The most-visited বাংলা Wikipedia articles, updated daily. Learn more...
মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র (আইএএসটি: Mahāmṛtyuñjaya Mantra, অনু. মহান মৃত্যুঞ্জয়ী মন্ত্র) একটি সর্বরোগ হরণকারী মন্ত্র। এই মন্ত্রটি ভগবান মহাদেবকে স্মরণ করে রচিত। এই মন্ত্রটি ঋগ্বেদেও দৃষ্ট হয় আবার এই মন্ত্রটি মার্কণ্ডেয় পুরাণেও দৃষ্ট হয়। এই মন্ত্রটি জপ করলে মানুষ সব অশান্তি, রোগপীড়া ও ব্যাধি থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত হয়। নিরাকার মহাদেবই মৃত্যুমুখী প্রাণকে বলপূর্বক জীবদেহে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেন এবং অপার শান্তিদান করেন। এই মন্ত্রটির সাথে একটি কাহিনী প্রচলিত আছে। একসময় মহর্ষি মৃকন্ডু এবং তাঁর পত্নী মরুদবতী পুত্রহীন ছিলেন। তাঁরা তপস্যা করে মহাদেবকে সন্তুষ্ট করেন এবং এক পুত্র লাভ করেন যার নাম হলো মার্কণ্ডেয়। কিন্তু মার্কণ্ডেয়ের বাল্যকালেই মৃত্যুযোগ ছিল। অভিজ্ঞ ঋষিদের কথায় বালক মার্কণ্ডেয় শিবলিঙ্গের সামনে মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ করতে লাগলেন। যথা সময়ে যমরাজ এলেন। কিন্তু মহাদেবের শরণে আসা প্রাণকে কেই বা হরণ করতে পারে!
ভারতের জাতীয় পতাকা হল কেন্দ্রস্থলে ২৪টি দণ্ডযুক্ত ঘন নীল রঙের অশোকচক্র সংবলিত ভারতীয় গেরুয়া, সাদা ও ভারতীয় সবুজ এই তিন রঙের একটি আনুভূমিক আয়তাকার পতাকা। ১৯৪৭ সালের ২২ জুলাই আয়োজিত গণপরিষদের একটি অধিবেশনে পতাকার বর্তমান নকশাটি গৃহীত হয় এবং সেই বছর ১৫ অগস্ট এটি ভারত অধিরাজ্যের সরকারি পতাকার স্বীকৃতি লাভ করে । এরপরে এটি ভারতীয় প্রজাতন্ত্রেও জাতীয় পতাকার স্বীকৃতি বজায় রাখে। ভারতে এটিকে "তিরঙ্গা" নামে অভিহিত করা হয়। পতাকাটির নকশা প্রস্তুত করা হয়েছিল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া কৃত "স্বরাজ" পতাকার আদলে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (৭ মে ১৮৬১ – ৭ আগস্ট ১৯৪১; ২৫ বৈশাখ ১২৬৮ – ২২ শ্রাবণ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ) ছিলেন একাধারে বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক। তাকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়। রবীন্দ্রনাথকে “গুরুদেব”, “কবিগুরু” ও “বিশ্বকবি” অভিধায় ভূষিত করা হয়। রবীন্দ্রনাথের ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস ও ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসংকলন তার জীবদ্দশায় বা মৃত্যুর অব্যবহিত পরে প্রকাশিত হয়। তার সর্বমোট ৯৫টি ছোটগল্প ও ১৯১৫টি গান যথাক্রমে গল্পগুচ্ছ ও গীতবিতান সংকলনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় প্রকাশিত ও গ্রন্থাকারে অপ্রকাশিত রচনা ৩২ খণ্ডে রবীন্দ্র রচনাবলী নামে প্রকাশিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় পত্রসাহিত্য উনিশ খণ্ডে চিঠিপত্র ও চারটি পৃথক গ্রন্থে প্রকাশিত। এছাড়া তিনি প্রায় দুই হাজার ছবি এঁকেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের রচনা বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য তিনি প্রথম অ-ইউরোপীয় এবং প্রথম এশীয় হিসেবে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হন।
২০২৪-এ বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন
২০২৪-এর কোটা সংস্কার আন্দোলন হলো বাংলাদেশে সব ধরনের সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোটার ভিত্তিতে নিয়োগের প্রচলিত ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে সংগঠিত একটি আন্দোলন। ২০২৪ সালের ৫ জুন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ বাতিল করে সরকার কর্তৃক জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করার পর কোটা পদ্ধতির সংস্কার আন্দোলন ২০২৪ সালে নতুনভাবে আলোচনায় আসে। ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত পরিপত্রটি জারি করা হয়েছিল। শুরুতে আন্দোলন সভা-সমাবেশের মধ্যে স্থির থাকলেও ১৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার এক বক্তব্যে কোটা আন্দোলনকারীদের “রাজাকারের নাতি-পুতি” হিসেবে অভিহিত করেন, প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া হিসেবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ব্যাঙ্গ করে “তুমি কে? আমি কে? রাজাকার, রাজাকার; কে বলেছে?
ওঁ নমঃ শিবায় () সংস্কৃত: Brahmi: 𑀑𑀫𑁆 𑀦𑀫𑀂 𑀰𑀺𑀩𑀸𑀬, Devnagari: ॐ नमः शिवाय, কন্নড়: ಓಂ ನಮಃ ಶಿವಾಯ, তামিল: திருவைந்தெழுத்து, মারাঠি: ॐ नमः शिवाय, মালায়ালাম: ഓം നമഃ ശിവായ, পাঞ্জাবি: ਓਮ ਨਮਃ ਸ਼ਿਵਾਯ, তেলুগু: శివ పంచాక్షరీ మంత్రము, থাই: โอม นมัส ศิวายะ হলো হিন্দুধর্মের জনপ্রিয় মন্ত্র, এবং শৈবধর্মের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মহামন্ত্র। "নমঃ শিবায় অর্থ" "পরমেশ্বর কে নমস্কার", বা "পরমেশ্বর শিবকে নমস্কার"।
শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায় (শ্রীরাধা ব্যানার্জি) হলেন একজন ভারতীয় বাঙালি গায়িকা। তিনি পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। তিনি বিশেষত রবীন্দ্রসঙ্গীতে তাঁর দক্ষতার জন্য পরিচিত। পশ্চিমবঙ্গের একটি সঙ্গীতপ্রেমী পরিবারে জন্মগ্রহণকারী শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতা হলেন সুন্দর নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মাতা প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রীরাধার বড় বোন রূপরেখা এবং ছোট বোন রাজশ্রীও প্রতিভাবান গায়িকা।
বাংলাদেশ () দক্ষিণ এশিয়ার একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। বাংলাদেশের সাংবিধানিক নাম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ। ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশের পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও মেঘালয়, পূর্ব সীমান্তে আসাম, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তে মিয়ানমারের চিন ও রাখাইন রাজ্য এবং দক্ষিণ উপকূলে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। ভৌগোলিকভাবে পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপের সিংহভাগ অঞ্চল জুড়ে বাংলাদেশ ভূখণ্ড অবস্থিত। জনসংখ্যার বিচারে প্রায় ১৭ কোটিরও অধিক জনসংখ্যা নিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের ৮ম বৃহত্তম দেশ। নদীমাতৃক বাংলাদেশ ভূখণ্ডের উপর দিয়ে বয়ে গেছে ৫৭টি আন্তর্জাতিক নদী। বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বে ও দক্ষিণ-পূর্বে টারশিয়ারি যুগের পাহাড় মেঘের সাথে মিশে আছে। বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য সুন্দরবন ও দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সৈকত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশে অবস্থিত।
স্বামী বিবেকানন্দ (১২ জানুয়ারি ১৮৬৩ – ৪ জুলাই ১৯০২; জন্মনাম নরেন্দ্রনাথ দত্ত) ছিলেন একজন হিন্দু সন্ন্যাসী, দার্শনিক, লেখক, সংগীতজ্ঞ এবং ঊনবিংশ শতাব্দীর ভারতীয় অতীন্দ্রিয়বাদী রামকৃষ্ণ পরমহংসের প্রধান শিষ্য। তার পূর্বাশ্রমের নাম ছিল নরেন্দ্রনাথ দত্ত। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে হিন্দুধর্ম তথা ভারতীয় বেদান্ত ও যোগ দর্শনের প্রচারে প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে বিভিন্ন ধর্মমতের মধ্যে পারস্পরিক সুসম্পর্ক স্থাপন এবং হিন্দুধর্মকে বিশ্বের অন্যতম প্রধান ধর্ম হিসেবে প্রচার করার কৃতিত্ব স্বামী বিবেকানন্দের। ভারতে হিন্দু পুনর্জাগরণের তিনি ছিলেন অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব। সেই সঙ্গে ব্রিটিশ ভারতে তিনি ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ধারণাটি প্রবর্তন করেন। বিবেকানন্দ রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন। তার সবচেয়ে বিখ্যাত বক্তৃতাটি হল, "আমেরিকার ভগিনী ও ভ্রাতৃবৃন্দ" ...," ১৮৯৩ খ্রিষ্টাব্দে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোয় বিশ্ব ধর্ম মহাসভায় প্রদত্ত চিকাগো বক্তৃতা, যার মাধ্যমেই তিনি পাশ্চাত্য সমাজে প্রথম হিন্দুধর্ম প্রচার করেন। স্বামী বিবেকানন্দ কলকাতার এক উচ্চবিত্ত হিন্দু বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটোবেলা থেকেই আধ্যাত্মিকতার প্রতি তিনি আকর্ষিত হতেন। তার গুরু রামকৃষ্ণ দেবের কাছ থেকে তিনি শেখেন, সকল জীবই ঈশ্বরের প্রতিভূ; তাই মানুষের সেবা করলেই ঈশ্বরের সেবা করা হয়। রামকৃষ্ণের মৃত্যুর পর বিবেকানন্দ ভারতীয় উপমহাদেশ ভালোভাবে ঘুরে দেখেন এবং ব্রিটিশ ভারতের আর্থ-সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে প্রত্যক্ষ জ্ঞান অর্জন করেন। পরে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ১৮৯৩ খ্রিষ্টাব্দে বিশ্ব ধর্ম মহা সভায় ভারত ও হিন্দুধর্মের প্রতিনিধিত্ব করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যাণ্ড ওরে ও ইউরোপে তিনি হিন্দু দর্শনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অসংখ্য সাধারণ ও ঘরোয়া বক্তৃতা দিয়েছিলেন এবং ক্লাস নিয়েছিলেন। তার রচিত গ্রন্থগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য চিকাগো বক্তৃতা, কর্মযোগ, রাজযোগ, জ্ঞানযোগ, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বেদান্ত, ভারতে বিবেকানন্দ, ভাববার কথা, পরিব্রাজক, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য, বর্তমান ভারত, বীরবাণী (কবিতা-সংকলন), মদীয় আচার্যদেব ইত্যাদি। বিবেকানন্দ ছিলেন সংগীতজ্ঞ ও গায়ক। তার রচিত দুটি বিখ্যাত গান হল "খণ্ডন-ভব-বন্ধন" (শ্রীরামকৃষ্ণ আরাত্রিক ভজন) ও "নাহি সূর্য নাহি জ্যোতি"। এছাড়া "নাচুক তাহাতে শ্যামা", "৪ জুলাইয়ের প্রতি", "সন্ন্যাসীর গীতি" ও "সখার প্রতি" তার রচিত কয়েকটি বিখ্যাত কবিতা। "সখার প্রতি" কবিতার অন্তিম দুইটি চরণ– “বহুরূপে সম্মুখে তোমার ছাড়ি কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর?
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (২৬ সেপ্টেম্বর ১৮২০ – ২৯ জুলাই ১৮৯১; ১২ আশ্বিন ১২২৭ – ১৩ শ্রাবণ ১২৯৭ বঙ্গাব্দ) ঊনবিংশ শতকের একজন বিশিষ্ট বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও গদ্যকার ছিলেন। সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে অগাধ পাণ্ডিত্যের জন্য সংস্কৃত কলেজ থেকে ১৮৩৯ সালে তিনি বিদ্যাসাগর উপাধি লাভ করেন। সংস্কৃত ছাড়াও বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় বিশেষ ব্যুৎপত্তি ছিল তার। তিনিই প্রথম বাংলা লিপি সংস্কার করে তাকে যুক্তিবহ ও সহজপাঠ্য করে তোলেন। বাংলা গদ্যের প্রথম সার্থক রূপকার তিনিই। তাকে বাংলা গদ্যের প্রথম শিল্পী বলে অভিহিত করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি রচনা করেছেন যুগান্তকারী শিশুপাঠ্য বর্ণপরিচয়-সহ একাধিক পাঠ্যপুস্তক, সংস্কৃত ব্যাকরণ গ্রন্থ। সংস্কৃত, হিন্দি ও ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ সাহিত্য ও জ্ঞানবিজ্ঞান সংক্রান্ত বহু রচনা। নারীমুক্তির আন্দোলনেও তার অবদান উল্লেখযোগ্য।
এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)
এক্স এক্স এক্স এক্স (ইংরেজি: XXXX) কানাডীয় নৃত্য-পাঙ্ক ব্যান্ড ইউ সে পার্টি দলের তৃতীয় পূর্ণ দৈর্ঘ্যের অ্যালবাম (পূর্বনাম ইউ সে পার্টি!
