The most-visited বাংলা Wikipedia articles, updated daily. Learn more...
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ বাঙালি মুসলিমদের অন্যতম ধর্মীয় ও আনন্দের উৎসব ঈদুল ফিতর নিয়ে বাঙালি কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত একটি কালজয়ী গান। গানটি বাঙালি মুসলিমদের ঈদ উৎসবের আবশ্যকীয় অংশ। কবির শিষ্য শিল্পী আব্বাস উদ্দিন আহমদ-এর অনুরোধে ১৯৩১ সালে কবি নজরুল এই গান রচনা ও সুরারোপ করেন। একে তাঁর সমসাময়িকরা একটি উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব হিসাবে বিবেচনা করেছিলেন, কারণ তখন বাঙালি মুসলিমরা নজরুলের ভক্তিমূলক শ্যামা সঙ্গীতের প্রতি ঘোরতর বিরোধী ছিল।
ঈদুল ফিতর (আরবি: عيد الفطر, অর্থ: “রোজা/উপবাস ভাঙার আনন্দ”) ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের দুটো সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের একটি। দ্বিতীয়টি হলো ঈদুল আযহা৷ ধর্মীয় পরিভাষায় একে ইয়াওমুল জায়েজ (অর্থ: পুরস্কারের দিবস) হিসাবেও বর্ণনা করা হয়েছে৷ দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখা বা সিয়াম সাধনার ও সামর্থ্য থাকলে ফিতরা(নির্দিষ্ট কিছু অর্থ যা গরীব মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া ) যাকাত (নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ গরীব মানুষদের জন্য দিয়ে দেওয়া বিভিন্ন সম্পদের জন্য ভিন্ন হিসাবে যাকাত দিতে হয় ) দেওয়ার পর ইসলাম ধর্মাবলম্বী মুসলমানেরা এই দিনটি ধর্মীয় কর্তব্যপালনসহ খুব আনন্দের সাথে পালন করে থাকে৷ এই দিনে সবাই সবাইকে “ঈদ মোবারক” বলে শুভেচ্ছা জানায়।
আনন্দবাজার পত্রিকা পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলা ভাষায় প্রকাশিত একটি শতাব্দী প্রাচীন ভারতীয় দৈনিক পত্রিকা। কলকাতার এবিপি প্রাইভেট লিমিটেড এর প্রকাশক। প্রকাশ-সংখ্যার ভিত্তিতে এটি ভারতে বাংলা ভাষায় বহুল প্রচারিত দৈনিক। কলকাতা, নয়া দিল্লি, ভুবনেশ্বর, রাঁচি, শিলিগুড়ি ও ভারতের অন্যান্য শহর থেকে নিয়মিত এটি দশ লক্ষেরও অধিক সংখ্যায় প্রচারিত হয়। ইন্ডিয়ান রিডারশিপ সার্ভে অনুসারে, পত্রিকাটি ১৫৬ লাখ মানুষ পাঠ করেন।
আবহাওয়া কোনো স্থানের স্বল্প সময়ের বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থা। সাধারণত এক দিনের এমন রেকর্ডকেই আবহাওয়া বলে। আবার কোনো একটি বৃহৎ অঞ্চল জুড়ে আবহাওয়ার উপদানগুলো যেমন - বায়ুর তাপ,চাপ,আদ্রতা,বৃষ্টিপাত ইত্যাদির অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ বছরের যে সাধারণ অবস্থা (গড় অবস্থা) দেখা যায় তাকে জলবায়ু বলে। আবহাওয়া নিয়ত পরিবর্তনশীল একটি চলক। আবহাওয়া ও জলবায়ু নিয়ে বিজ্ঞানের যে শাখা আলোচনা করে তাকে আবহাওয়া বিজ্ঞান বলা হয়।আবহাওয়া হ'ল বায়ুমণ্ডলের অবস্থা, উদাহরণস্বরূপ এটি তাপমাত্রা বা শীতল, ভেজা বা শুকনো, শান্ত বা ঝড়ো, পরিষ্কার বা মেঘলা এমন ডিগ্রি বর্ণনা করে 1 পৃথিবীতে, বেশিরভাগ আবহাওয়া ঘটনাটি গ্রহের বায়ুমণ্ডলের সর্বনিম্ন স্তরে, ট্রপোস্ফিয়ার এ (স্ট্রাটোস্ফিয়ার এর ঠিক নীচে) ঘটে। আবহাওয়াটি প্রতিদিনের তাপমাত্রা এবং বৃষ্টিপাতের ক্রিয়াকলাপকে বোঝায়, যেখানে জলবায়ুটি দীর্ঘ সময়ের জন্য বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থার গড় । "আবহাওয়া" সাধারণত পৃথিবীর আবহাওয়া বোঝাই বোঝানো হয়।
আস-সালামু আলাইকুম (আরবি: ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ) আরবি ভাষায় একটি অভিবাদনসূচক বাক্যাংশ, যার অর্থ "আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক"। সাধারণত মুসলিমরা ধর্মীয় অভিবাদনসূচক বাক্য হিসেবে এই বাক্যটি ব্যবহার করে থাকে। এছাড়া অন্যান্য ধর্মের আরবি ভাষাভাষীরাও (যেমন: আরব খ্রিষ্টান) এটি ব্যবহার করে থাকে। কথোপকথনে, প্রায়ই এই বাক্যাংশের প্রথম অংশ (অর্থাৎ সালাম অনু. শান্তি) একজন ব্যক্তিকে অভিবাদন জানাতে ব্যবহৃত হয়। শুভেচ্ছার সাধারণ প্রতিক্রিয়া হলো "ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম" (وَعَلَيْكُمُ ٱلسَّلَامُ অনু. 'আপনার উপরও শান্তি বর্ষিত হোক')। সম্পূর্ণ বাক্যাংশটি হলো "আস-সালামু ‘আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু" (ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ ٱللَّٰهِ وَبَرَكَاتُهُ)।
এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)
এক্স এক্স এক্স এক্স (ইংরেজি: XXXX) কানাডীয় নৃত্য-পাঙ্ক ব্যান্ড ইউ সে পার্টি দলের তৃতীয় পূর্ণ দৈর্ঘ্যের অ্যালবাম (পূর্বনাম ইউ সে পার্টি!
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল),যা স্পন্সরজনিত কারণে আনুষ্ঠানিক ভাবে টাটা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ নামে পরিচিত, হচ্ছে ভারতের একটি প্রতিযোগিতামূলক টুয়েন্টি২০ ক্রিকেট লিগ। এটি প্রতি বছর সাধারণত এপ্রিল ও মে মাসে ভারতের কয়েকটি নির্দিষ্ট শহর এবং রাজ্যের প্রতিনিধিত্বকারী দলের মধ্যে আয়োজিত হয়। এই লিগটি ২০০৮ সালে ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (বিসিসিআই) কর্তৃক প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল। এই লিগের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক কমিশনার ললিত মোদীকে এই লিগের উদ্ভাবক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আইসিসি ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রামে আইপিএলের একটি একচেটিয়া অবস্থান রয়েছে।আইপিএল হচ্ছে বিশ্বের সর্বাধিক দেখা ক্রিকেট লিগ এবং ২০১৪ সালে সকল ক্রীড়া লিগের মধ্যে গড় উপস্থিতি অনুযায়ী এটি ৬ষ্ঠ স্থান অর্জন করেছিল। ২০১০ সালে, আইপিএল ইউটিউবে সরাসরি সম্প্রচারকারী বিশ্বের প্রথম ক্রীড়া অনুষ্ঠানে পরিণত হয়। ডাফ অ্যান্ড ফেলপসের মতে, ২০১৮ সালে আইপিএলের মূল্য ৬.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল। বিসিসিআই অনুসারে ২০১৫ সালের আইপিএল ভারতের অর্থনীতির জিডিপিতে ১১.৫ বিলিয়ন ভারতীয় রুপি (১৮২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) অবদান রেখেছিল।এপর্যন্ত আইপিএল প্রতিযোগিতার ১৬টি মরশুম আয়োজিত হয়েছে। আইপিএলের বর্তমান শিরোপাধারী দল হল চেন্নাই সুপার কিংস যারা সর্বশেষ ২০২৩ মৌসুমে শিরোপাটি জয়লাভ করেছিল। এই প্রতিযোগিতার সফলতম দল হল চেন্নাই সুপার কিংস এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, যারা সর্বমোট ৫ বার শিরোপা জয়লাভ করেছে।
ফিতরা বা ফেতরা(فطرة) আরবী শব্দ, যা ইসলামে যাকাতুল ফিতর (ফিতরের যাকাত) বা সাদাকাতুল ফিতর (ফিতরের সদকা) নামে পরিচিত। ফিতর বা ফাতুর বলতে সকালের খাদ্যদ্রব্য বোঝানো হয় যা দ্বারা রোজাদারগণ রোজা ভঙ্গ করেন। যাকাতুল ফিতর বলা হয় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গরীব দুঃস্থদের মাঝে রোজাদারদের বিতরণ করা দানকে। রোজা বা উপবাস পালনের পর সন্ধ্যায় ইফতার বা সকালের খাদ্য গ্রহণ করা হয়। সেজন্য রমজান মাস শেষে এই দানকে যাকাতুল ফিতর বা সকালের আহারের যাকাত বলা হয়।
চাঁদ যখন পরিভ্রমণরত অবস্থায় কিছু সময়ের জন্য পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে এসে পড়ে, তখন পৃথিবীর কোন দর্শকের কাছে সূর্য আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে কিছু সময়ের জন্য অদৃশ্য হয়ে যায়। এই ঘটনাকে সূর্যগ্রহণ বলা হয়। অমাবস্যার পরে নতুন চাঁদ উঠার সময় এ ঘটনা ঘটে। পৃথিবীতে প্রতি বছর অন্তত দুই থেকে পাচঁটি সূর্যগ্রহণ পরিলক্ষিত হয়। এর মধ্যে শূন্য থেকে দুইটি সূর্যগ্রহণ পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হয়। • সূর্যগ্রহণ*যখন চাঁদ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করার সময়ে ঠিক সূর্য ও পৃথিবীর মাঝামাঝি এসে পড়ে তখন সেটি সূর্যের আলোকে পৃথিবীতে আসতে বাধা দেয়-অর্থাৎ চাঁদের ছায়া পৃথিবীর কিছু অংশের উপরে পড়ে। এ ঘটনাকে সূর্যগ্রহণ বলে। এ সময় সূর্য, চাঁদ ও পৃথিবী একই সরলরেখায় অবস্থান করে। সূর্যগ্রহণ বিভিন্ন রকম হতে পারে; যেমন-আংশিক, পূর্ণগ্রাস, বলয় এবং হাইব্রিড সূর্যগ্রহণ। তোমাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, সূর্যের ব্যাস চাঁদের ব্যাস থেকে 400 গুণ বড়ো, তারপরেও চাঁদ কীভাবে সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলতে পারে?
