যের সর্বোৎকৃষ্ট রচনা বলে মনে করা হয়। কুরআনকে প্রথমে অধ্যায়ে (আরবিতে সূরা) ভাগ করা হয় এবং অধ্যায়গুলো (সূরা) আয়াতে বিভক্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) হচ্ছে সেনা, নৌ ও বিমান শাখার ক্যাডেটদের সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় সারির, আধাসামরিক, সেচ্ছাসেবী বাহিনী। এটি সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা, জেসিও, এনসিও, বেসামরিক কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত। বিএনসিসি'র মূলমন্ত্র হলো - 'জ্ঞান ও শৃঙ্খলা'।
বৃষ্টি, নদী, বায়ুপ্রবাহ, হিমবাহ ইত্যাদির ক্রিয়ায় ভূভাগের ক্ষয় ঘটে এবং ভূমিপৃষ্ঠের উচ্চতা কমতে থাকে। ভূমিপৃষ্ঠের এভাবে ক্ষয়কে ভূমিক্ষয় বলে। এটি একটি দীর্ঘ মেয়াদী প্রক্রিয়া।প্রাকৃতিক এবং অপ্রাকৃতিক কারণে ভূপৃষ্ঠ বিভিন্ন ভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ভূমিক্ষয়। বিভিন্ন প্রাকৃতিক কারণ যেমন বৃষ্টি, বাতাস, ঝড়, খরা, বন্যা এবং অপ্রাকৃতিক কারণে বৃক্ষছেদন ও জুম চাষ। এই সব কারণে মাটির ক্ষয় ঘটে। বর্তমানে ভারতে ভূমিক্ষয়ের সবচেয়ে বড় অপ্রাকৃতিক কারণ হলো বৃক্ষছেদন। বন্যা বা বাতাস দুই থেকেই মাটিকে রক্ষা করে গাছের মূল।
জম্মু উপত্যকার হিন্দু ধর্মাবলম্বী অধিবাসীদেরকে 'কাশ্মিরি পণ্ডিত' বা 'কাশ্মীরি ব্রাহ্মণ' 'হিন্দু' বলা হয়।তাদের ব্রাহ্মণ বিবেচনা করা হয়। কয়েক শতাব্দী ধরে কাশ্মীরে বসবাসরত কাশ্মীরি পণ্ডিতদেরকে পাকিস্তান দ্বারা সাহায্যকৃত ইসলামী সন্ত্রাসবাদের কারণে উপত্যকা ত্যাগ করে যেতে হয়েছিল। তাদের জোরপূর্বক কাশ্মীর উপত্যকা ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। পানুন কাশ্মীর কাশ্মিরি পণ্ডিতদের সংগঠন৷
রাজনীতি বা রাষ্ট্রনীতি বা রাজগতি বা রাজবুদ্ধি হলো হল দলীয় বা নির্দিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে ক্ষমতার সম্পর্কের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণ বিষয়ক কর্মকাণ্ডের সমষ্টি, উদাহরণস্বরুপ সম্পদের বণ্টন হল এমন একটি কর্মকাণ্ড। রাজনীতি এ্যাকাডেমিক অধ্যয়নকে রাজনীতিবিজ্ঞান বা রাষ্ট্রবিজ্ঞান বলে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের কাজ হলো রাজনীতি নিয়ে গবেষণা করা।
পশ্চিমবঙ্গ ভারতের একটি রাজ্য পূর্ব ভারতে বঙ্গোপসাগরের উত্তর দিকে বাংলাদেশের সীমান্তে অবস্থিত।২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, এই রাজ্যের জনসংখ্যা ৯ কোটি১৩ লক্ষেরও বেশি। জনসংখ্যার নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ ভারতের চতুর্থ সর্বাধিক জনবহুল রাজ্য (প্রথম-উত্তর প্রদেশ, দ্বিতীয়- মহারাষ্ট্র, তৃতীয়-বিহার )। এই রাজ্যের আয়তন ৮৮৭৫২ বর্গ কি.