পশ্চিমবঙ্গ ভারতের একটি রাজ্য পূর্ব ভারতে বঙ্গোপসাগরের উত্তর দিকে বাংলাদেশের সীমান্তে অবস্থিত। ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, এই রাজ্যের জনসংখ্যা ৯ কোটি ১৩ লক্ষেরও বেশি। জনসংখ্যার নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ ভারতের চতুর্থ সর্বাধিক জনবহুল রাজ্য (প্রথম-উত্তর প্রদেশ, দ্বিতীয়- মহারাষ্ট্র, তৃতীয়-বিহার )। এই রাজ্যের আয়তন প্রায় ৮৮,৭৫২ বর্গ কি.
বাংলাদেশ ব্যাংক হচ্ছে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আর্থিক কর্তৃপক্ষ। এটি বাংলাদেশ ব্যাংক আদেশ, ১৯৭২-এর মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এটির কার্যনির্বাহী প্রধান গভর্নর হিসাবে আখ্যায়িত। বাংলাদেশ ব্যাংক একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং কার্যত ব্যাংকসমূহের ব্যাংক। রাষ্ট্রের পক্ষে এটি দেশের ব্যাংক এবং ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। দেশের মুদ্রানীতি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নিরূপিত ও পরিচালিত হয়। এটি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার তহবিল সংরক্ষণ করে থাকে। এছাড়া এটি বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে বাংলাদেশী টাকার বিনিময় হার নির্ধারণ করে। ১ টাকা, ২ টাকা এবং ৫ টাকার কাগুজে নোট ব্যতীত সকল কাগুজে নোট মুদ্রণ এবং বাজারে প্রবর্তন এই ব্যাংকের অন্যতম দায়িত্ব। এছাড়া এটি রাষ্ট্রীয় কোষাগারের দায়িত্বও পালন করে থাকে।
সরকার বা শাসনব্যবস্থা (ইং: Government) হলো কোনো দেশের সর্বোচ্চ সংস্থা ও কর্তৃপক্ষ যার মাধ্যমে দেশটির শাসন কার্য পরিচালিত হয়। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সরকার জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি যেমন সংসদ সদস্যদের দ্বারা গঠিত হয়। সরকারের মৌলিক দায়িত্ব জনগণের অভিপ্রায় অনুযায়ী দেশের নিরাপত্তা বিধান করা, সমাজের শান্তি বজায় রাখা, মানুষের জান-মাল রক্ষা করা এবং বিবাদের ক্ষেত্রে বিচারকার্য পরিচালনা করা। সরকার তার ওপর আরোপিত দায়িত্বসমূহ পালনের স্বার্থে রাজস্ব আহরণ করে এবং শাসনকার্য পরিচালনা ও উন্নয়নমূলক কাজের জন্য তা ব্যয় করে থাকে।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত (২৫ জানুয়ারি ১৮২৪ – ২৯ জুন ১৮৭৩) ঊনবিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙালি কবি এবং নাট্যকার ও প্রহসন রচয়িতা।হিন্দু কলেজে অধ্যয়নের সময়ে মধুসূদন প্রথম কাব্য চর্চা শুরু করেন তাকে বাংলার নবজাগরণ সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব গণ্য করা হয়। ঐতিহ্যের অনুবর্তিতা অমান্য করে নব্যরীতি প্রবর্তনের কারণে তাকে আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম বিদ্রোহী কবি হিসেবেও অভিহিত করা হয়। তিনি বাংলা সনেটের জনক।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৫ সেপ্টেম্বর ১৮৭৬ – ১৬ জানুয়ারি ১৯৩৮ ; ৩১ ভাদ্র ১২৮৩ - ২ মাঘ ১৩৪৪ বঙ্গাব্দ) ছিলেন একজন বাঙালি লেখক, ঔপন্যাসিক, ও গল্পকার। তিনি দক্ষিণ এশিয়া এবং বাংলা ভাষার অন্যতম জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক। লেখালিখির গুরু মানেন ফরাসি সাহিত্যিক এমিল জোলাকে। তার অনেক উপন্যাস ভারতবর্ষের প্রধান ভাষাগুলোতে অনূদিত হয়েছে। বড়দিদি (১৯১৩), পরিণীতা (১৯১৪), পল্লীসমাজ (১৯১৬), দেবদাস (১৯১৭), চরিত্রহীন (১৯১৭), শ্রীকান্ত (চারখণ্ডে ১৯১৭-১৯৩৩), দত্তা (১৯১৮), গৃহদাহ (১৯২০), পথের দাবী (১৯২৬), শেষ প্রশ্ন (১৯৩১) ইত্যাদি শরৎচন্দ্র রচিত বিখ্যাত উপন্যাস। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অপ্রতিদ্বন্দ্বী জনপ্রিয়তার জন্য তিনি 'অপরাজেয় কথাশিল্পী' নামে খ্যাত। তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দে জগত্তারিণী স্বর্ণপদক পান৷ এছাড়াও, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 'ডিলিট' উপাধি পান ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে। শরৎচন্দ্রের অনেকগুলি উপন্যাস চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়েছে।
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় (২৩ জুলাই, ১৮৯৮−সেপ্টেম্বর ১৪, ১৯৭১) ছিলেন বিংশ শতাব্দীর এক বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি কথাসাহিত্যিক। তিনি ৬৫টি উপন্যাস, ৫৩টি ছোটোগল্প-সংকলন, ১২টি নাটক, ৪টি প্রবন্ধ-সংকলন, ৪টি স্মৃতিকথা, ২টি ভ্রমণকাহিনি, একটি কাব্যগ্রন্থ এবং একটি প্রহসন রচনা করেন। আরোগ্য নিকেতন উপন্যাসের জন্য তারাশঙ্কর ১৯৫৫ সালে রবীন্দ্র পুরস্কার ও ১৯৫৬ সালে সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার এবং ১৯৬৭ সালে গণদেবতা উপন্যাসের জন্য জ্ঞানপীঠ পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া ১৯৬২ সালে তিনি পদ্মশ্রী এবং ১৯৬৮ সালে পদ্মভূষণ সম্মান অর্জন করেন। ১৯৭১ সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন।
শিব (সংস্কৃত: शिव [ɕɪʋɐ], সংস্কৃত: शिवः, আইএএসটি: Śiva, আইএসও: Śiva, ), হলেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্বোচ্চ দেবতা। সনাতন ধর্মের শাস্ত্রসমূহে তিনি পরমসত্ত্বা রূপে ঘোষিত। শিব সৃষ্টি-স্থিতি-প্রলয়রূপ তিন কারণের কারণ। তিনি সমসাময়িক হিন্দুধর্মের তিনটি সর্বাধিক প্রাচীন সম্প্রদায়ের অন্যতম শৈব সম্প্রদায়ের প্রধান দেবতা। এছাড়া শিব স্মার্ত সম্প্রদায়ে পূজিত ঈশ্বরের পাঁচটি প্রধান রূপের (গণেশ, শিব, সূর্য, বিষ্ণু ও দুর্গা) একটি রূপ। তার বিশেষ রুদ্ররূপ ধ্বংস, সংহার ও প্রলয়ের দেবতা।
বাগধারা শব্দের আভিধানিক অর্থ কথার বচন ভঙ্গি বা ভাব বা কথার ঢং। বাক্য বা বাক্যাংশের বিশেষ প্রকাশভঙ্গিকে বলা হয় বাগধারা। বিশেষ প্রসঙ্গে শব্দের বিশিষ্টার্থক প্রয়োগের ফলে বাংলায় বহু বাগধারা তৈরি হয়েছে। এ ধরনের প্রয়োগের পদগুচ্ছ বা বাক্যাংশ আভিধানিক অর্থ ছাপিয়ে বিশেষ অর্থের দ্যোতক হয়ে ওঠে। বলা যায় বাক্যার্থ ছাপিয়ে এখানে ব্যাঙ্গার্থই প্রধান।
আইসিসি পুরুষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি
আইসিসি পুরুষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি (ইংরেজি: ICC Men's Champions Trophy) আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল বা আইসিসি কর্তৃক পরিচালিত একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্রতিযোগিতাবিশেষ। মর্যাদার দিক থেকে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অবস্থান বিশ্বকাপ ক্রিকেটের পর। ১৯৯৮ সালে আইসিসি নক-আউট প্রতিযোগিতা নামে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আয়োজিত চূড়ান্ত খেলায় দক্ষিণ আফ্রিকা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পরাভূত করে শিরোপা লাভ করে। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দল হচ্ছে পাকিস্তান।
স্নেহাশীষ চণ্ডীদাস গাঙ্গুলী (জন্ম ১১ জুন ১৯৬৫) একজন প্রাক্তন ভারতীয় প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটার এবং ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল -এর সভাপতি। যদিও তিনি তার ছোট ভাই সৌরভ গাঙ্গুলীর মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেননি, তবে স্নেহাশিশের বাংলার সাথে একটি কেরিয়ার ছিল যা দশ বছর বিস্তৃত ছিল। ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর, তিনি তার পরিবারের মুদ্রণ ব্যবসায় মনোযোগ দেন। গত ১৫ বছরে, গাঙ্গুলি এন কে গোসাইন প্রিন্টার্স নিয়েছে এবং এটিকে এই অঞ্চলের অন্যতম বিখ্যাত মুদ্রণ সংস্থায় পরিণত করেছে। তিনি লাক্সের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যও। ১৯৯৫ সালে, গাঙ্গুলী মোহিনিয়াতাম নৃত্যশিল্পী মা গাঙ্গুলীকে বিয়ে করেন। এই দম্পতির ১৯৯৮ সালে স্নেহা নামে একটি কন্যা সন্তান হয়েছিল। তিনি ২০২২ সালের অক্টোবরে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল এর সভাপতি হন।
টিকি উইকি সিএমএস গ্রুপওয়্যার বা সংক্ষেপে টিকি, যা মূলত টিকিউইকি নামে পরিচিত, এটি একটি বিনামূল্যের এবং উন্মুক্ত উৎস উইকিভিত্তিক বিষয়বস্তু ব্যবস্থাপনা সিস্টেম এবং অনলাইন অফিস স্যুট যা প্রাথমিকভাবে পিএইচপিতে লেখা এবং গ্নু লেজার জেনেরাল পাবলিক লাইসেন্স (এলজিপিএল-২.১-ওনলি) লাইসেন্সের অধীনে ডিস্ট্রিবিউশন করা হয়েছে। ইন্টারনেটে এবং ইন্ট্রানেট এবং এক্সট্রানেটে ওয়েবসাইট এবং পোর্টালগুলো সক্ষম করার পাশাপাশি টিকিতে অনেকগুলো সহযোগী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা এটিকে একটি ভূস্থানিক কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (জিওসিএমএস) এবং গ্রুপওয়্যার ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন হিসাবে কাজ করার অনুমতি দেয়।
শিল্প বিপ্লব (ইংরেজি:Industrial Revolution) ( প্রথম শিল্প বিপ্লব নামেও পরিচিত) ছিল এমন এক সময়কাল যখন অধিক দক্ষ এবং স্থিতিশীল উৎপাদন প্রক্রিয়ার দিকে মানব অর্থনীতির বৈশ্বিক রূপান্তর ঘটেছিল। এটি কৃষি বিপ্লবের পর গ্রেট ব্রিটেন, ইউরোপ মহাদেশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১৭৬০ থেকে ১৮৪০ সালের মধ্যে ঘটেছিল। এই রূপান্তরের মধ্যে হাতের মাধ্যমে উৎপাদন পদ্ধতির পরিবর্তে মেশিনের ব্যবহার; নতুন রাসায়নিক শিল্প এবং লৌহ উৎপাদন প্রক্রিয়া; জল শক্তি এবং বাষ্প শক্তির ক্রমবর্ধমান ব্যবহার; মেশিন টুলস উন্নয়ন এবং যান্ত্রিক কারখানা ব্যবস্থার উত্থান উল্লেখযোগ্য। এসময় উৎপাদন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায় যার ফলে জনসংখ্যা এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার উভয়ই বৃদ্ধি পায় । বস্ত্র শিল্পে সর্বপ্রথম আধুনিক উৎপাদন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছিল।
ভারত (), যার সরকারি নাম ভারতীয় প্রজাতন্ত্র, দক্ষিণ এশিয়ার একটি রাষ্ট্র। ভৌগোলিক আয়তনের বিচারে এটি দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম এবং বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম রাষ্ট্র। অন্যদিকে, জনসংখ্যার বিচারে এটি বিশ্বের সর্বাধিক জনবহুল রাষ্ট্র এবং পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। ভারতের পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তান উত্তর-পূর্বে চীন, নেপাল ও ভুটান এবং পূর্বে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার অবস্থিত। এছাড়া, ভারত মহাসাগরে অবস্থিত শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও ইন্দোনেশিয়া হল ভারতের নিকটবর্তী কয়েকটি দ্বীপরাষ্ট্র। দক্ষিণে ভারত মহাসাগর, পশ্চিমে আরব সাগর ও পূর্বে বঙ্গোপসাগর দ্বারা বেষ্টিত ভারতের উপকূলরেখার সম্মিলিত দৈর্ঘ্য ৭,৫১৭ কিলোমিটার (৪,৬৭১ মাইল)।