বাংলাদেশ () দক্ষিণ এশিয়ার একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। বাংলাদেশের সাংবিধানিক নাম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ। ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশের পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও মেঘালয়, পূর্ব সীমান্তে আসাম, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তে মিয়ানমারের চিন ও রাখাইন রাজ্য এবং দক্ষিণ উপকূলের দিকে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। ভৌগোলিকভাবে পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপের সিংহভাগ অঞ্চল জুড়ে বাংলাদেশ ভূখণ্ড অবস্থিত। জনসংখ্যার বিচারে প্রায় ১৭ কোটিরও অধিক জনসংখ্যা নিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের ৮ম বৃহত্তম দেশ। নদীমাতৃক বাংলাদেশ ভূখণ্ডের উপর দিয়ে বয়ে গেছে ৫৭টি আন্তর্জাতিক নদী। বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বে ও দক্ষিণ-পূর্বে টারশিয়ারি যুগের পাহাড় মেঘের সাথে মিশে আছে। বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য সুন্দরবন ও দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সৈকত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশে অবস্থিত।
পহেলা বৈশাখ বা পয়লা বৈশাখ (বাংলা পঞ্জিকার প্রথম মাস বৈশাখের ১ তারিখ) বঙ্গাব্দের প্রথম দিন, তথা বাংলা নববর্ষ। দিনটি সকল বাঙালি জাতির ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণের দিন। দিনটি বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নববর্ষ হিসেবে বিশেষ উৎসবের সাথে পালিত হয়। ত্রিপুরায় বসবাসরত বাঙালিরাও এই উৎসবে অংশ নিয়ে থাকে। পহেলা বৈশাখ বাংলাদেশে জাতীয় উৎসব হিসেবে পালিত হয়ে থাকে। সে হিসেবে এটি বাঙালিদের একটি সর্বজনীন লোকউৎসব হিসাবে বিবেচিত। পহেলা বৈশাখ উদযাপনের শুরু হয়েছিল পুরান ঢাকার মুসলিম মাহিফরাস সম্প্রদায়ের হাতে।গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে বাংলাদেশের প্রতি বছর ১৪ই এপ্রিল এই উৎসব পালিত হয়। বাংলা একাডেমি কর্তৃক নির্ধারিত আধুনিক বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে এই দিন নির্দিষ্ট করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে চান্দ্রসৌর বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে ১৫ই এপ্রিল পহেলা বৈশাখ পালিত হয়। এছাড়াও দিনটি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের সরকারি ছুটির দিন হিসেবে গৃহীত। বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা দিনটি নতুনভাবে ব্যবসা শুরু করার উপলক্ষ হিসেবে বরণ করে নেয়।
বাংলা ভাষা (বাঙলা, বাঙ্গলা, তথা বাঙ্গালা নামেও পরিচিত) একটি ইন্দো-আর্য ভাষা, যা দক্ষিণ এশিয়ার বাঙালি জাতি জাতির প্রধান কথ্য ও লেখ্য ভাষা। মাতৃভাষীর সংখ্যায় বাংলা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের পঞ্চম ও মোট ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনুসারে বাংলা বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম ভাষা। বাংলা সার্বভৌম ভাষাভিত্তিক জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা তথা সরকারি ভাষা এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও আসামের বরাক উপত্যকার দাপ্তরিক ভাষা। বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের প্রধান কথ্য ভাষা বাংলা। এছাড়া, ভারতের ঝাড়খণ্ড, বিহার, মেঘালয়, মিজোরাম, ওড়িশার মত রাজ্যগুলোতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাংলাভাষী জনগণ রয়েছে। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, ভারতের মোট জনসংখ্যার ৮.০৩ শতাংশ মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে এবং হিন্দির পরেই বাংলা ভারতে সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা। এছাড়াও মধ্য প্রাচ্য, আমেরিকা ও ইউরোপে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাংলাভাষী অভিবাসী রয়েছে। সারা বিশ্বে সব মিলিয়ে ২৮.৫ কোটিরও অধিক লোক দৈনন্দিন জীবনে বাংলা ব্যবহার করে। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত ও রণসঙ্গীত বাংলাতে রচিত এবং জাতীয় পর্যায়ের সকল কার্যক্রম বাংলাতে পরিচালিত হয়। ভারতের জাতীয় সঙ্গীত ও স্তোত্র বাংলাতে রচিত।
ভারতের ১৮ তম সাধারণ লোকসভা নির্বাচন ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন ২০২৪ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে, যা মোট ৫৪৩ জন সংসদীয় প্রতিনিধিদের নির্বাচন করবে। নির্বাচন সাত ধাপে অনুষ্ঠিত হবে এবং ৪ জুন ২০২৪ ফলাফল ঘোষণা করা হবে। এটি ২০১৯ সালের ভারতীয় সাধারণ নির্বাচনকে অতিক্রম করে বিশ্বের সর্ববৃহৎ নির্বাচন হিসেবে পরিণত হবে এবং মোট ৪৪ দিনের ব্যবধানে ভারতে সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী সাধারণ নির্বাচন হতে চলেছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বারের মতো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
ওয়া'আলাইকুমুস-সালাম ( وَعَلَيْكُمُ ٱلسَّلَامُ ) একটি আরবী অভিবাদন, যা বিশ্বজুড়ে মুসলমানরা প্রায়শই "আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক" অর্থে ব্যবহার করে থাকে। এটি অন্যদের জন্য দোয়াস্বরূপ। এটি আসসালামু আলাইকুম অভিবাদনটির ( ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ ) আদর্শ জবাব । কারো উপস্থিতির কৃতজ্ঞতা জানাতে বা কাউকে স্বাগত জানানোর জন্য অভিবাদনগুলি ব্যবহার করা হয়। এগুলি কথোপকথনের আগে ব্যবহার করা হয় এবং বলা হয়ে থাকে যে এটি একটি ভাল আচরণ। অভিবাদনটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি দায়িত্ব ও বাধ্যবাধকতা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। সালাম মুসলমানদের মধ্যে একটি আদর্শ অভিবাদন। মুসলিম বক্তৃতা এবং খুতবা অনুষ্ঠানে নিয়মিত এই অভিবাদনটি বিনিময় হয়। এর পূর্ণ রূপ হল: সম্পূর্ণ ফর্ম "ওয়া-আলাইকুমুস সালাম ওয়া-রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু (وَعَلَيْكُمُ ٱلسَّلَامُ وَرَحْمَةُ ٱللَّٰهِ وَبَرَكَاتُهُ , "এবং তোমাদের উপর শান্তি এবং আল্লাহর করুণা ও তাঁর নেয়ামতসমূহ বর্ষিত হোক")।
টাকা (মুদ্রা প্রতীক: ৳; ব্যাংক কোড: BDT) হল বাংলাদেশের মুদ্রা। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর দেশটির মুদ্রা হিসেবে "টাকা" প্রতিষ্ঠিত হয়। কাগুজে টাকা বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক - "বাংলাদেশ ব্যাংক" কর্তৃক প্রবর্তিত হয়;- ব্যাতিক্রম ৳১, ৳২ এবং ৳৫ টাকার নোট এবং ধাতব মুদ্রা যেগুলো বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে প্রচলিত হয়। টাকার ভগ্নাংশ হল পয়সা যার মূল্যমান ৳১-র ১০০ ভাগের ১ভাগ।
ইউটিউব (ইংরেজি: YouTube) হলো সান ব্রুনো, ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক একটি বৈশ্বিক অনলাইন ভিডিও প্ল্যাটফর্ম সেবার সাইট এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, যা ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। ইউটিউব বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্ল্যাটফর্ম। ২০০৬ সালের অক্টোবরে, গুগল সাইটটিকে ১.৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ক্রয় করে নেয়। ইউটিউব বর্তমানে গুগলের অন্যতম অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে।
স্বপ্ন যাবে বাড়ি হলো গ্রামীণফোনের প্রচারিত একটি টেলিভিশন বিজ্ঞাপন। ঈদ উপলক্ষে ঢাকায় বসবাসকারীদের গ্রামে ফেরা ও তাদের ঘরের প্রতি আবেগের বহিঃপ্রকাশ দেখানো হয়েছে এই বিজ্ঞাপনটিতে। একই শিরোনামে দুটি বিজ্ঞাপন তৈরি করা হয়। দুটি বিজ্ঞাপনের গানের কথা লিখেন রাসেল মাহমুদ ও সুর করেন হাবিব ওয়াহিদ। প্রথম বিজ্ঞাপনটির পরিচালক রম্য খান ও গায়ক ছিলেন মিলন মাহমুদ। পরের বিজ্ঞাপনটির গানের কণ্ঠ দেন মিঠুন চক্র। ২০১৭ সালে জি বাংলার জয়ী নামক ধারাবাহিক নাটকের ট্রেলারের গানের সুর স্বপ্ন যাবে বাড়ির দ্বিতীয় বিজ্ঞাপনের গানের সুর থেকে নকল করার অভিযোগ উঠে।
চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ এবং সৌর জগতের পঞ্চম বৃহত্তম উপগ্রহ। পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে চাঁদের কেন্দ্রের গড় দূরত্ব হচ্ছে ৩৮৪,৪০০ কিলোমিটার (প্রায় ২৩৮,৮৫৫ মাইল) যা পৃথিবীর ব্যাসের প্রায় ৩০ গুণ। এর অর্থ দাড়াচ্ছে, চাঁদের আয়তন পৃথিবীর আয়তনের ৫০ ভাগের ১ ভাগ। এর পৃষ্ঠে অভিকর্ষ বল পৃথিবী পৃষ্ঠে অভিকর্ষ বলের এক-ষষ্ঠাংশ। পৃথিবী পৃষ্ঠে কারও ওজন যদি ১২০ পাউন্ড হয় তা হলে চাঁদের পৃষ্ঠে তার ওজন হবে মাত্র ২০ পাউন্ড। পৃথিবী থেকে চাঁদের এই যে দূরত্ব এটা কিন্তু সবসময় এক থাকে না। কখনো বাড়ে আবার কখনো কমে। বর্তমান শতাব্দীতে চাঁদ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে চলে এসেছিল গত ১৯১২ সালের ৪ জানুয়ারি তারিখে। এই তারিখে পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব ছিল মাত্র ৩,৪৮,২৫৯ কিলোমিটার (২,১৬,৩৯৮ মাইল)। এই শতাব্দীতে চাঁদের সাথে পৃথিবীর দূরত্ব সর্বোচ্চ স্তরে গিয়েছিল ১৯৮৪ সালের ২রা মার্চে। এই দিনে পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব ছিল ৩,৯৮,৫৯৮ কিলোমিটার (২,৪৭,৬৭৫ মাইল)। চাঁদের বয়স প্রায় ৩৯০০ মিলিয়ন বছর। চাঁদের ব্যাস ৩,৪৭৪.২০৬ কিলোমিটার (২,১৫৯ মাইল) যা পৃথিবীর ব্যাসের এক-চতুর্থাংশের চেয়ে সামান্য বেশি। ওজন ৭.২৩×১০^১৯ (অর্থাৎ ১০ এর ডানে ১৯টি শূণ্য বসিয়ে তাকে ৭.২৩ দিয়ে গুণ করলে যা হয়)। ঘনত্ব জলের চেয়ে ৩,৩৪২ ভাগ ঘন। গতি ৩,৬৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় (২,২৮৭ মাইল)। এটি প্রতি ২৭.৩২১ দিনে পৃথিবীর চারদিকে একটি পূর্ণ আবর্তন সম্পন্ন করে। প্রতি ২৯.৫ দিন পরপর চন্দ্র কলা ফিরে আসে অর্থাৎ একই কার্যক্রম আবার ঘটে। পৃথিবী-চাঁদ-সূর্য তন্ত্রের জ্যামিতিতে পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তনের কারণেই চন্দ্র কলার এই পর্যানুক্রমিক আবর্তন ঘটে থাকে।