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা পাকিস্তান আমলে পূর্ব পাকিস্তানে দায়ের করা একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা। তৎকালীন পাকিস্তান সরকার আওয়ামী লীগ নেতা ও পরবর্তীকালে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানসহ ৩৫জন বিশিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেছিল। ১৯৬৮ সালের প্রথম ভাগে দায়ের করা এই মামলায় অভিযোগ করা হয় যে, শেখ মুজিব ও অন্যান্যরা ভারতের সাথে মিলে পাকিস্তানের অখণ্ডতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এই মামলাটির পূর্ণ নাম ছিল রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান এবং অন্যান্য মামলা। তবে এটি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা হিসাবেই বেশি পরিচিত, কারণ মামলার অভিযোগে বলা হয়েছিল যে, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় কথিত ষড়যন্ত্রটি শুরু হয়েছিল। মামলা নিষ্পত্তির চার যুগ পর মামলার আসামি ক্যাপ্টেন এ.
ভ্লাদিমির ভ্লাদিমিরোভিচ পুতিন (রুশ: Влади́мир Влади́мирович Пу́тин; জন্ম: ৭ অক্টোবর, ১৯৫২) লেনিনগ্রাদে জন্মগ্রহণকারী রুশ প্রজাতন্ত্র বা রাশিয়ার অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি ২য় মেয়াদে ৭ মে, ২০১২ তারিখ থেকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ক্ষমতাসীন। এর পূর্বে ২০০০ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০০ ও ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ পরিচালনা করেছেন। এছাড়াও, ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি ইউনাইটেড রাশিয়া দলের সভাপতি এবং রাশিয়া ও বেলারুশের মন্ত্রীসভার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
আমির হামজা (৩ মে ১৯৩১ - ২৩ জানুয়ারি ২০১৯) ছিলেন একজন বাংলাদেশী কবি ও মুক্তিযোদ্ধা। সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২২ সালে তিনি মরণোত্তর বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। তবে তার পুরস্কার প্রাপ্তি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক এই সম্মাননা পাওয়ায় সাহিত্যিকমহলে তাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। তার জীবদ্দশায় শুধুমাত্র বাঘের থাবা নামে একটি বই প্রকাশিত হয়েছিলো।
অশোক (ব্রাহ্মী লিপি: 𑀅𑀲𑁄𑀓, সংস্কৃত: अशोक) বা মহান অশোক, গ্রিক নাম পিওদাসেস, ভারতীয় উপমহাদেশের তৃতীয় মৌর্য সম্রাট যিনি পিতা বিন্দুসারের পর সিংহাসন লাভ করেন। ভারতবর্ষের ইতিহাসে অন্যতম শ্রেষ্ঠ এই সম্রাট দাক্ষিণাত্যের কিছু অংশ ব্যতীত ভারতবর্ষের অধিকাংশ অঞ্চল শাসন করেন। তাঁকে একজন "সর্বভারতীয় সম্রাট" বলা যায়। তিনি শুধু বর্তমান ভারত ও পার্শ্ববর্তী দেশগুলো শাসনই করেননি বরং এসব অঞ্চলের সংস্কৃতিতে গভীর প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছিলেন। সাম্রাজ্যের বাহিরেও তিনি ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রভাব বিস্তার করেছিলেন। আধুনিক যুগে জীববৈচিত্র্য রক্ষার যে মনোভাব দেখা যায় তিনি খ্রিস্টপূর্ব যুগে বিশাল সাম্রাজ্যের শাসক রূপে সে ধারণা প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