সত্যজিৎ রায় (২ মে ১৯২১ – ২৩ এপ্রিল ১৯৯২) ছিলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা, চিত্রনাট্যকার, শিল্প নির্দেশক, সংগীত পরিচালক এবং লেখক। তাঁকে বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের একজন হিসেবে গণ্য করা হয়। সত্যজিতের জন্ম কলকাতা শহরে সাহিত্য ও শিল্প সমাজে খ্যাতনামা রায় পরিবারে। তার পূর্বপুরুষের ভিটা ছিল তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের ময়মনসিংহ জেলার কিশোরগঞ্জে মহকুমার (বর্তমানে বাংলাদেশ) কটিয়াদী উপজেলার মসূয়া গ্রামে। তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ ও শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। সত্যজিতের কর্মজীবন একজন বাণিজ্যিক চিত্রকর হিসেবে শুরু হলেও প্রথমে কলকাতায় ফরাসি চলচ্চিত্র নির্মাতা জঁ রনোয়ারের সাথে সাক্ষাৎ ও পরে লন্ডন শহরে সফররত অবস্থায় ইতালীয় নব্য বাস্তবতাবাদী চলচ্চিত্র লাদ্রি দি বিচিক্লেত্তে (ইতালীয়: Ladri di biciclette, বাইসাইকেল চোর) দেখার পর তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণে উদ্বুদ্ধ হন।
ডেঙ্গু জ্বর (সমার্থক ভিন্ন বানান ডেঙ্গি) একটি এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু ভাইরাস জনিত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগ। এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমণের তিন থেকে পনেরো দিনের মধ্যে সাধারণত ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গগুলো দেখা দেয়। উপসর্গগুলির মাঝে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, বমি, পেশিতে ও গাঁটে ব্যথা এবং গাত্রচর্মে ফুসকুড়ি। দুই থেকে সাত দিনের মাঝে সাধারণত ডেঙ্গু রোগী আরোগ্য লাভ করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগটি মারাত্মক রক্তক্ষরী রূপ নিতে পারে যাকে ডেঙ্গু রক্তক্ষরী জ্বর (ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার) বলা হয়। এর ফলে রক্তপাত হয়, রক্ত অনুচক্রিকার মাত্রা কমে যায় এবং রক্ত প্লাজমার নিঃসরণ ঘটে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কখনোবা ডেঙ্গু শক সিনড্রোম দেখা দেয়। ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে রক্তচাপ বিপজ্জনকভাবে কমে যায়।
বেগম খালেদা জিয়া (জন্ম: আগস্ট ১৫ ১৯৪৫), জন্মগত নাম খালেদা খানম পুতুল, একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যিনি ১৯৯১-১৯৯৬ সাল এবং ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী রূপে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর মাঝে দ্বিতীয় মহিলা সরকারপ্রধান (বেনজির ভুট্টোর পর)।
স্বাধীনতা দিবস হল ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের একটি জাতীয় দিবস। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট (১৩৫৪ বঙ্গাব্দের ২৯ শ্রাবণ, শুক্রবার) ভারত ব্রিটিশ রাজশক্তির শাসনকর্তৃত্ব থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। সেই ঘটনাটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য প্রতি বছর ১৫ আগস্ট তারিখটিকে ভারতে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বে প্রধানত অহিংস, অসহযোগ ও আইন অমান্য আন্দোলন এবং বিভিন্ন চরমপন্থী গুপ্ত রাজনৈতিক সমিতির সহিংস আন্দোলনের পথে পরিচালিত এক দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের পর ভারত স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। স্বাধীনতা আন্দোলনে হাজার হাজার মানুষ শহীদ হয়েছেন। অনেককে দুঃখ কষ্ট স্বীকার করতে হয়েছে । দেশ মাতৃকার শৃংখল-মোচনের জন্য অনেক বিপ্লবী হাসি মুখে ফাঁসির মঞ্চে জীবন বিসর্জন দিয়েছেন। অনেক বিপ্লবীকে আজীবন কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছিল।স্বাধীনতার ঠিক পূর্ব-মুহুর্তে ব্রিটিশ ভারতীয় সাম্রাজ্য ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজিত হয় এবং তার ফলে ভারত ও পাকিস্তান অধিরাজ্যের জন্ম ঘটে। দেশভাগের সময় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। অনেক মানুষ প্রাণ হারান এবং ১ কোটি ৫০ লক্ষেরও বেশি মানুষ বাস্তুহারা হন। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট জওহরলাল নেহেরু ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণের পর দিল্লির লাল কেল্লার লাহোরি গেটের উপর ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর থেকে প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী লাল কেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (২৬ জুন ১৮৩৮ – ৮ এপ্রিল ১৮৯৪) ছিলেন উনিশ শতকের বিশিষ্ট বাঙালি ঔপন্যাসিক। বাংলা গদ্য ও উপন্যাসের বিকাশে তাঁর অসীম অবদানের জন্যে তিনি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অমরত্ব লাভ করেছেন। তাঁকে সাধারণত প্রথম আধুনিক বাংলা ঔপন্যাসিক হিসেবে গণ্য করা হয়। তবে গীতার ব্যাখ্যাদাতা হিসেবে, সাহিত্য সমালোচক হিসেবেও তিনি বিশেষ খ্যাতিমান। তিনি জীবিকাসূত্রে ব্রিটিশ রাজের কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি বাংলা ভাষার আদি সাহিত্যপত্র বঙ্গদর্শনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন। তিনি ছদ্মনাম হিসেবে কমলাকান্ত নামটি বেছে নিয়েছিলেন। তাঁকে বাংলা উপন্যাসের জনক বলা হয়। এছাড়াও তিনি বাংলা সাহিত্যের সাহিত্য সম্রাট হিসেবে পরিচিত।
সুভাষচন্দ্র বসু (২৩ জানুয়ারি ১৮৯৭ - ১৮ আগস্ট ১৯৪৫) ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক চিরস্মরণীয় কিংবদন্তি নেতা। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে তিনি হলেন এক উজ্জ্বল ও মহান চরিত্র যিনি এই সংগ্রামে নিজের সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেন। তিনি নেতাজি নামে সমধিক পরিচিত। সুভাষচন্দ্র পরপর দুইবার ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু গান্ধীর সঙ্গে আদর্শগত সংঘাত, কংগ্রেসের বৈদেশিক ও আভ্যন্তরীণ নীতির প্রকাশ্য সমালোচনা এবং বিরুদ্ধ-মত প্রকাশ করার জন্য তাকে পদত্যাগ করতে হয়।
শেখ মুজিবুর রহমান (১৭ মার্চ ১৯২০ – ১৫ আগস্ট ১৯৭৫), সংক্ষিপ্তাকারে শেখ মুজিব বা বঙ্গবন্ধু, ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি ভারত বিভাজন আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন এবং পরবর্তীকালে পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে কেন্দ্রীয়ভাবে নেতৃত্ব প্রদান করেন। শুরুতে তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি, এরপর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং পরবর্তীকালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক স্বায়ত্তশাসন অর্জনের প্রয়াস এবং পরবর্তীকালে ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পেছনের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমানকে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হিসেবে কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে বাংলাদেশের “জাতির জনক” বা “জাতির পিতা” হিসেবে অভিহিত করা হয়। এছাড়াও তাকে প্রাচীন বাঙালি সভ্যতার আধুনিক স্থপতি ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। জনসাধারণের কাছে তিনি “শেখ মুজিব” বা “শেখ সাহেব” নামে এবং তার উপাধি “বঙ্গবন্ধু” হিসেবেই অধিক পরিচিত। তার কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী।
সমাস একটি ব্যাকরণ সম্মত প্রক্রিয়া যেখানে বাক্যের মধ্যে পরস্পর অর্থসম্বন্ধ যুক্ত দুই বা ততোধিক পদ/শব্দ/অর্থমূল পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হয়। এর ফলে বাক্যে "পাশাপাশি অবস্থানকারী পদগুলো একত্রে মিলিত" হয় এবং "নতুন শব্দ গঠিত হয়"। সমাসের রীতি সংস্কৃত থেকে বাংলা ভাষায় এসেছে এবং এটি বাংলা ব্যাকরণের রূপতত্ত্ব অংশে আলোচনা করা হয়। উদাহরণস্বরূপ:
জুনাইদ আহ্মেদ পলক (জন্ম: মে ১৭, ১৯৮০) একজন বাংলাদেশী আইনজীবী এবং রাজনীতিবিদ। তিনি ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী বিভাগের নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলা থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচিত বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠ সংসদ সদস্য। তিনি ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচিত সরকারের সংসদ সদস্য এবং ডাক এবং টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২৪ সালের ১১ জানুয়ারি তিনি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
বাংলা ভাষা (বাঙলা, বাঙ্গলা, তথা বাঙ্গালা নামেও পরিচিত) একটি ইন্দো-আর্য ভাষা, যা দক্ষিণ এশিয়ার বাঙালি জাতি জাতির প্রধান কথ্য ও লেখ্য ভাষা। মাতৃভাষীর সংখ্যায় বাংলা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের পঞ্চম ও মোট ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনুসারে বাংলা বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম ভাষা। বাংলা সার্বভৌম ভাষাভিত্তিক জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা তথা সরকারি ভাষা এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও আসামের বরাক উপত্যকার দাপ্তরিক ভাষা। বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের প্রধান কথ্য ভাষা বাংলা। এছাড়া, ভারতের ঝাড়খণ্ড, বিহার, মেঘালয়, মিজোরাম, ওড়িশার মত রাজ্যগুলোতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাংলাভাষী জনগণ রয়েছে। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, ভারতের মোট জনসংখ্যার ৮.০৩ শতাংশ মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে এবং হিন্দির পরেই বাংলা ভারতে সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা। এছাড়াও মধ্যপ্রাচ্য, আমেরিকা ও ইউরোপে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাংলাভাষী অভিবাসী রয়েছে। সারা বিশ্বে সব মিলিয়ে ২৮.৫ কোটিরও অধিক লোক দৈনন্দিন জীবনে বাংলা ব্যবহার করে। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত ও রণসঙ্গীত বাংলাতে রচিত এবং জাতীয় পর্যায়ের সকল কার্যক্রম বাংলাতে পরিচালিত হয়। ভারতের জাতীয় সঙ্গীত ও স্তোত্র বাংলাতে রচিত।
ওয়াকার-উজ-জামান (জন্ম: ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৬৬) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন জেনারেল ও বর্তমান সেনাপ্রধান। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৮তম সেনাপ্রধান হিসেবে ২৩ জুন ২০২৪ সালে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ইতিপূর্বে তিনি লেফট্যানেন্ট জেনারেল হিসেবে চীফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) এর দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের ১৫তম প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) ছিলেন এবং এর পূর্বে তিনি সেনা সদর দপ্তরের সামরিক সচিব ছিলেন।