বিকাশ বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল ফোনভিত্তিক অর্থ স্থানান্তর (এমএফএস) সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্থায়ন প্রতিষ্ঠান। ব্যাঙ্ক হিসাববিহীন ব্যক্তিদের আর্থিক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে বিকাশ চালু করা হয়েছিল। গ্রাহকরা *২৪৭# ডায়াল করে এবং বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে নগদ অর্থ জমা করা, নগদ অর্থ উত্তোলন করা, টাকা পাঠানো, টাকা যোগ করা, রেমিট্যান্স, মোবাইল রিচার্জ, মূল্য প্রদান ও বিল দেয়া ইত্যাদি সেবাগুলো নিতে পারেন। বিকাশ হিসাব খুলতে একজন গ্রাহককে পুর্ণাঙ্গ তথ্য দিয়ে নির্ধারিত গ্রাহক নিবন্ধন ফর্ম (কেওয়াইসি) পূরণ করতে হয়।
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন (আরবি: إِنَّا لِلَّٰهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ) হল কুরআনের একটি আয়াত (বাক্য) বা দোয়া, যার বাংলা অর্থ হল "আমরা তো আল্লাহরই এবং আর নিশ্চয়ই আমরা তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তনকারী"। এটি ইস্তিরজা' (আরবি: اِسْتِرْجَاع, অনুবাদ 'প্রত্যাবর্তন') নামেও পরিচিত। সাধারণত মুসলমানরা তাদের বেদনার অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে বাক্যটি উচ্চারণ করে, বিশেষ করে যখন একজন মুসলিম ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (৭ মে ১৮৬১ – ৭ আগস্ট ১৯৪১; ২৫ বৈশাখ ১২৬৮ – ২২ শ্রাবণ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ) ছিলেন একাধারে বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক। তাকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়। রবীন্দ্রনাথকে “গুরুদেব”, “কবিগুরু” ও “বিশ্বকবি” অভিধায় ভূষিত করা হয়। রবীন্দ্রনাথের ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস ও ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসংকলন তার জীবদ্দশায় বা মৃত্যুর অব্যবহিত পরে প্রকাশিত হয়। তার সর্বমোট ৯৫টি ছোটগল্প ও ১৯১৫টি গান যথাক্রমে গল্পগুচ্ছ ও গীতবিতান সংকলনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় প্রকাশিত ও গ্রন্থাকারে অপ্রকাশিত রচনা ৩২ খণ্ডে রবীন্দ্র রচনাবলী নামে প্রকাশিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় পত্রসাহিত্য উনিশ খণ্ডে চিঠিপত্র ও চারটি পৃথক গ্রন্থে প্রকাশিত। এছাড়া তিনি প্রায় দুই হাজার ছবি এঁকেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের রচনা বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য তিনি প্রথম অ-ইউরোপীয় এবং প্রথম এশীয় হিসেবে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হন।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান ব্রাহ্ম পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতৃপুরুষের আবাসভূমি বাংলাদেশের খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার অন্তর্গত ঘাটভোগ ইউনিয়নের পিঠাভোগ গ্রামে।
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ (ইউরোপীয় কাপ অথবা সংক্ষেপে ইউসিএল নামে পরিচিত) হচ্ছে ইউরোপীয় ফুটবল ক্লাবগুলোর মধ্যে ১৯৫৫ সাল থেকে ইউনিয়ন অব ইউরোপিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (উয়েফা) কর্তৃক আয়োজিত একটি বার্ষিক ফুটবল ক্লাব প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতায় ইউরোপের শীর্ষ স্তরের ক্লাবগুলো অংশগ্রহণ করে থাকে। এটি বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবল প্রতিযোগিতার পাশাপাশি ইউরোপীয় ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ক্লাব প্রতিযোগিতা, যেখানে ইউরোপীয় জাতীয় অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা আয়োজিত জাতীয় লিগের বিজয়ী দল (কিছু ক্ষেত্রে রানারআপ বা তৃতীয় স্থান অধিকারী দল) অংশগ্রহণ করে থাকে। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ উয়েফা কাপ এবং উয়েফা কাপ উইনার্স কাপ হতে একটি আলাদা প্রতিযোগিতা।
শাকিব খান (জন্ম: ২৮ মার্চ ১৯৭৯) হলেন একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রযোজক, গায়ক, চলচ্চিত্র সংগঠক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব। সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত অনন্ত ভালবাসা (১৯৯৯) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। তিনি গণমাধ্যমে "কিং খান" ও "ঢালিউড কিং" হিসাবে সম্বোধিত হন। তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেতা।শাকিব তার কর্মজীবনে একাধিক পুরস্কার অর্জন করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে চারটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, আটটি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার, তিনটি বাচসাস পুরস্কার ও চারটি সিজেএফবি পারফরম্যান্স পুরস্কার। তিনি ২০১০ সালের ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না, ২০১২ সালের খোদার পরে মা, ২০১৫ সালের আরো ভালোবাসবো তোমায় এবং ২০১৭ সালের সত্তা চলচ্চিত্রের জন্য চারবার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।তার অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল নাট্যধর্মী সুভা (২০০৬), প্রণয়ধর্মী আমার প্রাণের স্বামী (২০০৭), প্রিয়া আমার প্রিয়া (২০০৮), ও বলবো কথা বাসর ঘরে (২০০৯), প্রণয়ধর্মী-হাস্যরসাত্মক আদরের জামাই (২০১১), মারপিট-প্রণয়ধর্মী ডন নাম্বার ওয়ান (২০১২), প্রণয়ধর্মী পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী (২০১৩), মারপিট-থ্রিলারধর্মী শিকারি (২০১৬), নবাব (২০১৭), নাট্যধর্মী রাজনীতি (২০১৭), সত্তা (২০১৭) ও প্রণয়ধর্মী-হাস্যরসাত্মক চালবাজ (২০১৮), ভাইজান এলো রে(২০১৮), নাকাব(২০১৮)। ২০১১ সালে মনের জ্বালা চলচ্চিত্রে তিনি প্রথমবারে মতো তিনি নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী হিসাবে গানে কন্ঠ দেন। ২০১৪ সালে তিনি হিরো: দ্যা সুপার স্টার চলচ্চিত্র দিয়ে প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন এবং পরবর্তীকালে পাসওয়ার্ড (২০১৯), বীর (২০২০)।
ভারত (), যার সরকারি নাম ভারতীয় প্রজাতন্ত্র, দক্ষিণ এশিয়ার একটি রাষ্ট্র। ভৌগোলিক আয়তনের বিচারে এটি দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম এবং বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম রাষ্ট্র। অন্যদিকে, জনসংখ্যার বিচারে এটি বিশ্বের সর্বাধিক জনবহুল রাষ্ট্র এবং পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। ভারতের পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তান উত্তর-পূর্বে চীন, নেপাল ও ভুটান এবং পূর্বে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার অবস্থিত। এছাড়া, ভারত মহাসাগরে অবস্থিত শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও ইন্দোনেশিয়া হল ভারতের নিকটবর্তী কয়েকটি দ্বীপরাষ্ট্র। দক্ষিণে ভারত মহাসাগর, পশ্চিমে আরব সাগর ও পূর্বে বঙ্গোপসাগর দ্বারা বেষ্টিত ভারতের উপকূলরেখার সম্মিলিত দৈর্ঘ্য ৭,৫১৭ কিলোমিটার (৪,৬৭১ মাইল)।সুপ্রাচীন কাল থেকেই ভারতীয় উপমহাদেশ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য সুপরিচিত। ঐতিহাসিক সিন্ধু সভ্যতা এই অঞ্চলেই গড়ে উঠেছিল। ইতিহাসের বিভিন্ন পর্বে এখানেই স্থাপিত হয়েছিল বিশালাকার একাধিক সাম্রাজ্য। নানা ইতিহাস-প্রসিদ্ধ বাণিজ্যপথ এই অঞ্চলের সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য সভ্যতার বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রক্ষা করত। হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন ও শিখ—বিশ্বের এই চার ধর্মের উৎসভূমি ভারত। খ্রিস্টীয় প্রথম সহস্রাব্দে জরথুস্ত্রীয় ধর্ম (পারসি ধর্ম), ইহুদি ধর্ম, খ্রিস্টধর্ম ও ইসলাম এ দেশে প্রবেশ করে এবং ভারতীয় সংস্কৃতিতে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে। অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ থেকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ধীরে ধীরে ভারতীয় ভূখণ্ডের অধিকাংশ অঞ্চল নিজেদের শাসনাধীনে আনতে সক্ষম হয়। উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে এই দেশ পুরোদস্তুর একটি ব্রিটিশ উপনিবেশে পরিণত হয়ে ওঠে। অতঃপর, এক সুদীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৪৭ সালে ভারত একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্ররূপে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৫০ সালে সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে ভারত একটি সার্বভৌম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়।