যৌনসঙ্গম (যৌনমিলন, সঙ্গম, মৈথুন, রতিক্রিয়া, রতিমিলন; যৌন সংসর্গ, যৌন সহবাস, সহবাস ইত্যাদি) হচ্ছে একটি জৈবিক প্রক্রিয়া যা দ্বারা মূলত যৌনআনন্দ বা প্রজনন বা উভয় ক্রিয়ার জন্য একজন পুরুষের উত্থিত শিশ্ন একজন নারীর যোনিপথে অনুপ্রবেশ করানো ও সঞ্চালনা করাকে বোঝায়। অন্যান্য অন্তর্ভেদী যৌনসঙ্গমের মধ্যে রয়েছে পায়ুসঙ্গম (লিঙ্গ দ্বারা মলদ্বার অনুপ্রবেশ), মুখমৈথুন, অঙ্গুলিসঞ্চালন (আঙ্গুল দ্বারা যৌন অনুপ্রবেশ), যৌনখেলনা ব্যবহার দ্বারা অনুপ্রবেশ (বন্ধনীযুক্ত কৃত্রিম শিশ্ন)। এই সকল কার্যক্রম মূলত মানবজাতি কর্তৃক দুই বা ততোধিকের মধ্যেকার শারীরিক ও মানসিক অন্তরঙ্গতা জনিত পরিতোষ লাভের জন্য এবং সাধারণত মানব বন্ধনে ভূমিকা রাখতে সম্পাদিত হয়ে থাকে।যৌনসঙ্গম বা অপরাপর যৌনকর্ম কীভাবে সংজ্ঞায়িত হয় তা নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে, যা যৌনস্বাস্থ্য বিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গিগুলোর উপর প্রভাব রাখতে পারে। যদিও যৌনসঙ্গম, নির্দিষ্টভাবে মৈথুন বলতে সাধারণত শিশ্ন-জরায়ুজ অনুপ্রবেশ ও সন্তান উৎপাদনের সম্ভাব্যতাকে নির্দেশ করা হয়, এর দ্বারা সাধারণভাবে অন্তর্ভেদী মুখমৈথুন ও বিশেষত শিশ্ন-পায়ুজ সঙ্গমকেও নির্দেশ করা হয়। এটি সাধারণত যৌন অনুপ্রবেশকে নির্দেশ করে, যেখানে অননুপ্রবেশকারী যৌনতাকে "বহির্সঙ্গম" নামে নামকরণ করা হয়, কিন্তু অনুপ্রবেশকারী যৌনকর্মকে যৌনসঙ্গম হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। যৌনতা বা ইংরেজি ভাষায় সেক্স, প্রায়শই যৌনসঙ্গমের একটি সংক্ষিপ্ত ব্যবহৃত রূপ, যা দ্বারা যে কোন প্রকারের যৌনক্রিয়াকে বোঝানো হতে পারে। যেহেতু এসকল যৌনকর্মের সময়ে মানুষ যৌনবাহিত সংক্রমণের সংস্পর্শের ঝুঁকিতে থাকতে পারে, নিরাপদ যৌনচর্চার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে, যদিও অনাভেদী যৌনতায় সংক্রমণ ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যহারে হ্রাস পেয়ে থাকে।বিভিন্ন আইনি বিধিমালা যৌনসঙ্গমমের সামাজিক অনুমতিপ্রদানের জন্য বিভিন্ন আইন ও রীতিনীতির মাধ্যমে বৈবাহিক রীতির প্রবর্তন, প্রচলন ও সমর্থন করেছে এবং বেশ কিছু যৌনকর্মের বিপরীতে নিষেধাজ্ঞামূলক আইনকে স্থান দিয়েছে, যেমন বিবাহপূর্ব ব্যভিচার ও বিবাহপরবর্তী পরকীয়া, পায়ুকাম, পশুকাম, ধর্ষণ, পতিতাবৃত্তি, অপ্রাপ্তবয়স্কের সঙ্গে যৌনচর্চা ও অজাচার। ধর্মীয় বিশ্বাসও যৌনসঙ্গমসহ অন্যান্য যৌনাচার বিষয়ক ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে অন্যতম ভূমিকা পালন করে, যেমন কুমারীত্ব বিষয়ক সিদ্ধান্ত, অথবা আইনি বা সরকারি নীতিমালা সম্পর্কিত বিষয়াবলি। বিভিন্ন ধর্মভেদে ও একই ধর্মের বিভিন্ন শ্রেণীভেদে যৌনতা সম্পর্কিত ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য পরিলক্ষিত হলেও কিছু বিষয়ে অভিন্নতা রয়েছে, যেমন ব্যভিচারের নিষেধাজ্ঞা।
ইউটিউব (ইংরেজি:Youtube) হলো সান ব্রুনো, ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক একটি মার্কিন অনলাইন ভিডিও-শেয়ারিং সাইট যা ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। ২০০৬ সালের অক্টোবরে, গুগল সাইটটিকে ১.৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ক্রয় করে নেয়। ইউটিউব বর্তমানে গুগলের অন্যতম অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে।
ভারত প্রথম অলিম্পিক গেমসে অংশগ্রহণ করে ১৯০০ সালে। সেই গেমসে ভারতের একমাত্র অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড় নরম্যান প্রিচার্ড অ্যাথলেটিকসে দুটি পদক জয় করেছিলেন। ১৯২০ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক্সে ভারত প্রথম দল পাঠায়। তারপর থেকে প্রতিটি গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ভারত অংশ নিয়েছে। ১৯৬৪ সাল থেকে বিভিন্ন শীতকালীন অলিম্পিকেও ভারত অংশ নিয়েছে।