বাংলাদেশ পুলিশ বাংলাদেশের একমাত্র আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা। সংস্থাটি বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত। বাংলাদেশ পুলিশের প্রধান অধিকর্তাকে বলা হয় মহা পুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি)। পুলিশের একটি দীর্ঘ এবং অনেক পুরোনো ইতিহাস আছে। ইতিহাসের একটা গবেষণা দেখায় যে পুলিশ ছিল পুরাতন সভ্যতা হিসাবে। রোম শহরে পুলিশ দেশ সম্পর্কে অগাস্টাস সময়ে ওঠে মুষ্টি শতাব্দীর খ্রিস্টপূর্বাব্দের একটি বিশেষ প্রতিষ্ঠান, পুলিশি ইতিহাস বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও বেশ পুরানো। মানুসংগীতা, চিত্রলিপিতে সম্রাট অশোক, এবং প্রখ্যাত ভ্রমণকারীরা আমাদের ইতিহাস রচনার মূল উৎস। এই সূত্র থেকেই এই দ্বার এবং বাংলাদেশ পুলিশের খণ্ডিত ইতিহাস রচিত হয়। অর্থশাস্ত্র এর মধ্যে কৌতিল্য দ্বারা, নয়টি গুপ্তচর ধরন উল্লেখ করা হয়। এই সময় পুলিশি বুদ্ধিমত্তা সংগ্রহ করার জন্য বিরোধী কার্যক্রম এবং সরকারী প্রতিবন্ধক সমাজের মধ্যে আইন ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য প্রচেষ্টা সীমাবদ্ধ ছিল। গুপ্ত চর দায়িত্ব এমন যে তারা সেনাবাহিনী, বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তার কার্যকলাপের উপর নজরদারি বাড়ানো হয়। এই জন্য লোভ এবং উসকানি সব অর্থ ব্যবহার করা হয়। অনুসন্ধান কৌশল এবং তদন্ত কর্তৃপক্ষ সম্পর্কে তথ্য অর্থশাস্ত্র মধ্যে খুঁজে পাওয়া যেতে পারে। শাস্তি প্রক্রিয়ার অভিযুক্ত এই বইয়ে পাওয়া যায়। তাই এটি ছিল অধিকৃত যে স্বশাসিত স্থানীয় নিয়মের অধীন সেখানে গ্রামীণ ও শহুরে এলাকায় পুলিশ এক ধরনের হতে পারে। মধ্যযুগীয় সময়ে পুলিশি কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায় না। সুলতানদের সময়ে একটি সরকারী পুলিশি স্থর বিন্যাস লক্ষ্য করা যায়। শহর অঞ্চলে কোতোয়াল পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তা দায়িত্বে ছিলেন। মোঘল আমলের পুলিশি ব্যবস্থা সংক্রান্ত তথ্য আইন-ই-আকবরী গ্রন্থে পাওয়া যেতে পারে। মধ্যযুগের পুলিশি ব্যবস্থা শেরশাহ শুরী দ্বারা প্রবর্তিত, মহান সম্রাট আকবরের সময়কালে এই ব্যবস্থা আরও সংগঠিত হয়। সম্রাট তার ফৌজদারী প্রশাসনিক কাঠামো (সম্রাটের প্রধান প্রতিনিধি) মীর আদাল এবং কাজী (বিচার বিভাগ প্রধান) এবং কোতোয়াল (প্রধান বড় শহরে পুলিশ কর্মকর্তা) এই তিন ভাগে ভাগ করেন। এই ব্যবস্থা শহরের আইন ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে খুব কার্যকর হিসাবে পরিগণিত হয়। কোতোয়ালী পুলিশ ব্যবস্থা ঢাকা শহরের মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। অনেক জেলা সদর পুলিশ স্টেশনকে এখনও বলা হয় কোতোয়ালী থানা। মুঘল আমল কোতোয়াল একটি প্রতিষ্ঠান হিসাবে আবির্ভূত হয়। একজন ফৌজদার সরকারের প্রশাসনিক ইউনিট (জেলা) প্রধান পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। কিছু ফৌজদারের অধীনে কামান এবং অশ্বারোহী সৈন্য বাহিনীও ছিল। থানাদার পদাদিকারীরা ছোট জায়গার মধ্যে পরগনা বিভাজক হিসাবে নিযুক্ত হতেন। মোঘল আমল পর্যন্ত যদিও একটি সুশৃঙ্খল পেশাদারী পুলিশি বাহিনী যা ব্রিটিশ পুলিশ সিস্টেমে প্রবর্তিত হয়নি। তবুও সাধারণভাবে, এটি প্রতিষ্ঠিত ছিল যে মুসলিম শাসকদের রাজত্বের সময়ে এখানে আইন শৃঙ্খলা এবং অপরাধ প্রতিরোধমূলক প্রশাসন অত্যন্ত কার্যকর ছিল। শিল্প বিপ্লবের কারণে ইংল্যান্ডের সামাজিক ব্যবস্থায় অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে স্যার রবার্ট পিল একটি নিয়মতান্ত্রিক পুলিশ বাহিনীর অভাব অনুভব করেন। ১৮২৯ সালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টে পুলিশ গঠনের বিল আনেন। এর প্রেক্ষিতে গঠিত হয় লন্ডন মেট্রো পুলিশ। অপরাধ দমনে বা প্রতিরোধে এর সাফল্য শুধু ইউরোপ নয় সাড়া ফেলে আমেরিকাতেও। ১৮৩৩ সালে লন্ডন মেট্রো পুলিশের অনুকরণে গঠিত হয় নিয়ইয়র্ক সিটিতে নগর পুলিশ কর্তৃপক্ষ গঠিত হয়। ১৮৫৮ সালে ভারত শাসনের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নিকট হতে ব্রিটিশ সরকার গ্রহণ করে। পুলিশ অ্যাক্ট ১৮২৯ এর অধীনে গঠিত লন্ডন পুলিশের সাফল্য ভারতে স্বতন্ত্র পুলিশ ফোর্স গঠনে ব্রিটিশ সরকারকে অনুপ্রাণীত করে। ১৮৬১ সালে the commission of the Police Act (Act V of 1861) ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পাশ হয়। এই আইনের অধীনে ভারতের প্রতিটি প্রদেশে একটি করে পুলিশ বাহিনী গঠিত হয়। প্রদেশ পুলিশ প্রধান হিসাবে একজন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ এবং জেলা পুলিশ প্রধান হিসাবে সুপারিটেনটেন্ড অব পুলিশ পদ সৃষ্টি করা হয়। ব্রিটিশদের তৈরীকৃত এই ব্যবস্থা এখনও বাংলাদেশ পুলিশে প্রবর্তিত আছে। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর বাংলাদেশের পুলিশের নাম প্রথমে ইষ্ট বেঙ্গল পুলিশ রাখা হয়। পরবর্তীতে এটি পরিবর্তিত হয়ে ইষ্ট পাকিস্তান পুলিশ নাম ধারণ করে। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পূর্ব পর্যন্ত এই নামে পুলিশের কার্যক্রম অব্যহত থাকে। বাংলাদেশ পুলিশের ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল সময় হল ১৯৭১ সাল। মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল, বেশ কয়েকজন এসপি সহ প্রায় সকল পর্যায়ের পুলিশ সদস্য বাঙ্গালীর মুক্তির সংগ্রামে জীবনদান করেন। ১৯৭১ সালের মার্চ মাস হতেই প্রদেশের পুলিশ বাহিনীর উপর কর্তৃত্ব হারিয়েছিল পাকিস্তানের প্রাদেশিক সরকার। পুলিশের বীর সদস্যরা প্রকাশ্যেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। তারা ২৫ শে মার্চ ১৯৭১ তারিখে ঢাকার রাজারবাগের পুলিশ লাইন্সে ২য় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত বাতিল .৩০৩ রাইফেল দিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা। এই সশস্ত্র প্রতিরোধটিই বাঙ্গালীদের কাছে সশস্ত্র যুদ্ধ শুরুর বার্তা পৌছে দেয়। পরবর্তীতে পুলিশের এই সদস্যরা ৯ মাস ব্যাপী দেশজুড়ে গেরিলা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ১২৬২ জন শহীদ পুলিশ সদস্যের তালিকা স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিল পত্রে উল্লেখ পাওয়া যায়। প্রসঙ্গত ঝিনাইদহের তৎকালীন সাব-ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার মাহবুবউদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ মুজিব নগর সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে ঐতিহাসিক গার্ড অব অনার প্রদান করেন। মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ পুলিশ নামে সংগঠিত হয়। বাংলাদেশ পুলিশ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের পুলিশ বাহিনীর মতো আইন শৃঙ্খলা রক্ষা, জনগনের জানমাল ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধান, অপরাধ প্রতিরোধ ও দমনে প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে। মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ পুলিশের ট্রাডিশনাল চরিত্রে বিরাট পরিবর্তন এনে দিয়েছে। শুধু আইনের শাসন আর অপরাধ প্রতিরোধ ও দমনই নয় দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। গত এক দশকে জঙ্গীবাদ দমন এবং নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ পুলিশ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। পুলিশের সদস্যরা তাদের উদ্ভাবনী কৌশল আর পেশাদরিত্ব দ্বারা সংঘটিত অপরাধ মোকাবিলায় প্রতিনিয়ত সৃজনশীলতার পরিচয় দিচ্ছে। ঘুষ দুর্নীতির কারণে একসময়ে অভিযুক্ত এই বাহিনী তার পেশাদরিত্ব আর জনগনের প্রতি দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়ে জনগণের গর্বের বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশের প্রধান হলেন মহা পুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি)। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ পুলিশ সংগঠন বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত। পুলিশ হেডকোয়াটার্স (পুলিশ সদরদপ্তর) রেঞ্জ পুলিশ মেট্রোপলিটন পুলিশ বিশেষ শাখা (এসবি) অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) শিল্প পুলিশ হাইওয়ে পুলিশ পুলিশ ইন্টারনাল ওভারসাইট (পিআইও) পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ট্রেনিং ইন্সটিটিউটস ট্যুরিস্ট পুলিশ নৌ পুলিশ এন্টি টেররিজম ইউনিট এমআরটি পুলিশ (MRT) পুলিশ হেডকোয়াটার্স থেকে বাংলাদেশ পুলিশ নিয়ন্ত্রিত হয়। এই অফিস ঢাকার গুলিস্তানে। রাজধানী ঢাকা এবং অন্যান্য মেট্রোপলিটান শহর গুলো ছাড়া সমগ্র পুলিশ বাহিনীকে পৃথক পৃথক রেঞ্জে ভাগ করা হয়েছে। প্রত্যেকটি রেঞ্জের নেতৃত্বে আছেন একজন ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (ডিআইজি)। তিনি তার অধীনস্থ জেলা পুলিশের নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা। বর্তমানে আটটি প্রশাসনিক বিভাগে আটটি রেঞ্জ এবং রেলওয়ে ও হাইওয়ে পুলিশ নামে দু'টি স্বতন্ত্র রেঞ্জ আছে। জেলা পুলিশের অধিকর্তা হলেন সুপারিটেনডেন্ড অব পুলিশ (এসপি)। প্রতিটি জেলায় সুপারিটেনডেন্ড অব পুলিশকে সহযোগিতার জন্য এক বা একাধিক অতিরিক্ত সুপারিটেনডেন্ড অব পুলিশ পদায়ন করা হয়। প্রত্যেকটি পুলিশ ডিষ্ট্রিক্ট এক বা একাধিক সার্কেলে বিভক্ত থাকে। সার্কেলের প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে একজন সহকারী সুপারিটেনডেন্ড অব পুলিশ দায়িত্ব পালন করেন। প্রত্যেকটি পুলিশ সার্কেল কয়েকটি থানার সমন্বয়ে গঠিত। একজন পুলিশ পরিদর্শক থানার অফিসার ইনচার্জ হিসাবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। তার অধীনে কয়েকজন সাব-ইন্সপেক্টর পুলিশের সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন। বাংলাদেশী আইনে একমাত্র সাব-ইন্সপেক্টর পদধারী অফিসার কারও বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করতে পারেন। প্রত্যেকটি রেঞ্জের অধীনে নিজস্ব রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স(আরআরএফ) এবং জেলা পুলিশের অধীনে নিজস্ব স্পেশাল আর্মড ফোর্স(এসএএফ) জরুরী অবস্থা, বেআইনি সমাবেশ বা দাঙ্গা মোকাবেলার জন্য নিযুক্ত থাকেন। এরা পুলিশ সুপার অথবা ততোর্ধ কর্মকর্তার নির্দেশে মোতায়েন হয়। সশস্ত্র কনস্টবলদের এই বাহিনী সাধারণ পুলিশি কর্মকাণ্ড পরচালনায় ব্যবহৃত হয় না। তাদের ভিআইপিদের নিরাপত্তা রক্ষা সংক্রান্ত কর্তব্য, মেলা, উৎসব, খেলাধুলা, নির্বাচন, এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় মোতায়েন করা হয়। ছাত্র বা শ্রমিক অসন্তোষ, সংগঠিত অপরাধ, এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, কী গার্ড পোস্ট বজায় রাখা এবং বিরোধী সন্ত্রাসী অভিযানেও এদের ব্যবহার করা হয়। আট বিভাগের আট পুলিশ রেঞ্জের নাম- ঢাকা রেঞ্জ ময়মনসিংহ রেঞ্জ চট্টগ্রাম রেঞ্জ সিলেট রেঞ্জ রাজশাহী রেঞ্জ রংপুর রেঞ্জ খুলনা রেঞ্জ বরিশাল রেঞ্জ মেট্রোপলিটন আইনের অধীনে পুলিশ কমিশনারেট সিষ্টেম অনুসারে ময়মনসিংহ বাদে অন্য সাতটি বিভাগীয় এবং ও গাজীপুর শহরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মেট্রোপলিটন পুলিশ গঠন করা হয়েছে। ১৯৭৬ সালে প্রথম ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ গঠিত হয়। পরবর্তীতে অন্য ছয়টি বিভাগীয় শহরে আরো ছয়টি এবং গাজীপুরে পৃথক মেট্রোপলিটন পুলিশ ফোর্স গঠিত হয়। মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রধান হলেন পুলিশ কমিশনার। মেট্রোপলিটান পুলিশের তালিকা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের কাজ করে পুলিশের বিশেষ শাখা। বিদেশ হতে বাংলাদেশে আগত এবং বিদেশের উদ্দেশ্যে গমনরত বাংলাদেশী ও বিদেশী যাত্রীদের ইমিগ্রেশন ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত পরিসেবা প্রদান করে। ইমিগ্রেশন সেবা বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ শাখা দ্বারা প্রদান করা হয়। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) সন্ত্রাসবাদ, খুন ও পরিকল্পিত অপরাধ মোকাবেলা, তদন্তের কাজ করে থাকে। অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রয়োজনে সিআইডি তাদের ফরেনসিক সমর্থন দেয়। সিআইডির সদর দপ্তর ঢাকার মালিবাগে। সিআইডি ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুল এবং ফরেনসিক ট্রেনিং স্কুল নামে দুটি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর একটি এলিট ইউনিট হচ্ছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন(এপিবিএন)। একটি মহিলা ব্যাটেলিয়ন সহ সর্বমোট এগারোটি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে আছে। একজ়ন অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক এর প্রধান। বিভিন্ন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অবস্থান নিম্নে দেয়া হল: ১ম আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন — উত্তরা, ঢাকা। ২য় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন — মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ। ৩য় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন — খুলনা। ৪র্থ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন — বগুড়া। ৫ম আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন — উত্তরা, ঢাকা। ৬ষ্ঠ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন — মহালছড়ি, খাগড়াছড়ি। ৭ম আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন — লালাবাজার, সিলেট। ৮ম আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন সিলেট, (বর্তমানে ঢাকা বিমানবন্দর অবস্থান)। ৯ম আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন চট্টগ্রাম। ১০ম আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন — বরিশাল। ১১শ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (মহিলা) — উত্তরা, ঢাকা। এপিবিএনের একটি বিশেষায়িত ইউনিট বিমানবন্দর সশস্ত্র পুলিশ (AAP) হিসাবে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য বিমানবন্দর এলাকার মধ্যে নিয়োজিত আছে। বর্তমানে অষ্টম এপিবিএন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকার নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত আছে। বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ (এএপি) ঢাকা, বাংলাদেশের বৃহত্তম ও ব্যস্ততম বিমানবন্দর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আইন প্রয়োগের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ ইউনিট। এএপি বাংলাদেশ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (APBn) একটি ব্যাটেলিয়ন । সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (APBn) অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রেফতার, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন অধ্যাদেশের ধারা ৬ অনুযায়ী সরকার কর্তৃক উপর অন্বিত অস্ত্র ও বিস্ফোরক, এবং অন্য কোন দায়িত্ব পুনরুদ্ধার ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়।এয়ারপোর্টের সামগ্রিক নিরাপত্তা দায়িত্ব নিতে সশস্ত্র পুলিশ ব্যাটেলিয়ন স্থাপন। বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ আরো কার্যকরভাবে এবং দক্ষতার সঙ্গে তাদের অধিক্ষেত্র মধ্যে তার দায়িত্ব সম্পাদন করার জন্য ১জুন ২০১১ থেকে মোতায়েন রয়েছে। বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ সু-সম্পর্ক ও সহযোগিতা বজায় রাখে, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, কাস্টমস, বিভিন্ন গোয়েন্দা ইউনিট, বিমান পরিবহন সংস্থা এবং অন্যান্য অপারেটরদের অনুরূপ সংস্থা সহ বিমানবন্দর অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে। (১০০ মহিলা সদস্য সহ) মোট জন বাংলাদেশের বৃহত্তম বিমানবন্দর নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনে কর্তব্যরত আছে। বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ এয়ারপোর্ট সুরক্ষিত করার জন্য দলের চারটি ধরন আছে: ইউনিফর্ম পরিহিত গার্ড এবং চেক টিম গোয়েন্দা টিম ক্রাইসিস রেসপন্স টিম (সিআরটি) পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন টিম। বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ স্বাধীনভাবে এয়ারপোর্ট সুরক্ষিত রাখতে দায়িত্ব সম্পাদন করে। বেসামরিক বিমান পরিবহন,পর্যটন ও বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তর, মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ অনুযায়ী বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ সাধারণত নিম্নলিখিত দায়িত্ব পালন করে থাকে: বিমানবন্দরে বিধ্বংসী আইন, কোনো ধরনের প্রতিরোধ অবাঞ্ছিত ও অননুমোদিত ব্যক্তি অবৈধ অনধিকার প্রবেশ প্রতিরোধ করার জন্য,/স্টপ হরণ বা যাত্রী লটবহর চুরি, এয়ারপোর্ট সামগ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, যাত্রী বাঁধন হয়রানি প্রতিরোধ। পার্কিং এলাকা, পরিবাহক বেল্ট, বিমান থাকিবার স্থান, পিচ এলাকা সহ এয়ারপোর্ট ভিতরে বিভিন্ন এলাকায় ভিডিও প্রযুক্তির প্রয়োগের মাধ্যমে তথ্য ও সম্ভাব্য অপরাধীদের সনাক্তকরণ, তথ্য সংগ্রহ, অনুসন্ধান এবং এয়ারপোর্ট ভিতরে সাধারণ পরীক্ষণ এবং সন্দেহজনক ব্যক্তি বা যাত্রী ভ্রমণ নথি, লটবহর বা শরীরের তল্লাশী ইত্যাদি। লটবহর চুরি/হরণ, চোরাচালান, বেওয়ারিশ লটবহর, যাত্রী হয়রানি সংক্রান্ত কোনো ঘটনার তদন্ত পরে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ। বিধ্বংসী আইন বা অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে নিরাপত্তা ও সমন্বয় সংক্রান্ত গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ জঙ্গি আক্রমণ রোধ করা। ২০১২ সালে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, ভ্রমণরত বিদেশী রাষ্ট্রীয় অতিথিদের নিরাপত্তা রক্ষায় বিশেষ নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা ব্যাটালিয়ন নামে পুলিশের একটি বিশেষায়িত ইউনিট প্রতিষ্ঠা করা হয়। এপিবিএনের প্রধান অতিরিক্ত মহা পুলিশ পরিদর্শকের নিয়ন্ত্রণে একজন উপ মহা পরিদর্শক এই বাহিনী পরিচালনা করে থাকেন। প্রাথমিক ভাবে দুটি প্রটেকশন ব্যাটালিয়ন দিয়ে এই বাহিনী যাত্রা শুরু করেছে। র্যাব বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস দমনের উদ্দেশ্যে গঠিত চৌকস বাহিনী। পুলিশ সদর দপ্তরের অধীনে পরিচালিত এই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ২০০৪ সালের ২৬ মার্চ গঠিত হয় এবং একই বছরের ১৪ এপ্রিল (পহেলা বৈশাখ) তাদের কার্যক্রম শুরু করে। বাংলাদেশ পুলিশের পাশাপাশি বাংলাদেশের সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী, আনসার ও সিভিল প্রশাসনের সদস্যদের নিয়ে র্যাব গঠিত হয়। ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশের নিয়ন্ত্রণে মহাপরিচালক র্যাব এই বাহিনী পরিচালনা করেন। র্যাবের অন্যতম সাফল্য হল জঙ্গি দমন বিশেষত জামায়াতুল মুজাহিদিন(জেএমবি) রাষ্ট্রের জন্য হুমকি হয়ে উঠার আগেই র্যাব তাদের সমস্ত নেটওয়ার্ক ধ্বংস করে দেয়। রেলওয়ে পুলিশ বাংলাদেশ রেলওয়ের সীমানায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হিসাবে কাজ করে। তারা রেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের শৃঙ্খলা রক্ষা, ট্রেন ভ্রমণরত যাত্রীদের সুরক্ষিত রাখার দায়িত্ব পালন করে। রেল দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটলে তারা এর বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। রেলওয়ে পুলিশ রেঞ্জের প্রধান হলেন একজন ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (রেলওয়ে পুলিশ) পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তা। রেলওয়ে পুলিশ রেঞ্জের অধীনে ছয়টি রেল জেলা আছে, এগুলি হলো সৈয়দপুর, পাকশী, লালমনিরহাট, চট্টগ্রাম, খুলনা ও সিলেট। একজন রেলওয়ে পুলিশ একটি সুপারিনটেনডেন্ট(SRP) রেল জেলা পুলিশের সকলপ্রকার প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। শ্রম আইন,২০০৬;বাস্তবায়নে এবং শিল্প এলাকায় অশান্তি প্রতিরোধ কল্পে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ পূর্বক সম্ভাব্য শ্রম অসন্তোষ মোকাবেলার উদ্দেশ্যে ২০১০ সালের ৩১ শে অক্টোবর শিল্প পুলিশ যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে এই ইউনিটের সদস্য সংখ্যা ২৯৯০ জন। ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের আটটি কার্য অঞ্চল- ইন্ডাস্টিয়াল পুলিশ-১, আশুলিয়া, ঢাকা। ইন্ডাস্টিয়াল পুলিশ-২, গাজীপুর। ইন্ডাস্টিয়াল পুলিশ-৩, চট্টগ্রাম। ইন্ডাস্টিয়াল পুলিশ-৪,নারায়ণগঞ্জ। ইন্ডস্ট্রিয়াল পুলিশ-৫, ময়মনসিংহ। ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-৬, খুলনা। ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-৭, কুমিল্লা। ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-৮, সিলেট। মহাসড়ক নিরাপদ রাখা এবং যানজটমুক্ত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে সরকার হাইওয়ে পুলিশ গঠনের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে। ২০০৫ সালে হাইওয়ে পুলিশ তার যাত্রা শুরু করে। হাইওয়ে পুলিশ রেঞ্জের প্রধান কর্মকর্তা হলেন ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (হাইওয়ে পুলিশ)। হাইওয়ে পুলিশ রেঞ্জের অধীনে দুটি হাইওয়ে পুলিশ উইং আছে। ইস্টার্ন উইং এর সদরদপ্তর কুমিল্লায় এবং ওয়েষ্টার্ন উইং এর সদরদপ্তর বগুড়ায় অবস্থিত। প্রতিটি উইং এর নেতৃত্বে আছেন একজন সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ (হাইওয়ে)। অপর্যাপ্ত জনবল আর যানবাহন সংকটের কারণে দেশব্যাপী বিস্তৃত মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের উপস্থিতি সন্তোষজনক নয়। সারাদেশে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তাদের কার্যক্রম নজরদারী করতে ও তাদের উপর গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পুলিশের অভ্যন্তরীণ ওভারসাইট নামে একটি বিশেষায়িত বিভাগ কাজ করে। ২০০৭ সালে এই বিভাগটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সদর দপ্তরের একজন সহকারী মহা পুলিশ পরিদর্শক এই বিভাগের প্রধান এবং তিনি সরাসরি মহা পুলিশ পরিদর্শকের নিকট রিপোর্ট দাখিল করেন। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি পুলিশ ইউনিট পিআইও এর সরাসরি নজরদারির আওতাধীন। পিআইওর এজেন্টরা পুলিশ হেডকোয়ার্টারের পিআইওর ইউনিট এর সরাসরি তত্বাবধানে সারাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা করেন। বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী, সারদা, রাজশাহী। দেশের একমাত্র পুলিশ একাডেমী রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলা সদর দপ্তর থেকে এক মাইল দূরে পদ্মার পাড়ে এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশে সরদহতে অবস্থিত। তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতে মেজর এইচ.