মুহাম্মাদ (আরবি: مُحَمَّد, প্রতিবর্ণীকৃত: Muḥammad; ইংরেজি: [moʊˈhɑːməd]; আরবি: [mʊˈħæm.mæd]; আনুমানিক ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দ – ৮ জুন ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দ), পূর্ণ সম্মানসূচক নাম হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ছিলেন আরবের একজন ধর্মীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতা এবং ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক। ইসলামি মতবাদ অনুযায়ী, তিনি আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত একজন নবী যিনি আদম, ইব্রাহিম, মুসা, ঈসা এবং অন্যান্য নবীদের একত্ববাদী শিক্ষাকে প্রচার ও দৃঢ় করতে এসেছিলেন। মুসলমানগণ বিশ্বাস করেন যে, মুহাম্মাদ ছিলেন শেষ নবী বা রাসুল এবং আল্লাহ কর্তৃক তার নিকট নাযিলকৃত ধর্মগ্রন্থ আল-কুরআন ও তাঁর জীবনাদর্শ ইসলাম ধর্মের ভিত্তি।
স্টিভ ওলফ যিনি জনি সিন্স নামে বেশি পরিচিত, একজন আমেরিকান পর্নোগ্রাফিক অভিনেতা। তিনি প্রায় ৫০০টি প্রাপ্তবয়স্ক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। অভিনয়ের দক্ষতার কারণে তিনি বেশ কিছু পুরস্কার পেয়েছেন এবং বিভিন্ন পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। এর মধ্যে ২০১৫ সালের শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য এভিএন পুরস্কার উল্লেখযোগ্য। ব্রাজার্স কোম্পানির ভিডিওতে তার উপস্থিতি তাকে অনেক জনপ্রিয়তা দিয়েছে।
চড়ক পূজা পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লোকোৎসব। বাংলা পঞ্জিকা অনুযায়ী, প্রতিবছর চৈত্র সংক্রান্তিতে বা চৈত্রের শেষ দিনে এ পূজা অনুষ্ঠিত হয় এবং বৈশাখের প্রথম দু-তিন দিনব্যাপী চড়ক পূজার উৎসব চলে। এটি চৈত্র মাসে পালিত হিন্দু দেবতা শিবের গাজন উৎসবের একটি অঙ্গ। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে মেলা বসে যা চড়ক সংক্রান্তির মেলা নামে অভিহিত।
জানাযা একটি বিশেষ প্রার্থনা যা কোনো মৃত মুসলমানকে কবর দেয়ার পূর্বে সংগঠিত হয়। সচরাচর এটি জানাযার নামাজ নামে অভিহিত হয়। মুসলমান অর্থাৎ ইসলাম ধর্মামলম্বীদের জন্য এটি ফরযে কেফায়া বা সমাজের জন্য আবশ্যকীয় দায়িত্ব অর্থাৎ কোনো মুসলমানের মৃত্যু হলে মুসলমান সমাজের পক্ষ থেকে অবশ্যই জানাযার নামাজ পাঠ করতে হবে। তবে কোনো এলাকা বা গোত্রের পক্ষ থেকে একজন আদায় করলে সকলের পক্ষ থেকে তা আদায় হয়ে যায়।
রাজস্থান রয়্যালস (হিন্দি: राजस्थान रॉयल्स) হলো ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের গোলাপী নগরী খ্যাত জয়পুরের প্রতিনিধিত্বকারী ক্রিকেট দল। বর্তমানে দলটির অধিনায়ক হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সঞ্জু স্যামসন এবং কোচের দায়িত্ব পালন করছেন কুমার সাঙ্গাকারা। রয়্যালস সাবেক অস্ট্রেলিয়ান স্পিনার শেন ওয়ার্নের অসাধারণ অধিনায়কত্বের উপর ভর করে আইপিএল এর প্রথম সংস্করণে জয়লাভ করেন।রয়্যালসকে প্রায়শ "মানিবল দল" হিসেবে বলা হয়ে থাকে। দলীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রকারী হিসেবে শেন ওয়াটসন এবং সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রকারী হিসেবে সিদ্ধার্থ ত্রিবেদী রয়েছেন।
যৌনসঙ্গম (যৌনমিলন, সঙ্গম, মৈথুন, রতিক্রিয়া, রতিমিলন; যৌন সংসর্গ, যৌন সহবাস, সহবাস ইত্যাদি) হচ্ছে একটি জৈবিক প্রক্রিয়া যা দ্বারা মূলত যৌনআনন্দ বা প্রজনন বা উভয় ক্রিয়ার জন্য একজন পুরুষের উত্থিত শিশ্ন একজন নারীর যোনিপথে প্রবেশ করানো ও সঞ্চালনা করাকে বোঝায়। অন্যান্য অন্তর্ভেদী যৌনসঙ্গমের মধ্যে রয়েছে পায়ুসঙ্গম (পায়ুপথে শিশ্ন প্রবেশ), মুখমৈথুন, অঙ্গুলিসঞ্চালন (আঙ্গুল দ্বারা যৌন প্রবেশ), যৌনখেলনা ব্যবহার দ্বারা প্রবেশ (বন্ধনীযুক্ত কৃত্রিম শিশ্ন)। এই সকল কার্যক্রম মূলত মানবজাতি কর্তৃক দুই বা ততোধিকের মধ্যেকার শারীরিক ও মানসিক অন্তরঙ্গতা জনিত পরিতোষ লাভের জন্য এবং সাধারণত মানব বন্ধনে ভূমিকা রাখতে সম্পাদিত হয়ে থাকে।যৌনসঙ্গম বা অপরাপর যৌনকর্ম কীভাবে সংজ্ঞায়িত হয় তা নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে, যা যৌনস্বাস্থ্য বিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গিগুলোর উপর প্রভাব রাখতে পারে। যদিও যৌনসঙ্গম, নির্দিষ্টভাবে মৈথুন বলতে সাধারণত শিশ্ন-যোনিজ প্রবেশ ও সন্তান উৎপাদনের সম্ভাব্যতাকে নির্দেশ করা হয়, এর দ্বারা সাধারণভাবে অন্তর্ভেদী মুখমৈথুন ও বিশেষত শিশ্ন-পায়ুজ সঙ্গমকেও নির্দেশ করা হয়। এটি সাধারণত যৌন প্রবেশকে নির্দেশ করে, যেখানে অনাভেদী যৌনক্রিয়াকে "বহির্সঙ্গম" নামে নামকরণ করা হয়, কিন্তু প্রবেশমূলক যৌনকর্মকে যৌনসঙ্গম হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। যৌনতা বা ইংরেজি ভাষায় সেক্স, প্রায়শই যৌনসঙ্গমের একটি সংক্ষিপ্ত ব্যবহৃত রূপ, যা দ্বারা যে কোন প্রকারের যৌনক্রিয়াকে বোঝানো হতে পারে। যেহেতু এসকল যৌনকর্মের সময়ে মানুষ যৌনবাহিত সংক্রমণের সংস্পর্শের ঝুঁকিতে থাকতে পারে, নিরাপদ যৌনচর্চার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে, যদিও অনাভেদী যৌনতায় সংক্রমণ ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যহারে হ্রাস পেয়ে থাকে।বিভিন্ন আইনি বিধিমালা যৌনসঙ্গমমের সামাজিক অনুমতিপ্রদানের জন্য বিভিন্ন আইন ও রীতিনীতির মাধ্যমে বৈবাহিক রীতির প্রবর্তন, প্রচলন ও সমর্থন করেছে এবং বেশ কিছু যৌনকর্মের বিপরীতে নিষেধাজ্ঞামূলক আইনকে স্থান দিয়েছে, যেমন বিবাহপূর্ব ব্যভিচার ও বিবাহপরবর্তী পরকীয়া, পায়ুকাম, পশুকাম, ধর্ষণ, পতিতাবৃত্তি, অপ্রাপ্তবয়স্কের সঙ্গে যৌনচর্চা ও অজাচার। ধর্মীয় বিশ্বাসও যৌনসঙ্গমসহ অন্যান্য যৌনাচার বিষয়ক ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে অন্যতম ভূমিকা পালন করে, যেমন কুমারীত্ব বিষয়ক সিদ্ধান্ত, অথবা আইনি বা সরকারি নীতিমালা সম্পর্কিত বিষয়াবলি। বিভিন্ন ধর্মভেদে ও একই ধর্মের বিভিন্ন শ্রেণীভেদে যৌনতা সম্পর্কিত ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য পরিলক্ষিত হলেও কিছু বিষয়ে অভিন্নতা রয়েছে, যেমন ব্যভিচারের নিষেধাজ্ঞা।
চাঁদ রাত (আক্ষরিক অর্থে চাঁদের রাত) মুসলিম উৎসব ঈদুল ফিতরের প্রাক্কালে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং ভারতে ব্যবহৃত একটি বাংলা, উর্দু এবং হিন্দি ভাষার বাচন; এছাড়া এর অর্থ আরবী মাস শাওয়ালের প্রথম তারিখে উদিত একটি নতুন চাঁদযুক্ত রাতও হতে পারে। চাঁদ রাত হচ্ছে উদ্যাপনের সময়, এই সময় পরিবার ও বন্ধুরা রমজানের শেষ দিনে নতুন চাঁদ দেখার জন্য খোলা জায়গায় জড়ো হয়, নতুন চাঁদ ইসলামী শাওয়াল মাসের আগমন এবং ঈদের দিনকে ইঙ্গিত করে। একবার যখন চাঁদ দেখা যায়, তখন লোকেরা একে অপরকে চাঁদ রাত মোবারক ("নতুন চাঁদের শুভকামনা") বা ঈদ মোবারক ("ঈদের দিনের শুভকামনা") জানায়। মহিলা এবং মেয়েরা মেহেদি দিয়ে তাদের হাত সজ্জিত করে এবং পরের দিন ঈদের জন্য লোকেরা মিষ্টিজাত প্রস্তুত করে এবং শেষ দফায় কেনাকাটা করে। শহরের রাস্তাগুলো একটি উৎসবের এবং বিপণনের দোকানো উজ্জ্বল আলোতে সজ্জিত হয়, একই সাথে এই রাতে বাজারগুলো গভীর রাত অবধি খোলা থাকে। পুরো দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে মুসলমানরা (এবং মাঝে মাঝে অমুসলিমরাও) সামাজিক-সাংস্কৃতিক তাৎপর্যপূর্ণভাবে চাঁদ রাতের উৎসব আবেগের সাথে উদযাপিত করে। এই রাতটি বড়দিনের প্রাক্কালের সাথে তুলনীয়।
শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত বাংলাদেশ তথা উপমহাদেশের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ ও ঐতিহ্যবাহী ঈদগাহ ময়দান। প্রতিবছর এ ময়দানে ঈদ-উল-ফিতর ও ঈদুল আযহা নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। কালের স্রোতে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানটি পরিণত হয়ে উঠেছে একটি ঐতিহাসিক স্থানে। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত দিনাজপুরের "গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানের" পর দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় এখানে। এ ময়দানের বিশাল জামাত গৌরবান্বিত ও ঐতিহ্যবাহী করেছে কিশোরগঞ্জকে। বর্তমানে এখানে একসঙ্গে তিন লক্ষাধিক মুসল্লি জামাতে নামাজ আদায় করেন। নামাজ শুরুর আগে শর্টগানের ফাঁকা গুলির শব্দে সবাইকে নামাজের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য সঙ্কেত দেওয়া হয়। কিশোরগঞ্জ শহরের পূর্বে নরসুন্দা নদীর তীরে এর অবস্থান। বর্তমানে এই ঈদগাহের ইমাম ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ ও হিফজুর রহমান খান।
আয়াতুল কুরসি (আরবি: آية الكرسي আয়াত আল-কুরসি, অর্থ: "সিংহাসনের স্তবক") হচ্ছে কুরআনের দ্বিতীয় সূরা আল-বাকারার ২৫৫তম আয়াত (২:২৫৫)। এই আয়াতে সমগ্র মহাবিশ্বের উপর আল্লাহর পূর্ণ ক্ষমতা ঘোষণা করা হয়েছে এবং কীভাবে কোনো কিছু বা কাউকেই আল্লাহর সাথে তুলনীয় বলে গণ্য করা হয় না তা উদ্ধৃত করা হয়েছে।আয়াতটি ইসলামি বিশ্বে ব্যাপকভাবে পঠিত ও মুখস্থ করা হয়। ইসলামি পণ্ডিতগণ একে ‘কুরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ আয়াত’ বলে দাবি করে থাকেন মুসলমানগণ বিশ্বাস করেন যে, এটি পাঠ করলে অসংখ্য উপকার ও পুণ্য লাভ হয়। এছাড়াও দুষ্ট আত্মা বা জ্বিনকে দূর করতেও এই আয়াতটি ব্যবহৃত হয়।
পশ্চিমবঙ্গ ভারতের একটি রাজ্য পূর্ব ভারতে বঙ্গোপসাগরের উত্তর দিকে বাংলাদেশের সীমান্তে অবস্থিত। ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, এই রাজ্যের জনসংখ্যা ৯ কোটি ১৩ লক্ষেরও বেশি। জনসংখ্যার নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ ভারতের চতুর্থ সর্বাধিক জনবহুল রাজ্য (প্রথম-উত্তর প্রদেশ, দ্বিতীয়- মহারাষ্ট্র, তৃতীয়-বিহার )। এই রাজ্যের আয়তন ৮৮৭৫২ বর্গ কি.