পড়ন্ত বা স্রোত আছে এমন নদীর পানির চাপকে ব্যবহার করে তৈরি করা হয় জলবিদ্যুৎ। এটি নবায়নযোগ্য শক্তিগুলোর মধ্যে অন্যতম। একবার যদি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করা সম্ভব হয়, খুব কম শক্তি ব্যয়ের মাধ্যমে এটি চালানো যায়। এবং এটা জীবাশ্ম জ্বালানী, যেমন: তেল, গ্যাস, কয়লা ইত্যাদিচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তুলনায় খুব কম পরিমাণে গ্রীনহাউস গ্যাস কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন করে। পানিবিদ্যুৎ পৃথিবীর মোট বিদ্যুতের ২০% এবং নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের ৮৮%।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (সংক্ষেপে ঢাবি) ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত বাংলাদেশের একটি স্বায়ত্তশাসিত সরকারি গবেষণাধর্মী বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯২১ সালে তদানীন্তন ব্রিটিশ ভারতে অক্সব্রিজ শিক্ষা ব্যবস্থা অনুসরণে এটি স্থাপিত হয়। এর শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয় ১৯২১ সালের ১ জুলাই। সূচনালগ্নে বিভিন্ন প্রথিতযশা বৃত্তিধারী ও বিজ্ঞানীদের দ্বারা কঠোরভাবে মান নিয়ন্ত্রিত হবার প্রেক্ষাপটে এটি প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে স্বীকৃতি পায়।বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ১৩টি অনুষদ, ৮৩টি বিভাগ, ১৩টি ইনস্টিটিউট, ৫৬টি গবেষণা ব্যুরো ও কেন্দ্র, ২০টি আবাসিক হল ও ৩টি ছাত্রাবাস, এবং ৭টি স্নাতক পর্যায়ের অধিভুক্ত সরকারি কলেজসহ মোট ১০৫টি অধিভুক্ত কলেজ রয়েছে। অধিভুক্ত কলেজগুলোর ভিন্ন অবকাঠামো ও কর্মকাণ্ড রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ গ্রন্থাগার।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অসংখ্য কৃতি শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করেছেন, তন্মধ্যে রয়েছেন ১৩ জন রাষ্ট্রপতি, ৭ জন প্রধানমন্ত্রী এবং একজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী। বাংলাদেশের জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান এখানে পড়াশোনা করেছেন এবং বাংলাদেশ স্বাধীন করতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিশেষ অবদান ছিল। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি পদক লাভ করেছেন। এছাড়া এটি বাংলাদেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এশিয়া উইকের শীর্ষ ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় জায়গা করে নেয়।
এই নিবন্ধটি ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পূর্ববর্তী ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাস-সম্পর্কিত। ১৯৪৭-পরবর্তী ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের ইতিহাস জানতে হলে দেখুন ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের ইতিহাস নিবন্ধটি। এছাড়া পাকিস্তান বা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ইতিহাস জানতে হলে দেখুন যথাক্রমে পাকিস্তানের ইতিহাস ও বাংলাদেশের ইতিহাস। দক্ষিণ ভারত, অবিভক্ত বাংলা ও পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাস জানতে হলে দেখুন যথাক্রমে দক্ষিণ ভারতের ইতিহাস, বাংলার ইতিহাস ও পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাস।ভারতের ইতিহাস বলতে মূলত খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় সহস্রাব্দ থেকে খ্রিষ্টীয় বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত, ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন -মধ্যযুগীয় ও প্রাক-আধুনিক কালের ইতিহাসকেই বোঝানো হয়। খ্রিষ্টের জন্মের প্রায় দশ লক্ষ(?) বছর আগে উক্ত ভূখণ্ডে প্রথম মানববসতি গড়ে উঠতে দেখা যায়। তবে ভারতের জ্ঞাত ইতিহাসের সূচনা হয় ৩৩০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ থেকে ১৩০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সিন্ধু সভ্যতার উন্মেষ ও প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে। পরবর্তী হরপ্পা যুগের সময়কাল ২৬০০ – ১৯০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দের সূচনায় এই ব্রোঞ্জযুগীয় সভ্যতার পতন ঘটে। সূচনা হয় লৌহ-নির্ভর বৈদিক যুগের। এই যুগেই সমগ্র গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলে মহাজনপদ নামে পরিচিত ১৬টি প্রধান প্রধান রাজ্য-তথা-জনবসতির উত্থান ঘটে। এই জনপদগুলির অধিকাংশই রাজতান্ত্রিক হলেও এদের মধ্যে "লিচ্ছিবি" ছিল গণতান্ত্রিক। এই জনপদের মধ্যে অন্যতম ছিল মগধ।খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে মগধে জন্মগ্রহণ করেন মহাবীর ও গৌতম বুদ্ধ; পরবর্তীকালে যাঁরা ভারতের জনসাধারণের মধ্যে শ্রমণ ধর্মদর্শন প্রচার করেন।
সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের ঐক্যতন্ত্র, সংক্ষেপে সোভিয়েত ঐক্যতন্ত্র বা সোভিয়েত ইউনিয়ন, ছিল একটি ইউরেশীয়া পর্যন্ত বিস্তৃত একটি সমাজতান্ত্রিক দেশ, যার অস্তিত্ব ছিল ১৯২২ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত। এটা সাধারণভাবে অনেকগুলো প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সম্মিলিত দেশ ছিল এবং সেখানে কোনও ব্যক্তিমালিকানা ছিল না, সমস্ত সম্পত্তি সামাজিক বা রাষ্ট্রের অধীনে ছিল। এটি একটি একদলীয় রাষ্ট্র ছিল, মূল পার্টি ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টি। এই সমাজতান্ত্রিক দেশের রাজধানী ও সর্বাধিক জনসংখ্যাবিশিষ্ট্য শহর হলো মস্কো। এছাড়া অনান্য বৃহৎ নগরগুলো হলো লেনিনগ্রাদ (রুশ সোভিয়েত), কিয়েভ (ইউক্রেন সোভিয়েত), মিনস্ক (বালুরাশিয়া সোভিয়েত), তাশখন্দ (উজবেক সোভিয়েত), আলমাতি (কাজাখ সোভিয়েত), নভোসিবির্স্ক, (রুশ সোভিয়েত)। সোভিয়েত ইউনিয়ন ছিল বিশ্বের সর্ববৃহৎ রাষ্ট্র, যার আয়তন ছিল ২,২৪,০২,২০০ বর্গকিলোমিটার (৮৬,৪৯,৫০০ বর্গমাইল)। এই দেশে মোট ১১টি টাইম-জোন ছিল।
ঢাকা দক্ষিণ এশিয়ার রাষ্ট্র বাংলাদেশের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। প্রশাসনিকভাবে এটি ঢাকা জেলার প্রধান শহর। ভৌগোলিকভাবে এটি বাংলাদেশের মধ্যভাগে বুড়িগঙ্গা নদীর উত্তর তীরে একটি সমতল এলাকাতে অবস্থিত। ঢাকা দক্ষিণ এশিয়ায় মুম্বাইয়ের পরে দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির শহর। ঢাকার জিডিপি ১৬২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২০ সালের হিসেবে। এছাড়া ঢাকার পিপিপি ২৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২০ সালের হিসেবে। ভৌগোলিকভাবে ঢাকা একটি অতিমহানগরী বা মেগাসিটি; ঢাকা মহানগরী এলাকার জনসংখ্যা প্রায় ২ কোটি ১০ লক্ষ। জনসংখ্যার বিচারে ঢাকা দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম শহর। জনঘনত্বের বিচারে ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শহর; ৩০৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই শহরে প্রতি বর্গকিলোমিটার এলাকায় ২৩ হাজার লোক বাস করে।ঢাকা শহর "মসজিদের শহর" নামে সুপরিচিত। এখানে এক হাজারেরও বেশি মসজিদ আছে। এই শহরে রোজ প্রায় ৫ লক্ষ রিকশা চলাচল করে। বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রধান সংস্কৃতি, শিক্ষা ও বাণিজ্যকেন্দ্র।ঢাকা শহরের জলবায়ু ক্রান্তীয় আর্দ্র ও শুষ্ক প্রকৃতির। গড় তাপমাত্রা এপ্রিল মাসে সর্বোচ্চ প্রায় ৩৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং জানুয়ারি মাসে সর্বনিম্ন প্রায় ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মে মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ঢাকা শহরে বর্ষাকাল, সেসময় প্রতি মাসে গড়ে ৩০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়।