তথ্য প্রযুক্তিতে ব্রডব্যান্ড (ইংরেজি: Broadband) হলো প্রশস্থ ব্যান্ডউইথ তথ্য আদান প্রদান যা বহু সংকেত প্রবাহের মাধ্যমে তৈরিকৃত।কো-এক্সিয়াল ক্যাবল, অপটিক্যাল ফাইবার , রেডিও অথবা টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল দ্বারা তথ্য আদানপ্রদান করা যেতে পারে। ইন্টারনেট ব্রডব্যান্ড হলো, দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা যা সর্বদা চালু এবং উচ্চগতি সম্পন্ন।ব্রডব্যান্ড ডায়াল আপ একসেসের তুলনায় অধিক গতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা। সাধারণতঃ কমপক্ষে ১ মেগাবাইট পার সেকেণ্ড (এমবিপিএস) গতিতে তথ্য প্রবাহিত হলে তাকে ব্যডব্যাণ্ড বলে অভিহিত করা হয়ে থাকে।
ভারতের সংবিধান ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ আইন। এই সংবিধানে বহুকক্ষবিশিষ্ট সরকারব্যবস্থা গঠন, কার্যপদ্ধতি, আমলাতান্ত্রিক কর্তৃত্ববাদ, গোত্রীয় স্বাতন্ত্র্যবাদ, সমকামী অধিকারত্ববাদ, ক্ষমতা ও কর্তব্য নির্ধারণ; মৌলিক অধিকার, নির্দেশমূলক নীতি, এবং নাগরিকদের কর্তব্য নির্ধারণের মাধ্যমে দেশের মৌলিক রাজনৈতিক আদর্শের রূপরেখাটি নির্দিষ্ট করা হয়েছে। ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর গণপরিষদে ২৮৪ জনের সই করলে গৃহীত হয় এবং এই দিনটি জাতীয় আইন দিবস হিসেবে পরিচিত। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে এই সংবিধান জোরদারভাবে কার্যকরী হয়।
মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী (গুজরাটি: મોહનદાસ કરમચંદ ગાંધી ; মোহনদাস কর্মচন্দ গান্ধী বা মহাত্মা গান্ধী; ২ অক্টোবর ১৮৬৯ – ৩০ জানুয়ারি ১৯৪৮) ছিলেন অন্যতম ভারতীয় রাজনীতিবিদ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রগামী ব্যক্তিবর্গের মধ্যে একজন এবং প্রভাবশালী আধ্যাত্মিক নেতা। এছাড়াও তিনি ছিলেন সত্যাগ্রহ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা। যার মাধ্যমে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে জনসাধারণ তাদের অভিমত প্রকাশ করে। এ আন্দোলন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল অহিংস মতবাদ বা দর্শনের উপর ভিত্তি করে এবং এটি ছিল ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম চালিকা শক্তি, সারা বিশ্বে মানুষের স্বাধীনতা এবং অধিকার পাওয়ার আন্দোলনের অন্যতম অনুপ্রেরণা।
রাজাকার বা রেজাকার হলো ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক গঠিত একটি আধাসামরিক বাহিনী। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী বাঙালি এবং উর্দুভাষী অবাঙালি অভিবাসীদের নিয়ে গঠিত হয়। অবরুদ্ধ বাংলাদেশে স্বাধীনতার জন্যে লড়াইরত মুক্তিবাহিনীকে প্রতিরোধ করার জন্য ১৯৭১ সালের মে মাসে খুলনায় প্রথম রাজাকার বাহিনী গঠিত হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর স্থল শাখা। এটি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সর্ববৃহৎ শাখা। সেনাবাহিনীর প্রাথমিক দায়িত্ব হচ্ছে বাংলাদেশের ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষা সহ বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করা এবং সব ধরনের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহায়তায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সাথে প্রয়োজনীয় শক্তি ও জনবল সরবরাহ করা। সেনাবাহিনীর সব ধরনের কর্মকাণ্ড সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। প্রাথমিক দায়িত্বের পাশাপাশি যেকোন জাতীয় জরুরি অবস্থায় বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় এগিয়ে আসতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সাংবিধানিক ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
কলকাতা বা কোলকাতা ([kolkata] ()), পূর্বনাম কলিকাতা, হল পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর এবং ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী। কলকাতা শহরটি হুগলি নদীর পূর্ব পাড়ে অবস্থিত। এই শহর পূর্ব ভারতের শিক্ষা, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির প্রধান কেন্দ্র। দক্ষিণ এশিয়ায় কলকাতা তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতির শহর। কলকাতা বন্দর ভারতের প্রাচীনতম সচল বন্দর তথা দেশের প্রধান নদী বন্দর। ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, কলকাতার জনসংখ্যা ৪,৪৯৬,৬৯৪। জনসংখ্যার হিসেবে এটি ভারতের ৭ম সর্বাধিক জনবহুল পৌর-এলাকা। অন্যদিকে বৃহত্তর কলকাতার জনসংখ্যা ১৪,১১২,৫৩৬। জনসংখ্যার হিসেবে বৃহত্তর কলকাতা ভারতের ৩য় সর্বাধিক জনবহুল মহানগরীয় অঞ্চল। বৃহত্তর কলকাতার সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সূচক (আনুমানিক)$২৬৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যবর্তী (ক্রয়ক্ষমতা সমতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জিডিপি অনুযায়ী)। এই সূচক অনুযায়ী ভারতে কলকাতার স্থান মুম্বই ও নয়াদিল্লির ঠিক পর তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতির শহর।
আনন্দবাজার পত্রিকা পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলা ভাষায় প্রকাশিত একটি শতাব্দী প্রাচীন ভারতীয় দৈনিক পত্রিকা। কলকাতার এবিপি প্রাইভেট লিমিটেড এর প্রকাশক। প্রকাশ-সংখ্যার ভিত্তিতে এটি ভারতে বাংলা ভাষায় বহুল প্রচারিত দৈনিক। কলকাতা, নয়া দিল্লি, ভুবনেশ্বর, রাঁচি, শিলিগুড়ি ও ভারতের অন্যান্য শহর থেকে নিয়মিত এটি দশ লক্ষেরও অধিক সংখ্যায় প্রচারিত হয়। ইন্ডিয়ান রিডারশিপ সার্ভে অনুসারে, পত্রিকাটি ১৫৬ লাখ মানুষ পাঠ করেন।
গুরু পূর্ণিমা (IAST: Guru Pūrṇimā, sanskrit: गुरु पूर्णिमा) হলো একটি ঐতিহ্য, যা সমস্ত আধ্যাত্মিক এবং একাডেমিক গুরুদের জন্য উৎসর্গীকৃত, যারা কর্মযোগের উপর ভিত্তি করে বিকশিত বা আলোকিত মানুষ তৈরির মাধ্যমে তাদের জ্ঞান দান করে। এটি ভারত, নেপাল এবং ভুটানের হিন্দু, জৈন ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা একটি উৎসব হিসেবে পালন করে । এই উৎসব ঐতিহ্যগতভাবে একজনের নির্বাচিত আধ্যাত্মিক শিক্ষক বা নেতাদের সম্মান করার জন্য পালন করা হয়। এটি হিন্দু পঞ্জিকার আষাঢ় মাসে (জুন-জুলাই) পূর্ণিমা তিথিতে পালন করা হয়। পরমেশ্বর শিবের দক্ষিণামূর্তি রূপকে “গুরুমূর্তি” বলা হয়, সপ্ত ঋষি ও ব্রহ্মা-বিষ্ণু সহ সমস্ত দেবতারা এই মাসের পূর্ণিমা তিথিতে মহাদেবের কাছে পরমজ্ঞান লাভ করেন, শিবকে আদিগুরু মানা হয়,তাই এটি গুরু পূর্ণিমা বলেই বিখ্যাত এটি ব্যাস পূর্ণিমা নামেও পরিচিত, কারণ এটি ঋষি বেদব্যাসের জন্মদিন চিহ্নিত করে, যিনি মহাভারত রচনা করেছিলেন এবং বেদ সংকলন করেছিলেন।
সিপাহি বিদ্রোহ বা সৈনিক বিদ্রোহ ১৮৫৭ সালের ১০ মে অধুনা পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুরে শুরু হওয়া ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনাবাহিনীর সিপাহিদের বিরুদ্ধে একটি বিদ্রোহ। ক্রমশ এই বিদ্রোহ গোটা উত্তর ও মধ্য ভারতে (অধুনা উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ ও দিল্লি অঞ্চল ) ছড়িয়ে পড়েছিল। এই সব অঞ্চলে বিদ্রোহীদের দমন করতে কোম্পানিকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। সিপাহি বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ, মহাবিদ্রোহ, ভারতীয় বিদ্রোহ, ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ ও ১৮৫৮ সালের গণ-অভ্যুত্থান নামেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। এই বিদ্রোহ দমন করা হয় নির্মমভাবে। বহু নিরপরাধ নরনারী, শিশু বৃদ্ধদের নির্বিচারে হত্যা করা হয়।
ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলসমূহ
ভারত হলো ২৮টি রাজ্য ও ৮ টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল নিয়ে গঠিত একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় রাজ্যসংঘ। এই দেশের প্রথম স্তরের প্রশাসনিক বিভাগের সংখ্যা ৩৬। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি আবার জেলা ও ক্ষুদ্রতর প্রশাসনিক বিভাগে বিভক্ত।
মহুয়া রায়চৌধুরী (ইংরেজি: Mahua Roychoudhury) (২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৫৮ - ২২ জুলাই ১৯৮৫) ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্রের একজন অভিনেত্রী। তিনি কিশোর বয়সে নৃত্যশিল্পী ছিলেন। ১৯৭৩ সালে তরুণ মজুমদার পরিচালিত "শ্রীমান পৃথ্বীরাজ" ছায়াছবিতে প্রথম অভিনয় করেন ৷ তাকে বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম সফল অভিনেত্রী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার সহ বেশ কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছেন। ১৯৮৭ সালে ৫ তম দামেস্ক আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে আদমি অর আওরাত (১৯৮৪) চলচ্চিত্রে তার ভূমিকার জন্য তাকে মরণোত্তর শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীদের তালিকা
এই নিবন্ধটি বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীবৃন্দের তালিকা সম্পর্কিত।
সেনাপ্রধান (চীফ অব আর্মি স্টাফ বা সংক্ষেপে সিএএস) কিংবা সেনাবাহিনী প্রধান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পেশাগত প্রধান/প্রধান কর্মকর্তা। ঢাকা সেনানিবাসে অবস্থিত সেনাবাহিনীর সদরদপ্তর থেকে সেনাপ্রধান তার কার্যাবলী পরিচালনা করেন। সেনাপ্রধানরা চার তারকা জেনারেল বা পূর্ণ জেনারেল পদমর্যাদার হয়ে থাকেন তবে মঈন উদ্দিন আহমেদের আগে সেনাপ্রধানরা পূর্ণ জেনারেল ছিলেন না, ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল। এছাড়া স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল ছিলেন যদিও এম এ জি ওসমানী চার তারকা জেনারেল ছিলেন।
পৃথিবীর অন্যান্য উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশের মত 'বাংলাদেশে ইন্টারনেট' এবং তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বিষ্ময়করহারে বৃদ্ধি হচ্ছে। ইন্টারনেট ও তথ্য প্রযুক্তিতে জনগণের প্রবেশের অধিকার এবং ব্যবহার বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে যার ফলে অনেক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও ২০২৩ সালের জুলাই নাগাদ বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ কোটি ১৯ লক্ষ। বর্তমানে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি এবং মোট জনসংখ্যার ৬২% ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। ৯৩.৭০২ মিলিয়ন। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ৪ জি নেটওয়ার্ক পরিষেবা প্রদান শুরু করে।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, বিশ্বযুদ্ধ-১ বা প্রথম মহাযুদ্ধ একটি বৈশ্বিক যুদ্ধ যা ১৯১৪ সালের ২৮ জুলাই ইউরোপে শুরু হয় এবং ১১ নভেম্বর ১৯১৮ পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। ৬ কোটি ইউরোপীয়সহ আরো ৭ কোটি সামরিক বাহিনীর সদস্য ইতিহাসের অন্যতম বৃহত্তম এই যুদ্ধে একত্রিত হয়। এটি ছিল ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাতের একটি এবং এর ফলে পরবর্তী সময়ে এর সাথে যুক্ত দেশগুলোর রাজনীতিতে বিরাট পরিবর্তন হয়। অনেক দেশে এটি বিপ্লবেরও সূচনা করে।