ভগবদ্গীতা (সংস্কৃত: भगवद्गीता) বা গীতা বা শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা সাতশত শ্লোকের ধর্মগ্রন্থ। তাই একে সপ্তশতী বলা হয়। এটি সংস্কৃত মহাকাব্য মহাভারত-এর অংশ। এটি ভীষ্মপর্ব নামে মহাভারতের ষষ্ঠ পুস্তকের ২৩-৪০ অধ্যায় গঠন করে। কূর্মপুরাণের উপরিভাগ অনুসারে সত্যযুগে শিব সর্বপ্রথম ঈশ্বরগীতা প্রদান করেছিলেন, সেই গীতারই বক্তব্য দ্বাপর শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বলেছিলেন, যা ভগবদ্গীতা নামে পরিচিত। এই গ্রন্থটি খ্রিস্টপূর্ব প্রথম সহস্রাব্দের দ্বিতীয়ার্ধে রচিত। গীতা স্বতন্ত্র ধর্মগ্রন্থ তথা পৃথক শাস্ত্র এর মর্যাদা পেয়ে থাকে। হিন্দুরা গীতাকে ভগবানের মুখনিঃসৃত বাণী মনে করেন। মানবধর্ম, দর্শন ও সাহিত্যের ইতিহাসে গীতা এক বিশেষ স্থানের অধিকারী। গীতার কথক কৃষ্ণ হিন্দুদের দৃষ্টিতে ঈশ্বরের অবতার পরমাত্মা স্বয়ং। তাই গীতায় তাঁকে বলা হয়েছে "শ্রীভগবান"।গীতার বিষয়বস্তু কৃষ্ণ ও পাণ্ডব রাজকুমার অর্জুনের কথোপকথন। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ শুরু ঠিক আগে শত্রুপক্ষে আত্মীয়, বন্ধু ও গুরুকে দেখে অর্জুন কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছিলেন। এই সময় কৃষ্ণ তাকে ক্ষত্রিয় যোদ্ধার ধর্ম স্মরণ করিয়ে দিয়ে এবং বিভিন্ন প্রকার যোগশাস্ত্র ও বৈদান্তিক দর্শন ব্যাখ্যা করে তাকে যুদ্ধে যেতে উৎসাহিত করেন। তাই গীতাকে বলা হয় মানব ধর্মতত্ত্বের সংক্ষিপ্ত পাঠ এবং হিন্দুদের জীবনচর্যার ব্যবহারিক পথনির্দেশিকা। যোগশাস্ত্র ব্যাখ্যার সময় কৃষ্ণ নিজের স্বয়ং ভগবান রূপটি উন্মোচিত করেন এবং বিশ্বরূপে অর্জুনকে দর্শন দিয়ে আশীর্বাদ করেন। অর্জুন ছাড়া প্রত্যক্ষভাবে কৃষ্ণের মুখ থেকে গীতা শুনেছিলেন সঞ্জয় (তিনি যুদ্ধের ঘটনা ধৃতরাষ্ট্রের কাছে বর্ণনা করার জন্য বেদব্যাসের কাছ থেকে দিব্য দৃষ্টি লাভ করেছিলেন), হনুমান (তিনি অর্জুনের রথের চূড়ায় বসে ছিলেন) ও ঘটোৎকচের পুত্র বর্বরীক যিনি কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের সব ঘটনা দেখেছিলেন। গীতাকে গীতোপনিষদ বলা হয়। অর্থাৎ, গীতা উপনিষদ্ বা বৈদান্তিক সাহিত্যের অন্তর্গত। "উপনিষদ্" নামধারী ধর্মগ্রন্থগুলো শ্রুতিশাস্ত্রের অন্তর্গত হলেও, মহাভারতের অংশ বলে গীতা স্মৃতিশাস্ত্রের অন্তর্গত। আবার উপনিষদের শিক্ষার সারবস্তু গীতায় সংকলিত হয়েছে বলে একে বলা হয় "উপনিষদ্সমূহের উপনিষদ্"। গীতাকে মোক্ষশাস্ত্র নামেও অভিহিত করা হয়।ভারতীয় মনীষীদের পাশাপাশি অ্যালডাস হাক্সলি, জে.
বাংলাদেশের জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২
বাংলাদেশের আদমশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ হচ্ছে বাংলাদেশের জনসংখ্যার বিস্তারিত গণনার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত দেশের ষষ্ঠ জাতীয় আদমশুমারি। এটি বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল আদমশুমারি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তত্ত্বাবধানে ২০২২ সালের ১৫ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত এক সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়। সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও নেত্রকোণা জেলায় বন্যা থাকায় ২৮ জুন ২০২২ পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম চলমান ছিল। তবে উক্ত আদমশুমারিতে সংগৃহীত তথ্যের মানদণ্ড হিসেবে ১৫ জুন ২০২২ তারিখটি ব্যবহৃত হয়। দশ বছর পর পর আদমশুমারি হওয়ার ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালের পর ২০২১ সালে এই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারী, সিলেটে বন্যা এবং সরঞ্জামের অভাবের কারণে সৃষ্ট জটিলতার ফলে এই আদমশুমারি বিলম্বিত হয়।
মালয়েশিয়া (মালয়: Malaysia) তেরোটি রাজ্য এবং তিনটি ঐক্যবদ্ধ প্রদেশ নিয়ে গঠিত দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার একটি দেশ। যার মোট আয়তন ৩,২৯,৮৪৫ বর্গকিমি। দেশটির রাজধানী শহর কুয়ালালামপুর এবং পুত্রজায়া হল ফেডারেল সরকারের রাজধানী। দক্ষিণ চীন সাগর দ্বারা দেশটি দুই ভাগে বিভক্ত, মালয়েশিয়া উপদ্বীপ এবং পূর্ব মালয়েশিয়া। মালয়েশিয়ার স্থল সীমান্তে রয়েছে থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, এবং ব্রুনাই; এর সমুদ্র সীমান্ত রয়েছে সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইন এর সাথে। মালয়েশিয়ার মোট জনসংখ্যা ২৮ মিলিয়নের অধিক।
ফিলিস্তিন বা প্যালেস্টাইন (আরবি: فلسطين, ফিলাস্তীন্), সরকারিভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র (আরবি: دولة فلسطين, দাউলাত্ ফিলাস্তীন্) নামে পরিচিত, হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের নির্বাসনঘোষিত একটি রাষ্ট্র, যেখানে ১৫ নভেম্বর ১৯৮৮ সালে আলজিয়ার্স শহরে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অরগানাইজেশন (পিএলও) ও প্যালেস্টাইন জাতীয় পরিষদ (পিএনসি) একপাক্ষিক ভাবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল। ১৯৮৮ ঘোষণার সময়ে কোনো অঞ্চলেই পিএলওর নিয়ন্ত্রণ ছিল না, যদিও তারা যে অঞ্চলগুলি দাবি করেছিল আন্তর্জাতিকভাবে সেইগুলি ইসরাইলের দখলে রয়েছে। ১৯৪৭ সালে জাতিসংঘ দ্বারা প্রস্তাবিত ফিলিস্তিন বিভাগ যেভাবে প্রস্তাবিত হয়েছিল, সেখানে ফিলিস্তিন ভূখণ্ড (গাজা ভূখণ্ড ও পশ্চিম তীর) ছাড়াও ইসরায়েল শাসনাধীন কিছু অঞ্চল এবং জেরুজালেমকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে দাবী করে তারা। ১৯৭৪ সালে আরব লীগের শীর্ষ বৈঠকে স্থির হয়েছিল যে, পিএলও ফিলিস্তিনের জনগণের একমাত্র বৈধ প্রতিনিধি এবং ও তাদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে একটি স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠা করার আহবান জানিয়েছিল। ২২ নভেম্বর ১৯৭৪, থেকে একটি জাতি হিসেবে পিএলওকে " রাষ্ট্রহীন-সত্ত্বা " রূপে পর্যবেক্ষক অবস্থা রাখা হয়েছিল। যারা কেবলমাত্র জাতিসংঘে তাদের বক্তব্য রাখতে পারতেন, কিন্তু ভোট দেবার কোনো ক্ষমতা ছিল না।
যাকাত (الزكاة) (আরবি: زكاة zakāt, "যা পরিশুদ্ধ করে", আরও আরবি: زكاة ألمال, "সম্পদের যাকাত") হলো ইসলাম ধর্মের পঞ্চস্তম্ভের একটি। প্রত্যেক স্বাধীন, পূর্ণবয়স্ক মুসলমান নর-নারীকে প্রতি বছর স্বীয় আয় ও সম্পত্তির একটি নির্দিষ্ট অংশ, যদি তা ইসলামী শরিয়ত নির্ধারিত সীমা (নিসাব পরিমাণ) অতিক্রম করে তবে, গরীব-দুঃস্থদের মধ্যে বিতরণের নিয়মকে যাকাত বলা হয়। সাধারণত নির্ধারিত সীমার অধিক সম্পত্তি হিজরি ১ বছর ধরে থাকলে মোট সম্পত্তির ২.৫ শতাংশ (২.৫%) বা ১/৪০ অংশ বিতরণ করতে হয়। ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের মধ্যে হজ্জ্ব এবং যাকাত শুধুমাত্র শর্তসাপেক্ষ যে, তা সম্পদশালীদের জন্য ফরয বা আবশ্যিক হয়। পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআনে "যাকাত" শব্দের উল্লেখ এসেছে ৩২ বার। নামাজের পরে সবচেয়ে বেশি বার এটি উল্লেখ করা হয়েছে।
শেখ মুজিবুর রহমান (১৭ মার্চ ১৯২০ – ১৫ আগস্ট ১৯৭৫), সংক্ষিপ্তাকারে শেখ মুজিব বা বঙ্গবন্ধু, ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি ভারত বিভাজন আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন এবং পরবর্তীকালে পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে কেন্দ্রীয়ভাবে নেতৃত্ব প্রদান করেন। শুরুতে তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি, এরপর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং পরবর্তীকালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক স্বায়ত্তশাসন অর্জনের প্রয়াস এবং পরবর্তীকালে ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পেছনের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমানকে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হিসেবে কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে বাংলাদেশের “জাতির জনক” বা “জাতির পিতা” হিসেবে অভিহিত করা হয়। এছাড়াও তাকে প্রাচীন বাঙালি সভ্যতার আধুনিক স্থপতি ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। জনসাধারণের কাছে তিনি “শেখ মুজিব” বা “শেখ সাহেব” নামে এবং তার উপাধি “বঙ্গবন্ধু” হিসেবেই অধিক পরিচিত। তার কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী।
হরিচাঁদ ঠাকুর [মধুকৃষ্ণাতিথি, মহাবারুনী, বুধবার , ১২১৮ বঙ্গাব্দ] (১১ মার্চ ১৮১২ – ৫ মার্চ ১৮৭৮) মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রবর্তক। তিনি সমাজের পিছিয়ে পড়া হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেদের জন্য এবং সমাজের দলিত মানুষের উন্নয়নে নানান কাজ করেছিলেন। এই লক্ষ্যে হরিতনয় শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুর ০৯ অক্টোবর, ১৯৩২ সালে মতুয়া হিন্দুদের জন্য একমাত্র সংগঠন শ্রীশ্রী হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন যা পরর্বতীতে শ্রীশ্রী হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ মতুয়া মিশন নামে পরিচালিত হয়। যার কেন্দ্রীয় কার্যালয় শ্রীধাম ওড়াকান্দি ঠাকুরবাড়িতে অবস্থিত এবং বর্তমান সভাপতি মহা-মতুয়াচার্য শ্রীপদ্মনাভ ঠাকুর, সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক গুরু (মতুয়া সম্প্রদায়) এবং গদিসমাসীন ঠাকুর পূণ্য লীলাভূমি শ্রীধাম ওড়াকান্দি।
ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলসমূহ
ভারত হলো ২৮টি রাজ্য ও ৮ টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল নিয়ে গঠিত একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় রাজ্যসংঘ। এই দেশের প্রথম স্তরের প্রশাসনিক বিভাগের সংখ্যা ৩৬। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি আবার জেলা ও ক্ষুদ্রতর প্রশাসনিক বিভাগে বিভক্ত।
অকাল বীর্যস্খলন বা দ্রুতস্খলন হলো যৌনসঙ্গমকালে পুরুষের দ্রুত বীর্যপাত হওয়়া । এটি একটি সাধারণ যৌনগত সমস্যা। কিছু বিশেষজ্ঞের মতে প্রতি তিনজন পুরুষের মধ্যে একজনকে এ সমস্যায় আক্রান্ত হতে দেখা যায় । স্ত্রী যোনীতে পুরুষাঙ্গ প্রবেশের পর অঙ্গ চালনার পরিণতি হিসেবে বীর্যপাত হয়ে থাকে। যোনিতে লিঙ্গ প্রবেশের সময় থেকে বীর্যপাত অবধি সময়কে বলা হয় বীর্যধারণ কাল। কতক্ষণ অঙ্গচালনার পর বীর্যপাত হবে তার কোন সুনির্দ্দিষ্ট বা আদর্শস্থানীয় সময় নেই। পুরুষে পুরুষে, বয়সের তারতম্যে বা পরিবেশভেদে বীর্যধারণ ক্ষমতা বিভিন্ন হতে দেখা যায়। তবে নিয়মিত যদি যোনীতে লিঙ্গ প্রবেশের পূর্বে বা অব্যবহিত পরেই অপ্রতিরোধ্যভাবে বীর্যপাত হয়ে যায় তবে তা দ্রুতস্খলন সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হবে। এটি একটি যৌনসমস্যা কেননা এর ফলে পুরুষ প্রযোজনীয় সময় ধরে অঙ্গচালনার সুখ থেকে বঞ্চিত হয়। অপর দিকে অকাল বীর্যপাতের দরূণ পুরুষাঙ্গ নেতিয়ে পড়ে বলে অঙ্গ চালনা আর সম্ভব হয় না যার ফলে স্ত্রীর চরমানন্দ লাভের আগেই সঙ্গমের সমাপ্তি হয়।
ঈদুল আযহা বা ঈদুল আজহা বা ঈদুল আদহা (আরবি: عيد الأضحى, প্রতিবর্ণীকৃত: ʿīd al-ʾaḍḥā, অনুবাদ 'ত্যাগের উৎসব', [ʕiːd ælˈʔɑdˤħæː]) ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মীয় উৎসবের দ্বিতীয়টি। চলতি কথনে এই উৎসবটি কুরবানির ঈদ নামেও পরিচিত। এই উৎসবকে ঈদুজ্জোহাও বলা হয়। ঈদুল আযহা মূলত আরবি বাক্যাংশ। এর অর্থ হলো ‘ত্যাগের উৎসব’। এই উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হল ত্যাগ করা। এ দিনটিতে মুসলমানেরা ফযরের নামাযের পর ঈদগাহে গিয়ে দুই রাক্বাত ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করে ও অব্যবহিত পরে স্ব-স্ব আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ ও উট আল্লাহর নামে কোরবানি করে।
যেসকল ব্যক্তিবর্গ জীবিত থাকা অবস্থায় ইসলামের নবি মুহাম্মদকে সরাসরি দেখা ও সাক্ষাৎ লাভ করেছেন; তার হাতে ইসলাম গ্রহণ করেছেন এবং তার সাহচর্য লাভ করেছেন; অতঃপর ইসলামের প্রতি বিশ্বাস থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁকে ইসলামের পরিভাষায় নবির সাহাবি (আরবি: الصحابة) বলা হয়। ইসলামি বিশ্বাস অনুযায়ী, সাহাবিরা ইসলামের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