সপ্তদশ শতাব্দীতে পুরান ঢাকা মুঘল সাম্রাজ্যের সুবহে বাংলা (বাংলা প্রদেশ) এর প্রাদেশিক রাজধানী ছিল। মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের শাসনামলে এই শহর জাহাঙ্গীর নগর নামে পরিচিত ছিলো। বিশ্বব্যাপী মসলিন বাণিজ্যের একটি কেন্দ্র ছিলো ঢাকা এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীগণ এখানে বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে আসতেন। ঢাকাতে বিশ্বের সেরা মসলিন কাপড় উৎপাদিত হতো। যদিও আধুনিক ঢাকা শহরের বিকাশ ঘটে ঊনবিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ শাসন আমলে, এই সময় নবাবগণ ঢাকা শাসন করতেন। এই সময় কলকাতার পরেই ঢাকা বাংলা প্রেসিডেন্সির দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী হয়ে ওঠে। ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের পরে ঢাকা নবগঠিত পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশের রাজধানী হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পরে ঢাকা পূর্ব পাকিস্তানের প্রশাসনিক রাজধানীতে পরিণত হয়। ১৯৫০-১৯৬০ সালের মধ্যে এই শহর বিভিন্ন সামাজিক, জাতীয়তাবাদী ও গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে। ১৯৭১ সালে ঢাকা “স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের রাজধানী” ঘোষিত হয়। ইতঃপূর্বে সামরিক আইন বলবৎ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা, সামরিক দমন, যুদ্ধ ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের তাণ্ডবলীলার মতো একাধিক অস্থির ঘটনার সাক্ষী হয় এই শহর।
সুভাষচন্দ্র বসু উচ্চারণ (২৩ জানুয়ারি ১৮৯৭ - ?) ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক চিরস্মরণীয় কিংবদন্তি নেতা। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে তিনি হলেন এক উজ্জ্বল ও মহান চরিত্র যিনি এই সংগ্রামে নিজের সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তিনি নেতাজি নামে সমধিক পরিচিত। ২০২১ সালে ভারত সরকারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার জন্মবার্ষিকীকে জাতীয় পরাক্রম দিবস বলে ঘোষণা করেন।
পাকিস্তান (উর্দু: پاکِستان), সরকারিভাবে ইসলামি প্রজাতন্ত্রী পাকিস্তান (উর্দু: اِسلامی جمہوریہ پاکِستان), দক্ষিণ এশিয়ার একটি রাষ্ট্র। ২১,২৭,৪২,৬৩১-র অধিক জনসংখ্যা নিয়ে এটি জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের ৫ম বৃহত্তম রাষ্ট্র এবং আয়তনের দিক থেকে ৩৩তম বৃহত্তম রাষ্ট্র। পাকিস্তানের দক্ষিণে আরব সাগর এবং ওমান উপসাগরীয় উপকূলে ১০৪৬ কিলোমিটার (৬৫০ মাইল) উপকূল রয়েছে এবং এটি পূর্ব দিকে ভারতের দিকে, আফগানিস্তান থেকে পশ্চিমে, ইরান দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং উত্তর-পূর্ব দিকে চীন সীমান্তে অবস্থিত। এটি উত্তর-পশ্চিমে আফগানিস্তানের ওয়াখান করিডোরের দ্বারা তাজিকিস্তান থেকে সংকীর্ণভাবে বিভক্ত এবং ওমানের সাথে সমুদ্রের সীমান্ত ভাগ করে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর স্থল শাখা। এটি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সর্ববৃহৎ শাখা। সেনাবাহিনীর প্রাথমিক দায়িত্ব হচ্ছে বাংলাদেশের ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষা সহ সব ধরনের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহায়তায় প্রয়োজনীয় শক্তি ও জনবল সরবরাহ করা। সেনাবাহিনীর সব ধরনের কর্মকাণ্ড সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। প্রাথমিক দায়িত্বের পাশাপাশি যেকোন জাতীয় জরুরি অবস্থায় বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় এগিয়ে আসতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সাংবিধানিক ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