রাজা রামমোহন রায় (২২ মে ১৭৭২ – ২৭ সেপ্টেম্বর ১৮৩৩) একজন ভারতীয় সংস্কারক। তিনি ১৮২৮ সালে ভারতীয় উপমহাদেশের একটি সামাজিক-ধর্মীয় সংস্কার আন্দোলন ব্রাহ্মসভার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় আকবর তাকে রাজা উপাধি দিয়েছিলেন । রাজনীতি, জনপ্রশাসন, শিক্ষা ও ধর্মের ক্ষেত্রে তার প্রভাব ছিল স্পষ্ট । তিনি সতীদাহ প্রথা এবং বাল্যবিবাহ বাতিলের প্রচেষ্টার জন্য পরিচিত ছিলেন । অনেক ইতিহাসবিদ রামমোহন রায় কে "ভারতীয় রেনেসাঁর জনক" বলে মনে করেন।
শরিফুল হক ডালিম (জন্ম: ১৯৪৬ ) মেজর ডালিম নামে পরিচিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন প্রাক্তন সামরিক কর্মকর্তা। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার সাথে তিনি জড়িত ছিলেন। শেখ মুজিব নিহত হবার পর মেজর ডালিম পরবর্তীতে লেফটেন্যান্ট কর্নেল) বাংলাদেশে বেতারে নিজেই হত্যার সাথে জড়িত থাকার ঘোষণা দেন। ৭৫'র পরবর্তি বিভিন্ন সরকার তাকে বিদেশে বিভিন্ন বাংলাদেশি দূতাবাসে তাকে বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেয়।
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের একটি জাতীয় রাজনৈতিক দল। এই দল সাধারণভাবে কংগ্রেস নামে পরিচিত। কংগ্রেস দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল দুটির একটি। এটি একটি ভারতের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক সংগঠন। ১৮৮৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর থিওজোফিক্যাল সোসাইটির কিছু "অকাল্ট" সদস্য কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা করেন। এঁরা হলেন অ্যালান অক্টোভিয়ান হিউম, দাদাভাই নওরোজি, দিনশ এদুলজি ওয়াচা, উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, মনমোহন ঘোষ, মহাদেব গোবিন্দ রানাডে ও উইলিয়াম ওয়েডারবার্ন প্রমুখ। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে জাতীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব দান করেছিল। ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতা অর্জন করলে, কংগ্রেস দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়। সেই থেকে মূলত নেহেরু-গান্ধী পরিবারই কংগ্রেসকে নেতৃত্ব দান করতে থাকেন।
জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬ – ৩০ মে ১৯৮১) ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সমর্থনে একটি বিবৃতি পাঠ করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত করে। তবে মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন থাকার সময় সংবিধান লঙ্ঘন, শেখ মুজিবের আত্মস্বীকৃত খুনিদের দেশত্যাগে সহায়তা এবং তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়নের অভিযোগে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) তার বীর উত্তম খেতাব বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, তার খেতাব বাতিল করা হয়নি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালের ২১শে এপ্রিল তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমকে সরিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হন ১৯৭৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি চার বছর বাংলাদেশ শাসন করার পর ১৯৮১ সালের ৩০শে মে এক ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে চট্টগ্রামে নির্মমভাবে নিহত হন। ২০০৪ সালে বিবিসি বাংলা পরিচালিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জরিপে ২০ জন শ্রেষ্ঠ বাঙালির মধ্যে জিয়াউর রহমানের নাম ১৯ নম্বরে উঠে আসে।
শেখ মোহাম্মদ শফিউদ্দিন আহমেদ (জন্ম: ১ ডিসেম্বর ১৯৬৩) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭তম সেনাপ্রধান হিসেবে ২৪ জুন ২০২১ থেকে ২৩ জুন ২০২৪ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগের পূর্বে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল (কিউএমজি) হিসেবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘ ৪০ বছরের সামরিক জীবনে তিনি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) মহাপরিচালক, সামরিক প্রশিক্ষণ পরিচালক (ডিএমটি) ছাড়াও একটি পদাতিক ব্রিগেড এবং একটি পদাতিক ডিভিশনের অধিনায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (জন্ম ৫ জানুয়ারি, ১৯৫৫) পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী এবং সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা-সভানেত্রী। বর্তমানে তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা, ভূমি ও ভূমিসংস্কার, তথ্য ও সংস্কৃতি, পর্বতাঞ্চল বিষয়ক, কৃষি, বিদ্যুৎ, কর্মী ও প্রশাসনিক সংস্কার, সংখ্যালঘু কল্যাণ ও মাদ্রাসা শিক্ষা ও মুসলিম জনগোষ্ঠী পালন বিভাগেরও ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী। তিনি পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন বাগ্মী রাজনীতিবিদ। তাকে প্রায়শই দিদি বলে অভিহিত করা হয়ে থাকে। এছাড়াও তাকে অগ্নিকন্যা বলা হয়। ২০১১ সালে তার নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গের ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট সরকারকে পরাজিত করতে সক্ষম হয়েছিল। এই সরকার বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সময় গণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট সরকার ছিল। ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটে তিনি দুই বার রেল, এক বার কয়লা মন্ত্রকের এবং এক বার মানবসম্পদ উন্নয়ন, যুব, ক্রীড়া, নারী ও শিশুকল্যাণ বিভাগের রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গে কৃষকদের জমি বলপূর্বক অধিগ্রহণ করে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের বিরোধিতা করে আন্দোলন করেছিলেন।
কমলা দেবী হ্যারিস (, KAH-mə-lə DAY-vee; জন্ম ২০ অক্টোবর, ১৯৬৪) একজন আমেরিকান রাজনীতিবিদ এবং অ্যাটর্নি, যিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৯তম এবং বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট । তিনি মার্কিন ইতিহাসে প্রথম মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট, একই সাথে তিনি প্রথম আফ্রিকান আমেরিকান এবং প্রথম এশিয়ান আমেরিকান ভাইস প্রেসিডেন্ট। । তিনি ডেমোক্রেটিক পার্টির একজন সদস্য। তিনি ২০১১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ক্যালিফোর্নিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর হিসেবে কাজ করেছেন। ২০২১ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে পরাজিত করে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।
শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড
শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড ছিল বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ঘটনা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একদল সদস্য সামরিক অভ্যুত্থান সংঘটিত করে এবং শেখ মুজিবুর রহমানকে তার ধানমন্ডি ৩২-এর বাসভবনে সপরিবারে হত্যা করে। পরে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ থেকে ৬ নভেম্বর ১৯৭৫ পর্যন্ত খন্দকার মোশতাক আহমেদ অঘোষিতভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির পদে আসীন হন। শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশের বেসামরিক প্রশাসনকেন্দ্রিক রাজনীতিতে প্রথমবারের মতো সামরিক ক্ষমতার প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ ঘটে। হত্যাকাণ্ডটি বাংলাদেশের আদর্শিক পটপরিবর্তন বলে বিবেচিত। লরেন্স লিফশুলৎজ এই হত্যাকাণ্ডের সামগ্রিক ঘটনাবলিকে মার্কিন-পাকিস্তানপন্থী ও ভারত-সোভিয়েতপন্থী দুই অক্ষশক্তির কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার স্নায়ুযুদ্ধের সহিংস বহিঃপ্রকাশ বলে আখ্যায়িত করেন। বর্তমানে ১৫ ই আগস্ট বাংলাদেশের ‘জাতীয় শোক দিবস’ হিসেবে পালিত হয়।
বাল গঙ্গাধর তিলক (মরাঠি: बाळ गंगाधर टिळक; ; ২৩ জুলাই ১৮৫৬ – ১ আগস্ট ১৯২০) একজন ভারতীয় পণ্ডিত ও ভারতীয় জাতীয়তাবাদী নেতা, সমাজ সংস্কারক, আইনজীবী এবং স্বাধীনতা কর্মী ছিলেন। তিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম নেতা ছিলেন। ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ তাকে ভারতীয় অস্থিরতার পিতা বলতেন। তাকে আরও সন্মানসুচক লোকমান্য বলা হত, যার অর্থ "জনগণ দ্বারা গৃহীত (নেতা হিসাবে)। তিনি হোমরুল আন্দোলনের জনক ছিলেন। তিনি 'মারাঠা' এবং 'কেশরী' নামে দুটি পত্রিকা সম্পাদনা করতেন। তার লেখা উল্লেখযোগ্য পুস্তক হল গীতা রহস্য।
গঙ্গা (সংস্কৃত উচ্চারণ: [ˈɡɐŋɡaː]) ভারত ও বাংলাদেশে প্রবাহিত একটি আন্তর্জাতিক নদী। এই নদী ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের জাতীয় নদীও বটে। গঙ্গার দৈর্ঘ্য ২,৭০৪ কিমি (১,৬৮০ মা); উৎসস্থল পশ্চিম হিমালয়ে ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যে। দক্ষিণ ও পূর্বে গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে গঙ্গা মিশেছে বঙ্গোপসাগরে। এক্ষেত্রে এর দুটি ধারা বা শাখা লক্ষনীয়- একটি ফারাক্কা বাঁধ থেকে এসে ভাগীরথী ও হুগলী নদী নামে মূলত দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে; অপরটি বাংলাদেশ সীমান্তে মহানন্দার সঙ্গে মিলিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে পদ্মা নামে গোয়ালন্দ পর্যন্ত প্রবাহিত হয়েছে। পদ্মাকে মূলত গঙ্গার প্রধান শাখানদী বলা হয়। তবে ঐতিহাসিক কারণবশত এর অববাহিকাকেও গাঙ্গেয় বদ্বীপের অন্তর্গত বিবেচনা করা হয়। জলপ্রবাহের ক্ষমতা অনুযায়ী গঙ্গা বিশ্বের প্রথম ২০টি নদীর একটি। গাঙ্গেয় অববাহিকার জনসংখ্যা ৪০ কোটি এবং জনঘনত্ব ১,০০০ জন/বর্গমাইল (৩৯০/কিমি২)। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল নদী অববাহিকা।
জ্যোতির্লিঙ্গ বা জ্যোতির্লিঙ্গম্ বলতে হিন্দু দেবতা শিবের বারোটি বিশেষ মন্দির ও সেই মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত শিবলিঙ্গগুলিকে বোঝায়। মন্দিরগুলি ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, অরিদ্রা নক্ষত্রের রাতে শিব স্বয়ং জ্যোতির্লিঙ্গ রূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন। এই শিবলিঙ্গগুলির বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। হিন্দুধর্মাবলম্বীদের কাছে এগুলি শিবের পবিত্রতম মন্দির হিসেবে পরিচিত।
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় (১২ সেপ্টেম্বর, ১৮৯৪ – ১ নভেম্বর, ১৯৫০) ছিলেন একজন জনপ্রিয় ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক। তিনি মূলত উপন্যাস ও ছোটগল্প লিখে খ্যাতি অর্জন করেন। পথের পাঁচালী ও অপরাজিত তাঁর সবচেয়ে বেশি পরিচিত উপন্যাস। অন্যান্য উপন্যাসের মধ্যে আরণ্যক, চাঁদের পাহাড়,আদর্শ হিন্দু হোটেল, ইছামতী ও অশনি সংকেত বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। উপন্যাসের পাশাপাশি বিভূতিভূষণ প্রায় ২০টি গল্পগ্রন্থ, কয়েকটি কিশোরপাঠ্য উপন্যাস ও ভ্রমণকাহিনি এবং দিনলিপিও রচনা করেন। বিভূতিভূষণের পথের পাঁচালী উপন্যাস অবলম্বনে সত্যজিৎ রায় পরিচালিত চলচ্চিত্রটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন। বিভূতিভূষণের অধিকাংশ উপন্যাস চলচ্চিত্রে রূপায়িত করা হয়েছে।১৯৫১ সালে ইছামতী উপন্যাসের জন্য বিভূতিভূষণ পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার রবীন্দ্র পুরস্কার (মরণোত্তর) লাভ করেন।