পাকিস্তান (উর্দু: پاکِستان), সরকারিভাবে ইসলামি প্রজাতন্ত্রী পাকিস্তান (উর্দু: اِسلامی جمہوریہ پاکِستان), দক্ষিণ এশিয়ার একটি রাষ্ট্র। ২১,২৭,৪২,৬৩১-র অধিক জনসংখ্যা নিয়ে এটি জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের ৫ম বৃহত্তম রাষ্ট্র এবং আয়তনের দিক থেকে ৩৩তম বৃহত্তম রাষ্ট্র। পাকিস্তানের দক্ষিণে আরব সাগর এবং ওমান উপসাগরীয় উপকূলে ১০৪৬ কিলোমিটার (৬৫০ মাইল) উপকূল রয়েছে এবং এটি পূর্ব দিকে ভারতের দিকে, আফগানিস্তান থেকে পশ্চিমে, ইরান দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং উত্তর-পূর্ব দিকে চীন সীমান্তে অবস্থিত। এটি উত্তর-পশ্চিমে আফগানিস্তানের ওয়াখান করিডোরের দ্বারা তাজিকিস্তান থেকে সংকীর্ণভাবে বিভক্ত এবং ওমানের সাথে সমুদ্রের সীমান্ত ভাগ করে।
মোবাইল ফোন এক ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা যাতে বেতার তরঙ্গ ব্যবহৃত হয়ে থাকে। “মোবাইল ফোন” শব্দদ্বয় দ্বারা একই সঙ্গে মোবাইল ফোন বা সেলুলার ফোন ব্যবস্থা এবং গ্রাহকের ব্যবহার্য হ্যাণ্ডসেট বোঝানো হয়ে থাকে। এই হ্যাণ্ডসেটকে মোবাইল ফোন ছাড়াও সেলফোন, হ্যান্ড ফোন এবং মুঠোফোন হিসাবে অভিহিত করা হয়। এই ফোনসেট "স্থানান্তরযোগ্য" বা মোবাইল। এই ফোন সহজে যেকোনও স্থানে বহন করা এবং ব্যবহার করা যায় বলে “মোবাইল ফোন” নামকরণ করা হয়েছে। মোবাইল হলো বর্তমান সময়ের মানুষের কাছে একটি অপরিহার্য ইলেকট্রিক যন্ত্র । এর মাধ্যমে বর্তমানে সব ধরনের যোগাযোগ করা সম্ভব এবং এটি পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে নিয়ে যাওয়া যায় এবং পৃথিবীর অপর প্রান্তের মানুষের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা যায় ।
ইসলাম (আরবি: ۘالِإسْلَام, আল-ইসলাম [ʔɪsˈlæːm] ()) একটি একেশ্বরবাদী এবং ইব্রাহিমীয় ধর্মবিশ্বাস যার মূল শিক্ষা হলো এক আল্লাহ ছাড়া আর কোন স্রষ্টা নেই এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) হলেন আল্লাহর প্রেরিত সর্বশেষ নবী ও রাসূল। এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ধর্ম, যার অনুসারী এবং স্বীকৃতিদানকারীর সংখ্যা প্রায় ২০০কোটি যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৪.৪%। ইসলাম ধর্মের অনুসারী এবং স্বীকৃতিদানকারীরা মুসলিম এবং মুসলমান নামে পরিচিত। মুসলমানরা বিশ্বের ৫০ এর অধিক দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসমষ্টি গঠন করেছে। ইসলামের মৌলিক শিক্ষা হলো আল্লাহ দয়ালু, করুনাময়, এক ও অদ্বিতীয় এবং একমাত্র ইবাদতযোগ্য প্রভু।মানবজাতিকে পথ প্রদর্শনের জন্য তিনি যুগে-যুগে অনেক নবী-রাসূল, আসমানী কিতাব এবং নিদর্শন পাঠিয়েছেন। ইসলাম ধর্মের প্রধান ধর্মগ্রন্থ হলো পবিত্র আল-কুরআন, যা স্বয়ং আল্লাহর বাণী; আর সর্বশেষ নবী মুহাম্মাদ (২৯ আগস্ট ৫৭০- ৮ জুন ৬৩২) এর কথা, কাজ ও মৌনসম্মতিকে সুন্নাহ বলা হয় যা হাদিস নামে লিপিবদ্ধ রয়েছে। তবে সমস্ত সুন্নাহই হাদিস, কিন্তু সমস্ত হাদিস সুন্নাহ নয়।
কৃষ্ণ (সংস্কৃত: कृष्ण) বা শ্রীকৃষ্ণ (সংস্কৃত: श्रीकृष्ण) হলেন বিষ্ণুর অষ্টম অবতার। সনাতন তথা বৈষ্ণব ধর্মে তাঁকে সর্বোচ্চ ঈশ্বর (পরম সত্ত্বা) উপাধিতে ভূষিত করা হয় এবং তিনি ভগবদ্গীতা-এর প্রবর্তক। ভাদ্রমাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে তাঁর জন্মোৎসব পালন করা হয়।তিনি দ্বাপর যুগে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার অত্যাচারী মামা কংসকে হত্যা করেন।এছাড়াও তিনি পুতনা রাক্ষসী, অঘাসুর, বকাসুর ইত্যাদি অসুরকে হত্যা করেন। মহাভারতে তিনি অর্জুনের রথের সারথী ছিলেন।
বাগধারা শব্দের আভিধানিক অর্থ কথার বচন ভঙ্গি বা ভাব বা কথার ঢং। বাক্য বা বাক্যাংশের বিশেষ প্রকাশভঙ্গিকে বলা হয় বাগধারা। বিশেষ প্রসঙ্গে শব্দের বিশিষ্টার্থক প্রয়োগের ফলে বাংলায় বহু বাগধারা তৈরি হয়েছে। এ ধরনের প্রয়োগের পদগুচ্ছ বা বাক্যাংশ আভিধানিক অর্থ ছাপিয়ে বিশেষ অর্থের দ্যোতক হয়ে ওঠে। বলা যায় বাক্যার্থ ছাপিয়ে এখানে ব্যাঙ্গার্থই প্রধান।
কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ), যা বম পার্টি নামেও পরিচিত–হল বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে সক্রিয় একটি নিষিদ্ধ জাতিগত সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন, যা চট্টগ্রাম বিভাগের রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলায় হত্যা, লুটপাট, মুক্তি পণ দাবিসহ একাধিক সন্ত্রাসী কার্যক্রমে লিপ্ত রয়েছে। ২০১৭ সালে নাথান বম দ্বারা প্রতিষ্ঠিত কেএনএফ রাঙামাটি ও বান্দরবান জেলার নয়টি উপজেলা নিয়ে বম জনগণের জন্য একটি পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়। বাংলাদেশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মতে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট মিয়ানমারের কাচিন রাজ্য থেকে অস্ত্র পায় এবং কারেন বিদ্রোহীর সাথেও এর সম্পর্ক রয়েছে। এর সশস্ত্র শাখার নাম কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ)।
৬৯ (ফরাসি নাম soixante-neuf (69)) এটি এমন এক যৌনাসন যেখানে নারী, পুরুষ বা যৌনসঙ্গীরা এমন ভাবে পরস্পরের শরীরকে স্থাপন করে যাতে করে উভয়ই উভয়ের যৌনাঙ্গ মুখে নিয়ে চুষতে পারে বা মুখলেহন করতে পারে। এ যৌনাসনে অংশগ্রহণকারীরা একে অপরের বিপরীতে (অর্থাৎ পরস্পরের মুখ অপরের যৌনাঙ্গের দিকে থাকে যা অনেকটা ইংরেজি 69 এর মত) শরীরকে স্থাপন করে, তাই আসনটির এই নামকরণ করা হয়। এই আসন অনেকেই পছন্দ করে থাকে কারণ এখানে দুজনেই সমসাময়িকভাবে তৃপ্তি লাভ করে। তবে মূলত সমকামীদের মধ্যে এর প্রচার বেশি লক্ষ করা যায়।
উত্থান ত্রুটি বা পুরুষত্বহীনতা বা লিঙ্গ শৈথিল্য হল এক প্রকারের যৌন রোগ যাতে শিশ্ন উত্থিত অবস্থা ধরে রাখতে পারে না বা লিঙ্গ উত্থান হয় না। সাধারণত যৌন ক্রিয়ার অংশ হিসেবে যৌন উত্তেজনা আসার লক্ষন এবং মিলনের পূর্বশত হিসেবে লিঙ্গ শক্ত হয়ে উত্থান হয়। পুরুষের যৌন সমস্যাগুলির মধ্যে এটি সবচেয়ে সাধারণ। এ সমস্যার কারনে মানসিক ক্ষতি হতে পারে কারণ এটি ব্যক্তিসত্ত্বা এবং যৌন সম্পর্কে সঙ্গীর সাথে সরাসরি জড়িত একটি বিষয়।
বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বসবাসরত বাঙালি হিন্দুদের পদবীসমূহ বেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ এখানে যেমন ধর্মীয় জাতিভেদ প্রথার প্রভাব বিদ্যমান তেমনই ঐতিহ্যবাহী পেশাকেও পদবী হিসেবে গ্রহণের রেওয়াজ বিদ্যমান। প্রাচীন কালে কোনও পদবী হতো না। এগুলির সৃষ্টি প্রায় ৮০০ বছর আগে মাত্র। বল্লাল সেন কৌলীন্য প্রথা প্রবর্তনের মাধ্যমে পদবীর প্রচলন করেন।বাঙালিজাতির ইতিহাসে তাই সেন রাজবংশ হতে সেন পদবীই প্রথম পদবীপ্রথা হিসেবে ধরা হয়।পূর্বতন শাসক পালরা ছিলেন বৌদ্ধ ধর্মমতে বিশ্বাসী সে সময়ের বাঙলায় পদবী হত না কিন্তু বাঙলায় বৈদিক গোঁড়া হিন্দু খ্যাত সেন রাজবংশ দ্বারা বাঙলা অধিকৃত হওয়ার পর ধর্মান্তরিতকরণ, কৌলিন্য ও বর্ণ প্রথার প্রচলন,বাঙলার সাতটি গ্রামে ব্রাহ্মণ অভিবাসিতকরণের মত ইতিহাস পাওয়া যায় যা অনেকের কাছে প্রসংশনীয় আবার অনেকের কাছে অন্ধকার অধ্যায় বলে বিবেচিত।বাঙালি হিন্দুরা বহুবার নিজেদের পদবী পরিবর্তন করেছেন, কখনও পেশাভিত্তিক কারণে, কখনও ধর্মান্তর হওয়ার জন্য, কখনও বা তথাকথিত উচ্চ জাতির অংশ হিসেবে। গতানুগতিক ভাবে বাঙালি হিন্দুরা ব্রাহ্মণ, শূদ্র (সৎ ও অসৎ) ও অন্ত্যজ পর্যায়ে বিভক্ত, দক্ষিণ ভারতের মতো এখানেও বৈশ্য ও ক্ষত্রিয় বর্ণের অস্তিত্ব ঐতিহ্যগত ভাবে নেই। তাছাড়া ব্রিটিশ শাসন আমলে ভূ-স্বামীদের আলাদা পদবী প্রদান করতেও দেখা যায়। কর্মজীবি শ্রেণীর অন্তর্গত ব্যাক্তিদের মাঝেও নিজ নিজ কর্মানুসারে পদবী বিদ্যমান হিন্দু সমাজে।
কলকাতা বা কোলকাতা ([kolkata] ()), পূর্বনাম কলিকাতা, হল পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর এবং ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী। কলকাতা শহরটি হুগলি নদীর পূর্ব পাড়ে অবস্থিত। এই শহর পূর্ব ভারতের শিক্ষা, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির প্রধান কেন্দ্র। দক্ষিণ এশিয়ায় কলকাতা তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতির শহর। কলকাতা বন্দর ভারতের প্রাচীনতম সচল বন্দর তথা দেশের প্রধান নদী বন্দর। ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, কলকাতার জনসংখ্যা ৪,৪৯৬,৬৯৪। জনসংখ্যার হিসেবে এটি ভারতের ৭ম সর্বাধিক জনবহুল পৌর-এলাকা। অন্যদিকে বৃহত্তর কলকাতার জনসংখ্যা ১৪,১১২,৫৩৬। জনসংখ্যার হিসেবে বৃহত্তর কলকাতা ভারতের ৩য় সর্বাধিক জনবহুল মহানগরীয় অঞ্চল। বৃহত্তর কলকাতার সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সূচক (আনুমানিক)$২৬৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যবর্তী (ক্রয়ক্ষমতা সমতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জিডিপি অনুযায়ী)। এই সূচক অনুযায়ী ভারতে কলকাতার স্থান মুম্বই ও নতুন দিল্লির ঠিক পর তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতির শহর।সুতানুটি, ডিহি কলকাতা ও গোবিন্দপুর নামে তিনটি গ্রাম নিয়ে মূল কলকাতা শহরটি গড়ে ওঠে। সপ্তদশ শতাব্দীর শেষভাগ পর্যন্ত এই গ্রামগুলির শাসনকর্তা ছিলেন মুঘল সম্রাটের অধীনস্থ বাংলার নবাবেরা। ১৬৯০ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি নবাবের কাছ থেকে বাংলায় বাণিজ্য সনদ লাভ করে। এরপর কোম্পানি কলকাতায় একটি দুর্গবেষ্টিত বাণিজ্যকুঠি গড়ে তোলে। ১৭৫৬ সালে নবাব সিরাজউদ্দৌলা কলকাতা জয় করেছিলেন। কিন্তু পরের বছরই কোম্পানি আবার শহরটি দখল করে নেয়। এর কয়েক দশকের মধ্যেই কোম্পানি বাংলায় যথেষ্ট প্রতিপত্তি অর্জন করে এবং ১৭৯৩ সালে "নিজামত" বা স্থানীয় শাসনের অবলুপ্তি ঘটিয়ে এই অঞ্চলে পূর্ণ সার্বভৌমত্ব কায়েম করে। কোম্পানির শাসনকালে এবং ব্রিটিশ রাজশক্তির প্রত্যক্ষ শাসনকালের প্রথমার্ধ্বে কলকাতা ছিল ভারতের ব্রিটিশ-অধিকৃত অঞ্চলগুলির রাজধানী। উনবিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগ থেকেই কলকাতা ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্র। ১৯১১ সালে ভারতের মতো একটি বৃহৎ রাষ্ট্র শাসনে ভৌগোলিক অসুবিধার কথা চিন্তা করে এবং বেঙ্গল প্রেসিডেন্সিতে ক্রমবর্ধমান জাতীয়তাবাদী কার্যকলাপের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের রাজধানী স্থানান্তরিত হয় নতুন দিল্লিতে। স্বাধীনতার পর কলকাতা পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য রাজনীতির প্রাণকেন্দ্র হয়ে দাঁড়ায়। ব্রিটিশ আমলে কলকাতা ছিল আধুনিক ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থা, বিজ্ঞানচর্চা এবং সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনের প্রধান কেন্দ্র। কিন্তু স্বাধীনতার পরবর্তী দশকগুলিতে কলকাতা এক অর্থনৈতিক স্থবিরতার সম্মুখীন হয়।
মধ্যাকর্ষণের গুণাবলী বৃষ্টি একধরনের তরল, যা আকাশ থেকে মাধ্যাকর্ষণের টানে ভূপৃষ্ঠের দিকে পড়ে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে মেঘের সৃষ্টি করে। এই ফোঁটাগুলি যথেষ্ট পরিমাণে ভারি হলে তা পৃথিবীর বুকে ঝরে পড়ে - একেই বলে বৃষ্টি। বিশ্বের অধিকাংশ অঞ্চলে বৃষ্টি সুপেয় জলের বড় উৎস। বিচিত্র জৈবব্যবস্থাকে বাঁচিয়ে রাখতে, জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলি সচল রাখতে ও কৃষি সেচব্যবস্থা সচল রাখতে বৃষ্টির প্রয়োজন হয়। যদিও সকল প্রকার বৃষ্টি ভূপৃষ্ঠ অবধি পৌঁছায় না। শুকনো বাতাসের মধ্য দিয়ে পড়ার সময় কিছু বৃষ্টির বিন্দু শুকিয়ে যায়। ভারগা নামে পরিচিত এই বৈশিষ্ট্যটি শুষ্ক মরুভূমি অঞ্চলে দেখা যায়। বৃষ্টির এমইটিএআর কোড হল আরএ।
মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র (আইএএসটি: Mahāmṛtyuñjaya Mantra, অনু. মহান মৃত্যুঞ্জয়ী মন্ত্র) একটি সর্বরোগ হরণকারী মন্ত্র। এই মন্ত্রটি ভগবান মহাদেবকে স্মরণ করে রচিত। এই মন্ত্রটি ঋগ্বেদেও দৃষ্ট হয় আবার এই মন্ত্রটি মার্কণ্ডেয় পুরাণেও দৃষ্ট হয়। এই মন্ত্রটি জপ করলে মানুষ সব অশান্তি, রোগপীড়া ও ব্যাধি থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত হয়। নিরাকার মহাদেবই মৃত্যুমুখী প্রাণকে বলপূর্বক জীবদেহে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেন এবং অপার শান্তিদান করেন। এই মন্ত্রটির সাথে একটি কাহিনী প্রচলিত আছে। একসময় মহর্ষি মৃকন্ডু এবং তাঁর পত্নী মরুদবতী পুত্রহীন ছিলেন। তাঁরা তপস্যা করে মহাদেবকে সন্তুষ্ট করেন এবং এক পুত্র লাভ করেন যার নাম হলো মার্কণ্ডেয়। কিন্তু মার্কণ্ডেয়ের বাল্যকালেই মৃত্যুযোগ ছিল। অভিজ্ঞ ঋষিদের কথায় বালক মার্কণ্ডেয় শিবলিঙ্গের সামনে মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ করতে লাগলেন। যথা সময়ে যমরাজ এলেন। কিন্তু মহাদেবের শরণে আসা প্রাণকে কেই বা হরণ করতে পারে!