যোনি (লাতিন: ভ্যাজাইনা) স্ত্রীদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যা একই সঙ্গে প্রজননতন্ত্র এবং রেচনতন্ত্রে অংশ।যোনি নারীর প্রজননতন্ত্রের বহির্ভাগ। যৌনসঙ্গম কালে পুরুষ তার লিঙ্গ নারীর যোনীতে প্রবিষ্ট করে এবং অঙ্গচালনার মাধ্যমে বীর্য নিক্ষেপ করে। এই বীর্য নারীর জরায়ুতে অবস্থিত ডিম্ব নিষিক্ত করে মানব ভ্রূণের জন্ম দিতে সক্ষম। অন্যদিকে, মূত্র ও নারীর মাসিক রজঃস্রাব কালে যোনীপথেই রক্তের নির্গমন হয়। স্বাভাবিক অবস্থায় যোনীপথেই সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়।বাংলায় যোনীর অনেক প্রতিশব্দ রয়েছে যথা স্ত্রীযোনী, যোনিপথ, যৌননালী, জনননালী ইত্যাদি। যৌনাঙ্গ, যৌনকর্ম ইত্যাদি শব্দও যোনী থেকে উদ্ভূত। যোনী হলো স্ত্রী প্রজনানঙ্গ যা জরায়ু থেকে স্ত্রীদেহের বাইরের অংশ অবধি পর্যন্ত বিস্তৃত একটি ফাইব্রোমাসকুলার (তন্তু-পেশিময়) নলাকার অংশ। মানুষ ছাড়াও অমরাবিশিষ্ট মেরুদণ্ডী ও মারসুপিয়াল প্রাণীতে, যেমন ক্যাঙ্গারু অথবা স্ত্রী পাখি, মনোট্রিম ও কিছু সরীসৃপের ক্লোকাতে যোনী বিদ্যমান। স্ত্রী কীটপতঙ্গ এবং অন্যান্য অমেরুদণ্ডী প্রাণীরও যোনী আছে, যা মূলত ওভিডাক্টের শেষ প্রান্ত।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়; ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা নামেও স্বাক্ষর করতেন; ২৬ সেপ্টেম্বর ১৮২০ – ২৯ জুলাই ১৮৯১) ঊনবিংশ শতকের একজন বিশিষ্ট বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও গদ্যকার। সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে অগাধ পাণ্ডিত্যের জন্য সংস্কৃত কলেজ থেকে ১৮৩৯ সালে তিনি বিদ্যাসাগর উপাধি লাভ করেন। সংস্কৃত ছাড়াও বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় বিশেষ ব্যুৎপত্তি ছিল তার। তিনিই প্রথম বাংলা লিপি সংস্কার করে তাকে যুক্তিবহ ও সহজপাঠ্য করে তোলেন। বাংলা গদ্যের প্রথম সার্থক রূপকার তিনিই। তাকে বাংলা গদ্যের প্রথম শিল্পী বলে অভিহিত করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি রচনা করেছেন যুগান্তকারী শিশুপাঠ্য বর্ণপরিচয়-সহ একাধিক পাঠ্যপুস্তক, সংস্কৃত ব্যাকরণ গ্রন্থ। সংস্কৃত, হিন্দি ও ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ সাহিত্য ও জ্ঞানবিজ্ঞান সংক্রান্ত বহু রচনা। নারীমুক্তির আন্দোলনেও তার অবদান উল্লেখযোগ্য।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত (২৫ জানুয়ারি ১৮২৪ – ২৯ জুন ১৮৭৩) ঊনবিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙালি কবি এবং নাট্যকার ও প্রহসন রচয়িতা। তাকে বাংলার নবজাগরণ সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব গণ্য করা হয়। ঐতিহ্যের অনুবর্তিতা অমান্য করে নব্যরীতি প্রবর্তনের কারণে তাকে আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম বিদ্রোহী কবি হিসেবেও অভিহিত করা হয়।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। এটি একটি লিখিত দলিল। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ৪ঠা নভেম্বর তারিখে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে এই সংবিধান গৃহীত হয় এবং একই বছরের ১৬ই ডিসেম্বর অর্থাৎ বাংলাদেশের বিজয় দিবসের প্রথম বার্ষিকী হতে এটি কার্যকর হয়। এটি বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় বিদ্যমান। তবে ইংরেজি ও বাংলার মধ্যে অর্থগত বিরোধ দৃশ্যমান হলে বাংলা রূপ অনুসরণীয় হবে।