সুকুমার রায় (৩০ অক্টোবর ১৮৮৭ – ১০ সেপ্টেম্বর ১৯২৩) ছিলেন একজন বাঙালি শিশুসাহিত্যিক ও ভারতীয় সাহিত্যে "ননসেন্স ছড়া"র প্রবর্তক। তিনি একাধারে লেখক, ছড়াকার, শিশুসাহিত্যিক, রম্যরচনাকার, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার ও সম্পাদক। তিনি ছিলেন জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর সন্তান এবং তাঁর পুত্র খ্যাতিমান ভারতীয় চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়। তাঁর লেখা কবিতার বই আবোল তাবোল, গল্প হ-য-ব-র-ল, গল্প সংকলন পাগলা দাশু এবং নাটক চলচ্চিত্তচঞ্চরী বিশ্বসাহিত্যে সর্বযুগের সেরা "ননসেন্স" ধরনের ব্যঙ্গাত্মক শিশুসাহিত্যের অন্যতম বলে মনে করা হয়, কেবল অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড ইত্যাদি কয়েকটি মুষ্টিমেয় ধ্রুপদী সাহিত্যই যাদের সমকক্ষ। মৃত্যুর শত বর্ষ পরেও তিনি বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম একজন।
রামায়ণ একটি প্রাচীন সংস্কৃত মহাকাব্য। আদিকবি ঋষি বাল্মীকি রামায়ণের রচয়িতা। এই গ্রন্থটি বৈদিক শাস্ত্রের স্মৃতি বর্গের অন্তর্গত। রামায়ণ ও মহাভারত ভারতের দুটি প্রধান মহাকাব্য। এই কাব্যে বিভিন্ন সম্পর্কের পারস্পরিক কর্তব্য বর্ণনার পাশাপাশি আদর্শ পুত্র, আদর্শ ভ্রাতা, আদর্শ স্বামী ও আদর্শ রাজার চরিত্র চিত্রণের মাধ্যমে মানবসমাজের আদর্শ ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রধান কেন্দ্র-ডান থেকে ডানপন্থী রাজনৈতিক দল। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এই দল প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৭ সালে ৩০ এপ্রিল জিয়াউর রহমান তার শাসনকে বেসামরিক করার উদ্দেশ্যে ১৯ দফা কর্মসূচি শুরু করেন। জিয়া যখন সিদ্ধান্ত নিলেন যে তিনি রাষ্ট্রপতির পদের জন্য নির্বাচন করবেন তখন তার নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) প্রতিষ্ঠিত হয়। এই দলের সমন্বয়ক ছিলেন আব্দুস সাত্তার।
যে শব্দের দ্বারা সংক্ষেপে কোনো বিষয় সুনির্দিষ্টভাবে ব্যক্ত করা যায় তাকেই পরিভাষা বলা হয়। শব্দ হল যেকোনো কিছুর নাম বা তাকে ভাষায় প্রকাশ করার উপায়, প্রতিশব্দ হল সমার্থক শব্দ; কিন্তু পরিভাষা পুরোপুরিই সংজ্ঞাবাচক। এর অর্থ ব্যাপক। একটি পরিভাষা একটি পরিপূর্ণ সংজ্ঞাকে নির্দেশ করে। শব্দের অর্থ এবং পরিভাষার অর্থ ভিন্ন বা একেবারে বিপরীত হতে পারে। যেমন, বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান শব্দটি সংস্কৃত ভাষা থেকে এসেছে। সংস্কৃতে বিজ্ঞান শব্দের অর্থ ছিল ঈশ্বরানুভব, অপরোক্ষ জ্ঞান, তত্ত্বজ্ঞান বা বিশেষ জ্ঞান। কিন্তু বাংলায় এটি ইংরেজি সায়েন্স (science) শব্দের পরিভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তাই বাংলায় বিজ্ঞান শব্দের অর্থ নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও গবেষণার ফলে কোনো বিষয়ে ক্রম অনুসারে লব্ধ জ্ঞান। ঈশ্বরানুভূতি এবং গবেষণালব্ধ জ্ঞান একেবারে বিপরীত। দেখা যাচ্ছে, পরিভাষার অর্থ সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং এটিই বর্তমানে একটি সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞার জন্ম দিয়েছে।
সুন্দরবন হলো বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রশস্ত বনভূমি যা বিশ্বের প্রাকৃতিক বিস্ময়াবলির অন্যতম। পদ্মা, মেঘনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীত্রয়ের অববাহিকার বদ্বীপ এলাকায় অবস্থিত এই অপরূপ বনভূমি বাংলাদেশের খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার কিছু অংশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দুই জেলা উত্তর চব্বিশ পরগনা ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জুড়ে বিস্তৃত। সমুদ্র উপকূলবর্তী নোনা পরিবেশের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন হিসেবে সুন্দরবন বিশ্বের সর্ববৃহৎ অখণ্ড বনভূমি। ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে গড়ে ওঠা সুন্দরবনের ৬,৫১৭ বর্গ কিলোমিটার (৬৬%) রয়েছে বাংলাদেশে এবং বাকি অংশ (৩৪%) রয়েছে ভারতের মধ্যে।
অন্ধ বা অন্ধত্ব কোন কিছুকে দেখার সক্ষমতাহীনতা বা অক্ষমতাকে বুঝায়। যিনি অন্ধত্ব বরণ করেছেনে, সমাজে তিনি অন্ধ নামে পরিচিত। এছাড়া কিঞ্চিৎ দেখার অধিকারী ব্যক্তিও অন্ধ হিসেবে পরিচিত হয়ে থাকেন। কারণ তিনি অস্পষ্ট আকার অথবা রঙ ভিন্ন অন্য কোন কিছুই স্পষ্ট ও সঠিকভাবে দেখতে পান না। ট্রাকোমা রোগে আক্রান্ত হয়ে যাবার ফলে চোখের পলক অন্তর্মুখী হয়ে যায় ও কর্নিয়ার ক্ষতি বা অন্ধত্ব ঘটতে পারে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ হলো ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানে সংঘটিত একটি বিপ্লব ও সশস্ত্র সংগ্রাম। পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি জাতীয়তাবাদের উত্থান ও স্বাধিকার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় এবং বাঙালি গণহত্যার প্রেক্ষিতে এই জনযুদ্ধ সংঘটিত হয়। যুদ্ধের ফলে স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। পশ্চিম পাকিস্তান-কেন্দ্রিক সামরিক জান্তা সরকার ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৫শে মার্চ রাতে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের বিরুদ্ধে অপারেশন সার্চলাইট পরিচালনা করে এবং নিয়মতান্ত্রিক গণহত্যা শুরু করে। এর মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী সাধারণ বাঙালি নাগরিক, ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, পুলিশ ও ইপিআর কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়। সামরিক জান্তা সরকার ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফলকে অস্বীকার করে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ই ডিসেম্বর পশ্চিম পাকিস্তানের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনের পর অচলাবস্থার প্রেক্ষিতে গণবিদ্রোহ দমনে পূর্ব পাকিস্তানব্যাপী শহর ও গ্রামাঞ্চলে ব্যাপক সামরিক অভিযান ও বিমানযুদ্ধ সংঘটিত হয়। পাকিস্তান সেনাবাহিনী অধিকাংশ ইসলামি দলগুলোর সমর্থন লাভ করে। সেনাবাহিনীর অভিযানে সহায়তার জন্য তারা বিভিন্ন দলের লোকজন বিশেষ করে পাকিস্তান সমর্থনকারী ইসলামী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী নিয়ে আধা-সামরিক বাহিনী— রাজাকার, আল বদর ও আল শামস বাহিনী গঠন করে। পূর্ব পাকিস্তানের উর্দু-ভাষী বিহারিরাও সেনাবাহিনীকে সমর্থন করে। পাকিস্তানি সৈন্য ও তাদের সহায়তাকারী আধা-সামরিক বাহিনী কর্তৃক গণহত্যা, উচ্ছেদ ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। রাজধানী ঢাকায় অপারেশন সার্চলাইট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহত্যাসহ একাধিক গণহত্যা সংঘটিত হয়। প্রায় এক কোটি বাঙালি শরণার্থী হিসেবে ভারতে আশ্রয় নেয় এবং আরও তিন কোটি মানুষ দেশের অভ্যন্তরে উদ্বাস্তু হয়। বাঙালি ও উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীর মধ্যে দাঙ্গার সূত্রপাত হয়। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংসতাকে বুদ্ধিজীবীরা গণহত্যা হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকেন। বাঙালি সামরিক, আধা-সামরিক ও বেসামরিক নাগরিকদের সমন্বয়ে গঠিত মুক্তিবাহিনী চট্টগ্রাম থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র প্রচার করে। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস প্রাথমিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জেনারেল এম. এ. জি.
গোত্র শব্দটির অর্থ বংশ বা গোষ্ঠীকে বোঝায়। সনাতন ধর্মে গোত্র মানে একই পিতার ঔরসজাত সন্তান-সন্ততি (সমূহ) দ্বারা সৃষ্ট বংশ পরম্পরা। কিন্তু গোত্র দ্বারা কখনো কখনো অঞ্চল এবং বিশেষ চিহ্ন নির্দেশ করে (টোটেম)। বৈদিক শাস্ত্র অনুসারে, বংশের রক্ত প্রবাহিত হয় পুরুষ পরম্পরায়। সুতরাং বংশের রক্তের ধারক এবং বাহক হলো পুরুষ। সনাতন ধর্মের বংশ রক্ষার ধারায় ছিলেন, প্রথম সত্য যুগের শুরুতে ব্রহ্মার মানস সন্তানদের মধ্যে অন্যতম ঋষিগণ। পরবর্তীকালে অন্যান্য ঋষির বংশ পরম্পরাও পরিলক্ষিত হয়।
ভগবদ্গীতা (সংস্কৃত: भगवद्गीता) বা গীতা বা শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা সাতশত শ্লোকের ধর্মগ্রন্থ। তাই একে সপ্তশতী বলা হয়। এটি সংস্কৃত মহাকাব্য মহাভারত-এর অংশ। এটি ভীষ্মপর্ব নামে মহাভারতের ষষ্ঠ পর্বের ২৩-৪০ অধ্যায়ে গঠিত। এই গ্রন্থটি খ্রিস্টপূর্ব প্রথম সহস্রাব্দের দ্বিতীয়ার্ধে রচিত। গীতা স্বতন্ত্র ধর্মগ্রন্থ তথা পৃথক শাস্ত্র এর মর্যাদা পেয়ে থাকে। হিন্দুরা গীতাকে ভগবানের মুখনিঃসৃত বাণী মনে করেন। মানবধর্ম, দর্শন ও সাহিত্যের ইতিহাসে গীতা এক বিশেষ স্থানের অধিকারী। গীতার কথক কৃষ্ণ হিন্দুদের দৃষ্টিতে ঈশ্বরের অবতার পরমাত্মা স্বয়ং। তাই গীতায় তাঁকে বলা হয়েছে "শ্রীভগবান"। গীতার বিষয়বস্তু কৃষ্ণ ও পাণ্ডব রাজকুমার অর্জুনের কথোপকথন। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ শুরু ঠিক আগে শত্রুপক্ষে আত্মীয়, বন্ধু ও গুরুকে দেখে অর্জুন কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছিলেন। এই সময় কৃষ্ণ তাকে ক্ষত্রিয় যোদ্ধার ধর্ম স্মরণ করিয়ে দিয়ে এবং বিভিন্ন প্রকার যোগশাস্ত্র ও বৈদান্তিক দর্শন ব্যাখ্যা করে তাকে যুদ্ধে যেতে উৎসাহিত করেন। তাই গীতাকে বলা হয় মানব ধর্মতত্ত্বের সংক্ষিপ্ত পাঠ এবং হিন্দুদের জীবনচর্যার ব্যবহারিক পথনির্দেশিকা। যোগশাস্ত্র ব্যাখ্যার সময় কৃষ্ণ নিজের স্বয়ং ভগবান রূপটি উন্মোচিত করেন এবং বিশ্বরূপে অর্জুনকে দর্শন দিয়ে আশীর্বাদ করেন। অর্জুন ছাড়া প্রত্যক্ষভাবে কৃষ্ণের মুখ থেকে গীতা শুনেছিলেন সঞ্জয় (তিনি যুদ্ধের ঘটনা ধৃতরাষ্ট্রের কাছে বর্ণনা করার জন্য বেদব্যাসের কাছ থেকে দিব্য দৃষ্টি লাভ করেছিলেন), হনুমান (তিনি অর্জুনের রথের চূড়ায় বসে ছিলেন) ও ঘটোৎকচের পুত্র বর্বরীক যিনি কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের সব ঘটনা দেখেছিলেন। গীতাকে গীতোপনিষদ বলা হয়। অর্থাৎ, গীতা উপনিষদ্ বা বৈদান্তিক সাহিত্যের অন্তর্গত। "উপনিষদ্" নামধারী ধর্মগ্রন্থগুলো শ্রুতিশাস্ত্রের অন্তর্গত হলেও, মহাভারতের অংশ বলে গীতা স্মৃতিশাস্ত্রের অন্তর্গত। আবার উপনিষদের শিক্ষার সারবস্তু গীতায় সংকলিত হয়েছে বলে একে বলা হয় "উপনিষদ্সমূহের উপনিষদ্"। গীতাকে মোক্ষশাস্ত্র নামেও অভিহিত করা হয়। ভারতীয় মনীষীদের পাশাপাশি অ্যালডাস হাক্সলি, জে.
ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তে নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ এবং ভারতের বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, অসম ও সিকিম রাজ্য অবস্থিত। রাজ্যের উত্তরে হিমালয় পর্বতমালা ও দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। এর মধ্যবর্তী অঞ্চলে গঙ্গা পূর্বমুখে এবং তার শাখানদী হুগলি দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে। রাজ্যের উত্তরবঙ্গ অঞ্চলে অবস্থিত শিলিগুড়ি করিডোর উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে দেশের মূল ভূখণ্ডের সংযোগ রক্ষা করছে। পশ্চিমবঙ্গ একাধিক ভৌগোলিক অঞ্চলে বিভক্ত। যেমন, দার্জিলিং হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল, তরাই ও ডুয়ার্স অঞ্চল, রাঢ় অঞ্চল, পশ্চিমের উচ্চভূমি ও মালভূমি অঞ্চল, উপকূলীয় সমভূমি অঞ্চল, সুন্দরবন এবং গাঙ্গেয় বদ্বীপ অঞ্চল।