হিজরি বর্ষপঞ্জি (আরবি: ٱلتَّقْوِيم ٱلْهِجْرِيّ আত-তাকউইম আল-হিজরি), যা চান্দ্র হিজরি বর্ষপঞ্জি ও (ইংরেজিতে) ইসলামি, মুসলিম বা আরবীয় বর্ষপঞ্জি নামেও পরিচিত, হলো একটি চন্দ্র নির্ভর বর্ষপঞ্জি যার এক বছর ৩৫৪ বা ৩৫৫ দিন বিশিষ্ট ১২টি চান্দ্র মাস নিয়ে গঠিত। এই বর্ষপঞ্জি ইসলামি ছুটির দিন ও অনুষ্ঠানের সঠিক দিবস নির্ধারণ করতে ব্যবহৃত হয়, যেমন বার্ষিক রোজা রাখার সময়কাল ও হজ্জ করার সঠিক তারিখ। প্রায় সব মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলো যেখানে সাধারণ বর্ষপঞ্জি হিসেবে গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি ব্যবহার হয়, অন্যদিকে পূর্ব-ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল ও মেসোপটেমিয়ায় (ইরাক, সিরিয়া, জর্ডান, লেবানন ও ফিলিস্তিন) সিরীয় মাসের নাম সমেত গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি ব্যবহৃত হয়।
শিব (সংস্কৃত: शिव [ɕɪʋɐ], সংস্কৃত: शिवः, আইএএসটি: Śiva, আইএসও: Śiva, ), হলেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্বোচ্চ দেবতা। সনাতন ধর্মের শাস্ত্রসমূহে তিনি পরমসত্ত্বা রূপে ঘোষিত। শিব সৃষ্টি-স্থিতি-প্রলয়রূপ তিন কারণের কারণ। তিনি সমসাময়িক হিন্দুধর্মের তিনটি সর্বাধিক প্রাচীন সম্প্রদায়ের অন্যতম শৈব সম্প্রদায়ের প্রধান দেবতা। এছাড়া শিব স্মার্ত সম্প্রদায়ে পূজিত ঈশ্বরের পাঁচটি প্রধান রূপের (গণেশ, শিব, সূর্য, বিষ্ণু ও দুর্গা) একটি রূপ। তার বিশেষ রুদ্ররূপ ধ্বংস, সংহার ও প্রলয়ের দেবতা।সর্বোচ্চ স্তরে শিবকে সর্বোৎকর্ষ, অপরিবর্তনশীল পরম ব্রহ্ম মনে করা হয়। ব্রহ্ম স্বরূপে পরমাত্মা শিব বিন্দুর ন্যায় অর্থাৎ নিরাকার,এই অবস্থায় শিবকে কল্পনাও করা যায়না,তিনি কালচক্র ও সংসারের সকল গুণ-অগুণ এর উর্দ্ধে। শিবের অনেকগুলি সদাশয় ও ভয়ঙ্কর মূর্তিও আছে। সদাশয় রূপে তিনি একজন সর্বজ্ঞ যোগী। তিনি কৈলাস পর্বতে সন্ন্যাসীর জীবন যাপন করেন। আবার গৃহস্থ রূপে তিনি পার্বতীর স্বামী। তার দুই পুত্র বর্তমান। এঁরা হলেন গণেশ ও কার্তিক। ভয়ঙ্কর রূপে তাকে প্রায়শই দৈত্যবিনাশী বলে বর্ণনা করা হয়। শিবকে যোগ, ধ্যান ও শিল্পকলার দেবতাও মনে করা হয়। এছাড়াও তিনি চিকিৎসা বিদ্যা ও কৃষিবিদ্যারও আবিষ্কারক।শিবমূর্তির প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল তাঁর তৃতীয় নয়ন, গলায় বাসুকী নাগ, জটায় অর্ধচন্দ্র, জটার উপর থেকে প্রবাহিত গঙ্গা, অস্ত্র ত্রিশূল ও বাদ্য ডমরু। শিবকে সাধারণত ‘শিবলিঙ্গ’ নামক বিমূর্ত প্রতীকে পূজা করা হয়।
পায়ুসঙ্গম বা পায়ুকাম হচ্ছে সাধারণত যৌন-আনন্দ লাভের জন্য উত্থিত শিশ্ন কোনো ব্যক্তির পায়ুপথে প্রবেশকরণ ও সঞ্চালনাকরণ। পায়ুসম্পর্কিত অন্যান্য যৌনক্রিয়াগুলোর মধ্যে রয়েছে পায়ুপথে অঙ্গুলিসঞ্চালন, পায়ুপথে কৃত্রিম শিশ্ন ঢোকানোসহ পায়ুলেহন এবং পেগিং। যদিও পায়ুসঙ্গম বলতে প্রধানত পায়ুপথে শিশ্ন প্রবিষ্টকরণকেই বোঝানো হয়, এবং পায়ুকাম শব্দটিও মূলত অনুরূপ ক্রিয়া বোঝাতেই ব্যবহৃত হয়ে থাকে তবে আবার পায়ুকাম শব্দটি পায়ুদ্বারসম্পর্কিত অন্যান্য যৌনক্রিয়া বোঝাতেও ব্যবহৃত হতে পারে শুধু 'স্বপায়ুমেহন' (পায়ুপথে নিজ অঙ্গুলি প্রবেশ) ক্রিয়া ব্যতীত কারণ এটি হস্তমৈথুনের কাতারে পড়ে কিংবা এটাকে স্বপায়ুকামও বলা হতে পারে।পায়ুসঙ্গম সাধারণত পুরুষ-পুরুষ যৌনসংসর্গের জন্য সুপরিচিত যদিও বিষমকামিতায়ও পায়ুসঙ্গম প্রচলিত। নারী-নারী যৌনসংসর্গেও পায়ুসঙ্গম বন্ধনীযুক্ত কৃত্রিম শিশ্ন দ্বারা করা হয়। যার পায়ুপথে শিশ্ন প্রবেশ করানো হবে তিনি তার পায়ুর স্নায়ুতন্ত্রের কারণে ব্যথা বা কষ্ট পেতে পারেন আবার আনন্দও পেতে পারেন, পুরুষের পায়ুপথে যৌনানন্দ আসতে পারে তাদের প্রোস্টেটের পরোক্ষ উদ্দীপনার মাধ্যমে আর একজন নারীর পায়ুতে যৌনানন্দ আসতে পারে তার ভগাঙ্কুর বা যোনিপথের কোনো একটা জায়গা (জি-স্পট) এর পরোক্ষ উদ্দীপনার মাধ্যমে, এছাড়াও নারীদের আরো সংবেদী স্নায়ুর কারণেও আনন্দ আসতে পারে তবে এসব আনন্দ কারো পায়ুতেই স্থায়ী হয়না। যদিও, পায়ুসঙ্গম অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পায়ুতে ব্যথাদায়ক, কখনো কখনো এই ব্যথা তীব্রও হতে পারে এবং চিকিৎসকরাও পায়ুপথে শিশ্নের প্রবেশকে পায়ুপথের জন্য ব্যথা প্রদায়ক এবং ক্ষতিকারক হিসেবে অভিহিত করে থাকেন।অন্য সব যৌনক্রিয়ার চেয়ে পায়ুসঙ্গমে যৌনবাহিত রোগ হবার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে, পায়ুসঙ্গমকে অন্যান্য যৌনক্রিয়ার তুলনায় সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ যৌনক্রিয়া বলা হয়; প্রাকৃতিক ভাবেই পায়ুপথ শিশ্ন প্রবেশের জন্য উপযুক্ত পথ নয় কারণ পায়ুপথ প্রাকৃতিক ভাবে যৌনাঙ্গ নয় আর এই জন্যেই পায়ুপথে শিশ্নের প্রবেশ পায়ুপথের ক্ষতি ডেকে আনে। পায়ুপথে যোনিপথের মত প্রাকৃতিক পিচ্ছিলতা থাকেনা। পায়ুপথে শিশ্নের প্রবেশের ফলে পায়ুপথের টিস্যু সহজে ছিঁড়ে যায়, বিশেষ করে তখন যখন পায়ুকাম করার সময় পায়ুপথে লুব্রিক্যান্ট ব্যবহার করা না হয় যদিও লুব্রিক্যান্ট ব্যবহার করলেও পায়ুপথের টিস্যু যে ছিঁড়ে যাবেনা এরকমটা নিশ্চয়তা দিয়ে বলা যায়না। যিনি শিশ্ন প্রবেশ করান তার ক্ষেত্রে শিশ্নে কনডম পরিধান ছাড়া পায়ুপথে শিশ্ন প্রবেশ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়, এবং সেইজন্যে স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থাসমূহ যেমন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পায়ুসঙ্গম করার ক্ষেত্রে নিরাপদ যৌনতা অবলম্বন করতে বলে। যদিও যার পায়ুতে শিশ্ন প্রবেশ করানো হয় তার পায়ুর ক্ষতি এড়ানো যায়না; পায়ুসঙ্গমের ফলে পায়ুতে অর্শরোগ হয় এবং পায়ুসঙ্গমের ক্ষেত্রে পায়ুপথের অভ্যন্তরে শিশ্ন প্রবেশের পর সঞ্চালনাকরণের ফলে পায়ুপথে ক্ষত হয়ে যায় এবং এতে পায়ুপথের অভ্যন্তরে ঘা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাছাড়া হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (বা সংক্ষেপে এইচপিভি) পায়ুপথে শিশ্নের প্রবেশের ফলে পায়ুপথের ভেতরে বাসা বাঁধে এবং এতে মানুষের পায়ুপথে ক্যান্সার হয়।পায়ুসঙ্গম সম্পর্কে প্রায়শই শক্ত মতবাদ প্রকাশ করা হয়। বিভিন্ন সংস্কৃতিতে এটি বিতর্কিত বিশেষ করে ধর্মীয় আইনসমূহে। এটা সাধারণত এই কারণে যে পায়ুসঙ্গম বলতে সাধারণত দুইজন পুরুষের যৌনসঙ্গম বোঝায় এবং যৌনতার মূল অর্থ যেখানে শুধুই 'বাচ্চা জন্মদান' এর জন্য - এরকমটা শেখানো হয়। এটাকে ট্যাবু বা অপ্রাকৃতিক বলা হতে পারে, এবং কিছু কিছু রাষ্ট্রে আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ, যেখানে নিতম্বে বেত্রাঘাত কিংবা মৃত্যুদণ্ডের মত বড় ধরনের শাস্তিও দেওয়া হতে পারে। অনেক মানুষ পায়ুসঙ্গমকে প্রাকৃতিক এবং যৌনমিলনের অন্যতম একটি আনন্দদায়ক মাধ্যম হিসেবে মনে করেন যদিও যার পায়ুতে শিশ্ন প্রবেশ করানো হয় তিনি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পায়ুতে আনন্দ অনুভব করেন না। অনেকেই পায়ুকামকে তাদের যৌনজীবনের একটি বর্ধিত অংশ হিসেবেও মনে করেন।
রেয়াল মাদ্রিদ ক্লুব দে ফুতবল (স্পেনীয় উচ্চারণ: [reˈal maˈðɾið ˈkluβ ðe ˈfuðβol]; "রয়্যাল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব") হচ্ছে একটি স্পেনীয় পেশাদার ফুটবল ক্লাব, যেটি রিয়াল মাদ্রিদ নামে অধিক পরিচিত এবং এটিকে সংক্ষিপ্তভাবে শুধুমাত্র রিয়াল বলা হয়। স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে এই ক্লাবটির অবস্থান। এটি বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে সফল ক্লাব। এই ক্লাবের একটি সফল বাস্কেটবল শাখা রয়েছে। সাদা টি-শার্ট ও শর্টস এবং নীল মোজা হচ্ছে এই ক্লাবের প্রধান পোশাক।
হস্তমৈথুন বা স্বমেহন একরূপ যৌনক্রিয়া যাতে একজন ব্যক্তি কোনো সঙ্গী বা সঙ্গিনীর অংশগ্রহণ ব্যতিরেকেই যৌনসুখ অর্জনের চেষ্টা করে। আত্মমৈথুন ও স্বকাম এর সমার্থক শব্দ। এ যৌনক্রিয়ায় প্রধানত আঙ্গুল তথা হাতের সাহায্যে পুরুষ তার লিঙ্গ এবং নারী তার যোনী ঘর্ষণ করে বলে একে সচরাচর “হস্তমৈথুন” হিসেবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে।
নীলপূজা বা নীলষষ্ঠী হল সনাতন বঙ্গীয় দের এক লোকোৎসব, যা মূলত নীল-নীলাবতী নামে (শিব-দুর্গা)এর বিবাহ উৎসব। বাঙ্গালী গৃহিণীরা নিজের সন্তান এর মঙ্গল কামনায় নীরোগ সুস্থ জীবন কামনা করে নীলষষ্ঠী ব্রত পালন করে সাধারণত চৈত্রসংক্রান্তির চড়ক উৎসবের আগের দিন নীলপূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। নীলসন্ন্যাসীরা ও শিব-দুর্গার সঙেরা পূজার সময়ে নীলকে সুসজ্জিত করে গীতিবাদ্য সহযোগে বাড়ি বাড়ি ঘোরান এবং ভিক্ষা সংগ্রহ করেন। নীলের গানকে বলা হয় অষ্টক গান।
মুহাম্মাদের স্ত্রীগণ ছিলেন ইসলামের নবী মুহাম্মাদের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া মহিলারা। মুসলিমরা মুহাম্মাদের স্ত্রীগণের আগে বা পরে সম্মানার্থে "উম্মাহাতুল মুমিনীন" শব্দটি ব্যবহার করে, যার অর্থ "বিশ্বাসীগণের মাতা" বা "মুমিনদের মাতা"। এই শব্দটি কুরআন থেকে উদ্ভূত।সর্বাধিক স্বীকৃত ঐতিহ্য অনুযায়ী, মুহাম্মাদ ২৫ বছর বয়সে তার প্রথম স্ত্রী খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সে সময় খাদিজার বয়স ছিলো ৪০ বছর। তিনি তাঁর সাথে ২৫ বছর সংসার করেছিলেন। খাদিজাকে বিয়ের পনের বছর পর (আনু.