১০ই এপ্রিল ২০১৮ সালের সপ্তদশ সংশোধনী সহ বাংলাদেশের সংবিধান সর্বমোট ১৭ বার সংশোধীত হয়েছে। এই সংবিধান সংশোধনের জন্য সংবিধানের ১৪২নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জাতীয় সংসদের সদস্যদের মোট সংখ্যার দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোটের প্রয়োজন হয়। তবে পঞ্চম সংশোধনী , সপ্তম সংশোধনী , ত্রয়োদশ সংশোধনী ও ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের আদেশে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট রায় দিয়েছে যে, সংবিধানের মূল কাঠামো পরিবর্তন হয়ে যায় এরূপ কোনো সংশোধনী এতে আনা যাবে না; আনা হলে তা হবে এখতিয়ার বহির্ভূত।বাংলাদেশের সংবিধান কেবল বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইনই নয়;- সংবিধানে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের মূল চরিত্র বর্ণিত রয়েছে। এতে বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমারেখা বিধৃত আছে। দেশটি হবে প্রজাতান্ত্রিক, গণতন্ত্র হবে এদেশের প্রশাসনিক ভিত্তি, জনগণ হবে সকল ক্ষমতার উৎস এবং বিচার বিভাগ হবে স্বাধীন। জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস হলেও দেশ আইন দ্বারা পরিচালিত হবে। সংবিধানে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা -কে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।
জাতিসংঘ বিশ্বের জাতিসমূহের একটি সংগঠন, যার লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আইন, নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক অগ্রগতি এবং মানবাধিকার বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করা। ১৯৪৫ সালে ৫১টি রাষ্ট্র জাতিসংঘ সনদ স্বাক্ষর করার মাধ্যমে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং পরবর্তীতে লুপ্ত লীগ অব নেশন্সের স্থলাভিষিক্ত হয়।
ভারতের ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চলসমূহ
ভারতীয় উপমহাদেশে ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্পের ইতিহাস রয়েছে। ভারতে ভূমিকম্পের উচ্চ মাত্রা ও উচ্চ তীব্রতার প্রধান কারণ হলো, ভারতীয় টেকটনিক পাত প্রতি বছর প্রায় ৪৭ মিমি হারে এশিয়ার মূল ভূখণ্ডের দিকে প্রবেশ করছে। ভৌগোলিক পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে ভারতের প্রায় ৫৪% এলাকা ভূমিকম্প ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনের অনুমান অনুযায়ী ২০৫০ সালের মধ্যে ভারতে প্রায় ২০০ মিলিয়ন নগরবাসী ঝড় ও ভূমিকম্পের মুখোমুখি হবে। ভারতের ভূমিকম্প প্রতিরোধক নকশার কোডে [আইএস ১৮৯৩ (পর্ব ১) ২০০২] দেওয়া ভারতের ভূমিকম্প অঞ্চলের সর্বশেষ সংস্করণের মানচিত্রে অঞ্চল অনুযায়ী ভারতকে চারটি ভূমিকম্প বলয়ে ভাগ করা হয়েছে। অন্য কথায়, ভারতের ভূমিকম্পীয় আঞ্চলিক মানচিত্র ভারতকে ৪ টি ভূমিকম্প অঞ্চল (অঞ্চল ২, ৩, ৪ এবং ৫) এ বিভক্ত করে, যা তার পাঁঁচ বা ছয়টি অঞ্চল নিয়ে গঠিত পূর্ববর্তী যেকোনো সংস্করণ থেকে ভিন্ন। বর্তমান আঞ্চলিক মানচিত্র অনুসারে, অঞ্চল ৫-এ উচ্চমাত্রার ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে, যেখানে অঞ্চল ২-এ ভূমিকম্পের সর্বনিম্ন স্তরের সাথে সম্পর্কিত।
স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার বা স্বাধীনতা পুরস্কার বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদক। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ২৬শে মার্চ এই পদক প্রদান করা হয়ে আসছে। এই পুরস্কার জাতীয় জীবনে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বিভিন্ন ক্ষেত্রে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশের নাগরিক এমন ব্যক্তি বা গোষ্ঠিকে প্রদান করা হয়ে থাকে। এছাড়াও ব্যক্তির পাশাপাশি জাতীয় জীবনের নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে অনন্য উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য প্রতিষ্ঠানসমূহকেও এই পুরস্কার প্রদান করা হয়ে থাকে।