মানব পুরুষাঙ্গের আকার উত্থিত বা শিথিল অবস্থায় দৈর্ঘ্যে এবং পরিধিতে অনেক পরিবর্তনশীল। পাশাপাশি কিছু কিছু নিয়ামক পুরুষাঙ্গের আকারের এই পরিবর্তনশীলতার উপর কিছুটা প্রভাব ফেলে; যেমনঃ উত্থানের মাত্রা, সময়ের তারতম্য, কক্ষের তাপমাত্রা, মানসিক উদ্বেগের পরিমাণ, খেলাধুলার পরিমাণ, যৌনসঙ্গমের হার। মানুষের পুরুষাঙ্গের আকার অন্য প্রাইমেটদের (উদাহরণ হিসেবে গরিলার কথা-ই ধরা যাক) তুলনায় সবচেয়ে মোটা, তা উভয়ের মধ্যে শুধু পুরুষাঙ্গের বিচারে হোক বা শরীরের আপেক্ষিক আকারের তুলনায় পুরুষাঙ্গের বিচারে হোক।
পৃথিবী সূর্য থেকে দূরত্ব অনুযায়ী তৃতীয়, সর্বাপেক্ষা অধিক ঘনত্বযুক্ত এবং সৌরজগতের আটটি গ্রহের মধ্যে পঞ্চম বৃহত্তম গ্রহ। সূর্য হতে এটির দূরত্ব প্রায় ১৫ কোটি কি.মি।এটি সৌরজগতের চারটি কঠিন গ্রহের অন্যতম। পৃথিবীর অপর নাম "বিশ্ব" বা "নীলগ্রহ"। ইংরেজি ভাষায় পরিচিত আর্থ (Earth) নামে, গ্রিক ভাষায় পরিচিত গাইয়া (Γαῖα) নামে, লাতিন ভাষায় এই গ্রহের নাম "টেরা (Terra)।
ম্যানচেস্টার সিটি ফুটবল ক্লাব (ইংরেজি: Manchester City F.C.; সাধারণত ম্যানচেস্টার সিটি এফসি এবং সংক্ষেপে ম্যানচেস্টার সিটি নামে পরিচিত) হচ্ছে ম্যানচেস্টার ভিত্তিক একটি ইংরেজ পেশাদার ফুটবল ক্লাব। এই ক্লাবটি বর্তমানে ইংল্যান্ডের শীর্ষ স্তরের ফুটবল লিগ প্রিমিয়ার লিগে প্রতিযোগিতা করে। এই ক্লাবটি ১৮৮০ সালে সেন্ট মার্ক'স নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ৫৩,৪০০ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট সিটি অব ম্যানচেস্টার স্টেডিয়ামে দ্য সিটিজেনস নামে পরিচিত ক্লাবটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। বর্তমানে এই ক্লাবের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন স্পেনীয় সাবেক ফুটবল খেলোয়াড় পেপ গার্দিওলা এবং সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন খালদুন আল মুবারক। বর্তমানে ইংরেজ রক্ষণভাগের খেলোয়াড় কাইল ওয়াকার এই ক্লাবের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। ম্যানচেস্টার সিটি হচ্ছে প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন, যারা ২০২২–২৩ মৌসুমে ক্লাবের ইতিহাসে ৭ম বারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছিল।
পদ্মা সেতু বা পদ্মা বহুমুখী সেতু হচ্ছে বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উপর নির্মিত একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। এর মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের সাথে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলা যুক্ত হয়েছে। সেতুটি ২০২২ সালের ২৫ জুন উদ্বোধন করা হয়। এই দিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে মাওয়া প্রান্ত দিয়ে টোল প্রদান করে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুতে আরোহণ করেন এবং এর মাধ্যমে সেতুটি উন্মুক্ত করা হয়।পদ্মা সেতুটি বাংলাদেশ সম্পূর্ণ নিজের অর্থে তৈরি করেছে। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং নির্মাণ প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত। দুই স্তর বিশিষ্ট ইস্পাত ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাসের এই সেতুর উপরের স্তরে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরে একটি একক রেলপথ রয়েছে। পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় তৈরি সেতুটি ৪১টি স্প্যান নিয়ে গঠিত, প্রতিটি স্প্যান লম্বায় ১৫০.১২ মিটার (৪৯২.৫ ফুট) এবং চওড়ায় ২২.৫ মিটার (৭৪ ফুট)। সেতুটির মোট দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিমি (৩.৮২ মাইল)। এটি বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু, স্প্যান সংখ্যা ও মোট দৈর্ঘ্য উভয়ের দিক থেকে গঙ্গা নদীর উপর নির্মিত দীর্ঘতম সেতু এবং ১২৮ মিটার (৪২০ ফুট) গভীরতাযুক্ত বিশ্বের গভীরতম পাইলের সেতু।সেতুটি চালু হওয়ার পর বাংলাদেশের জিডিপি ১.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (২৬ সেপ্টেম্বর ১৮২০ – ২৯ জুলাই ১৮৯১; ১২ আশ্বিন ১২২৭ – ১৩ শ্রাবণ ১২৯৭ বঙ্গাব্দ) ঊনবিংশ শতকের একজন বিশিষ্ট বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও গদ্যকার ছিলেন। সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে অগাধ পাণ্ডিত্যের জন্য সংস্কৃত কলেজ থেকে ১৮৩৯ সালে তিনি বিদ্যাসাগর উপাধি লাভ করেন। সংস্কৃত ছাড়াও বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় বিশেষ ব্যুৎপত্তি ছিল তার। তিনিই প্রথম বাংলা লিপি সংস্কার করে তাকে যুক্তিবহ ও সহজপাঠ্য করে তোলেন। বাংলা গদ্যের প্রথম সার্থক রূপকার তিনিই। তাকে বাংলা গদ্যের প্রথম শিল্পী বলে অভিহিত করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি রচনা করেছেন যুগান্তকারী শিশুপাঠ্য বর্ণপরিচয়-সহ একাধিক পাঠ্যপুস্তক, সংস্কৃত ব্যাকরণ গ্রন্থ। সংস্কৃত, হিন্দি ও ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ সাহিত্য ও জ্ঞানবিজ্ঞান সংক্রান্ত বহু রচনা। নারীমুক্তির আন্দোলনেও তার অবদান উল্লেখযোগ্য।
বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ
বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ ( স.: বেফাক ) হলো বাংলাদেশের কওমি মাদরাসাসমূহের সবচেয়ে বৃহত্তম বোর্ড, যা বাংলাদেশ কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড নামেও পরিচিত। বেফাক ছাড়াও বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসাসমূহের আরো ৫টি শিক্ষা বোর্ড আছে। বেফাক তার নিবন্ধিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠ্যসূচি প্রণয়ন, উন্নয়ন, স্তরভেদে পরীক্ষা গ্রহণ এবং সনদ প্রদানের কাজ করে। ২০১২ খ্রিস্টাব্দের রিপোর্ট অনুযায়ী, বেফাকের অধীনে সারাদেশে ২০ হাজারেরও অধিক কওমি মাদরাসা রয়েছে। ১৯৭৮ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত বেফাকের অফিস ছিল জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলূম ফরিদাবাদ, ঢাকা। ১৯৯৪ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত ছিল নয়া পল্টন, ঢাকা-১০০০। সবশেষে ২০০৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা–১২০৪ এর যাত্রাবাড়ি, কাজলায় ( ভাঙ্গা প্রেস ) জায়গা ক্রয় করে বেফাকের বর্তমান কার্যালয় স্থাপন করা হয়।
বাংলাদেশের ব্যাংকসমূহের তালিকা
বাংলাদেশের ব্যাংকসমূহের তালিকা হচ্ছে বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা করে এমন ব্যাংকসমূহের একটি তালিকা। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হলো বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশের ব্যাংকসমূহকে মূলত দুই শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে; তালিকাভুক্ত বা তফসিলি ও অ-তালিকাভুক্ত বা অ-তফসিলি ব্যাংক। ৬টি রাষ্ট্রায়ত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংক, ৪৩টি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক, ৩টি বিশেষায়িত ব্যাংক ও ৯টি বিদেশি ব্যাংকসহ বাংলাদেশে মোট তালিকাভুক্ত ব্যাংকের সংখ্যা ৬১টি এবং অ-তালিকাভুক্ত ব্যাংকের সংখ্যা ৫টি। প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশই সামাজিক ব্যবসার ধারণায় প্রতিষ্ঠিত হয় গ্রামীণ ব্যাংক নামক ক্ষুদ্রঋণ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান, যা একটি বিশেষায়িত অ-তালিকাভুক্ত ব্যাংক হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ২০০৬ সালে দারিদ্র বিমোচনে অবদান রাখায় গ্রামীণ ব্যাংক এবং মুহাম্মদ ইউনূস যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
নামাজ বা নামায (ফার্সি: نماز) বা সালাত বা সালাহ (আরবি: صلاة) ইসলাম ধর্মের একটি দৈনিক নিয়মিত ইবাদত। একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে নামাজ আদায় করতে হয় যা কুরআন ও হাদিসে বর্ণিত আছে। এটি মুসলমানদের জন্য প্রতিদিন অবশ্যকরণীয় একটি ধর্মীয় কাজ। তবে প্রতিদিন আবশ্যকরণীয় বা ফরজ ছাড়াও বিবিধ নামাজ রয়েছে যা সময়ভিত্তিক বা বিষয়ভিত্তিক। ইসলামে ইচ্ছাকৃত ফরজ নামাজ না পড়া কবিরা গুনাহ বা বড় পাপ।সালাত একটি সুনির্দিষ্ট প্রকৃতির ইবাদত যার পদ্ধতি ‘ইসলামী শরী‘আতে পরিপূর্ণভাবে বর্ণিত হয়েছে। নামাজ ‘তাকবিরে তাহরিমা’ দ্বারা শুরু হয় ও ‘সালাম ফিরানো’ দ্বারা শেষ হয়’।নামাজ (সালাত) ইসলামের পাঁচটি রোকনের মধ্যে দ্বিতীয় রোকন৷ নামাজ প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক ও বুদ্ধি-জ্ঞান সম্পন্ন, নারী পুরুষ নির্বিশেষে, প্রতিটি মুসলিমের জন্য ফরজ বা অবশ্যকরণীয়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ হল ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানে সংঘটিত একটি বিপ্লব ও সশস্ত্র সংগ্রাম। পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি জাতীয়তাবাদের উত্থান ও স্বাধিকার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় এবং বাঙালি গণহত্যার প্রেক্ষিতে এই জনযুদ্ধ সংঘটিত হয়। যুদ্ধের ফলে স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। পশ্চিম পাকিস্তান-কেন্দ্রিক সামরিক জান্তা সরকার ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৫শে মার্চ রাতে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের বিরুদ্ধে অপারেশন সার্চলাইট পরিচালনা করে এবং নিয়মতান্ত্রিক গণহত্যা শুরু করে। এর মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী সাধারণ বাঙালি নাগরিক, ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং পুলিশ ও ইপিআর কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়। সামরিক জান্তা সরকার ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফলকে অস্বীকার করে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ই ডিসেম্বর পশ্চিম পাকিস্তানের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনের পর অচলাবস্থার প্রেক্ষিতে গণবিদ্রোহ দমনে পূর্ব পাকিস্তানব্যাপী শহর ও গ্রামাঞ্চলে ব্যাপক সামরিক অভিযান ও বিমানযুদ্ধ সংঘটিত হয়। পাকিস্তান সেনাবাহিনী অধিকাংশ ইসলামি দলগুলোর সমর্থন লাভ করে। সেনাবাহিনীর অভিযানে সহায়তার জন্য তারা বিভিন্ন দলের লোকজন বিশেষ করে পাকিস্তান সমর্থনকারী ইসলামী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী নিয়ে আধা-সামরিক বাহিনী— রাজাকার, আল বদর ও আল শামস বাহিনী গঠন করে। পূর্ব পাকিস্তানের উর্দু-ভাষী বিহারিরাও সেনাবাহিনীকে সমর্থন করে। পাকিস্তানি সৈন্য ও তাদের সহায়তাকারী আধা-সামরিক বাহিনী কর্তৃক গণহত্যা, উচ্ছেদ ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। রাজধানী ঢাকায় অপারেশন সার্চলাইট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহত্যাসহ একাধিক গণহত্যা সংঘটিত হয়। প্রায় এক কোটি বাঙালি শরণার্থী হিসেবে ভারতে আশ্রয় নেয় এবং আরও তিন কোটি মানুষ দেশের অভ্যন্তরে উদ্বাস্তু হয়। বাঙালি ও উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীর মধ্যে দাঙ্গার সূত্রপাত হয়। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংসতাকে বুদ্ধিজীবীরা গণহত্যা হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকেন। বাঙালি সামরিক, আধা-সামরিক ও বেসামরিক নাগরিকদের সমন্বয়ে গঠিত মুক্তিবাহিনী চট্টগ্রাম থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র প্রচার করে। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস প্রাথমিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জেনারেল এম. এ. জি.
হিন্দুধর্ম ভারতীয় উপমহাদেশীয় ধর্ম বা জীবনধারা। এটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম ধর্ম, যার অনুসারী সংখ্যা ১২০ কোটিরও বেশি, বা বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যার ১৫-১৬%, যারা হিন্দু নামে পরিচিত। হিন্দু শব্দটি একটি উচ্ছসিত, এবং হিন্দুধর্মকে বিশ্বের প্রাচীনতম জীবিত ধর্ম হিসেবে দেখা হয়। অনেক অনুশীলনকারীই তাদের ধর্মকে সনাতন ধর্ম বা চিরন্তন পন্থা হিসাবে উল্লেখ করেন, যেমনটি হিন্দু ধর্মগ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছে, যার দ্বারা এর উৎস মানব ইতিহাসের বাইরে, এমন ধারণা বুঝানো হয়। এ ধর্মের মূলে বেদ হওয়ায় এটি ‘বৈদিক ধর্ম’ নামেও পরিচিত।হিন্দুধর্ম হল বিভিন্ন দর্শন এবং ভাগ করা ধারণা, আচার, বিশ্বতাত্ত্বিক ব্যবস্থা, তীর্থস্থান এবং ভাগ করা পাঠ্য উৎস দ্বারা চিহ্নিত একটি বৈচিত্র্যময় চিন্তাধারা যা ধর্মতত্ত্ব, অধিবিদ্যা, পুরাণ, বৈদিক যজ্ঞ, যোগব্যায়াম, আগমিক আচার এবং মন্দির নির্মাণ নিয়ে আলোচনা করে। ধর্মীয় আচারগুলো মূলত ধর্ম (নৈতিকতা), অর্থ (সমৃদ্ধি), কাম (আকাঙ্খা) ও মোক্ষ (ঈশ্বর প্রাপ্তি) এই চারটি অর্জনের লক্ষ্যে পালন করা হয়, যাকে একসাথে বলা হয় পুরুষার্থ; সেইসাথে আছে কর্ম এবং সংসার (মৃত্যু ও পুনর্জন্মের চক্র)। যজ্ঞ, ধ্যান, পূজা, কীর্তন, ইষ্টনাম জপ, তীর্থযাত্রা প্রভৃতি আচার অনুষ্ঠানের পাশাপাশি দয়া, সংযম, ধৈর্য, প্রাণীর প্রতি অহিংসা ইত্যাদি চিরন্তন নৈতিক জীবনাচরণের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়। বাহ্যিক আচরণ পালন অপেক্ষা মোক্ষ প্রাপ্তির উপায়কে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়ে, যা অর্জনের জন্য কেউ কেউ জাগতিক বস্তুগত সম্পদ ত্যাগ করে সন্ন্যাস জীবন গ্রহণ করে থাকে।হিন্দু ধর্মগ্রন্থগুলো শ্রুতি ("শোনা") এবং স্মৃতি ("স্মরণীয়") প্রধানত দুটি ভাগে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। বেদ, উপনিষদ্, পুরাণ, মহাভারত, রামায়ণ, শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা প্রভৃতি এর মাঝে অন্তর্ভুক্ত, যার মধ্যে বেদ হচ্ছে সর্বপ্রধান, সর্বপ্রাচীন ও সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ধর্মগ্রন্থ। আবার ছয়টি আস্তিক দর্শন রয়েছে যা বেদের স্বীকৃতি দেয়। যথা: সাংখ্য, যোগ, ন্যায়, বৈশেষিক, মীমাংসা এবং ব্রহ্মসূত্র। যদিও পুরাণকাল বিদ্যাশাস্ত্র হাজার বছরের একটি বংশানুক্রমিক উপস্থাপন করে, বৈদিক ঋষিদের থেকে শুরু করে, পণ্ডিতরা হিন্দুধর্মকে বিভিন্ন ভারতীয় সংস্কৃতির সাথে ব্রহ্মতান্ত্রিক অর্থোফ্রাক্সির সংমিশ্রণ বা সংশ্লেষণ হিসাবে বিবেচনা করেন, যার বিভিন্ন শিকড় রয়েছে এবং কোনও নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠাতা নেই। এই হিন্দু সংশ্লেষণ বৈদিক যুগের পরে উদ্ভূত হয়, আনু. ৫০০-২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ এবং আনু.